১.
কতই বা বয়েস, এর চেয়ে ঢের বুড়ো খেলোয়াড়ারদের(এই মুহুর্তে চট করে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের রায়ান গিগসের নামটাই মাথায় আসল) মাঠ দাপিয়ে বেড়ানোর এন্তার রেকর্ড আছে। তবে দীর্ঘদিন বিষফোঁড়া হয়ে থাকা ইনজুরির সাথে শেষমেশ হার মানতে বাধ্য হলেন তিনি। মাত্র চৌত্রিশ বয়েসেই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, ঢের হয়েছে, এইবার বুটজোড়া তুলে না রাখলেই নয়। আর কখনো ফুটবল মাঠে ডিফেন্ডারদের তুর্কি নাচন নাচাবেননা তিনি। আদিওস...রোনালদো লুইস নাজারিও দে লিমা, আমাদের প্রজন্মের সবচেয়ে দুর্দান্ত স্ট্রাইকারটিকে আর কখনো মাঠে দেখা যাবেনা।
২.
তখনও ফুটবলের সাথে গাঁটছড়া অতটা মজবুত হয়নি, ইউরোপিয়ান লীগে মজে থাকার সময়টা এসেছিল আরো পরে। পত্রিকা মারফতই খবর যা একটু রাখা হত। সে সময়টাও বেশ আগের, তখন প্রাইমারি স্কুলের চৌকাঠ পার হইনি। এমন সময় শুরু হয়ে গেল বিশ্বকাপ ফুটবল। ফ্রান্সে অনুষ্ঠেয় ওই আসরের শুরু থেকেই টেকো মাথার দোহারা গড়নের এক খেলোয়াড় নিজের জাত চিনিয়ে দিচ্ছিল। ব্রাজিল সমর্থকদের চোখের মনিতে পরিণত হতেও খুব বেশি সময় লাগলনা। ক্ষিপ্রগতির সাথে পেনাল্টি বক্সে দুর্দান্ত ফিনিশিং এর কারণে বাকিদের থেকে সহজেই তাকে আলাদা করে যেত। এর মধ্যে ব্রাজিলও তরতর করে ফাইনালে উঠে গেল। প্রতিপক্ষ ফ্রান্স, আর সাথে স্বাগতিক দেশের স্বতঃস্ফূর্ত দর্শক সমর্থন। ব্রাজিলের পাঁড় সমর্থক আমার বাবার মত বাংলাদেশের লাখো ব্রাজিল ভক্ত তখন একাট্টা , টানা দ্বিতীয়বারের মত শিরোপা এবার ঘরে না এসেই পারেনা। আর তুরুপের তাস ফর্মের তুঙ্গে থাকা রোনালদো তো ছিলই। কিন্তু সব আশায় জল ঢেলে দিয়ে ফাইনালে নায়ক হয়ে গেলেন আরেক জীবন্ত কিংবদন্তী, জিনেদিন জিদান। পুরো মাঠে রোনালদো নিজের ছায়া হয়েই রইলেন। ব্রাজিলকে ধরাশায়ী করে বিশ্বকাপ গেল লা ব্লুজদের ঘরে। রোনালদোকে ওইদিন কাঁদতে দেখেছিলাম কিনা মনে নেই, তবে ব্রাজিল ভক্ত বাবার চোখের কোণে চিকচিক করা অশ্রু এখনো আমার স্পষ্ট মনে পড়ে।
৩.
মূলত তখনই রোনালদো নিয়ে আমার মুগ্ধতার শুরু। বার্সেলোনা থেকে রেকর্ড পরিমাণ ট্রান্সফার ফি তে ইণ্টারন্যাসিওনালে(ইন্টার মিলান বললেই মানুষ বেশি চেনে) আসার খবরও আমার অজানা নয়। ইতালিয়ান ফুটবলের রাজপথটা তখনও ঠিকঠাক চেনা হয়ে ওঠেনি, ফলে খবরের পাতায় রোনালদোর কেরদানির কথা পড়েই মন ভরাতে হত। এর মধ্যেই অবশ্য ইনজুরির সাথে মিতালী বেশ জমে উঠেছে। তবে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকার কারণে বিস্মৃতির গর্ভ তলিয়ে যাওয়ার যে সূক্ষ্ণ আশঙ্কাটা ছিল সেটাকে তিনি অচিরেই ভুল প্রমাণ করলেন তিনি। সময়টা ২০০২ সাল। এশিয়ার মাঠে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের আসর। একদিকে শিরোপাধারী ফ্রান্স, আর হট ফেভারিট আর্জেন্টিনার ভীড়ে সেলেকাওদের অনেকেই হয়তো গণায় ধরতে ভুলে গিয়েছিলেন। পরের ইতিহাসটা অবশ্য সবার জানা। এলাম, দেখলাম ,জয় করলাম স্টাইলে ইনজুরি থেকে তার প্রত্যাবর্তনটা হল দুর্দান্ত রকমের রাজসিক। নিজে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পাশাপাশি দলকেও এনে দিলেন বহুল আরাধ্য পেন্টা। আগের বিশ্বকাপের দুঃসহ স্মৃতিকেও দারুণভাবে ধামাচাপা দিলেন।
৪.
এই বছরটা অবশ্য রোনালদোর জন্য আলাদাভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই বছরেই যে রিয়ালের নক্ষত্রমণ্ডলের আরো একটি জ্বলজ্বলে তারা হিসেবে নিজের নাম লেখালেন তিনি। তবে রোনালদোর সাথে আমার এরপরের স্মৃতি খুব একটা সুখপ্রদ নয়। তখন আমি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের অন্ধ সমর্থক। সেই সময়কার লাল শয়তানের দলও নেহাত ফেলনা ছিলনা। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লীগের নক-আউট স্টেজে ওল্ড ট্রাফোর্ডেই ম্যানইউর বিপক্ষে দুর্ধর্ষ এক হ্যাট্রিক করে বসলেন তিনি। পরের বছরগুলোতে রিয়ালে তার থাকাটা খুব একটা সুখকর হয়নি। ফেরারীর মত ধাওয়া করা সেই ইনজুরি তো ছিলই, সেই সাথে বল্গাহীন ওজন এবং মাঠের বাইরের উটকো সব কারণে তিনি নিয়মিতই সংবাদের শিরোনাম হতে থাকেন।ফলাফল, কোচের গুডবুক থেকে তার নাম কাটা পড়ার দশা হয়। এর মধ্যেই এসে যায় আরেকটি বিশ্বকাপ।
৫.
এইবার তাকে দলে নেওয়া নিয়ে বেশ একচোট সমালোচনা হয়ে যায়। ততদিনে তিনি বেশ মুটিয়ে গেছেন, বেঢপ শরীরে তাকে চেনা হয়ে পড়ে দায়। তারপরও ধারে না কাটলেও ভারে নিশ্চয় কাটবেন, এমন আশায় কোচ পাহেইরা তাকে দলে রাখেন। কোচের আস্থার প্রতিদান তিনি এবার আর সেভাবে দিতে পারলেননা। ব্রাজিলের হেক্সা স্বপ্নও কোয়ার্টার ফাইনালে মুখ থুবড়ে পড়ে। এখনো আমার মনে পড়ে, ওইবার স্থূলদেহের রোনালদোকে বলের পেছনে দৌড়ানোর নিস্ফল প্রয়াস দেখে মনে হচ্ছিল, এ আমি কাকে দেখছি? এ কি সেই খেলোয়াড়, যিনি ঝড়ের বেগে বক্সে ঢুকে একমেবাদ্বিতীয়ম বডি ডজে মার্কারদের ছিটকে ফেলে দেন এবং বলাই বাহুল্য, নির্ভুল মুন্সীয়ানায় বলটাকে জালে জড়িয়ে দেন? তারপরেও বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিজের নামটাকে পাকাপাকিভাবে খোদাই করার ভুল তিনি করেননি। গার্ড মুলারকে ছাড়িয়ে রোনালদো হয়ে যান বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোল করা খেলোয়াড়। এর মাঝে ক্লিন্সমানের পরে টানা তিন বিশ্বকাপে কমপক্ষে তিন গোল করা খেলোয়াড়ও হন তিনি।
৬.
এরপরের সময়টাকে আমি বিস্মৃতির সময়ই বলব। রিয়াল থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে খুব তাড়াতাড়ি তিনি এসি মিলানে চলে আসেন। ইতিমধ্যে ফর্মহীনতা,ওজন সমস্যার সাথে সেই পুরনো শত্রু ইনজুরির সাথে তার লড়াই চলতে থাকে। এদিকে মেঘে মেঘে বেলাও কম গড়ালনা, য়ারেক রোনালদোর আবির্ভাবে একে একে সবাই তাকে ভুলতে বসে। সত্যি বলতে কী, এরপর নিজের আসল ফর্মের ধারেকাছেও তিনি কখনও যেতে পারেননি। তাই ও নিয়ে কথা আর না বাড়াই। তবে তিনবারের ফিফা ফুটবলার অফ দ্য ইয়ার, বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা, ইন্টার-মিলান বা রিয়াল-বার্সার মত অবিস্মরনীয় দ্বৈরথগুলোর মুদ্রার দুপিঠ থেকেই দেখতে পারার দুর্লভতম অভিজ্ঞতা সহ এমন আরো অনেক অর্জন এই লম্বা সময়ে তিনি নিজের ঝুলিতে পুরেছেন। ক্লাবের হয়ে ৫১৫ ম্যাচে ৩৫২ গোল বা দেশের হয়ে ৯৭ ম্যাচে ৫২ গোল, এসব পরিসংখ্যানও নিঃসন্দেহে ঈর্ষাজাগানিয়া। তবে রেকর্ড অনেক কথাই বলবে, তবে আমি নিজে অন্তত তাকে মনে রাখব ডিফেন্সচেরা থ্রু গুলো আঁচ করতে পারার বিরলপ্রজ স্ট্রাইকিং ইন্সটিংক্ট, মার্কারদের ছিটকে ফেলার দারুণ ক্ষমতা, পেনাল্টি বক্সে চিতার মত ক্ষিপ্রতা, দুপায়েই শট নেওয়ার দক্ষতা এবং অসাধারণ ফিনিশিংয়ের কারণে। আমাদের সময়ে বিশ্ব ফুটবলে সবচেয়ে বড় মঞ্চে তার মত আর কেউ বোধকরি নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। এর মধ্যেই আরো অনেক স্ট্রাইকার আসবে, অনেকে গোলের তুবড়ি ছোটাবেন কিন্তু দ্য ফেনোমেনন আদপে একজনই।
একজন আর্জেন্টাইন সমর্থক হয়েও বিদায়বেদায় তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি, গুরু...তোমায় সেলাম। টেকো মাথার লোকটিকে আমার মত লাখো ফুটবলামদীদের পক্ষ থেকে আরো একবার স্যালুট!!
মন্তব্য
এখনো পর্যন্ত ফুটবলে আমার দেখা সেরা স্ট্রাইকার এই মোটু ( হ্যাঁ, বাতিস্তুতা-ডেল পিয়েরো- মেসি'দের মাথায় রেখেই)...
ক্যান জানি ওরে এখন মোটু ডাকতে ইচ্ছা করতেসেনা...যাই হোক, রোনালদোই আমার দেখা সেরা...সন্দেহ নাই।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আসলেই দ্য ফেনমেনা একজন ই
দারুণ লেখা।
ঐ সময় বাসায় ডিশ ছিল না। ফুটবল দেখা তাই পত্রিকার পাতাতেই সীমাবদ্ধ ছিল।
"একজন ব্রাজিলের সমর্থক হয়ে বিদায়বেদায় তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি, গুরু...তোমায় সেলাম।"
---আশফাক আহমেদ
থেঙ্কু দোস্ত। হ, গুরুকে স্যালুট...
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
মোটু একটা অমানুষ ছিল!
বিদায় বেলায় সালাম গুরু...
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আসলেই, মেসি-রোনালদিনহো হয়ত বল নিয়ে কারিকুরি বেশি কারিকুরি দেখাইতে পারে, কিন্তু গোল দেওয়ার কাজটা তার চেয়ে ভাল আর কাউকে করতে দেখিনাই।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
মোটু একমাত্র খেলোয়াড় যে কিনা এসি মিলান/ইন্টার মিলান, রিয়েল মাদ্রিদ/বার্সেলোনা চার দলেই খেলেছে... বলা যায়না নাগরিকত্ব পেলে হয়ত আর্জেন্টিনাতেও খেলে ফেলত
চারটা আর্চ-রাইভালদের হয়ে খেলার এই অভিজ্ঞতা কারো হবে বলে মনে হয়না(ইব্রাহিমোভিচের চান্স আছে অবশ্য)
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
পেলে-পরবর্তী ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় ২/৩ জন স্টারের মধ্যে নির্দ্বিধায় রোনালদোকে ফেলে দেওয়া যায়। তার "অতিরিক্ত" দলবদলের কারণে তার আরেকটা বিশাল গুণ প্রকাশ পায়--ইটালী-স্পেন এই দুটা কঠিন লীগেই তার সমান সাফল্য। লা লীগায় তার ৩০ প্লাস গোলের রেকর্ড ১২ বছর অক্ষুণ্ন ছিল, বছর দেড়েক আগে সেই রেকর্ডে ভাগ বসান---মেসি।
ফেনোমেনন আদপে একজনই।
প্রিমিয়ার লীগেও নিজের ক্যারিশমা দেখাতে পারতেন আমি নিশ্চিত।
ফেনোমেনন আদপে একজনই।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
হালায় একটা মাল... লেখাটা ভালো লাগছে
তবে প্রতিটা প্যারাই শুরু হইছে "এবার" অথবা "এবছর" এসব দিয়ে... সময়কালটা উল্লেখ করে দিলে খারাপ হতো না মনে হয়
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ক্রনোলজিক্যাল অর্ডারেই পোস্টটা লেখা, তবে বছরটা উল্লেখ করে দিলে ভাল হত হয়ত। তবে আমি চেয়েছিলাম আসলে রোনালদোকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে, তাই ওটা আর মাথায় ছিলনা। পড়ার জন্য নজু ভাই।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
কেউ মন খারাপ করবেন না-- রোনাল্ডো যে ভালো খেলোয়াড় তা বিশ্বকাপের খেলা দেখে আমার মনে হয়নি। উল্লেখ্য যে আমি ইউরো-লিগে তার কোন খেলা দেখিনি।
তবে ভিডিওটা দেখে বুঝলাম ও একটা জিনিস।
পিপিদা, ইনজুরি পিছু না ছাড়লে রোনালদো নিজেকে অনতিক্রম্য উচ্চতায় নিয়ে যেত, আমি নিশ্চিত।।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
চমৎকার লেখা।
দ্রোহীদা।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
রোনালদোকে বিদায়বেলায় কুর্ণিশ। খুব সৌভাগ্যবান হলে এমন স্ট্রাইকারের খেলা দেখার সুযোগ মেলে জীবনে।
-অতীত
সেটাই, ওর গোলগুলো দেখতে পারাটা একটা সৌভাগ্যই...
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
কার্যকরী স্ট্রাইকার ছিল বটে!
তবে আমার সেরা আসন প্লেমেকারদের জন্য বাঁধা। গোঁড়া ব্রাজিল বিরোধী হলেও রোনালদিনহো জাদুতে আমি মুগ্ধ, কিন্তু বেটার লাকটাই খারাপ। তাই সবদিক দিয়ে জিদানই আমার দেখা সেরা।
লিখার জন্য ধন্যবাদ।
গোলের খেলা ফুটবল। ইতিহাসে অনেক প্লেয়ারই তাদের শৈলির জন্যে বিখ্যাত কিন্তু সবকথার শেষকথা হচ্ছে গোল। মোটুকে কিন্তু তেমন কখোনেই দেখিনি যে মাঝমাঠ থেকে একের পর এক প্লেয়ারকে কাটিয়ে বল নিয়ে ছুটতে। কিন্তু যে সামান্য একটা ছুট বা মোঁচড় মোটু দিতো বক্সের আশেপাশে, তাতেই ডিফেন্ডাররা চোখে শর্ষেফুল দেখতো। অসাধারণ শক্তিধর এবং লক্ষভেদী পা দুটো। আমি মোটুর খেলা খুবই মিস করি।
মোটুর প্রশংসা করতে করতে বলতে ভূলে গেছিলাম, আপনার লেখাটাও কিন্তু জব্বর ভালু পাইলাম। ধন্যবাদ।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
রাতঃদা, একদম বুলস আই। রোনালদোর মত এক অ্যাকুরেসি খুব কম দেখা যায়।
আর লেখা পড়ার জন্য
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আমি মোটুর এ্যাকুরেসি রেট জানিনা তবে সম্ভবত গ্যারি লিনেকারের (৮০%) কাছাকাছি হবে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এইখানে একটা ধারণা পাবেন...
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আসলে এ্যাকুরেসি রেট বলতে বুঝান হয়েছে লক্ষে বল থাকাকে। মানে কতোগুলো কিক বা হেডের মধ্যে কতগুলো পোস্টে গেলো সেই হিসেব। এই হিসেবে দেখা যায় গ্যারী লিনেকার এগিয়ে অন্য সবার থেকে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
কোন ফুটবলার হিসেবে এই মানুষটার ছবিই শুধু আমার ঘরে স্থান পেয়েছে দীর্ঘদিন।
আজ অবধি আমার সবচেয়ে প্রিয় ফুটবলার। রোনালদোকে মিস করবো অনেক।
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
হুম, রোনালদোকে মিস করব অনেক...
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আর একটা মন্তব্য সংযোজন করি, আগে ভূলে গেছিলাম। বেশ কিছুকাল আগে যখন রোনালডোর ফিটনেস এবং ফর্ম নিয়ে কথা চলছিলো তখন রোনালডিনহো খুব জোর গলায়ই বলেছিলো যে রোনালডো হচ্ছে আমাদের কাছে একজন গুরু এবং মাঠে তার উপস্থিতিই ব্রাজিল দলের জন্য অনেক কিছু।
মোটু মাঠে থাকলেই যা হতো তা হলো প্রতিপক্ষের কমপক্ষে দুইজন, সময় সময় আরও বেশি মার্কার লাগানো থাকতো। ফলে ব্রাজিলের অন্য প্লেয়াররা খেলার জন্যে বেশি জায়গা পেতো। আর মোটু ২-৩ বা ৪, যে কয়জন মার্কারই থাক না কেনো, ঠিকই সময়মতো তাদের ছিটকে ফেলে দিয়ে গোল বের করে আনতো।
রোনালডিনহোর কথার পুনরাবৃত্তি করি, মোটু আসলেই একজন গুরু পাবলিক ছিলো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ব্রাজিলের খেলার বৈশিষ্ট্যই ছিল নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাসে বল দেওয়া করতে করতে হঠাৎ একটা ডিফেন্সচেরা পাস দেওয়া বা উইং দিয়ে কাফু বা কার্লোসের মত ফুলব্যাকদের ওভারল্যাপে পিনপয়েন্ট ক্রস। বাকি কাজটা রোনালদোই সবচেয়ে ভালমত ঠিকঠাক করেছে। এরপর আর বলার মত স্ট্রাইকার এল কই? আজকের নেইমার, পাতোদের নিয়ে অনেকেই প্রগলভ, কিন্তু মোটুর ধারে কাছে যেতে এখনো দিল্লি দূর অস্ত।।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
গোলের খেলা ফুটবল... রোনালদোর মতো গোল দেবার মতো খেলোয়াড় আমি ম্যারাদোনার পরে আর দেখি নি। '৯০ আর '৯৪ এর বিশ্বকাপে ম্যারাদোনার খেলা দেখে ফুটবল বুঝেছিলাম, আর তার পর মন ভরে গিয়েছিল রোনালদোর খেলা দেখে।
আমাদের এক শিক্ষক, বিমল স্যার ছিলেন ম্যারাদোনার ভক্ত। বলতেন যেও লোকটা পায়ে না, মাথা দিয়ে গোল দেয়। আমি যাদের খেলা দেখেছি... তাদের মধ্যে রোনালদোর খেলা দেখে মনে হয়েছে যে এও মাথা দিয়ে খেলে, গায়ের জোরে না!
--- থাবা বাবা!
রোনালদো আমারো প্রিয় খেলোয়াড়দের একজন।
লেখা ভালো লাগছে।
নতুন মন্তব্য করুন