[পূর্বকথা: জুবায়ের ভাইকে আমি চিনেছি সচলে এসে। আমার সচলে আসার দিন যেহেতু খুব বেশি নয় তাই তাঁকে চেনার দিনও স্বল্প। সম্প্রতি তাঁর ল্যাপটপে পাওয়া লেখাটি পড়ে জানতে পারি তাঁর কি হয়েছিল। কেন কিভাবে কোন রোগ হয় সেটি জানার আগ্রহ আমার কেন জানি একটু বেশি বেশি। সেই আগ্রহ থেকেই জানার চেষ্টা করেছিলাম। যে কেউ চেষ্টা করলেই এই লেখাটির চাইতে অনেক বেশিই জানতে পারেন। তারপরও আমি যা জেনেছি তার সারমর্মটি লিখতে ইচ্ছে হলো...]
জুবায়ের ভাই যার সঙ্গে লড়লেন:
পালমোনারি ফাইব্রোসিস। পালমোনারি কথাটা ব্যাবহার করা হয় 'ফুসফুস সম্পর্কিত' বোঝাতে। আর ফাইব্রোসিস কথাটি এসেছে ফাইবার (বাংলায় তন্তু) শব্দটি থেকে। আমাদের শরীরের প্রধান চারধরনের টিস্যু'র মধ্যে একটি 'কানেকটিভ টিস্যু'। তন্তুজাতিয় এই কানেকটিভ টিস্যু'র আধিক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে একে বলে 'পালমোনারি ফাইব্রোসিস'। এটি অবশ্য এই রোগটির সবচাইতে বেশি প্রচলিত নাম। এছাড়া এই রোগটিকে 'ফাইব্রোজিং এলভিওলাইটিস', 'ইন্টার্সটিশিয়াল নিউমোনাইটিস', এবং 'হাম্মান-রিচ সিনড্রম'ও বলা হয়।
কি হয়:
আমাদের ফুসফুসে বাতাসের অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র থলি (এলভেয়লি) থাকে। এই এলভেয়লি থেকেই রক্তে কার্বন-ডাই-অক্সাইড আর অক্সিজেনের অদল-বদল হয়।
বলেছিলাম তন্তুজাতিয় কানেক্টিভ টিস্যুর আধিক্যের কথা। আসলে এই কারণেই মুলত ফুসফুসের এলভেয়লিগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তন্তুজাতিয় টিস্যুগুলি অনেকটা এলভেয়লিগুলোকে মুচড়ে দেয়। যার ফলে বদলে যায় এলভেয়লির আকার আর সৃষ্টিহয় ক্ষতের। পরবর্তীতে ফুসফুসের কোষগুলি পুরু আর শক্ত হয়ে ওঠে। ফলে শুরু হয় শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা। এই রোগটি কখনো একটা পর্যায়ে গিয়ে স্থিরতা পায় আবার কখনো দ্রুত বাড়তে থাকে।
পালমোনারি ফাইব্রোসিসের ফলে কেবল ফুসফুসের এলভেয়লি নয়, ক্ষতিগ্রস্থ হয় এলভেয়লিগুলোর চারপাশ এবং ভেতরের কোষও। বাদ যায়না ফুসফুসে রক্ত বয়ে আনা শিরা-উপশিরাগুলিও। সবমিলিয়ে ফুসফুসের একাংশের অবকাঠামো পুরোটাই ধ্বসে পড়ে এই রোগটি হলে।
কেন হয়:
ব্যাপারটি জটিল। পালমোনারি ফাইব্রোসিস হওয়ার পেছনের জানা কারণ আছে অন্ততঃ ১৪০টি। অবস্থাদৃষ্টে মনেহয়, ফুসফুস কিছু ইমিউন এক্টিভিটির প্রেক্ষিতে সাড়া দিতে গেলে এই রোগটি হয়। ব্যপারটি ব্যাখ্যা করা দরকার।
আমাদের শরীরের অনেক কোষ আছে যারা আমাদের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে (আগে এই বিষয়ে লিখেছি। এইখানে পুরোটা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়)। এইসব কোষ সাধারণত ধ্বংস করে রোগের জীবানু অথবা তাদের বাসস্থান অথবা জীবানুর তৈরি বিষ। শরীরের অন্তর্গত কিছু দুর্ঘটনার ফলে কখনো কখনো আমাদের শরীরের জীবানু ধ্বংসকারি এই কোষগুলো আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় কোষকেই শত্রু ভেবে নিধন করতে শুরু করে। অথবা কখনো তাদের কোন কর্মকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হয় শরীরের প্রয়োজনীয় কোষ। এটিও একধরনের রোগ। নাম 'অটোইমিউন ডিজিজ'। অনেকের মতে 'পালমোনারি ফাইব্রোসিস' একটি অটোইমিউন ডিজিজ।
আমাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধের একটি প্রক্রিয়ার নাম 'ইনফ্লামেশন'। ইনফ্লামেশন হতে পারে যে কোন আঘাত, যে কোন কারণে ক্ষত সৃষ্টি, জীবানুর অনুপ্রবেশ, বৈদ্যুতিক শক, এসিড/বেজ অথবা কোন গ্যাসে এক্সপোজড হওয়া এমন অনেক কারণে (এই বিষয়ে একটি লেখা লিখতে ইচ্ছা রাখি)। যাইহোক, শরীরের কোথাও ইনফ্লামেশন হলে সেখানের কোষগুলোর আচরণ অনেকটা বদলে যায়। অবশ্য সেটা শরীরের প্রয়োজনেই বদলায়। কিন্তু ফুসফুস কোষের আচরণের পরিবর্তন (যেটাকে বলছিলাম ফুসফুসের কিছু ইমিউন এক্টিভিটির প্রেক্ষিতে সাড়া দেয়া) অনেক সময় পালমোনারি ফাইব্রোসিস নামক ফুসফুসের এই ভয়ঙ্কর রোগটির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এখন প্রশ্ন আসে কি কারণে ফুসফুসের কোষগুলি (শরীরের রোগপ্রতিরোধী কোষগুলির সঙ্গে মিলে) নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে আত্মহত্যার ঝুঁকি নেয়! অর্থাৎ কি কারণে ফুসফুসে ইনফ্লামেশন হয় যার ফলে পালমোনারি ফাইব্রোসিস হতে পারে! কোন সদুত্তর নেই! অনেকগুলো কারণের যেকোন একটি হতে পারে! একের অধিক হতে পারে!! আবার কথিত কারণের একটিও না হতে পারে!!! যে কারণগুলি সাধারণত অনুমান করা হয় সেগুলোর মধ্যে আছে নানারকম রোগ। এগুলির মধ্যেও দুএকটি রোগ এমন যার কারণ আমরা জানিনা!
পালমোনারি ফাইব্রোসিস এর কারণ হতে পারে এমন একটি রোগ সার্কয়ডসিস (Sarcoidosis)। কিছু পেশার মানুষের এই রোগটি বেশি হতে পারে। যারা এসবেস্টস, ধাতব বর্জ্য এবং পাথরের সংস্পর্শে থাকেন বা এজাতিয় বস্তু প্রক্রিয়াজাত করার কাজ করেন তাদের পালমোনারি ফাইব্রোসিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি। ধুমপান সেই ঝুঁকি বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়।
আমাদের চেনা যে রোগগুলি থেকে পালমোনারি ফাইব্রোসিস হতে পারে সেগুলোর মধ্যে টিউবারকিউলোসিস (যক্ষা) আছে সবার আগে।
যেসব ওষুধ এই রোগের কারণ হতে পারে:
১. 'নাইট্রোফুরান্টন' নামক এন্টিবায়োটিক (এটি বিশেষত গ্রাম নেগেটিভ ব্যাক্টেরিয়ার নিউক্লিয়িক এসিড নষ্ট করে দেয়)
২. এন্টিএরিদমিক এজেন্ট 'এমায়োডারোন' (হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়)
৩. গ্লাকোপেপ্টাইড এন্টিবায়োটিক 'ব্লিওমাইসিন' (ব্যাক্টেরিয়ার নিউক্লিয়িক এসিড ভেঙ্গে দেয়। সাধারণত ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।)
৪. নাইট্রোজেন মাস্টার্ড এলকাইলেটিং এজেন্ট 'সাইক্লোফসফামাইড' (অটোইমিউন ডিজিজ এবং ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়)
৫. এন্টিমেটাবোলাইট এবং এন্টিফোলেট ড্রাগ 'মেথোট্রেক্সেট' (অটোইমিউন ডিজিজ এবং ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়)
ওষুধ ছাড়াও চিকিৎসার জন্যে ব্যবহৃত রেডিয়েশন থেকে হতে পারে এই রোগটি। হতে পারে বিশেষ একটি জিনে মিউটেশনের ফলে (যেটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রেডিয়েশনের জন্যেই হয়)।
কাদের হয়:
কোন ঠিক নেই। সাধারণত মধ্য বয়সী নারী-পুরুষের হয়। তবে দেশের সীমারেখা, জাত, রঙ, লিঙ্গ এজাতিয় বিধিনিষেধ এই রোগটি মেনে চলেনা।
চিকিৎসা:
রোগটি কেন/কিভাবে হয় সেটি বোঝাতে পেরেছি কিনা বুঝতে পারছিনা। আরেকবার বলি,
ধরুন আপনাকে কোন একদল ডাকাত আক্রমন করল। আর আপনি ধুপধাপ কারাতে'র মার দিয়ে তাদের সঙ্গে লড়তে লাগলেন। দেখা গেল ডাকাত আপনার কোন ক্ষতিই করতে পারেনি কিন্তু কারাতের মার দিতে গিয়ে আপনি নিজের হাতে নিজের নাক ভেঙ্গেছেন, হাতে-পায়ে ব্যাথাও পেয়েছেন। পালমোনারি ফাইব্রোসিস হয় ঠিক এরকম কোন বহিঃশত্রুর আক্রমন থেকে বাঁচতে যখন ফুসফুসের কোষগুলো এবং শরীরের অন্যান্য রোগপ্রতিরোধী কোষ লড়তে গিয়ে নিজেরই ক্ষতি করতে থাকে তখন। ফুসফুসের ক্ষতিগ্রস্থ কোষ সুস্থতার জন্যে যে প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যায় সেটিও হতেপারে এই রোগের কারণ।
এবার বলি রোগের চিকিৎসার কথা,
চিকিৎসা দুটি, প্রথমত বহিঃশত্রুকে ঠেকানো আর দ্বিতীয়ত ফুসফুস কোষ যাতে নিজেকে রক্ষা না করতে যায় সেটি নিশ্চিত করা। কিভাবে এই দুটি কাজ করা যেতে পারে সেটি একটু চিন্তা করলেই বলা সম্ভব। কর্মক্ষেত্রের এসবেস্টস বা ধাতব বর্জের জন্য রোগটি হলে পরিবেশ বদলানো হয় অনেক সময়। কখনো এন্টিইনফ্লামেটরি ড্রাগের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া হয় ফুসফুস কোষের নিজেকে রক্ষার প্রক্রিয়া (কর্টিকস্টারয়েড নামক স্টেরয়েড হরমোন কার্যকর এমন একটি ওষুধ)। ইনফ্লামেশন থামানো গেলে অনেক ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক ভাবে ফুসফুস কোষের সুস্থতা ফিরে আসতে থাকে।
এছাড়া রোগীকে বাইরে থেকে অক্সিজেন দিয়ে অথবা কমপরিশ্রমে বেশি অক্সিজেন গ্রহনের পদ্ধতি শিখিয়ে যতক্ষন সম্ভব যতটা সম্ভব সুস্থ রাখার চেষ্টা করা হয়।
শেষ কথা:
সারা দুনিয়ায় অন্তত ৫০ লক্ষ মানুষ পালমোনারি ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত। কেবল আমেরিকাতেই আক্রান্ত অন্ততঃ ৫ লক্ষ মানুষ।
জুবায়ের ভাই আমার বিশ্বাস অনেক ভাগ্যবান মানুষ ছিলেন। যাওয়ার আগমূহুর্ত পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে ছিল হাজারো মানুষের ভালোবাসা। আমার মতো কতোজন তাকে কখনো দেখিনি, তিনি বেচে থাকতে তাঁর নামও শুনিনি অথচ তার মৃত্যুর দিনে হাজির হয়েছিলাম একসঙ্গে তাঁকে স্মরণ করতে। এই সৌভাগ্য সবার হয়না। মৃত্যুর পরেও মানুষের আবেগ নিয়ন্ত্রন করার এত ক্ষমতাও সবার থাকেনা।
আমি বিশ্বাস করি, আমরা অনেকেই মনে মনে একজন মুহম্মদ জুবায়ের হতে চাই।
[অটোইমিউন ডিজিজের ব্যপারটি থাকলেও পালমোনারি ফাইব্রোসিস বিষয়টি আমার পাঠ্যক্রমে ছিলনা। যেটুকু জেনেছি সবটাই আমার ইমিউনোলজির কয়েকটি বই আর অন্তর্জাল ঘেঁটে। এই অঙ্গনে অনেক গুণী এবং সম্মানীয় বিজ্ঞান লেখক আছেন। তাঁরা নিশ্চয়ই ব্যপারটি আমার চাইতে ভাল করে ব্যাখ্যা করতে পারতেন। সব ভুলের জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।]
তথ্যসুত্র:
১. Roitt, Brostoff, Male; Immunology (6th edition)
২. Ivan M. Roitt; Essential Immunology (4th edition)
৩. Jewertz, Melnick, Adelberg; Medical Microbiology (23rd edition)
৪. http://pulmonaryfibrosis.org/ipf.htm
৫. http://www.lung.ca/diseases-maladies/a-z/pfibrosis-fibrosep/index_e.php
৬. http://www.ncbi.nlm.nih.gov/sites/entrez
৭. http://www.nlm.nih.gov/medlineplus/pulmonaryfibrosis.html
৮. http://en.wikipedia.org/wiki/Pulmonary_surfactant
৯. http://en.wikipedia.org/wiki/Pulmonary_surfactant-associated_protein_C
১০. http://www.mayoclinic.com/health/pulmonary-fibrosis/DS00927
১১. http://www.medicinenet.com/pulmonary_fibrosis/article.htm
মন্তব্য
দারুণ লেখা জনাব। আনুসঙ্গিক অনেক কিছু জানা হলো।
কৃতজ্ঞতা
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভালো লেখা অনার্য্য। 'কেন হয়' এর স্পেসিফিক কারনগুলো হয়ত দ্রুত-ই বের হবে তোমাদের মত লড়াকু আর মেধাবী পেশাজীবিদের বারংবার প্রচেষ্টায়...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
কৃতজ্ঞতা ভাই।
(পুনশ্চ: তুমি মহান তা আমি জানি। আমারে হাওয়ায় উড়ায়া মজা লও না!!! )
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তোমাকেই দেওয়া হলো উত্তম জাঝা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
থ্যাঙ্কো, নজ্রুল্ভাই
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এমন পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
কষ্ট করে বিষয়টি জানানোর জন্য ধন্যবাদ। অটোইমিউন ডিজিজ গুলো মনে হয় সবচেয়ে বদ কিসিমের রোগ। বেশিরগুলোরই চিকিতসা থাকে না। ভাগ্যের উপর ভরসা করতে হয়। আশা করি জিন্ অথবা স্টেম সেল পদ্ধতিতে কোন একদিন এগুলোকেও নিরাময় করা যাবে।
কৃতজ্ঞতা
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কৃতজ্ঞতা প্রহরী
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দারুন শিক্ষক আপনি। অসাধারণ ...
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
কৃতজ্ঞতা এবং পাঠকের বিনয়ে মুগ্ধতা
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কৃতজ্ঞতা । বিনয়ী পাঠকের প্রশংসায় মুগ্ধ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
রায়হানাবীরের সাথে সহমত
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
কৃতজ্ঞতা
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অশেষ ধন্যবাদ।
অনেক কিছু জানলাম তোর লেখা পড়ে...
তুই কই ছিলি ! কেমন আছিস ?
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনার এই কথাটার জন্য আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম।
পালমোনারি ফাইব্রোসিস সম্বন্ধে আমার যতটুকু জ্ঞান, তার সিংহভাগই meyoclinic.com থেকে। কিন্তু এতো বিস্তারিতভাবে এই প্রথম জানলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনার এই লেখাটার জন্য। ভালো থাকবেন।
--------------------------------------------------------------------------------
[জুবায়ের ভাইকে নিয়ে আপনার লেখাগুলো আমি পড়েছি। মন্তব্য করা হয়নি। আসলে কি মন্তব্য করব বুঝে উঠতে পারিনি। সেজন্য এখানে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।]
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আপনিও
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লেখলেন, আসলেও অনেক কঠিন জিনিষ গুছিয়ে লিখেছেন, আমি ২বার লিখতে গিয়েও লেখি নি, কেউ হ্য়ত মনে করবেন, এখানে সবাই শোকাহত, তার মাঝে এসে জ্ঞান কপচাচ্ছি। তবে আপনার লেখাটা অনেক সুন্দর হয়েছে, লেখায়
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনি লিখলে নিশ্চয়ই আমার চাইতে ভাল হতো।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনার্য্য সঙ্গীত,
খুব ভালো লেখা।
'আমি বিশ্বাস করি, আমরা অনেকেই মনে মনে একজন মুহম্মদ জুবায়ের হতে চাই।'
-অসাধারন।
'ধরুন আপনাকে কোন একদল ডাকাত আক্রমন করল। ......ফুসফুসের ক্ষতিগ্রস্থ কোষ সুস্থতার জন্যে যে প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যায় সেটিও হতেপারে এই রোগের কারণ।'- খুব ভালো বর্ণ্না।
তাহলে খাওয়াটা শোধবোধ হয়ে গেলো কি বলো?
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।
আপু, আমি ভাবছিলাম তোমার ধন্যবাদ আমারটার চাইতে পাওয়ারফুল। আগের পাওনা খাওয়াটা শোধ হয়েও আমি কিছু পাব
মন্তব্যের জন্য থাঙ্কো
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
রাগিব ভাইয়ের অনুরোধের সাথে কন্ঠ মেলাচ্ছি।
এবং এরকম আরও অনেক দুর্দান্ত লেখার জন্য আবদার জানিয়ে রাখছি।
মামুন্ভাই, আপনার কি এখন আর আবদারের বয়স আছে! আবদার করমু আমরা (for example: চক্লেটখামু )
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এই অংশটুকু পড়ে মনে হলো রোগটি নিরাময় যোগ্য। তাহলে জুবায়ের ভাই-এর ক্ষেত্রে রোগটি এমন মারাত্মক হয়ে উঠলো কেন ?
এমন ধরণের পোস্ট চলতে থাকুক
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ইনফ্লামেশন এবং বহিঃশত্রুর আক্রমন কোনটাই আসলে পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। যতদুর সম্ভব কমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
জ্ঞানগর্ভ পোষ্ট। জেনে উপকৃত হলাম।
ধন্যবাদ ।
দলছুট।
=============বন্ধু হব যদি হাত বাড়াও।
ধন্যবাদ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
জুবায়ের ভাইয়ের লেখাটা পড়ার পর থেকেই ইন্টারনেটে খোঁজ করছিলাম বিষয়টা বোঝার জন্য। এখানে চমৎকার ভাবে ব্যাখ্যা করা হল। আপনাকে ধন্যবাদ।
কৃতজ্ঞতা
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দীর্ঘদিন পর লগ-ইন করলাম, শুধু মন্তব্য করার জন্য। চমৎকার!
আপনার সবগুলো লেখাই পড়া হয়েছে, খুব ভাল লেগেছে। আমাদের মত অবৈজ্ঞানিক লোকেদের জন্য এমন সরস লেখা খুবই উপকারী। ধন্যবাদ।
অটোইমিউন ডিজিজ, বিশেষত, মাইস্থেনিয়া বিষয়ে লেখার অনুরোধ করলে কি বিরক্ত হবেন?
মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা
বিরক্ত হব কি বলেন! আপনাদের লাই পেয়ে মাথায় ওঠার জন্যেই তো লিখি । অটোইমিউন ডিজিজ এবং ইনফ্লামেশন মিলিয়ে একটি লেখা লেখার ইচ্ছে রাখি। মিয়েস্থিনিয়া অটোইমিউন ডিজিজের মধ্যেই আসবে আশা করি। যদিও এই রোগটি সম্পর্কে বিশেষ বিস্তারিত জানিনা। তবুও লেখার চেষ্টা করব
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ। লেখার জন্য অপেক্ষা করছি।
দয়া করে সাথে "Rheumatoid Arthritis" নিয়ে লিখলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক কিছু জানলাম।
রাগিব ভাইয়ের কথার সাথে একমত।
লেখা ভালো হয়েছে।
কৃতজ্ঞতা
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
---------------------------------------------------------------------------
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
থ্যাঙ্কো
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কৃতজ্ঞতা
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
খুব ভালো পোস্ট অনার্য্য! খুব সুন্দর গুছিয়ে লেখা
অনেক ধন্যবাদ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভাইরাস ভাই, আপনার লেখাগুলো ব্যাপক পছন্দ।
অনুরোধ, এখানকার মতো উইকিপিডিয়াতেও নিয়মিত হয়ে যান। সেখানে আপনার মতো মানুষদের খুব দরকার।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
থ্যাঙ্কিউ গৌতমদা।
উইকিতে লেখার চেষ্টা করব
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ।
কৃতজ্ঞতা
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনেক ভালো হইছে রে ভাই!
এইরকম বিষয় নিয়ে বুঝিয়ে লেখা তো কঠিন! যথেষ্ট গোছানো এবং সমৃদ্ধ হয়েছে।
হুউম।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
অনেক কৃতজ্ঞতা ভাই
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এতো কঠিন বিষয় এতো সহজ করে লেখা !! দুর্দান্ত!!
---------------
আমার ফ্লিকার
---------------------
আমার ফ্লিকার
কৃতজ্ঞতা
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভাইয়া
এই লেখাটা ভালো হয়েছে। অনেক ভালো হয়েছে।
তোর এধরনের লেখা আমি খুব বেশী পড়িনি।
জীব অনুজীব ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া নিয়ে আমার আগ্রহ কম।
এই লেখাটায় ঢুকেছি শিরোনাম দেখে। একধরনের আবেগ নিয়ে।
এবং ঢুকে পুরোপুরি ধাক্কা খেয়েছি।
কিছুতেই বুঝতে পারছিনা শিরোনামে জুবায়ের ভাইয়ের নাম কেন আসবে।
এটা একটা চমতকার তথ্যবহুল লেখা।
কিন্তু 'মুহম্মদ জুবায়ের:যার সঙ্গে লড়লেন' লেখা দরজা খুলে
সম্পূর্ণ অন্য একটা বিষয় পড়তে ভালো লাগেনা।
লেখাটায় কোন অংশে জুবায়ের ভাইয়ের নাম আসা পর্যন্ত ঠিক ছিল।
কিন্তু শিরোনাম আর লেখার কন্টেন্টে পার্থক্য খুব বেশী হয়ে গেছে।
তুই আবার ভেবে নিসনা
জুবায়ের ভাইকে নিয়ে তোর আবেগকে খাটো করে দেখছি।
তোর উদ্দেশ্যে কোন খাদ নেই জানি।
শুধু কেমন লাগাটা জানিয়ে গেলাম
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানাপু,
আমি কিছু মানুষের মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করি। তুমি তাদের মধ্যে একজন। আমার মেরুদন্ড বাঁকা। তোমাদের স্পর্শে সেটা একটু একটু করে সোজা হয়। আদর করে হাত বুলালে যতটানা, তার চাইতে বেশি উপকার পাই কষে কিল-ঘুসি খেলে।
শিরোনামের ব্যপারটা বলি। জুবায়ের ভাইকে নিয়ে আমার আবেগ জুবায়ের ভাইয়ের লেখা পড়ে যতটা না তৈরি হয়েছে (ওনার অল্প কয়েকটি লেখা মাত্র আমি পড়েছি), তার চাইতে বেশি হয়েছে ওনার প্রতি সচলদের শ্রদ্ধা দেখে। সচলে আমার বয়স মাসচারেক। জুবায়ের ভাইকে আমার চেনার কথা না। চিনেছি সচলদের চেনা থেকে। আমি ওনার মৃত্যু বার্ষিকীতে গিয়েছিলাম। সত্যি অবাক হয়েছি ওনার প্রতি সচলদের আবেগ দেখে।
পালমোনারি ফাইব্রোসিস আমার লেখায় কখনোই আসত না। আমি এই রোগটির নাম জেনেছি জুবায়ের ভাইয়ের একটা লেখা থেকে। এই রোগেই উনি বিদায় নেন। রোগটি সম্পর্কে আমার কৌতুহল ছিল, তাই জানতে চেষ্টা করেছিলাম। পরে ভাবলাম সচলদেরও নিশ্চয়ই এই রোগটি সম্পর্কে অনেক কৌতুহল থাকবে (কারন তোমাকে তো বললাম, জুবায়ের ভাইকে নিয়ে সচলদের আবেগ আমি দেখেছি)। তাই এই লেখাটি সচলে দেয়া। শিরোনামটিও একারনেই।
পুনশ্চ: এতোদিন পরপর তোমার কমেন্ট পাই, মানুষ হইতে হইতে তো বুড়া হয়ে যাবো
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ অনার্য্য।
লেখাটা ভালো হয়েছে।
ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।
নতুন মন্তব্য করুন