(১)
আমার গত লেখার শিরোনাম কিঞ্চিৎ জটিলতার সৃষ্টি করেছিল । আসলে শিরোনামের ব্যাখ্যা দিয়ে শেষ করে উঠতে পারিনি। কেউ কেউ না বুঝতে পারলেও হিমু'দা অবশ্য ঠিকই ধরেছিলেন। 'ব্যাড়ে খোন্দ খায়' মানে 'বেড়া ফসল খেয়ে ফেলে'। আমাদের গ্রামাঞ্চলে 'ব্যাড়' অথবা 'বেড়' মানে ঠিক 'বেড়া' নয় যদিও। মাটি দিয়ে উঁচু করা ভিটা বাড়ির সীমানাকে 'বেড়' বলে আমাদের গ্রামাঞ্চলে (জানিনা ঠিক বোঝাতে পারলাম কিনা!)।
আমাদের গ্রামাঞ্চলে (সাতক্ষীরা) 'ব্যাড়ে খোন্দ খায়' কথাটি ব্যবহার করা হয় 'রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভুমিকা নিলে' যে পরিস্তিতি হয় সেটা বোঝাতে। আসলে 'অটোইমিউন ডিজিজ' নিয়ে লেখার ইচ্ছে ছিল, তাই এধরণের শিরোনাম দিয়েছিলাম।
(আমাদের অন্তর্গত যোদ্ধাদের বিষয়ে জানতে পড়ুন এটি এবং এটি)
(২)
'অটোইমিউন ডিজিজ' আমার হিসাবে এইডস'র চাইতেও ভয়ঙ্কর। কারণ, এইডস হলে আমাদের অন্তর্গত যোদ্ধা'দের একাংশ নিষ্ক্রিয়/ধ্বংস হয়ে যায়। আর 'অটোইমিউন ডিজিজ' হলে আমাদের অন্তর্গত যোদ্ধারাই আমাদের শত্রুপক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। ৭১'র পশ্চিম পাকিস্তান'কে যদি আমার নিজের দেশ ভাবি তাহলে ২৬শে মার্চের গনহত্যা বা পাকি সেনাদের আক্রমন সবই ছিল 'অটোইমিউন ডিজিজ'। যেখানে আমাদের রক্ষক সেনাবাহিনি আমাদেরকেই ধরে ধরে মারতে শুরু করেছিল। (উধাহরণটা মনে হয় ভাল হল না!)
শরীরের প্রতিরক্ষা'র সবধরণের সমস্যা নিয়ে লেখাটি লিখলেই মনে হয় পুরো ঝামেলাটা একবারে চুকে যায়। সমস্যা মুলত তিন ধরনের। প্রথমটি প্রতিরক্ষা জটিলতা (immunodeficiency)। ইচ্ছে থাকলেও যোদ্ধাদের প্রতিরক্ষায় অংশ নিতে না পারার ব্যপারগুলো এই ভাগে পড়ে। দ্বিতীয়টি অতি-সংবেদনশীলতা (Hypersensitivity)। বুঝিয়ে বলি, ব্যপারটা অনেকটা এরকম, ধরেন সুন্দরী'দের দেখলেই আপনার চোখ অনিচ্ছাকৃতভাবে বড় হয়ে যায় আর এজন্য প্রায়শই আপনার চোখে ধুলোবালি বা পোকা ঢোকে। প্রতিরক্ষা সমস্যার সর্বশেষটি হচ্ছে 'ব্যাড়ে খোন্দ খাওয়া'র সমস্যা (Autoimmune diseases)। যেখানে আপনার অন্তর্গত যোদ্ধারা আপনার বিরুদ্ধেই যুদ্ধ শুরু করে। শুরু করি 'প্রতিরক্ষা জটিলতা' দিয়ে।
প্রতিরক্ষা জটিলতা (Immunodeficiency)
শরীরের প্রতিরক্ষা'র জটিলতা আবার দুই ধরণের। প্রাথমিক জটিলতা (Primary immunodeficiency) বলা হয় টাল্টু (T cells), বল্টু (B cells) এবং অন্যান্য যোদ্ধাদের নানা সংকীর্নতাকে। সংকীর্নতা কি কি হতে পারে? হায়! মানুষের জীবনে কি কি বিপদ হতে পারে তার যদি লিস্ট করা যেত! আসলে বিপদের কোন শেষ নাই । বল্টুরা ধরেন ঠিক মতো কাজ করে না। মানে যে সৈনিকের 'ঠাঁ ঠাঁ' করে গুলি করার কথা সে হয়তো আধাঘন্টা পরপর 'ফাটুশ', 'ফুটুশ' করে পটকা ফোটায়। হতে পারে টাল্টুরা বল্টুদের ঠিকমতো সংকেত দিতে পারেনা। অর্থাৎ গোয়েন্দারা বলতে ব্যর্থ হয় কোথায় কি কি অস্ত্র নিয়ে কতজন শত্রু আছে। অথবা হয়তো কখনো কখনো শত্রু যে অনুপ্রবেশ করেছে সেটাই বলতে পারে না । কখনো কখনো টাল্টুরা আমাদের শরীরে বসবাসকারী সাধারণ জীবানুদের (Natural flora) প্রতি বিশেষ দুর্বলতা প্রকাশ করে। এই দুর্বলতা দেখে 'সাধারণ' জীবানুরা আর 'সাধারণ' থাকে না। তারা তখন হয়ে ওঠে ঘরশত্রু বিভীষন। বুঝিয়ে বলি, ধরেন আপনার বাসার সামনে রোজ রাতে কতগুলো বাস্তুভিটাহীন মানুষ ঘুমায়। কোন কারণে তাদের প্রতি যদি আপনার দারোয়ানের 'বিশেষ দুর্বলতা' তৈরি হয় তাহলে কি হবে চিন্তা করুন। বাস্তুভিটাহীন'রা চাইবে আপনার ঘরেই সংসার গড়তে। পারলে আপনাকে বের করে দিয়েই তারা সেটা করবে। শরীরের সাধারণ জীবানুদের প্রতি টাল্টু'দের দুর্বলতা এই সমস্যাটি তৈরি করে।
কিছু সমস্যা বংশানুক্রমিক। বংশানুক্রমে আপনার শরীরের কোন এক ধরনের যোদ্ধাদের অনুপস্থিতি থাকতে পারে। তাদের নিজের কোন বিশেষ দুর্বলতা থাকতে পারে অথবা তাদের কোন বিশেষ শত্রুর প্রতিও দুর্বলতা থাকতে পারে। এরকম একটি সমস্যা আছে (অনেক খটমট আর লম্বা নাম) যেটি হলে গণোরিয়া আর মেনিনজাইটস'র দুটি জীবানুর প্রতি যোদ্ধাদের বিশেষ দুর্বলতা দেখা যায়। ব্যাপারটি ভয়ঙ্কর। দারোয়ান যদি চোর'কে মামাতো ভাই ভাবে তবে বাড়িওয়ালার জন্য সেটি নিশ্চই ভয়ঙ্করই হবে!
এরকম কিছু সমস্য হয় গিলেখাদকদেরও (Phagocytes)। অনেক ক্ষেত্রেই তারা পূর্ণ গতিতে টপাটপ জীবানু গিলে ফেলে ঠিক, কিন্তু হজম করতে পারেনা। তাদের পেটে জারক রসের ঘাটতি পড়ে। ফলে যা হবার, জ্যান্ত আর অক্ষত জীবানুগুলোই আবার সে 'ত্যাগ' করতে বাধ্য হয়। কখনো গিলেখাদকরা চলাচলাচলের ক্ষেত্রে ঝামেলা পোহায়। মানে তারা শিরা থেকে কোষ বা কলাতে পৌঁছাতে পারেনা। ব্যপারটা হয় অনেকটা সেই সেনাবাহিনির মতো, যারা পাকা রাস্তায় চলতে পারে কেবল, গ্রামের মেঠোপথে নয়। সুতরাং প্রত্যন্ত গ্রামে শত্রুর হামলা হলে তারা কোন সাহায্যই করতে পারেনা।
এখন আসি দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রতিরক্ষা জটিলতায় (Secondary immunodeficiency)। এই জটিলতা সবই আপনার নিজের তৈরি। মানে নিজেই নিজের পায়ে/গলায় কুড়াল মারলে যেসব জটিলতা তৈরি হয় সেগুলোকে বলা হয় দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রতিরক্ষা জটিলতা। কেমনে কি, বুঝায়ে বলি।
অসংখ্য ওষুধ আছে যেগুলো আপনার অন্তর্গত যোদ্ধাদের দুর্বল করে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে তারা শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরক্ষার পদ্ধতিতে বাধার সৃষ্টি করে। স্টেরয়েড বা স্টেরয়েড থাকে এমন ওষুধ এর অন্যতম উদাহরণ। কেবল ওষুধ নয়, আমাদের বাজারে পাওয়া যায় এমন বেশিরভাগ প্রসাধনী (নামীদামি প্রস্তুতকর্তাদের তৈরিগুলোতেও), এমনকি অনেক খাবারেও (এইটার উদাহরণ চাইলে দিতে পারব না। এইটা 'কঠিনভাবে নির্ভরযোগ্য নয়' এমন উৎস থেকে আমার শোনা কথা) স্টেরয়েড থাকে। অবশ্য কেবল স্টেরয়েড নয় আরো অনেক ধরণের ওষুধেই এরকম সমস্যা হয়।
পুষ্টিহীনতা। এইটা যে রোগ তৈরী করে এবং রোগ সারতেও দেয়না সেটা আপনাদের কেমনে বুঝাই! যে জিনিস আপনারা আগে থেকেই জানেন সেটা আবারো বোঝানো তো অসম্ভব! ! শরীরে লোহা, সেলেনিয়াম, কপার এবং দস্তার ঘাটতিও শরীরের যোদ্ধাদের ঠিকমতো কাজ করতে দেয় না। এগুলোর সঙ্গে একই ঝামেলা পাকায় ভিটামিনের অভাব। আমাদের একটা ধারণা আছে, বেশি ভিটামিন খাইলে বেশি ভাল। ব্যপারটা সেরকম না। আপনার শরীরের যেটুকু দরকার সেটুকুছাড়া বাকি ভিটামিন আপনার শরীর ফেলে দেয়। কখনো অনেক বেশি ভিটামিন শরীরে গেলে এমনকিছু রোগ হয় যেগুলো কখনো সারেনা। তবে ভিটামিন না খেলেই বেশি বিপদ। এনজাইম আমাদের শরীরে তৈরি হয়। ভিটামিন এমন এক ধরণের এনজাইম (আসলে কো-এনজাইম/coenzyme) যেটি আমাদের শরীরে তৈরি হয়না। উধাহরণ দেই, ধরেন আপনার ফ্যাক্টরিতে দুনিয়ার সবচাইতে ভাল 'বোতল' তৈরি হয় কিন্তু দুনিয়ার সবচাইতে বাজে 'ছিপি'টা তৈরি করতেও আপনি অক্ষম। চিন্তা করেন আপনার অসহায়ত্ব। ভিটামিনের ব্যপারটাও এরকমই।
জীবানুদের কারণে আপনার শরীরের যোদ্ধারা দুর্বল হয় গেলেও প্রতিরক্ষার জটিলতা তৈরি হয়। এইচআইভি (HIV)এমন একটি ভাইরাস যেটি আপনার শরীরের যোদ্ধাদের দুর্বল করে দেয়। জীবানুরা অনেকসময় ডিকয় (decoy) বানিয়ে যোদ্ধাদের ভুল বোঝায়। সেটাও তো যোদ্ধাদের দুর্বলতাই, তাই না!
অতি-সংবেদনশীলতা (Hypersensitivity)
অতিসংবেদনশীলতা চার রকমের (ধরণ ১, ২, ৩ ও ৪)। সবগুলো মিলিয়ে বলি। ভবেশ রায়ে'র 'জ্ঞানের কথা' বইটিতে এক রানী অথবা রাজকন্যার কথা পড়েছিলাম যিনি গোলাপ ফুল দেখলে অজ্ঞান হয়ে যেতেন। এটিই আসলে অতিসংবেদনশীলতা (ধরণ ১)। অনেকের ধুলোবলিতে গেলে সর্দি হয়, অনেকের অনবরত হাঁচি লাগে। অনেকের কোন বিশেষ কিছু খেলে ত্বকে/অথবা অন্য কোন অঙ্গে সমস্যা হয়। সবই অতিসংবেদনশীলতা। সহজ কথায়, আপনার শরীরের যোদ্ধাদের যদি কোন কিছু দেখে বা কোন কিছুর সংস্পর্শে এসে অনর্থক আজাইরা আচরণ করার স্বভাব থাকে তাহলে সেটা অতি সংবেদনশীলতা। কেবল যোদ্ধাদের নয় সাধারণ কোষদের আজাইরা আচরণও এর মধ্যে পড়ে। এইধরনের সব সমস্যার কথা জানতে সবার ভালো লাগবেনা। এই ব্যপারগুলো বড় খট্টমট্ট। তাছাড়া এগুলো আমি নিজে পড়তে গিয়েও প্রায়ই ঘুমিয়ে যেতাম। তাই উদাহরণ দিয়ে 'টুশটাশ'করে শেষ করে ফেললাম ।
যখন 'ব্যাড়ে খোন্দ খায়' (Autoimmune diseases)
আপনার শরীরের যোদ্ধারা নানা কারনে আপনার শত্রু হয়ে উঠতে পারে। এদের মধ্যে দুই ধরনের ব্যপার হয়। কখনো যোদ্ধারা সরাসরি হানাদার বাহিনী'তে যোগ দেয়। আবার কখনো তারা রাজাকার হয়ে হানাদারদের সাহায্য করে। যোদ্ধারা ছাড়াও শরীরের অন্যান্য কোষেরাও কখনো কখনো হয়ে উঠতে পারে নিজামীর মতো ঘাঘু রাজাকার।
বল্টুদের (B cells) হাতের (antibodies) কথা বলেছিলাম একটি লেখায়। অটোইমিউন ডিজিজে সাধারন কোষ বা প্রয়োজনীয় প্রোটিনের বিরুদ্ধেই হাত (antibodies) বানাতে শুরু করে বল্টুরা। ধরুন একধরনের বল্টু আছে যারা 'কান কাটা'র অস্ত্র বানায়। এখন যদি কোন শত্রুর কানের সঙ্গে আপনার কানের হুবহু মিল থাকে তাহলে তৈরি হয় সমস্যা। শত্রুর কানের সঙ্গে মিল থাকার শাস্তি স্বরুপ শত্রুর কান কাটা অস্ত্রে টপাটপ কাটা পড়তে থাকে আপনার নিজের কানও। এই ধরণের একটি রোগ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কেবল মেয়েদের হয়। আর এগুলো কেন হয় সেই রহস্যের বেশিরভাগই মানুষ এখনো জানেনা।
শরীরের নানান স্বভাবিক কর্মকান্ডে বাধার সৃষ্টি করেও শরীরের যোদ্ধারা আমাদের বিপক্ষে যেতে পারে। কয়েকটি রোগের উধাহরণ দিলে মনে হয় এই ব্যপারটা পরিষ্কার হবে। একটি হচ্ছে গ্রেভস ডিজিজ (Graves' disease) । এই রোগ হয় বিশেষ একধরনের এন্টিবডি শরীরে তৈরি হলে যারা থাইরয়েড গ্লান্ড'কে অনর্থক অনেক বেশি উত্তেজিত করে। এর ফলে অনেক বেশি থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয় আর ফুলে যায় থাইরয়েড গ্লান্ড।
আরেকটি রোগ মায়েস্থিনিয়া গ্রাভিস (Myasthenia gravis)। আমাদের পেশীতে স্নায়ুর সংকেত পৌঁছায় একটি বিশেষ সংযুক্তি/জোড়া (junction) পথ দিয়ে। মাইয়েস্থিনিয়া গ্রাভিস রোগটি হয় একটি বিশেষ ধরণের এন্টিবডি শরীরে তৈরি হলে যেগুলো পেশীর এই সংযুক্তিতে গিয়ে জোড়া লেগে যায়। এতে পেশীতে স্নায়ুর সংকেত ঠিক মতো পৌঁছায়না। কখনো একবারেই পৌঁছায়না। ফলে পেশীর নিয়ন্ত্রনও ব্যহত হয়। কথা বলা, চোখের পাপড়ি নিয়ন্ত্রন, হাত পায়ের নিয়ন্ত্রন ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো প্রাথমিকভাবে দেখা যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষনগুলি ঠিকমতো প্রকাশিত হয়না এবং একবারে শেষ পর্যায়ে যখন লক্ষনগুলি প্রকাশিত হয় তখন আর কিছু করার থাকেনা। এই রোগটির সবচাইতে ভয়ঙ্কর দিক হচ্ছে এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় পেশীগুলোকেও বিকল করে দেয়। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দেরি হলে নিঃশ্বাস নিতে না পেরে রোগীর মৃত্য হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। কেবল হৃদযন্ত্রের সংকোচন-প্রসারনে কোন বাধার সৃষ্টি করতে পারেনা এই রোগটি। কারণ হৃদয়ের সংকোচন প্রসারণ হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন উপায়ে। (এই উপায়টি আমি একেবারেই সামান্য জানি। আসলে হৃদয়ের সংকোচন প্রসারনের সংঙ্গে জীবানুর কোন সম্পর্ক নেই কিনা!)
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (Rheumatoid arthritis) রোগটিতে কয়েক ধরণের এন্টিবডি (Ig G ও Ig M) এবং প্রোটিন (Complement proteins) মিলে দুটি হাড়ের সংযোগস্থলে জমা হয়ে ইনফ্লামেশনের সৃষ্টি করে। এর ফলে হাড় এবং হাড়ের সংযোগস্থল দুটিই বিশষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবে সবক্ষেত্রেই সম্ভবত রোগটির কারণ এন্টিবডিরা নয়। কেবল ৭০ ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে এন্টিবডিরা অপরাধী। বাকিক্ষেত্রের অপরাধী যারা তাদের নাম আমার অতিক্ষুদ্র জ্ঞান ভান্ডারে নেই। কেউ জানালে আমি নিজেই উপকৃত হই।
শেষ করি মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (Multiple sclerosis) দিয়ে। এই রোগটিটে টাল্টুরা (T cells) এবং গিলেখাদক'রা (Phagocytes) গিয়ে স্নায়ুতে আক্রমন করে। যার ফলে দুর্বলতা এবং পরবর্তীতে প্যারালাইসিস দেখা যায়। এটি হওয়ার হার পুরুষের চাইতে নারীদের প্রায় দ্বিগুন। রোগটি কেন হয় সেটিও এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এটি অনেক ধীর গতিতে বৃদ্ধি পায়। দুঃখের কথা হল রোগটির কোন চিকিৎসা নেই। কিছু ওষুধ দিয়ে রোগটি বৃদ্ধির গতি হ্রাস করা যায় কেবল।
আসলে বেশিরভাগ অটোইমিউন ডিজিজেরই নির্ভরযোগ্য কোন ওষুধ নেই। অবশ্য তা থাকার কথাও নয়। কারণ ব্যাড়ে খোন্দ খেলে তা আর রক্ষার উপায় থাকেনা।
[সকল বর্ণনাই আমি যথাসম্ভব জটিলতা এড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি। এড়িয়ে গিয়েছি Scientific অথবা Medical Terms. রোগ কেন কিভাবে হয় সেই ব্যাখ্যাও আমি দিয়েছি জাটিলতা এড়িয়ে এক কথায়। এই ব্যপারটি যারা Medical Science এ পড়েছেন তাদের ভাল লাগার কথা নয়। আমার নিজেরও ভাল লাগেনা। কোন পাঠক কোন বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইলে সানন্দে দিতে রাজি আছি।
রেফারেন্স
১. Roitt, Brostoff, Male; Immunology (6th edition)
২. Ivan M. Roitt; Essential Immunology (4th edition)
৩. Tortora, Funke, Case; Microbiology An Introduction
৪. http://en.wikipedia.org/wiki/Rheumatoid_Arthritis
৫. http://en.wikipedia.org/wiki/Myasthenia_gravis ]
মন্তব্য
ভালো লাগলো। এমন লেখা আরো আসুক।
বায়োলজিক্স নিয়ে একটু আলোচনা হলে আরো ভালো লাগতো, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস প্রসঙ্গে।
ধন্যবাদ
এমনিতেই লেখা অনেক বড় হয়ে গেছে। আরো লিখতে কষ্ট হচ্ছিল। প্রথম দিকে মনের আনন্দে লিখলেও শেষের দিকে আসলে দায়সারা ভাবে দ্রুত শেষ করেছি। তা না হলে সবকিছুই আরেকটু ব্যাখ্যা করার আমারও ইচ্ছে ছিল।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মানিক ভাইয়ের বুড়ো আঙ্গুল ক্যাম্নে দেয়? আপনারে দুইটা দিলাম।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
মানিক ভাইয়ের বুড়া আঙ্গুল বুঝিয়া পাইলাম। থ্যাঙ্কিউ এবং থ্যাঙ্কিউ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনার সব লেখাই পড়েছি। আগে কোন একটিতে মন্তব্যও করেছি। দারুন লেখা হচ্ছে, চালিয়ে যান। লেখা নিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ কম, তাই ভাল লাগাটুকু শুধু জানিয়ে গেলাম। বিষয়ে আরো কিছু বৈচিত্র্যতা আনা যেতে পারে। যেমন আমাদের খাদ্যাভাস নিয়ে লেখা যেতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য আমাদের কি কি বিয়গুলো মেনে চলা উচিৎ, বা ব্যায়াম কতটা উপযোগী বা কোন কোন খাবারগুলো আমাদের কম খাওয়া উচিৎ এবং কেন ইত্যাদি। পাঁচ বছর আগেও এইসব নিয়ে চিন্তা করতে হত না, কিন্তু এখন চিন্তা না করে পারা যায় না। এখানে এসে দেখি ৭০/৮০ বছরের ব্যক্তি এখনো নিজে গাড়ী চালায়, বাজার করে। আরা আমরা ত্রিশেই শেষ। পঞ্চাশ পর্যন্ত বাঁচার স্বপ্ন দেখি। ষাট পার হলে তো বলি বোনাস। আপনার লেখার হাত আছে। যে কোন বিষয় সুন্দর ভাবে উপস্থাপনার হাত আছে। লিখে চলুন। পাঠক হিসেবে আমাকে পাবেন।
সব বিষয়ে মনে হয় লিখতে পারব না ভাই। একেতো আমার জ্ঞান লবনদানিতে রাখা যায়। তারওপর আপনি যেসব টপিকের কথা বললেন সেগুলোতে আমার পড়াশোনা নেই। অণুজীব বিজ্ঞানে পড়েছি, তাই এই বিষয়েই মাঝে মধ্যে জ্ঞান ফলাই। অবশ্য সেও আপনারা লাই দেন বলেই
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
রতন,
লেখায় একটা হীরা
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
রতনরে আমি দিলাম একটা পান্না... হইলদা রঙের
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হইলদা পান্না পাইয়া আমি অত্যন্ত খুশি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
(২) মত দুর্দান্ত উদাহরনের জন্যে আপনারে লাল স্যালুট, আমার মনে হয়না এর চেয়ে ভালো উদাহরন দেওয়া সম্ভব ছি॥ তুমুল লাগল লেখাটা
পুষ্টিহীনতা নিয়ে ২টা পয়সা দিয়ে যাই। আসলে ক্ষত সারার জন্যে যে সব ড়' ম্যাটেরিয়াল লাগে, তার অন্যতম উৎস হল আমিষ, বিশেষ করে, যে সব ফাইবার (কোলাজেন ফাইবার), গ্রাউন্ড সাবস্টেন্স যা দিয়ে ফাঁক পূরণ হয়, তা আসে আমিষ থেকে, এজন্যে ক্ষত না সারলে সবার আগে মাপা হয় অ্যালবুমিন, কারন, এর সাথে সরাসরি আনুপাতিক সম্পর্ক। আর
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
উদাহরণের ব্যপারটিতে মন্তব্য করে কিছুটা স্বস্তি দিলেন। ধন্যবাদ।
আপনার ২ পয়সার পুরোটা পাইনি। অবশ্য পেলেও ২ পয়সায় আমার পোষাতো না। আরে ভাই ফকির পাইছেন নাকি! বড় সাইজের নোট ছাড়েন পুষ্টি বিষয়ে। মন্তব্যে না, বরং আস্ত ব্লগ হলেই আমার আত্মা জুড়োবে।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনার মত সুন্দর করে গুছিয়ে লেখতে পারলে আগেই লেখতাম ভাই, আমার দৌড় ২পয়সা পর্যন্তই
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সীা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ভাই, আপনি ভাল লেখক তা জানতাম। আজকে দেখলাম আপনার বিনয়।
(কিন্তু যত যাই হোক, লেখা না পাওয়া পর্যন্ত খোঁচাতে থাকব)
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমার তীব্র বিতৃষ্ণা নিয়ে পড়া বিষয়গুলো কেউ এত চমৎকারভাবে উপস্থাপন করতে পারে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। ভবিষ্যতে কী করবেন সেটা নিয়ে আপনার নিজস্ব পরিকল্পনা অবশ্যই আছে, তারপরেও অনধিকার চর্চা করে বলি, শিক্ষক না হলে অনেক বেশি অপচয় হয়ে যাবে, যেরকম শিক্ষক অন্তত আমি পাইনি।
সবসময় মন্তব্য করা হয়না। এইখানে বলে রাখি, আপনি সচলে অল্প কিছু মানুষের একজন যার প্রতিটা লেখা আমার পড়া। লিখে যান, পড়ার জন্য হাজির হয়ে যাব ঠিক ঠিক।
অন্তর থেকে বলছি, আপনি সচলের সেই অল্প কিছু মানুষের একজন যাঁরা আমার লেখা পড়েন কিনা, আর পড়লে কি মন্তব্য করেন সেটা দেখার জন্য আমি অপেক্ষা করে থাকি।
আপনার মন্তব্যে সত্যি কথা বলতে অনেকটা কুঁকড়ে গেলাম। তবে অঢেল খুশি হয়েছি সেটাও অস্বীকার করতে পারি না। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। লেখা থামাচ্ছি না। নিশ্চিত।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মূলত পাঠক মনে হয় বানান থেকে দূরে সরে আছেন, বানানকাকু ধরনের রেপুটেশন হয়ে যাচ্ছে এই ভয়ে। আপাততঃ আমি অল্প বিদ্যার ভয়ংকর প্রদর্শন করি।
পরিস্তিতি > পরিস্থিতি
উধাহরণ > উদাহরণ
বিভীষন > বিভীষণ
নিয়ন্ত্রন > নিয়ন্ত্রণ
লক্ষন > লক্ষণ
প্রসারন > প্রসারণ (আপনি দু'রকমই লিখেছেন)
অল্প কিছু ধরলাম। পাঠক এর পরেও চুপচাপ থাকলে আরও কিছু হতে পারে। ব্যকরণগত ত্রুটি কয়েক জাযগায় আছে মনে হলো, ভবিষ্যতে ধরা হবে হে হে, আপনার লেখায় এখন সিরিয়াস মনোযোগ দিচ্ছি আপনার চাহিদামত।
- "অনেক বেশি ভিটামিন শরীরে গেলে এমনকিছু রোগ হয় যেগুলো কখনো সারেনা" - এইটার কয়েকটা উদাহরণ দিয়েন তো।
- অতি-সংবেদনশীলতা অংশটা নিয়ে ফাঁকি দিয়েছেন। লিখতে লিখতে উৎসাহ হারিয়ে ফেললে তাড়াহুড়া করে শেষ না করে চা খেয়ে এসে আরেক পর্বে লেখা দিতে পারেন। তিনটা উপবিষয় নিয়ে তিনটা আলাদা আলাদা পর্ব লিখলেই মনে হয় ভালো হতো।
- আমার জানামতে স্টেরয়েড থাকে ফার্মের মুরগীকে দেয়া খাবারে, তাই ফার্মের মুরগীতে স্টেরয়েড থাকার সম্ভাবনা থাকে।
এত লম্বা মন্তব্য করার পরেও আলাদা করে বলতে হবে লেখা ভালো হয়েছে কি হয়নি?
বানান বিষয়ে সবরকমের সতর্কতা অবলম্বনের চেষ্টা করছি। প্রথমত অজ্ঞানতা এবং তারপরে ব্যস্ততা, অস্থিরতা এবং হুড়মুড় করে লেখার পর আর ফিরে চেয়ে না দেখা ব্যকরণগত ত্রুটির কারণ বলে মনে হয়। সতর্ক হচ্ছি। না শোধরানো পর্যন্ত দয়া করে সাহায্য করবেন
-
হে হে... এই কথাটি অনেক আগে ক্লাসে আমাদের ম্যাম বলেছিলেন। শুনে একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম, তাই মনে আছে। ভয় দেখানোর জন্য আমি অনেক সময় সহজ কথাকে ঘুরিয়ে বলি। এই কথাটাও অনেকটা সেরকম । তবে কথাটা মিথ্যা না। ভিটামিন শরীরে বেশি হওয়া জনিত সমস্যাকে ভিটামিন টক্সিসিটি (Vitamin toxicity) বা হাইপারভিটামিনোসিস (Hypervitaminosis) বলে। হাইপারভিটামিনোসিসের জন্য অনেক রকম রোগ হতে পারে।
হাইপারভিটামিনোসিস'র ফলে সন্তানের জন্ম সংক্রান্ত সমস্যা, লিভার ড্যামেজ, অস্টিওপোরোসিস (Osteoporosis), সেন্টাল নার্ভাস সিস্টেম ডিজর্ডার (Central nervous system disorder), প্রোস্টেট ক্যান্সার (Prostate cancer) ইত্যাদি হতে পারে।
- চা খেয়ে এসে অতিসংবেদনশীলতা'টা আরো বিস্তারিত লেখার উপায় ছিলনা। ৫ টায় ক্লাস ছিল একটা। অবশ্য তাড়াতাড়ি লেখা শেষ করেও লাভ হয়নি। হুড়মুড় করে লিখে পোস্ট করে দেখলাম ৫ টা বেজে ৭ মিনিট। বের হয়ে আর লাভ হবেনা ভেবে মনটা বড় খারাপ হয়েছিল
- স্টেরয়েড অসংখ্য জিনিসে থাকে। এবং এটা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের জন্যে অতি প্রয়োজনীয়ও। সমস্যা হচ্ছে ছুরি দিয়ে তরকারি এবং গলা দুইটাই কাটা যায়
- লেখা যা ইচ্ছা হোক, আপনার লম্বা মন্তব্য পড়ে আমার মন অবশ্যই ভালো হয়েছে।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
রতন যে আসলেই একটা "রতন" সেটা এখন সবাই জানেন। বাংলাদেশে সহজবোধ্য করে সবার জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক বইয়ের লেখক আছেন খুবই কম। তাই রতনকে অনুরোধ সময় করে এই দরকারী বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত লিখে বই প্রকাশ করার। থান ইট সাইজের বই দরকার নেই, ছোট ছোট আকারে সিরিজ করে বই হলে ভাল হয়। প্রিন্ট ভার্সান বের করার শত ঝামেলার কথা জানি, কিন্তু ই-বুক তো করাই যায়, তাই না রতন?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বই !!!
হে হে.. আপনি বলেছেন; মাঝে মাঝে অন্ততঃ এইটা চিন্তা করতে ভাল্লাগবে
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনি ইতোমধ্যেই সচলে আমার প্রিয় লেখকদের একজন হয়ে গেছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের খটোমটো বিষয়গুলো কি সুন্দর করে লিখে ফেলছেন। গরীব মানুষ রেটিং দেবার সামর্থ্য নেই, থাকলে আকাশের সব তারা দিয়ে দিতাম
আমরা দুজনেই গরীব। "গরীব গরীব ভাই ভাই" । তবে গরীব থাকার একটা সুবিধা আছে। দুম করে আজাইরা লেখাও ছেড়া দেয়া যায় মডুদের ভরসায় (আমার বিচারে গরীব থাকার সমস্যা একটাই, মাঝে মাঝে লেখা/মন্তব্য প্রকাশিত হতে দেরি হয় )।
আকাশের সব তারা বুঝে পেলাম। ধন্যবাদ
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
রতনে রতন চেনে। যেমন নজু চিনে নিয়েছিল বেহালা বাদককে,আর সেই সুবাদে আমরা পেলাম এক দুর্দান্ত লেখক, বিরল প্রতিভাকে আমাদের মাঝে।
তোর প্রতিটা লেখা আমি গোগ্রাসে গিলি।
মাইনষে নিজের ঢোল নিজে পেটায়, আর আপনি পেটান ভাইয়ের ঢোল। খানিকটা ফাটায়েও ফেলছেন...
আপনি আমার লেখা না পড়লে কোরিয়ায় আইসা কাইন্দা দিমু...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভাল লাগল। অনেক ধন্যবাদ। তবে দাবিও কিন্তু বেড়ে যাচ্ছে!
ধন্যবাদ। দাবি পূরণের চেষ্টা করব সবসময়...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নতুন মন্তব্য করুন