যাত্রীরা হুঁশিয়ারঃ
আগে থেকেই জানতাম, থানচি আদতে একটা থানা। তবে এখানেও আমাদের জন্য বেশ বড়সড় একটা চমকই অপেক্ষা করছিল। চাঁদের গাড়ি থেকে মালপত্র নামিয়ে দেখি, সামনে কোন রিকশা বা ভ্যানের টিকিটিরও দেখা নেই। আচ্ছা মুসিবতে পড়া গেল তো! সামনে এগিয়ে তো বিলকুল কপালে হাত, আমাদের আস্ত একটা নদীই পার হতে হবে, তাও একেবারে দেশি হাতনৌকায়। অবস্থা বেগতিক দেখে আমরা খানিক দোনোমনা করছিলাম কিন্তু খানিক বাদে দেখলাম মানুষজন পিলপিল করে নির্বিবাদে ওই নৌকায়ই পার হচ্ছে। এবার আর গড়িমসির বালাই না করে নৌকায় চড়ে বসলাম। নদীটা অবশ্য ও জায়গায় খুব বেশি চওড়া ছিলনা, তার পার হতে খুব একটা সময় লাগেনি।
যাহা ছিল নিয়ে গেল কাঠের তরী...
দুষ্টু ছেলের দল
বাসস্থান বিড়ম্বনাঃ
থানচি বাজারে গিয়ে এর চেয়েও বড় গ্যাড়াকলে পড়া গেল, গতর রাখার জন্য একটুকরো আশ্রয় এখন কই মেলে? বাজারে খোঁজখবর করে জানলাম এখানে একটা সরকারী বিশ্রামাগার আছে, বরাত ভাল হলে ওটাতেই ঠাঁই মিলতে পারে। বরাতটা আসলে আমাদের একটু বেশি রকমেরই ভাল ছিল, কারণ দৈবক্রমে রেস্টহাউসের কেয়ারটেকারের সাথে আমাদের বাজারেই দেখা হয়ে গেল। তিনি জানালেন, আপাতত রেস্টহাউস ফাঁকাই আছে, আমাদের জন্য তিনটে রুমেরও আশ্বাস দিয়ে দিলেন। আমরা তখন রাতটা যেনতেনপ্রকারে কাটানোর জন্য তৈরি ছিলাম, আর এ যে মেঘ না চাইতেই জল! জলদি মালপত্র রেস্টহাউসে রেখে একটু হাঁফ ছাড়া গেল। ওদিকে পেটের ভেতর ছুঁচোরা তখন ডনবৈঠক করছে। বাজারেই শুনলাম, এই সময়টাতে নাফাখুম প্রত্যাবর্তনকারীদের হারটা খুব বেশি, গত দুদিন নাকি দেদার মানুষ থানচি ছেড়ে গেছে। আর কি অদ্ভুত কাকতাল, সেখানে আবার আমাদেরই জনাকয়েক ভার্সিটিফ্রেন্ডদের সাথে দেখা, ওরা অবশ্য রাতটা থানচিতে কাটাবেনা, দুপুরের খাওয়া সেরেই তিন্দু নামের আরেকটা জায়গায় রওনা দেবে, রাতটা তাদের ওখানেই(তিন্দুতে) কাটানোর খায়েশ।
ঠাঁই মিলেছিল যেথায়ঃ
একরত্তি বাজার
জীবনজোব্বাই জীয়নকাঠি!:
থানচি একদমই একটেরে একটা জায়গা, একটা সরু পাকা রাস্তা বাজারের বুক চিরে চলে গেছে, তারই দুপাশে সব দোকানপাট। বিদ্যুতের জন্য সূর্যদেবই ভরসা, সেটা দিয়েই নৈমিত্তিক প্রয়োজন মেটাতে হয় থানচিবাসীকে। রাজ্যের খিদে নিয়ে আমরা যখন একটা হোটেলে ঢুকে পড়লাম বেলা তখন তিনটা ছুঁই ছুঁই। আমাদের হকিকত ছিল এমনই, ওরকম উটকো সময়ে এসব বিটকেলে জায়গায় যা পাওয়া যায় তাই সই। তাই আন্ডার ঝোলের সাথে কচুর তরকারি দিয়ে গলা পর্যন্ত গিললাম, তবে দামটাও কিন্তু ছিল গলাকাটাই। এরকম আনকোরা স্থানে ট্যুরিস্টদের কিছু মালকড়ি গচ্চা দিতেই হয়, তা ও নিয়ে আর খুব একটা গা করিনি। সে যাকগে, খেয়েদেয়ে এসে এবার আমাদের রোখ চাপল, এই মওকায় আমাদের সাধের লাইফজ্যাকেটগুলো নিয়ে একটু হাত-পা মকশো করা যাক, সুযোগ যখন পেয়েছিই। আমাদের রেস্টহাউস থেকে সামনে এগুলে একটা পুকুর ,জলটাও মনে হল বেশ টলটলে। পারলে তো তখনই লাফ দেই এ অবস্থা। যাই হোক, জীবনজোব্বাগুলো গায়ে চড়িয়ে আমরা নেমে পড়লাম জলকেলিতে। ওইদিন সূর্যের তেজ ছিল দারুণ কড়া, আমরা ঘেমে নেয়ে তখন মোটামুটি সারা। পানিতে নামার সাথে সাথে একটা দুর্দান্তরকম প্রশান্তিতে মনটা ভরে উঠল, আর প্রথমবারের মত পানিতে ভাসার মজা তো ছিলই, হোক সেটা লাইফজ্যাকেটের আনুকূল্যে। কিছুক্ষণ হাস্যকরভাবে বেধড়ক হাত পা ছোঁড়ার পর খেয়াল হল, পুকুরের ওপাশে একটা স্কুল, আর সেই স্কুল থেকে কচি কাঁচার দল আমাদের দিকে পলক না ফেলে তাকিয়ে আছে। বুঝলাম ওদের জন্য কতক মাথাবিগড়ানো তরুণের বালসুলভ জলকেলির এমন দুর্লভ বিনোদন হাতছাড়া করা আসলেই শক্ত। ব্যাপার বুঝে আর বেশি সময়ক্ষেপণ করিনি, ওবেলার মত জলক্রীড়ায় ইস্তফা দিতে হল।
নেটওয়ার্কের বাইরে!
এসবকায়কারবার শেষ করতে করতে বেলা ততক্ষণ অনেকদূর গড়িয়ে পড়েছে। আমাদের শরীরে তখন রাজ্যের ক্লান্তি, তাই বিছানায় শুতে না শুতেই সটান ঘুম। ঘুম ভাঙ্গার পর দেখি বাইরের আলো ক্রমশ ফিকে হয়ে আসছে, সন্ধ্যা হয়ে এল বলে। এখন এক কাপ চা না হলেই নয়। আর আশপাশটা একটু ঘুরে বেড়ালেও মন্দ লাগবেনা। তাই পরের আধাঘন্টায় সবাইকে ঘুম থেকে টেনেহিঁচড়ে তুলে বাজারমুখী হলাম। থানচি বাজার যে নেহায়েতই গরিবী হালের সেটা আগেই আভাস দিয়েছিলাম। তবে ভালমত ঘুরে টের পেলাম, ছোট হলেও মোটামুটি সব ধরনের জিনিসই এখানে সহজলভ্য। আর একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম, থানচির মানুষ বেশ ভাল রকম দেশপ্রেমিকও বটে। এখানে এসে একটা জরুরী ফোন করতে গিয়ে দেখি, গ্রামীণের নেটওয়ার্ক বেমালুম গায়েব। রবি, বাংলালিংক বা ওয়ারিদের (হালের এয়ারটেল) অবস্থাও তথৈবচ। তখন আমাদের মধ্যে একমাত্র টেলিটকধারীর মুখে ষাট ওয়াটের ঝকঝকে হাসি। জানা গেল, এখানে টেলিটকের একচেটিয়া ব্যবসা। দেশের টাকা বাইরে লোপাট হতে না দেওয়ার জন্য থানচিবাসীকে একটা ধন্যবাদ তাই দেওয়াই যায়।
ভোরের থানচি
সূয্যিমামা ওঠার আগে উঠব আমি জেগেঃ
এবার তবে উপায়?:
মুশকিলটা শুরু হল আসলে ঠিক এরপর। আমামদের পরদিন ভোরেই থানচি থেকে রেমাক্রিবাজার যাওয়ার প্ল্যান, তাই নৌকা ঠিক করে ফেলা তখন আশু দরকার। হাতে বিকল্প ছিল দুটি, বৈঠা নৌকা আর ইঞ্জিনচালিত নৌকা। বৈঠা নৌকার অসুবিধে হল সময়টা লাগবে অনেক বেশি, অয়ার উল্টোপিঠে সুবিধা এই, ইঞ্জিনের কর্ণবিদারী ঘ্যাড়ঘেড়ে আওয়াজ থেকে নিস্তার মিলবে। খরচের দিক দিয়েও বৈঠা নৌকাই সাশ্রয়ী ছিল। তো সাতপাঁচ ভেবে আমরা বৈঠা নৌকার পক্ষেই রায় দিলাম। প্ল্যান তো ঠিক হল, এবার কার্যোদ্ধারের পালা। বাজার চষে বেড়িয়ে একজন মাঝি ঠিক করে ফেলা হল, তিনি আশ্বাস দিলেন দুটো নৌকাতেই আমাদের কাজ চলে যাবে, আর ভাড়াটাও আমাদের নাগালের মধ্যেই। এসব যোগাড়যন্তর করতে করতে নৈশভজের সময় হয়ে এল। লইট্টা মাছ আর শুটকির তরকারি দিয়ে আহার শেষে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি, তখন নয়টাও বাজেনি। ওদিকে থানচি তখনই বেশ শুনশান হয়ে পড়েছে, আমাদের রেস্টহাউজেও কেমন এক ধরনের ভূতুড়ে নিস্তব্ধতা। একজন প্রস্তাব দিল, চল, ছাদ থেকে খানিক ঘুরে আসি। ছাদটাও দিব্যি খোলামেলা, আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি, অগুণিত তারাদের মেলা বসেছে। ইটকাঠের জঞ্জালে তারা দেখার আসল মজা কখনোই ঠিকমত পাইনি, একসাথে এত তারা দেখে আমাদের নবিশ চোখ তাই আদপেই টেঁসে গিয়েছিল।
সাঙ্গু নদীর তীরেঃ
সহস্র সারসঃ
সার বাঁধা নৌকাঃ
ও মাঝি নাও ছাইড়া দে...:
আড্ডা মারতে মারতে তখন ঘন্টাদুয়েক পেরিয়ে গেছে। ঘড়ির কাঁটা বারটা ছুঁই ছুঁই। পরেরদিন খুব ভোরে উঠতে না পারলে সারাদিনের প্ল্যান মাটি, তাই আড্ডার পাট ওখানেই চুকিয়ে দিয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়লাম। পরদিন সকালে টের পেলাম, শেষরাতের দিকে ভালই একপশলা বাদলা হয়েছে, সবকিছু আর ঝকঝক করছে। কিন্তু এই উটকো বৃষ্টির জন্য খানিক বাদেই যে আমাদের হাপিত্যেশ করতে হবে সেটা আমরা কস্মিনকালেও ভাবিনি। চটজলদি মালপত্র গুছিয়ে যখন নাস্তা করতে বের হব, তখন আমাদের মাঝি দিল আচমকা দুঃসংবাদ। আগের রাতের উটকো বৃষ্টিতে নদীর পানি নাকি বেশ বেড়ে গেছে, তাই দুজন মাঝির একজন নিমরাজি থাকলেও আরেকজন ধনুকভাঙ্গা পণ করেছে, সে যাবেইনা। ব্যাপার শুনে আমাদের মাথায় হাত। খোঁজ নিয়ে জানলাম, নদীর বেশ ক জায়গায় আমাদের খাড়া চড়াই এর মত পার হতে হবে, তাই হাত নৌকা নিয়ে গেলে সাড়ে সর্বনাশ হতে পারে। এখন মুশকিল আসান করতে আমাদের মাথার চুল ছেঁড়ার উপক্রম। বেমক্কা এখন নতুন নৌকা পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম, যাত্রা্টাও এভাবে অকালে মাঠে( পড়ুন থানচিতে) মারা যায় কিনা সেটা ভেবে আমরা তখন জেরবার। এমন সময় খবর পেলাম একটা ইঞ্জিননৌকা ফাঁকা আছে, কিন্তু মওকা পেয়ে তারা দামটাও হাঁকালো ভালই। আমাদের ধড়ে অবশ্য ততক্ষণে প্রাণ ফিরে এসেছে, তাই মুলোমুলির ভাবনা ঝেড়ে ফেলে ওটাতেই চেপে বসলাম। এদিকে লাগল আরেকটা কেলো, আমাদের থানচির বিডিআর চেকপোস্ট থেকে অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি নেওয়ার হ্যাপাও অনেক, সবার নামধাম ঠিকানা দিতে দিতে অনেক সময়ক্ষেপণ হয়ে গেল।কাকভোরে রওনা দেওয়ার কথা থাকলেও দেখতে দেখতে বেলাও গড়িয়ে গেল অনেক। অবশেষে সকাল আটটা নাগাদ আমরা এগার জন ইঞ্জিননৌকায় সওয়ার হয়ে থানচি ছেড়ে গেলাম। এবারের গন্তব্য রেমাক্রিবাজার।
মন্তব্য
এমন লোভে ফেলে দিচ্ছেন দাদা!!! দেখি যখন হাতে অবসর থাকবে, বেরিয়ে পড়বো।
আপনার বর্ননা অসাধারণ।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
লজ্জায় ফেলেন দিলেন দাদা, আপনার মত চরকিবাজ হতে পারলে আর কিছু চাইতামনা।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
চরকিবাজ আর হতে পারলাম কই! ব্যাটারি আছে কিন্তু বেশিক্ষণ চার্জ থাকেনা।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নেক্সট টাইম যেখানেই যাবি, আমারে নক করবি।
আমিও যামু তোগো লোগে
---আশফাক আহমেদ
হ, আমারে জম্পেশ একটা ভেট দিলে বিবেচনা করতে পারি
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আগের পর্বে ঢুঁ মারতে...
মেঘ, নদী আর পাহাড়ের দেশে-১
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
তিন নাম্বার ছবির পিচ্চিটাতো ব্যাপক! পছন্দ হয়ে গেসে! ভোরের থানচির ছবি খুব সুন্দর।
থানচি আসলে একদমই ছোট একটা জায়গা, দেখবার মত খুব বেশি কিছু নেই। তবে চোখ থাকলে যে মেলাকিছু দেখা যায়, তা তো দেখলেনই
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
তোমার লিখা ছবি তোফা তোফা ভাই।
সুয্যি মামা জাগার আগে ... ... এই ছবিটা এত্ত সুন্দর। এইটা কি একটু এডিট করা ?
সাত্যকি
একটা কানাকানি কথাঃ সচল হাচল মিলিয়ে এইখানে আমাদের ব্যাচের কোন কোন বুয়েটিয়ান আসামী আছে একটু বলে দাও তো ভাই। আমি তো যেদিকে তাকাই দেখি খালি মেকাবুয়েটিদের সচল দৌড়াত্ব
ছবির প্রশংসা পু্রোটাই আমাদের ফটোগ্রাফার বাহিনীর পাওনা, পরে সব সবিস্তারে বলব খন। য়ার ভোরের ছবিটা হালকা পরিমার্জিত তো বটেই।
একটা জিনিস খেয়াল করেছ কিনা জানিনা, পরীক্ষা দোরগোড়ায় আসলে আমাদের পোস্টানোর ভূতে চাপে। তাই এই সময় একটু চোখকান খোলা রাখলে বুয়েটিয়ানদের ঘ্রাণ টের পাওয়া যায় । তবে সব মিলে গোটা ্পাঁচেক "ক্যানভাসা্র" তো আছে বটেই।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ভালো লাগসে। দ্বিতীয় দুষ্টু ছেলের ছবিটাতো জোম্বির মত আসছে।
সাঙ্গু নদী দেক্সিলাম একদম ছোটবেলায়। এই নদীর পানি অনেক কমে গেসে মনে হচ্ছে ছবিটা দেখে।
সবচে ভালো ছবি লাগসে সুয্যি মামারটা।
_________________________________________
সেরিওজা
সাঙ্গু নদী দেকেচিস, তবে তো তুই মেলা কিছু দেকে ফেলেচিস রে, তোকে যতটা নিরামিষ ভেবেচিলাম ততটা নোস দেকচি
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
বকের সারির ছবিটা দারুণ!
আপনার ভ্রমন্থন পড়ে মুগ্ধ! এক্ষুনি ব্যাকপ্যাক নিয়ে রওনা হতে চাই!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
রওনা দিয়ে দেন, শুভকাজে দেরি করতে নেই।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
তোফা!!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
থেঙ্কু আফা!!
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
বাঃ বেশ বেশ, এই তো পরের পর্ব দিয়ে ফেলেছেন। আচ্ছা, তিন নম্বর ছবিতে ওটা আপনি?
জ্বি হাঁ কৌস্তুভদা, ওটাই অদ্রোহ। আমার ব্যাচমেট, আমি ভালমতোন চিনি।
(অদ্রোহ অবিশ্যি কিছুতেই স্বীকার করতে চাইবে না, দেখে নিয়েন)
সাত্যকি
আমার আবার এটতু প্রাচীনপন্থী স্বভাব আছে, আগেকার আমলের ফার্স্ট ক্লাস, সেকেন্ড ক্লাসের মত সবকিছু নিচ থেকে গুণতেই ভালবাসি। তা নিচ থেকে তিন নম্বর ছবিতে তো কাউকে দেখলামনা?
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ওইসব ভুজুংভাজুং-এর চেষ্টায় আর লাভ নেই, আমার প্রশ্নের উত্তর এক সহৃদয় ব্যক্তি দিয়েই দিয়েছেন...
আপনাকে তো ভাল মানুষ বলেই জানতুম, সেই জানাটা দেখছি ভুল ছিল
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
এই অঞ্চলে যাওন যে কবে ঘটন হইবো আল্লায় জানে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আর কত ওপরওয়ালার উপ্রে ভরসা করবেন, এবার মালপত্র গোছান, এখনো সময় আছে।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
দারুণ লাগলো...মেঘ, নদী আর পাহাড় আমার অল টাইম ফেভারিট
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমাকেও সাগরের চেয়ে পাহাড়ই কেন জানি বেশি টানে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ, তাসনীম ভাই।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
৩ নম্বর ছবিটা ব্যপক পছন্দ হলো, পুরাই মাড বাথ! হে হে হে!
ভোরের থানচির ছবিটাও।
আর বাজারের ছবিটা বিশেষ করে ভালো লেগেছে। কী সুন্দর ছোট্ট, নিড়িবিলি। আমি যখন বড় হব, কাজকর্ম ছেড়ে ছুড়ে পথে পেড়িয়ে পড়ব, তখন ঐ বাজারে অনেকদিন চুপ করে বসে থাকব, বসে বসে বাজারের মানুষদেরকে দেখব, চুপচাপ, দিনের পর দিন, তারপর আবার বেড়িয়ে পড়ব, আরেকটা নদী, পাহাড় আর বাজারের উদ্দেশ্যে...
সত্যি, একদিন আমিও...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কি আশ্চর্য, এমনতরো খায়েশ আমারো অনেকদিনের। আমাদের গ্রামের বাড়ির বাজারটাও ঠিক এমনই, ছোট্ট, ছিমছাম, সেখানে হল্লা আছে, কিন্তু হট্টগোলের বাহুল্য নেই, প্রাণ আছে, কিন্তু তাতেও বাহুল্যের আড়ম্বর নেই। থাওনচির বাজারটাও অনেকটা ওই রকমই।
আর দেরি না করে এবার ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন, নইলে নিকের মাহাত্ম্য আর রইল কোথায় বলুন
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
তোর সাথে যখন কথা বলি, তখন মনে হয় তুই আমার মতই একটা ক্ষ্যাত :D। কিন্তু তোর লেখা, তোর সাবলীল বর্ননা যখন যখন পড়ি তখন আমি আসলেই খুবই অসহায়, একাকী হয়ে যাই।তুই কি তোর সব শেয়ানামি লেখালেখির জন্যই জমিয়ে রাখিস নাকিরে?
তোকে আবারো বলছি, আরো বেড়া, আরো লেখা দে। দরকার হলে পলাশীর মোড় কিম্বা চাঙ্খারপুল ঘুরে এসেও একটা লেখা দিস, তোর বর্ননায় আমার সেটাও পড়তে ভাল লাগবে
ঐশ
ঠাকুর ঘরে কে রে,আমি কলা খাইনা...স্টক থেকে এবার রয়েসয়ে বের না করে একটু মুক্তহস্ত হতেও তো পারিস, নাকি?
আর বর্ণনা নিয়ে এতটা উচ্চকন্ঠ না হলেও বোধহয় চলে, তোর নিজেরটার ব্যাপারে আমার ধারণার কথা নাই বা বললাম।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ঐশ দেখা যায় ব্যাপকই বিনয়ী।
_________________________________________
সেরিওজা
দুর্দান্ত লাগলো অদ্রোহ ভাই! পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এসব অপেক্ষার কথা বলে শুধু শুধু শরম দেন ক্যান দাদা? চোখে পড়েছে, তাই পড়েছেন...ব্যস
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
থানচি গিয়েছি।নাফাখুম যেতে পারি নি।
নাম:মুনতাসীম মুনিম মিশু
আহা, মক্কায় এসে হজ্ব না করে চলে গেলেন, আফশোশ!
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
একটা ক্ষ্যাত টাইপের প্রশ্ন করি, থানচি থেকে রেমাক্রিবাজার যাওয়ার নৌকা ভাড়া কত?? বৈঠা নৌকা আর ইঞ্জিন নৌকা দুটোর কথাই জানতে চাচ্ছি...
আর, রাতে থাকার জন্য থানচি ভাল জায়গা, নাকি তিন্দু?
আসলেই, বান্দরবানে রাতের আকাশের দিকে তাকালে কয়েকবার করে ধাক্কা খেতে হয়।
সুন্দর বর্ণনা, সুন্দর ছবি। ধন্যবাদ অদ্রোহ।
দৃপ্র
হাত নৌকা ভাড়া ইঞ্জিন নৌকার চেয়ে কমই, আমাদের দুটো নৌকার ভাড়া ঠিক হয়েছিল ৬৫০০ টাকার মত(আসা যাওয়া সব মিলেই), তবে মুলোমুলি করাটা অবশ্য কর্তব্য। ইঞ্জিননৌকার ভাড়া কিছুটা বেশি , অবশ্য এই নৌকায় বড় গ্রুপের সংকুলান ভালভাবেই হয়, একটি হাতনৌকায় সর্বোচ্চ ৬ জন ধরে, আর ইঞ্জিননৌকায় দশ-এগারজন নির্বিবাদে এঁটে যায়।
থাকার জন্য থানচি রেস্টহাউস বেশ ভাল, চার-পাঁচটি কক্ষ আছে, ভাড়াও হাতের নাগালে। এখানে ঠাঁই না হলে বাজারে গেলে থাকবার একটা ব্যবস্থা হতে পারে। তিন্দুতে আমরা থাকিনি, তাই ওটা নিশ্চিতভাবে বলতে পারবনা। তবে যতটুকু জানি, থানচির চেয়ে ভাল হওয়ার কথা নয়।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
নতুন মন্তব্য করুন