গত বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দুই শিবিরকর্মী নিহত হয়। শিবির অধ্যুষিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম সংঘাত নতুন কিছু নয়, আগেও হয়েছে। এমনকি প্রাণহানির ঘটনার নজিরও খুঁজে পাওয়া যাবে। বরাবরের মত সংঘর্ষে লিপ্ত দুই দলই নিহতদের নিজেদের কর্মী দাবি করে এবং অনুমিতভাবেই একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বিবৃতি দেয়। ঘটনার পরপরই অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়, সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এই ঘটনায় নতুন করে চমকানোর কিছু নেই, কিন্তু এর রেশ ধরে গতকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় যা হল তা এককথায় ভয়াবহ। জানা যায়, গতকাল জামাত শিবিরের নামধারী একদল বহিরাগত দুষ্কৃতিকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী নন্দীরহাট এলাকার প্রসিদ্ধ শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী বাবার আশ্রমে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা মন্দিরের ভেতরে ভাংচুর করে এক নারকীয় পরিবেশ সৃষ্টি করে। এই ঘটনার পরপরই গতকাল হাটহাজারী এলাকায় বিক্ষুব্ধ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন একত্রিত হয়ে এর প্রতিবাদ জানায়। তখন পর্যন্ত মনে হচ্ছিল ঘটনার জের বুঝি এখানেই শেষ।
কিন্তু আজ সকাল থেকেই হাটহাজারীর নন্দীরহাট এলাকায় বসবাসরত হিন্দুদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা হতে থাকে। আজও বেশ কয়েকটি মন্দির জ্বালিয়ে দেওয়া হয়,(যার মধ্যে হাটহাজারী সদরের কালিবাড়ি মন্দিরও রয়েছে) চলে লুটতরাজ ও ভাংচুর। ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন বেশ কটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। হিন্দু জমিদারবাড়ি সহ বসতবাড়িতেও লুন্ঠনকারীরা হামলা চালায়, আগুনও ধরিয়ে দেয়। পুরো এলাকাজুড়ে এভাবেই এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে তারা।
জানা যায়, গতকাল থেকে ঐ এলাকার অধিবাসীরা বারবার প্রশাসনের কাছে তাদের নিরাপত্তার দাবিতে আবেদন জানায়।কিন্তু তখন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি। গতকালের ঘ্টনার পর আজকে আবারো যখ্ন একই কায়্দায় হামলা চালানো হল, তখ্নও প্রশাসনের টিকিটিরও দেখা মেলেনি। এরপর আজকের ঘটনার পর তারা অনেক দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার, গতরাত থেকে বারবার যোগাযোগ করা হলেও মূলধারার মিডিয়াগুলো এ ব্যাপারে রহস্যজনকভাবে নীরব থেকেছে। এ পর্যন্ত কোন প্রিন্ট বা ইলেক্ট্রনিক (এটিএন নিউজ বাদে) মিডিয়া এই ঘটনা সংশ্লিষ্ট কোনরকম সংবাদ প্রচার করেনি। সর্বশেষ খবরে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা যায়।
দুঃখজনকভাবে, কিছুদিন আগেও চট্টগ্রামেই ঘটে যাওয়া আরেকটি ঘটনাকেও একইভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সংখ্যালঘুদের ওপর এরকম নির্যাতনের খবরগুলো এক অজ্ঞাত কারণে বারবার লোকচক্ষুর আড়াল করার এই পাঁয়তারা কেন করা হয়? কেন বারবারই ধরনের খবরগুলো আমাদের বিকল্প মিডিয়া (ব্লগ, ফেসবুক) থেকে জানতে হয়?
সূত্রঃ
মন্তব্য
উপরোক্ত যাবতীয় তথ্য এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত একজন ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে লেখা। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই এখন এলাকার বাইরে অবস্থান করছেন। কোন হতাহতের খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
[ একটু অশ্লীল ভাবে বলব! এর জন্য অনেক দুঃখিত। শালার মানুষ আর পশুর মধ্যে কোন তফাত দেখিনা তো তাই। শিকার করার লোভ আর কে সামলায়! ]
আমার সভ্যতা, আমরা বাঙালি ছিলাম। চর্যাপদের অহংকার ছিলাম, ছিল একটা দেশ। দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মাঝে এক শ্রেণীর উগ্র জাত্যাভিমানী ও ধর্মীয় আবালের দল সভ্যতার বুকে একটা লাথি মারল। আমাদের কৃষ্টির অন্ধকারে তলিয়ে গেলো। চতুর্দশ শতকে কিছুটা উত্তরণ চেয়ে যাত্রা শুরু হল। তারপর সেখনেও ধর্মের দালালেরা চৈতন্য এর পাছায় লাথি মারল। এরপর পলাশীর প্রান্তরে আমাদের মীর কাগু দিল ২০০ বছরের পুটু মারার ইজারা। ইংরেজরা ২০০ বছর ধরে নানা এঙ্গেল থেকে পুটু মারল। ৪৬ এ এসে আমরা মানুষের মতো মানুষ হলাম। শুরু করলাম গণ ধর্ষণ। কে কার ভাই! মার শালা মার!
৪৭ এ ইধারের মাল লাথি খেয়ে উধার গেলো, আর উধার এর মাল লাথি খেয়ে ইধার এলো। এরপর শুরু হল এলোপাথাড়ি পুটু মারার পালা। আহা দেশ স্বাধীন বলে কথা! স্বাধীনতার নামে একদেশ দিল কতগুলি যাযাবর আর আরেক দেশ দিল পাকি গোলাম। শুরু হল নতুন স্টাইলে পুটু মারার পালা। নে, ভাই, এবার কি সমস্যা; এতদিন তো বিদেশীরা মারছিল। এখন তো জাতভাইরা মারছে? ৭২ অবধি চলল নিরন্তর। এরপর আমরা আবার আরেকটা স্বাধীনতা পেলাম। নে ভাই, এইবার ভালো করে বাঁচব। ধুর, পুটু না মারলে ভালো লাগেলা। ধুতি হয়ে গেলো হিন্দুয়ানার প্রতীক! আর লুঙ্গি দিয়ে অন্যেরা স্বাধীনতার কর্য চুকাল আবার মাতলামি শুরু করে। ততদিনে ত্রিশ লক্ষ্য লাশের কান্নার আওয়াজও ঠাণ্ডা হয়নি। আবার শুরু হয়ে গেলো। ৭৫ এ গিয়ে তা পরিপূর্ণতা পেলো। নে ভাই, ভাগাইছি, সব ভেগেছে। কোন প্রোব্লেম নেই।
বাঙলার মাটি বাঙলার জল............... সব পূর্ণ হোক রহমান! রবীন্দ্রনাথ একটা বজ্জাত।
এদিকের পার্টির লোকও থেমে নেই। ১৯৯২। নে ভাই জন্মভুমিতো রামের। তো! তো আবার কি লুঙ্গির পুটু মার। গর্ভবতী মায়ের পেটের ছয় মাসের বাচ্চার পড়নেও লুঙ্গি আছে কিনা! এইবার অইপারে কি হয়। জাতভাই মানে হল দুধ ভাই। আর পাশের বাড়ির শাঁখা সিঁদুর – হারাম হারাম!! মার মার মার !! হল আরেকচোট পুটুমারার খেলা। সুফিয়া আর শ্যামলী একসাথে ২৫শে বৈশাখে গান গাইত। সুফিয়ার ভাই কামাল আর শ্যামলীর ভাই রঞ্জন একসাথে তবলা বাজায়। এটাই তো আমার সোনার বাঙলা। তো যখন দুধ ভাইদের মেরেছে তো! রক্ত টগবগ করে। মার মার রঞ্জনরে মার, আর শ্যামলীরে.........
দেশ আমার। এই দেশ আমার অহংকার যাবো কোথায়। পড়ে থাকে কিছু আধ মরা মানুষ। দুই প্রান্তে। সময় সময় কাগুরা এসে পুটু মেরে যায়। সুশীল কাগুরা দেখে যায়। দাড়ি চুলকাইয়া, পাছা চুলকাইয়া ৭১ এর ‘নরখাদকেরা’ জাতীয় পতাকা উঁচিয়ে ঘোরে। নে, ভাই এটাই তো ধর্মতান্ত্রিক লিবারেল দেশ! ছাগলের তিন নম্বর হয়ে বারবার লাফাই আর লাফাই। বাহ! দেশ তো আমার! পুটু মারলেও আপন লোকেরাই মারে। ২০০১ এ গিয়ে আরেক ধরণের খেল শুরু। মার মার , শালা মার...
একবিংশ শতাব্দীর শূন্যের দশক পেরিয়েও শালা আমার পিতার হত্যাকারীরা আমার পুটু মারে। মারহাবা, মারহাবা! জাতিভাই জিন্দাবাদ।
স্যরি। শুধুই বাঙালি মনে হয় কখনো ছিলামই না। হিন্দু বাঙালি, মুসলিম বাঙালি। ব্যবধান। এই খেলা জবরদস্ত। একটু জনস্বার্থে ঘোষণা, আজ যারা সংখ্যায় লঘুদের পেছন মারছে, চল্লিশ বছর আগে ওরাই গণ পুটু মেরেছিল। যাই হোক আমরা ভুল মাফ করে দেই তো। তাই এত আগের কথা ভুলে গেছি। ভাই ভাই.....
ডাকঘর | ছবিঘর
কিছু মনে করবেননা !
আপনার মন্তব্যটা প্রসন্নচিত্তে নিতে পারছিনা । অবশ্যই আপনার রাষ্ট্রিয় পরিচয়ের কারনে ! আমাদের নিজেদের সমস্যা নিয়ে কথা বলার জন্য প্রচুর লোক আছে । যতক্ষন নিজেরা সামাল দিতে পারি ততক্ষন অন্যদের মাথাঘামানো অযাচিত মনে হয় । এ শুধু রাষ্ট্র বা সমাজের জন্য নয় চার দেয়ালের ছোট্ট ঘরের ক্ষেত্রেও একই বাস্তবতা । নিজেদের কলহে পাশের ঘরের কেউ নাক গলালে ভাল অনুভুতি দেয়না ।
তসলিমা নাসরিনের লজ্জা কিছু অতিরন্জন থাকা সত্বেও বাংলাদেশের মানুষের কাছে এতটা অস্বস্থির হয়ে উঠতোনা যদি না কলকাতা এটা নিয়ে নির্লজ্জ অরুচিকর মাতামাতি না করতো ।
জানিনা ব্যাথাটা বোঝাতে পারলাম কিনা ।
আমার ভাল লাগবে যদি আপনার কাছ থেকে আপনার রাজ্যের সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারি। আরো ভাল লাগবে যদি কলকাতার অন্য ব্লগে বাংলাদেশীদের প্রতি নিজেদের করা অপরাধগুলো নিয়ে আলোচনা তোলেন ।
মন্তব্যে আপত্তি জানালাম।
সচলে লেখার সময় কারও পাসপোর্ট চেক করা হয় বলে জানি না। সচলায়তনের নিয়ম মেনে সবার কাছ থেকে সব রকম লেখা/ মন্তব্যই এখানে করা যায়। 'নিজেদের কলহ' বা 'নাক গলানো' বলে লাইন টেনে দেয়াটা রীতিমতন অশ্লীল লাগছে!
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
সুবর্না আপনাকে আমি কিছুই বোঝাতে চেষ্টা করবো না। কারণ আপনি যা বলেছেন তাকেই বলে - ডিভাইড এন্ড রোল। যা ইংরেজরা অনেক আগেই গেঁথে দিয়ে গেছে আমাদের সত্ত্বার উপর।
আপনি আবারও সেই বিভেদ এর কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন। এটাই বিভেদ। আমি - তুমির খেলা।
ডাকঘর | ছবিঘর
****************************************
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
@সুবর্ণা, আপনার মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানাচ্ছি, এখানে কেউ রাষ্ট্রীয় পরিচয় দেখিয়ে ভিসা পাসপোর্ট নিয়ে আসবে বলে কোনো নিয়ম তো দেখিনি, শুধু তাই না, এটা মডারেশনের প্রতিও অবজ্ঞা|
চরম আপত্তিকর মন্তব্য|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
না ব্যথা বাড়িয়ে দিলেন। দুদিকেই।
অতএব বলতে চাইছেন ব্লগার তাপস শর্মা প্রমাণিত অপরাধী? অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ, প্রমাণ হাজির করুন অথবা ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
আরেকজনের দোষ দেখিয়ে নিজের দোষ ঢাকা যায়না। "আমি করসি তো কি হৈসে সেও তো করসে" এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন।
..................................................................
#Banshibir.
বাহ !!!!!! এইটা কোন কথা হল ??? তাপস শর্মার জাতীয় পরিচয় ভিন্ন বলে সে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোন অন্যায় নিয়ে কথা বলতে পারবে না ??? তাকে তার দেশের অসঙ্গতির কথা বা তার দেশের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা আগে বলে নিয়ে সাফ-সুতরা হতে হবে??? ধন্ন্য হলাম আপনার যুক্তিতে !!!
জানি না আপনে কোন দিন এই রকম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আপনে নিজে চোখে দেখছেন কি না ?? দেখলে হয়ত অন্য রকম ভাবে বলতেন। দাঙ্গায় বিপন্ন মানুষগুলা নিজের জীবন, সম্পদ সব কিছু দিয়া হলেও প্রিয়জন কে রক্ষা করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে, সেই সময় না কোন প্রচলিত ধর্মের অর্থ থাকে, না তার কোন প্রয়োগ থাকে, থাকে শুধু সম্ভম নিয়ে বেঁচে থাকার তীব্র চেষ্টা।
তাকে তার দেশের অসঙ্গতির কথা বা তার দেশের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা আগে বলে নিয়ে সাফ-সুতরা হতে হবে???
শুনতে কানে লাগলেও ঠিক এটাই !
জানি না আপনে কোন দিন এই রকম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আপনে নিজে চোখে দেখছেন কি না ?? দেখলে হয়ত অন্য রকম ভাবে বলতেন।
দাঙ্গা দেখিনি ভীতি দেখেছি, ৯১ বা ৯২ সালে রাতের বেলা মিছিলের আওয়াজ শুনতে পেলে ছোটখাটো দামী জিনিসপত্রের পুটলি হাতে নিয়ে দাড়িয়ে থাকতাম সবাই, ওরা যেদিক দিয়ে আসবে তার বিপরীত দিকে দৌড় দেবার জন্য । সেই ভীতিকর অনুভূতি কি ভুলবার বস্তু ?
এটাকে নিজের দেশের নানারকম অব্যবস্থাপনারই একটি উদাহরন ছাড়া আর কিছু ভাবতে রাজী নই ।
যত তাড়াতড়ি সম্ভব ডাক্তার দেখান, প্লীজ।
ডাকঘর | ছবিঘর
এভাবেই ভাগ করতে করতেই দেখি শেষে হাতে রইল পেন্সিল
জনাব তাপস শর্মা, আপনি জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে সাম্প্রদায়িকতার একটি বীজ ঢুকিয়ে দিয়ে গেলেন- এটা কি ইচ্ছাকৃত? আপনি বলেছেন,
বুঝলাম তুর্কি লুটেরার দল উগ্র কিন্তু তারা সেন রাজাদের থেকেও জাত্যাভিমানী বা ধর্মীয় আবাল ছিলো না। তাদের লুট নিয়ে যতটা না মাথা ব্যথা ছিলো, ধর্ম নিয়ে বিন্দু-মাত্রও ছিলো না। এই বৌদ্ধ সংখ্যাগুরু বাংলায় তাদের এথনিক ক্লিনজিং এর মহান গুরু দ্বায়িত্ব কে কারা নিয়েছিলো? এই সেন রাজা আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা। জানা নেই, বিজেপি আপনাদের ওপারে ইতিহাস ঢেলে সাজিয়ে লিখেছে কিনা!
এই কথায় যদি আপনি সাম্প্রদায়িকতা দেখতে পান, তাহলে বলব আপনি সাম্প্রদায়িকতার সংগা শিখে আসুন।
২।
আমি কি কোথাও সেন রাজাদের জাস্টিফাই করতে চেয়েছি নাকি ??? বরং আপনিই দেখি বলছেনঃ
বলেন তো ঘটণা কি?
৩।
বিজেপি যে নিট এন্ড ক্লিন তা আমি কোথায় বলেছি ? নাকি বিজেপির পক্ষে সাফাই গেয়েছি ?
যুক্তি দিয়ে কথা বলেন বস। কিছু দেখেই একবার না ভেবেই চোখেমুখে তেড়েফুঁড়ে এসে একটা কনক্লুশান টানবেন না। মন্তব্যটা পুরোটা পড়েন তারপর কথা বলেন।
আচ্ছা এইবার একটু নিজের ঢোলই পিটাই, আমি নিজে কতটা বড় মাপের সাম্প্রদায়িক মানুষ তা আপনি সচলের পাতায় একটু চোখ রাখলেই বুঝতে পারবেন।
উদয় হোক শুভবুদ্ধির।
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনিই বরঞ্চ আপনার দেয়া উপরোক্ত কমেন্টটি আবার পড়ুন। আপনার কমেন্ট পরে স্পষ্টত বোঝাই যাচ্ছে একাদশ-দ্বাদশ শতাব্দীর আগে বাংলা যেন স্বর্গরাজ্য ছিলো, ধর্মীয় সহিংসতার কোন ঘটনাই ঘটেনি। কাশলে ঝেড়ে কাশবেন দাদা।
ঝেড়েই যা কাশার কেশেছি। কথা আপনার এত নড়বড়ে কেন? এক কথা থেকে ফুড় করে অন্য কথায় জাম্প করেন কেন ? প্রথমে বললেন আমার লেখাটায় সাম্প্রদায়িকতা আছে। তারপর আমি যখন কিছু প্রশ্ন করলাম তখন তার উত্তর না দিয়ে এরপর টুপির ভেতর থেকে নতুন বাণী বের করলেন যে "আপনার কমেন্ট পরে স্পষ্টত বোঝাই যাচ্ছে একাদশ-দ্বাদশ শতাব্দীর আগে বাংলা যেন স্বর্গরাজ্য ছিলো, ধর্মীয় সহিংসতার কোন ঘটনাই ঘটেনি।"
শুনেন ভালো করে শুনেন, না আমি কোন সেন রাজার তলাচাটা মানুষ, না কোন এক্স ওয়াই ধর্মীয় আবালের। যা মনে হয়েছে তাই লিখেছি। প্রথমে যা দিয়ে শুরু করেছি এর কারণ হল উক্ত দুই শতকে বাঙলার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বিচ্ছেদের সূচনা, এর আগে বাঙলার ইতিহাসে এর চেয়ে বড় অন্ধকার আর আসেনি। ইতিহাসে বোধহয় এই দুই যুগকে অন্ধকারময় যুগ বলা হয়, তাই না । আমি তো সেন যুগকে জাস্টিফাই করতে নামিনি, বরং আপনিই তো দেখছি তুর্কি ভাই বন্ধুদের জাস্টিফাই করে আমাকে সাম্প্রদায়িক বানাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। আপনি বলছেন "স্পষ্টত বোঝাই যাচ্ছে একাদশ-দ্বাদশ শতাব্দীর আগে বাংলা যেন স্বর্গরাজ্য ছিলো" । যা বলেছি তা আগে বুঝোন, তারপর না হয় আগে পিছের কথা চিন্তা করে দেখবেন। কারণ সাদা কথা সাদা ভাবেই বলেছি। যেটা বলিনি সেটা জোর করে বসিয়ে দেবার বৃথা কুচেষ্টা করবেন না।
ডাকঘর | ছবিঘর
যা বুঝবার বুঝে নিয়েছি দাদা। আর গীত গাইতে হবে না। আগে জানতুম মৎসান্যায় ছিলো ঘোর কলিকাল। আপনাদের ওদিক তুর্কি আগমনকে কলিকাল ধরা হয় নাকি? আমি দাদা সাদাকে স্পষ্টত সাদাই বলছি। আমি আপনার কাছে ইটালিক করা লাইনগুলোর ব্যাক্ষ্যা দাবী করছি। কোন আঙ্গিক থেকে আপনার মনে হয় এদেশে তুর্কি আক্রমনের আগে বাংলার মানুষ সুখে-শান্তিতে ছিলো আর কেনই বা ভাবছেন আমাদের কৃষ্টি তুর্কি আক্রমনের পথ ধরে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে গেল?
আপনি কি গাইতেছেন কাসুন্দি ? মূল পোষ্টের কথা তো দেখি একবারও বললেন না । আপনি তো দেখি উল্টাপুরাণ পাঠে ব্যস্ত। ঘটণা কী?
শুনেন কলি ফলি জানিনা। একটা সাদা প্রতিক্রিয়া দিয়েছি। এর প্রসঙ্গে এসে আপনি বারবার কথার উপর কথার ত্যানা পেচাইতাছেন। যে একবারে সঠিক কথার অর্থ বুঝেনা তার সাথে হাজার ক্যাচাল পিটেও লাভ নাই। আপনিও তাই করছেন। আচ্ছা কাকে ডিফেন্ড করছেন আপনি? যা তা অবস্থা। আমি একবারও বলিনি দশম থেকে দ্বাদশ শতকের আগে "বাংলার মানুষ সুখে-শান্তিতে ছিলো'' ?? থলে থেকে কথা বের করা বন্ধ করে আসল কথায় আসেন। আমি বলেছি ঐ আক্রমনের ফলে অনেক কৃষ্টি নষ্ট হয়েছে, কারণ ঐ দুই শতকে বাঙলার ইতিহাসের অনেক দলিল লুট এবং ধ্বংস প্রাপ্ত হয়েছে। এমনকি গোটা সাহিত্যের ইতিহাসেও এই দশকের কোন ইতিহাস খুঁজে পাওয়া বিরল। মানুষ হতাশার শিকার হয়েছিল, জনজীবন হয়েছিল ক্লেদাক্তময়। এইবার এই কথার দ্বারা প্রমান করার চেষ্টা করবেন না এর মানে এর আগের বা পরের সব কিছুই ভালো ছিল বলেছি । আমার মন্তব্যটা একটা স্টেইটমেন্ট মাত্র, নাথিং এলস।
ডাকঘর | ছবিঘর
বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ অম্লান। নিজেদের অসাম্প্রদায়িক বলে দাবী করলেই তো শুধু হবে না, বিপদে এগিয়েও আসতে হবে সরকারের। অথচ সাহায্য চেয়েও সময় মতো পাওয়া যায় নি।
দৃঢ়কণ্ঠে প্রতিবাদ জানাচ্ছি সকল ধরণের সংখ্যালঘু নির্যাতন-সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে।
_____________________
Give Her Freedom!
নিন্দা আর প্রতিবাদ জানানোর আনুষ্ঠানিকতা করতে চাইনা, যাদের জীবনে ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে, তাদের কষ্ট উপলব্ধি করার ক্ষমতাও আমার নেই
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ধিক্কার। জামাত-শিবির মৌলবাদ নিপাত যাক, নিপাত যাক।
আমার কিছু বলার নেই। আমার খুব কাছের মানুষেরা এখন চট্টগ্রামে কেমন আছে আমি দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারছিনা। ঃ(
দেশ থেকে আইন-কানুন সব উঠে গেল নাকি? সংশ্লিষ্ট বিভাগের বেতনভুক্ত লোকজন মাস শেষে বেতন নেয় কোন্ বিবেকে?
বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর করার জন্য আপ্নাকে ধন্যবাদ।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
অদ্রোহ,
বিষয়টা নিয়ে লিখতে বসব তখনি আপনার লেখাটা চোখে পড়ল।
যতটুকু শুনেছি ভারতীয় হাইকমিশনের অনুরোধে সরকারের উপরমহল ঘটনাটি মিডিয়াতে প্রকাশ না করার নির্দেশ দিয়েছে। কারণ, এর জের ধরে দেশের অন্য জায়গায় এমনকি ভারতেও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হতে পারে। তাছাড়া গতকালের ঘটনাটি নিয়ে যতটুকু জানা যায় তা হল-
আশ্রমের কাছেই এক মসজিদে নামাজের সময় মন্দিরে মাইক বাজানো হলে কিছু লোক মন্দিরে এসে এটা নিয়ে বাক বিতন্ডা করে এবং এর ফলশ্রুতিতে বাইরে থেকে আশ্রমে আসা কিছু ছেলে গিয়ে মসজিদের কাঁচের জানালায় পাথর ছুড়ে। এখান থেকেই ঘটনার সুত্রপাত। পরবর্তীতে র্যাব ও পুলিশ আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এমনকি আমি নিজেও রাত ১১টায় ঐ এলাকার পাশ দিয়ে আসার সময় ঘটনার কথা শুনেছিলাম এবং এ ও শুনেছিলাম তা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়ে গেছে (যেহেতু ঐ এলাকায় যুগ যুগ ধরে হিন্দু-মুসলিম পাশাপাশি একসাথে বসবাস করে আসছে তা-ই এটাই স্বাভাবিক ছিওই)। কিন্তু রাতের ৩টার সময় গিয়ে কারা যেন ঐ মসজিদের দেয়াল ভেঙ্গে দেয়। সকালে এই খবর পাওয়া মাত্রই আধ কিলোমিটার দুরের ইসলামিয়াহাট কওমি মাদ্রাসা থেকে ছাত্র-শিক্ষকেরা দলে দলে গিয়ে আশ্রমে হামলা চলায়। একইসাথে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকেরা ও পার্শ্ববর্তী মন্দিরে গিয়ে হামলা চালায়। এমনকি খুব ভোরে পটিয়া মাদ্রাসা থেকেও কিছু হুজুরকে এই এলাকায় আসতে দেখা গেছে বলে জানা যায়। প্রসঙ্গত, ইসলামিয়াহাট, হাটহাজারী ও পটিয়া মাদ্রাসা হচ্ছে চট্টগ্রামের জঙ্গিদের অন্যতম ঘাঁটি। সকাল থেকে এ ব্যাপারে মীমাংসার জন্য এলাকার সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার আনিস ও মন্ত্রী আফসারুল আমিন আসার পথে মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকেরা তাদের উপরও হামলা চালায়। এরসাথে শিবির সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা বা থাকলেও কতটুকু সে ব্যপারে বিস্তারিত জানা যায়নি। কারণ, গত বুধবারের ঘটনার পর শিবির ছাত্রলীগ অধ্যুষিত এলাকায় এসে সরাসরি নিজেরা এই ধরনের কিছু করার সাহস পাবে কিনা এটা প্রশ্নের বিষয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতিকে দুপুরে ইসলামিয়াহাট মাদ্রাসায় জুমার নামাজ পড়তে দেখা গেছে বলে জানা যায়। হতে পারে শিবির বিষয়টাকে একটা ইস্যু করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। কারণ, এই এলাকায় এত বছর ধরে একসাথে হিন্দু-মুসলিম বসবাস করে আসলেও কখনো বড় কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা হামলা হয়নি। তাই এত বছর পরে তুচ্ছ একটা ঘটনা এতটুকু গড়াবে বিষয়টা এলাকার কেউই মানতে পারছেনা। তাছাড়া এলাকাগতভাবেই গতকালই একটা সমযোতা হওয়ার পর রাতের বেলায় মসজিদের দেয়াল ভেঙ্গে সেটাকে আরও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দেওয়াটা রীতিমত রহস্যজনক। তাই অনেকের ধারণা, শিবির বা ধর্মের ঝান্ডাধারীরা রাতারাতি বিষয়টাকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেয়ার জন্যই কাজটি করেছে। কারণ, ধর্মের কথা বলেই সাধারণ মানুষকে খেপিয়ে তোলা সবচেয়ে সহজ। এদিকে আক্রান্ত এলাকা থেকে অন্তত ৪-৫ মাইল দূরে বড়দিঘীর পাড় নামক স্থানে জুমার নামাজের সময় মাইকে মসজিদ ভাঙ্গার কথা প্রচার করে জনগণকে খেপানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু এলাকার লোকজন সেটা প্রতিহত করেছে।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারো হতাহতের খবর পাইনি। তবে হাটহাজারী মাদ্রাসার আশাপাশে হিন্দু দোকানগুলোতে ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে মাদ্রাসার ইসলামী ঝান্ডাধারীরা। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এটা অজুহাত-মাত্র। বাংলাদেশের কারণে ভারতে দাঙ্গা শুরু হবার ঘটনা আমি আগে শুনি নি। এমনিতে ভারতে একইরকম ঘটনা শুরু হবার জন্য যথেষ্ট মালমশলা মজুদ থাকে। সুতরাং, এই অংশটা মানতে পারলাম না। মিডিয়াতে ঘটনা পুরোদমে আসা উচিত ও দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত। প্রথমটা না ঘটলে দ্বিতীয়টা ঘটবে না, মিডিয়াতে ঘটনা না আনার এটাই কারণ।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ডাকঘর | ছবিঘর
দিগন্ত,
এটা শোনা কথা, সত্যি কিনা যাচাই করা সম্ভব না। তাছাড়া এই সম্ভাবনাকে আপনার মত ঠিক উড়িয়ে দিতে পারছিনা। কারণ, ভারতে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার পর এইদেশে যদি মন্দির ভাঙ্গা শুরু হতে পারে তাহলে এখানে লোকনাথ আশ্রম ভাঙ্গা হয়েছে শুনতে পেলে ঐপারেও তার প্রতিক্রিয়া হতে পারে। কারণ, এই আশ্রমটি বেশ বিখ্যাত, প্রতি শুক্রবার এখানে বেশ বড় রকমের জমায়েত হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, তাছাড়া ভারত থেকে এখানে বিভিন্ন সময় বড় অঙ্কের অর্থ সাহায্যও আসে, এমনকি অনেক ডাক্তারও ভারত থেকে মাঝেমধ্যে আসেন এখানকার দাতব্য চিকিৎসালয়ে সেবা দিতে। আজও এখানে ছিল বার্ষিক ভোজ, দেশ-বিদেশের অনেকেরই তাই এ উপলক্ষে আসার কথা ছিল।তাই এরকম বিখ্যাত একটা প্রতিষ্ঠানে হামলার খবরে বিজেপি বা শিবসেনা প্রতিক্রিয়া দেখাতেই পারে। তাছাড়া এরাতো এম্নিতেই দাঙার জন্য মুখিয়ে থাকে, তার উপর এত বড় একটা ইস্যু পেলে তো কথা-ই নেই
@নির্ঝরা শ্রাবণ,
বেশিনা, একটু পেছন ফিরে তাকাই, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে যখন প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক ইন্দনে গ্রামের পর গ্রাম হত্যা-নির্যাতন-ধর্ষণের শিকার হয়েছিল সংখ্যালঘু হিন্দুরা, যখন বান্দরবনে খুন হয়েছিল, বৌদ্ধ ভিক্ষুরা, তখন এর প্রভাবে কোন কোন দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছিল জানাতে পারলে ভালো হতো| আমি নিজে অবস্থান করছি ভারতের এমন একটা জায়গায় যেখানে ইসলাম ধর্মালম্বী এবং সনাতন ধর্মালম্বী মানুষের অনুপাত প্রায় অর্ধেক-অর্ধেক| এখানে আমি আছি ৫ বছর, এর মাঝে আমাদের দেশে অনেক মন্দির ভাঙ্গা হয়েছে, প্রতিবার দূর্গা পূজার সময় এই ঘটনা অতি স্বাভাবিক, কিন্তু তার প্রভাব এখানে কেনো পশ্চিমবঙ্গেও দেখিনি, শুধু তাই নয়, আমি অযোধ্যা এর সম্পর্কিত হাইকোর্ট এর রায় এর সময় ওই জায়গাতে ছিলাম, কিন্তু সেখানেও দাঙ্গা হতে দেখিনি|
আপনার খোড়া যুক্তির কোনো কারণ দেখিনা এখানে|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অরফিয়াস,
আমিও বলছিনা সব জায়গায় প্রতিক্রিয়া হতে পারে। আমার মন্তব্যের শেষদিকে পড়লেই এটা আপনার বুঝতে পারবেন। আমি বলছি শিবসেনা বা বিজেপি হয়ত এটাকে ইস্যু হিসাবে দাড় করাতে পারে
মিডিয়ার নীরবতা শুধুমাত্র এই কারণে? এই যুক্তিটা সঠিক অর্থে মানতে পারলাম না।
ডাকঘর | ছবিঘর
দুটো ব্যাপার -
১) বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিক্রিয়া ভারতে হওয়া সম্ভব না। এরকম হয়েছে শোনা গেলে আমি বলব এটা ভারত সরকারের প্রচার ও বাংলাদেশের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা। ভারতে বাবরি মসজিদ ভাঙার কারণে বাংলাদেশে দাঙ্গা হলে সেটা সম্পূর্ণ বাংলাদেশের ইস্যু।
২) অন্যটা আমার জানা মতে বাংলাদেশের (বা পাকিস্তানের) কোনো ঘটনার জন্য ভারতে দাঙ্গা ঘটেনি ১৯৪৭ এর পরে। যা ঘটেছে সবই স্থানীয় ইস্যুতে। এটা অবশ্য আমার পক্ষে ১০০% নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এই সরকারের সময় অন্তত এটা আশা করিনি ! শুধু শুধু মুখে অসাম্প্রদায়িক বললেই তো আর হয়্না, কাজেও দেখাতে হয় । কার যে কোথায় দায় বুঝা বড় মুশ্কিল !
সংখ্যালঘু কথাটার উপর আমার চরম আপত্তি। অনেক আগে থেকেই হিন্দুমুসলিম পাশাপাশি আছে।মানুষ পরিচয়ে আবার সংখ্যাগুরু ,সংখ্যালঘু কি জিনিস? এ সব শব্দ গুলো এক এক টা হাতিয়ার যুগ যুগ ধরে। ধিক তাদের যারা ধর্মীয় পরিচয়ের আড়ালে মানবতা কে আছড়ে ছুঁড়ে মারে আস্তাকুড়ে।
সরকার ঘটনাটা খুব বেশী প্রচার না পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে যে কোন ভাবেই হোক না কেন। যে কোন কারণেই হোক না কেন। ভারতীয় হাই কমিশনের অনুরোধের কথা বললো উপরে একজন। কিন্তু এই জাতীয় ঘটনা চেপে রাখার যে উদ্দেশ্য তা হলো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যেন না ছড়ায় সেই ব্যবস্থা করা। কিন্তু সেই উদ্দেশ্যের গোড়ায় তো গরমপানি ঢেলে দেবে জামাত শিবির। মাত্র গতকাল মার খেয়েছে ওরা। চট্টগ্রামে ওহাবী মাদ্রাসার ছাত্রদের মদদে এই হামলাগুলো পরিচালনা করা হলেও তার পেছনে জামাত থাকার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশী। বিশেষ করে রাতে মসজিদের দেয়ার ভাঙ্গার কাজটা ওদের হবার সম্ভাবনাই। এদেশের সব সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জামাত ছিল ফুয়েল সাপ্লা্য়ার। এবারও সেরকমই কিছু হবে। কিন্তু মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। বিন্দুমাত্র প্রশ্রয় যেন না পায়। নন্দীর হাট এলাকাটা ছাত্রলীগের ঘাটি বলে পরিচিত। সেখানে এরকম একটা ঘটনার সুত্রপাত খুবই দুঃখজনক। আজকে সন্ধ্যার আর কোন খবর পাওয়া যায়নি শহরে বসে। বিভ্রান্তিমূলক খবর থেকে সঠিক খবর বাছাই করাই মুশকিল। তাই প্রশাসনকে সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে মিডিয়ার কাছে ব্যাপারটা যতটুকু ঘটেছে ততটুকু তুলে ধরে। লুকোচুরি করার কিছু নেই, লুকোচুরিতে বড় ক্ষতি হয়ে যায়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এন্টার্কটিকায় বাসা ভাড়া লমু। থাহুম না এইহানে।
আমিও তাই ভাবছিলাম। চলেন ভাই আমরা 'আবাল'রা সবাই মিলে বঙ্গোপসাগরে ঝাপ দেই।
পানির নিচেও অইগুলা প্ল্যাঙ্কটনের মতো জন্ম নিবো। এইগুলার জাতই খারাপ!
নির্ঝরা ,ধন্যবাদ । অনেকটুকু ঘটনা ক্লিয়ার করেছেন বলে ।
আর তাপস ,
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে এতো এতো পুটু মারার পর একমাত্র আপনারই শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে ।যাক একজন তো পাওয়া গেলো ।তাই বা কম কি !
ক্যান আপনার হয়নি সুইচ টু রেস্ট। আপনি কি ওদের সাথেই আছেন নাকি?
ডাকঘর | ছবিঘর
কিছু বলার নাই, যাদের সাথে হচ্ছে এসব তাদের দুঃখ বোঝার ক্ষমতাই নেই আমার। শুধু বলতে চাই, আর কত? মৌলবাদীদের আর কত বছর সহ্য করব আমরা !
ধিক্কার। জামাত-শিবির মৌলবাদ নিপাত যাক, নিপাত যাক।
facebook
মিডিয়া কোনো রহস্যজনক কারণে নীরব। আমি যতদূর জানি এবং নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েও বলতে পারি এদেশে সকল ধর্মের মানুষ চিরকালই সহাবস্থান করেছে। কিন্তু যুগে যুগে আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চেয়েছে রাজনীতিকেরা। এবারও তাই। দেশের কোন একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী ছোট্ট একটা ঘটনাকে আশ্রয় করে নিজেদের ফায়দা লোটার চেষ্টায় রত।
রাতে যদি কেউ মসজিদের দেয়াল ভেঙ্গেও দিয়ে যায়। মাদ্রাসার শিক্ষকদের সেটা বোঝা উচিত ছিল কেউ এখানে উস্কানী দিচ্ছে। তাদের মাথায় কি সামান্যতম বিবেচনাবোধও কাজ করে না? কী অদ্ভূত এসব অশিক্ষিত ধর্মান্ধের দল!!!!
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
মাদ্রাসা শিক্ষার নামে দেশে যা শুরু হয়েছে তা রীতিমতন বিরক্তির উদ্রেগকর। তারা একএকটা গোঁয়ার তৈরী করছে যাদের কাজ জিহাদী যোশে বলিয়ান হয়ে নর্তন কুর্দন করা। আমরা শুধু বলে যাচ্ছি হায় হায় এটা কি হল, ইত্যাদি, কিন্তু আমাদের আরও মূলে যাওয়া প্রয়োজন। এদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার নামে যে প্রহসন চলছে আগে সমূলে তার পরিবর্তন জরুরী। একবার বিবিসি তে শুনেছিলাম, পশ্চিমবঙ্গে পর্যন্ত মাদ্রাসা গুলোতে নাকি বিজ্ঞান-গণিত বিষয়ক আধুনিক জ্ঞান বিতরন করা হয় আর সেখানে সবধর্মের মানুষেরাই নাকি মাদ্রাসায় পড়তে পারে আর আমাদের দেশের মোল্লাগুলোর কূপমুন্ডকতা দেখলে গা জ্বলে। আগে চাই মাদ্রাসা শিক্ষার সম্পুর্ণ আধুনিকায়ন, নয়তো কতিপয় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মোল্লাদের দ্বারা এই কাজ আবার হয়তোবা ঘটবে, কে জানে?
তাপসদা, আপনার লেখাটা কিন্তু আসলেই একপেশে হয়ে গেছে।(তর্ক না করে ভুল স্বীকার করলে খুশি হব, অবশ্য সেটা বাঙ্গালীর ধাতে নাই)।
আরে আরে, শুধু কারণ না বলে শুধু 'একপেশে' হয়ে গেছে তা বললে ক্যাম্নে হবে ভাইয়া। আপনি বলুন না কেন একপেশে হল?
উপরে দেখেন দুএকজন বলেছেন এর কারণঃ
একজনের মতেঃ এই কথাগুলি বলতে গেলে আমাকে ভারতের দাঙ্গার কথা আগে বলে 'সাফসুতরা' হয়ে আসতে হবে।
আরেকজনের মতেঃ আমি চর্যাপদ থেকে শুরু করেছি। এর আগে সেন রাজাদের কথা বলেই, তবেই আমাকে বাঙলার ইতিহাস কিংবা সভ্যতা নিয়ে কথা বলতে হবে।
এইবার আপনারটা বলুন ভাইয়া, আমাকে কি করলে কিংবা কি হলে বাঙলার ইতিহাস নিয়ে কথা বলতে পারবো? আমিও একপেশে থেকে দ্বিপেশে হই। নিজের ভুলটা বুঝার সুখটুকু অনুভব করি। বাঙালি হই। আসুন ভাইয়া হেল্প করুন, আপনাকে পিলিজ লাগে।
ডাকঘর | ছবিঘর
১২০১ সালের খিলজি তথা মুসলিম আক্রমণ বাংলাদেশের কি ক্ষতি করেছে তা যে কোন 'বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস' বই পড়লেই জানা যাবে। ৬০০ বছরের মুসলমান শাসনে বাংলা বই পাওয়া গেছে মাত্র ১০০টি (প্রায়, কম হবে)। কেউ হয়তো বলতে পারে, বাঙালির মেধা অল্প, তারা কমই লেখছে। হুমমম, তাও হইতে পারে।
নতুন মন্তব্য করুন