বায়োউইপনের তালিকা: একটি হত্যা পরিকল্পনা

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৭/২০১১ - ৩:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বালিকার নাম বিমলা। এমন বালিকার প্রেমে না পড়াটাই অন্যায়। আর কে না জানে আমি অন্যায় একেবারেই সহ্য করতে পারি না। সুতরাং তার প্রেমে পড়ে গেলাম। পরের ঘটনা বেশ জটিল। সহজ করে বলার চেষ্টা করি।

সেই প্রেমে হাবুডুবু খেতে খেতে যখন আমার ডুবে মরার অবস্থা তখনই দেখি এক বজ্জাত সেই বালিকার প্রেমে সাবলীল ডুবসাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে। পামর নিজেকে সবজান্তা বলে পরিচয় দেয়! প্রথমে ভাবলাম, যাই, গিয়ে একেবারে বীর পুরুষের মতো কুস্তি করে এক ঘুষিতে ব্যাটার নাকের চৌকাঠ ধ্বসিয়ে দেই! পরে ভেবে দেখলাম আমার এই রোগা পাতলা শরীরে কুস্তিতে সাফল্যের সম্ভাবনা নিতান্তই কম। এমনিতেই প্রেমের বাজারে স্বাস্থ্যের কদরই সবচে বেশি!

ভাবলাম, বালিকাকে গিয়ে বলি, ও খুকি, আমার ভালোবাসা অসীম অপার! সন্দেহ হলো, বালিকা জিজ্ঞেস করে বসবে, নিজের এতো ভালোবাসা থাকতে তার কাছে কী চাই! ঘটনা সামান্য নয়। বিরাট জগাখিচুড়ি অবস্থা! সেই গল্পও করব একদিন। আজকে কেবল বলি শেষমেশ কী সিদ্ধান্ত নিলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, ব্যাটাকে দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দেবো

সম্ভাব্য উপায় ছিলো মহাকাশ যানে করে ব্যাটাকে পৃথিবীর বাইরে পাঠিয়ে দেয়া। কিন্তু সে বিরাট খরচান্ত ব্যপার! ভাবলাম গুণ্ডা ভাড়া করে ব্যাটার মাথা ফাটিয়ে দেই। কিন্তু দেখেছি, বালিকারা প্রেমের বিষয়ে মাথা নিয়ে বিশেষ ভাবে না! মাথা না থাকলেও প্রেম করতে সমস্যা নেই! তাছাড়া এখনকার গুণ্ডাগুলোতেও ভ্যাজাল। ভরসা করা যায় না। যা করার নিজেকেই করতে হবে। প্রয়োজনের সময় ভরসা করা যায় এরকম প্রাণি দুনিয়ায় কমই আছে। যা আছে তার মধ্যে কিছু আমি ল্যাবে পালি। শেষমেশ সেগুলো থেকেই হিসেব করতে বসলাম কোনটাকে ব্যাবহার করবো।

সবার আগের তালিকায় ছিলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস। এই সেই জীবাণু যেটাকে ব্যাবহার করে প্রথম পাস্তুরের (Luis Pasteur) জার্ম থিওরীর (Germ Theory) বাস্তব প্রমাণ দেন রবার্ট কখ (Robert Koch)। সে অবশ্য পরের কথা। আমার আগে দেখা দরকার এই জীবাণুতে কাজ হবে কিনা! জীবাণু-অস্ত্র, মানে যাকে বলে বায়োউইপন, সেটা বানাতে গেলে বেশ কিছু হিসেব মাথায় রাখতে হয়।

সেই সব হিসেবের মধ্যে পড়ে জীবাণুর ক্ষমতা কীরকম, সেটা কতটা সংক্রামক, সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কতটুকু, মুক্ত পরিবেশে সেটা কতক্ষণ টিকে থাকতে পারে এরকম অনেক কিছু।

ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস মানে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু তালিকায় প্রথমে থাকার কারণ তার বিশেষ গুণাবলী। প্রথমত জীবাণুটা মারাত্মক! শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটালে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কমবেশি মাত্র ৩০ ভাগ। আর দ্বিতীয়ত, এই জীবাণুটি খুব চমৎকার দীর্ঘস্থায়ী এন্ডোস্পোর বানাতে পারে। এন্ডোস্পোর হচ্ছে খোলসের মতো একটা জিনিস। যেটা জীবাণুরা তাদের পেটের ভেতরে বানায়। পরিবেশের অবস্থা যদি সুবিধার না হয় তাহলে এরা নিজেদের অতিপ্রয়োজনীয় কিছু অঙ্গাণু বিশেষ ধরণের প্রোটিনের একটা শক্ত খোলসের ভেতরে ভরে ফেলে। সেই থলেটা একসময় টুপ করে তার পুরো কোষ থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। ফেলে আসা কোষটার আর তখন কানাকড়ি মুল্য থাকে না। কারণ তার কোষের প্রয়োজনীয় সব মালমশলা তখন ওই থলিতে ভরা। আর সেই থলিও যে সে থলি নয়। সে অনেক তাপেও ঝলসায় না, রেডিয়েশনে নষ্ট হয় না, এন্টিবায়োটিকে ধ্বংস হয় না, বাতাসের অক্সিজেনে মরে না (অনেক জীবাণু বাতাসের অক্সিজেনে মারা যায়। ব্যাসিলাসও সেরকম।), পানিশূন্যতায় শুকায় না, সবচে বড় কথা শরীরের যেসব রক্ষী কোষেরা আছে তারাও এন্ডোস্পোরকে ঘায়েল করতে পারে না। এন্ডোস্পোর মানেই তাই জীবাণুর দুর্ভেদ্য দূর্গ।

endospore

[ইদানিং ব্লগ লিখলেই খালি জিএমটি ভাই বলেন, ছবি দেন্নাই, ফঁছা ব্লগ! তাই দিয়ে দিলাম একটা ছবি এঁকে। ছবি আঁকায় আমার মারাত্মক প্রতিভা তো দেখাই যাচ্ছে। এই ছবিতে সাধারণ ব্যাকটেরিয়ার কোষ কিভাবে এন্ডোস্পোর হয়ে যায় সরলতম ভাবে তা দেখানোর চেষ্টা করলাম। সবার শেষে এন্ডোস্পোরটা টিকে থাকে। বাকি কোষটি নষ্ট হয়ে যায়। সুবিধাজনক পরিবেশ পেলেই এটা আবার আস্ত ব্যাকটেরিয়া কোষ হয়ে যেতে পারে!]

DSCN1157

[এই ছবিতে লাল ব্যাকটেরিয়া কোষের ভেতর হালকা সবুজ রঙের এন্ডোস্পোর দেখা যায়। ছবিটা সাধারণ ক্যামেরায় তোলা। রং করার পদ্ধতিটাও সাধারণ!]

লাল কমল নীল কমল সিনেমাটা যারা দেখেছেন তাদের মনে থাকতে পারে, সেই যে একবার বিপদে পড়ে লাল কমল নীল কমল যাদুবলে লাল নীল দুটো বল হয়ে উড়ে উড়ে কোথায় চলে গিয়েছিলো! এন্ডোস্পোরের ব্যাপারটাও সেরকম। আশ্চর্য এক সর্বংসহা অবস্থায় নিজেকে বদলে নেয়া। বায়ো টেরোরিজম যতো হয়েছে তার মধ্যে অ্যানথ্রাক্সের এই জীবাণুই ব্যাবহার করা হয়েছে বেশি। কারণ ওই যে, এই স্পোরের পাউডার খানিকটা খামে ভরে পাঠিয়ে দাও। ওরা যাত্রা পথে পটল তুলবে না, খামের ভেতরে রেখেছো বলে অভিমান করবে না...

সুতরাং ভাবলাম, ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিসের খানিক এন্ডোস্পোর জোগাড় করে খামে ভরে পাঠিয়ে দিলেই হয় ব্যাটা সবজান্তাকে। কোনো বালিকার চিঠি মনে করে খুললেই বিরাট সম্ভাবনা থাকবে সেই স্পোর তার নাকের বিরাট বাইপাস দিয়ে ফুসফুসে পৌঁছাবে। আর তাতেই ব্যাটা কুপোকাত। অথবা স্পোর হাতে লেগে পেটে পৌঁছালেও অ্যানথ্রাক্সের সম্ভাবনা থেকেই যাবে। অথবা বিপদের মাত্রা কম হলেও অ্যানথ্রাক্স তো ত্বকেও হতে পারে! আর তাছাড়া অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু খানিকটা জোগাড় করে ফেলাও বিশেষ কঠিন কিছু না। ধরেন প্রথমে... থাক, পদ্ধতির কথা পরে। প্রথমে তালিকার বাকি অস্ত্রগুলোর কথা বলি।

জীবাণুরা যে বিষগুলো বানায় সেগুলোর মধ্যে সবচাইতে ভয়ঙ্কর হচ্ছে টিটেনাস টক্সিন (টক্সিন মানে বিষ), ডিপথেরিয়া টক্সিন আর বটুলিনাম টক্সিন। প্রকৃতিতে পাওয়া সবচে ভয়ঙ্কর বিষের তালিকাতেও সবার আগে আছে এই তিনটে। যাহোক, এগুলোর মধ্যে টিটেনাস আর ডিপথেরিয়া টক্সিন প্রথমেই তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিলাম। ব্যাটাকে এ দুটো দিয়ে সংক্রামিত করাই মুস্কিল হবে। বটুলিনাম টক্সিন বরং ভালো। এক কেজির দশ কোটি ভাগের ভাগের একভাগও এই বিষ যদি ব্যাটাকে গিলিয়ে দেয়া যায় তাহলেই কেল্লাফতে! মানে এক গ্রামের এক লক্ষ ভাগের একভাগ বটুলিনাম টক্সিনই একটা আস্ত মানুষকে পটল তুলিয়ে ছাড়তে পারে! যাকে বলে, "পরিমাণে লাগে কম, তাই সাশ্রয়ী"! কিন্তু তাতে আবার সমস্যা আছে। এই বিষ বিশেষ স্থায়ী নয়। মানে এটা সহজেই ভেঙে যায়!

পছন্দের আরেকটা ব্যাকটেরিয়া ছিলো, ফ্রান্সিসেলা টুলারেন্সিস। এক ধরণের প্লেগের জীবাণু। এমনিতে উকুন জাতিয় একপ্রকার পরজীবি আর একপ্রকার মাছির মাধ্যমে ছড়ায় এরা। তবে বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। বায়োউইপন হিসেবে এটার বিশেষ কিছু সুবিধা আছে। মুক্ত পরিবেশে এরা বেশিদিন টিকে থাকে না। যেমনটা অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু থাকে! তার মানে বজ্জাতটাও মরল আবার জীবাণুটাও মরল। শত্রুর বাড়িতে আগুন দিলেও সেই আগুন আর নিজের বাড়িতে ছড়ালো না! জীবাণু অস্ত্র হিসেবে এই ব্যাকটেরিয়ার সবচে বড় গুণ এরা গোটা দশেক থেকে পঞ্চাশটা মিলেই রোগ সৃষ্টি করতে পারে। কে না জানে, জীবাণুরা নির্দিষ্ট সংখ্যায় সংক্রামিত না হলে রোগ বাধাতে পারে না! কারো রোগ বাধাতে দু'দশ লাখে মিলে সংক্রমণ করতে হয়, কারো আবার হাজার দশেকেই চলে। এই প্লেগের জীবাণু সেখানে মাত্র ১০টা থেকে ৫০ টা! বেশ বেশ! তালিকায় রাখলাম। তবে ঝামেলা হচ্ছে সংক্রমণ ঘটানোয়! মানে পোকা অথবা মাছিরাতো আর আমার প্রেম বোঝেনা! তারা কী আর আমার কথামতো গিয়ে বজ্জাত সবজান্তাকে কামড়ে আসবে! আবার তা না হলে বাতাসে ছড়ানোরও সমস্যা কম নয়! এই জীবাণু সংক্রমণ ঘটাতে পারে এরকম স্প্রে বা ওই জাতীয় কিছু বানানো বেশ জটিল। ভালো ঝামেলা পোহাতে হয়। এই যেমন প্রথমে... আচ্ছা থাক, এটাও পরে আলোচনা করা যাবে, আগে তালিকা বানানো শেষ করি!

গুটিবসন্তের ভাইরাস তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে থাকতে পারত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মানুষেরা এটাকে দুনিয়া থেকে নিকেশ করেছে। মানুষেরাও যে কেমন! মৃত্যু চায় না! সে যাই হোক, গোপন সূত্রে জানি যে পৃথিবীর কয়েকটি ল্যাবে এই ভাইরাস সংরক্ষণ করা আছে। সেখান থেকে এক চামচ জোগাড় করতে পারলে বেশ হয়! এরকম দারুণ ভাইরাস, এতো সহজে ছড়িয়ে পড়ে আর এতে মৃত্যুর সম্ভাবনাও বেশ ভালো! সমস্যা হচ্ছে ল্যাব থেকে ভাইরাস জোগাড় করা। আমার ল্যাবের কালচার কালেকশনে আছে কিনা খুঁজে দেখছিলাম সেদিন। ম্যানুয়ালি খুঁজতে হচ্ছিলো, কাউকে জিজ্ঞেস করতে পারছিলাম না। ফলে বেশিক্ষণ ফ্রিজ খুলে রাখায় প্যাঁ অ্যাঁ অ্যাঁ করে অ্যালার্ম বেজে, সিকিউরিটি এসে একেবারে লেজেগোবরে অবস্থা হয়ে গেল আমার! মনের দুঃখে হতচ্ছাড়াকে তালিকা থেকেই বাদ দিলাম।

বার্ড ফ্লু জিনিসটা আমার বিশেষ পছন্দের নয়। জিনিসটাকে কতখানি কিভাবে অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করা যায় সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। তবে ভাইরাসটি খাসা। কী রকম দারুণ তার মাহাত্ম। ভাইরাস সমাজে নবুয়ত পাওয়ার ব্যাপার থাকলে এদেরই পাওয়া উচিত। শুকর, পাখি আর মানুষের এটাসেটা মিলিয়ে তালগোল পাকিয়ে একেবারে প্রথম শ্রেণীর জল্লাদে পরিণত হয়েছে এরা। আমাদের যেমন ড়্যাব, সেরকম। এই ভাইরাসের আবার মেলা ভাই বেরাদর। ইনফ্লুয়েঞ্জা "এ" ভাইরাসের "এইচ ৫ এন ১" সাব টাইপটা সবচে বড় পোদ্দার। নাম শুনতে যত জটিল লাগুক, আসলে ঘটনা অতো জটিল না। সব কোষের থাকে রিসেপ্টর। ভাইরাসের কোষ না থাকলেও তারও রিসেপ্টর থাকে। রিসেপ্টর হচ্ছে ধরেন ওই হাতের মতো। ধরেন একটা মানুষের লম্বা হাত আর তার বুড়ো আঙুলে ১ ইঞ্চি লম্বা নখ। তার নাম দেয়া যায় এরকম, "মানুষ লম্বা হাত বুড়ো ১"। যেমন জলপাই শাসক এরশাদের কালো হাত আর তার হাতে থাকে মানুষ মারার বন্দুক। তার নাম দেয়া যায়, "অমানুষ কালো হাত বন্দুক"। ইনফ্লুয়েঞ্জা "এ" ভাইরাস সাবটাইপ "এইচ ৫ এস ১" মানে হচ্ছে সেরকম, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস যারা আছে হেমাগ্লুটিনিন ৫ আর নিউরামিনিডেজ ১ ধরনের রিসেপ্টর। তবে সেসব জটিলতায় না যাই। বেশি বকবক করতে গেলে আমার জ্ঞানের বাটির তল দেখা যাবে। আর তাতে আমার প্রেমোদ্ধারও হবে না।

তালিকায় বেশ কিছু নাম লিখে লিখেও কেটে দিতে হলো। এসব অস্ত্রের তেজ নেই আর। ঝামেলা হয়েছে কি, মানুষেরা মানুষ মারতে চায় না। তাদের মত দেখতে একদল প্রাণি যেখানে সব শেষ করে হলেও মানুষ মেরে ফেলার কলকব্জা বানাচ্ছে। আর কিভাবে কতো সহজে বেশি মানুষ মেরে ফেলা যায় অথবা কিভাবে ব্রেইন ওয়াশ করলে মানুষ মেরে ফেলতে একটুও হাত না কাঁপে বরং বেশ গর্ব হয় তার ট্রেনিং নিচ্ছে। সেখানে খানিক হতচ্ছাড়া মিলে ঝিলে খালি চাইছে যেন মানুষেরা বেঁচে থাকে। কী আপদ! প্রেমের জন্য দুচারটে খুন করবো তারও ভালো উপায় নেই! একবার ভাবলাম একটা ভাইরাস ডিজাইন করে ফেলি। এই তো সেদিন ক্রেইগ ভেন্টর কৃত্রিম ব্যাকটেরিয়া বানিয়ে মানুষ নামটিকে একটানে দশ আলোকবর্ষ উঁচু করে ফেলেছেন। সেখানে সামান্য একটা ভাইরাস বানাতে কী লাগে! আস্ত নতুন না বানাতে পারি, পুরোনো একটাকে ধরে কেটেকুটে তো সহজেই নিজের মতো করে গড়ে নেয়া যায়। বসে বসে এই সব সাতপাঁচ ভাবছি আর হঠাৎ সেই নচ্ছার সবজান্তা নক করে ফোঁস ফোঁস করে কাঁদতে লাগলো।

আমি ঠিকই বুঝে ফেললাম ঘটনা কী! নিশ্চয়ই বিমলা ব্যাটাকে কাঁচকলা দেখিয়েছে! খুশি চেপে রেখে বেশ দুঃখী দুঃখী ভাব করে বললাম, কীরে তোর প্রেমিকা ভেগে গিয়েছে? বলে কিনা, "প্রেমিকা তো ভাগবেই! না ভাগলে আর প্রেমিকা কীসের! ওতে কান্নার কী আছে! আমার চোখে কী একটা পোকা ঢুকেছে বলে পানি বেরোচ্ছিলো"! বললাম, তবে কী তুই বিমলার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলি না? বলল, আরে ছি ছি, ও তো আমার পিসতুতো দিদি হয়! তাই ওরকম মাঝে সাঁঝে আমার সঙ্গে ওকে দেখিস!

আমি মনে মনে বললাম, শালা!

ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশিত।


মন্তব্য

Microbes এর ছবি

চলুক
টিক্=উকুন!! মজা পাইছি হাহ হাহ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ঠিক উকুন নয়। উকুন জাতিয় একটা পরজীবী। শুদ্ধ কোনো বাংলা আছে? আমি আঞ্চলিক বাংলা জানি কিন্তু সেটা শুদ্ধ কিনা নিশ্চিত নই। জানা থাকলে জানাবেন।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কৌস্তুভ এর ছবি

কস্কি মমিন!

মুর্শেদ ভাইয়ের তাড়া খেয়ে একটু তাড়াহুড়োয় লেখা বলে মনে হচ্ছে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

একা আর কত দিক সামলাবো বলেন... চোখ টিপি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তারাপ কোয়াস এর ছবি

এই লেখা পড়ার পর আপ্নের লগে ঝামেলায় যাইবো কেঠায়?
গুল্লি


love the life you live. live the life you love.

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

চাল্লু
ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তুলিরেখা এর ছবি

কী দারুণ লেখা! হো হো হো
আরে আপনার ভাইরাস ডিজাইন শুনে তো আমি গড়িয়ে পড়ে গেলাম। পুরানো দু'চারটেকে ধরে কেটেকুটে টুকরোগুলো জুড়ে দিয়ে নতুন একটা বানিয়ে নেওয়ার কথা শুনে একটা কার্টুন মনে পড়লো। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ তুলিদি হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সজল এর ছবি

বাপরে ভয়ঙ্কর প্রতিদ্বন্ধী দেখি! দারুণ মজা পেলাম।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

সবজান্তাটা কে? ঐ দাঁড়িঅলা, হ্যান্ডসাম করে- ঐ ভাইটা নাকি?
গল্প গল্প আবেশে অনেক কিছু শিখতে পারলাম। মনে পড়ে গেল খামে ভরে, আমেরিকাতে, আলকায়দার এনথ্রাক্স পাঠানোর কাহিনী। এক কাজ করেন, এই মাইক্রো অর্গানিজমগুলোর উপর একটা বিশদ সিরিজ ছাড়েন। খাপছাড়া ভাবে না শিখে, একেবারে পুরোদস্তুর হাফেজ হয়ে যাই।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বিশদ সিরিজ বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন বুঝতে পারিনি। অণুজীবের উপর সিরিজ কখনো শেষ হবার নয়।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

লিখতেই থাকুন না।সিরিজটা যে শেষ করতে হবে, এমনটা তো বলিনি দেঁতো হাসি

ছবি আপলোড করার ব্যাপারে একটু জ্ঞান দিন। নেট থেকে ছবি নিয়ে সেগুলো হার্ডডিস্কে সেভ করে বা ফ্লিকার-এ আপলোডকরণ পূর্বক সচলে কোন পোস্টে জুড়ে দিলে কি কপিরাইটের খাড়ায় পড়তে হবে?

একটা লেখা লিখব ভাবছি, তাই কিছুক্ষণ আগে পিসির হার্ডডিস্ক আর ফ্লিকার থেকে ছবি আপলোড করার ব্যাপক টেস্ট করলাম। কিন্তু পোস্টের প্রিভিউ দেখার সময় লেখা দেখা গেলেও ছবিগুলো দেখা যাচ্ছিল না। কারণ কি হতে পারে বলতে পারবেন?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লেখা তো চলবেই। হাসি

না বোধহয়। অন্য কোথাও আপলোড করা ‌ছবি/ভিডিও সচলে শেয়ার দিতে পারবেন। সচলে আপলোড না করলেই হলো। কিন্তু ছবি যেখানেরই হোক, কপিরাইটের সমস্যা থাকলে তা শেয়ার না করাই ভালো। আমি বলব সচলের নীতিমালাটি আবার দেখে নিন। কোনো প্রশ্ন থাকলে contact এ ইমেইল করুন।

আমি নিশ্চিত নই। অনেক সমস‌্যাই তো হতে পারে। সাহায্য পাতায় ছবি সম্পর্কে তথ‌্য পাবেন।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

স্বপ্নহারা এর ছবি

আপ্নেরে সত্যি সত্যি নোবেল প্রাইজ দেয়া উচিত...বায়োলজি এত্ত সুন্দর করে পড়াইলে জীবনে মুখস্থ করতে হতো না!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ফাহিম হাসান এর ছবি

খিক খিক খিক

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চমৎকার! সেদিন একটা টেড ভিডিওতে দেখলাম। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যকটেরিয়া উদ্ভাবন করা হয়েছে ল্যাব সিলেকশনের উপর ভিত্তি করে। মজার মজার আইডিয়া মানুষের মাথায়!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হুঁ। আইডিয়ার অভাব নাই। বাস্তবায়নের ফান্ডের অভাব মন খারাপ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নৈষাদ এর ছবি

চলুক

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মন্তব্য লাফানোর যন্ত্রণা থেকে আর বাঁচা গেল না!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ভালো মানুষ এর ছবি

সঙ্গীত ভাই জব্বর লিখেছেন বড়াবরের মত এবার ও ফাটিয়ে দিয়েছেন্‌ চলুক এভাবে ......।

ভালো মানুষ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

রাজিউদ্দিন রতন দেখছি দিন দিন আবদুল্লাহ আল মুতী হয়ে যাচ্ছে!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কই তালগাছ আর কই ম্যাচের কাঠি ইয়ে, মানে...

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এটা এরকম না হয়ে বিস্তারিত সিরিজ হিসেবে চাই। সেন্সেটিভ বিষয়গুলো শুধু চেপে গেলেই চলবে। সাথে কোনটা কবে কোথায় ব্যবহৃত হয়েছিলো আর কোনটা কী মাত্রার ভয়ঙ্কর সেই তথ্যগুলো থাকা দরকার। খারাপ ব্যাপার হচ্ছে, ভবিষ্যতে বায়োউইপনের ব্যবহার বাড়বে। তাই প্রতিরোধের কথাটাও জানতে চাই।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বায়ো উইপন নিয়ে একটা বড় লেখা দেয়া যেত পাণ্ডব'দা। সমস্যা হচ্ছে সত্যিকারের তথ্য কমই পাওয়া যায়। আমার স্বল্প জ্ঞানে, যদি আমি নিজে বায়োউইপন বানাতে চাই তাহলে কী করব অনেকটা সেই হিসাব করে এই লেখাটা লেখা। সত্যিকারের বায়ো উইপনের হদিস জানা যায় না। জানা যায় কেবল বায়োউইপন দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা হলে। বিভিন্ন সামরিক সংস্থার গবেষণাগারে যেসব বানানো হয়েছে/হয় সেসবের তথ্য সাধারণে পায়না। যেসব কানাঘুষা শুনতে পাওয়া যায় সেগুলোরও গ্রহনযোগ্য তথ্যসূত্র নেই! সেজন্য একটা পূর্ণাঙ্গ লেখা অন্তত আমার মনে হচ্ছে না লেখা সম্ভব!

আমি হয়তো বায়োউইপন ব্যাবহার করে এ পর্যন্ত যেসব সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে সেসবের ফিরিস্তি দিতে পারি। কিন্তু সন্ত্রাসী হামলায় এখন পর্যন্ত যেসব বায়োউইপন ব্যাবহার করা হয়েছে সেগুলো ল্যাবে ডিজাইন করা নয় (আমার জানামতে)। এসব বায়োউইপন খেলো টাইপের। জানা থাকলে ভয় পাওয়ার মতো কিছু না।

ভয় পাওয়ার মতো হচ্ছে সত্যিকার ল্যাবে যেগুলো ডিজাইন করা হয় সেগুলো। সেগুলো ভেবে চিন্তেই ডিজাইন করা হয় যেন প্রতিকার না থাকে। প্রতিরোধের উপায় কেবল বিজ্ঞানে ক্ষমতাধর হয়ে ওঠা। আমাদের জন্য সেই আশাটা অতিমাত্রায় দূরাশা! বাংলাদেশে "লেভেল থ্রি" ল্যাব আছে বলেও আমার জানা নেই! অথচ বায়োউইপন বানানো হলে হবে "লেভেল ফোর" ল্যাবে!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সচল জাহিদ এর ছবি

তোমায় রীতিমত হিংসে হয়। এত সহজ করে লেখ কিভাবে ?


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লইজ্জা লাগে

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আশালতা এর ছবি

লেখা যে দারুন হয়েছে তা নতুন করে বলার কিছু নেই, কিন্তু আরও একটুখানি বিস্তারিত হলে মনে হয় ভালো হত। ষষ্ঠ পাণ্ডব সিরিজের কথাটা চমৎকার বলেছেন কিন্তু, সহমত।
আমি সচলের মালকিন হলে কয়েকজনকে ঘাড় ধরে বাধ্যতামুলকভাবে সপ্তাহে অন্তত দুটো করে লেখা আদায় করতাম। তাদের একজন আপনি। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ। ঘাড় বেঁচে গেল ভেবে ভালো লাগছে!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ফাহিম হাসান এর ছবি

না বাঁচে নাই। মডারেটারের আদেশ অমান্য করা সহজ। ভক্ত পাঠকদের অনুরোধ ফেলা প্রায় অসম্ভব।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

'পাঠিকা' বানান ভুল করলেন বোধহয় চোখ টিপি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লাফানো মন্তব্য

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

বন্দনা- এর ছবি

বায়োলজি এত ভালো আগে কখনই লাগেনাইঃ)।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আয়নামতি1 এর ছবি

হো হো হো চমৎকার পোষ্ট! ভাইয়া এর উপরে সিরিজ করুন। এত সহজ সুন্দর ভাষায় এরকম জটিল বিষয়ে লেখা চাট্টিখানি কথা না। বই আকারে বের হলে কত মানুষ সহজ বিজ্ঞানের নাগাল পায় বলুন দেখি! শুধু পাণ্ডবদাকে না বলে নিজেও এব্যাপারে ভেবে দেখতে পারেন। .........বিমলার কী হলো শেষ পর্যন্ত খাইছে পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম শুভেচ্ছা।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ। এই বিষয়ে সিরিজ লেখা হয়তো হবে না। কিন্তু অণুজীব বিষয়ে লেখা নিশ্চয়ই হবে।

বিমলার কিছু হয়নি এখনো। হলে আরেকটা ব্লগ লেখা যাবে দেখি... হাসি

বই বিষয়ে মন্তব্য না করাই ভালো হো হো হো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লাফানো মন্তব্য

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অমিত এর ছবি

চলুক

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

স্বাধীন এর ছবি

অনার্য হতে কয়েক হাজার হাত দূরে থাকতে হবে বুঝা যাচ্ছে , নাকি তাতেও রক্ষা নেই মন খারাপ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বিমলাদের থেকে দূরে থাকলেই হবে হো হো হো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

rahil_rohan এর ছবি

চলুক উত্তম জাঝা!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

দ্রোহী এর ছবি

অনার্য সঙ্গীত আমার স্কুলের শিক্ষক হলে আমি অণুজীববিজ্ঞানী হবার স্বপ্ন দেখতাম।

চলুকচলুকচলুকচলুকচলুক

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

জি.এম.তানিম এর ছবি

লেখা বরাবরের মতোই মিঠা...

ছবির জন্যে এক্সট্রা আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- !

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

যতই ধইন্যা দেন, কোনোভাবেই আম্রিকা যাওয়ার ব্যাপারটা ভুলতে পারছিনা মন খারাপ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

অনেক কিছু জানা হয়ে গেল অনার্যদা......... চলুক .........অবশ্য একটা বায়োউইপনও বানাইতে মুঞ্চায়, সমাজের কীটগুলা দূর করতে..................

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

সমাজের কীট খুন করে দূর করার পক্ষে নই। কী না জন্মায় সেই ব্যবস্থার পক্ষে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এই বায়ো-ওয়েপনের রেসিপি আমি চাই। প্রয়োগ করুম জনৈক বেলেল্লাবাজের ওপর। যার বেলেল্লাপনার চোটে আমি সদ্যকুরবানাইজড শালীবান শিমুলের দেয়ালে গিয়ে লুলচিকাটা পর্যন্ত মারতে পারি না। দয়াকরে ঐ পাপিষ্ঠ বেলেল্লাবাজের নাম জিজ্ঞেস করবেন না আমাকে। শরমে মরে যাই আমি...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হো হো হো উনি তো এমনিতেই হৃদয়ের সমস্যায় বেশ নাজেহাল আছেন। আবার বায়োউইপন হানবেন!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ধুগোদা হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আরে, হার্ডের ব্যামো হৈছে ব্যাটা তুই হুইয়া থাক। হুইয়া হুইয়া হাতে তসবি নিয়া আল্লাবিল্লা কর। মাইনষের দেয়ালে গিয়া সুন্দরী শ্যালিকাদের তালিকা করার তোর কী দরকার? আইজকা দেখলাম ধুগো ইঞ্চার্জের দেয়ালে গিয়াও অমোচন কালিতে চিকা মাইরা আসছে। এইসব বেশরীয়তী কাজকারবার করা কি ঠিক?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।