মেঘ,নদী আর পাহাড়ের দেশে-১

অদ্রোহ এর ছবি
লিখেছেন অদ্রোহ [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৯/১২/২০১০ - ১:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

টার্মের শেষদিকে সবার অবস্থা হয়ে পড়ে ঝড়ো কাকের মত; ক্লাসটেস্ট, অ্যাসাইনমেন্ট আর কুইজের খপ্পরে রীতিমত ত্রাহি মধুসূদন দশা। এই সময় আমাদের মত বিটকেলে কজন সবার কানে মন্ত্রণা জপে দিতে থাকি, চল বাক্সপ্যাটরা গুছিয়ে একটা ট্যুর দিয়ে আসি। এক দুজন করতে করতে দলও ক্রমে ভারি হয়ে উঠতে থাকে, কিন্তু গোলটা বাঁধে গন্তব্য নিয়েই, যাবটা কই? একজন কক্সবাজারের নাম প্রস্তাব করলে বাকিরা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেই, ওজায়গায় কদিন আগেই তো দিব্যি চেখে আসা হয়েছে, এবার নতুন কোথাও, একদম আনকোরা কোথাও যাওয়া চাই। কিন্তু বেমক্কা এরকম নতুন জায়গার হদিস পাই কী করে, যেখানে গিয়ে অন্তত বেশ একটা অ্যাডভেঞ্চারের সোয়াদ পাওয়া যাবে। ওরকম জায়গা বলতেই তো চোখের সা্মনে বান্দরবানের নামটা আগে ভেসে ওঠে। ও একটা জায়গায় আমাদের কারো খুব একটা ঢুঁ মারা হয়নি। তো বান্দরবান বলতে তো বগা লেকের নামটা চট করে মাথায় চলে আসে, এছাড়া আর কোন দ্রষ্টব্য স্থান সম্পর্কে আমরা ওয়াকেফহাল ছিলামনা। এমন সময় আমাদের আরেক বন্ধু উপযাজক হয়ে প্রস্তাব দেয়, তোরা নাফাখুম থেকে ঘুরে আসতে পারিস, আমরা কদিন আগেই পুজোর ছুটিতে ওজায়গা ঘুরে আসলাম। বন্ধুবর একটু গপ্পোবাজ গোছের হলেও বর্ণনা শুনে মনে হল, তার কথার সিকিভাগও যদি চাপা হয়, তবে আমাদের মজা ষোলআনা উসুল হতে বাধ্য। খানিক বাদে ছবি দেখেতো সবার চোখ কপালে উঠে গেল, নাহ! ব্যাটা আসলেই বাড়িয়ে বলেনি খুব একটা। এর মাঝে সে বিপদসংকুল যাত্রাপথের রোমহর্ষক ফিরিস্তি ফেঁদে আমাদের উৎসাহে জল ঢালার কোশেশ একেবারে করেনি, তা না। কিন্তু আমাদের তখন আর রোখে কে? অতএব ,মিশন নাফাখুমের পরিকল্পনা চূড়ান্ত, এবার ব্যাকপ্যাক নিয়ে রওনা হওয়ার পালা।

নাফাখুমের নাম এর যে শুনিনি তা নয়। ইতোমধ্যে খানকতক পোস্টও পড়েছিলাম নাফাখুম নিয়ে, তবে নাফাখুমের ঢলটা মূলত শুরু হয় প্রথম আলোর চটকদার নকশা পাতায় বেশ ফলাও করে নাফাখুম অভিযানের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর।এর মধ্যে খবর পেলাম, আমাদের আরো কজন বন্ধু ওখান থেকে ঘুরে এসেছে। আমাদের মূল ট্র্যাকটা হবে এরকম, ঢাকা থেকে বাসে বান্দরবান, বান্দরবান থেকে চাঁদের গাড়িতে থানচি,আর থানচি থেকে নৌকাযোগে আরো ঘন্টা পাঁচেক পরে রেমাক্রিবাজার। এখানেই শেষ নয়, রেমাক্রিবাজার থেকে আবার তিন ঘন্টার হাঁটা পথ পাড়ি দিলে তবেই দেখা মিলবে আরাধ্য নাফাখুমের। তবে সবার কন্ঠে অভিন্ন সুর, যেতে হলে কালক্ষেপণ না করে যাত্রা শুরু করা উচিত, কারণ শুকনো মৌসুমে নাফাখুমের সৌন্দর্য খুব একটা খোলতাই হবেনা, তাই যাওয়ার মজা মাটি হয়ে যেতে পারে। তখন সবে অক্তোবরের শেষ হপ্তা চলছে, কিন্তু কার্তিকের মাঝামাঝি সময়ে মাঝে মাঝেই বৃষ্টি হানা দিয়ে যাচ্ছিল। ঢাকাতেই যখন এ অবস্থা , ধারণা করলাম বান্দরবানের ওদিকে নিশ্চয় দুএক পশলা বর্ষণ হয়েছেই, আর নাফাখুমও শুকিয়ে খটখটে হয়ে যায়নি। তবে সফরের প্রস্তুতি নিতেই শুরুর গেরোটা বাধল। আমাদের দলে তখন বেশ ভিড়ভাড়াক্কা, সবমিলিয়ে ১১ জন এর মাঝেই কবুল বলে ফেলেছে। এর মধ্যে সাঁতার জানে মোটে ৩ জন,(এর মাঝে দুজনকে আবার ছাটাই করে দেওয়া যায়, তারা নাকি কেবল ভেসে থাকতে পারে)। আমরা বাকিরা ডাঙ্গায় নিজেদের তখন নিজেদের বাঘ ভাবতে শুরু করে দিলেও জলে যে রীতিমত কেঁচো, একথা স্বীকার করতে কসুর করিনি। অথচ নাফাখুমজয়ীদের ভাষ্যমতে, সেখানে তিনচারজায়গায় নদী পার হতে হয়, এর মধ্যে একবার পুরোদস্তুর সাঁতার পানিতে। সাব্যস্ত হল, সাঁতারকানাদের জন্য লাইফজ্যাকেট কেনা হবে। এরপরের একদিন এই জীবনজোব্বা জোগাড়ের যন্ত্রণায় পার হল। অনেক হ্যাপার পর, নবাবপুরের এক চিপার ভেতর থেকে সবার জন্য বাহারি লাইফজ্যাকেট কেনা হল। শুরুতে সাঁতারুদের জন্য না কেনার সিদ্ধান্ত হলেও পরে তাদের পৌনঃপুনিক পীড়াপীড়িতে তাদের জন্যেও কেনা হয় (তখন আমরা বুঝতে পারলাম তাদের সাঁতারের দৌড় আসলে কদ্দুর ) । এর মাঝে আমাদের আরেক বন্ধু একদিন দেখি হেলতে দুলতে একটা বিশাল ঔষধের লিস্টি নিয়ে হাজির। আমরা যখন বন্ধুটি কোন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত তা নিয়ে কেচ্ছা ফেঁদে বসছিলাম, তখনই সে বেরসিকের মত বলে বসল, এসব দাওয়াই এবারের অভিযানের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। লিস্টটা ভালমত দেখে পরে আমাদের চক্ষু চড়কগাছ, জ্বর, সর্দি-কাশি,পেটের ব্যামো থেকে শুরু করে মায় ম্যালেরিয়ার ঔষধও সেখানে রয়েছে। পরে অবশ্য এসবের অনেকগুলোই মোক্ষম সময়ে কাজে এসেছিল, তাই আমাদের মেডিকেল অফিসার বন্ধুও কেন ডাক্তারি পড়লনা, তাই নিয়ে বেশ কিছুদিন আফসোসও করেছিল।

এর মাঝে একফাঁকে আমাদের বাসের টিকিটও কেটে ফেলা হয়। আরেকটা দিন যায় সবার জন্য পাহাড়ি পথে চলার পাদুকা আর চওড়া কিনারঅলা টুপি কিনতে। যাত্রার মাহেন্দ্রক্ষণও দেখতে দেখতে ঘনিয়ে আসে। রাতের বাসে ঢাকা ছেড়ে যাব, আর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ভোরের আলো থাকতে থাকতে আমরা বান্দরবান পৌঁছে যাব। তাই কা তব কান্তা বলে আমরা কজন ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো মানুষ বান্দরবানগামী শ্যামলীর বাসে চেপে বসি।

গরীবের ঘরে হাতির পা!

ঢাকা থেকে রওনা দেওয়ার পর যে আশঙ্ককাটা বারবার মনের ভেতর উঁকি মারছিল, সেটা হল রাস্তায় উটকো যানজটের খপ্পরে পড়লে আমাদের প্ল্যানটা একেবারে কেঁচে যাবে, তখন আবার হ্যাপাটাও পোহাতে হবে বিস্তর। এইসব সাতপাঁচ ভাবতে দেখলাম কুমিল্লায় চলে এসেছি। মধ্যরাত্রির পেটপূজো ও তামাকসেবন শেষে আমরা ফের গাড়িতে চড়ে বসি। তবে বরাত ভাল, যে শঙ্কার ভয়ে কাবু হয়ে ছিলাম সেটা আর মোকাবিলা করতে হনি। বেশ নির্বিবাদেই আমরা চট্টগ্রাম পৌঁছে যাই। এখান থেকে আবার আরেক প্রস্থ ঝামেলার পর আমাদের এক বন্ধু যোগ দেয়। সে যাকগে, বান্দরবানে যখন পৌঁছলাম তখন সূর্যের আলো ফুটি ফুটি করছে। তবে বাঁচোয়া এই যে, বাইরে শীতের উপদ্রব ছিলনা খুব একটা, হালকা যা ছিল সেটা আমরা বেশ উপভোগই করছিলাম। ব্যাগট্যাগ নিয়ে আমরা শহরে চলে আসি প্রাতঃরাশটা সেরে ফেলতে। তখন মোটামুটি বাজার সরগরম হতে শুরু করেছে। তবে শহরে একটা চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে সেটা আমাদের চোখ এড়ালোনা। ভাজা ডিম,আর পরোটা দিয়ে একটা জম্পেশ আহারের পর গরম চা , মেজাজটা তখন দারুণ তোফা! হোটেলের ম্যানেজারকে শুধালে উনি একগাল হেসে বললেন, গরীবের রবিনহুড,বস্তিবাসীর নয়নের মণি নাম্বার ওয়ান শাকিব খান নাকি শ্যুটিং করতে সদলবদলে বান্দরবানে হাজির। সেটাই দেখলাম তখন টক অব দ্য টাউন। আমাদের আফসোসও যে একেবারে হয়নি তা বলবনা, এহেন জীবন্ত কিংবদন্তীকে এই পাণ্ডববর্জিত জায়গায় দেখার বড় খায়েশ ছিল। কিন্তু সময়ের সংকটের কারণে ও প্ল্যানে সাময়িকভাবে ইস্তফা দিতে হল।

চন্দ্রশকটে আমরা কজনঃ

নাস্তা শেষে এবারের গন্তব্য থানচি। আমরা সাকুল্যে ছিলাম এগার জন, একটা চাঁদের গাড়ি রিজার্ভ করা হবে এমনটাই ঠিক হল। তখন আমাদের প্ল্যানই ছিল যত দ্রুত সম্ভব রওনা দেওয়া, কারণ মাঝে চিম্বুক-নীলগিরি ইত্যাদি জায়গায় ক্যামেরাবাজির জন্য বেশ কিছু সময় বরাদ্দ রাখতে হবে। কিন্তু আমাদের আরেক বন্ধু বেরসিকের মত সেই প্ল্যানে বাগড়া দিয়ে বসল। যেই আমরা চাঁদের গাড়িতে উঠতে যাব হঠাৎ ও ঘোষণা দিয়ে বসল, প্রকৃতি তাকে ভীষণভাবে ডাকছে, ওই ডাকে সাড়া না দিলেই নয়। পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে আমরা ওকে অনুমতি প্রদান করলাম (বা বলা ভাল, দিতে বাধ্য হলাম)। কিন্তু একি অবস্থা, সে গেলো তো গেলোই, ফেরার আর নামগন্ধ নেই। এদিকে আমরা ঘনঘন ঘড়ি দেখছি আর কুমিল্লায় ঠেসে খাওয়ার জন্য সবাই সবাইকে শাপশাপান্ত করছি। এমন সময় বন্ধু অপেক্ষার পালা সাঙ্গ করে হাজির, শুরুতে বেশ একটা রামধমক দিলেও ওর মুখে অনির্বচনীয় পরিতৃপ্তির হাসি দেখে সে যাত্রায় আর কিছু বললামনা।

চাঁদের গাড়িতে যুত করে চেপে বসার পর শুরু হল আসল মজা। আঁকাবাকা পাহাড়ি রাস্তা, অনেক ওপর থেকে নিচে তাকালে মনে হয় কোন ময়াল সাপ সর্পিল ভঙ্গিতে রোদ পোহাচ্ছে। এর মাঝে ড্রাইভার যেভাবে দক্ষ হাতে গাড়িটা চালিয়ে নিচ্ছিল, তাতে তার এলেমের প্রশংসা করতেই হয়। ওরকম বিটকেলে রাস্তায় এই পথে যে কোন আনকোরা ড্রাইভারই নয়ছয় বাঁধিয়ে ফেলতে পারেন, আর কিছু হলেই একেবারে গিয়ে পড়তে হবে অনেক নিচের খাদে। আমাদের অবশ্য তখন এসব ভাবার ফুরসত ছিলনা, যা দেখছিলাম তাতেই আমরা চোখ বিস্ময়ে ঠিকরে পড়ছিল। এর মাঝে আমরা শৈলপ্রপাতে খানিকক্ষণের জন্য যাত্রাবিরতি করলাম। শৈলপ্রপাত শহর থেকে খুব বেশি দূরে নয়। শান বাঁধানো সিঁড়ি দেখে মালুম হল, এখানে পর্যটকেরা হামেশাই হামলা করে থাকেন। শৈলপ্রপাতের মূল আকর্ষণ বলতে তিরতির করে বয়ে চলা একটি ক্ষীণস্রোতা ঝর্ণা। তখনও আমরা নাফাখুমের মাতাল সৌন্দর্য দেখিনি, তাই ওটাই ছিল আমাদের কাছে মহার্ঘ্য। ঝটপট বেশ কয়েকটা ফটোসেশন শেষে আমরা ফের গাড়িতে চেপে বসলাম। নেক্সট স্টপেজ নীলগিরি, এর আগে আর কোন থামাথামি নেই।

শৈলপ্রপাত-

DSCF0367

DSCF0374

DSCF0364

আঁকাবাঁকা পথেঃ

DSC04485

নীলগিরির বুকেঃ

নীলগিরিতেও হেলিপ্যাড!

DSC00150

নীলগিরির নাম আগেও শুনেছি, সেটা যে সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে একটা রিসর্ট বিশেষ সেটাও জানতাম। গিয়ে দেখলাম জায়গাটা বেশ গমগম করছে, আর বেশ সাজান গোছানো, সবকিছুতেই কেমন যেন যত্নের আতিশায্য স্পষ্ট। এই মগের মুল্লুকে এমন বনেদী ব্যবস্থা দেখে আমার বেশ অস্বস্তি হতে লাগল, তবে ভাগ্য এই যে, এখানে আমাদের থাকার কোন প্ল্যানট্যান ছিলনা (বলা ভাল, আসলে মুরোদ ছিলনা, আপনি জলপাইগোত্রীয় না হলে মোটা টাকা পকেট থেকে খসাতে হবে কিন্তু)। তবে বলতে কসুর নেই, এতকিছুর পরেও জায়গাটা ছবি তোলার জন্য রীতিমত দারুণ। মেঘের দল মনে হচ্ছিল পাশ দিয়ে আলগোছে চলে যাচ্ছে, হাত বাড়ালেই এসে ছুঁয়ে দেবে।অনেক দূরে চিকন ফিতার মত রূপালী নদী আবছা আবছা দেখা যাচ্ছিল, নদীর নামটা অবশ্য সে যাত্রায় আর জানা হলনা। মেঘগুলোকে মনে হচ্ছিল ধোঁয়ার দঙ্গল, হাত দিলেই ধরা দেবে। নীলগিরি অবশ্য সৌখিন পর্যটকদের ভিড়ে সারাবছরই সরগরম থাকে, সামনে গাড়ির বহর দেখে সেখানে যে মানুষ দেদার হানা দেয়, সেটাও বোঝা গেল।

DSC04350

DSCF0475

DSCF0457

ক্যামেরাবাজের অভাব নেই!

DSC04378

আগ্নেয়গিরি বলে ভ্রম হয় নাকি?

DSCF0402

এক নজরে বান্দরবানঃ

DSC04430

নীলগিরির পাট চুকোতে চুকোতে দেখি বেলা অনেকদূর গরিয়ে এসেছে। তখনও থানচি যাওয়ার পথের মেলা দেরি, আমরা কেবলমাত্র অর্ধেকের সামান্য কিছু বেশি পথ পেরিয়েছি। তবে খুব শীঘ্রই বুঝলাম, এ দূরত্বটাও দেখতে না দেখতে খতম হয়ে আসবে। চারপাশে তখন শ্বাসরোধ করা দৃশ্য কেবলই বাড়ছে, আর বাড়ছে আমাদের হল্লা-মাস্তি। এর মাঝে একদুবার দেখি গা কেমন ভিজে ভিজে যাচ্ছে, ভালমত ঠাহর করতে দেখলাম, আমরা আসলে মেঘ ফুঁড়ে এগিয়ে চলছি। এরকম বারকয়েক হালকা ভেজার পর মেঘের দলকে পেছনে ফেলে আমরা ধীরে ধীরে নিচে নামতে শুরু করলাম। তবে সটান নিচে নামা যাকে বলে তা নয়, লাট্টুর মত পাক খেতে খেতে মন্থর গতিতে ড্রাইভার সুকৌশলে নিচের দিকে নেমে যাচ্ছিল। এর মাঝে আমরা পেরিয়ে আসলাম বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাস্তা পিক ৬৯, সামরিক বাহিনী এই দুর্গম দুরতিক্রম্য অঞ্চলে কিভাবে এই অসাধ্য করেছে কে জানে! এভাবে দেখতে দেখতে বলিপাড়াও পেরিয়ে এলাম। এটাও বেশ বড়সড় একটা পাড়া, শুনেছি এদিক দিয়ে নাকি কেওক্রাডং যাওয়ার একটা পথ আছে, তবে সেটা বেশ ঝক্কির,বিপদসংকুলও বটে। দেখতে দেখতে আমরা থানচির কাছাকাছি চলে এলাম। চাঁদের গাড়ির পাট চুকালো বলে।


মন্তব্য

রু [অতিথি] এর ছবি

খুবই সুন্দর বর্ণনা আর ছবি। নাফাখুমের নাম এই প্রথম শুনলাম। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট দেওয়ার জন্য।

অদ্রোহ এর ছবি

এসব জায়গার সৌন্দর্য আসলে ঠিক ছবি দেখে ঠাহর করা যায়না, বাস্তবের সৌন্দর্য আরো অনেক বেশি মনকাড়া। পারলে ঘুরেই আসুন একবার।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

পড়াচোর [অতিথি] এর ছবি

খুব সুন্দর বর্ণনা এবং ছবি । ভালো লাগলো ।

আমার দৌড় থানচি পর্যন্ত । ওখানে একটা আর্মি ক্যাম্পে ছিলাম একরাত।

অদ্রোহ এর ছবি

থানচিতে ছিলেন নাকি? তাহলে তো নাফাখুমে ঢুঁ মারতেই পারতেন।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অতিথি [অতিথি] এর ছবি

আসলে তখন নাফাখুম এর নামই শুনিনি। থানচি যাওয়াটাই অনেক বেশি অ্যাডভেঞ্চার ছিল আমাদের জন্য।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ভাই,
নীলগিরির সুনীল আকাশ আর ঘণ সবুজে ঢাকা পাহাড়ের মতোই মনোমুগ্ধকর আপনার বর্ণনা। শৈলপ্রপাতের স্বচ্ছ জলের মতোই তিয়াস মেটালো এই চাতক মনের। কতই না আনন্দের হতো, যদি আপনাদের সাথে 'ঘর হতে শুধু দুই পা' ফেলতে পারতাম!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অদ্রোহ এর ছবি

রোমেল ভাই, সময়সুযোগ করে চলে আসুন দেশে, ওসব জায়গায় না গেলে মানবজন্মই বৃথা।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

বাউলিয়ানা এর ছবি

দারুন দারুন!!

ভ্রমণ কাহিনি আর ছবি দুটোর জন্যই চলুক

অদ্রোহ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হুম, যেমন বাজে বর্ণনা- তেমনি ধ্যাদ্ধেড়ে গোবিন্দপুর মার্কা একটা জায়গা সফর। তারুপর গুগল মেরে কটা পোস্টকার্ডের ছবি জুড়ে দিয়ে বেশ বাংলার ফাহিয়েন সাজছিস... দেঁতো হাসি

( আর প্রকৃতির অমোঘ আকর্ষণে সাড়া নিশ্চয় তুই-ই দিয়েছিলি, পামর ?? )

...নে নে, বাকতাল্লি ছেড়ে এবার থানচির এঁড়ে আষাঢ়ে গল্পগুলো শোনা।

_________________________________________

সেরিওজা

অদ্রোহ এর ছবি

তবে রে, জেনে রাখিস, শকুনের দোয়ায় গরু থুড়ি মানুষ মরেনা। তোদের মত শত্রুর মুখে ছাই দিয়েই তো দিগ্বিদিক চষে বেড়াচ্ছি, মুহাহা!!

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

কৌস্তুভ এর ছবি

হা হা... লাইক্কর্লাম!

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল্লাগছে

অদ্রোহ এর ছবি

থেঙ্কু।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

ইশতিয়াক এর ছবি

auto

auto

auto

নীলগিরি যেতে যেতে তোলা ছবি। মনে হয় যেন মেঘের দেশে চলে এলাম।

অদ্রোহ এর ছবি

ছবি তো দেখতে পেলামনা। তবে নীলগিরি আসলেই মেঘদের স্বর্গ, হাতের এত কাছে মেঘ, ভাবাই যায়না।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

ইশতিয়াক এর ছবি

বুঝলাম না ছবি কেন দেখা গেল না।

http://www.sachalayatan.com/faq/show/716#q_772 লেখা আছে আপলোড বাটন এর কথা। কিন্তু খুঁজে পেলাম না। উপরের ছবি বাটন থেকে আসা উইন্ডোতে ফেসবুক এর লিংক দিয়েছিলাম।

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

ভ্রমন্থনের জন্য ধন্যবাদ। লেখাটার একটা প্রিন্ট আমার "দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া" ফাইলের উপরের দিকে রেখে দিচ্ছি, যদি কভু সুযোগ হয় যাবার।
ছবিগুলো অদ্ভুত সুন্দর।
-----------
চর্যাপদ

-----------
চর্যাপদ

অদ্রোহ এর ছবি

সাইদ ভাই, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। একদিন না একদিন নিশ্চয় যাবেন, দেশের এত কাছে এত চোখধাঁধানো জায়গা...ভাবাই যায়না। আর ছবিগুলো আমাদের ক্যামেরাবাজ বাহিনীর সম্মিলিত অবদান।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

এনকিদু এর ছবি

খুব সুন্দর লিখেছ, অনেক সময় নিয়ে যত্ন নিয়ে লিখেছ বুঝাই যাচ্ছে।

নীলগিরির যেই হাল দেখলাম কিছুদিন আগে, নীল-ডাস্টবিন-গিরি নাম হতে আর খুব বেশিদিন অপেক্ষা করা লাগবে না। চকলেট, চিপ্স আর সিগারেটের প্যাকেট জমতে শুরু করেছে। প্লাস্টিকের বোতলও দেখলাম প্রচুর পাহাড়ের খাঁজে।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

অদ্রোহ এর ছবি

লেখা ভাল হয়েছে বলছেন? সবাই তো আবার ছবির কথাই বলল কিনা হাসি

নীলগিরি দারুণ জায়গা সন্দেহ নেই, কিন্তু সেটা বোধহয় শুধু সৌখিন ভ্রমণকারীদের জন্যই। আমাদের মত টক্করবাজদের আসলে ঠিক মন টেকেনা। তবে জায়গাটা ভিড়ভাড়াক্কায় ক্রমশ বারোয়ারি হতে চলেছে এটা হলফ করে বলা যায়।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

লেখা - ছবি দুটোই বেশ হাসি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অদ্রোহ এর ছবি

আপনার মন্তব্যটাও বেশ হাসি

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

পাগল মন এর ছবি

বেশ প্রাঞ্জল লেখা আর অসাধারণ সব ছবি।
দেশে ফিরলে যাওয়ার একটা প্ল্যান করবো ইনশাআল্লাহ।
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অদ্রোহ এর ছবি

দেশে ফিরে অবশ্যই যাবেন বৈকি, শুভকামনা রইল অগ্রিম।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

সুরঞ্জনা এর ছবি

ওজায়গা টার ছবি গুলো খুবি ভাল হয়েছে,
আর ভ্রমণবৃত্তান্তও ভাল হয়েছে হাসি

জলপাইগোত্রীয়? চিন্তিত
এ শব্দটাও খুব ভাল হয়েছে দেঁতো হাসি
............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

অদ্রোহ এর ছবি

ভাল ভাল বলে সবকিছুতে পার পাওয়া যাবেনা । মন্দগোছের কিছু পেলে জানান দিতে ভুলবেননা কিন্তু দেঁতো হাসি

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

অদ্রোহ, তুই আরো আরো বেড়া, আরো আরো কাহিনী দে। আমরাও পড়ে পড়ে- মনে মনে তোর সাথে বেড়িয়ে আসি....

ঐশ

অদ্রোহ এর ছবি

আরে এ যে দেখি স্বয়ং কবিবর হাজির...তা মন্তব্য-টন্তব্য করার ফাঁকে খানদুয়েক লেখা ছাড়লেও তো পারেন মশাই।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

চোখ ট্যারা হই গেলরে! পুষ্টে ৫ তারা! ছবিগুলান দেইখ্যা এখনো চউখ সুজা হইতেছে না
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অদ্রোহ এর ছবি

সাইব্বাই, লেখার জন্য ধন্যবাদ দিলে সেটা আমিই না হয় নিতাম মন খারাপ ; আর ছবিগুলোর জন্য পাওনা বাহবা আমাদের ক্যামেরাবাজ বাহিনীকে পৌঁছে দেওয়া হল।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

তিথীডোর এর ছবি

লেখায় চলুক চলুক
ছবিতে ৬.৫/৫! হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অদ্রোহ এর ছবি

অনেক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখা পড়ে আমার তো এখনই ছুট লাগাতে ইচ্ছে করছে.....
ক্যাম্নে কী করি...???
***************************
- মেঘ রোদ্দুর

অদ্রোহ এর ছবি

এটাই কিন্তু ঘোরাঘোরির প্রশস্ত সময়, অতএব দেরি না করে দেন ছুট!

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ভালৈছে।

শিরোনামে মেঘ, - এর পরে একটা স্পেস হবে।

অদ্রোহ এর ছবি

ধইন্যা বদ্দা। শিরোনামে কেঁচে ফেলেছিলাম, ইয়াদ করিয়ে দেওয়ার জন্য আবারো ধইন্যা।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

কৌস্তুভ এর ছবি

উল্‌স্‌ রে! (এইটা ছবি লেখা দুটোর জন্যই)

পরের পর্ব জলদি ছাড়েন।

অদ্রোহ এর ছবি

যেখানেই আছেন ওখানেই গ্যাঁট হয়ে বসে থাকেন, পরের পর্ব এই এলো বলে :D।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

নীলগিরি অসাধারণ
নাম:মুনতাসীম মুনিম মিশু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।