এক রাতে, ব এর তেমন কিছু করার নেই, তো ফোন ঘুরাতে ঘুরাতে পেয়ে গেল ম কে, অপর প্রান্তে। ততদিনে দুজনই বুড়িয়ে গেছে, তবু একজনের কণ্ঠ অন্যজনকে জানান দেয় যৌবনের, স্পেনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। পুরানো বন্ধুত্ব ঝালিয়ে নেয় আবার, আর দেখা করার একটা দিনও ঠিক করে ফেলে দুজনে। দুজনই তখন পার করছে বিয়ে-বিচ্ছেদের ট্রমা আর হতাশা। তো ম এর শহরে যাবার জন্য ব যখন ট্রেনে চেপে বসেছে, ঠিক তখনো ব এর মাথায় প্রেম নেই, বা হৃদয়ে। প্রথম দিনটা সারাদিন ম এর অ্যাপার্টমেন্টেই কাটলো, কথা বলে (আসলে ম-ই বেশিরভাগ কথা বলে, ব মাঝেসাঝে টুকটাক কিছু প্রশ্ন করে)। রাতে ম ব কে বিছানায় ডাকে। ব এর খুব একটা ইচ্ছা ছিলনা ম এর সাথে শোবার, কিন্তু না করে না। সকালে ঘুম ভেঙে, ব আবার ম এর প্রেমে পড়ে। কিন্তু এই প্রেম কি আসলে প্রেম না কি প্রেমে পড়ার ধারণাটার প্রতি প্রেম? ওদের সম্পর্কটা গভীর আর জটিল, এই যেমন ম প্রায় প্রতিদিনই আত্মহত্যার চেষ্টা নেয়, মনোচিকিৎসকের সেশনে যায়(ওষুধ, প্রচুর ওষুধ খায়, যদিও তাতে লাভ হয় না খুব একটা), আর হঠাৎ হঠাৎ কোন কারণ ছাড়াই কান্নায় ভেঙে পড়ে। তো ব ম এর দেখাশোনা করে। ব খুবই ভালোবেসে আর যত্নের সাথেই কাজটা করতে চায়, কিছু ওলটপালটও বাঁধায়। আমরা বলতে পারি, কেউ কাউকে সত্যি সত্যি ভালোবাসলে এমন হয়, ব ও তা বোঝে। সে চেষ্টা করে ম কে এই তীব্র বিষাদ থেকে বের করে আনতে, কিন্তু প্রতিবারই ম গিয়ে পৌঁছায় কোথাও না-পৌঁছানোর রাস্তায়, আরও পরিষ্কার করে বললে ম এর মতে ব এর সব চেষ্টাই নিস্ফল। কখনো কখনো, একা থাকার সময়, বা ম এর ঘুমাবার সময়, ব এরও একই কথাই মনে হয়, সবই নিস্ফল। পালটা প্রতিষেধক হিসেবে ব ভাবতে থাকে আগের সুসম্পর্কগুলির কথা, নিজেকে বোঝায় ম কে ছাড়াও বেঁচে থাকা সম্ভব, নিজে নিজে, নিজের সাথে। একরাতে ম ব কে চলে যেতে বলে, ব আবার ট্রেনে চেপে বসে, এবার ম এর শহর ছেড়ে যাবার জন্য। ম অবশ্য স্টেশনে আসে আর বিদায় জানায় ব কে। আমাদের আর এই বিদায়পর্ব থেকে আর নতুন কিছু আশা করার কোন কারণ নেই। ব ঘুমাবার জন্য একটা স্লিপার বুক করেছিলো, কিন্তু ঘুম আসে না। শেষপর্যন্ত যখন ঘুম আসে, তখন স্বপ্ন আসে, একটা মরুভূমিতে এক তুষারমানব হেঁটে বেড়াচ্ছে। কোন একটা সীমান্তর খোঁজ়ে, বা আসন্ন বিপদের। কিন্তু, এই সব হতে-পারা কে বাতিল করছে প্রত্যয় আর ধূর্ততা দিয়ে। সে হাঁটে রাতে, যখন কনকনে নক্ষত্রের আলো ভাসিয়ে দেয় অনুর্বর কে। জেগে ওঠে ব (ততক্ষণে ট্রেন পৌঁছে গেছে গন্তব্যে, বার্সেলোনার স্যান্টস স্টেশনে), ব এর মনে হয় সে বোধহয় স্বপ্নটার মানে বুঝতে পেরেছে (যদি আদৌ তার কোন মানে থাকে), আর এই ভাবনাটাই খানিক স্বস্তি দেয়, বাড়ি ফেরার পথে। সেই রাতেই ম কে ফোন করে ব, জানায় স্বপ্নের কথা। ম চুপচাপ, কথা বলে না। পরেরদিন আবার ফোন করে ব। তার পরের দিন ও। দিনকে দিন ম এর ব্যবহার শীতলতর হয়, যেন প্রতি ফোনকলের সাথে একটু একটু করে ব ম এর কাছ থেকে আরো দূরে চলে যাচ্ছে। আমি মুছে যাচ্ছি, ভাবে ব। ম মুছে ফেলছে আমাকে, আর ও খুব ভাল করেই জানে কী করছে আর কেন করছে। এক রাতে, মরিয়া হয়ে ব জানায় আগামীকালই সে পৌঁছাচ্ছে ম এর বাড়িতে, এই ট্রেনে চেপে বসল বলে। এমন চিন্তা মাথাতেও এন না, বলে ম। আমি আসছি, বলে ব, এইসব ফোনে কথা বলা একদম পোষাচ্ছে না আমার, আমি তোমার মুখ দেখতে চাই কথা বলবার সময়। আমি দরজা খুলবো না, জানায় ম, তারপর রেখে দেয় ফোন। ব কিছু বুঝতেই পারে না, কী হচ্ছে। চুপ করে বসে অনেকক্ষণ ভাবে, আবেগ আর বাসনার এমন চূড়ান্ত ওঠানামা কী করে সম্ভব। এরপর সে কোন একটা বইয়ে ডুব দেয় বা মাতাল হয়। দিন কেটে যায়।
এক রাতে, আবার ছয় মাস পর, ব ম কে ফোন করে। গলা শুনেই চিনতে পারে ম ব কে। ওহ, তুমি, সে বলে। আগেকার সেই নিস্পৃহতা কেটে গিয়ে সেখানে এখন উচ্ছাস। আর ব এর এটাও মনে হয় ম ব কে কিছু একটা জানাতে চায়। আমার কথা ম এমন আগ্রহ করে শুনছে যেন মাঝে কোন সময়ই বিচ্ছেদের ছিল না, যেন আমরা গতকালই মাত্র কথা বলেছি, ভাবে ব। কেমন আছ? জানতে চায় ব। নতুন কোন খবর? খানিক হুঁ, হাঁ করে আবার ফোন নামিয়ে রাখে ম। ধাঁধায় পড়ে ব, ম এর নাম্বার ঘোরায় আবার। ফোন যখন পায়, ব এবার ঠিক করে চুপ থাকার। ফোনের অন্য প্রান্তে ম এর গলাঃ হ্যালো, কে বলছেন? এ প্রান্তে নীরবতা। ম বলে, আমি শুনছি, আর অপেক্ষা করে। টেলিফোন লাইনটি এক পাড় থেকে অপর পাড়ে সময় পৌঁছায়, কথা নয়, সেই সময় যা ব আর ম এর মাঝে বয়ে যায়, যা ব বোঝে না, আর ব এর নীরবতাই সেই নিথর সময় কে বাড়ায় বা কমায়, সময়ের যা ধর্ম। এসব কিছু না বুঝেই, ব কাঁদতে শুরু করে। ব জানে ম বুঝতে পারছে ফোনটা কার। তারপর, চুপ থেকেই, এবার ব ফোন নামিয়ে রাখে।
এ পর্যন্ত, গল্পটিকে অতি সাধারণ বলা যায়। বা খারাপ সময়ের গল্প যা অহরহই শুনতে পাই চারপাশে। তো ব এর কাছে এটা পরিস্কার হয়ে যায় যে ম কে তার আর কখনোই ফোন করা উচিৎ না। একদিন দরজায় খটখট শব্দ, খুলে ব দেখে আ আর জি। তারা এসেছে পুলিশ থেকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে। কিন্তু কিসের জন্য, ব জানতে চায়। আ কারণ জানাতে আগ্রহী নয়, কিন্তু জি নানা ঘোরপ্যাঁচ করে আসল কারণটা বলেই ফেলে। তিনদিন আগে, স্পেনের অন্য প্রান্তে, ম খুন হয়েছে। খবরটা শুনে ব প্রথমে হতচকিত হয়ে যায়, আর একটু পরেই বুঝতে পারে পুলিশের সন্দেহের তালিকায় সেও একজন। পুলিশ বিশেষতঃ গত দুদিনের ব এর চলাফেরার হদিশ জানতে চায়। ব ঠিক মনে করতে পারে না সে গত দুদিনে কি করেছে বা কাদের সাথে দেখা হয়েছে। কিন্তু, এটুকু জানে যে গত দুদিনে বার্সেলোনা ছেড়ে কোথাও যায়নি- বা বলা যায় নিজের এলাকা বা অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়েই কোথাও যায়নি সে- কিন্তু তার কোন প্রমাণ নেই ব এর কাছে। তো, পুলিশ ব কে ধরে নিয়ে যায়। রাতটা সে কাটায় পুলিশ ফাঁড়িতেই। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ব এর মনে হতে থাকে, পুলিশ হয়তো তাকে ম এর শহরে নিয়ে যাবে, আর অবাক ব্যাপার, এই সম্ভবনা ব কে আনন্দ দেয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয় না। পুলিশ ব এর আঙুলের ছাপ নেয় আর ব্লাডটেস্টে ব এর সম্মতি আছে কিনা জানতে চায়। ব রাজি হয়। পরদিন সকালে ব ছাড়া পায়। ব কে গ্রেফতার করা হয় না, বরং খুনের কিনারা করার জন্য পুলিশের একজন সহযোগী হিসেবে দেখানো হয় ব কে। বাড়ি ফিরেই ব ঝাপিয়ে পড়ে বিছানায় আর সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়ে। স্বপ্নে আসে মরুভূমি আর ম এর মুখ। তবে জেগে ওঠার পরপরই ব বুঝতে পারে ও দুটো আসলে একই জিনিস। আর সেই মরুভূমিতে ব হারিয়ে গেছে তাও খুব সহজেই বুঝে ফেলে ব এবার।
সেই রাতেই ব্যাগে কাপড়চোপর ভরে স্টেশনে যায় ব, ট্রেনে চেপে বসে আর রওনা দেয় ম এর শহরে, মানে যে শহরে ম থাকত। সারা রাতের যাত্রা, স্পেনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। চোখে ঘুম নেই, ব কেবল ভাবছিল সেসব কথা, যা যা সে করতে পারত অথচ করেনি, যা যা সে দিতে পারত ম কে, অথচ দেয়নি। এও ভাবছিল, আমি মারা গেলে ম কখনোই দেশটা ফুঁড়ে অন্য প্রান্ত থেকে আসত না। আর ভাবল, ঠিক আমিই কেন বেঁচে রইলাম। গোটা নির্ঘুম যাত্রায়, প্রথমবারের মত, ম এর মূল্য বুঝল হয়তো, আর আবার প্রেমে পড়ল, এবং, শেষবারের জন্য, হাল ছেড়ে দেবার মত, নিজেকে অসহ্য মনে হল। পৌঁছানোর পর, সক্কালবেলাতেই গিয়ে হাজির হল ম এর ভাইয়ের বাসায়। ব কে দেখে ম এর ভাই অবাক আর কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত, কিন্তু ভেতরে এসে কফিপানের আমন্ত্রণ জানালেন। তার জামাকাপড়ের ঠিক নেই আর মুখটা ভেজা। ব লক্ষ্য করল, তিনি স্নান করেন নি কিন্তু শুধু মুখ ধুয়েছেন আর চুলটা কিছু ভিজিয়েছেন। তো ব কফির আমন্ত্রণ গ্রহণ করল, আর বলল যে গতরাতেই মাত্র সে জানতে পেরেছে ম এর খুনের কথা, আর পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে কী হয়েছে জানতে চেয়ে। পুরো ব্যাপারটাই দুঃখজনক, কিন্তু তুমি এসবের মাঝে ঢুকলে কি করে, কফি বানাতে বানাতে বলে ম এর ভাই। পুলিশ ভাবছে আমিই হয়তো খুন করেছি ম কে, বলে ব। হেসে ওঠে ম এর ভাই। তুমি তো সবসময়ই কোন না কোন প্যাঁচে পড়, অভাগা একটা তুমি, না? সে বলে। ব ভাবে, অভাগা কিকরে, যখন আমিই বেঁচে আছি। আবার এটাও তো ঠিক, পুলিশের চোখেও সে নির্দোষ। এরপর ব কে বাসায় রেখে ম এর ভাই কাজে চলে যায়। ক্লান্ত ব, শোওয়ার সাথে সাথে গভীর ঘুমে তলিয়ে যায়। আর বরাবরের মতই, স্বপ্নে আসে ম।
জেগে উঠে, ব এর মনে হয়, ব জানে কে খুনি। সে খুনির মুখ দেখেছে। সে রাতে ব ম এর ভাইয়ের সাথে বের হয়। বিভিন্ন বারে ঢুঁ মারে, কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও মাতাল হতে পারে না। ফাঁকা রাস্তা ধরে বাড়ি ফেরার সময়, ব বলতে থাকে সে ম কে ফোন করত কিন্তু কথা বলত না। তো কথা না বললে ফোন করতা কেন? ম এর ভাই বলে। এমনটা শুধু একবার করেছি, ব বলে, কিন্তু এটা বুঝেছিলাম ম এ ধরণের অনেক কল পায় প্রায়ই, এবং সে মনে করত আমিই ওই কলগুলি করতাম। তার মানে খুনি ওইসব নাম-না-জানা কলারদেরই কেউ? একদম তাই, ব বলে, আর ম ভাবত সেটা আমিই। ম এর ভাই বলে ওঠেঃ আমার মনে হচ্ছে তাহলে সে ওর প্রাক্তন প্রেমিকদের মাঝেই কেউ হবে, আর ছিল তো বেশ কয়েকজন, জানোই তো। ব আর এর উত্তরে কিছু বলে না (যেন ম এর ভাই ব্যাপারটা কিছুই বোঝেনি) বাকিটা পথ দুজনেই কথা না বলে হাঁটে, চুপচাপ।
লিফটে ওঠার পরই ব এর বমি বমি লাগে। আমি যাচ্ছি বমি করতে, বলে সে। দাঁড়াও, দাঁড়াও, বলে ওঠে ম এর ভাই। চটপট প্যাসেজের শেষ মাথায় পৌঁছে যায় দুজনেই, ম এর ভাই বাসার দরজা খুলতে না খুলতেই, ব বাথরুমে দৌঁড় লাগায়। কিন্তু, বাথরুমে পৌঁছেই বমি-বমি ভাব উধাও। পেটে ব্যথা আর ঘাম হচ্ছে খুব, কিন্তু বমি আর হয় না। কমোডের দিকে তাকালে মনে হচ্ছে, ব এর অবস্থা দেখে ফোকলা দাঁতে হাসছে। অথবা হাসছে অন্য কাউকে নিয়ে, যাই হোক। মুখ-টুখ ধুয়ে ব এবার আয়নায় তাকায়, মুখটা একেবারে সাদা চাদরের মত ধবধবে সাদা। বাকি রাতটা ছাড়াছাড়া ভাবে কেটে যায়, পড়ে আর ম এর ভাইয়ের নাকডাকা শুনে। পরদিন সকালে বিদায়পর্ব সেরে ব ফিরে যায় বার্সেলোনায়। ওই শহরে আর যাব না, ভাবে ব, ওখানে তো আর ম থাকে না এখন।
এক সপ্তাহ বাদে, ম এর ভাই ফোনে জানায় ম এর খুনি কে ধরেছে পুলিশ। লোকটা ম কে নাম না বলে, কথা না বলে, ফোন করে উৎপাত করত। ব কোন কথা বলে না। এক প্রাক্তন প্রেমিক, বলে ম এর ভাই। ঠিক আছে, ধন্যবাদ জানাবার জন্য, বলে ব। ফোন রেখে দেয় ম এর ভাই, আর ব, একা।
বই
Last Evenings on Earth
Roberto Bolaño
New Directions;
First Edition
May 31, 2006
মন্তব্য
বেশ তো!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য
ধন্যবাদ মন্তব্য ও পাঠের জন্য
অনুবাদ ভাল লাগলো। একজন (ব এর কথা বলছি) আরেকজনকে এতোটা ভালবাসে কীভাবে এটা মনে হয় সারাজীবনেও বুঝবনা। না বোঝাই মনে হয় ভাল। -রু
ভালো লাগলো!
ধন্যবাদ
ব আর ম এর সম্পর্ক রীতিমত জটিল মনে হলো। গল্পটা ভালো লেগেছে। অনুবাদের এক দুই জায়গায় সামান্য সুর কেটে যাওয়ার মতো মনে হলেও সব মিলিয়ে অনুবাদ ভাল লেগেছে। সামান্য সুর কেটে যাওয়ার মতো মনে হওয়ার ব্যাপারটা বড় বড় অনুচ্ছেদের কারণেও হতে পারে। আবার না-ও হতে পারে। ঠিক এই ধরণের সোজা সাপটা বাক্যে বড় বড় অনুচ্ছেদ পড়তে হয়তো অভ্যস্ত নই, এ কারণেও হতে পারে। তবে যাই হোক না কেন, সব কিছু মিলে গল্পটা পড়তে ভাল লাগলো।
গল্পটা পড়ে আমি খুবই বোরড হয়েছি, পরে বুঝলাম লেখক কোন গল্প বলতে চান না, সেটাই লেখকের উদ্দেশ্য। যখনই গল্প বলার সম্ভবনা তৈরি হয়, তখনই তা নস্যাত করেন। আমাদের প্রাত্যহিক জীবন তো এরকমই, নানা ঘটনা-অঘটনা ঘটে, তারপরও এই গল্পের ব চরিত্রের মত অগল্পে বাঁচি।
লেখক বা গল্পের ইংরেজি ভাষার অনুবাদকের অনুচ্ছেদের গঠন বজায় রেখেছি। আর বাক্যগুলিও এমনি সোজাসাপ্টা, কাব্য-টাব্য বিশেষ নেই। আর মূল গল্পে ব চরিত্রটি B দিয়ে, আর ম চরিত্রটি X দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মতামত দেবার জন্য
ভালো লাগলো
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
নতুন মন্তব্য করুন