আবাজাব ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যা কাটাচ্ছিলাম। যদিও এমন সপ্তাহান্তের সন্ধ্যা অলস যাপন হয় না কখনোই। হয় ছুটতে থাকি বাড়ীর দিকে নয়তো অদৃশ্য টানে ঢাকায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যাওয়া হয়নি কোথাও তাই এই পল্টনেই থেকে গেলাম আমি। নেট ঘাটতে ঘাটতে অপেক্ষা করতে লাগলাম উবুন্টু'র রিলিজ। মাঝে মাঝে ভাগ্নাদের ফোন- আমার অবস্থান জানার আকাঙ্খায়। ওরা প্রায় উন্মুখ হয়ে থাকে এই দিনটির জন্য কিন্তু আমি মাঝে মাঝেই আমি ডুব দেই অন্য রাজ্যে। এই সন্ধ্যাটা সেই ডুব দেয়া সন্ধ্যা। আমি আমার স্ব রাজ্যে একাই রাজা আর প্রজার ভূমিকায়ও। দুটি বালিশ, একটি কোল বালিশ, বিছানায় ছড়ানো কিছু বই, একটা লেখার প্যাড-কলম, হাত ঘড়ি, টাই, ক্যাপ আর সর্ব সঙ্গি ল্যাপটপটি। এমন অগোছাল বিছানা থাকে শুধু মাত্র ডুব দেয়া সন্ধ্যায়। বেলা তখন বিকেল আমি দুই গ্রাস খিচুড়ি, মায়ের দেয়া নতুন জলপাই আচার, একটা শশা আর বাঁধা কপি ঘন্ট সেটিয়ে দিলাম অনায়াসে। ব্যাগটা টেনে নিয়ে বসলাম সাজাতে। সাজালাম একটা সাইড কিন্তু ল্যাপি'র জায়গাটা ফাঁকা থাকল। আজ অফিস থেকে জলপাই পেলাম। পূর্বসূরীদের বদৌলতে এই জলপাই গাছ প্র্রতি বছর মুনিব ছাড়াই অজস্র ফল দিয়ে যায়; জলপাই কি ফল! অফিসে আছে কিছু পেয়ারা গাছ মনসুর ভাইয়ের লাগানো। তার বাড়ীর ছাদ থেকে প্রায় ষাট কিলোমিটার দূরে এসে মাটির প্রকৃত আশ্রয়ে প্রতি বছর পেয়ারাও হয় প্রচুর। একটি আমগাছ নির্মলেন্দু গুনের অশোক গাছের চেয়ে কম নয়- আমও হয় অঢেল। আর রোমানরে লাগানো ট্যাং গাছে এখন সবুজ ট্যাং ঝুলছে।
অলস সমযে বসে ইচ্ছে হল কি করে আচার বানায় তার একটা রেয়াজ করা যাক- যাতে ঐ জলপাই গুলির গতি হয়। মনে করতে চেষ্টা করলাম গত আবার এমন সময় কিভাবে বানিয়েছিলাম। সরিষা, আদা, মরিচ, ধনে, জিরা, হলুদ, লবন, চিনি, পাঁচফোড়ন, সিরকা এবং যাকে ঘিরে আয়োজন। সরিষা, আদা, মরিচ, ধনে, জিরা শুকনা করে বাটতে হবে। তারপর কড়াইতে তেল দিয়ে উক্ত বাটা জিনিস গুলো চাপাতে হবে কিছুক্ষণ কষানোর পর দিতে হবে জলপাই। কিছু নাড়ানাড়ি তারপর সিদ্ধের জন্য সিরকা দিয়ে ডুবিয়ে দিতে হবে। এই নিয়মে গত বার তৈরী করা আচার খাওয়া হয়নি গতকাল তার কিছু ফেলে পরিস্কার করা হয়েছে বয়ামগুলো। এমন টক হয়েছিল যার আর পর নেই। রেসিপি আমার বান্ধুবির মায়ের কিন্তু বান্ধুবির মুখ থেকে শোনায় হয়েছিল ভুল। সিরাকা প্রয়োগের পন্থায় ছিল ভুল। প্রতি বছরই খালাম্মা আম ও জলপাইয়ের আচার তৈরী করেন আমার জন্য। গত বছর চমকে দিতে চেয়েছিলাম আমার আচার খাইয়ে কিন্তু আমি বেমালুম চমকে গিয়েছিলাম। এইযা বলতে ভুলে গেছি আমার বান্ধুবি মা হয়েছে সিঁউতি'র তাই এবার খালাম্মা নাতনিকে নিয়ে ব্যস্ত আমি তথৈবচঃ।
এমন সব চিন্তা রাশি নিয়ে পাতা উল্টা ছিলাম কলিম খান এর 'পরমাভাষার সংকেত'
সম্প্রতি ভারতবর্ষের ইতিহাস মন্থন ক'রে এ বিষয়ের কিছু লোমহর্ষক তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বস্তুজগতের বিকাশের ইতিহাসের গোড়ায় যেমন বিগ-ব্যাং, তেমনি সমাজের বিকাশের গোড়ায রয়েছে এক সামাজিকক-বিগ-ব্যাং।.............যে মৌলবিবাদের কারণে ঐ মহাবিস্ফোরণ ঘটেছিল, সেই বিবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল একটাই প্রশ্নঃ 'সামাজিক-উৎপাদন-কর্মযজ্ঞ' চালানো হবে কোন্ পদ্ধতিতে?
মন্তব্য
সেদিন থেকে প্রায় ৫ বছর পরে কিছুদিন আগে সেই ছেলেই বলল তাঁর সেদিন অনেক রাগ হয়েছিল আমার উপর। এখন আমার সেই ছাত্র, পরে কলিগ ও বন্ধুর সাথেই আমার সবচেয়ে বেশি কথা হয়।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
আপনে তো আমারেও কি একটা চাহনী দিসিলেন !!
নতুন মন্তব্য করুন