কতখানি ফাঁকা তুমি?
আমার মতই কি জলে আঁকা সুখ?
প্রিয়মুখ পুড়ে যায় না-চেনার ভানে।
তোমাকে দেখে ঠিক আমার মতই মনে হয়।
অবিকল বিকল ডানা।
হাতে পায়ে একই করাতের দাগ।
চোখ তুলে তাকালে দেখলাম, চোখ নেই, আছে যশোর।
একটা আস্ত শহর চোখে এঁটে এঁটো কুড়াচ্ছ কুকুরদের সাথে।
ঘুরেফিরে শহরের বিভিন্ন ডাস্টবিনে আমাদের দেখা হয়।
মৃত শিশু, জলের বোতল বা গহন কাঁকন।
সুধীজনের কোঁচকানো মুখের পরিপাটি বসার ঘরেও পাই
সেই একই কুষ্ঠ গন্ধ।
প্লেটে সাজানো সন্দেশের সাথে এক টুকরো ফ্রি উন্নাসিকতা চেটেপুটে খাই।
আমাদের বড় ক্ষিদা পায়, আমাদের চোখ নেই, আছে যশোর।
ওরা নিয়ে নেয় সব জলে আঁকা সুখ, মাধবীর বন, পাখিদের সাজ।
শহরের ডাস্টবিনে বিকল মানুষ, চল ফাঁকা হই, চিনে নেই প্রিয়মুখ।
মন্তব্য
বান্ধায়া রাখনের মতো একটা কবিতা পড়লাম...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কবিতা-পড়া মানুষদের কাছ থেকে এমন কথা শুনলে দিনটা খুশিয়াল হয়ে যায় , কথা মিথ্যা হলেও।
আমাকে মিথ্যুক বলায় তেব্র দিক্কার...
আমি কিন্তু মিছা কই নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অন্নেক ধন্যবাদ
প্লেটে সাজানো সন্দেশের সাথে এক টুকরো ফ্রি উন্নাসিকতা চেটেপুটে খাই
কষ্টে গিলতে হয় এমন এক বাস্তবতা। সন্দেশের মতই গলায় আঁটকে যায়।
চোখ নেই, আছে যশোর
এই শহরটাকে চিনি মনে হয়। অনেকটা আমাদের যে কারো চেনা শহরটার মত। যে অনায়াসে ঢুকে যায় চোখে অথবা মগজে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
যশোর না হয়ে হতে পারে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী। বসিয়ে নিন যে যার ফেলে আসা শহর, যে শহর চোখে নিয়ে ঘুরি, মনেমনে ডাকি।
বাংলাদেশের অনেক শহরে গেছি, যশোর কখনো যাইনি। আমার ধারণা শহরে পিচের রাস্তার বদলে শীতলপাটি বিছানো। আর অনেক তালপুকুর শহর জুড়ে।
কবিতাটা পড়তে পড়তেই পাউল সেলানের একটা কবিতার কথা মনে পড়ল- 'বছরগুলো তোমার থেকে আমার দিকে'।
অনুভূতির চূড়ান্ত প্রকাশ, প্রায় অলৌকিক, এর থেকে বেশি যেন নেয়া যায় না, কিংবা একজন কবিই নিতে পারে। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি একটা পরীক্ষা চালিয়েছিলাম, 'গ্রাস' নামে একটা কবিতায়, কতটা উতরেছিল জানিনা, তবে এধরনের কবিতা প্রসবের সুখই আলাদা, এটা বুঝেছিলাম।
হুম, কবিতাটা লিখতে খুব আরাম লেগেছে এটুকু বলতে পারি
আপনি লেখেননা কেন? দিয়ে দিন এখানে "গ্রাস" কবিতা, পড়ি, পড়তে ইচ্ছা করছে।
আপনি অসাধারণ! আর কিছু বলার ভাষা পাচ্ছিনা।
গল্প চাই, "মনামীর গল্প"
গল্প চাই, "মনামীর গল্প"
ডুপ্লি
-------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
আনন্দী - তোমার কবিতা আর তোমাকে কেন যেন মেলাতে পারি না! খুব সম্ভবত সেটাই হওয়ার কথা, সেখানেই কবি আনন্দীর সার্থকতা। কথা বলার সময় যে নরম সরম আনন্দীকে চিনি, তোমার লেখা, বিশেষ করে কবিতা (গল্পও না) পড়লে একদম অন্যরকম একটা অনুভূতি হয়! আমি জানি, কবিতা পড়ে পাঠকের তো আর কবিতার পেছনের মানুষটাকে নিয়ে মাথা ঘামানোর কথা নয়, কবিতাতেই মনোসংযোগ করবার কথা - মানিও সেটা। তারপরও বলেই ফেললাম ......
আর, তোমার গল্প পড়লে একদম একজন তৈরী গদ্যকারকে টের পাই, কবিতা পড়লে মনে হয় - in the making .....
আশা আছে, এসব চরম মাতব্বর মার্কা কথাবার্তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে
সেই গল্পটা দিলে না?
যাও মাফ করে দিলাম, দিদিভাইই তো
আমি জীবনে কোনদিনও গল্প লিখিনাই, সচলে প্রথম লিখলাম, আর বলে কীনা তৈরি গদ্যকার !!!! সবকিছুই in the making....
কবিতা লিখতে সবচেয়েয়েয়ে স্বস্তি পাই, সবচেয়ে সৎভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারি। কবিতার আড়ালের সুযোগে রাগ, ঘৃণা, অন্ধকারগুলো বলতে খুব সহজ লাগে। অনেক ভেবে দেখলাম, সবকিছুর বিনিময়ে কবিতাই লিখতে চাই, আর কিচ্ছুনা। তোমাদের ভাল লাগলে এখানে দেব পড়তে, নয়তো খাতায় জমবে, তবে লিখবো।
গল্পটা লিখিনি এখনো, একটু সময় নিয়ে লিখবো।
আমাকে "কোমল" ভেবে ভুল করোনা একদম, সাবধান
অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ মাতব্বরিটুকুর জন্য
কী মুশকিল, তোমাকে কবিতা লিখতে নিরুৎসাহিত করসি নাকি তোমার গল্প আমার বেশি ভাল্লাগে এটাই বললাম। লিখো বাবা লিখো, পাতার পর পাতা কবিতাই লিখো নাহয়, আর এখানে দিবা না তো কী??!!
এহহহহ, আবার সাবধান করে!
এই লাইনটুকু বাদে কবিতাটা ভালো লাগলো।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ভালো লেগেছে কবিতাটা।
অনেকদিন পর একটা কবিতা পড়লাম। ভালো লাগলো।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
বেশ লাগল কবিতাটা।
কৌস্তুভ
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
সবজান্তা, যুধিষ্ঠিরদা, পলাশ রঞ্জন সান্যাল, কৌস্তুভ, তানিম সবাইকে
একসাথে ধন্যবাদ
'শহরে পিচের রাস্তার বদলে শীতলপাটি বিছানো। আর অনেক তালপুকুর শহর জুড়ে।'- আমিও যশোর যাইনি। এরপর কি যাওয়া ঠিক হবে? পৌরাণিক নগরের মতো দৃশ্যকল্পটা ভেঙে যায় যদি!
আপনার এই কবিতাটা আমার সবচে পছন্দ।
অসাধারন ।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
নতুন মন্তব্য করুন