প্রশ্ন হল, যিনি থিসিস করেছেন “বীরাঙ্গনা” নিয়ে, তার বানানো ছবির মূল চরিত্র প্রেমে পড়েন এক পাকিস্তানি সেনার। তার থিসিসের সেই দুই লাখ বা চার লাখ বীরাঙ্গনা কোথায় গেল, যারা দিনের পর দিন অকথ্য নির্যাতন সহ্য করেছেন? তিনি বলেছেন, তার উদ্দেশ্য যুদ্ধে নারীর অভিজ্ঞতা তুলে আনা, নারীর চোখে যুদ্ধ কে দেখা। এবং তা করতে গিয়ে, নারীর যে টিপিক্যাল রূপ আমরা দেখে থাকি সবসময়, রাজনীতি-বিমুখ, দর্শন-বিমুখ, গোলাপি জামাকাপড় পরা, আলগা রোমান্টিকতায় ভাসতে থাকা নারী, তারই চূড়ান্ত রিপ্রেজেন্টেশন “মেহের” চরিত্রটি। যে বিছানায় কাত হয়ে শুয়ে ডায়রির সাথে ন্যাকামি করে, দেশে কেন যুদ্ধ হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধ কেন সে সময়ের দাবী ছিল, এসব কোনকিছুই তার জানার বা বোঝার আগ্রহ নেই, বরং বারবার বলে চলে, যুদ্ধ তার পছন্দ নয়। বামপন্থী রাজনীতি কী ও কেন, কেন মস্কোপন্থী আর চীনপন্থীর বিভাজন এসব নিয়েও তার কোন আগ্রহ নেই। “মেহের” চরিত্রটি একজন সংবেদনশীল মানুষ হিসেবেও ব্যর্থ। তার বোন “নীলা” র পাকিস্তানি ক্যাম্পের অসহনীয় অভিজ্ঞতা নিজের চোখের সামনে দেখেও ওয়াসিম কে নিয়ে ফ্যান্টাসি করতে তার বাধে না। ধরে নিলাম, যুদ্ধ মেহেরের পছন্দ নয়, কিন্তু মেহেরের কোনও ফ্যান্টাসিতে কি “স্বাধীন দেশ” দেখেছি আমরা? লাল-সবুজ পতাকা উড়ছে, হাজার হাজার মুক্ত মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস করছেন, তেমন কোন ফ্যান্টাসি কি দেখেছি মেহেরের ভাবনায়? না, লাল-সবুজ পতাকা নয়, দেখেছি পাকসেনার সাথে জলকেলি। "শান্তি"র তরিকা হিসেবে “মুক্ত স্বদেশ” ভাবনা কেন আসেনা মেহেরের ভাবা কল্পদৃশ্যে?
“নীলা” ধর্ষিত হবার পর যুদ্ধে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। কেন? আমরা জানি, অনেক নারী সেসময় স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যুদ্ধে গিয়েছেন, যুদ্ধে যাবার জন্য আগে ধর্ষিত হবার প্রয়োজন নেই। আবারো নারীকে শুধুমাত্র “নারী” হিসেবে দেখানোর প্রবণতা।
যদি সিনেমাটি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নারীর অভিজ্ঞতাই হবে, তাহলে নারীর প্রতিরোধের কোন উদাহরণই সেখানে নেই কেন? নারী অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার, চিকিৎসা দিয়ে সাহায্য করেছে, সেসব নারীর অভিজ্ঞতা কোথায় গেল? শরনার্থী ক্যাম্পগুলিতে নারী অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সব বাদ দিয়ে নারী শত্রুসেনার প্রেমে পড়লে তার কি অভিজ্ঞতা হয়, তা কেন আমাদের দেখতে হবে? শুধু একটা উদাহরণ দিচ্ছি, ১৬ই ডিসেম্বরের পরেও বাঙালি নারীরা পাকিস্তানি ক্যাম্পে ধর্ষিত হয়েছেন। বিচারপতি কে এম সোবহান প্রত্যক্ষ দর্শনের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন, ‘ ১৮ ডিসেম্বর মিরপুরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া একজনকে খুঁজতে গিয়ে দেখি পাক আর্মিরা মাটির নিচে বাঙ্কার থেকে ২৩ জন সম্পূর্ণ উলঙ্গ, মাথা কামানো নারীকে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে। ’ অনেক নারীরা নির্যাতন থেকে মুক্তি পাবার জন্য শাড়ি পেচিয়ে বা চুল পেচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করতেন, তা বন্ধের জন্য ক্যাম্পে নারীদের মাথা কামানো এবং উলঙ্গ অবস্থায় রাখা হত। এখনো সেইসব নরপশুর বিচার হয়নি, "সবার উপরে প্রেম মহান" এই অমৃত বাণী গ্রহণ করতে আমরা অপারগ, দুঃখিত। “যুদ্ধশিশু” মায়ের কাছে থাকবে নাকি তাকে দেশের বাইরে দত্তক হিসেবে পাঠানো হবে, এই স্পর্শকাতর সিদ্ধান্তটির মোকাবেলা নারী কি করে করেছে, “নীলা” চরিত্রটির মাধ্যমে আমরা তা দেখতে পারতাম, পরিচালক সে সু্যোগ দেন নি। সবকিছু ছাপিয়ে প্রেম ও বিয়েই পুরো সিনেমাতে মুখ্য, কেন? এই কোমল, দেশ-বিমুখ, রাজনীতি-বিমুখ চরিত্র মেহের কে সিনেমার প্রধান চরিত্র হিসেবে দেখিয়ে নারীদের কে আরেক দফা অপমান করলেন পরিচালক। সিনেমার কাটতি বাড়ানোর জন্য এই অহেতুক “নারীবাদ” ট্যাগিঙের কোন প্রয়োজন ছিল না।
“Even though I wanted to highlight the Birangonas, the violence of rape, and the indifference towards female experiences of war, I strongly felt that the film had to end on a positive note. I wanted my film to heal the wounds of 1971." [2]
পরিচালকের বলা শেষ লাইনটিই পুরো সিনেমার মূল উদ্দেশ্য বলে মনে হয়। বাংলাদেশ যখন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন বিগ বাজেট, বিগ কাস্টের এবং “হৃদয়ে বাংলাদেশ” ট্যাগিং পেছনে নিয়ে মুক্তি পাওয়া এই ছবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হয়। পুরো সিনেমায় পজিটিভ পুরুষ চরিত্র দুটিঃ একজন মুসলিম লীগার শান্তিপ্রিয় নানাজান এবং পাকিস্তানি সেনা। বাংলাদেশে ভালো সিনেমার আকালে, ভালো সিনেমাটোগ্রাফি, সুন্দরী নায়িকা, জয়া বচ্চন, মিডিয়ার প্রবল মার্কেটিং ইত্যাদি কারণে মানুষ হলে যাবে, সিনেমাটি দেখবে, এবং বাড়ি ফিরবে নানাজান এবং পাকসেনার জন্য সহানুভূতি মাথায় নিয়ে। সিনেমা দেখে এটাও মনে হতে পারে এই ফাউল মুক্তিযুদ্ধটার জন্যই মেহের-ওয়াসিমের "অমর প্রেম" পরিপূর্ণতা পেল না। যুদ্ধাপরাধীর বিচারের সময় যখন আরো এগিয়ে আসবে, তখন “শান্তি”, “ক্ষমা” এসব শব্দ বিনা প্রতিরোধে মাথায় জায়গা করে নেবে আস্তে আস্তে। মহৎ হয়ে “heal the wounds” করতে চাই না আমরা। বিচার চাই, শাস্তি চাই। বর্জন করুন মেহেরজান।
মন্তব্য
এই পোস্টটি ফেসবুকে শেয়ার করি সবাই, আসুন।
ইউটিউবে একটা ট্রেলার পাওয়া যাচ্ছে এই সিনেমার। যেটা দেখে মনে হয়, ১৯৭১ ছিলো একধরনের বনভোজনের মৌসুম, আর তখন বাংলাদেশের কিশোরী-তরুণীরা পাকিস্তানী সেনাদের সাথে শৃঙ্গার আর মৈথুনাভিচারের সুযোগ নিতো।
আমি আনিন্দদা'র পোস্টের পর থেকেই এলাকার পরিচিতদের মধ্যে এই সিনেমা আসল গোমর নিয়ে কথা ছড়িয়ে দিয়েছি। এখন হাতের কাছে আরো কিছু তথ্য পেয়ে ভালো হলো।
শুধু ফেসবুকেই নয়, চলুন আমরা আমাদের পরিচিত গন্ডির সবার মধ্যেই এটা শেয়ার করি ... সবাইকে এ ব্যাপারে আরো সোচ্চার করি।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
অনেক অনেক দিন পর সচলের একটা লেখা আমি ফেসবুকে শেয়ার দিলাম।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
মগবাজারি চোখে দুনিয়া দেখলে সব মুক্তিযোদ্ধাকেই ক্লান্ত মনে হবে আর দুনিয়ার সব মানুষকেই বিয়েপাগল মনে হবে। এদের চোখে মুক্তিযোদ্ধারা কি ভাড়াটে মজুর? আর বিয়ে বিয়ে না করলে কি প্রেম হালাল হয় না?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ফেসবুকশুদ্ধা বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার দিলাম।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
শেয়ার করলাম।
---------------
তৌফিক
মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা, কিংবা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়া তাহলে এখন নেগেটিভ নোট হয়ে গ্যাছে? হায়রে, আরো কত কিছু শোনার যে বাকি থেকে গেলো!
'মেহেরজান' নিয়ে অনেকগুলো লেখা পড়লাম এই ক'দিনে। আপনার বক্তব্য অনেক গোছানো এবং দৃঢ়।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
কিছুটা সম্পাদনা করেছি। "বীরাঙ্গনা" দের উপর হওয়া নৃশংস অত্যাচারের বিবরণ যিনি একবার হলেও পড়েছেন, এবং পরিচালকের প্রোফাইল থেকে জানতে পারছি, তিনি তা নিয়ে গবেষণাও করেছেন, এর পরও এমন সিনেমা বানাতে যিনি পারেন, তিনি জ্ঞানপাপী ছাড়া আর কি!!
আপনার লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ১৯৭১-এর ক্ষত উপশমের তরিকা খুঁজতে গিয়ে 'পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে একজন বাঙালি মেয়ের প্রেম'-এর 'মলম' বানানো দেখতে হবে, এটা চিন্তারও বাইরে ছিল।
পরিচালকের উদ্ধৃতিগুলো সম্ভবত ডেইলি স্টার-র প্রকাশিত হয়েছে। তথ্যসূত্র হিসেবে যোগ করে দিতে পারেন।
বি
ধন্যবাদ। যোগ করে দিচ্ছি তথ্যসূত্র হিসেবে।
একাত্তরকে এমন পরিবেশনার তীব্র নিন্দা জানাই।
ফেসবুকে শেয়ার দিলাম।
প্র-আলোর ২৬ তারিখের সম্পাদকীয় পাতায় নাকি এ বিষয়ে দুটো লেখা থাকবে।
২৫ তারিখের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
যুদ্ধপরাধিদের বিচারের সময়ে এ ধরণের ছবি অবশ্যই কোনো কাকতাল না। তাই আমাদের এখন উচিত এই ছবি বর্জন করা। একই সাথে সবাইকে এই ছবির খারাপ দিক সম্পর্কে সচেতন করে তোলা উচিত।
অনন্ত
খুব ভাল লিখেছেন। -রু
এই সিনেমা কেন/কিভাবে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেল?!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
না দেখে বর্জন করাটা কি ঠিক হবে? আর যুদ্ধ এমনই একটি বড় ব্যাপার যা কিনা একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিতে ধারন করা যায় না, আর তাই অনেক সময়ই চলচ্চিত্র নির্মাতারা বড় ক্যানভাসের একটি ছোট খন্ড ঘটনাকে নিয়ে ছবি বানায়। মেহেরজানও হয়তো এমনই একটি খন্ড ঘটনার চলচ্চিত্রায়ন, যা কোন ভাবেই সমগ্র যুদ্ধ ও যুদ্ধের প্রক্ষাপটকে ধারন করে না। তাই বলে ছবি বর্জন করাটা একটু বেশিই হয়ে যাবে হয়তো। আর তাই আমি দেখতে চাই - শুধু আমার পূর্বপুরুষের বীরত্ব নয়, তাদের কাপুরুষতা, আপোষকামিতা - সবই দেখতে চাই।
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
আপনার পূর্বপুরুষের কাপুরুষতা, আপোষকামিতা দেখার জন্য রাজাকারদের কাহিনি পড়লে/দেখলেই পারেন।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আপনি কি আমার পূর্বপুরুষকে রাজাকার এবং কাপুরুষ বলার চেষ্টা করলেন?
আমি শুধু একটি ভিন্ন দৃষ্টিভাংগিই এখানে দিয়েছিলাম, আপনি ব্যাক্তিগত আক্রমন করলেন।
ঈশপের রাখাল বালক আর বাঘের গল্পটা জানেন? মিছেমিছি এবং যত্রতত্র বাঘ বাঘ বলে চিৎকার করলে আসল সময় কোন কাজ করা যায় না। আর যায় না বলেই আমার মতো ছাপোষা মানুষকে রাজাকার বলে গালি দিতে পারবেন, কিন্তু আসল সময় কতটুকু পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
আপনি ঠিক যে অর্থে 'পূর্বপুরুষ' বলেছেন, স্পর্শও বোধকরি সেই একই অর্থের পূর্বপুরুষ বুঝাতে চেয়েছে।
তো এই 'পূর্বপুরুষে'র কাপুরুষতা দেখতে হলে মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস রেখে মেহেরজান নামক রুবাইয়াত-ফ্যান্টাসি দেখার কি দরকার আছে? আপনিই বলেন!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার পূর্বপুরুষকে নিয়ে আমাদের কারোর মাথাব্যথা নেই। মাথা ব্যাথা আছে আমাদের সংগ্রাম নিয়ে স্বাধীনতা নিয়ে, মর্যাদা নিয়ে। এখনো যেসব মুক্তিযোদ্ধা বেচে আছে, যেসব বীরঙ্গনা নারী বেঁচে আছে, যেসব যুদ্ধশিশুরা এখনো সমাজে মুখ লুকিয়ে চলে, তাদের বুকে নতুন করে আঘাত করার জন্য মেহেরজান কে আমদানী করার প্রয়োজন রুবাইয়াতের ছিল, আর আমরা প্রতিবাদ স্বরূপ বর্জনও কি করতে পারব না!
রুবাইয়ার যা বানিয়েছে তা ফিল্ম, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অস্তিত্ব, পরিচয়। সেটা নিয়ে কেউ ফ্যান্টাসী করে ফিল্ম বানালো আর তাই আমার দেখে বলতে হবে ভালো না খারাপ!
আপনার পুর্বপুরুষকে রাজাকার, কারুপুষ বলল কিনা সেই সন্দেহে আপনি না বুঝে ব্যক্তি আক্রমনের অভিযোগ দিয়ে পালটা মন্তব্য করলেন। আর আমাদের সমগ্র জাতির ইতিহার, সংগ্রাম আত্মত্যাগ নিয়ে যে "মেহেরজান" বানিয়ে ছিনিমিনি খেলল, তাকে আমাদের কি করা উচিত? মেহেরজান বর্জন তো কম চেয়েছে, আমি রুবাইয়াতের দেশত্যাগ চাই। এইসব কীটপতঙ্গএর হাত থেকে আমাদের মুক্তি দরকার।
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
আমি আবারও বলছি যে আমি ছবিটি দেখতে চাই, তারপর মন্তব্য করতে চাই। না দেখে কিভাবে বলবো যে ডিরেক্টর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছিনিমিনি খেলল?
তাই বলি কি সবাই মিলে ছবিটি দেখি এবং তারপর সবাই মিলে শক্ত প্রতিবাদ করি যাতে ভবিষ্যতে কেউ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার আগে ১০ বার ভাবে।
আর আমার কাছে ব্যক্তি আক্রমন মনে হয়েছে বলেই আমি অভিযোগ করেছি। হয়তো অভিযোগটা সত্য কিংবা আমিই হয়তো ভুল বুঝেছি। সার কথা হলো আমার কাছে ব্যক্তি আক্রমন মনে হয়েছে বলেই আমি অভিযোগ করেছি।
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
আপনি এখানে 'আমার' বলেছেন বলেই আমি 'আপনার' বলেছি। এবং কাপুরুষতা ও আপোষকামিতা দেখতে চাইলে রাজাকারদের দেখুন এটা স্পষ্ট করে বলতে চেয়েছি।
আপনি যদি 'মুক্তিযোদ্ধাদের কাপুরুষতা ও আপোষকামিতা' দেখার জন্য মেহেরজান দেখতে চান। এর অর্থ আপনি মনে করেন 'মুক্তিযোদ্ধারা কাপুরুষ ও আপোষকামি' এ ধরনের মতামত প্রকাশ 'ব্যক্তি আক্রমনের চেয়েও বড় আক্রমন'। আর সেক্ষেত্রে আপনাকে ওসব দেখানোর জন্যই মনে হয় মেহেরজান বানানো হয়েছে। সো, এই সিনেমা দেখে পয়সা উসুল করুন... মনোবাঞ্ছা পূরণ করুন। শুভেচ্ছা...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
@কানাবাবা,
আপনি বর্জন কইরেন না, খালি দেইখা কি অর্জন কর্লেন সেটা কইয়া যাইয়েন।
দেখে কি অর্জন করলাম তা না দেখে বলা সম্ভব না, হতে পারে যে ছটিটা পুরাই ক্র্যাপি। এই পোস্টে আমার মন্তব্যের মূল এসেন্স হলো না দেখে বর্জন করতে চাই না। যদি ভালো হয় প্রশংশা করব, খারাপ হলে করব না।
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
এটা অনেকটা হাগুর মত ব্যপার। এটা যে খেতে হয়না সেটা বলতে গেলে খেয়ে দেখা লাগেনা, গন্ধ শুঁকেই বোঝা যায়।
নিতান্তই অরুচিকর মন্তব্য, তাই জবাব দেয়া থেকে বিরত রইলাম।
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
হে হে হে
জবাব তো দিলেনই দেখি।
আচ্ছা, জিনিসটা একটু এভাবে ভাবুন তো! আপনার কাছে কেউ একজন এলো আগুনে পুড়ে ঝলসে যাওয়া হাত নিয়ে। এখন আপনি দেখেই বুঝতেছেন এটা আগুনে পুড়ে ঝলসে যাওয়া হাত।
এর পরেও আপনি নিশ্চয়ই বলবেন, "কীভাবে, কোন আগুনে পুড়লো এটা না দেখে তো কিছুই বলা যাচ্ছে না! চলুন, আপনাকে আবার আগুনের কাছে নিয়ে যাই। সেখানে আপনার হাতটা কীভাবে পুড়লো সেটা হাতে-কলমে দেখান।"
এরপর অন্যদের উদ্দেশে আহ্বান জানালেন, "ভাইসব আসুন, আমরা দলবেঁধে আগে দেখি এর হাতটা কীভাবে পুড়লো। তারপর নাহয় আমরা সবাই মিলে একে চিকিৎসা দিবো নি"।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হাগু অরুচিকর বলে জবাব দেওয়া থেকে যেমন বিরত থাকলেন, তেমনি ক্ষতিকারক ও কুরুচিপূর্ণ মেহেরজান দেখা থেকে বিরত থাকা নিয়েই এত কথা
খুব ভাল লাগল লেখাটা।
ঠিক!
এটা ঠিক না। পরিচালকের ভাষ্যমতে এটা অনেকটা নারীর দৃষ্টিতে দেখা মুক্তিযুদ্ধের 'সঠিক', বা মলম লাগানো বয়ান। সিনেমার নাম জাস্ট পাকিসঙ্গমের ফোকফ্যান্টাসি হলেই হত। তাহলে এটাকে সিনেমাটার মাস্টারমাইন্ডদের একটা খণ্ডগল্প বা অলীক ফ্যান্টাসির রূপায়ন মানা যেত।
এই গল্পে রাজাকার আছে কিনা জানি না। তবে ফ্যান্টাসিতে পূর্বপুরুষের কোন সঠিক গল্পই পাওয়া যাবে না।
আপনার বক্তব্যটা ঠিক বুঝলাম না ভাই। না দেখে বর্জন করাটা ঠিক না হলে কি দেখে বর্জন করাটা ঠিক (যদি বর্জনীয় হয়) ? আমি যেটা বুঝতে পারছি না তা হলো - একবার দেখে ফেললে তারপর আর বর্জন করার বাকি থাকলো কি বা কিভাবে সেটা করা যায় ?
মনমাঝি
ছবি যেহেতু বানিয়েছে, সেহেতু আমি দেখতে চাই। তারপর ভালো না লাগলে গালি দিতে চাই।
আমার মতে বর্জন নয় বরং গর্জন করতে হবে যাতে কেউ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে হাবিজাবি করার আগে ১০ বার চিন্তা করে। বর্জন করলে সঠিক সমালোচনার কোন উপায় থাকবে না।
/----------------------------------------------------
ওইখানে আমিও আছি, যেইখানে সূর্য উদয়
প্রিয়দেশ, পাল্টে দেবো, তুমি আর আমি বোধহয়
কমরেড, তৈরি থেকো,গায়ে মাখো আলতা বরণ
আমি তুমি, আমি তুমি, এভাবেই লক্ষ চরণ।।
ফেসবুকে শেয়ার করলাম - আরো যেখানে পারি করবো।
কৌতুহলবশত একটা প্রশ্ন করছি, কারো জানা থাকলে জানাবেন দয়া করে। একটা সিনেমার স্ক্রিপ্ট পড়ে পুরো থিম সম্পর্কে কতটুকু বোঝা যায়? হুমায়ুন ফরীদি, আজাদ আবুল কালাম আমার খুব প্রিয় অভিনেতা, এনাদের এই ধরণের ছবিতে দেখে (শুধু ট্রেলার দেখেছি) কষ্ট পেলাম। আমি সিনেমা হিসাবে মানের কথা বলছি না (৪০ বছর পড়ে ২০-২৫ বছরের যুদ্ধশিশু আসছে, আমি আর কী বলব), সিনেমার বক্তব্য কতখানি বোঝা যায়?
-রু
এমন হতে পারে, হুমায়ুন ফরীদি বা আজাদ আবুল কালাম শুধু তাদের অংশের স্ক্রিপ্টটুকু পড়েছেন। পুরো সিনেমাতেই যে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতিবাচক ভাবে দেখানো হয়েছে সেটা তারা জানেন না বা বোঝেন নাই।
একাত্তরের ক্ষত সারাবে এই ছবি দিয়ে?
ফাজলামির একটা সীমা থাকা দরকার!
এটা একটা উদ্দেশ্যপূর্ণ ছবি ছাড়া আর কিছু নয়। 'আফ্রিদি ম্যারি মি'-এর ফিল্মি সংস্করণ বানিয়ে পাক আর্মিকে মানবিক চোখে দেখাবার এই অপচেষ্টার পিছনে বহুকিছু আছে।
আর মুক্তিযুদ্ধ দেখি এখন সবার বাপের সম্পত্তি হয়ে গেছে, বাপের অনেক টাকা আর বিদেশি ডিগ্রি নিয়ে লোকজন এখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে হামতাম ফিল্ম বানিয়ে বগল বাজাবার চেষ্টা করছে! কী মুশকিলের কথা! সেন্সর বোর্ড আসলে ননসেন্সদের বোর্ড!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
প্রথম আলোতেও এ নিয়ে লেখা এসেছে।
পড়লাম। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। -রু
ফেইসবুকে একটি কমিউনিটি পেইজ তৈরি করা হল।
আসুন আমরা মেহেরজান বর্জন করি।
গুরু ভাই
রুবাইয়াত গ্যাংদের দেশদ্রোহী ঘোষণা করে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হোক...মেহেরজানের সকল কপি-প্রিন্ট বাজেয়াপ্ত করে পুড়িয়ে দেয়া হোক...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আম্মারা যে কেন গোলাপি বিছানায় বসে আরাম করে ডায়েরি না লিখে বরং সবাই মিলে একসাথে জড়ো হয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে লো ভলিউমে স্বাধীন বাংলা বেতার শোনার চেষ্টা করতেন, আহারে!
ক্ষতগুলো শুকিয়ে মলম না লাগালে যে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ কী, স্বাধীনতার চেতনাটা আসলে কী তা জেনে ফেলবে!
প্রথম আলো পরিচালকের জ্ঞান-গর্ভ বিশ্লেষণও ছেপেছে, যেমনটা বলেছিল।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দেশদ্রোহীতার দায়ে এই পরিচালকের সাজা হওয়া দরকার
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
শুধু বর্জনই কি শেষ কথা? আমরা কি নপুংসকের জাতি? রুবাইয়াৎএর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হওয়া উচিৎ, যাতে করে ভবিষ্যতে কোন পাকি বীর্যপায়ী, ভণ্ড পীরের বংশধর এমন কাজ করার সাহস না পায়। আসুন আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের এই অবমাননার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই, আসুন এই পুরোনোদের সাথে এই নব্য যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার দাবিতে সোচ্চার হই।
মাহফুজ খান
খালি রুবাইয়াত কেন? এই ফিল্মের সাথে সংশ্লিষ্ট সব শিল্পী-কলাকুশলী, এর অর্থায়নকারী, এর বিপণনকারী সবার শাস্তি হওয়া উচিত।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি একমত আপনার সাথে।
আমার যতদূর মনে পড়ে হুমায়ুন আহমেদও তার 'পাপ' নামক একটা গল্পে এরকম একটা বিষয় তুলে ধরেছিলেন। যেটা পড়ে মেজাজ চরম বিগড়ে গিয়েছিল।
লেখাটা খোমাখাতায় শেয়ার দিলাম
সেন্সরবোর্ডে নিশ্চিত পাকিবান্ধব লোক আছে, না হলে এই চলচ্চিত্র কীভাবে ছাড়া পেলো! এটি নিষিদ্ধ করার কোনো উপায় নেই?
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
একটা যুদ্ধে অনেক রকম ঘটনা থাকে। তারপরও মূল ঘটনা একটাই। ২য় বিশ্বযুদ্ধ মানেই যেমন ইহুদীদের নির্মুল করা। বসনিয়ার যুদ্ধ মানেই বসনিয়ান মুসলিমদের নির্মূল করা। নিশ্চয়ই জার্মান বা সার্ব (বসনিয়া যুদ্ধে) সৈন্যদের মধ্যে ২/৪ জন ভালো মানুষ ছিলো। ২য় বিশ্বযুদ্ধে ভালো নাজী সৈন্য নিয়ে কি হলিউডে (ফ্রান্স/ইংল্যান্ড/রাশিয়াও পড়তে পারেন) মুভি করা যায়? পাকিস্তানে কি ভারত/পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ভালো ভারতীয় সৈন্য দেখায় মুভি বানানো যায়? আরব দেশে ভালো ইসরাইলী সৈনিক নিয়ে মুভি?
শুধু বাংলাদেশ, শুধু বাংলাদেশেই এসব সম্ভব। ক্ষমা করবেন, কিছু কিছু ব্যাপারে বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী নই। ওয়াসিম আকরামের ইয়র্কার দেখে তালি দিতে পারি, ৭১ সালে মহান পাকি সৈন্য নিয়া সিনেমা বানানোর রাইট কাউকে দিতে চাইনা।
এই সিনেমা হৈলো পাকি রেসিপিতে বলিউডি মশলায় বানানো কুখাদ্য যেটা ডাস্টবিন ছাড়া আর কোথাও রাখা উচিত না।
অফটপিক১: কানাবাবারে তো সামুতে ভাদা ডাকে ছাগুরা। এইখানে রাজাকার হৈতে হৈলো। আফসুস।
অফটপিক২: আশরাফ মাহমুদের লিংক পেলাম ফেইসবুকে।
কানাবাবাকে বা উনার জ্ঞাতিগোষ্টীকে কেউ রাজাকার বলে নি। খুউব খিয়াল কইরা!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
রুবাইয়াত শুধু একজন জ্ঞানপাপীই না, সে পাকিস্তানিদের বর্তমান কালের অ্যাপলজিস্ট। অনেকটা আসিফ নজরুল জাতীয় সুশীল টাইপের। যারা নিজেকে 'শান্তিকামী', 'অহিংস' বলে দাবী করে অতীতের কথা ভুলে গিয়ে সামনে তাকাতে আহ্বান জানায়।
একটা ভিডিও শেয়ার করলাম প্রাসঙ্গিক মনে হলো বিধায়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লেখা খুব ভালৈসে ... কিন্তু কিসু লোকের যুক্তিশীলতা দেইখা যুক্তি লোপ পাইতাসে আমার
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ছবিটা এখনো দেখা হয়নি। হয়তো খুব শীঘ্রই দেখা হবে।
সচলায়তনের পক্ষ থেকে ছবির পরিচালকের সাথে কোনোভাবে একটা আলাপচারিতার ব্যবস্থা করা গেলে অনেক কিছুরই উত্তর পাওয়া যেতো। কর্তৃপক্ষ একটু ভেবে দেখবেন।
কেউ-কেউ পরিচালককে দেশদ্রোহী ঘোষণা করে দেশ থেকে তাড়ানোর দাবী তোলেছেন। দাবীটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক ভেবে দেখা দরকার। মূল সমস্যার সমাধান তাতে কতটুকু হচ্ছে? দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়া কীংবা মেহেরজানের সকল প্রিন্ট পুড়িয়ে দেয়াটাই সমস্যার সমাধান না।
১. "রুবাইয়াৎ হোসেন ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়াতে মাস্টার্স অভিসন্দর্ভ করেছেন বীরাঙ্গনাদের ওপরে। টাইটেল: 'Birangonas’ Heroic Women or the Shamed Ones: The Ambiguous Figures of Bangladeshi National History" - এই তথ্যটা সচল শুভাশীষ দাশ জানিয়েছেন। যার থিসিসের এই টাইটেল তার হাত দিয়ে "মেহেরজান"-এর মতো জিনিষই বের হবে তাতে অবাক হবার কী আছে। ভারতীয় শর্মিলা বোসের পর এখন বাংলাদেশী শর্মিলা বোস এসেছেন।
২. ভুল জেনে না থাকলে রুবাইয়াত হচ্ছেন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের কন্যা। এটা সত্য হলে পেঙ্গুইন বুদ্ধিজীবিদের মুখ আর কলম থেকে "মেহেরজান" নিয়ে কোন কটু কথাই আর বের হবেনা। ১৯৯৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেঞ্চুরিয়ান মানিক আর তার দলবলের করা যৌন নিপীড়নের পক্ষে সাফাই গাওয়া বুদ্ধিজীবিদের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।
৩. "হৃদয়ে বাংলাদেশ" শ্লোগানওয়ালারা গত বছর "গহীনের শব্দ" নামের একটা ছায়াছবি নির্মাণ করেছিলেন। তাতে নাকি কোন কোন পক্ষ গোস্বা হয়েছিল। সেই গোস্বাওয়ালাদের মান ভাঙাতে নাকি "মেহেরজান"কে বানানো হয়েছে। এ'সবই দুষ্টলোকদের কথা। তবে "হৃদয়ে বাংলাদেশ" শ্লোগান দিয়ে "হৃদয়ে পাক-আর্মি" জাতীয় ছবি বানাতে দেখলে রটনাটিকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে।
৪. মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধাদের যে কোন উপায়ে অবমাননা করার চেষ্টা শক্ত হাতে রুখতে হবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দরকারী লেখা। চারিদিকে ছড়িয়ে দিলাম।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমি প্রথম আলোয় প্রকাশিত লেখা থেকেই উদ্ধৃত করি বরং।
এদের জন্য শুধুই ঘৃনা
FB তে শেয়ার করলাম। এটি নিঃসন্দেহে একটি পরিকল্পিত অপচেষ্টা। লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
বীরাঙ্গনাদেরকে অপমান করার জন্য পারফেক্ট সিনেমা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
দারুন হয়েছে।
পারমিতা
মুভিটিতে পরিচালক নিজে যে চরিত্রটা করলেন সেটা বোধহয় তার প্রকৃত পরিচয় বহন করে, যে কিনা যুদ্ধের কোন কিছুই জানে না, খালি শাদী করতে মন চায়।
আর যে মুক্তিযোদ্ধাকে সালমা বিয়ে করতে চায়, সে মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রটা কী দেখালো! লুজ একটা চরিত্র যে যুদ্ধে না গিয়ে যুদ্ধ নিয়ে ক্লান্ত এই ধরনের ডায়ালগ দেয়। এই মুভিটা বানাতে থিসিস-টিসিস কী কী করে আসছে বলছেন পরিচালক, কিন্তু কীভাবে সম্ভব এ ধরনের একটা হাস্যকর একটা কার্টুন বানানো!
আমার প্রিয় একজন দৃঢ় ব্যক্তি এই মুভিতে অভিনয় করেন, এমনকি ভালো ভালো অভিনেতারা দুই তিনটা শটের জন্য এ মুভিটাতে অভিনয় করেছেন। তারা কী দেখে এই মুভিতে অভিনয় করেছেন জানতে খুব ইচ্ছে করছে। আমি ভাবতে পারছি না, হতাশ।
---আদু ভাই
সময়োপযোগী এবং চমৎকার একটা লেখা
......নুশান
------------------------------
" তখন সত্যি মানুষ ছিলাম
এখন আছি অল্প "।
বিচার চাই, শাস্তি চাই। বর্জন করুন মেহেরজান।
কুটুমবাড়ি
মেহেরজানকে না বলুন।
বর্জন করুন মেহেরজান।
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
আমার মনে হয় না যে পরিচালক কখনো এই সিনেমায় একটা যুদ্ধ কে তুলে ধরতে চেয়েছেন। শুধু ই মনের মাঝে থাকা একটা কল্পনা কে সবার সামনে তুলে ধরেছেন। কেও যদি সিনেমা দেখতে গিয়ে documentary দেখতে চান তাহলে কিছু বলা উচিত না।
লেখক যে মেহের চরিত্র নিয়ে বলেছেন যে আলগা রোমান্টিকতার কথা বলেছেন তার চরম উদাহরণ শুধু তখন নয় আমাদের আজকের দিনেও আমাদের আসেপাশে ই বিদ্যমান। সবসময় ই যে সিনেমার নায়ক নায়িকা রা আদর্শবান মানুষ হবেন তা চিন্তা করা উচিত না।
বিঃ দ্রঃ সম্পূর্ণ সিনেমার কোন অংশ ই বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়। তাই কেও ওই সিনেমা টি থেকে কিছু আশা করবেন না। নিছক দেখার জন্য দেখে যাওয়া একটি সিনেমা এটি।
যারা সত্য কথা বলে তাদের নিয়ে সমস্যা নেই। যারা মিথ্যা বলে তাদের নিয়েও সমস্যা কম। কেননা মিথ্যুকের কথা না শুনলেই চলে। কিন্তু যারা সত্য মিথ্যা মিশিয়ে ফেলে তাদের নিয়েই বিপদ। বেশীরভাগ মানুষ এই সত্য আর মিথ্যা আলাদা করতে পারে না। চার আনা সত্য দেখে বারো আনাকে গ্রহণ করে ফেলে। এই ছবিটাও এই সমস্যাক্রান্ত।
সিনেমা দেখতে গিয়ে ডকুমেন্টারি দেখতে চাই নাই। শুধু পরিচালক যেই বড় বড় কথাগুলি বলেছেন, তার প্রতিফলন দেখতে চেয়েছি। পরিচালক বলেছেন, বীরাঙ্গনা, মুক্তিযুদ্ধ, নারীর voice raise করার ছবি। কিন্তু, নারীর অবমাননা ছাড়া আর কিছু দেখা যায়নি। পরিচালক যদি বলতেন, এটা একটা অ্যানিমেশন বা সাই-ফাই মুভি তাহলেই আর কোন সমস্যা ছিল না।
"মেহের" এর মত চরিত্র অবশ্যই এখনো আশেপাশে প্রচুর দেখা যায়, তাই তো বিচার দূরের কথা পাকিস্তান ক্ষমা প্রার্থনার প্রয়োজনও বোধ করে না।
সিনেমা একটি অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম, এর ভুল ব্যবহার বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যবহারের জবাবদিহিতা পরিচালক বা চিত্রনাট্যকারের করতেই হবে, বিশেষ করে যখন একটি দেশের মুক্তিযুদ্ধ তার বিষয় হয়, সেটা নিয়ে ফাজলামি করা ঠিক না। পরিচালক বলেন নি এটা একটি যে কোন প্রেমের গল্প, বরং বলেছেন, এটা একাত্তরের প্রেক্ষাপটে একটি প্রেমের গল্প, এখন সেই "প্রেক্ষাপট" নির্মাণ যখন ভুল এবং অবাস্তব হয়, তার সমালোচনা আমরা করবোই।
http://www.somewhereinblog.net/blog/Daudrony/29314281
এখানে দেখুন।
শেয়ার দিয়েছি আগেই, জানিয়ে গেলাম
ভাল বলেছেন।
টয়
পূর্ণ সমর্থন। এই লিংক, লেখাগুলো যত বেশি মানুষের কাছে সম্ভব পৌঁছে দিচ্ছি।
লেখাটা পড়েছিলাম... অনেকবারই মন্তব্যঘরে নতুন মন্তব্য পড়তেও এসেছি, শুধু নিজে মন্তব্য করতে ভুলে গেছি...
এখন আর কী বলবো? সিনেমাটা জাতি বর্জন করেছে, এই শো শেষ... এখন সুশীলদের মায়াকান্নার শো শুরু... দ্যাখতে থাকেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কিছু স্বার্থপর লোকদের জন্যে এদের বিচার হয়না.........আমরা সাধারন জনগন তারা খুবই ইমশনাল, আমরা অনেক কিছুই চাই।কিন্তু যারা সত্যিকারভাবে এদের বিচার করতে পারেন............তারা চায়না বলেই আজ এদেশে রাজাকার আলবদররা আজ নিশ্চিন্তে এদেশে ঘুমাতে পারে,পারে বড় বড় কথা বলতে.........।।
নতুন মন্তব্য করুন