(১)
ধরেন আপনার প্রেমিকাটি থাকে দোতলা বাড়িতে। রাস পূর্ণিমার রাতে আপনার ইচ্ছে হল নিজ হাতে তাকে লাল গোলাপ দেয়ার। কি করবেন? প্রথমে লাল গোলাপ কিনেন। তারপর তার ডাল থেকে কাঁটা ছাড়ান। তারপর প্রেমিকার বাসার সামনে গিয়ে প্রথমে আয়াতুল কুরসি আর দোয়া কুনুত পড়েন ৬ বার। এবার অতি সাবধানে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙ্গান। বাথরুমের পাইপ বেয়ে দোতলায় উঠেন (গোলাপটি দাঁত দিয়ে ধরে নিন)। এরপর বাথরুমের জানালায় গোলাপটি রেখে নিচে নামুন। এবার প্রেমিকাকে ফোন দিন। সেই মুহূর্তের কথোপকথন:
আপনি: হ্যালো, ফুলবানু, একটু বাথরুমে যাওনাগো আমার ফিঙে...
প্রেমিকা: কেন ময়নাপাখি! আমার তো বাথরুম পায় নাই!
আপনি: আমার জন্যে, ভালবাসার জন্যে, এই রাস পুর্ণিমার রাতে তুমি সামান্য বাথরুমও করতে পারবে না, ফুলবানু!!!
ধরেন, এইখানে আপনি একটা ভুল করলেন। একটু আবেগাক্রান্ত হয়ে রাস পুর্নিমার রাতে বাথরুম সংক্রান্ত ডায়ালগটি বেশ উঁচু স্কেলে বলে ফেললেন। সর্বনাশ!!! এতো জোরে চিল্লাইতে আপনারে কে বলছে! ঝেড়ে দৌড় মারেন। বাড়িওয়ালার কুত্তা কিন্তু ভালোবাসার মর্ম বোঝেনা। দৌড়ান দৌড়ান। দাঁড়ান, সামনে কাঁটাতারের বেড়া। সাবধানে পার হোন, ঠিক যেভাবে প্রবেশ করেছিলেন সেইভাবে...
ধরেন, এইখানে আপনি আবারো একটা ভুল করলেন। কুত্তার দাঁত থেকে লেজ বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করলেন কাটাতারের বেড়াটি এক লাফে পার হতে। পার হতে তো পারলেনই না বরং শরীরে তার ফুটিয়ে একেবারে ধপাস করে 'পপাত চ্' হয়ে গেলেন। শুনশান অন্ধকার রাত চৌচির করে জেগে উঠেছে বাড়ির লোকজন। ধেয়ে আসছে বাস্কারভিলের হাউন্ড সাদৃশ্য নেড়ি বাড়িওয়ালার কুত্তা। এখন কি হবে!
এখন হবে ইনফ্লামেশন।
আপনার শরীরের যেখানে তার ফুটেছে সেখান থেকে এক ধরনের সংকেত পৌঁছে যাবে আপনার সারা শরীরে। সংকেতের ফলে সারা শরীর থেকে আহত স্থানে ছুটে আসবে আপনার শরীরের যোদ্ধারা। এই যোদ্ধাদের কথা আগের কয়েকটি লেখায় ব্যাখ্যা করেছি। এখানে ব্যাখ্য করা সম্ভব নয়, কেবল বলে রাখি এরা আপনার শরীরের বিভিন্ন প্রকার কোষ এবং তাদের তৈরী আরো অনেক উপাদান (immune cells and their products) যারা আপনাকে ক্ষতিকারক অনুজীব এবং অন্য অনেক কিছু থেকে সুরক্ষা দেয়। আক্রান্ত স্থানে সবার আগে আসে গিলেখাদকরা (phagocytes/এদের কথাও আগে বলেছি)। গিলেখাদকরা জীবানু ধরে ধরে গিলে খায়। আরো যারা যোদ্ধা আছে তাদের আক্রান্ত স্থানে আসতে একটু সময় লেগে গেলেও তারাও তাদের দ্বায়িত্বে অবহেলা করেনা। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা কেবল এইখানেই সীমাবদ্ধ থাকে না।
আক্রান্ত স্থানে জীবানুর আধিক্য থাকে বেশি। তাই সেখানে যোদ্ধাও লাগে বেশি। আর বেশি যোদ্ধা আসতে চাই প্রশস্থ পথ। সুতরাং আক্রান্ত স্থানের আশেপাশে রক্তের সুক্ষ্ম শিরা-উপশিরাগুলোর সক্ষমতা বেড়ে যায়। বেড়ে যায় শিরা থেকে কোষে যেদ্ধাদের আসা-যাওয়ার হার। সহজ কথায় আক্রান্ত অঞ্চলের যেসব ফুটো-ফাটা দিয়ে রক্ত চলাচল করে সেগুলো যায় মোটা হয়ে। রক্তের আধিক্যের কারনে আক্রান্ত স্থান বেশি লাল দেখায়। কেবল এ-ই নয়। ইনফ্লামেশনের ফলে আক্রান্ত স্থানের চারধারে একটা বিশেষ প্রোটিনের বেড়া তৈরী হয় যাতে শত্রুরা ছড়িয়ে পড়তে না পারে। শিরা থেকে কোষে তরল যাবার পরিমান যেমন বেড়ে যায় তেমনি যাতে দরজা বড় করতে গিয়ে পুরো দেয়াল না ভাঙ্গে সে ব্যবস্থাও নেয় আপনার শরীর। আক্রান্ত স্থানে শরীরের যোদ্ধাদের এই ছোটাছুটি ও তাদের এবং আক্রান্ত স্থানের সাধারণ কোষদের নানান কর্মকান্ডের ফলে ঘটে বিশেষ কিছু চমকপ্রদ ঘটনা। না, ঘটনা এইখানেই সমাপ্ত হয়না। আসল ঘটনা এখানে শুরু হয় মাত্র।
গিলেখাদকরা যখন জীবানু গিলে খায়। তারা কেবল খেয়েই ক্ষ্যান্ত দেয়না। আরো নানান অতুল কীর্তি রাখে। যেগুলোর মধ্যে সাইটোকাইন বলে একপ্রকারের পদার্থ নিঃসরণ অন্যতম (সাইটোকাইনের অনেকগুলো ধরণ আছে। একেক ধরণের সাইটোকাইনের কাজ একেক রকম)। সাইটোকাইন শালারপো'র কাজ হচ্ছে সংকেত দেয়া। এরা শরীরের বিভিন্ন কোষকে শত্রুর আক্রমন সম্পর্কে জানায়। বিভিন্ন কোষকে আপদকালীন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলে। সমস্যা হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংবাদও সবসময় ভালো ফলাফল বয়ে আনেনা। শালারপো'র ক্ষেত্রে এই কথাটি একমাত্রা বেশি সত্যি। সে গিয়ে আপনার হাইপোথ্যালামস'কেও সংকেত দেয়। শালারপো'র এই সংকেতের ফলে হাইপেথ্যালামস হালারপো'র মাথা যায় খারাপ হয়ে। এমনিতে হালারপো'র উপর শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখার দ্বায়িত্ব। সেই বলে দেয় শরীরের তাপমাত্রা কিরকম থাকবে। শালারপো'র খোঁচায় তার মাথা খারাপ হয়ে গেলে সে শরীরে সংকেত পাঠায় তাপমাত্রা বৃদ্ধির। আর অবশ্যম্ভাবীভাবে শরীরের তাপমাত্র যায় বেড়ে। তাপমাত্রার এই বৃদ্ধিকে আমরা বাংলায় 'জ্বর' বলি । জ্বর এজন্যই সাধারণভাবে কোন রোগ নয়। রোগের উপসর্গ।
কেবল শালারপো'দের খোঁচা নয়, আরো অনেক কারনে হালারপো'র মাথা খারাপ হয়। আর কেবল তারের খোঁচা নয় আরো অনেক কারনে কোন স্থানকে 'আক্রান্ত' বলে বিবেচনা করে শরীর। এসবের মধ্যে আছে জীবানুর সংক্রমন, আঘাত পাওয়া, পুড়ে যাওয়া, বিষাক্ত কিছুর সংস্পর্শে আসা, ক্ষতিকারক রেডিয়েশন, ময়লা আবর্জনার সংস্পর্শে আসা এরকম অনেক কারণ।
জ্বর হওয়া সুতরাং খারাপ কিছু না। অন্ততঃ জ্বর হইলে আপনি জানতে পারলেন যে ঘটনা একটা ঘটছে। বিপদ অন্যখানে। শত্রুপক্ষ যদি শক্তিশালী হয় আর যদি শরীরের যোদ্ধারা যুদ্ধে পেরে না ওঠে তখন!? হয়ত আপনার সৈন্যরা যুদ্ধে হারে নাই, যুদ্ধ জারি আছে। কিন্তু চলমান যুদ্ধেরও আছে নানান পার্শপ্রতিক্রিয়া। এবং অনেক ক্ষেত্রেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুল যুদ্ধের চাইতেও ভয়াবহ।
আগে বলি যুদ্ধ কখন দীর্ঘস্থায়ী হয়। শক্তিশালী শত্রুপক্ষ হলে স্বাভাবিকভাবেই যুদ্ধের স্থায়ীত্ব বেড়ে যায়। তেমনি আমাদের অন্তর্গত যোদ্ধাদের কোন দুর্বলতা থাকলেও এরকম হতে পারে। শরীরের (কোষের) অবকাঠমো বা মালমসলায় যদি কোন সমস্যা থাকে তাহলেও যুদ্ধ জিততে সময় লাগে। পরিবেশের কারণেও হতে পারে একই সমস্যা। আরো নানান কারণ আছে সবগুলো লিখলে আপনি এইখানেই ক্ষ্যান্ত দিয়ে ভেগে যাবেন ভেবে লিখছি না।
দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলি এবার। মানে বলতে চাচ্ছি ইনফ্লামেশন যদি থেমে না গিয়ে চলতে থাকে তাহলে কী হয়। কত কি যে হয় তার সত্যিই কোন ইয়াত্তা নেই। অল্প কয়েকটির ইয়াত্তা দেই। শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি আংশিক বা অনেকাংশে অকেজো অথবা বিশৃংখল হয়ে যেতে পারে। যারা মুলত ইনফ্লামেশন ঘটায় তারাই অকেজো হয়ে যেতে পারে। মানে গিলেখাদকরা, যারা শত্রু গিলে খায় তারা পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। ক্যান্সার হতে পারে। আরো হাজারো সমস্যা যেগুলো লেখাটিকে কেবল ভারী করবে। কেবল জেনে রাখুন সেগুলোও ক্যান্সারের মতই ভয়ঙ্কর। জুবায়ের ভাই (মুহম্মদ জুবায়ের) যে রোগটির সঙ্গে লড়াই করেছিলেন, পালমোনারি ফাইব্রোসিস, সেটির একটি প্রধান কারন ফুসফুস কোষে দীর্ঘস্থায়ী ইনফ্লামেশন। ইনফ্লামেশন প্রক্রিয়ায়, বুঝতেই পারছেন, আক্রান্ত স্থানের কোষগুলি তো বটেই তাদের আশেপাশের বিস্তীর্ন এলাকার কোষগুলির স্বভাবিক কর্মকান্ডও ব্যহত হয়। আর ফুসফুস কোষের কর্মকান্ড ব্যহত হলে তো আমাদের চলেনা। রক্তে ঠিকমত অক্সিজেন পৌঁছায় না। জুবায়ের ভাইয়ের ফুসফুসে ঠিক এই সমস্যাটি হয়েছিল।
সবমিলিয়ে ইনফ্লামেশন এমন একটি প্রক্রিয়া যেটি শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। মাথা ব্যাথা, সামান্য জ্বর, কিছু এলার্জিক ক্রিয়া ইত্যাদি হলে তাই একটু ধৈর্য ধরাই মনে হয় ভালো। মনে করুন, আপনি ঘুমাচ্ছেন আর আপনার ঘরে চোর ঢুকেছে। এখন চোর ধরতে গেলে আরামের বিছানা ছেড়ে মাঝরাতে উঠতে হবে বলে কি আপনি চোর ধরবেন না! আমার মনে হয় না এত বেশি কম্পোস্ট সার আপনার মাথায় আছে। আপনি কি বলেন? তাই বলছিলাম কি, কিছু হতে না হতেই 'এন্টি-ইনফ্লামেটরি' (উধাহরণ: এসপিরিন) ওষুধ খেয়ে নিজেকে বাঁচানোর যুদ্ধে নিজেই অযাচিত হস্তক্ষেপ না করাই বোধহয় মঙ্গল।
অবশ্য, "তোর কি বোধহয় তাতে আমার কি যায় আসে! আমারে কুত্তায় তাড়া করছে আর উনি আসছেন ইয়ে করতে..." এ-ও আপনি বলতে পারেন। কারণ, স্বাধীন দেশে রাস পূর্ণিমা সবার, প্রেমিকা আপনার, বাড়িওয়ালা প্রেমিকার, কুত্তা বাড়িওয়ালার। আমার এখানে কিছুই না। অতএব, আপনি আপনার প্রেমিকার বাড়িওয়ালার কুত্তার কামড় খেয়ে লেজ হারাবেন নাকি আন্দাজমতো ওষুধ খেয়ে জীবন হারাবেন সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার... ।
(২)
পারিশিষ্ট (আসলে 'ভূমিকা' হবে)
লোভ সামলাতে পারলাম না। তাই এইরকম একটি শিরোনাম দিলাম। অবশ্য বলছি না যে শিরোনামের সঙ্গে মুল পোস্টের কোন মিল নেই। আসলে আজকাল সচলে পাঠক পাওয়াই মুস্কিল। এখানে মুলত যিনি পাঠক তিনিও দারুন দারুন সব লেখা লিখতে ব্যস্ত থাকেন হরহামেশা। আর তাছাড়া আমার লেখাগুলি কখনোই বিশেষ 'জাতের' হয়না। তাই পাঠকের আকাল আমাকে পীড়া দিতে কার্পন্যও করেনা। সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে আমি লিখি সব 'জ্ঞান দেয়া' ধরনের পোস্ট। নানান 'হালকা-পাতলা' কথায় সেই সব লেখাকে সহজপাচ্য করার চেষ্টা থাকলেও আসলে যে শাক দিয়ে মাছ অথবা বালিশ দিয়ে বিছানা ঢাকা যায়না সে আমি নিজেও বুঝি... [হায় হায় এইগুলা আমি কি লিখতেছি!!!]
লিখতে বসেছলোম কয়েকটি বিষয় নিয়ে। ইনফ্লামেশন, অটোইমিউন ডিজিজ, মাইস্থেনিয়া এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস। জুবায়ের ভাইয়ের যে রোগটি হয়েছিল সেটি নিয়ে লেখার সময় আমি বলেছিলাম, ইনফ্লামেশন বিষয়ে লিখব। ব্যপারটা খুব মজার। এজন্যই আসলে লিখতে চাওয়া। এর সঙ্গে চলে আসে অটোইমিউন ডিজিজ। দুটো মধ্যে অনেক মিল। আর শেষের দুটি রোগ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন দু'জন সচল (আমি কৃতজ্ঞ যে তাঁরা আমাকে এই বিষয়ে লেখার যোগ্য ভেবেছিলেন। যদিও রোগদুটি সম্পর্কে আমি তখন বিশেষ কিছুই জানতাম না।)।
এই লেখাটি অনেকদিন ধরে লিখব ভাবছিলাম। দেরী করে ফেললাম। এবং শেষও করতে পারলাম না। ইনফ্লামেশনই ক্রনিক (দীর্ঘস্থায়ী) হয়ে উঠলো। আমিও ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। যদি আপনারা আশ্বাস দেন যে আমার সচলের সদস্যপদ বাতিল করা হবেনা তাহলে আগামী পর্বে বাকি টপিকগুলো নিয়ে লিখবার আশা রাখি। সেই সঙ্গে এরকম শিরোনাম দেয়ার একটি ব্যাখ্যাও ব্যাখ্যা করতে চাই
মন্তব্য
শিরোনামের শানে নু্জুল জানতে চাই।
লেখা অতিপ্রাকৃতিক গোছের হয়েছে
আগে কন 'অতিপ্রাকৃতিক' ভাল না খারাপ !?
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অতিপ্রাকৃতিক মানে ভালো ছাড়াইয়াও পঞ্চাশ মাইল!!
খাড়ান তাইলে শিরোনামের শানে নুযুল লেখা আরম্ভ করি...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
যা ভাবছিলাম! ঘুরেফিরে তুই কুমির (জীবাণু)- এর কথাই আনবি
লেখাটা তোর মতই (মাথানষ্ট) হইছে
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
খাড়াও! একখান প্রেমের গল্প লিখতেছি। নাম ঠিক করছি "জীবানুর প্রেম"...সরি...জীবানুর প্রেম না 'প্রেমের জীবানু'...আরে ধুর...খালি জীবানুর কথা আসে...আসল নামটা হবে, "একটি জীবানুমুক্ত প্রেমের গল্প" (যাক এইখানে কোন জীবানু নাই)
মাথানষ্ট না হইলে আর এইরম আজাইরা লেখা !!!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ইসসিরে- এইভাবে যদি পাপীষ্ঠ সাররা আমাদের ইনফ্ল্যামেশন বুঝাইতো- প্যাথলজি ক্লাশগুলা খুবই কষ্টে কাটসে আমার।
এখন আপনার উচিত বই লিখে ফেলা- 'ছোটদের মাইস্থেনিয়া গ্রাভিস' টাইপের কিছু একটা
---------------------------------------------
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পটকা।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হে হে... বই প্রকাশ আর সবগুলা কপি কেনার দ্বায়িত্ব আপনি নিলে আমি কবুল...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পূর্ববৎ চমৎকার! ধন্যবাদ।
তবে, আমাদের মত ‘অশিক্ষিত’ পাঠকদের দ্রবণে কত যে সরল কথা আরও তরল করে বলতে হবে। এই যেমন এসপিরিন- এ কি সেই আমাদের একাত্তরে পাঠানো সপ্তম নৌ-বহর, যে প্রয়োজনীয় যুদ্ধটাকেই থামিয়ে দিতে চায়? ইনফ্লামেশন-এর কি কোন সহন এবং/অথবা প্রত্যাশিত সীমা আছে? হৃদয়ঘটিত উত্তেজনায় কাঁটায় আঘাত পাওয়া প্রেমিককে আপনি নির্বিচারে এসপিরিন না খেতে পরামর্শ দিলেও হৃদয়ঘটিত বিপর্যয়ে এহেন এসপিরিন বন্ধু হয়ে পাশে দাঁড়ায় শুনেছি...। ব্যাটা এসপিরিনের চরিত্র-গতিবিধি ভাল করে চিনে নেয়া দরকার মনে হচ্ছে।
অটোইমিউন ডিজিজ, মাইস্থেনিয়া গ্রেভিস বিষয়ে লেখার অনুরোধ মনে রেখেছেন জেনে কৃতজ্ঞ বোধ করছি।
জ্বি হ্যাঁ। আসলে প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় বিচারের দক্ষতা তার নেই। সে যুদ্ধ পাইলেই থামিয়ে দিতে চায়।
হ্যাঁ আছে। কিন্তু সেটি নির্ধারণ করেন ডাক্তাররা। আমি কেবল বলতে পারি যে, ঘর ঝাট দেয়া ততক্ষন সহ্য করা যায় যতক্ষন না ঝাট দিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় মালপত্রও ডাস্টবিনে ফেলা হচ্ছে।
আমি কেবল একটি উদাহরণ দিয়েছি মাত্র। এসপিরিনের পাশে বসতে পারে এরকম নাম কিন্তু অ-নে-ক...
মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চালু!
সিরিজ রবি মঙ্গল বৃহস্পতি করে চালাইতে থাকেন!
হিম্ভাই, আমার লেখা কষ্ট করে পড়েছেন এজন্য ধন্যবাদ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এমন চমৎকার লেখা লেখার পর কী সব সদস্যপদ বাতিলটাতিলের কথা লিখেছেন! আমি জ্ঞানমূলক পোস্ট চোখ বুলিয়ে চলে যাই, কিন্তু এটা পুরোটা না পড়ে ছাড়া গেলো না। আরো লিখতে থাকুন।
যেতে যেতে সামান্য জ্ঞান দিয়ে যাই: "দায়িত্ব" শব্দটা অনেকবার ব্যবহৃত হয়েছে দেখলাম, ঐটার বানানটা এক্টু যদি.......
ধন্যবাদ
আমার বানান নিয়ে আমি সবসমই ভীত থাকি। চুড়ান্ত লজ্জিত হই ভুলগুলো দেখে। বানান ভুলের জন্য তাই আমি সবসময়েই ক্ষমাপ্রার্থী।
চেষ্টা করি বানান ভুল কমাতে। সচলে আমার আতিথ্যকাল কাটেনি বলে, যে ভুলগুলো পরে ধরা পড়ে, সেগুলো ঠিক করতে পারিনা। সেজন্য আবারও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সবার কাছে।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কী যে কই। শব্দ খুঁজে পাচ্ছিনা। বুঝে নিও অনার্য্য।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চমৎকার লেখা, আবারও। তারপরও কয়েকটা মন্তব্য করি।
এক, আপনার তো অনেকগুলো লেখা প্রকাশ হয়ে গেছে। নিজের লেখা নিয়ে এখন আর দ্বিধায় থাকার কোন প্রয়োজন নেই। আত্মবিশ্বাসের সাথে লিখতে থাকুন। প্রতিটা লেখার শেষে পাঠক পেলেন কি না, বা লেখা জাতের হলো কি না, এসব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করবেন না। সে সব কিছু হলে পাঠকরা এমনিতেই আপনাকে জানাবেন। কিন্তু আপনি নিজেই যদি সংশয় প্রকাশ করেন, তাহলে অনেক পাঠকই আপনার উপরেই আস্থা হারিয়ে ফেলবেন। এখানে আপনি জ্ঞানের কথা বলছেন, কাজেই আপনার নিজেকে সেই আস্থার জায়গাটায় নিয়ে যাওয়াটা জরুরী, যেখানে আপনার পাঠকরা সরাসরি আপনাকেই অন্য জায়গায় উদ্ধৃত করবে, উইকিপিডিয়ায় ভেরিফিকেশন ছাড়া। ঠিক বোঝাতে পারলাম?
দুই, এ ধরনের লেখাগুলো ঠিক 'ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া' গোত্রের না। যেরকমটা হয় জন্মদিনের পোস্টে, বা প্রতিষ্ঠিত কোন লেখকের রম্য কোন পোস্টে। তাই পাঠকসংখ্যা নিয়েও আপনার ভাবনার কোন প্রয়োজন নেই। শুধু যাদের আগ্রহ আছে, তারাই এ লেখা পড়বেন, এবং মন্তব্য করবেন তাদের ভেতরেও অল্প কয়েকজন। আমি আপনার লেখা সবসময় আগ্রহ নিয়ে পড়ি, কিন্তু মন্তব্য করা হয় না। এরকম আরও অনেকেই আছেন। এরকম পাঠক না পাওয়া, মন্তব্য না পাওয়া, অথবা তারা না পাওয়া - এসব নিয়ে ভাবা ছেড়ে দিন। আপনি স্বতস্ফূর্তভাবে লিখে যান, এতে আপনার এবং আমাদের দুপক্ষেরই লাভবান হবার সম্ভাবনা বেশি।
তিন, যেসব জায়গায় "এদের কথা আগেই বলেছি" লিখেছেন, সেখানে আগের লেখার হাইপারলিঙ্কগুলো দিয়ে দেবেন। এটা খুব জরুরী। নতুন একজন পাঠক এলে আপনার লেখা খুঁজে খুঁজে বের করার এলেম বা ধৈর্য তার নাও থাকতে পারে।
চার, এটা একান্ত নিজের মতামত। আপনার লেখায় এমন শিরোনাম দেবেন, যেটা আপনার লেখাকে সহজে উপস্থাপন করে, আবার খুব সিরিয়াস গোছের কিছু না হয় - কারণ আপনার লেখায় একটা সহজাত রম্য ভাব আছে। "আমাদের অন্তর্গত যোদ্ধারা" ধরনের শিরোনাম আমার কাছে একদম সঠিক মনে হয় আপনার লেখার জন্য। কিন্তু আজকেরটা নয়। শিরোনামের মানেই বুঝিনি, এবং আশানুযায়ী ব্যাখ্যাও পাইনি আপনার আজকের লেখায় - এরকম দুর্বোধ্যতা আমার মনে হয় না আপনার পাঠকপ্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করবে, তাছাড়া এটা মূল লেখার ওজন কমিয়ে দেয় বলেও আমার ধারণা।
আবারও বলছি, চমৎকার নতুনত্ব আর সহজবোধ্যতা আপনার লেখায়। এই দুটো আপনার লেখার প্রধান শক্তি। এই শক্তির দিকগুলোতে আরও মনোযোগী হয়ে অন্য সবকিছু ভুলে লিখে যান। আপনার পাঠকরা আপনাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না।
চমৎকার মন্তব্য। পাঠকসংখ্যা, তারা ইত্যাদি বেশি দেখে লাভ নেই, বরং মন্তব্য থেকে কিছু শেখার থাকতে পারে। অনেক অনেক লোকে লেখা পড়ুক স্রেফ এই জন্য লিখে লাভ কী বলেন। তার চেয়ে টার্গেট অডিয়েন্স যাঁরা তাঁদের কাছে পৌছনোটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আমার মতে। সেক্ষেত্রে শিরোনাম অর্থপূর্ণ হওয়া দরকারি। আমিও বুঝিনি এই হেডিংয়ের মানে, ভেবেছিলাম আমার অজ্ঞানতা, এখন দেখছি আমি একা নই।
আর বানান নিয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি, তাই বলে ক্ষমাটমা চাইতে বসলে আগামীতে পাঠকের সে নিয়ে বলতে সংকোচ হবে যে!
শিরোনামটি দেখি ব্যপক জটিলটা তৈরি করেছে
ক্ষমা চাই কারণ ভুল করে লজ্জা পাই। পাঠক, বিশেষ করে মুলত পাঠক যদি সংকোচ বোধ করে সদোপদেশ দেয়া থেকে বিরত থাকে তাইলে...(কি করমু বুঝতেছি না। তবে যাই করি সেটা ভাল হবে না...)
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধর্মপুত্রের এই মন্তব্য অনেক অতিথির জন্যে অবশ্যপাঠ্য বলে মনে করি। দুয়েকজন সচলের জন্যেও । আর ব্লগে যে কোনো লেখার কিন্তু পুনর্জন্ম হয়, পাঠকের চোখে সে ঘুরে ফিরে আসে কিছুদিন পর পর। একটা পোস্ট কয়েক দফায় পঠিত হয় বছরে। কাজেই যদি কোনো হতাশাও কাজ করে মনের মধ্যে, সেটি ঠেলে সরিয়ে দেয়া ভালো। লেখায় পাঠককে উদ্দেশ্য করে কোনো বক্রোক্তি থাকলে শুধুশুধু একটা দূরত্বই তৈরি হয়। বিকল্প যেটা করতে পারেন, আপনার পাঠকভিত্তি বাড়ানোর জন্যে ব্যক্তিগত চেষ্টাও করতে পারেন। যারা এ ধরনের লেখার কদর করেন, তাদের কাছে লিংকটা পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত করুন, দেখবেন আপনার পাঠকও চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়বে।
"ব্যাড়ে খোন্দ খায়" মানে সম্ভবত বেড়া ক্ষেত খেয়ে ফেলে, নাকি?
পাঠক সংক্রান্ত ব্যপারটি মজা করে লিখেছিলাম হিমু ভাই
কমু না কমু না ( অফ দ্য রেকর্ড: জ্বি হ্যাঁ)
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আহা! আপনি এতো যত্ন নিয়ে মন্তব্য লিখেছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার লেখাটির দ্বিতীয় প্যারার সেশিরভাগ কথাই আমি একেবারেই মজা করে লিখেছি। অবশ্য পড়তে মনে হয় সিরিয়াস মনে হয়েছে।
ব্যপক জনপ্রিয়তা না পাওয়া আমাকে পীড়া দেয়না (অন্তর থেকে বলছি )। তবে 'বিশেষ কিছু' ধরনের কমেন্ট না পেলে লেখাটি নিয়ে সন্দেহে পড়ি। সেই বিশেষ কিছু কমেন্ট অল্প কিছু মানুষ করেন। নাম বলব না, কিন্তু আমি নিশ্চিত, আপনিও সেটা বুঝতে পারেন।
লিংকগুলো দেয়া আসলেই দরকার ছিল। পরেরবার এই ভুল আর হবে না।
ব্যাড়ে খোন্দ খায়' কথাটি ব্যাখ্যা করা পর্যন্ত লেখা টেনে নিয়ে যেতে পারিনি। পরের লেখায় সংশোধন করে দেব। এবং অবশ্যই পরবর্তীতে শিরোনাম বিষয়ে আরো সতর্ক হব।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চালায় যান বস, এই সিরিজ জ্ঞানগর্ভগুলার মাঝে শ্রেষ্ঠ হৈতাসে...
আর ইয়ে, সাইটোকাইন নষ্ট করণের কোন পন্থা নাই ?? আমগো দুইএক্টা স্যার মানুষ বেশি ভালা না... অগোর লাইগা এট্টা নিদান দ্যান না ??
______________________________________________________
মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক
সক্রেটিস হয়ে যাচ্ছি মনে হয়
হে হে। যেসব মানুষ 'বেশি ভালা না' তাদের সাইজ করার আরো যুগান্তকারী সব উপায় আছে। সাক্ষাতে ফ্রি পরামর্শ বরাদ্দ থাকল
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
প্রেসক্রিপশন মাঝে মাঝে সঙ্গে নিয়ে ঘুরলেও জীবনে পড়ার চেষ্টা করিনি
এইটাও করলাম না (প্রেসক্রিপশন বোঝার পরে)
কাল সকালে একটা প্রিন্টআউট নিয়া বাসার নিচের ফার্মেসির আংকেলরে দিমুনে কথা দিলাম
ফামের্সির আংকেল তাইলে আমারে পিটানোর লাইগা খোঁজা শুরু করব। এই প্রেসক্রিপশনে আমি ওষুধ খাইতে মানা করছি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
লেখার স্টাইল এবং বিষয় ২টাই খুব উপভোগ্য লেগেছে। চালায়া যান বস!!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
হে হে... ছাড়ার কোন ইচ্ছাই নাই
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভাই ,
আপনিতো দারুনভাবে কঠিন কথা সহজে বলে ফেলেন? চালিয়ে যান
ধন্যবাদ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নতুন মন্তব্য করুন