সতর্কতা: লেখাটিতে নৃশংসতার বর্ণনা রয়েছে। লেখাটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রাপ্তমনস্কদের জন্য।
আমার বোন খুব হতভম্ব হয়ে যায় প্রথমে।
কী হচ্ছে বুঝতে পেরে যতক্ষণে সে 'না' 'না' বলে চিৎকার করতে শুরু করে ততক্ষণে তাকে গাড়িতে তুলে ফেলা হয়েছে। তবে সে তার দু'বছরের মেয়েটিকে ছাড়েনি। বুকের সঙ্গে চেপে ধরে আছে জোরে। মেয়েটি ব্যাথা পাচ্ছে। কাঁদতে শুরু করেছে। মেয়েটি যত কাঁদছে আমার বোন তত জোরে তাকে বুকের মধ্যে নেয়ার চেষ্টা করছে। সম্ভব হলে সে শিশুটিকে পাঁজরের ভেতর ঢুকিয়ে নেয়।
মাঠে আমার বোনকে বেঁধে রাখা হয়েছে। একজন দূর থেকে বেয়নেটের ডগা দিয়ে ব্লাউজটা ছিঁড়তে গিয়ে তার বুকের অনেকখানি মাংস উঠিয়ে ফেলেছে। তবে সেদিকে আমার বোনের খেয়াল নেই। সে নির্বাক হয়ে তাকিয়ে আছে সামনে। বড় অফিসার ওর মেয়েটিকে একহাত দিয়ে উঠিয়ে ধরে খুব বিরক্ত হয়ে তাকিয়ে আছে। এতটুকু বাচ্চা কোনো কাজের না! অন্তত বছর চার পাঁচ বয়স হতে হয়। মেয়েটির আরেকটু বড় হয়ে যাওয়া উচিত ছিল।
"ইসকা তো কই ফোকর ভী নেহি হে!" খুব বিরক্তি নিয়ে অফিসারটি বলে। বিরক্তি রাগে পরিণত হতে সময় লাগে না তার। "রুখ! ইসকা ফোকর হাম বানাতাহে..."। কোমরের খাপ থেকে ছুরিটা বের করে নেয় অফিসার। কমাণ্ডো ছুরি। একদিক ধারালো আরেকদিকে খাঁজকাটা। দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ নিয়েছে সে এই ছুরি ব্যবহারের। বিচ্যুত হবার প্রশ্নই ওঠে না। এক হাত দিয়ে মেয়েটিকে ঝুলিয়ে রেখে আরেক হাত দিয়ে ছুরিটা ঘ্যাচ করে শিশুটির যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেয় অফিসার। একসঙ্গে জ্ঞান হারায় আমার বোন আর তার মেয়েটি। বড় অফিসার থামে না। কয়েকটা মোচড় দিয়ে ছুরিটা বের করে আনে। মেয়েটার নাড়ি ভুঁড়ি বের হয়ে আসে তার ছুরির সঙ্গে সঙ্গে। গায়ে রক্ত লেগে যাবার ভয়ে দেহটিকে ছুঁড়ে দেয় অফিসার। নজর দেয় আমার জ্ঞানহীন বোনের দিকে।
আমার বোন তখন বস্ত্রহীন। গনিমতের মেয়েগুলোকে পেলে কাপড় খুলে নেয়ার কাজটি সবার আগে করা হয়। নাহলে শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে এগুলো মরে যাবার চেষ্টা করে। লম্বা চুল থাকলে তাও কেটে ফেলতে হয়। নাহলে গলায় চুল পেঁচিয়েও মরতে চায় অনেকে। অন্যায় ভাবে আত্মহত্যা করতে চায় গাদ্দারের জাত।
সারা রাতে কয়েকবার জ্ঞান ফেরে আমার বোনের। ব্যারাকে জওয়ান বেশী হওয়ায় পালা শেষ হয় না। ৮০ টা জওয়ানের জন্য অন্তত গোটাবিশেক মেয়ে দরকার হয়। মাঝে মধ্যে তা জোগাড় করা না গেলে অবশ্য একটাতেই কাজ চালিয়ে নেয় তারা। সংঘবদ্ধভাবে চলতে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তারা সেই প্রশিক্ষণ কাজে লাগায়। আজকে যেমন সবাই ভাগে পায় আমার বোনকে। যতক্ষণ জ্ঞান ছিল ততক্ষণ আমার বোন চিৎকার করছিল। প্রথম দিকে আতঙ্কে, অপমানে আর লজ্জায়। পরেরবার তালগোল পাকানো মাংসপিণ্ডের মত তার বাচ্চাটার মৃতদেহ দেখে। তীব্র চিৎকারে এই সময়ে তার কণ্ঠনালী ছিঁড়ে গেলে সেটা দিয়ে আর শব্দ বেরোয় না। শব্দ না বেরোলেও চিৎকারের চেষ্টা অবশ্য থামেনা আমার বোনের। সেই চেষ্টায় পরের দিকে ফ্যাসফ্যাসে বাতাসের সঙ্গে তার গলা দিয়ে বেরোতে থাকে ছিটে ছিটে রক্ত।
তার যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করে মধ্য রাতেই। প্রথম ৩০/৪০ জনের পর শরীরের ওই অংশটা কিমা করা মাংসের মত হয়ে যায়। পরের দিকের সব জওয়ানের নিম্নাঙ্গে আমার বোনের শরীরের বিন্দু বিন্দু মাংস লেগে থাকে। তাতে অবশ্য উদ্যম কমেনা জওয়ানদের। ওরা জানে, "খুন দেখকে খাড়া না হুয়া তো ও জওয়ান হি নেহি"!
সকালে তৃপ্ত জওয়ানেরা কয়েকজন দারুণ এক খেলায় মেতে ওঠে। বেয়নেট দিয়ে আমার বোনের বুকে চামড়া কেটে তাদের দেশের মানচিত্র আঁকতে চেষ্টা করে। জওয়ানেরা ভালো আঁকিয়ে নয় বলে মানচিত্র ভালো হয় না। কেবল মাংস উঠে উঠে যায়। একজন আবিষ্কার করে চাঁদতারা আঁকা সহজ। পরবর্তী কয়েক মিনিটে তাই আমার বোনের শরীর চাঁদ তারায় ছেয়ে যায়। আমার বোনটি অবশ্য তখনো মরে নি!
একটু পরে অফিসার এসে এতগুলো চাঁদ-তারা দেখে খুব খুশি হয়ে যায়। সবচে ভালো কে এঁকেছে সেটা হিসেব করে একটা পুরষ্কার ঘোষণা করার কথা বলে। আঁকার মত জায়গা আর প্রায় বাকি ছিলনা আমার বোনটার শরীরে। চারজনে তাড়াতাড়ি ভাগ করে নেয় তার দুহাত আর পায়ের তালু। একজন কপাল দখল করে বসে। বুকে তার আর মাংস নেই। হাড় বেরিয়ে গেছে কয়েক জায়গায়। পেটের উপরে একটুখানি ফাঁকা জায়গায় ছুরি ছোঁয়ায় এক জওয়ান। তার চোখে শিল্পের তৃষ্ণা।
গ্যালারিতে আমি হৈ হৈ করতে থাকি। সবুজ জমিনে চাঁদ-তারা আঁকা কাপড় উড়িয়ে উৎসাহ দেই। জওয়ানদের পৌরুষ আর শিল্পীমন দেখে আমার ছোটবোনটি তার বুকে 'ম্যারি মি জওয়ান' লিখে লাফাতে থাকে। জওয়ানের ছুরির ডগায় চাঁদ-তারা যত স্পষ্ট হয় ততই উৎসবের আমেজে নাচতে থাকি আমি...
[ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশিত]
মন্তব্য
মন্তব্য করার ভাষা নেই...
শুধু একটি কথা বলতে চাই
"মিরপুর স্টেডিয়ামে আজকে যারা ফাকিস্তানের জার্সি আর পতাকা নিয়ে গেছে সব কয়টার পোঁদে বাড়ি দিয়ে পাছার ছাল তুলে ফাকিস্তানে deliver করে দেয়া উচিত" ।
......................
- আয়নামতি
ভাই- এইসব বোনেদের কথা, মায়েদের কথা, ভাইদের কথা সর্বক্ষণ মাথার ভিতরে গুনগুন করে। তাদের অবমাননার উপর দাঁড়িয়ে কিভাবে আবার এই আমরাই হাততালি দেই? যদি পারতাম তাহলে সকলকে ঘাড়ে ধরে বলতাম, আগে ঋণ শোধ কর হারামজাদা!
আপনার লেখাটি প্রতিটি বাঙ্গালীর পড়া উচিত।
-নিলম্বিত গণিতক
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অনন্ত ঘৃণা ওদের জন্য!
আজকে যারা পাকিস্তানের পতাকা নিয়ে গ্যালারিতে গেছে, তারা বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকলে পতাকা আইন তাদের জন্য প্রযোজ্য। কাজেই পাকিস্তানের পতাকা হাতে কারো ছবি পাওয়া গেলে এখানে শেয়ার করুন। পরবর্তীতে পুলিশের কাছে ছবিগুলো সরবরাহ করে পতাকা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে চাপ দেয়া যেতে পারে।
অন্য একটি ব্লগে, আজকের ম্যাচ গ্যালারিতে পাকিস্তানের পতাকা হাতে-গায়ে জড়ানো কিছু মানুষের ছবি দেখেছি। সেগুলোর এখানে লিঙ্ক দেয়া বা শেয়ার করা উচিত হবে কিনা বুঝছি না। তবে ছবিগুলো দেখে মনে হয়েছে এদের অনেকে পাকিস্তান থেকেই আসা।
আজ নাকি সাড়ে তেইশ হাজারের মত মানুষ স্টেডিয়ামে ছিল। এখানে পাকিস্তান থেকে আসা দর্শক কজন ছিল এ পরিসংখ্যানটা জানা দরকার।
ধৈবত
http://www.defence.pk/forums/cricket/99698-thank-you-people-bangladesh-2.html
ফেইসবুকে এটা পেলাম... মুখে থুতু্ও আটকে যাচ্ছে...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
গালি দিলাম। থুতু দিলাম। ঘেন্নায় মরে যাই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
মন্তব্যের ভাষা নেই
নির্বাক।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
দুঃখিত, পুরোটা পড়তে পারলাম না। প্রথম আর শেষ প্যারাটা পড়লাম।
আমাদের ভাগ্য ভালো যে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর খেলাটা আরও দুইদিন পরে হয়নি। নাহলে ২৫শে মার্চের রাত ঢাকা শহর পাকিস্তানের পতাকাতে ছেয়ে যেত। ২৫শে মার্চের কালোরাতে পাকিস্তানের নামে জয়ধ্বনি শোনা যেত বাংলাদেশের মাটিতে।
-রু
লাইফ ইজ বিউটিফুল। ...ইজ ইট ??????
নির্বাক।
কিছু বলার নাই
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
বিমূড়
ওরা (পাকিস্তানের সাপোর্টাররা) পাকিস্তানে চলে গেলেই পারে, ওদের বাপদের কাছে, তাহলে ওরাও বাঁচে.........আমরাও বাঁচি.................................
বুকের ভিতর চাপা আক্রোশ,............. শুয়োরের বাচ্চা পাকিস্তানীরা........................:|
বুকের ভিতর চাপা আক্রোশ,............. শুয়োরের বাচ্চা পাকিস্তানীরা........................:|
তারপরও মেহেরজান হয়, শর্মিলা বসু কথা কয়। আর মিরপুরে পতাকা উড়ে পাকিস্তানের। কাদের দেওয়া স্বাধীনতায় তারা এসব করে??????
অলস সময়
বাকরুদ্ধ...
...অসাধারণ !!
মন্তব্য করার ভাষা নেই----
তুমি ভুল বলছো। আমি বা আমরা ধর্ষিত হতে পছন্দ করি। সামান্য মাছেদের সাথে আমাদের তুলনা করো হে অধম ব্লগার? মাছেরা শুধু ভুলে যায় আর আমরা ভুলে যাবার সাথে সাথে উপভোগ করি গনধর্ষণ। মিলিয়ে দেখতে পারো, স্টকহোম সিনড্রোম বলে একটা শব্দগুচ্ছ সব ডিকশনারিতেই আছে।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কান্না চৈলা আসছে.
কী লিখলেন ভাইয়া! মেজাজ খারাপ, মন খারাপ, বলার ভাষা নেই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হিমু ভাই এখানে দেখেন কিছু ছবি আছে ।
এসব কী লিখলি রতন?
গা গুলিয়ে আসে।
কিছুদিন পর আমরা হয়তো আর গ্যালারিতে বসবোনা।
পাকিস্তানই জওয়ানদের সাহায্য করার জন্য স্টেডিয়ামমে নেমে পড়বো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
সবাই মিলে পাকিস্তানি ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের বর্জন করি।
can't tell a single word....I hate those bangali who supports pakistan, than any other pakistani...
গ্যালারির ছবি দেখবো না ঠিক করেছিলাম। দেখে ফেললাম একটা। না দেখলেই ভালো করতাম, মাথায় একটা বিস্ফোরণ ঘটলো!
আমরা এমন কেন?
......
শেষের পরিচ্ছেদটা পড়ে নির্বাক হয়ে গেলাম.........
পাকিস্তানিদের নৃশংসতার ঘটনাকেও ছাড়িয়ে গেছে এই নির্লজ্জতা.........
কতটা অক্রৃতজ্ঞ আমরা !!!.........
ছবিতে যারা পাকিস্তানি পতাকা বা জার্সি নিয়ে আছে তাদেরকে তো পাকিস্তানি-ই মনে হচ্ছে..., এদের কাউকেই আমার কাছে বাংলাদেশী মনে হচ্ছেনা...।
.................
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমরা নির্লজ্জ ইতর।আমরা আবার অনেক উদার ও বটে! আমরা সব ভুলে পাকি দের আপন করে নেই,আমরা ভুলে যাই একাত্তরের কথা,তাই পাকি পতাকা উঁচিয়ে ধরি, মনে মনে গাই পাক সার জমিন সাদ বাদ,আমাদের মেয়ে রা আফ্রিদি গুল দের ভেবে রাতে কাম যন্ত্রণায় কাতরায় বিছানায়। আর এসব দেখে আমাদের বুড়ো রামছাগল মুক্তিযোদ্ধা রা চোখের পানি ফেলে আর ভাবে কেন এই ভুল করলাম????? আর আমাদের বধ্যভূমি আর সমাধি গুলাতে আরও আগাছা গজিয়ে ওঠে।
আমাদের দেশের মানুষ পড়তে চায় না। না হলে, শুধু সত্যি কথা গুলোই যদি তারা একবার করেও পড়তো, তাহলেও তাদের পক্ষে এই সব বেহায়াপনা করা অসম্ভব হতো বলে আমার বিশ্বাস।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
মেরে ফেললেন তো! এমনিতে মন বিধ্বস্ত, তার ওপর আবার এতো নৃশংস চাপ! আমরা কি আসলেই মানুষের বংশ? পিঠে হাত দিয়ে দেখি তো কিছু আছে কি না???
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
শেয়ার দিলাম
ঘৃণা শব্দটাকেও কখন অনেক ছোট মনে হয়..বমি পায় এইসব পাকিপ্রেমী শূকরদের কথা ভাবতে...হতাশ লাগে
ভাষাহীন............
এইসব সাপোর্টারদের সবচেয়ে বড় দূর্বলতা হলো তাদের পারিবারিক শিক্ষা। তারা তাদের পরিবার থেকে কূশিক্ষাটাই পেয়েছে। আমার বোঝার বয়স হবার পর থেকেই দেখেছি আমার বাবা-মা আমাদের তিন ভাই বোনকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাতেন। আরো বড় হবার পর হাতে তুলে দিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই। আমার বাবা-মা কখনও পাকী, পাকীপ্রেমিদের প্রতি কোনোরূপ দয়া-মায়া দেখানোর কোনো শিক্ষাই দেননি। কারণ তাঁদের কাছ থেকেই জেনেছি ঐ পাকী শুয়রের বাচ্চাদের নির্মম অত্যাচারের বর্ণনা। জেনেছি কিভাবে আমার মা হারিয়েছেন তাঁর প্রানপ্রিয় বাবাকে।
আজ যদি আমরাও এই ওয়াদা করি যে আমার সন্তানকে কোনোভাবেই পাকী বা পাকীপ্রেমিদের প্রতি কোনোরূপ দয়ালু হতে দেবোনা, সত্যি ইতিহাসটা তাদের জানানবো & বোঝাবো ঠিক কোন মানবিক নীতিতে আমরা ঐসব জানোয়াড়দের কখনই, কোনোভাবেই, কোনোদিক দিয়েই সাপোর্ট দিতে পারি না।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
রতন, তোর এই লেখাটা ভয়াবহ মর্মস্পর্শী। আমরা আসলে এঁদের শুধু 'শহীদ' ভাবি, 'মুক্তিযোদ্ধা' ভাবি, কিন্তু নিজেদের আপন কেউ হয়তো ভাবতে পারিনা ... তাই তাঁদের উপর এসমস্ত অকথ্য অত্যাচারের পরও আমরা নির্বিকারভাবে 'এটা শুধুমাত্র খেলা' এই ভেবে ঐসব শুয়রের জাতকে সাপোর্ট দেই।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
আমার মনে হয় পারিবারিক শিক্ষার চেয়ে বন্ধুবান্ধব/সঙ্গ আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাপরিবেশটা অনেক সময় বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয় যায়। শেষের দু'টা আমার মনে হয় শিশুকিশোরদের ক্ষেত্রে পারিবারিক মনোভঙ্গির থেকেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হয়ে যেতে পারে অনেকসময়। তা নইলে একই পরিবারের সন্তানদের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন মনোভাব দেখা যাবে কেন। নিজের অভিজ্ঞতাতেই এটা দেখেছি।
মনমাঝি
মন্তব্য করার কোন ভাষা পাচ্ছিলাম না। যাক, আমার কথাটা আপনি বলে দিয়েছেন। প্রচুর তথাকথিত শিক্ষিত পরিবারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়টিকে নাটক আর সাহিত্যের বিষয় বলে মনে করা হয়। সন্তানদের এই বিষয়ে নির্বিকার করে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয় যাতে তারা ভবিষ্যতে 'নিরপেক্ষ' ভাবে জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। গ্যালারীতে পাকি পতাকা জড়ানো তরুণেরা সেই সব 'নিরপেক্ষ' পিতামাতার প্রসবিত সন্তান।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ঘৃণা......
এই সব দেখলে প্রচন্ড অস্থিরতা কাজ করে .. মাঝে মাঝে ঘেন্না করতেও ঘেন্না হয়!
কেন তখন জন্ম নিলাম না? ঘেন্না হয় নিজের উপর.........................................
কী আর কমুরে ভাই, আমি সেদিন খেলা দেখতে পারি নাই। এইটা আসলে আমারই ব্যর্থতা। আমার বমি আসতেছিলো- আক্ষরিক অর্থেই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মুক্তিযুদ্ধে এই দেশের প্রতিটি পরিবার অন্তত একজন সদস্যকে যদি হারাতো তবে আজ স্বাধীনতার মূল্যায়ন সঠিক ভাবে হতো l দেশে এতো পাকি প্রেমিক থাকত না l
সবাইকে মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। এই লেখাটা লিখতে কষ্ট হয়েছে, কিন্তু সত্যি বাস্তবটা আমি না লিখলেই কি আর মিথ্যে হয়ে যেত...!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
http://www.facebook.com/video/video.php?v=10150113690938549&comments#!/video/video.php?v=10150113690938549&comments
দেখেন ! এই দৃশ্য দেখার আগে বোধ করি মরে যাওয়া ভালো !
আপানার লেখাটি চমৎকার। এটি পড়ে আবারও মনে হলো দেশাত্ববোধের এই চেতনাটি শুধু আমাদের মতো আম পাবলিকদেরই আছে। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিই বলেন আর বিপক্ষের শক্তিই বলেন, সরকারের কাছে এটি যে কেবলমাত্র এটি ইস্যু। এদের পক্ষে যেকোন কিছুতেই আপোষ করা সম্ভব। কিন্তু, আমরা আম পাবলিকরা কেন জানি পারি না, বুকের মধ্যে চিনচিন করে ওঠে।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলতো তাও ভালো কিন্তু স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় এসে কিভাবে ইসলামী ব্যাংককে বিশ্বকাপের অংশীদার করলো??? যেটার মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধীর তকমা আছে। যেটি যুদ্ধাপরাধীদের এবং তাদের দলের অর্থায়ন করে। রাস্তায় এখন দেখি "জয় বাংলা" সৌজন্যে-ইসলামী ব্যাংক।
সবচেয়ে খারাপ লাগে আমরা তেমন কিছুই করতে পারি না, খালি চিনচিন চিনচিন করে। আমরা যে আম-পাবলিক!
-কাজল আব্দুল্লাহ্
ভাষা শূন্য !!! মাথা ঝিম ঝিম করছে ... আর সবার শেষে এক পাঠকের দাওয়া ভিডিওটাও দেখলাম ... বাকরুদ্ধ ... দিনে দিনে নর্দমার নোংরা কীট হয়ে যাচ্ছে কিছু অমানুষ ...
-অর্ফিয়াস
ভাষাহীন............
শুধু নির্বাক হয়ে, অবাক চোখে তাকিয়ে দেখতে হয় ওই কুলাঙ্গারদের, যারা বাংলাদেশী হয়েও পাকিস্তান সাপোর্ট করে । অবাক বেশি হই তখনই যখন দেখি দেশের সবোর্চ্চ বিদ্যাপিঠের ছাত্র-ছাত্রীরা ওই পাকিস্তানিদের সাপোর্ট করে । . . . কান্নায় জর্জরিত হয় আমার বাংলা মায়ের রক্তে ভেজা বুক ।
নতুন মন্তব্য করুন