প্রিয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আমরা অত্যন্ত দুঃখিত

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: শনি, ০৫/০৩/২০১১ - ২:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ,

আমি জানি না ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট সমর্থকরা কেমন কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে আমি বলতে পারি ক্রিকেট এদেশের সমর্থকদের রক্তে ছোটে। আমাদের ধর্মীয় উৎসবে এত মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে না যত মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে একটি ক্রিকেট ম্যাচের জন্য। একটি জয় এদেশের সমর্থকদের নিঃশর্ত উদার করে তোলে। একটি জয়ের পর এদেশের কিছু দস্যি ছেলেমেয়ে রাস্তায় নেমে চিৎকার করতে থাকে পাগলের মতো। একটি জয়ের পর এদেশের কিছু দস্যি ছেলেমেয়ে রঙ ছিটাতে থাকে পথচারীদের উপর। একটি জয়ের পর এদেশের ছেলেবুড়ো সবাই হাসিমুখে তারুণ্যের সব দস্যিপনা সহ্য করে যায়। নতুন কেনা শাড়িটিতে রঙ মাখিয়ে বাড়ি ফিরতে একটি মধ্যবিত্ত মেয়ের মুখের হাসি ম্লান হয় না। বাবা মায়েরাও একটি জয়ের পর দেরিতে বাড়িফেরা মেয়েটিকে বকা দিতে ভুলে যান। একটি জয়ের পর রাস্তায় দস্যি ছেলেমেয়ের চিৎকারে মাঝরাত পর্যন্ত ঘুমুতে না পারা মধ্যবিত্ত কেরানিটিকেও রেগে উঠতে দেখা যায় না পরদিন অফিসে দেরি হবে ভেবে!

এরকম একটা উৎসবের উপলক্ষ্য আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেলে তাই আমরা নিতান্ত দুঃখি হয়ে উঠি। সেটাই স্বাভাবিক। তবে তারপরেও আমরা আশা করে থাকি আরেকটি সুযোগের, আরেকটি উপলক্ষ্যের। আর এতে অস্বাভাবিকতা কিছু আছে বলেও মনে করি না। প্রত্যেকটি পরাজয়ের পর আমরা আবেগী হয়ে উঠি! আমাদের খেলোয়াড়দের দুয়ো দেই। আমাদের আর ক্রিকেট খেলাই উচিত নয় এরকম একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্যকিছুতে মন দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু দেখা যায় সেই আমরাই আবার দুদিন পরে কপালে পতাকা বেঁধে গ্যালারিজুড়ে লাফাতে থাকি জয়ের আশায়। শেষ বলটি পর্যন্ত উৎসাহ দিতে থাকি আমাদের ক্রিকেটারদের। অতীতের সব পরাজয়ের বেদনা ভুলে বসে থাকি। ভুলে বসে থাকি আর কখনো খেলা না দেখবার মতো কঠিন সব সিদ্ধান্তকে! শুরু থেকেই এটাই খুব সাধারণ একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের জন্য।

তবে আজকের ব্যাপারটা খুব সাধারণ ছিল না। একটা উৎসবের আয়োজনের মতোই আপনাদের সঙ্গে খেলতে নামার আগেই আমরা নানা হিসেবনিকেশ করেছি মনে মনে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে বাংলাদেশের খেলার সাম্প্রতিক ইতিহাস বলে এই সময়ে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সমকক্ষ একটি দল। একটা সময়ে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে খেলায় আমরা প্রার্থনা করা ছাড়া আর কোনো আশা দেখতাম না সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটি আর সেরকম নেই এখন। বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুটি দলের মধ্যেই এসেছে বিরাট পরিবর্তন। এবং এইসব পরিসংখ্যান আর পরিবর্তনের উপর ভরসা করেই আমরা আজকে আশা করে ছিলাম একটি জয়ের। সেই আশাটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও ছিল ঠিক, কিন্তু সবক্ষেত্রেই আমরা নিশ্চিত ছিলাম একটি শক্ত লড়াই দেখার।

এতখানি আশা নিয়ে যে আমরা মাঠে গিয়েছিলাম সেই আমরা আজকে ভেতরে ভেতরে ভয়ংকরভাবে দুমড়েমুচড়ে গিয়েছি। পরাজয়ে আমরা দুয়ো দেই আমাদের দলকে। কিন্তু আজকের পরিস্থিতিতে নিন্দার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছি আমরা। আমাদের মনে হয়েছে এ স্রেফ এক দৈব বিপাক। বাস্তবে এরকম কিছু কখনোই ঘটতে পারে না। পরাজয় সহ্য করবার শক্তি আমাদের আছে। আবার লড়াই করবার উৎসাহে আমরা পরাজয় ভুলে যাই। কিন্তু আজকের এটি স্রেফ পরাজয় ছিল না। প্রকৃতির এক নিষ্ঠুর নোংরামি ছিল এটি। যে মানুষদের রক্তে ক্রিকেট দৌড়ায়, যে মানুষগুলো সারারাত রাস্তায় ঠায় দাড়িয়ে টিকেট কিনতে চায় ক্রিকেটের জন্য ভালোবাসায়, যে মানুষগুলোর স্বপ্ন দাঁড়িয়ে থাকে কেবল আবেগের উপর সেরকম সমর্থকদের তাই আজকের এই পরাজয়টি একেবারে উন্মাদ করে তুলেছিল।

তবে কোনোভাবেই এরকম উন্মাদনা খেলোয়াড়দের গাড়িতে পাথর ছুঁড়ে মারার কোনো অজুহাত হতে পারে না। নিতান্ত নিরুপায় বলেই এতক্ষণ ধরে একটা খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করবার চেষ্টা করেছি অপরাধবোধের দায় কিছুটা কমাতে। এতটা অপরাধবোধ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করাও শক্ত আমাদের জন্য। প্রিয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আমরা অত্যন্ত দুঃখিত আজকের এই ঘটনাটির জন্য। আপনারা আমাদের অতিথি। অথচ আপ্যায়নের বদলে আমরা আপনাদের গাড়ি লক্ষ্য করে আজকে পাথর ছুঁড়েছি। এটি জাতি হিসেবে আমাদের জন্য কতটা লজ্জার তা প্রকাশ করবার সামর্থ্য নেই। আমরা বাংলাদেশের সব মানুষ আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি এই ঘটনাটির জন্য। আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি আমাদের হৃদয়ের গভীর থেকে।

যে অথবা যারা আপনাদের গাড়িতে ঢিল ছুঁড়েছিল তাদের লক্ষ্য আপনারা ছিলেন না। তারা রাগাস্বিত ছিল আমাদের ক্রিকেটারদের উপরেই। যদিও সেটিও কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য কিছু নয়। শুধু আপনাদেরকে বলতে চাই, আমরা আপনাদের উপরে কোনো আক্রোশ পুষে রাখিনি। আপনাদের যোগ্যতাতেই আপনারা জিতেছেন। আমরা লড়তে চাই খেলার মাঠে। খেলার মাঠে আরো শতবার এরকম লজ্জাজনক পরাজয়ের শিকার হলেও আমরা আপনাদের উপরে হামলার মানসিকতা পোষণ করি না।

সবকিছুর পরেও, জানি আমাদের উপর আস্থা রাখা আপনাদের জন্য কঠিন হবে। আস্থা রাখার কোনো দায়ও আপনাদের নেই। আমাদের উপর বিশ্ব আস্থা হারালে তাতে কেবল আমাদেরই যায় আসে। আমরা জানি, আজকের একটি পরাজয়ের উন্মাদনায় যে ভুল আমরা করেছি তারপর আমাদের উপর আপনাদের এবং বাকি বিশ্বের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আমাদেরকে দশক দশক অপেক্ষা করতে হবে। এবং তারপরেও হয়তো আমরা সেই আস্থা ফিরে পাবো না কখনো। আজকের ঢিলটির পরে আপনাদের দিকে গুলি ছোঁড়া হতে পারে বলে যে আশঙ্কাটি আপনারা ব্যক্ত করেছেন তারপর হয়ত ক্রিকেট পাগল মানুষের এই ভূখণ্ডটিকে ক্রিকেট খেলার অনুপযুক্ত বলে ভেবে নিতে পারে বিশ্ব। আমরা হারাতে পারি আমাদের সবচেয়ে আনন্দময় উৎসবের উপলক্ষ্যটিও। তারপরও আমরা আপনাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে চাই। আমাদের কৃতকর্মের দায় বয়ে নিয়েই আমরা সভ্য হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে চাই আরেকবার...

আমরা অনলাইনে আপনাদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করছি এইখানে: http://www.ipetitions.com/petition/apologytowi/signatures

বানান কৃতজ্ঞতা: সহসচল বুনোহাঁস


মন্তব্য

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
তাসনীম এর ছবি

এটা খেলার মাঠের লজ্জাজনক পরাজয়ের চেয়ে অনেকগুন বেশি লজ্জা জনক।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

কেনো জানি ছোটবেলা থেকে ক্রিকেটে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ছাড়া অন্য কোনও দলকে ভালোবাসতে পারিনি। বাংলাদেশ যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ করলো তখন থেকেই দলটা পছন্দের সারিতে দ্বিতীয় স্থানে চলে গেলো দুটো দলের মধ্যে। ক্লাইভ লয়েডের শেষ আমল থেকে ক্রিকেট দেখি। কয়েকবছর আগে ফেসবুকে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ফ্যান ক্লাব, তারপর ব্রায়ান লারা ফ্যান ক্লাব, এসবও খুলেছিলাম। সেই লয়েড থেকে শুরু করে ভিভ রিচার্ডস, রিচি রিচার্ডসন, গর্ডন গ্রীনিজ-ডেসমন্ড হেইন্স, লারা, গেইল। গার্ণার, মার্শাল, হোল্ডিং, ওয়ালশ, এ্যামব্রোস। পেড্রো কলিন্স আর ফিডেল এডওয়ার্ডসের সাথেও ফেসবুকে বন্ধুত্ব ছিলো এবং পেড্রোর সাথে অনেকদিন চ্যাটও করেছি।

আজকে তাদের এই বিজয় আমাকে মোটেও আনন্দিত করতে পারেনি কারণ পরাজিত দলটার নাম বাংলাদেশ, আমার প্রাণের দল। আমরা বাংলাদেশের খেলায় হতাশ হয়েছি। তারপর আরও বেশি হতাশ হলাম কিছু সমর্থকের আচরণে। এই উন্মাদনা অর্থহীন। আমাদের শৈশবে খুলনা ষ্টেডিয়ামে আনন্দ উল্লাসের সময় বোমার আঘাতে ঝরে পড়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের সবথেকে সম্ভাবনাময় স্ট্রাইকার মোহসিন। তিনি মরে যাননি কিন্তু জীবনে কোনওদিন তাকে আর মাঠে নামা হয়নি পায়ের যাদু দেখাতে। আজও আমরা উন্মাদনায় মাতি। দেশের এবং জাতীর পরিনতির কথা মাথায় না রেখে। পুলিশ-র‌্যাব হয়তো ওই গরীব দেশের কালো মানুষগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে অতটা উদ্বিগ্ন হয়নি যতোটা তারা হতো কোনও শ্বেতাঙ্গ দলের জন্যে। ভাবতেই শিউরে উঠছি আজ যদি ওদের একটা খেলোয়াড় পাথরের আঘাতে আহত হতো! অবশ্যই আমাদের দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। আমি দাবী করবো প্রধানমন্ত্রী তাদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করুন গোটা জাতির পক্ষ থেকে। এই ছোট্ট ঘটনাটা কিন্তু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গিয়ে বড়সড় একটা ইস্যু তৈরী করতে পারে যাতে আখেরে আমাদের ক্রিকেটের বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারে।

আজও মাঝে মাঝেই গুণগুণ করে নিজের অজান্তে গেয়ে উঠি ১৯৫০ সালের সেই স্মরণীয় গান ক্রিকেট লাভলি ক্রিকেট-

উইথ দোজ টু পালস অব মাইন
রামাধীন এন্ড ভ্যালেন্টাইন
দেয়ার বোউলিং ওয়াজ সুপারফাইন
রামাধীন এন্ড ভ্যালেন্টাইন

পুরো লিরিকটা শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছিনা-

Cricket, Lovely Cricket Cricket, lovely Cricket,

At Lord's where I saw it;
Cricket lovely Cricket,
At Lord's where I saw it;
Yardley tried his best
But Goddard won the test.
They gave the crowd plenty fun;
Second Test and West Indies won.
Chorus
With those two little pals of mine, Ramadhin and Valentine

The King was there well attired,
So they started with Rae and Stollmeyer;
Stolly was hitting balls around the boundary;
But Wardle stopped him at twenty.
Rae had confidence,
So he put up a strong defence;
He saw the King was waiting to see,
So he gave him a century.
Chorus
With those two little pals of mine, Ramadhin and Valentine.

West Indies first innings total
was three-twenty-six Just as usual
When Bedser bowled Christiani
The whole thing collapsed quite easily;
England then went on,
And made one-hundred-fifty-one;
West Indies then had two-twenty lead
And Goddard said, "That's nice indeed."
Chorus
With those two little pals of mine, Ramadhin and Valentine.

Yardley wasn't broken-hearted
When the second innings started;
Jenkins was like a target
Getting the first five in his basket.
But Gomez broke him down,
While Walcott licked them around;
He was not out for one-hundred and sixty-eight,
Leaving Yardley to contemplate.
Chorus
The bowling was superfine, Ramadhin and Valentine..

West Indies was feeling homely,
Their audience had them happy.
When Washbrook's century had ended,
West Indies voices all blended.
Hats went in the air.
They jumped and shouted without fear;
So at Lord's was the scenery
Bound to go down in history.
Chorus
After all was said and done, Second Test and the West Indies won!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ মন খারাপ

-আয়নামতি

স্বাধীন এর ছবি

এই লজ্জা রাখার জায়গা নেই। পাথর সেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ হোক বা বাংলাদেশ দলের দিকে হোক, কোনটাই গ্রহনযোগ্য নয়। আরো দুঃখজনক যে পুলিশ না থাকুক, আশে পাশে মানুষ ছিল না? তারা কেন সেগুলো ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে নি। আরেকটি বিষয় এই দোষীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য কোন আইন কি আছে? আর পাথর ছুড়ে মারা আর বোমা ছোড়ার মাঝেই বা পার্থক্য কতটুকু ? দেশের পর্যটনের জন্য বানানো প্রোমো কত ভালো সেটা নিয়ে তর্ক করি, কিন্তু দেশের জনগণই যে আসল বিজ্ঞাপন সেটা ভুলে যাই। এই ঘটনায় যে ক্ষতি হলো তা এরকম হাজারটি বিজ্ঞাপন চিত্র বানিয়েও শোধরাবার নয়।

ঘটনাটি এতই লজ্জা জনক যে নিজের খোমাখাতায় একটি স্ট্যাটাস দিতেও ইচ্ছে করলো না। কি হবে, তাতে আরো কিছু বিদেশী বন্ধু জানবে ঘটনাটা, তারা হয়তো ক্রিকেট খেলা সেভাবে দেখেও না। তাই যাদের ফ্রেন্ড লিস্টে বিদেশী বন্ধু রয়েছে তারা লিঙ্ক শেয়ারের আগে কিছুটা চিন্তা করুন। হয়তো এটা এক প্রকার প্রতারণা। কিন্তু দেশের স্বার্থে এটুকু করতে আপত্তি নেই।

হাসিব এর ছবি

এই ঘটনা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কতোটা ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরী করে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে। অবিলম্বে অপরাধীদের ধরার জন্য তৎপরতা শুরু হোক।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এ বিষয়ে আলুতে আনিসুল হকের কাছ থেকে একটা লেখা আশা করি। তার মতো ভুদাইরা মানুষের আবেগ নিয়ে খেলে, জিরো ক্রিকেট জ্ঞান নিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে দেয়। মানুষ আবেগের সময় এমন সব কাজ করে বসে, যা সে স্বাভাবিক অবস্থায় কখনোই করবে না। এরকম ঘটনার উষ্কানিদাতা হিসেবে আনিসুল হকটাইপ ক্রিকেটমূর্খ আবেগের ব্যবসায়ীদের বিচার হওয়া উচিত।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নাশতারান এর ছবি

গতবছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে গ্রামীণের "দুনিয়া কাঁপানো" তাণ্ডব, আর এ বছর মার্চে এই ঘটনা। কোথায় যাচ্ছি আমরা?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

স্বাধীন এর ছবি

ক্রিস গেইলের টুইটার একাউন্টে যেয়ে সরাসরি তাকে ব্যক্তিগত মেসেজের মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করা যায়। এটা ক্রিস গেইলের টুইটার একাউন্ট।

স্বপ্নহারা এর ছবি

আমরা লজ্জিত, দুঃখিত।

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

তারাপ কোয়াস এর ছবি

দুই একটা %@#!%#@ জন্য ক্রিকেট অনুরাগী থেকে ফ্যানাটিক হিসেবে পরিচিত হলাম আমরা!

ক্ষমাপ্রার্থী প্রিয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর কাছে।


love the life you live. live the life you love.

দ্রোহী এর ছবি

প্রিয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ,

আমরা মোটেও দুঃখিত না। আমাদের ৫৮ রানে অলআউট করার জবাবে আমরা যে আপনাদের রাস্তায় পেয়ে মেরে ধরে পোঁদ ফাটিয়ে দিইনি তাতেই শোকরগুজার করা উচিত আপনাদের।

মনে রাখবেন, ভবিষ্যতে আমাদের বিরুদ্ধে খেলতে এলে রয়েসয়ে খেলতে হবে। আমরা আগে ব্যাট করলে কমসে কম ১৮০-২০০ রান করার সুযোগ দিতে হবে। পরে ব্যাট করলে কমসে কম ১০০-১২০ রান করার সুযোগ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে স্টেডিয়ামের বাইরে দিয়ে যাওয়া বলেও ব্যাট ছোঁয়াবার অভ্যাস আমাদের খেলোয়াড়দের। তাদের ব্যাট চালাবার সুযোগ দিলেও সেটাকে অপরাধ হিসাবে গন্য করা হবে।

একটু তেড়িবেড়ি করলেই মেরে ধরে পোঁদ ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে দেব আমরা। মনে রাখবেন, আমরা পাকিস্তানিদের অনুসরণকারী।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আমি লজ্জিত ও দুঃখিত।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সজল এর ছবি

ফেসবুকে দেখলাম,

Today around hundred people met at Shahbagh with Flowers and Placards written 'Sorry' on them. After waiting in front of Sheraton for an hour, the Media came. At last WI captain Darren Sammy came down, saw them, and waved his hand. He captured their pictures, accepted the flowers & apology letter.

ইভেন্টের লিংক

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

রায়হান আবীর এর ছবি

চলুক

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমরা দুঃখিত ড্যারেন স্যামি, বাংলাদেশ দুঃখিত।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আমরা দুঃখিত ওয়েষ্ট ইন্ডিজ। আমরা বোমা হামলা ঠেকানোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলাম, কিন্তু ঢিল হামলার কথা চিন্তা করি নাই। তবে এই ঢিল আপনাদের উদ্দেশ্যে ছিল না, ঢিল ছোড়া হয়েছিল বাংলাদেশ টীমের উদ্দেশ্যে কিন্তু বাসের গায়ে কোন জাতীয় পতাকা চিহ্ন না থাকায় আপনাদের বাসেই ঢিলগুলো পড়েছে। নিশ্চয়ই শুনে গেছেন ঢিল পড়েছে বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন সাকিবের বাসার জানালায়ও। তাতেই বুঝে নিন ক্ষোভ আপনাদের বিরুদ্ধে ছিল না বিন্দুমাত্রও ক্ষোভ ছিল নিজের দলের প্রতি। অতএব আমাদের কিছু অপরিণামদর্শী দুষ্ট বালকের সীমাবদ্ধতাকে ক্ষমা করুন।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

guest writer rajkonya এর ছবি

আমরা আপনাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে চাই। আমাদের কৃতকর্মের দায় বয়ে নিয়েই আমরা সভ্য হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে চাই আরেকবার...

ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি


ভাল লাগল ছবিটি দেখে, আশা করি কিছু মানুষের ভুল আমাদের জাতির জন্য কলঙ্ক হবে না।

omni

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।