• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

একটি মোবাইল ফোনঃ আমরা স্মৃতির পাতা

অম্লান অভি এর ছবি
লিখেছেন অম্লান অভি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ৩০/১০/২০০৯ - ১০:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আবাজাব ভাবতে ভাবতে সন্ধ্যা কাটাচ্ছিলাম। যদিও এমন সপ্তাহান্তের সন্ধ্যা অলস যাপন হয় না কখনোই। হয় ছুটতে থাকি বাড়ীর দিকে নয়তো অদৃশ্য টানে ঢাকায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যাওয়া হয়নি কোথাও তাই এই পল্টনেই থেকে গেলাম আমি। নেট ঘাটতে ঘাটতে অপেক্ষা করতে লাগলাম উবুন্টু'র রিলিজ। মাঝে মাঝে ভাগ্নাদের ফোন- আমার অবস্থান জানার আকাঙ্খায়। ওরা প্রায় উন্মুখ হয়ে থাকে এই দিনটির জন্য কিন্তু আমি মাঝে মাঝেই আমি ডুব দেই অন্য রাজ্যে। এই সন্ধ্যাটা সেই ডুব দেয়া সন্ধ্যা। আমি আমার স্ব রাজ্যে একাই রাজা আর প্রজার ভূমিকায়ও। দুটি বালিশ, একটি কোল বালিশ, বিছানায় ছড়ানো কিছু বই, একটা লেখার প্যাড-কলম, হাত ঘড়ি, টাই, ক্যাপ আর সর্ব সঙ্গি ল্যাপটপটি। এমন অগোছাল বিছানা থাকে শুধু মাত্র ডুব দেয়া সন্ধ্যায়। বেলা তখন বিকেল আমি দুই গ্রাস খিচুড়ি, মায়ের দেয়া নতুন জলপাই আচার, একটা শশা আর বাঁধা কপি ঘন্ট সেটিয়ে দিলাম অনায়াসে। ব্যাগটা টেনে নিয়ে বসলাম সাজাতে। সাজালাম একটা সাইড কিন্তু ল্যাপি'র জায়গাটা ফাঁকা থাকল। আজ অফিস থেকে জলপাই পেলাম। পূর্বসূরীদের বদৌলতে এই জলপাই গাছ প্র্রতি বছর মুনিব ছাড়াই অজস্র ফল দিয়ে যায়; জলপাই কি ফল! অফিসে আছে কিছু পেয়ারা গাছ মনসুর ভাইয়ের লাগানো। তার বাড়ীর ছাদ থেকে প্রায় ষাট কিলোমিটার দূরে এসে মাটির প্রকৃত আশ্রয়ে প্রতি বছর পেয়ারাও হয় প্রচুর। একটি আমগাছ নির্মলেন্দু গুনের অশোক গাছের চেয়ে কম নয়- আমও হয় অঢেল। আর রোমানরে লাগানো ট্যাং গাছে এখন সবুজ ট্যাং ঝুলছে।
অলস সমযে বসে ইচ্ছে হল কি করে আচার বানায় তার একটা রেয়াজ করা যাক- যাতে ঐ জলপাই গুলির গতি হয়। মনে করতে চেষ্টা করলাম গত আবার এমন সময় কিভাবে বানিয়েছিলাম। সরিষা, আদা, মরিচ, ধনে, জিরা, হলুদ, লবন, চিনি, পাঁচফোড়ন, সিরকা এবং যাকে ঘিরে আয়োজন। সরিষা, আদা, মরিচ, ধনে, জিরা শুকনা করে বাটতে হবে। তারপর কড়াইতে তেল দিয়ে উক্ত বাটা জিনিস গুলো চাপাতে হবে কিছুক্ষণ কষানোর পর দিতে হবে জলপাই। কিছু নাড়ানাড়ি তারপর সিদ্ধের জন্য সিরকা দিয়ে ডুবিয়ে দিতে হবে। এই নিয়মে গত বার তৈরী করা আচার খাওয়া হয়নি গতকাল তার কিছু ফেলে পরিস্কার করা হয়েছে বয়ামগুলো। এমন টক হয়েছিল যার আর পর নেই। রেসিপি আমার বান্ধুবির মায়ের কিন্তু বান্ধুবির মুখ থেকে শোনায় হয়েছিল ভুল। সিরাকা প্রয়োগের পন্থায় ছিল ভুল। প্রতি বছরই খালাম্মা আম ও জলপাইয়ের আচার তৈরী করেন আমার জন্য। গত বছর চমকে দিতে চেয়েছিলাম আমার আচার খাইয়ে কিন্তু আমি বেমালুম চমকে গিয়েছিলাম। এইযা বলতে ভুলে গেছি আমার বান্ধুবি মা হয়েছে সিঁউতি'র তাই এবার খালাম্মা নাতনিকে নিয়ে ব্যস্ত আমি তথৈবচঃ।
এমন সব চিন্তা রাশি নিয়ে পাতা উল্টা ছিলাম কলিম খান এর 'পরমাভাষার সংকেত'

সম্প্রতি ভারতবর্ষের ইতিহাস মন্থন ক'রে এ বিষয়ের কিছু লোমহর্ষক তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বস্তুজগতের বিকাশের ইতিহাসের গোড়ায় যেমন বিগ-ব্যাং, তেমনি সমাজের বিকাশের গোড়ায রয়েছে এক সামাজিকক-বিগ-ব্যাং।.............যে মৌলবিবাদের কারণে ঐ মহাবিস্ফোরণ ঘটেছিল, সেই বিবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল একটাই প্রশ্নঃ 'সামাজিক-উৎপাদন-কর্মযজ্ঞ' চালানো হবে কোন্ পদ্ধতিতে?
এমন সব শক্ত কথামালা পড়তে পড়তে সারাটা সন্ধ্যা আমি ডুব দিলাম কিভাবে হবে আচার তৈরী এই চিন্তায়। এমন সময় হঠাৎ সম্বিত জাগানিয়া একটা ফোন এল। ভেসে উঠা নামটা শাওন। ও আমাদের পরের ব্যাচের কিন্তু বেশ দারুণ মিশুক বিধায় ঐ ভেদটু ছিল না ওর সাথে। বরং বেশীই মিস্তাম ওর সাথে ও আমার সাথে। ক্যাম্পাসের আন্দোলনেও সাথি হিসেবে পত্রিকা অফিস, বিবিসি, বাসস আর টিভি চ্যানেল গুলি চোষে বেড়িয়েছি ওকে সাথে নিয়ে। শেষ কথা হযেছে মাস খানেক আগে; ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় হবে!
সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত তখন ন'টা ফোন তুলে হ্যালো বলতেই ঐ প্রান্ত থেকে উচ্ছ্বসিত ডাক 'দাদা'
-প্রতি উত্তরে- 'কি খবর শাওন'
-দাদা, আমি একটা গাড়ি কিনে ফেললাম। টয়োটা করোলা এফএক্স্। একটু পুরানো কিন্তু দেখতে বেশ।
-আমিও তখন খুশির তরঙ্গে কথায় ভাসছি।
-দাদা, প্রথমে আব্বা পরে বৌ এবং তৃতীয় ফোনটা আপনাকে করলাম।
আমার মাথায় ডুব দিয়ে যে আচার প্ল্যান তা তখন মাথা থেকে উধাও। কি এমন বন্ধন যা মানুষকে নিয়ে যায় অনেক কাছে নিবিড় থেকে নিবিড়তর করে। ভাবতে ভাবতে আর ঐ শক্ত ভাষার বই পড়তে পড়তে মধ্য রাত হয়ে যায়। শাওন ভালো থাক। ভালো থাক আর সব স্মৃতি তাড়ানিয়া সম্পর্ক নায়ক-নায়িকা।


মন্তব্য

রেশনুভা এর ছবি

কি এমন বন্ধন যা মানুষকে নিয়ে যায় অনেক কাছে নিবিড় থেকে নিবিড়তর করে।
আমি তখন সদ্য ব্যাচেলর করে নিজের ভার্সিটিতেই শিক্ষকতায় ঢুকেছি। আমার প্রথম থিওরী ক্লাস ছিল ফার্স্ট ইয়ারের সাথে। আমি কোন একদিন ঐ ক্লাসের একটা ছেলেকে গাধা বলেছিলাম কিছু একটা ভুল করায়।

সেদিন থেকে প্রায় ৫ বছর পরে কিছুদিন আগে সেই ছেলেই বলল তাঁর সেদিন অনেক রাগ হয়েছিল আমার উপর। এখন আমার সেই ছাত্র, পরে কলিগ ও বন্ধুর সাথেই আমার সবচেয়ে বেশি কথা হয়।

শাহান এর ছবি

আপনে তো আমারেও কি একটা চাহনী দিসিলেন !!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।