আমি অনেকটা অবচেতন ভাবেই লেখকদের ভাগ করে ফেলি। একটা জনপ্রিয় ধারার লেখকেরা আমার বিচারে রুহ-আফসা স্পেশালিস্ট। তাঁদের লেখা দুদ্দাড় করে গিলে ফেলে ভুলে যাওয়া যায়। একভাগ লেখক যারা খুব কঠিন ভাষায় লেখেন। তার লেখায় হয়তো কোন ধোঁয়াশা থাকে না। তবে শব্দে শব্দে সে লেখার আঙিনা পেরিয়ে আসতে পাহাড় ডিঙানোর পরিশ্রম করতে হয়। কেউ কেউ আবার অমসৃণ পাথরে বিমূর্ত মূর্তির মতো গল্পের অবয়ব বানান। সে গল্প ছুঁয়ে দেখতে গেলে চামড়া ছড়ে যায়। বুঝতে গেলে বিভ্রান্তি ভর করে মগজে।
মাহবুব লীলেনের লেখা আমার হিসেবে চতুর্থ ধরণের। সেখানে শব্দের জটিলতা নেই। তবে তার শক্ত গাঁথুনি স্পষ্ট। অনেকটা মাইকেল এঞ্জেলোর মূর্তির মতো। তার মানবীয় রুপ। কিন্তু ভাবটা মানুষকে ছাড়িয়ে ওঠে আরেকটু উঁচুতে। অথবা ভেনাসের মতো। তার স্পষ্ট স্তনের সুধা নিয়ে যে কেউ তৃপ্ত থাকতে পারে। যদিনা ভুলে ভেনাসের চোখে তার চোখ পড়ে যায়। সে চোখে সব স্পষ্টতার অবসান। সেখানে কি যেন ধাঁধা। সেই ধাঁধার জবাব সবার জানা। কিন্তু নিজের কাছেই তার স্পষ্ট ব্যাখা করা যায়না...
হালকা নেশায় আসক্ত হলে যেমন হয়। সে নেশায় বুঁদ হয়না কেউ। পথচিনে ঠিক ঠিক বাড়িতেও ফেরা যায়। কিন্তু কী এক অস্পষ্টতা, অধরা কী যেন মাথার ভেতর উঁকি দিয়ে আবার পরক্ষণেই নেই হয়ে যায়।
বেবাট পড়লাম। মাহবুব লীলেনের আগের গল্পগ্রন্থগুলোর থেকে এটি অন্যরকম। এখানে ভাবের অস্পষ্টতাটা আরো একটু বেশি। যেমনটি বলছিলাম, সহজ একটা সমাধানে সহজেই পৌঁছানো যায় গল্পগুলো পড়ে। কিন্তু ভাবতে বসলেই মুশকিল। গল্পের সহজ দিকটা তখন গল্পের একটা বর্ম বলে মনেহয়। যার আড়ালে লুকোনো কী এক অমোঘ সত্য। লেখকের চাওয়াও মনেহয় সেটাই ছিল। বইটির নাম তাই বেবাট। বেবাট মানে যাকে কোনভাবেই বাগে আনা যায়না।
গল্পগুলোর কিছু কিছু ডালপালা ব্যক্তিগত বিচারে আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। লেখকের হয়তো নিজস্ব প্রয়োজন ছিল সেগুলোর। হয়তো কোন পাঠকের কাছে সেগুলোকেউ মনে হবে গল্পের অনিবার্য উপাদান। অথবা হয়তো এটাই লেখকের নিজস্বতা। আমি কেবল বললাম, আমার নিজের বিচারের কথা।
বেবাটের গল্পগুলো পড়ে তৃতীয় পক্ষ হয়ে নিজেকে দেখেছি। কখনো আনমনা পাঠকের মতো তৃতীয় পক্ষ হয়ে একটি গল্পের ভেতরে ঢুকে হঠাৎ সে গল্পের কেন্দ্রে আবিষ্কার করেছি নিজেকেই। কখনো সত্যি সত্যি আতঙ্কিত হয়েছি। গল্প পড়ায় বিরতি দিয়ে নিজেকে বুঝিয়েছি, এ কেবল গল্পই। আবার সেটা বোঝানো মত মনের জোরও হারিয়েছি কখনো কখনো। আবার কয়েক জায়গায় অন্য এক অনন্য অনুভূতি হয়েছে। মনে হয়েছে নির্বিকার ভাবে নিজেকে দেখছি করাতের নিচে কেটে যেতে। সেখানে ব্যথার অনুভূতি নেই, কষ্টের কাতরতা নেই, আছে কেবল সত্যের উপলব্ধি। ঠিক এই জায়গায় আমার লেখকের লেখার হাতকে অষ্টাঙ্গে প্রণাম করতে ইচ্ছে হয়েছে।
বেবাট পড়ে মনে হয়েছে, বেবাট পড়া মানে একেবারেই লেখকের ইচ্ছেয় নিজেকে ছেড়ে দেয়া। লেখক স্বর্গ নরক যেখানেই নিয়ে যান সেখানেই নিশ্চিত গন্তব্য পাঠকের। নিজের ইচ্ছেয় ফেরার কোন উপায় নেই সেখান থেকে। তবে এ লেখক শত্রুপক্ষের নন। পাঠককে নরকে ছেড়ে দিয়ে তিনি খুশিতে হেসে ওঠেন না। গোলকধাঁধায় ঘুরিয়ে, 'মজা দেখানোর' কৃতিত্ব নিতেও চাননা। বর তাঁর মুখে নিরুত্তাপ বিষন্নতা ভর করে থাকে। কারণ লেখক নিজেও পাঠকের সঙ্গে সেই সত্যকেই দেখেন, যা তিনি পাঠককে দেখাতে নিয়ে যান।
বইটির শেষভাগের "আগামীকাল যা ঘটে গিয়েছে..." শিরোনামের 'বকেয়া আগামী', 'অন্য আগামী' আর 'চলতি আগামী' এই তিনটি গল্প পড়ে নির্বাক হয়ে গিয়েছি। মনে হয়েছে, 'এভাবেও ভাবা যায়...!!!'। অবশ্য লেখকের কাছে একটি ব্যক্তিগত অভিযোগও আছে এই গল্পগুলো নিয়ে। গল্পগুলো ক্ষীণকায়। অনুভূতির ভেতরে ঢুকতে ঢুকতেই বেরিয়ে আসতে হয়। গল্প শেষ হয়ে যায়।
বেবাটের প্রথমভাগের আটটি গল্প একেকটি একেক কথা বলে। বইটি শেষ করে আমার মনে হচ্ছে সবগুলো গল্প একবারে না পড়ে একেকদিন একেকটা পড়াই ভালো ছিল। বিরতি দিয়ে আবার পড়া শুরুও করেছি। জানিনা বেবাট পরেরবার পড়ে এই লেখাটাকে অর্থহীন মনে হবে কিনা! যদি মনে হয়, সেটাকে আমি লেখকের কৃতিত্ব হিসেবেই ধরব।
[বেবাট বের হয়েছে শুদ্ধস্বর থেকে এবছর একুশে বইমেলায়। পাওয়া যাচ্ছে একুশের বইমেলায় শুদ্ধস্বরের ২৪০ নম্বর স্টলে। চাইলে অনলাইনেও বইটা কেনা যাবে। বেবাটের চমৎকার প্রচ্ছদটি করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান।]
মন্তব্য
বই না প'ড়েই প্রতিক্রিয়া প'ড়ে ফেললাম হঠাত্ সামনে প'ড়ে যাওয়ায়।
ভালো লিখছো। এই কারণে বলছি, যে লীলেন ভাইকে তোমার আঁকাটার মধ্যে অনেকটাই পাওয়া গ্যাছে (সেটাও অবশ্যই আমার দেখার সাথে মিলিয়েই বলছি)।
লীলেনাভিজ্ঞতা আমারও বরাবরই বড় অন্যরকম। আমি ব্যাখ্যাও করতে পারিনি এখন পর্যন্ত।
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
বেবাট পড়া শুরু করিনি এখনও... পড়ে ফেলবো শীঘ্রই, প্রত্যাশা রইলো।
ভালো লাগলো লেখাটি
------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ভালু
বইমেলায় কেনা বই এখনো পড়া হয়ে ওঠেনি। তবে হবে একদিন, সেদিন অণুবিজ্ঞানী'র উপলদ্ধির সাথে নিজের পাঠোদ্ধার মিলিয়ে যাবো!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
আমিও পড়িনাই, ভাবছিলাম গিফট্ পাবো, পাইনাই। এখন মনে হয় কিনতেই হবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
মাপ কইরা দিয়েন ভাইজান
একেবারে আউলা অবস্থায় পুরাপুরি ভুইলা গেছি বইগুলা আপনার পাওনা
যে দুইজনকে দুইটা বই উৎসর্গ করলাম তারাও আপনার কাতারে
(জানেও না)
এরপরে যেদিন বইমেলায় দেখা হবে সেদিন এই দুইটা বইসহ আপনার পছন্দমতো যে কোনো দশটা* বই আপনার পাওনা রইল আমার কাছে
(*শর্ত প্রযোজ্য)
এখনও পড়া হয়নি...
প্রচ্ছদ দূর্দান্ত! (কার করা দেখতে হবে তো)
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বেবাট এর কন এক-আধটা গল্প কি ব্লগ এ দেয়া যায় না?তাহলে আমরা যারা লেখক এর লেখা আগে পড়িনি বা লেখক কে ব্যাক্তিগত ভাবে চিনি না তাদের শুবিধা হত তার লেখা শম্পরকে idea করতে...
এই মন্তব্যের ঘরে আমার নামের উপর ক্লিক করলে একটা তালিকা আসবে
সেই তালিকা ধরে আউগান
বয়স কম হলে/কিংবা খুব বেশি না হলে বগডুলের কিচ্ছা পার হয়ে যা যা পাবেন তার বেশিরভাগই বেবাট
* এর মধ্যে 'বই বদল করা ছইল্ত ন' ধারা যেন না থাকে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
+++
+++
একমত হতে পারলাম না। গল্পগুলো বড় না হলেও সম্পুর্ণ। আর লেখক নিজেই গল্পগুলোকে সাজিয়েছেন এভাবে যাতে পাঠক পঠিত অংশ শেষ করে শিকেয় তুলে না রাখে। বরং চিন্তা করে আরো কিছুক্ষন সময়। আবেশে ঘুরপাক খায় চিন্তার আবর্তে।
বাকি রিভিউ ভালো হইসে।
---- মনজুর এলাহী ----
একমত না হতেই পারেন।
এই লেখাটি কিন্তু লীলেন্দার লেখার সমালোচনা নয়। অত দুঃসাহস করিনা। এটি কেবল বেবাট পড়ার পরে নিজের অনুভূতির বর্ণনা।
আর হ্যাঁ, আমার যে কথাটি উদ্ধৃতি'তে এনেছেন সেই কথাটি কিন্তু আমি কেবল বেবাটের শেষ তিনটি গল্পের ক্ষেত্রে বলেছি।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমি তো আপনার লেখাতেই মুগ্ধ। বইটার একজন ক্রেতা বাড়িয়ে দিলেন।
---------------
আলোর ছটা
---------------
বইটা হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বেবাটা হলো একটা বেবাটা গল্পের বই, লেখক হলেন একজন বেবাট লেখক, আর বইটার আলোচনা করলো আরেক বেবাট সমালোচক।
তবে পাঠক বেবাট না হলে তা পড়া আরেক বেবাটের কাজই হবে এটা নিশ্চিত। আমিও বেবাটে পড়েই বেবাট কিনেছি। এবং বেবাটে না পড়লে আশা করছি বেবাটের মতো বেবাট পড়তে বসবো না। সময়টাও বড় বেবাট এখন বেবাট আমার জন্য। তবে বেবাট বইটা না কেনার মতো ভুল করা যে বেবাটের মতোই কাজ হবে এটা হয়তো নিশ্চিত করেই বলা যায়।
ধন্যবাদ অনার্য।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ অনার্য এই প্রতিক্রিয়ার জন্য
যে স্টাইলটা পরীক্ষা করার জন্য এই গল্পগুলোর একত্র সংকলন
মনে হচ্ছে তার কিছুটা হলেও বোধয় রেজাল্ট পাওয়া যাচ্ছে
পাঠক যদি পড়তে পড়তে একটু হলেও গল্পের ভেতরে নিজেকে আবিষ্কার করে
কিংবা একটু হলেও অস্বস্তিতে ভোগে পরিস্থিতির ভেতরে ঢুকে গিয়ে
কিংবা সোজা কথায় বোবায় ধরার মতো যদি তার অসহ্য লাগে কিন্তু সরে আসতে না পারে
তবে আমি ধরে নিতে পারি এই পরীক্ষাটার দ্বিতীয়ধাপ আমি পার হয়ে এলাম
প্রথম ধাপটা বিচ্ছিন্নভাবে আগের বইগুলোর দুয়েকটায় পার হয়েছিলাম
এবার তা হলে একটা উপন্যাসের সাহস করতে পারি আমি
০২
সরাসরি ধরিয়ে দিলে আমার অনেক উপকার হতো
এর প্রায় সবগুলো গল্পই আগে সচলে প্রকাশিত
ফাইনাল এডিটিংএর সময় সবগুলো কমেন্ট এর পরামর্শ মাথায় রেখেই এডিট করেছিলাম
যদি নির্দিষ্ট কোনো জায়গা এরকম মনে হয় সরাসরি ধরিয়ে দিও
এগুলোতে তো এডিট করবই। আর পরেরগুলোতেও কাজে লাগবে আমার
০৩
বইটার যে কোনো অংশ যারা পড়েছেন কিংবা পড়বেন
সবার কাছে একোরে আছোলা কমেন্ট কিংবা প্রতিক্রিয়া জানানোর অনুরোধ রইল
কারণ একেকটা প্রতিক্রিয়া কিংবা মতামাত লিখে ফেলা গল্পকে যতটা না সাহায্য করে তার থেকে অনেক বেশি সাহায্য করে না লেখা গল্পগুলোকে
(লীলেন্দা, ইলেক্ট্রিসিটি আসলে দেখি লেখাটা আছে। জয়তু অগ্নিশৃগাল )
বেবাট আরেকবার পড়ার আগে এই বিষয়ে আপনার সঙ্গে কথাই বলব না। আরেকবার পড়লে বুঝবো, আগে যা ভাবছিলাম আসলেও তাই কিনা!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
খুব আগ্রহ নিয়ে বেবাট পড়ার অপেক্ষায় আছি।
পড়েই মতামত জানাব।
অনার্যকে ধন্যবাদ চমৎকার লেখার জন্য।
লেখার শিরোনাম দেখে গাঁ জ্বলে গিয়েছিল কিন্তু লেখা পড়ে শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। এই সকালে মন্তব্য জানাতে আবার এলাম। অভিব্যক্তির বর্ণনার শব্দ খুঁজতেই ঘুমিয়ে ছিলাম। কেন গাঁ জ্বলেছিল- গত ২১ এ আমার সংগ্রহে আসে বইটি কিন্তু পড়া হয়নি। এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলেছি ট্যারাটক কিন্তু ধাতস্থ হতে পারিনি এখনও। তাই আমার হাতে মোড়ক উন্মুচন হয়নি বেবাটের। আপনার লেখা উষ্কে দিল আর একটু, আজ অথবা কোন একদিন পড়ে ফেলব গৃহিত সকল বই। বর্ণনার সাবলীলতা ভালো লাগল।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
বই পড়ি নাই, কবে পড়ব জানি না, রিভিউ ভালো লেগেছে বস!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
বই পড়ার আগে কোনো পাঠ প্রতিক্রিয়া পড়বো না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সুন্দর!
লেখা ভালৈছে। বইটা পড়া শুরু করবো আমিও।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
আরো কিছু বেবাট গল্প মাথায় আছে; মহাভারত শেষ এইবার বেবাট শুরু হইব আবার
নতুন মন্তব্য করুন