যুদ্ধে যাওয়ার সময় বর্ম পরার নিয়ম ছিল আগে। কারণ সবার জানা। তলোয়ার, বল্লম অথবা ওই রকমের অস্ত্র থেকে আত্মরক্ষা। এখন অবশ্য সড়কি-লাঠি নিয়ে সেই রকমের যুদ্ধ আর নেই। বদলে গেছে অস্ত্র শস্ত্রের ধরণ। সেই সঙ্গে বদলে গেছে বর্ম-ও। সিনেমায়-টিনেমায় দেখেছি বিষাক্ত গ্যাস থেকে বাঁচতে নাকে-মুখে বর্ম পরে আজকাল। বোমা বিশেষজ্ঞরা ভারী ভারী জোব্বা মার্কা বর্ম পরে বোমা খুঁজতে যায়। আরো কত রকমের বর্ম আছে সেটা কে বলবে! আমি অবশ্য সেই মানুষের বর্ম নিয়ে বকবক করতে চাইছিনা। বকবক করতে চাইছি বর্মধারী এক ব্যাকটেরিয়াকে নিয়ে।
ব্যাকটেরিয়াদের আত্মরক্ষার নানারকম উপায় আছে। যেসব ব্যাকটেরিয়ারা মানুষ অথবা অন্য প্রাণির রোগ বাধায় জীবদেহের বাইরের পরিবেশ তাদের কাছে সবসময় খুব সুবিধার নয়। মাটিতে উপরে থাকলে সেখানে রোদে পুড়তে হয়, পানিতে থাকলে ভিজে মরতে হয়, খাবার দাবার পাওয়া যায়না ঠিকমতো, তার উপরে বেশিরভাগ জায়গায় সবসময় কোন না কোন জীবাণু আস্তানা গেড়ে থাকে। উড়ে এসে সেসব জায়গায় জুড়েও বসা যায়না। এজন্য ব্যাকটেরিয়ারা বর্ম পরে থাকে। বর্ম আছে মূলত দুরকমের। একটা কিছুটা মানুষেরটার মতই। জামাকাপড়ের উপর শক্ত চামড়া অথবা ধাতুর আরেকটা জামার মতো। আরেকটা হচ্ছে ব্যাকটেরিয়াদের জন্য 'ইসপিশাল'। এটাকে বলে এন্ডোস্পোর। এটা ব্যাকটেরিয়ারা পরে পেটের ভেতর। আজকে কেবল এইটা নিয়েই বলতে চাই।
ব্যাকটেরিয়ারা (সব ব্যাকটেরিয়া নয়) এন্ডোস্পোর তৈরি করে প্রতিকূল পরিবেশে। নিজের পেটের মধ্যে তারা তাদের প্রয়োজনীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থালাবাসন একটা পুটুলি করে বেশ শক্ত খোলস দিয়ে মুড়ে একেবারে সিলগালা করে দেয়। এখন যদি তাকে রোদে পোড়ানো হয়, তাপে সিদ্ধ করা হয়, রেডিয়েশনে ঝলসানো হয়, ঠান্ডায় জমানো হয়, না খাইয়ে রাখা হয়, ভয়ঙ্কর সব কেমিকেল দিয়ে গোসল দেয়া হয়, তাহলেও তার কিছু যায় আসবে না। ওই অবস্থায় সে হাজারখানেক বছর অন্তত নিশ্চিন্তে থাকতে পারবে শীতনিদ্রায়। এমনকি এরকম অবস্থায় এন্টিবায়োটিক দিয়েও ব্যাকটেরিয়াদের কিছু করা যাবেনা। এন্ডোস্পোর তাই ব্যাকটেরিয়ার একটা দারুণ আত্মরক্ষার ব্যবস্থা। এন্ডোস্পোরের একটামাত্র সমস্যা হচ্ছে এই অবস্থায় ব্যাকটেরিয়ারা বাচ্চা দিতে পারেনা। অবশ্য পারলেও আমার মনে হয়না এরকম প্রতিকূল পরিবেশে তারা সংসার পাততে চাইতো!
একটুখানি বলে নেই , এন্ডোস্পরের বড় একটা প্রয়োজন অন্যখানে। সেই ব্যপারটা বোঝার জন্য জানা দরকার, ব্যাকটেরিয়াদেরকে তাদের অক্সিজেন সহ্য ক্ষমতার উপর বিশেষভাবে ভাগ করা যায়। সব ব্যাকটেরিয়া অক্সিজেন সহ্য করতে পারেনা। কেউ কেউ অল্প একটুখানি অক্সিজেন সহ্য করতে পারে, কেউ কেউ মোটামুটি পারে আর কেউ কেউ একেবারেই পারেনা। এইসব ভাগের ব্যাকটেরিয়াদের নানারকম খটমট নাম আছে। এখন কেবল একটা জানলেই চলবে। স্ট্রিক্ট এনারোবিক। এই ভাগের ব্যাকটেরিয়ারা একেবারেই অক্সিজেন সহ্য করতে পারেনা। একটুখানি অক্সিজেনের কাছে আনলেই এরা পটল তোলে। এইরকম ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কম নয়। এদের মধ্য অনেকেই মানুষের ভয়ঙ্কর শত্রু। এইরকম ব্যাকটেরিয়া জীবদেহের বাইরের খোলা পরিবেশে এন্ডোস্পোর তৈরি করে বাঁচে। এন্ডোস্পোর তাদেরকে অক্সিজেনের মতো ভয়ঙ্কর বিষ থেকে বাঁচায়।
প্রকৃতিতে পাওয়া সবচাইতে ভয়ঙ্কর তিনটি বিষের মধ্যে দুটি বানায় যারা অক্সিজেন একেবারেই সহ্য করতে পারেনা সেইসব স্ট্রিক্ট এনারোবিক ব্যাকটেরিয়ারা। যে ব্যাকটেরিয়াটির কথা বলতে চাচ্ছি সেটা বিষ বানানোতে প্রথম দ্বিতীয় না হতে পারলেও একেবারে ফেলনা কেউ নয়। এদের নাম ব্যাসিলাস এনথ্রাসিস। এরা মানুষ এবং গবাদিপশুর ভয়ঙ্কর এনথ্রাক্স রোগের জন্য দায়ী।
ব্যাসিলাস এনথ্রাসিস দেখতে সরু লম্বাটে। এরা এন্ডোস্পোর বানায় তবে সেটা অক্সিজেন থেকে বাঁচার জন্য নয়। অক্সিজেনে এরা এমনিতেই বাঁচে। একবার এন্ডোস্পোর বানালে এরা সেইভাবে হাজার বছর বেঁচে থাকতে পারে।
এনথ্রাক্সের এন্ডোস্পোর সাধারণত মাটিতে থাকে।
আর মাটিতে পড়ে থাকে বলে এরা ঘাস লতাপাতায় লেগে থাকতে পারে সহজেই।
আর গরু ছাগল অথবা এইরকম প্রাণিরা ভালো করে ধুয়ে ঘাস লতাপাতা খায়না।
আর তাই এসব প্রাণির পেটে পৌঁছে যেতেও এদের খুব একটা বেগ পেতে হয়না।
কিন্তু স্তন্যপায়ী প্রাণির মুখে থাকে লাইসোজাইম নামের ছিদ্রকারক। লাইসোজাইম ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের চামড়া ফুটো করে দিয়ে মেরে ফেলে। আর তাছাড়া প্রাণির পেটে থাকে ভয়ঙ্কর এসিড! সেই এসিড গড়পড়তা ব্যাকটেরিয়াকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়। সমস্যা হচ্ছে, আমাদের ব্যাসিলাস এনথ্রাসিস গড়পড়তা নয়। তার আছে এন্ডোস্পোরের মতো বর্ম। সে তাই সহজেই মুখের ড্রিলমেশিন আর পেটের এসিড থেকে বেঁচে যেতে পারে। এবং তারপর হিসেব অনুযায়ী পাকস্থলীজাত বর্জ্যের সঙ্গে তার বের হয় যাওয়ার কথা। সেই প্রাণীর শরীরে সংক্রমণ ঘটানোর কথা না। কিন্তু তারা সংক্রমণ ঘটায়।
কিভাবে সংক্রমণ ঘটায় সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলা যায় না। এই বিষয়ক একটি প্রস্তাবনা আছে কেবল। সেটা হচ্ছে, গরুরা যা পায় তা প্রথমে গিলে ফেলে (সাধে কী আর গরু!)।
আর ঘাসের মতো সবজির চারপাশ ধারালো হয়।
আর সেই ধারালো অংশে তাদের পেটের ভেতরে হালকা ছড়ে-ছিঁড়ে যায় মাঝেমধ্যে।
আর সেই ছড়ে যাওয়া যায়গা দিয়ে ব্যাসিলাস এনথ্রাসিস ঢুকে পড়ে শরীরে।
এরপর তাদের এনথ্রাক্স হয়। গরুর এনথ্রাক্স হলে মানুষেরও হতে পারে। কারণ, সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, গরুসঙ্গে এনথ্রাক্স।
এনথ্রাক্স মূলত তিন ধরণের। ত্বকের এনথ্রাক্স, পাকস্থলির এনথ্রাক্স আর ফুসফুসের এনথ্রাক্স। এর মধ্যে আবার জটিলতা আছে। যেমন ধরেন, গোটা দশ থেকে পঞ্চাশটা এনথ্রাক্সের জীবাণু হলেই ত্বকের এনথ্রাক্স হতে পারে। ফুসফুসের এনথ্রাক্স এত অল্পতে হয়না। তার জন্য লাগে অন্তত দশহাজার এনথ্রাক্সের ব্যাকটেরিয়া। পাকস্থলীর এনথ্রাক্সের জন্য আবার প্রয়োজন হয় আড়াই থেকে দশলক্ষ জীবাণুর সংক্রমণ। সময়মত চিকিৎসা না হলে ত্বকের এনথ্রাক্স ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে ২০ ভাগ ক্ষেত্রে। পাকস্থলীতে ঘাঁটি গড়তে পারলে অবশ্য ব্যাকটেরিয়ারা এত কমে ছেড়ে দেয়না। পাকস্থলীর এনথ্রাক্সে মারা যায় ২৫ থেকে ৬০ ভাগ পর্যন্ত রোগী। তবে বিপদ সবচাইতে বেশি ফুসফুসের এনথ্রাক্সে। এই ক্ষেত্রে মৃত্যু মোটামুটি নিশ্চিত।
এনথ্রাক্সের জীবাণুরা খাওয়া দাওয়া এবং বাচ্চা দেয়া ছাড়া আর কিছু করেনা। সমস্যা হচ্ছে এই কাজটা তারা করে মানুষের শরীরে। এবং তাতেই বিপদটা বাধে। বাইরে থেকে ব্যাপারটা অবশ্য প্রথম দিকে সাধারণ দেখায়, ত্বকে সামান্য ফুসকুড়ির মতো হয়। তারপর সেখানে একেবারে কালো ক্যাটক্যাটে ঘা (ব্যতিক্রম আছে) হয়ে যায়। ভেতরের দিক থেকে ব্যাপারটা হয় অন্যরকম। ত্বকের একটুখানি ছেঁড়াফাটা দিয়ে যে জীবাণুরা ঢুকে পড়ে তারা সংসার করে বাচ্চা দিতে শুরু করে সেখানে। আর তাই দেখে আমাদের শরীরের রক্ষীবাহিনীর যারা গিলেখাদক (মানে যারা জীবাণু গিলে খায়) তারা ছানাপোনাসহ এনথ্রাক্স পরিবারকে সবংশে গিলে ফেলে। অনেকক্ষেত্রে ব্যাপারটা সেখানেই শেষ হয়। গিলেখাদকের পেটেই এইসব এনথ্রাক্স ছানাপোনারা পটল তোলে। কিন্তু যদি দুয়েকটি ফাটকাবাজি করে টিকে যায় তাহলে শুরু হয় আরেক মহাকাণ্ড। গিলেখাদকের পেটে করেই এরা পৌঁছে যায় লসিকাতন্ত্রে। লসিকাতন্ত্র হচ্ছে রক্তের মত তরল পরিবাহী শিরা-উপশিরার তন্ত্র। লসিকাতন্ত্রে গিয়ে এরা সেই গিলেখাদকের পেটে বসেই বাচ্চা দিতে থাকে। আমাদের মন্ত্রীসভায় যেভাবে রাজাকার ঢুকে পড়ে, সেভাবে।
শেষপর্যন্ত এনথ্রাক্সের ছানাপোনারা যখন সব ভেঙেচুরে বেরিয়ে রাজপথে নামে অর্থাৎ রক্তে মিশে যায় তখন আর বিশেষ কিছু করার থাকেনা শরীরের। শেষ সময়ে এন্টিবায়োটিক দিয়ে এদেরকে মারলেও রক্তে ছেড়ে দেয়া এদের বিষ ঠিকই ছাত্রশিবিরের মত নিশ্চিত সর্বনাশটি সম্পন্ন করে ছাড়ে।
পুনশ্চ: আজ (১১ই ডিসেম্বর) রবার্ট কঁকের জন্মদিন। ১৮৭৭ সালে এই জার্মান অণুজীববিজ্ঞানী এনথ্রাক্সের জীবাণু ব্যাসিলাস এনথ্রাসিস আবিষ্কার (সনাক্ত করেন এবং আলাদা করেন) করেন। যক্ষা আর কলেরার জীবাণুও তাঁরই আবিষ্কার। ১৯০৫ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পাওয়া এই বিজ্ঞানীর মূল কৃতিত্ব অবশ্য অন্যখানে। এই মহামানব প্রথম রোগের কারণ হিসেবে জীবাণুর সক্রিয়তা প্রমাণ ('কঁক'স পস্টুলেটস' নামে বিখ্যাত) করেন। (তার সেই আবিষ্কারের আগে পর্যন্ত কেবল খারাপ বাতাস আর ডাইনীর নজর লেগেই মানুষের রোগ হত)। বস্তুত তাঁর আবিষ্কারের পর থেকেই জেনে-বুঝে জীবাণুর বিরুদ্ধে মানুষের যুদ্ধ শুরু হয়। তখন থেকেই আমরা জানি, রোগের কারণ জীবাণু। জীবাণু মারলেই রোগমুক্তি।
কে বলবে গত সোয়া শতাব্দীতে এই মহান মানুষটির জন্য কত প্রাণ বেঁচেছে! কে বলবে আগামী সহস্র বছরে আরো কত বাঁচবে! হয়ত মানুষ জানবেও না তাঁর নাম। যেমন আজকে পেনিসিলিন নিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরা লক্ষ মানুষের মধ্যে হয়তো একজনও জানেনা কার কাছে তার জীবনের ঋণ! অবশ্য তাতে সত্যিকারের এসব মানুষের কী-ই বা যায় আসে!
অনিঃশেষ শ্রদ্ধা ঈশ্বরের চাইতেও মহান এই মানুষটির জন্য।
মন্তব্য
বিজ্ঞানের ক না জানা মানুষ হয়েও আপনার সাবলীল লেখার কারণে অনেক কিছু শিখে ফেললাম... অনেক ধন্যবাদ লেখার জন্য...!!!
tofayel71@gmail.com
লেখা সাবলীল আর তথ্যগুলোও এত সরল কিন্তু বোঝার মত করে দিয়েছেন বায়োলজির ছাত্র না হয়েও বেশ ভালোভাবেই বুঝেছি।
কিন্তু
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ভাই, ব্যাপারটা দুরকম ভাবে দেখতে পারেন।
১. যা নেই-ই, তার দোষগুণই বা থাকে কী করে; কক সাহেব আছেন (ছিলেন), তাই মহানতা তাঁর কম-বেশি যা'ই হোক, আছে তো। অতএব না-থাকা লোকের না-থাকা মহানতার থেকে তো থাকা লোকের থাকা মহানতা বেশি বটেই।
২. প্রচলিত ঈশ্বরের মহানতা? থাক, সে-কথা তো সবাই জানে। তাঁর বাণী না শুনলেই ইহকালে মুণ্ডুচ্ছেদ থেকে পরকালে অনন্ত নরক ইত্যাদি মিষ্টি মিষ্টি মহান ঘোষণা যিনি দিয়ে গেছেন বলে প্রচার করা হয়, তাঁর প্রচারিত মহানতার তুলনা কি আর কক সাহেব হাজার নেকি করলেও মেলাতে পারবেন? তাঁর প্রচলিত বাণী মেনে কত শত লোক মারা হয়, আর কক সাহেবের পথ ধরে বাঁচে হাজার হাজার লোক। আর বেশি কী বলি।
সাধু সাধু...!
--- থাবা বাবা!
ঈশ্বর নেই বললে আমার আর কিছু বলারই নেই।
কেননা "বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর" আমি এই নীতিতে বিশ্বাসী।
আর কঁক সাহেবের গুন/মহানুভবতা নিয়ে আমার কোনই সন্দেহ নেই। উনি মানবজাতির জন্য বিশাল উপকার করে গেছেন এটা অনস্বীকার্য কিন্তু উনি কিছুতেই ঈশ্বরতুল্য নন, কেউই নন, আমি সেটাই বলতে চেয়েছিলাম।
_________________________________________________
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
আপনার ধর্মবিশ্বাস আপনার কাছে, আমার কাছে যা মনে হয়েছে সেটা আমি বলেছি। আপনি আমার ভাবনায় বিশ্বাস না রাখতেই পারেন।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
প্রবন্ধের জন্য জাঝা। এ বিষয়ে সামান্যই জানতাম।
সাবলীল লেখা। ভাল লেগেছে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সচল জাহিদ ব্লগস্পট
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
কত কিছুই অজানা রে! লেখককে অশেষ ধন্যবাদ।
-কুটুমবাড়ি
অসাধারণ!
অণুজীববিজ্ঞান নিয়ে এমন আরো লেখা চাই।
আচ্ছা, বাচ্চাদের জন্য অনুজীব বিজ্ঞানের বই করা যায় না? (ডাইনোসরের বইয়ের মতো) রঙ বেরংএর ছবি থাকবে। আর চমৎকার সব বর্ণনা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
কাছাকাছি একটা আইডিয়া হিমু ভাই দিয়েছিলেন মেলা মাস আগে। ইচ্ছেও আছে। কিন্তু যে দীর্ঘ সময় দিতে হবে সেটার সংস্থান হচ্ছে না। ব্লগ লেখাও আবার শুরু করলাম দীর্ঘদিন পরে...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সাবলিল লেখা। তবে বুঝেছি সামান্যই। রবার্ট কঁকে জন্মদিনের শ্রদ্ধা। যিনি আমাদের ভুত প্রেত আর খারাপ বাতাসের হাত থেকে রক্ষা করেছেন।
এই লেখাটায় ছবি যুক্ত করে দিলে ভালো হয়। লেখাটা সাবলিল। কিন্তু ছবি ছাড়া সাইন্টিফিক লেখা পূর্ণতা পায় না। উইকিপিডিয়া থেকেই তো দেওয়া যায়?
মানুষ ছবির সাথে বেশি আসোসিয়েট করতে পারে। আরো কী কী উপকার আছে সেটা নিয়ে একটা 'থিসিস'-ই লিখে ফেলা যাবে।
সো নেক্সট টাইম থেকে বিজ্ঞান লেখা চাই সচিত্র।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
গল্পে যেরকম বলতে চাই সেরকম ছবি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। যা আছে তাও কপিরাইট ওয়ালা। উইকিপিডিয়ার ছবি সৌন্দর্য বাড়াবে হয়তো কিন্তু পাঠককে বুঝতে সাহায্য করবে বলে মনে হয়না। সেরকম হলে আমি ছবি দিতেই চাই লেখার সঙ্গে...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
"অনিঃশেষ শ্রদ্ধা ঈশ্বরের চাইতেও মহান এই মানুষটির জন্য।"
ঈশ্বর/ধর্ম মানুষকে শান্তি দিতে পারেনি। শুধুমাত্র ধর্মের কারণে এপৃথিবীতে কত প্রাণ ঝরে গেছে,কত অর্থ ব্যয় হয়েছে,কত সময় নষ্ট হয়েছে তা 'পাগল মন' না জানলেও অনেকেই জানেন। একমাত্র বিজ্ঞান/বিজ্ঞানীরাই মানুষতো বটেই,অন্যান্য পশু-পাখীদের কিছু শান্তি দিয়েছে এবং দিচ্ছে। লেখকের এমন একটি উপমা আমাকে মুগ্ধ করেছে। ধন্যবাদ
মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। আলাদা করে রবার্ট কঁকের জন্য কিংবা তাঁর মতো আরো বহু মহামানবের জন্য দুদন্ড সময় ব্যায় করে শ্রদ্ধা জানাতে পারি না, ক'জনের কথাই বা ভালভাবে জানি! তবু এটুকু জানি, তাঁর মতো মহামাবনবদের জন্যই আমরা মানুষ হওয়ার সংগ্রামে শরিক হতে শিখেছি। তাঁদের সবার জন্য চিরকালীন শ্রদ্বা।
মানুষের ইমিউন সিষ্টেম নিয়ে একটা লেখা পোষ্ট করার জন্য আপনাকে একান্তভাবে অনুরোধ করছি।
কয়েকটা পুরোনো লেখা আছে পড়ে দেখতে পারেন। তারপরও আরো কিছু জানতে চাইলে জানান, আমি লিখতে চেষ্টা করব।
ভগবানের নৃসিংহ অবতার এবং শুকরের জ্বর
শুকরের জ্বর এবং আমাদের অন্তর্গত যোদ্ধারা
আমাদের অন্তর্গত যোদ্ধারা এবং যুদ্ধের পূর্বপ্রস্তুতি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনার আগের লেখাগুলোও পড়লাম, যথারীতি অসাধারন! দুটি প্রশ্নের উদয় হয়েছে, যদি কিছু বলেন-
১. আমাদের দেহত্বকে যে অসংখ্য আপাত নিরীহ ব্যাকটেরিয়া দল স্থায়ীভাবে বসবাস করে, যারা কিছুটা দেহরক্ষীর ভূমিকাও পালন করে, আমরা যখন সাবান মেখে স্নান করি, গায়ে তেল লোশন স্নো পাউডার মাখি, এতে ওদের কোন ক্ষতি হয় না? আমাদের কি ওদের সুরক্ষা দেয়া উচিৎ? কিভাবে?
২. আমাদের অন্তর্গত যে রক্ষীদল (টাল্টু, বল্টু), সময়ের বিবর্তনে তারা কি কর্মক্ষমতা হারায়? মানুষ বা প্রানীদেহ বার্ধক্যপ্রাপ্ত হয়, টাল্টু বল্টুদের তো বার্ধক্যের বালাই থাকার কথা নয়, প্রতিনয়তঃ তাদের নবজন্ম হয়ে চলেছে, তবু বয়োবৃদ্ধ মানুষের অন্তর্গত যোদ্ধাদল কেন আর কার্যকর সুরক্ষা প্রদান করতে পারে না?
আপনার প্রশ্নের জবাব দিতে দেরি হল বলে দুঃখিত। আমি আপনার প্রশ্ন দেরিতে দেখেছি। পুরোনো লেখা থেকে কোন প্রশ্ন করতে চাইলে আপনি ইমেইল করতে পারেন। তাতে প্রশ্ন না দেখার সম্ভাবনাটা থাকে না।
১. সাধারণভাবে সাবান শ্যাম্পু মাখলে এসব উপকারী ব্যাকটেরিয়াদের একটা বড় অংশ ধুয়ে যায়। কিন্তু আমাদের ত্বকে ঘাম আর তেলজাতিয় পদার্থের জন্য অসংখ্য অতিক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে, সেখানে ত্বকের ব্যাকটেরিয়ারা লুকিয়ে থাকতে পারে। সাধারণ সাবান শ্যাম্পুতে লুকিয়ে থাকা এসব ব্যাকটেরিয়ারা ধুয়ে যায়না। আর তাই সাবান শ্যাম্পু ব্যবহারের পরে এরা আবার ত্বকের সব অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে। আর যে তেল লোশন স্নো-পাওডার মাখেন সেগুলো জীবাণুনাশক হবার কথা নয়। আর যদি জীবাণুনাশক হয়ও তাহলেও সেটা আপনার উপকারি ব্যাকটেরিয়াদেরকে মারা সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াদেরকেও মেরে ফেলে। ব্যাপারটা চোর এবং পুলিশ দুজনকেই ঘায়েল করার মতো যাতে গৃহস্থের আদতে কোন ক্ষতি-বৃদ্ধি হয়না।
তবে সবকিছুর পরেও সাবান শ্যাম্পু তেল লোশন স্নো পাওডার অনেকক্ষেত্রেই আমাদের ক্ষতি করতে পারে। ত্বকের ইনফেকশনের জন্যও কখনো কখনো এগুলো দায়ী। তাই সবসময় ভালো মানের পণ্য পরিমিতভাবে ব্যবহার করা উচিত।
২. B cell, T cell 'দের সময়ের বিবর্তনে কর্মক্ষমতা হারানো অসম্ভব নয়। নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, টিকা নিলে তার একটা মেয়াদ থাকে। কিছু টিকা সারাজীবন কাজ করে, কিছু কাজ করে মাত্র কয়েক বছর। তবে বার্ধক্যের সঙ্গে সেটা সম্পর্কিত কিনা আমি নিশ্চিত নই। আমার একটা ধরণা আছে যদিও, কিন্তু বিজ্ঞানের ব্যাপার ধারণা করে বলাটা ঠিক হবেনা। আমি নিশ্চিত হতে পারলে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনার এরকম লেখাগুলি আমি গোগ্রাসে গিলি। এর আগের লেখাগুলোও এত ভালো লেগেছে যে আমি নিজের ব্লগে কপি করে নিয়েছি আপনার অনুমতি ছাড়াই। কপিরাইটের মামলা হবে কি?
দারুন সাবলীল লিখেছেন। এরকম সহজপাচ্য বিজ্ঞান লেখক বাংলাদেশে খুব দরকার। আপনি কি উইকিপিডিয়ার কিছু বিজ্ঞান আর্টিক্যাল বাংলা করতে পারবেন? বিশাল উপকার হবে পাঠকের।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
উইকিতে লেখার সময় পাচ্ছি না (আমি আমার আলসেমিতে মুগ্ধ! সেই কারণটাই মুখ্য মনে হচ্ছে এখন)। তবে খুব তাড়াতাড়ি শুরু করব নিশ্চিত।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
লেখা দারুণ লেগেছে
---আশফাক আহমেদ
অনেক আগে পড়া বায়োলজিতে এগুলো পড়েছি। তবে এই রকম সাবলীল ভাবে পড়িনি। দারুন লাগল আপনার উপস্থাপনা।
অনন্ত
হাতেনাতে অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে লেখেন।
আমার ল্যাবের কথা বলতেছেন? দারুণ আইডিয়া! কিন্তু ল্যাবের কাজে এতো জটিলতা থাকে সেগুলো পাঠককে বোঝানো কতটা সহজ হবে বুঝতেছিনা!
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দারুণ!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
লেখা পড়ার জন্যে এবং মন্তব্য করার জন্যে সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চমৎকার সাবলীল লেখা। এরকম আরো লিখুন।
এই কথাডা বেশি ভালু পাইছি!
দারুণ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অনেক কিছু জানা হলো।
আমার মনে হয় যে মহৎ প্রাণ, মানুষের শান্তির জন্য নিজেকে মেলে দেয় তার চোখের পেছনেই ঈশ্বর থাকে। ধন্যবাদ লেখাটার জন্য
============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।
============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।
বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা এমনই হওয়া উচিত। দারুণ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়ার গল্পটা কিন্তু অসম্পূর্ণ থেকে গেলো। একে শায়েস্তা করার কোনো উপায় আছে কিনা, শায়েস্তাকারীরা কীভাবে কাজ করে, অ্যানথ্রাক্সের ভাই-বেরাদর কারা, কী করলে অ্যানথ্রাক্সের অরাজকতা আগে ভাগে ঠেকানো যায়, এক ফরাসী রসায়নবিদ অ্যানথ্রাক্সকে প্রথম পিটুনীটা কীভাবে দিয়েছিলেন - এমন সব কথাগুলো বলতে হবে না?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এনথ্রাক্সের বাকি কাহিনী গতানুগতিক বলে লিখিনি পাণ্ডব'দা। এনথ্রাক্স সহজেই এন্টিবায়োটিক দিয়ে সারিয়ে তোলা যায় যদি সেটা প্রাথমিক অবস্থায় হয়। কেবল ব্যাকটেরিয়ার তৈরি বিষ একবার রক্তে মিশলে ব্যপারটা জটিল হয়ে দাঁড়ায়। এনথ্রাক্সের টিকা আছে গবাদিপশুর জন্যে। আর ফরাসী রসায়নবিদের এনথ্রাক্সের টিকা আবিষ্কার নিয়ে কিছুটা বিতর্ক আছে। উইকিতেই আছে এই কথা। আমি যদিও ওনাকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করি তবুও বিতর্কিত ব্যপার বলে তাঁর কথা উল্লেখ করিনি এই লেখায়।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভালু পাইলামগো দাদা! তো বইটা কবে হাতে পাচ্ছি?
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এই লাইনটার জন্য।
স্কুল কলেজের জীববিজ্ঞানের বইগুলি যদি এইভাবে লেখা হইতো!
আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষাা
love the life you live. live the life you love.
নামটা 'কখ' নয়? ঁ কোথা হতে এলো?
আহা! আমরা ষদি এতো সাবলীল পাঠ্যবই পেতাম!
উচ্চারণের ভিন্নতা আছে। আমি নিজেও সন্দেহে ভুগেছি। তবে সম্প্রতি একটি সেমিনারে বক্তাকে 'কঁক' বলতে শুনে, আমিও সেরকম বললাম এখানে।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সাহিত্যিক বর্ণনায় বিজ্ঞান, অনেক ভালো লাগল।
কামরুল হাসান রাঙা
দারুণ লেখা, আমি হাজার চেষ্টা করলেও এর ১% এর কাছাকাছি গুছায় বা সহজ করে লিখতে পারতাম না। একদম বস লেভেলের কাজ! মনেই হয় না মাইক্রোবায়োলজির খটমটে কিছু পড়ছি!
কপিরাইট ছাড়া ভালো ছবি নাই, খুঁজে পেতে ২টা ছবি পেয়েছি আন্তর্জাল থেকে। লেখক বা কেউ আপত্তি করলে মুছে দিব।
ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস
শ্বেত-কণিকার সাথে যুদ্ধের পর
১. রবার্ট কঁক এর নাম নিয়ে ২টি উচ্চারণ প্রচলিত, তবে অনেকের মুখে কঁক/কঁচ শুনে অভ্যস্থ হলেও আসল উচ্চারণ কিন্তু 'কক্স'! উইকি তেও [kox] দেয়া আছে, আমাদের মাইক্রোবায়োলজির স্যারও বলেছিলেন এই উচ্চারণ নিয়ে মতভেদের কথা। আবার ডিকশনারি.কম এ 'কচ' দেওয়া! যদিও বানান অনুযায়ী কঁক/কঁচ হওয়া উচিত!
২.
কথাটা পুরোপুরি ঠিক না, কারণ সিদ্ধ যদি অটোক্লেভে অর্থাৎ ১২১-১৩২' সেলসিয়াস তাপে ১৫ পাউন্ড/বর্গ-ইঞ্চি চাপে ১০-১৫ মিনিট ফুটালে স্পোর নষ্ট হয়ে যায়। একইভাবে গামা রেডিয়েশনে অথবা ইথিলিন অক্সাইডে বা ২% ফেনলে স্পোর ডুবিয়ে রাখলে মারা যায়। এই কথাটা মনে হয় মাথায় ছিল না, তাই চামে চিকনে যোগ করে দিলাম
তবে, সবকথার শেষকথা, এরকম লেখা লিখতে মাজায়, হাতে এবং মাথায় জোর লাগে, তাই আবারো সাধুবাদ জানাই, আশাকরি আরো এমন অনেক অসাধারণ লেখা পাবো তোমার কাছ থেকে বস!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনি যেরকম ছবি দিয়েছেন সেরকম ছবি পাওয়া যায় কিন্তু এরকম ছবিতে পাঠকের বুঝতে খুব সুবিধা হবে বলে মনে হয়নি বলে আমি ব্যবহার করিনি। আপনার দেয়া প্রথম ছবিটার মতো ছবি দেখেছি, কিন্তু দ্বিতীয় ছবিটা আমি আগে দেখিনি। ছবিদুটোর জন্য ধন্যবাদ।
১. উচ্চারণ নিয়ে আমি দ্বিধায় ছিলাম। জার্মানীতেই আলাদা আলাদা অঞ্চলের মানুষ ch কে আলাদা আলাদাভাবে উচ্চারণ করে। কেউ বলে 'খ' আবার কেউ বলে 'শ'!
২. স্পোর তো মারা যায়-ই। কিন্তু আমি বলতে চেয়েছিলাম যেরকম সহজে যেভাবে সাধারণ ব্যাসিলাসকে (vegetative cell) মারা যায় সেভাবে তার স্পোরকে মারা যায় না। ব্যাপারটা আমি মনে হয় স্পষ্ট করতে পারিনি আমার লেখায়।
বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সাইফ ভাই
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
KOCH এর উচ্চারণ কখ। এই খ-টা বাংলা খ এর মতো নয়, বরং হ আর খ এর মাঝামাঝি। কিন্তু কচ, কঁক, কশ বা কক্স কখনো নয়।
কখ মানে হচ্ছে বাবুর্চি।
দারুন!!!
তুই ছাইন্সে খুব ভালো
তোর লেখার সাথে এক তরুণ লেখকের লেখা 'অণুজীবের পৃথিবী' বইটার সাথে ক্যানজানি মিল পাইলাম। লেগে থাক, ঐ ব্যাটাকে ছাড়ায়ে যাইতে পারবি
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
হা হা হা... তাই নাকি? 'অণুজীবের পৃথিবী' বইটা পারলে দিও, পড়ে দেখবোনে।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমারে ছোটবেলায় কেউ এইভাবে মাইক্রোবায়োলজি পড়াইলে আজকে আমার আর এই অবস্থা হইতো না। আমিও ভালো ছাত্র হইতে পারতাম।
বিশ বছর আগে না জন্মানোর জন্য রতনরে মাইনাস পাঁচতারা দিলাম।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
এই চমৎকার লেখাটা চোখ এড়িয়ে গেলো কেনো বুঝি না।
... আপনি প্লিজ এই সহজ বিজ্ঞান জাতীয় লেখাগুলো নিয়ে নিয়মিত সিরিজ করেন।
_________________________________________
সেরিওজা
আমার বায়োলজি জ্ঞান ক্লাস টেনের, এরপরে আর কোনদিন আর ঐ সাবজেক্ট পড়িনি। এই অল্প বিদ্যা নিয়েও আপনার লেখা বুঝতে পারি, নিয়মিত লিখুন।
আপনার "অণুজীবের পৃথিবী" বইটাও দারুণ সহজবোধ্য। আমি ওটাও জোগাড় করেছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার। প্রিয়তে রাখলাম।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
নতুন মন্তব্য করুন