গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়ার হ্যাপা এতদিন কেবলই শুনেছি, তবে রেমাক্রিবাজারে এসে সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। সামনে বেশ উঁচুমতন একটা টিলা, ওটার নিচে ইঞ্জিন নৌকা আমাদের নামিয়ে দিল। এবার তো একগাদা মালপত্তর নিয়ে ঐ পাহাড় টপকাতে হবে, ভাবতেই মন খানিকটা দমে গেল। কালঘাম ছুটিয়ে আমরা যখন পাহাড়ের ওপরে ইউএন্ডিপির রেস্টহাউজে পৌঁছে কুকুরের মত জিভ বের করে হাপাচ্ছি, তখন মেজাজটা দ্বিতীয় দফায় খিঁচড়ে গেল। রেস্টহাউজে একটাই বেশ বড়সড় কক্ষ, তবে সেটা থানচিতে সাক্ষাত হওয়া আমাদের আরেক বন্ধুদের কব্জায় তখন। এখন উপায়? খোঁজ নেওয়ার জন্য আমরা কজন চললাম বাজারের দিকে। সেখানেও অবস্থা তথৈবচ, ঠা ঠা রোদ্দুরের পড়ন্ত দুপুরে সেখানে খুব একটা জনমনিষ্যির পাত্তা দেখলামনা। তবে বাজারটা যতটা ছোট মনে করেছিলাম, ততটা ফেলনা নয় মোটেই। বেশ বড় খোলামেলা একটা জায়গা, চারদিকে বেশ কিছু দোকান। বরাতটা অবশ্য বেশ ভালই বলতে হবে, শেষ পর্যন্ত থাকার একটা বুদ্ধি মিলে গেল। রেস্টহাউজের বারান্দাটা পুরোটাই কাঠের, সেখানেই চাদর বিছিয়ে একরাত দিব্যি পার করে দেওয়া যাবে। শেষমেশ এক রেস্টহাউইজেই আমরা একই ভার্সিটির উনিশজন ব্যাচমেট, কাকতালটা বেশ জবরদস্ত বলতেই হবে। এর মাঝে নৌকায় উদরপুর্তির জন্য বরাদ্দকৃত চিড়ে-কলা তখনো পুরোপুরি সাবাড় করতে পারিনি, শির হল দুপুরে আর কিছু না খেয়ে সেটা দিয়েই চালিয়ে দেওয়া হবে। সবাই তখন টানা ছ ঘন্টার দুর্ধর্ষ জার্নি বাই বোটের পর রীতিমত জেরবার, ঐ কাঠের মেঝেতেই চাদর বিছিয়েই সটান শুয়ে পড়লাম। এই করতে করতে বিকেল গড়িয়ে গেল।
রেমাক্রিবাজারের রেস্টহাউজ...
বারান্দানির্বাসন...
রেমাক্রিবাজারে কোন মোবাইল নেটওয়ার্কের প্রশ্নই ওঠেনা, তবে একেবারেই পাণ্ডববর্জিত বলতে একটু ভুল হবে। রেস্টহাউজের পেছনে একটা বিডিয়ার ক্যাম্প, সেখানে গিয়ে আমাদের উপস্থিতি জানান দিতে হল। এই দুর্গম স্থানে একদুদিনের জন্য আসাটা আমাদের জন্য অ্যাডভেঞ্চারের দারুণ মওকা হতে পারে, কিন্তু মাসের পর মাস সবকিছু থেকে সংশ্রবহীন অবস্থায় এখানে দায়িত্বব্রত পালনের তাগিদে পড়ে থাকা যে সহজ কম্মো নয়, সেটা ওই দশায় খানিকটা হলেও ঠাহর করতে পেরেছিলাম। তবে সুবিধা এই যে, যোগাযোগের জন্য হেলিকপ্টারের সাহায্য নেওয়া যায়, খানিক বাদেই দেখলাম আমাদের সামনেই একটা কপ্টার সশব্দে উড়ে গেল।
আগেই টের পেয়েছিলাম, এখানে রাতের খাওয়াটা বেশ আগেই সেরে ফেলতে হপবে। সে অনুযায়ী বাজারে বিলিব্যবস্থাও করে ফেলেছিলাম। খাবারের আইটেম বলতে কেবল সেদ্ধ আন্ডা, তার সাথে মসুরের ডাল, আর পাহাড়ী চালের লালচে ভাত। তবে স্থান-কাল-হাতযশ গুণে সেটাই আমরা গোগ্রাসে গিললাম, এবং বেশ তৃপ্তি করেই খেলাম। খেয়েদেয়ে হাতঘড়িতে দেখি মোটে রাত আটটা, অথচ ইলেকট্রিসিটিবিহীন রেস্টহাউজে আমাদের সামনে গোটা রাত পড়ে আছে। শুরু হল ম্যারাথন আড্ডা। এবারও স্থান-কালের একটা প্রভাব প্রচ্ছন্ন তো ছিলই, তা না হলে আদিরসাত্মুক রসরসিকতার ধার না ধেরে আড্ডাটাই বা খুব দ্রুত আধিভৌতিক গপ্পোর দিকে মোড় নেবেই বা কেন? সবাই নিজের থলি থেকে যতসব অদ্ভুতূড়ে কাহিনি ফেঁদে বসতে লাগল। বাইরে ঘুটঘুটে আঁধার, কেমন যেন একধরনের অপার্থিব নৈঃশব্দ, তারওপর গোটা রাতটাও কাটাতে হবে রেস্টহাউজের বারান্দায়,সব মিলিয়ে আমাদের কজনের গা যে একেবারেই ছমছম করেনি, বললে ভুল হবে। এমনকি দু একজন তো কুকুরের ডাক শুনেই সেটাকে কোন অভিশপ্ত প্রেতাত্মার আর্তনাদ বলে রায় দিয়ে ফেলল। যাই হোক, মেলাক্ষণ আড্ডা শেষে মুখে হাতে কষে মশকরোধী ওডোমস মেখে আমরা ঘুমুতে গেলাম।
রেমাক্রিবাজার...
পরদিন সকালে আমাদের এক বন্ধু শুধাল, দোস্ত, কাল রাতে বৃষ্টি পড়েছে নাকি? বন্ধুবর কোনদিন গঞ্জিকা সেবন করেছে বলে জানা নেই, তারপরও আমরা এক নিমিষে তাকে গাঁজাখোর বানিয়ে দিলাম। চারদিক শুকনো খটখট করছে, এর মধ্যে আবার বৃষ্টি আসবে কোত্থেকে? ওদিকে বন্ধু তো নাছোড়বান্দা, নাহ! কানের কাছে আমি বিষ্টি পড়ার আওয়াজ শুনেছিই, কোন ভুল নেই। আমরা পড়ে গেলাম ফাঁপড়ে। ঘটনা কী তবে? খানিক বাদেই ফাঁস হল গোমর। মাঝরাত্তিরে আরেক বন্ধুকে প্রকৃতি বেমক্কা ভীষণভাবে ডাক দেয়, কিন্তু ভূতের গল্প টল্প শুনে সে আর কিছুতেই নিচে নামার সাহস করতে পারেনা। শেষমেশ নচ্ছারটা ওই বারান্দা থেকেই আরেকজনের গায়ের ওপর দিয়ে কম্ম কাবার করে ফেলে। আর সেই শব্দকেই বন্ধুপ্রবর আধো ঘুমের ঘোরে বৃষ্টি বলে ঠাউরে নেয়। বুঝুন ব্যাপার!
ভোরের সাঙ্গু
পরের দিনটা এবারের সফরের সবচে গুরুত্বপূর্ন দিন, যাকে বলে গোল অফ দ্য জার্নি, সেই বহুল প্রতীক্ষিত বহুলশ্রুত নাফাখুম যাত্রা। খুব সকাল বেলা উঠে ভালমত পয়-পরিষ্কার হয়ে নিলাম। সামনে আট কিলোর মত হেঁটে পার হতে হবে, ফলে পেটে কিছু দানাপানি না পড়লেই নয়। এই কিম্ভুত স্থানে সকালে কি পাওয়া যাবে কে জানে? তবে ভাগ্যের কথা, চিড়ে কলা এখানে সুলভ, সেটা পেটে পুরলে আপাতত ভাবনার একটা সুরাহা করা যায়। চিড়ে কলা তো পেলামই, খেলামও আচ্ছাসে, তবে উপরি হিসেবে পেলাম বিনিভাত( এই জিনিসটা চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রচলিত একটা খাবার, চালকে খানিকটা ফার্মেন্টাইজ করে এটা তৈরি করা হয়, তাই এটা খেয়ে খানিকটা তন্দ্রার ভাব আসেই।) বিনিভাতের রান্নাও দেখলাম দারুণ সুস্বাদু, সবাই অবশ্য চেখে দেখার সাহস করলনা, তবে আমরা বেশ ভালই খেলাম। ওদিকে আমাদের সাথে ঢাকা ভার্সিটির আরেক গ্রুপও জুটে গেল। দুজন পাহাড়ী গাইডের বন্দোবস্তও করে ফেলা হয়েছে, তাদের দেখানো পথেই আমাদের নাফাখুম যেতে হবে। সামনের লম্বা পথের সবরকম রসদই মজুত। তাই ভোর থাকতে থাকতেই আমাদের ছাব্বিশ জনের বিশাল বহর রেমাক্রিবাজার থেকে বেরিয়ে পড়লাম। সামনে নাফাখুমের হাতছানি।
মন্তব্য
বেশ লাগছে ভাই। কিন্তু নাফখুমের জন্যে যে আর তর সইছে না। তাড়াতাড়ি!!!
আপনি কি উইএনডিপির গেষ্ট হাউসের কথা বলছেন? ওরা ওখানে করে কি?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
গুরুতর প্রমাদ হয়ে গেল দেখছি। যাকগে, ওটা আসলে ইউনিসেফ, অ্যাকশন এইডের সাহায্যার্থে নির্মিত। তবে ও জায়গায় ওরা কাজটা কি সেটা আমারও প্রশ্ন।
আর নাফাখুম আসছে অচিরেই, একটু সবুর করুন
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ভাই আমার কি যে কন আর না কন! ম্যান ইজ মর্টাল অর্থাৎ মানুষ মাত্রই ভূলশীল।
যাক, ইউনিসেফ এবং এ্যাকশনএইড, দুই জায়গায়ই বিগ শট বন্ধুরা আছে। জেনে ভালো হলো। যখন যাবো, হয়তো বুকিং দিয়ে যেতে পারবো।
অ.প্রা. এইমাত্র এ্যাকশনএইড পাকিস্তানের কান্ট্রি ডিরেক্টরের বাসা থেকে আসলাম। আমি আর আমার বাঙালি বন্ধু পাভেল। সে এ্যাকশানএইডের একজন এ্যাডভাইজার ফর এশিয়া।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমরা অবশ্য আগে থাকতে এটা জেনে যাইনি, অন্তত যদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ না পেরুচ্ছি তদ্দিন "যেখানেই রাত, সেখানেই কাত" নীতি মেনে চলছি। তাই থাকা-খাওয়া নিয়ে দুর্ভাবনার বালাই নেই। তবে আপনার ভাগ্যকে এখন না হলেও , বছরকয়েক পর হিংসা হলেও হতে পারে ।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
এইবার মরার শীত না পড়লে ঠিকই নাফাখুম ঘুরে আসতুম
---আশফাক আহমেদ
এই শীতে নাফাখুম শুকিয়ে খটখটে, নাফাখুম যাওয়ার আদর্শ সময় বর্ষার শেষভাগ। তদ্দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করাটাই ভাল।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ছবিগুলো তেমন ভালো আসেনি। লেখাটাও তেমন জমাটি হয়নি, অন্তত এ সিরিজের প্রথম পর্বগুলোর মতো নয়। যাগগে, পরের পর্বে পুষিয়ে দেবেন এ আশায় থাকলাম।
কুটুমবাড়ি
এই পর্বটাকে বলা যেতে পারে ট্রানজিশন পার্ট অফ দ্য জার্নি। সামনে পর্বে তাই সুদেমূলে পুষিয়ে দেওয়ার আশা রাখি।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
টেস্ট।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
বদ্দা, এইবার পার্বতী প্রমিলাদের রুপসৌন্দর্যের স্বরুপ সমাহৃত, শ্রীযুক্ত আদিরসাশ্রিত, বলিষ্ঠ বাণিজ্য-সৌরভ সমাঘ্রাত একখান 'অদ্রোহীয়' রচনা রচিয়া ফাটাইয়া দাও। শুধু কি প্রাকৃতিক শোভাই গিলিব, প্রকৃতিতে লুক্কায়িত এইসব অতিপ্রাকৃতিকতাই বা কেন বাদ থাকিবে।
ধৈবত
বদ্দা, পার্বত্য রমণীদের সমভিব্যাহারে গমন করিবার আকাঙ্ক্ষা যে একেবারেই ছিলনা, তাহা কিন্তু নয়। তবে অচিরেই বুঝিতে পারিয়াছিলাম এ আশা আদপে নিতান্তই দুরাশা। অতএব, এ প্রত্যাশায় ইস্তফা দেওয়াই শ্রেয়।
যাই হোক, ধৈবতের পরবর্তী লেখার জন্য অপেক্ষায় রহিলাম।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আদিরসাশ্র্রিত যৌনবিহারবর্ণনা বড়ই ভালু পাই। তবে পার্বত্য রমণীকূল নিদারুন সরলা। যৌনচিন্তা অপ্রকট। ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা যৎকিঞ্চিৎ তথাপি অগ্রজ বান্ধবগণ কহেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমার দেশের রূপ কতই না সুন্দর! মনকাড়া বর্ণনা ও চোখকাড়া স্থিরচিত্র! চমৎকার চমৎকার!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
পড়ার জন্য অজস্র ধন্যবাদ রোমেল ভাই, সামনেও আপনাকে পাঠক হিসেবে পাওয়ার আশা রাখি।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
এই পর্ব একটু তাড়াহুড়ায় লেখা হয়েছে বোঝা যায়। অপেক্ষাকৃত সাদামাটা হয়েছে। পরীক্ষার মাঝে কী আর ভ্রমণকাহিনী গতি পায়...
যাক- নাফাখুমের বর্ণনাটা জমিয়ে দিস।
এই পর্বেই নাফাখুমের কথা লিখে ফেলতে পারতুম, তখন পোস্টটা ডাইনোসরাকৃতি ধারণ করতো আরকি। আর, পরীক্ষা একটা ভ্রান্ত ধারমা।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
এই পর্বে সেই টান টান উত্তেজনা্র স্বাদ পেলাম না। তবু লেখা, ছবি ভাল লাগল।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হুম, পর্বটা কলেবরে-রসে বেশি জমাটি হয়নি, পরেরটাতে সেটা পাবেন আশা রাখি। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
সেদিন এক বন্ধুর ভ্রমণাভিজ্ঞতা শুনলাম নাফাখুমের। যাওয়ার ইচ্ছেটা এখন প্রবল।
পান্থদা, এখন অনেকেই তো সেখানে যাচ্ছে। তবে ঠিক এ মৌসুমে না যাওয়াটাই ভাল মনে হয়। সবচেয়ে ভাল হয় বর্ষার শেষ সময়ের দিকে গেলে।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
দিলেন্না তো ভিসাটা, এখন আবার দেখিয়ে দেখিয়ে ভ্রমণানন্দের গল্প শোনাচ্ছেন?
ব্যাপারখানা আগেই জানতুম, সে যাকগে, আজ না হলেও পরেরবারব নিশ্চয় আসা হবে। আপনার কাছ থেকে সম্ভাব্যতার দীক্ষা নিতে হবেনা ?
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ভাল্লাগছে! পরেরটা তাত্তারি চাই!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হ, সবুর করেন, একদিন না একদিন মেওয়া ফলবই ।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ওটা মধুভাত। বিন্নি চালের ভাত আঠালো হয় (চট্টগ্রামে বলে 'হচাল')। এবং, ওটা ফার্মেন্টেড নহে, বৎস। আর, ইয়ে, নবরসের প্রথমটি নিয়ে কিসব যেন বলা হচ্ছিল??? মা-বাবা জানেন তো?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
এইবেলা মনে পড়ল, ওটা বেশ আঁঠালো ছিল, তাই বিনিভাতই ছিল বলে মালুম হয়। মধুভাতের সাথে গুবলেট হয়ে গেছে আর কি। এই হচ্ছে মেলাদিন চাঁটগানির্বাসনের ফল, নাহ, এবার গিয়েই দুটো বস্তুই চেখেচুখে আসতে হবে দেখছি।
আর ইয়ে, এখানে খামাখা গুরুজনদের টেনে একটা অকারণ হেজিমোনি তৈরির পাঁয়তারাকে তীব্র ধিক্কার জানালাম ।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
নতুন মন্তব্য করুন