মানুষের চাইতে ভাইরাস অনেক দিক দিয়ে এগিয়ে। দুইটা ব্যপার বলি, প্রথমত মানুষ গর্ভবতী হলে বাইরে থেকে দেখেও বোঝা যায়। ভাইরাসের ক্ষেত্রে যায়না। আর দ্বিতীয়ত, মানুষকে যথা সময়ে বাচ্চা দিতে হয়। সে ইচ্ছেমতো অপেক্ষা করতে পারেনা। ভাইরাস পারে। এই দুটি ক্ষমতার জন্য ভাইরাস যে কতো সুবিধা ভোগ করে সেটা বুঝতে পেরে প্রথমবার আমার চোয়াল ঝুলে পড়েছিলো। বস্তুত সেই প্রথম আমি বুঝতে পারি কিভাবে মানুষের চোয়াল ঝুলে পড়তে পারে!
ভাইরাস অবশ্য নিজে কখনো বাচ্চা দিতে পারেনা। সুতরাং যে অর্থেই হোক, গর্ভবতী হওয়া এবং বাচ্চা দেয়া বিষয়ক কোন কথাই তার ক্ষেত্রে সরাসরি প্রযোজ্য নয়। ভাইরাস বাচ্চা দেয় আমাদের কোষকে ব্যবহার করে (এমন কোন প্রানী নেই যার কোষ ব্যবহার করে ভাইরাস বাচ্চা দেয় না! এমন কি ব্যাকটেরিয়া কোষও সে ব্যবহার করে!)। ভাইরাস কিভাবে আমাদের কোষের নিয়ন্ত্রন নিয়ে তার নিজের বাচ্চাদেয়ার ইনকিউবেটরে পরিনত করে তা আগে কয়েকটি লেখায় বলেছি। আজকে সেদিকে যাবনা। আজকে প্যাঁচাল পাড়ব ভাইরাসের বাচ্চা দেয়ার দুটি পদ্ধতি নিয়ে।
প্রথম পদ্ধতিতে ভাইরাস আমাদের কোষের নিয়ন্ত্রন নিয়ে কোষের মালমশলা ব্যবহার করে নিজের বাচ্চা বানায়। এরপর সেই বাচ্চারা কখনো কোষটি ছিঁড়ে তছনছ করে বেরিয়ে আসে আবার কখনো বাডিং পদ্ধতিতে কোষটি দৃশ্যত অক্ষত রেখে বাইরে বেরিয়ে আসে।
দ্বিতীয় পদ্ধতিতে ভাইরাস কেবল আমাদের কোষটির জিন'এ তার নিজের জিন ঢুকিয়ে দেয়। আর কিছু করে না। চুপচাপ বসে থাকে। তার এই চুপচাপ বসে থাকাটা কতোটা ভয়ঙ্কর সেটা ব্যাখ্যা করছি। আমাদের কোষ যখন সংখ্যায় বৃদ্ধি পায় তখন সে ক্রমবর্ধমান হারে দ্বিগুন হতে থাকে। অর্থাৎ একটা থেকে দুইটা হয়, দুইটা থেকে চারটা হয়, চারটা থেকে আটটা...এভাবে। কোষ আবার একটা থেকে দুইটা হওয়ার সময় সবার আগে দ্বিগুন হয় কোষের ক্রোমজমের কপি নাম্বার। মানে কোষের জ্বিন সবার আগে দুইটা হয়। দুইটা মানে 'হুবহু' দুইটা। কোথাও কোন নড়চড় নেই! এখন ধরুন আমাদের একটি কোষে ভাইরাস তার জিন ঢুকিয়ে দিল কিন্তু কোষের নিয়ন্ত্রন নিয়ে বাচ্চা দিলনা আর কোষটিকেও ধ্বংস করল না। কেউ কিন্তু কিচ্ছু টের পাবেনা। আমাদের কোষ তার নিজের নিয়মে বাড়তে থাকবে ভাইরাসের জিনটি নিয়ে। সেই একটি কোষ থেকে যদি একবছরে একহাজার কোষ তৈরি হয়, সেই একহাজার কোষের মধ্যেই থাকবে ভাইরাসের জিন। (এই সংখ্যা থেকে কেউ দয়া করে কোন ধারণা নেবেন না। এই সংখ্যা শরীরের বিভিন্ন কোষের ধরণের উপর ভিত্তি করে লক্ষ-কোটি, কোটি-কোটিও হতে পারে। তবে হাজারের মতো ছোট সংখ্যা কখনোই নয়!) এরপর যখন ভাইরাসের সময় হবে (সে অনুকুল পরিবেশ পাবে অথবা আরো অনেক কারণে হতে পারে), তখন সে বাচ্চা দেবে একসঙ্গে লক্ষ-কোটি। এতদিন আমাদের যে কোষগুলি আমাদের প্রয়োজন মেটাচ্ছিল সেগুলি আচমকা ধ্বংস হয়ে যাবে। আচমকা ধ্বসে পড়বে আমাদের কোন অর্গান !
আপনার নীতি বিষয়ক প্রশ্ন (এই কথাটুকু বলার জন্য এতকিছু লিখেছি। দয়া করে পড়ুন):
দিনে যে কোনসময় যে কারো হাত থেকে কলিফর্ম/ফিকাল কলিফর্ম (যে জীবানুগুলি পাওয়া গেলে প্রমাণিত হয় নমুনাটির সঙ্গে যে কোনভাবে 'পাকস্থলিজাত বর্জের !' সংস্পর্শ আছে বা হয়েছে) বের করা সম্ভব। আমার চারপাশে আমি যতো মানুষ দেখেছি তাদের সবার ক্ষেত্রেই কথাটি সত্যি; আমি নিজেও সবার ভেতরেই পড়ি। সেই হাত আমরা না ধুয়ে সবকিছু খাই। ভাত খাওয়ার আগে ক্ষুধার চোটে যেরকম দায়সারাভাবে আমরা হাত ধুই, তাতে জীবানুদের গোসল হয়ে যায় ঠিক, কিন্তু সাধারণত বানের তোড়ে ভেসে যাওয়া জাতিয় ঘটনা এর ফলে তাদের জীবনে ঘটে না। 'যাউগ্গা, হাত ধুয়ে পারেন না ধুয়ে পারেন যেমনে পারেন আপনি খান। না খেয়ে মরার চাইতে খেয়ে মরা ভালো।' কি বলেন?
আমাদের দেশে প্রতি ১২ জনের মধ্যে একজন হেপাটাইটিস 'বি' অথবা 'সি' তে আক্রান্ত। হেপাটাইটিস হয় হেপাটাইটিস ভাইরাসের কারণে। সাধারণত, আক্রান্ত হওয়ার পর বছরের পর বছর কোন লক্ষণ দেখা যায়না (এই সময় ১৪/১৫ বছরও হতে পারে। আশাকরি এখন আর বুঝিয়ে বলতে হবেনা কেন!)। যখন লক্ষণ প্রকাশ পায় তখন, 'যাউগ্গা, হাত ধুয়ে পারেন না ধুয়ে পারেন যেমনে পারেন আপনি খান। না খেয়ে মরার চাইতে খেয়ে মরা ভালো।' এই কথা বলা ছাড়া ডাক্তারেরও আর কোন উপায় থাকে না। কারণ ততদিনে লিভারের কোষগুলো ভাইরাসের রক্ষিতায় পরিণত হয়। তারা আর রক্তকোষ বানায়না, ভাইরাসের বাচ্চা বানায়।
১২ জনের মধ্যে ১ জন। হার'টি কিন্তু অনেক বেশি। আপনার বাড়ির আর আপনার চাচাদের বাড়ির যে ১২ জন মানুষ তাদের মধ্যে লটারিতে আপনি আটকা পড়েননি তো! আমার মনে হচ্ছে, আপনিই আটকা পড়েছেন। আপনার হেপাটাইটিস বি অথবা সি আছে।
আর আপনি হয়তো আপনার স্বামী অথবা স্ত্রীকে ইতিমধ্যেই রোগটি উপহার হিসেবে দিয়েও ফেলেছেন! আপনি নারী হলে আপনার সন্তানও এ থেকে বঞ্চিত হবেনা! আপনি পুরুষ হলে আপনার স্ত্রীর মাধ্যমে তারা পেয়ে যাবে এটি! আর আপনি যার জীবন বাঁচাবার জন্য রক্ত দিয়েছিলেন তাকেতো রক্তের সঙ্গে ফ্রি দিয়েছেন হেপাটাইটিস ভাইরাস। যাউগ্গা, না ভালোবেসে মরার চাইতে ভালোবেসে মরা ভাল। কি বলেন?
হেপাটাইটিস টেস্ট করতে খুব বেশি খরচ হয়না, অনেক সময় দিতে হয়না, অনেক ব্যাথাও লাগেনা। আপনি যদিও অ-নে-ক ব্যস্ত। সময় পাবেননা। তারপরও একটু কষ্ট করে দেখবেন টেস্টটি করিয়ে নেয়া যায় কিনা? যদি নিশ্চিত থাকেন যে, জীবনে কখনো 'নির্দিষ্ট সময়' ফুটিয়ে ছাড়া পানি পান করেননি, কখনো কোন দুষিত পানীয় পান করেননি, কখনো দুষিত রক্ত নেননি, কোন দুষিত সুচের মাধ্যমে ইঞ্জেকশন নেননি আর আপনার স্বামী বা স্ত্রীর হেপাটাইটিস (জন্ডিস) 'বি' বা 'সি' নেই তাহলে অবশ্য টেস্টের দরকার হবেনা।
পানি অথবা তরল খাবার খাওয়ার সময় কি একটু কষ্ট করে সচেতন হবেন, প্লিজ? নাকি, না খেয়ে মরার চাইতে খেয়ে মরা ভালো।' নীতিতে বিশ্বাসী আপনি?
মন্তব্য
আপনি ভাইরাসের ওপর একটি ই-বুক লিখে ফেলুন সঙ্গীত! তারপর প্রকাশায়তনকে ছাই দিয়ে চেপে ধরুন। আপনার সিরিজ দুর্দান্ত চলছে!
চেপে ধরার আগে যোগ ব্যায়াম করে নিচ্ছি। ধরলে যাতে নড়তে না পারে । (ধন্যবাদ হিমুভাই। আপনারা অযথা লাই দেন দেখেই মাথায় চড়ার সাহস পাই)
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ঐ
------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ধন্যবাদ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভাইরে, এখন আর মনে কোন সন্দেহই নাই, আপনি দুর্ধষ লিখেন।
সচলায়তন আরেকজন চমৎকার বিজ্ঞান লেখক পেয়েছে, এই ব্যাপারে নিঃসন্দেহ।
আপনার আজকের লেখার হেপাটাইটিস ভাইরাসের ব্যাপারে সতর্ক করার স্টাইলটা চমৎকার লেগেছে। এই ধরনের বিষয়ে দুই হাত খুলে লিখে যান ( আক্ষরিক অর্থে আবার হাত খুলে ফেলে লিখতে বলছি না )
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বাব্বাহঃ গৃহ শত্রু বিভীষণ কাকে বলে! কী বিপদ রে বাবা। এদের থেকে কি কোন মতেই নিস্তার নেই?
কম্পিউটারের ভাইরাসের কথা তো মাঝে মাঝেই শুনি। আচ্ছা কারো লেখার ভেতর কি অজান্তেই কোন ভাইরাস ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা আছে?
লেখাটি পড়ে খুব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ। যতদূর মনে পড়ে বেশ কয়েক বছর আগে বাংগালি এক তরুণ বিজ্ঞানী তৃতীয় এক পদ্ধতিতে ভাইরাসের সন্তান প্রসব করিয়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন বলে খবর বেরিয়েছিল। সম্ভতঃ তিনিই প্রথম জীবকোষের বাইরে ভাইরাসের জনক বলে পড়েছিলাম। এসম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য আছে কি?
ভাইরাসকে জীবন্ত জীবকোষের বাইরে বাচ্চা দেয়না। ল্যাবরেটরিতে ভাইরাস চাষ করতে জীবন্ত জীবকোষের বীজতলা বানাতে হয়। বাঙালী তরুন বিজ্ঞানী সম্পর্কে আপনি যা বললেন সেরকম কিছু আমার জানা নেই। তবে বিশ্বের সেরা ল্যাবগুলিতে মহাপ্রতিভাবান কিছু ভাইরাস বিজ্ঞানী আছেন বাঙালী। ক্যামেরার চাইতে মাইক্রোসকোপের সামনে থাকতে বেশি পছন্দ করেন বলে তাদের কথা আমরা জানতে পাইনা...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
টেষ্ট করাবো কোথায়? যে টেষ্ট রিপোর্ট আমাকে দেয়া হবে সেটি যে আমার রক্তের রিপোর্ট তার গ্যারান্টি কে দেবে?
মাইক্রোস্কোপ কিনে নিজে নিজে টেষ্ট করার কোন পদ্ধতি জানা থাকলে বলুন। একা না পারলে সমিতি করে কিনবো। টেষ্ট রিপোর্টের উপর বিশ্বাসহীন কাফের হয়ে আছি অনেকদিন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমাদের দেশের ডায়াগনসিস বিষয়ে একটা লেখা লিখবো ভেবেছিলাম। আপনার আর আমার মতো কাফেরের সংখ্যা বাড়বে বলে লিখিনি। তবে ভাল দুটো কোম্পানী দেখে দুবার টেস্ট করিয়ে নিতে পারেন। সেটা কিন্তু মাইক্রোসকোপের চাইতে কম খরচে হবে।
Hepatitis B/C Test Strip কোথাও কিনতে পাওয়া যায় কিনা খুঁজে দেখতে পারেন। Date Expired না হয়ে গিয়ে থাকলে আর নিয়মমতো সংরক্ষণ করা হলে এটি জন্ডিস নির্নয়ের একটি তড়িৎ এবং ভালো উপায়।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হেপাটাইটিস বি'র টিকা নিয়ে ফেলেছি অনেক আগে। তবে সি'র হাত থেকে কেমনে বাঁচি? এর তো কোন টিকা নাই এখনো।
এরকম লেখায় আসলে পাঁচ তারা দিয়ে পোষায় না। অনিকেতদা'র মতো বিশ লক্ষ তারা দিতে ইচ্ছা করে।
পরবর্তি লেখা কবে পাচ্ছি ?
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
পানি আর অন্যান্য তরল খাবারের আড়ালে আসলে ভাইরাসের শরবত খাচ্ছেন না সেটি নিশ্চিত করতে পারলেই নিশ্চিন্ত। আর রক্ত ও ইঞ্জেকশন নেয়ার ব্যপারে একটু সাবধান থাকলে আর কখনো চিন্তিতও হতে হবেনা।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভালো লেগেছে..........অনেক ভালো।।।।
লেখক : প্রীতম সাহা
ধন্যবাদ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দারুন লাগল । চলুক । বe হলে আরো ভাল ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনার এই তথ্যমূলক লেখাটিও দারুণ লাগলো- চমৎকার, রীতিমত গল্প ভেবেই পড়ে ফেললাম।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ আর ঝরঝরে লেখা!
আরো লেখা চাই।
"Life happens while we are busy planning it"
এতো পিচ্চি দেহটার ভিতরে এতো প্রতিভা ধরেন কেম্নে? দূর্দান্ত সিরিজ। লিখতে থাকেন। হিমুর লগে সহমত... ই-বই করেন। ফাঁকি দিলে শাহবাগে গিয়া পিটায়া থুয়া আসবো... নাইলে রাসেলের কণ্ঠে খাসদিলের গালি পাঠানো হবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
খাসদিলে যদি দোয়া (!) না দেন তয় মানুষ হমু কেমনে! মাইর না খাইলেও শুনছি মানুষ হওয়া যায়না! সিদ্ধান্ত নিছি আর লেখা দিমুনা! মাইর দেয়ার উসিলায় আপনি অন্তত চেহারা তো দেখাইবেন!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনার্য্য সঙ্গীত, এইরকম একটা লেখার জন্য ধন্যবাদ। আমি নিজে ভাইরাল হেপাটাইটিসের ব্যাপারে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য বেশ কটি কর্মশালায় যোগ দিয়েছি, গ্রামে গঞ্জে মানুষের রক্ত পরীক্ষা করে ভ্যাক্সিন দিয়ে বেরিয়েছি। আপনার উদ্যোগটি চমৎকার, লেখায় শুধু কয়েকটা তথ্যগত ভুল আছে সেটা উল্লেখ করছি।
হেপাটাইটিস ভাইরাস আছে মূলত ৫ রকম - এ, বি, সি, ডি, ই।
সাধারণ জন্ডিস (যেটা প্রায় সবার হয়, ডাক্তাররা বলেন বিছানায় শুয়ে থাকতে, তারপর কিছুদিন পর ভাল হয়ে যায়) হয় হেপাটাইটিস - এ ভাইরাস দিয়ে। এই হেপাটাইটিস এ এবং ই ভাইরাস শুধু ছড়ায় ফিকো-ওরাল রুট দিয়ে। অর্থাৎ আপনি যেগুলো বর্ণনা করেছেন - অপরিষ্কার হাত, পানি, খাবার, মল ইত্যাদি। এই হেপাটাইটিস এ এবং ই খুব বেশি ক্ষতিকর না, নিজে থেকেই মানুষ ভাল হয়ে যায়। তবে গর্ভবতীদের জন্য ই ভাইরাসটা ভয়াবহ।
হেপাটাইটিস বি, সি, ডি কখনোই এভাবে ছড়াবে না, এগুলোর ছড়ানোর রাস্তা আলাদা (রক্ত, বীর্য, গর্ভবতি মা থেকে সন্তানের এবং কারো কারো মতে লালা)। এগুলোর সাথে খাবারেরও কোন সম্পর্ক নেই।
আপনি যদি শুধু বি, সি ভাইরাসের ব্যাপারে লিখতে চান তাহলে তথ্যগুলো সংশোধন করে নেবেন। আর সবগুলো নিয়েই যদি লিখেন তাহলে আলাদা করে লেখা ভাল, বুঝতে সুবিধা হবে সবার।
আমার লেখায় অমার্জনীয় সব ভুল যে আমি অহরহ করছি তাতে কোন সন্দেহ নেই। এ কেবল সচলায়তন বলে মনের সুখে ভুল লেখার আস্কারা পাই।
আপনি আমার আগের লেখাগুলো পড়লে নিশ্চয়ই দেখেছেন সেখানেও তথ্যের অপর্যাপ্ততা আছে। ব্যাখ্যাতেও আছে সীমাবদ্ধতা। আসলে আমার মনে হয়েছে আমার বেশিরভাগ পাঠক মাইক্রোবায়োলজি ফিল্ডের নন। তাদেরকে তাই সরাসরি খটমট বিজ্ঞানের তথ্য জানাতে গেলে তারা বিরক্ত হবেন। আমার সব লেখাতেই তাই আমি কোন একটি বিষয়ের উপর কেবল একটা ধারণা দেবার চেষ্টা করেছি। আমি নিজে পড়ার সময় আমার যে অংশটুকু চমকপ্রদ আর মজার মনে হয়েছে আমি সেটুকুই কেবল পাঠককে জানিয়েছি। পরীক্ষার জন্য আমি যা পড়েছি তা জানাবার চেষ্টাও করিনি। (অবশ্য চাইলেও জানাতে পারতামনা। মনে থাকলে তো জানাব!)
আমার এই লেখাটিতে আমার ইচ্ছে ছিল পাঠককে কেবল দুটি কথা বলা, প্রথমত তরল খাওয়ার সময় সাবধান থাকুন আর দ্বিতীয়ত হেপাটাইটিস বি/সি আছে কিনা তা পরিক্ষা করিয়ে নিন।
সবগুলো হেপাটাইটিসের ধরন এবং সে সম্পর্কে তথ্য আলাদাভাবে দিয়ে লেখাটিকে যথেষ্ঠ্য হালকা আর সহজপাচ্য রাখতে পারতামনা। লেখক হিসেবে আমি নিতান্ত অযোগ্য সে আমি সবসময় জানি। কেবল হেপাটাইটিস বি অথবা সি এর ব্যপারে বললেও সমস্যা ছিল। হেপাটাইটিস ডি (সাবভাইরাল এজেন্ট/সেটেলাইট) ও এ' হেপাটাটিস বি এর সঙ্গে মিলে কিন্তু অনেক ঝামেলা পাকাতে পারে। নিশ্চয়ই জানেন।
আমি কৈফিয়ত দিয়ে দায় এড়াতে চাচ্ছিনা। লেখার সীমাবদ্ধতার দায়ভার আমার। কেবল বলছি যে, আমার অযোগ্যতা ছাড়াও লেখা সীমাবদ্ধ হওয়ার আরো দু'একটি ছোট কারণ ছিল। সবকিছুর পরেও আপনার কথাগুলো আমার পরবর্তী লেখাকে আরো যোগ্য করে তুলবে। অনেক কৃতজ্ঞতা ভুলগুলো ধরিয়ে দেবার জন্য।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
লেখাটা, লেখাট স্টাইলে পুরাটাই দারুন। আগের লেখাগুলোও পড়ে আসলাম। আপনার ভাইরাস বিষয়ক একটা ঝাকানাকা ব-e এর "অপেক্ষায় আছি- আইজুদ্দিন"
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
আপনার আগের লেখাগুলো পড়ে আসলাম। ৩ বছর আগে আপনার এই ব্লগটা পাইলে ইমিউনোলজী পড়তে গিয়ে আমার মাথার আর্ধেক চুল শহীদ হইত না।
আরো লিখেন, বেশি বেশি লিখেন। আপনার মত ব্লগারের দরকার আছে।
রায়হান ভাই এবং মেহদী ভাই,
তুলেন লাই দিয়া মাথায়। পরে কিন্তু আমি কিছু জানিনা
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নতুন মন্তব্য করুন