১. তিনি এখন মিডিয়াসৃষ্ট জনপ্রিয়তার ফাঁপা রঙিন ফানুসের বাসিন্দা।
২. একটা সুদখোরের জন্য তার কলমের কালি ব্যাবহৃত হতে পারে। কিন্তু এ ক্রান্তিকালে জাতীয় সম্পদের রক্ষার জন্য তিনি কলমের ঢাকনা খুলছেন না!
৩. তিনি বামপন্থী আন্দোলন পছন্দ করেন না।
৪. তিনি হরতাল সমর্থন করেন না।
৫. তেল-গ্যাস পাচার/রক্ষা বিষয়ে তিনি মৌন।
[বলে নেয়া ভালো, এই লেখাটি খুব যুক্তিতর্ক দিয়ে কোনোকিছু বুঝিয়ে বলার জন্য লেখা নয়। সেটির প্রয়োজনও নেই। এই লেখাটি লেখাটার মূল কারণ তীব্র বিরক্তি! অক্ষরের কাঁধে বিরক্তি চাপিয়ে ভারমুক্ত হবার চেষ্টা থেকে লেখা বলেই এটি খুব গোছানো লেখা হবে না। প্রাজ্ঞ পাঠককে সতর্ক করছি, হতাশ হবার সম্ভাবনা আছে।]
প্রথম থেকে শুরু করি, জাফর ইকবাল স্যার এখন মিডিয়াসৃষ্ট জনপ্রিয়তার ফাঁপা রঙিন ফানুসের বাসিন্দা। মানে ওনার জনপ্রিয়তা মিডিয়া বানিয়ে দিয়েছে। বোঝা যায়, তাঁর নিজের যোগ্যতা ছিলো না বলেই মিডিয়াকে তার জনপ্রিয়তা বানিয়ে দিতে হয়েছে। এবং সেই জনপ্রিয়তার রঙিন ফানুস যেটা কিনা ফাঁপা মানে অন্তঃসারশূন্য, সেখানে তিনি বাস করেন। আন্দাজ করি মিডিয়ায় ওনার বিরাট যোগাযোগ ছিল অথবা ওনার অনেক টাকা ছিল/আছে যা দিয়ে তিনি মিডিয়া কিনেছেন। এবং সেই মিডিয়া তাকে দিয়েছে জনপ্রিয়তা। মিডিয়ার শক্তিতেই হাজারে হাজার শিশুকিশোর তাঁর ভক্ত, হাজারে হাজার তরুণ-যুবা তাঁর ভক্ত, হাজারে হাজার প্রৌঢ়-বৃদ্ধ তাঁর ভক্ত!
নিশ্চয়ই। বই তো একটা মিডিয়াই! জাফর ইকবাল স্যারকে আমরা চিনি ওনার বই, ওনার লেখা দিয়েই। আমার প্রশ্ন হচ্ছে মিডিয়ার তৈরি জনপ্রিয়তায় উনি বাস করতে চাইলে তাতে সমস্যা কোথায়! অনেক ভেবে চিন্তে আমি ইতিবাচক কিছু খুঁজে পাই না। আমি খুঁজে পাই বিদ্বেষ, আমি খুঁজে পাই অন্ধ আক্রোশ!
জাফর ইকবাল স্যারের প্রধান শত্রু ছিল এতদিন জামাত-শিবির। ব্যপারটা নতুন নয়। এই বিষয়গুলোকে পাত্তা দেই না। ওনার বিরুদ্ধে প্রচার তো হবেই। উনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান, প্রকাশ্যে জামাত শিবিরের বিরোধীতা করেন। কিন্তু এবার আরেক গোষ্ঠীর উদ্ভব হয়েছে। বামের ছদ্মবেশে এরা জামাতের কর্মী কি না আমি নিশ্চিত নই। কেবল নিশ্চিত যে এরা ভিন্ন পথে জাফর স্যারকে ধরতে চাচ্ছে। জাফর স্যার একটা মন্দ লোক আর তার সবই ভান তাই তাকে আস্তাকুঁড়ে ফেলে ভুলে যাও। মোটামুটি এদের লক্ষ্য হচ্ছে এই! সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য তাদের যেসব যুক্তি/কুৎসা সেগুলোর কয়েকটা আমি পয়েন্ট করে লিখেছি। এই শ্রেণীর যুক্তি(!) শেষ হবার নয়, আমি তাই সব যুক্তি খুঁজে বের করে সেসব খণ্ডন করতে যাব না। আমি কেবল বলতে চাই আমি বিরক্ত হচ্ছি! আমাদের ঘেন্না লাগছে।
জাফর ইকবাল স্যার একটা সুদখোেরর জন্য লিখতে পেরেছেন অথচ তাদের গ্যাসের মতো জাতীয় স্বার্থের বিষয়ে তিনি মুখ খুলছেন না! তেল গ্যাস প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে "সুদখোর" ব্যপারটা বোঝার চেষ্টা করি। ধারণা করি ড. ইউনূস প্রসঙ্গে কথাটি এসেছে। ড. ইউনূস ভালো লোক নাকি মন্দ লোক সেটা নিয়ে তর্ক হতে পারে! তিনি মন্দ লোক হলে জাফর স্যার কেন তার পক্ষ নিলেন সেটা নিয়েও কথা উঠতে পারে! কিন্তু ড. ইউনূস একটি ব্যাঙ্কের পরিচালক (ছিলেন) এবং (ব্যাঙ্কে যেহেতু সুদের ব্যপার আছে) সেটা একটা অপরাধ/মন্দব্যপার হতে পারে সেটা ভেবে বেশ নাড়া খেলাম। এই সমস্যার একমাত্র সমাধান ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করা বলেই মনে হচ্ছে! যেখানে সুদের কারবার থাকবে না। জাফর স্যার সুদখোরের পক্ষের লোক যারা বলছে তারাও আমার মতই ভাবে বলে সন্দেহ করি! জামাতই একমাত্র সমাধান, কী বলেন?
বড় অভিযোগের একটা হচ্ছে জাফর স্যার বামপন্থী আন্দোলন পছন্দ করেন না! বামপন্থী আন্দোলন পছন্দ না করা যে একটি অপরাধ হতে পারে সেটা আমার জানা ছিল না। ধরলাম সেটাই। বামপন্থী মৌলবাদী না হওয়া অপরাধ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে জাফর স্যার বাংলাদেশের বর্তমান বামপন্থী আন্দোলন(!)/বিপ্লবীদের(!!!) পছন্দ করেন না? নাকি বামপন্থা ব্যাপারটাই পছন্দ করেন না? তিনি কি তাঁর আশেপাশে যাদেরকে বামপন্থী রাজনীতি করতে দেখেন তাদের পক্ষ নিতে চান না নাকি তিনি বামপন্থা বিষয়টাই পছন্দ করেন না? ব্যাপারটা ওনাকে জিজ্ঞাসা করার আগে নিশ্চিত হতে পারছি না। তবে একটা ব্যপার নিশ্চিত হয়েছি, বামপন্থীরা যদি কোথাও কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করে আর আপনি সেখানে না যান তাহলে আপনি কবিতার বিপক্ষে! জামায়াত যদি কুরান নিয়ে আলোচনার আয়োজন করে আর আপনি সেটাতে যোগ দিতে না চান তাহলে স্পষ্টত আপনি কুরানের বিপক্ষে!
আরো আছে। জাফর স্যার হরতাল পছন্দ করেন না। আমাদের দেশে খুব মজার কিছু ব্যপার আছে। যেমন ধরেন জামাত হচ্ছে আল্লাহর দল! জামাতকে না মানা অর্থ আল্লাহকেই না মানা! সেরকম জাফর স্যার তেল গ্যাস রক্ষার জন্য আহ্বান করা হরতাল পছন্দ করেননি মানে তিনি তেল গ্যাস রক্ষার আন্দোলনের বিরোধী! ওনার অবশ্যই আর কোনো পছন্দ থাকতে পারে না। আন্দোলন হচ্ছে আন্দোলন। নেতারা যা বলবেন তুমি তাই মেনে দৌড়াতে থাকবে। তা না হলে তুমি আন্দোলনের বিরোধী! আমি নিজে হরতালের পক্ষে নই। তার মানে নিশ্চয়ই আমিও তেল গ্যাস বিক্রি করে দিতে চাই। আন্দোলনের/প্রতিবাদের অন্য কোনো উপায় তো থাকতেই পারে না! আছে কেবল হরতাল। দ্বিমত হয়েছ মানে তুমি বিরোধী! শহীদুল্লাহ স্যার হরতালের পক্ষে। জাফর স্যার যদি তার পক্ষ না নেন অথবা শহীদুল্লাহ স্যারের সঙ্গে যদি ওনার দ্বিমত থাকে তাহলে তিনি নিশ্চয়ই শহীদুল্লাহ স্যারকে খারাপ বলছেন! তিনি নিশ্চয়ই শহীদুল্লাহ স্যারকে শত্রু ভাবেন!
জাফর স্যার কেন তেল গ্যাস রক্ষার আন্দোলনে মাঠে নামেন নি? আমিও তাই বলছি। কেন নামবেন না? ইয়ার্কি পেয়েছেন?! আপনাকে অবশ্যই মাঠে নামতে হবে। তা না হলে আপনি মার্কিন কোম্পানির দালাল! ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের ব্যপারে কিছু বলছেন না কেন আপনি? আপনি নিশ্চয়ই ইরাক যুদ্ধের পক্ষে! পরিমলকে নিয়ে কিছু লিখেছেন? আপনি নিশ্চয়ই ধর্ষণের পক্ষে! বেয়াড়া ট্রাক চালকের জন্য এতগুলো শিশু প্রাণ ঝরে গেল। সেটা নিয়েও তো আপনি কোনো রা কাড়েন নি! বুঝতে পারছি, আপনারও ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। আপনিও শিশু হত্যা করতে চান। উগান্ডার শিশুরা না খেয়ে মরছে অথচ আপনি কিছু লিখছেন না! আপনি কি স্যাডিস্ট? শিশুদের না খেতে পেতে দেখলে আপনি খুশি হন?
আমাদের কাছে সূত্র আছে স্যার। সেই সূত্রে ফেলে আপনাকে সাদা-কালো বানাতে পারি আমরা। আপনি আমাদের ঠিকমতো চিনতে পারেন নি এখনো। আমরা মৌলবাদী!
অবশ্য যদি তেল গ্যাস নিয়ে মুখ খোলেনও তাতেও লাভ নেই। আমাদের ভাই-ব্রাদারেরা তাতেও আপনাকে ছাড়বে না! এই দেশের কিশোর থেকে প্রৌঢ়েরা আপনাকে মানে, আপনাকে পছন্দ করে। আপনাকে আমরা সহজে ছেড়ে দেব না!
মন্তব্য
Jafar iqbal kintu Shomajtantrik Chhatro Front er ak charity program e 1 lakh taka daan korechhilen!
আপনার এই স্যাটায়ার ধরনের লেখাটা কয়জনে ধরতে পেরেছে জানি না, তবে শিবির/হিজু/বাম মিলিত আক্রমন দেখতে পাচ্ছি। দেশটা, বা বিশেষ কয়েকটা মিডিয়া এদের হাতে চলে গিয়েছে। ব্যাপক গুঞ্জন তৈরিতে এরা সিদ্ধহস্ত এবং কিছু আপ্তবাক্য ব্যবহার করে আম-ইন্টারনেটচারীকে ঘোলাটে একটা পানিতে ফেলে দিচ্ছে ধীরে ধীরে।
গতকাল কয়েকজন পরিচিত ও শ্রদ্ধেয় ব্লগারকেও এই মচ্ছবে গা ভাসাতে দেখে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আবারো শঙ্কিত হয়ে পড়লাম। ফেলানী ইস্যু থেকে শুরু করে উল্লেখিত গোষ্ঠী বার বার নিজেরাই ইস্যু তৈরি করছে, নিজেরাই ক্যু করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। দুঃখের ব্যপার হলো, শেষ খেলা মনে করে বেশিরভাগ বাম ও ভ্রান্ত মজহারী বামও এই খেলায় যোগ দিয়েছে।
সবাই যেমনটা বলে, মোল্লার গুষ্ঠি বিক্রি করে পরকাল, আর বাম বিক্রি করে সাম্যবাদী য়্যুটোপিয়া। কোনোটারই ভবিষ্যৎ নেই, কিন্তু বাজারে বিকোয় হট কেকের মতো।
বাংলাদেশী ফেসবুক রেভ্যুলুশনের কতদুর, জানতে মঞ্চায়।
বাংলাদেশের মিডিয়াতে সবচেয়ে ভালো আছে জামাতিরা। এই মুহূর্তে।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
"জনস্বার্থে গ্যাস কয়লা রপ্তানি নিষিদ্ধ আইন জরুরী নামে একটি জাতীয় প্রচারপত্র অচিরেই পত্রিকা/লিফলেট মারফত সকলের হাতে পৌছাবে। এটি লিখেছেন বিচারপতি গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক মোঃ নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক এম শামসুল আলম। এই প্রচারপত্রের মূল ৩ টি দাবির একটি হল - সংসদে তেল গ্যাস রপ্তানি নিষিদ্ধ বিল পাশ করা। গতকাল এই প্রচারপত্র শাবিপ্রবি থেকে সারাদেশ ভ্রমনে বের হয়েছে।"
এটা শাবিপ্রবির এক বন্ধু আমাকে কাল রাতে ফেসবুকে পাঠিয়েছে । লেখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
দ্রুত নীচে নেমে যাওয়ার মিছিলে এই লোকটা মাথা তুলে একা দাড়িঁয়ে ছিল, তাকে বিতর্কিত করার অনেক চেষ্টা হয়েছে। ডান-বামের খেলায় শেষ পর্যন্ত বামের ফাঁদে পড়ল মনে হয়...। হ্যাঁ, বুঝে না বুঝে তাকে বলতেই হবে... বলতেই হবে... দেশের কলমি শাকের উৎপাদনে আম্রিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতির প্রভাব..., আরব বিশ্বের জাগরনে কুলিয়ার চরের আলু ব্যবসায়ীদের একাত্মতা... সব বিষয়ে।
লিখার সাথে আপনার comment ও দারুন
কুলিয়ারচর! আরে ভাই, আমি তার পাশের উপজেলার মানুষ, ওখানে আলু হয় তাইতো জানতামনা, ওখানে হয় মৎস!!
এটাই শেষ কথা!!!!
Stop these NUISANCE!!!!
যে ইমোটা দিতে ভুলে গেছি!!!
মুহম্মদ জাফর ইকবালের খুঁত ধরার জন্য বসে না থেকে বা কথায় কথায় তাকে খারিজ করে না দিয়ে বাংলাদেশের বামপন্থী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের উচিত কিভাবে মানুষের মন জয় করতে হয় -- এটা তাঁর কাছ থেকে শেখা । যেখানে মুহম্মদ জাফর ইকবাল শুধুমাত্র একটা পত্রিকায় কলাম লিখেই জনমত ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখেন -- সেইখানে সব বামপন্থী দল মিলেও কৃষিপ্রধান দারিদ্র্য-অধ্যুষিত বাংলাদেশের একটা আসন থেকেও নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারে না -- এটাতো খুবই লজ্জার কথা !
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
totally agreed with রাজিব মোস্তাফিজ.
আজ সারাদিনে স্যারকে নিয়ে এতো লেখা পড়েছি যে মাথা ধরে গেছে। ঊনার কি আর কাজ নেই একটা সংগঠনের পক্ষ নিয়ে দুই কলাম কিছু লেখা ছাড়া?
উনি জাতীয় সম্পদ কি না তা কয়জন বামপন্থি ঠিক করে দেবেন? উনি ভন্ড কি না তা নির্ধারিত হবে একটা লেখা না লেখার কারনে?!! আজব আমাদের মানসিকতা। আমার ভাল লাগা না লাগা তা আমি প্রকাশ করলেই আমি ভন্ড দায়িত্বজ্ঞানহিন? হলে, আমি তাই। উনি তাই। কয়জনের ফালতু চিতকারে উনার কিচ্ছু এসে যায়না।
ei deshe valo lok ki bah krte parbe ar?
jafar iqbal sir, abdullah abu sayed sir der dekhe tobu mone asha jage je parbe....
হা হা হা, এই লেখাটা পরার পর আপনার মুখের ভঙ্গি কেমন ছিল লেখার সময় ঐটা ভাবার চেষ্টা করছিলাম ৷ আমার মনে হচ্ছে বিরক্তিতে আপনার ভ্রু কুচকানো ছিল ৷ জানিনা সত্যি এমন হয়েছিল কিনা ৷ মুহম্মদ জাফর ইকবাল কে আমিও খুব পছন্ধ করি, সত্যি বলতে উনি আমার অনেক প্রিয় ব্যক্তিত্ব ৷ তবে উনার সাথে আমার কখনো সামনাসামনি দেখা হয়নি, ভালোলাগা উনার বই এবং কলাম থেকেই ৷ ভাবতে ভালো লাগে এখনো তারমত এমন লোক আছে আমাদের দেশে যিনি কিনা আমেরিকার মত দেশের ভালো চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন (যদিও অনেকে বলছে উনি নাকি মাকাল ফল, ওখানে কিছু করতে না পেরেই ফিরে এসেছেন) ৷ কিন্তু ভালো লাগে উনার লেখায় দেশের প্রতি টানটা আর সেটা খুব ভালো করে নজরে পরে, এই টান সত্যি না লোক দেখানো তা কখনো ভাবিনি ৷ ভাবতে ভালো লাগে দেশে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, ডঃ হাবিবুর রহমান, আনু মুহাম্মদ এর মত লোক আছে ৷ তাদের ক্ষমতা নেই তারা দেশকে পাল্টে দেবেন কিন্তু তাদের কাজকর্মে, কথাবার্তায় দেশের প্রতি যে ভালোবাসাটা ফুটে ওঠে ওই জিনিসটাই ভালো লাগে, কে জানে তাদের নিয়েও কেচো খুড়তে গেলে হয়ত সাপ বেরিয়ে আসবে, আসলেই যে কে সত্যি বলছে কে ভান করছে তা বোঝা মুস্কিল ৷
তবে আমার এটা ঠিক মনে হয়না যে উনি একবার কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদে কলম ধরেছেন মানে এরপর যত অন্যায় ঘটুক সবকিছুর বিরুদ্ধে উনাকে কলম ধরতে হবে ৷ তাই যদি হবে তাহলে উনাকে সবকাজ বাদ দিয়ে সারাদিন খালি কলামই লিখতে হবে কারণ এখন অন্যায়ের হার যেমন উর্ধগতি ৷ উনার একটা ব্যক্তিগত ভালোলাগা থাকতে পারে, ইচ্ছা-অনিচ্ছা থাকতে পারে, কাজে কর্মে ব্যস্ত থাকতে পারেন, সর্বপরি উনার লিখতে ইচ্ছে করছে না এমন হতে পারে, একজন লেখক মানেই সে সারা দিনমান লিখে যাবে, একজন কলাম লেখক মানেই সারাদিনমান কলাম লিখবে এমন আশা করা বোধয় ঠিক নয় ৷ এই লেখক যেমন মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর অপমান করার প্রতিবাদে লিখেছেন কারণ মুহম্মদ জাফর ইকবাল উনার খুব প্রিয় ব্যক্তিত্ব (আমি ধরে নিলাম), ঠিক তেমনটি ঘটতে পারে মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং মুঃ ইউনুস এর ক্ষেত্রেও ৷ এখন তাই বলে যদি ভাবা হয় দেশে যত লোককে অবমাননা করা হবে সব প্রতিবাদ করার দায়ীত্ব অনার্য সঙ্গীত কাধে তুলে নিয়েছেন এবং এখন কেউ অপমানিত হলেই তাকে সেটার প্রতিবাদ করতে হবে তাহলে ব্যাপারটা খুব হাস্যকর হয়ে দাড়ায় ৷
আর মুহম্মদ জাফর ইকবাল কলাম লিখবে তারপর আমরা বুঝব কোনটা ভালো কোনটা মন্দ এমন চাওয়াটা বোধহয় ঠিক নয় ৷ আমাদের সবার সাথেই চোখ আছে, সবার মাথায় ঘিলু আছে, সবার পেটেই বিদ্যা আছে, তাহলে এটা আমাদের ঘাড়েই বর্তায় আমরা কখন কি দেখতে চাই, কখন কি বুঝতে চাই, একজন লেখক কখন কি লিখবে ওটা নাহয় তার ঘাড়েই ছেড়ে দিন ৷ লোক দেখানো কারণে লেখা কোনকিছু পড়ার কোনো মানে নেই আমার কাছে, একজন লেখকের বিশ্বাস এবং ভেতর থেকে উঠে আসা লেখায় আসল লেখা মনে হয় ৷ কোনো লেখক কেন লিখল না এসব নিয়ে চিত্কার করে আসল বিসয় থেকে সরে যাওয়াও বোধহয় ঠিক হবে না ৷
মানুষ আসলে মোটা দাগে সাদা-কালো বিচার করতে চায়। অযৌক্তিক প্রত্যাশা স্রেফ বেকুবির লক্ষণ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এটা একটা খুবই সত্যি কথা। আমি এই মাত্র ক্যালটেক-এর পোস্ট ডক আর বেল ল্যাবের রিসার্চ সায়ন্টিস্ট-এর রিকয়ারমেন্ট দেখলাম। দুটোরই প্রধান রিকয়ারমেন্ট আপনাকে প্রথম মাত্রার মাকাল ফল হতে হবে।
মনে সাধ জাগে এমন মাকাল ফল হই
হ্যা! তিনি কেন লিখবেন না দেশে আলু উৎপাদন নিয়ে, কেন লিখবেন না নাটকের ভাষা নিয়ে,কেন লিখবেন না কেন লিখবেন না কেন কেন? তিনি দেশের ভাল চান না, তিনি দেশের উন্নতি চান না তিনি দেশ কে বিক্রি করে দিতে চান তাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হউক!
সবাই বলুন
আমিন!!! !!! !!!
আত্তসুদ্ধি
লেখা ভাল্লাগছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খালি কি জাফর ইকবাল। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শ্রদ্ধেয় মিলা কেউ এ ব্যাপারে কিছুই বলছেন না। দেশটা কোথায় যাচ্ছে?
মাত্র গতকাল এইসব নিয়ে ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে ফেসবুকে একটা মেসেজ দিয়েছিলাম। অনার্যের অনুমতি নিয়ে সেইটে এইখানে মন্তব্য আকারে দিতে চাইঃ
কিছুদিন ধরে ফেসবুকে এক যন্ত্রণা শুরু হয়েছে। জাফর স্যারের খুঁত ধরে বেড়ানো লোকের সংখ্যা কম না। ফেসবুকে মাঝে মাঝেই দেখছি একেকজন নানান ভাবে বলার চেষ্টা করছেন দেশের নানান গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে স্যার কেন চুপ করে আছেন। তেল গ্যাস রপ্তানী ইস্যুতে স্যার কেন কথা বলছেন না। এই মাত্র জানলাম স্যার আরো কয়েকজনের সাথে এই বিষয়ে একটা প্রচারপত্র লিখেছেন। মনে হয় এতেও সমস্যা হবে---কেউ বলবে আগে লিখল না কেন? কেউ হয়ত বলবে, এইগুলা ফরমায়েশী লেখা। কোন ভাবেই মনে হচ্ছে এদের মুখ বন্ধ করা যাবে না। স্যারকে এতদিন পরেও দেশপ্রেমের পরীক্ষা দিয়ে যেতে হচ্ছে এইটা আমার কাছে দুঃখজনক। দেশটা তো স্যারের একার না, আমাদের সবার। সব সময় দেশের বিপদে আমরা কেন বসে থাকি এই অপেক্ষায় যে, স্যার কেন লিখছেন না? স্যার কিছু না লিখলে কি কোন আন্দোলন গড়ে তোলা যায় না? আমাদের নিজেদের কি কোন দায় নেই?
জাফর স্যার শেষ পর্যন্ত একজন মানুষ---হয়ত একজন সাধারণ মানুষই হবেন। আর সবার মত তাঁরও সীমাবদ্ধতা আছে---থাকা স্বাভাবিক। আমাদের ঘরের চালে আগুন লাগলে আমরা যদি অপেক্ষা করে বসে থাকি কখন জাফর স্যার এসে আমাদের পানি ঢালতে বলবেন---তাহলে তো সমস্যা।
একজন মানুষের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব---আমার ধারণা জাফর স্যার যথেষ্টই করেছেন। বার বার তার কাছে বিবেক-শক্তি-উপদেশ ধার না চেয়ে নিজেদের এইসব কিছু তৈরি করে নিলে ভাল হয় না? স্যার তো সারা জীবন আমাদের আগলে বসে থাকবেন না---বা সারা জীবন পত্রিকায় কলাম লিখবেন না।
এই মানুষটাকে রেহাই দেয়া হোক---
লেখা এবং মন্তব্য দুইটাতেই
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
এই মানুষটাকে রেহাই দেয়া হোক---
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অনিকেত - এর সাথে একমত। আমাদের কিছু হলেই আমরা কেন আশা করি যে জনাব জাফর ইকবাল সাহেব কে এগিয়ে আসতে হবে বা উনি কিছু বলবেন সেটার জন্য চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে হবে। তাঁরো তো কখনো ভুল হতে পারে? তাঁর যে অবদান আছে সেটাই তো যথেস্ট মনে হয়। অনেক ব্লগে দেখছি এটাকে ইস্যু করা হচ্ছে যে উনি কেন এখন চুপ করে বসে আছেন। কি অদ্ভুত মানসিকতা। ঘর কি শুধু আমার বা জাফর সাহেবের একার? আপনার নয়? আমাদের একটা কমন বিষয় হল কিছু হলেই আমরা একেবারে সেটা মাথায় তুলে ফেলি। জনাব জাফর ইকবাল সাহেব ইতিমধ্যে যতটুকু করেছেন তা কি যথেস্ট নয়? আমাদের দায়িত্ব এখন সততা আর মূল্যবোধটা ঠিক রেখে এগিয়ে যাওয়া। সত্যি কথা হল উনি যে সময় যেটা (আম্রিকার চাক্রীর কথা বলছি) ছেড়ে এসেছেন, আমি হলে সেটা করতাম না, থেকে যেতাম। আমি আসলে বলতে চাচ্ছি যে কাউকে যেমন অকারনে মহৎ করে তোলার কিছু নেই আবার কেউ যেটা করেছে সেটাকে ছোটো করারও কিছু নেই। সবাইকে তার সঠিক প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। জাফর স্যার কিছু বললেই ঠিক, আর উনি যতক্ষণ বলবেন না দোষ - এই মনভাব কেন পোষণ করছি আমরা? শুধু সাইন্স ফিকশন লিখে উনি আমাদের যা দিয়েছেন তাইতো ঠিকাছে, আবার ওনাকে জাতীর বিবেকের যায়গা নিতে হবে কেন? আমি আরও একটা বিষয় উল্লেখ করতে চাই যে আমরা তেল গ্যাসের পুরো ব্যপারটা ঠিক মত এবং পরিস্কার জানি তো? কি বিচিত্র!! যেটা লেখার চেস্টা করছি সেটা লিখে উঠতে পারলাম কিনা বুঝতেছি না। কত যে গালাগালি খামু কে যানে!
ঠিক এই কথাগুলোই বলতে চাইছিলাম, কিভাবে বলব বুঝতে পারছিলাম না......অসাধারণ...পুরোপুরি একমত। ধন্যবাদ এই কমেন্ট এর জন্য।
আমি অবাক হয়ে দেখি-খারাপ কিছু হলেই মানুষ বলে-'উনি এই বিষয়ে কিছু লেখেননি কেন? তাহলে তিনি নিশ্চয়ই এটা সাপোর্ট করেন। তাহলে তিনি খারাপ, তিনি দালাল, ব্লা ব্লা ব্লা।' অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে উনার আর কোনো কাজ নেই। যা দেখবেন তা নিয়েই একটা করে লেখা ছাড়তে হবে। আর না ছাড়লে? "লুকটা খুবই খ্রাপ"!!
মেজাজটাই বিগড়ে যায়!
আর যেটা জানাতে ভুলে গেসলাম----অনেক ধন্যবাদ সঙ্গীত, জিনিসটা নিয়ে লেখার জন্যে।
গতপরশু ঠিক এ ধরনের একটা স্ট্যাটাস দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম! খোমাখাতার সেই বন্ধু আবার গুয়েবাড়ার বড় ভক্ত!
লেখা ভাল্লাগছে।
love the life you live. live the life you love.
লেখাটা পড়ে হতাশ হইছি। জামাত পর্যন্ত গেলেন ঠিকাছে। আল কায়েদা পর্যন্ত গেলে আরো ভালো হতো।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আপনার কাজ দেখে হতাশ
@হাসিব ভাই
এবারের মতো ছেড়ে দিলাম হাসিব ভাই। ওটা তো থাকলোই পরে কখনো ব্যবহার করা যাবে।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমি যে তেল / গ্যাস রক্ষার ব্যপারে কিছু লিখলাম না - এই ব্যপারে কেউ কোন রকম আপত্তি জানাইলো না, বরই আফসোস।
একদম মনের কথা বলেছেন ভাই।
আমাদের দেশে সবকিছুর নেগেটিভ অর্থ বের করা সম্ভব।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
শিরোনাম দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ... খুবই ভাল লিখেছেন ... এরা মনে হয় কাউকেই ছাড়বে না
অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী। এদের মধ্যথেকেই একদিন যাদু মিয়া, রব, জলিল আর আবদুল মান্নানেরা জন্ম নিবে।
...........................
Every Picture Tells a Story
'বিরক্তি থেকে লেখা' আসলেই অগোছালো লাগল।তবুও সময় নষ্টকরে পড়লাম।
জাফর স্যার কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন।তেল গ্যাস অধিদপ্তরের সাধারন সম্পাদক নন।তিনি আপনার আমার মত একজন মানুষ। তার লেখার ক্ষমতা অসাধারন।সেই শক্তির সাথে তার উপর অনেক দায়িত্ব এসে যায়।বিভিন্ন সময় তিনি তা পালন করেছেন। কিন্তু এটা তার একান্ত নিজস্ব ব্যাপার।সেখানে আপনি আমার হস্তক্ষেপের প্রশ্ন আসে কেন। তার নিজস্ব মতামত প্রকাশের অধিকার আছে।নিজের ইচ্ছামত যখন ইচ্ছা তখন লেখার বা না লেখার স্বাধীনতা আছে।আপনি আমি বলার কে? হ্যা তার কাছ থেকে আশা করতে পারি,আবদার করতে পারি। কিন্তু দিতেই হবে- এমন জোর করার অধিকার নেই আমাদের।
লেখায় জামাতের পক্ষে সাফাই গাইলেন কিনা জানিনা। আপনার দাবি মতে লেখাটি অগোছাল।সত্যিই তাই। জামাত প্রীতির ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম না অসংলগ্ন কথা গুলো থেকে।
তেল গ্যাস নিয়ে আপনি নিজেই লেখতে বসে যান না।দেশের মানুষকে জানান,এক জন মিডিয়া সৃষ্ট জনপ্রিয়তার ফাঁপা রঙ্গিন দুনিয়ার মানুষ যে আবার সুদখোরের তাবেদার তার লেখা পাবার জন্য আপনাদের এত মুক্তকচ্ছ্ব অবস্থা কেন?
যাইহোক। ২০০১ সালে তেল গ্যাস নিয়ে তার একটি লেখা আছে। বিরক্তি উদগীরনের সাথে সাথে সেটা পাঠ করতে পারেন
http://www.somewhereinblog.net/blog/aitoami007/29404407
বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনি লেখাটি বুঝতে পুরোপুরি ব্যার্থ হয়েছেন। মনযোগ দিয়ে আবার পড়েন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ ভাইয়ের সাথে সহমত -ইদানিং কিছু কিম্ভুত চরিত্র দেখতে পাচ্ছি যারা জনপ্রিয় যেকোন কিছুর বিরোধীতাকে এক ধরনের স্মার্টনেস ভাবে -সেটা যুক্তিবুদ্ধি'র বিবেচনা বাইরেই হোকনা কেন -গত কদিনে এই দেখালাম ফেসবুকে। লেখক কে ধন্যবাদ মনের কথা বলবার জন্যে।
শিরোনাম দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ... খুবই ভাল লিখেছেন ... এরা মনে হয় কাউকেই ছাড়বে না
আমরা যারা কাছ থেকে দেখেছি তারা আসলে ভেবে অবাক হয়ে যাই উনি এত ল্যাব ক্লাস এত মিটিং-সভা করে খবরের কাগজে লেখার সময় কোথেকে পান!!
বাংলাদেশের বামপন্থার ক্ষুদ্রঋণ নিতে হবে দেখা যায়।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
প্রথমে আপনার ব্যক্তিগত ব্লগে পড়সিলাম।
অনার্য ভাই, প্রেক্ষাপটটা একটু বললে ভাল হত। মানে কোন কথা/লেখার সূত্র ধরে এই পোস্ট ইত্যাদি।
দেশের সব প্রগতিশীল আন্দোলন যদি জাফর ইকবালের দিকে মুখ চেয়ে বসে থাকে তাহলে মুশকিল। একজন মানুষের, হোক না কলাম লেখক, সময়ের সীমাবদ্ধতা আছে। দিনে মাত্র ২৪ ঘন্টা। এর মাঝে বিশবিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে তাকে প্রফেশনাল দায়িত্ব নিতে হয়।
বাংলাদেশে আর দশটা গরীব দেশের মত নানা সমস্যা আছে। সব ইস্যুতে সবার কলম ধরা সম্ভব না। উচিতও না। বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে প্রত্যেক কলাম লেখকেরই একটা নিজস্ব বলয় থাকে, ঠিক যেরকম ব্লগারদের একটা niche থাকে। অনার্য ভাই যেমন অণুজীব নিয়ে লিখেন, জাহিদ ভাই পানিসম্পদ নিয়ে, অনুপম ত্রিবেদি ভাই ফটোগ্রাফি নিয়ে। এই টপিকগুলোর বাইরেও যে তারা লিখেন না - ব্যাপারটা তা না, তবে কম লিখেন। একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে লিখতে গেলে পড়াশোনা করতে হয়, ব্যাকগ্রাউন্ড না জেনে তো আর লেখা প্রসব করা সম্ভব না। কিন্তু সমস্যা হল মানুষ খালি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া খুঁজে এবং ভুলে যায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সবসময় দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নয়।
জাফর ইকবাল এর আগে তেল-গ্যাস ইস্যুতে লিখেছেন। নিজের স্ট্যান্ডপয়েন্ট প্রমাণ করেছেন। তার মানে কী এই যে প্রতিবার তাকে এই ইস্যুতে লিখতে হবে। কেন তার নিজেকে বারবার প্রমাণ করতে হবে?
দেশের প্রফেশনালরা কই? জবাব যদি চাইতেই হয় তাদের কাছে চান।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ফাহিম আমার ধারণা অনার্য্য সংগীতের এই লেখাটি ক্ষোভ থেকে লেখা। ক্ষোভটা তাদের প্রতি যারা মনে করে জাফর ইকবাল স্যারের একমাত্র কাজ হচ্ছে লেখা এবং সেটা সবকিছু নিয়ে। যেন দেশের যাবতীয় সমস্যা শুধু তাঁকেই সমাধান করতে হবে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জানি ভাইয়া। আমার মন্তব্যের প্রথম লাইনটা অনার্যদার উদ্দেশ্যে।
বাকিটা ওদেরকে উদ্দেশ্য করে যারা অযৌক্তিক ভাবে জাফর ইকবালকে ভন্ড/সুশীল।আওয়ামী দালাল বলে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কোনো ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলিনি। একটা শ্রেণীকে বলেছি। সেজন্যই কোনো বিশেষ লেখার সূত্র দিচ্ছি না। এই ধরণের কথাগুলো কারা বলে তা তো জানেনই।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ঠিক। ঠিক। ঠিক। জনাব জাফর ইকবাল সাহেব যদি এই জাতির বিবেকের পার্ট করা থেকে রেহাই পেতেন তাহলে আমরা তাঁর কাছ থেকে তাঁর নিজস্বঃ ফিল্ডে নিশ্চয় গবেষণালব্ধ চমৎকার সব জিনিশ পাইতাম। হয়তো আছে কিন্তু আমরা খোঁজও রাখি না।
অসাধারণ...
প্রথমে উল্টো ভেবে একটু চমকে উঠেছিলাম। লেখার সাথে অনেক সুন্দর সুন্দর মন্তব্যও এসেছে।
লেখাটা ভাল হয়েছে , কিছু মন্তব্য না করলেই নয়, প্রথমত একজন ব্যক্তির জন্য কোন আন্দোলন থেমে থাকেনা থাকবেও না , জাফর স্যার শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি উনার নিজস্ব মত দৃষ্টিভংগী থাকতে পারে, তেল গ্যাস ইস্যুতে উনার দৃষ্টিভংগী কি সেইটা উনার আগের কিছু লেখা দেখলেই বোঝা যাবে, একটা কথা জোড় দিয়ে বলতে যাই আন্দোলনের সাথে যেসব রাজনৈতিক কর্মীরা সরাসরি জড়িত তাদের সাথে কথা বলে আমার কখনো মনে হয়নি তাদের আন্দোলনের জন্য কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির সমর্থনের আশায় তারা হাপিত্যেশ করছে , তবে এবারের আন্দোলনে রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের একটা বড় অংশ মাঠে নামায় তারা নিজেদের ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় জাফর স্যারের কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু আশা করে ফেলেছে, এটাকে আমি বলব তাদের রাজনৈতিক জ্ঞান বা প্রজ্ঞার অভাব, দেখেছি অনেকেই এই আন্দোলনকে অরাজনৈতিক আন্দোলন বলছে। এই আশা করাটাকে উচ্চাশা বলা যায় তবে এজন্য তাদেরকে দায়ী করা যায় না ,মানুষ যাকে ভালবাসে তার কাছ থেকেই বেশি আশা করে।
জাফর স্যার আমাদের সবারই অনেক কাছের মানুষ, জামাত শিবির স্যারকে হুমকি দেওয়ার পর, অনেক ছোট থাকতে অনশনে অংশ নিতে সিলেটও গিয়েছিলা্ম , আমি অবশ্যই ব্যক্তিগত ভাবে আশা করি স্যার এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিবেন , কিন্তু তিনি যদি না নেন সেটাকে তার সীমাবদ্ধতা বা ব্যর্থতা মনে করব, যদি আন্দোলনের বিরোধিতা করেন তাহলে তিনি পথভ্রষ্ট হয়েছেন বলে মনে করব, এরপরও তিনি আমার অসম্ভব একজন প্রিয় মানুষ হয়েই থাকবেন।
যাই হোক অনেকে মনে হচ্ছে লেখার মূল থিমটা ধরতে পারেন নি , এদেরকে বুঝানোর জন্য আরেকটা প্যারা যোগ করতে পারেন
বামেদের উচিত আগে এইটা চিন্তা করা যে তারা এতো বছর পরেও সাধারণ মানুষের আস্থা কেন অর্জন করতে পারে না? সমর্থন তো অর্জন করার বিষয়, কান্নাকাটি করে পাওয়ার জিনিস না।
লেখায়
আমাদের একটা সমস্যা হচ্ছে কিছু হইলেই বুঝি না বুঝি আগে বলি জামাত...
এইটা সমস্যা না। এইটা সুস্থতার লক্ষণ।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
দারুন!
চরম ফাটাফাটি জবাব অনিন্দ্য।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হ। আমরা খুব খারাপ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ইদানীং পরিচিত কিছু বামের মধ্যে জামাত মনোভাবের জন্ম দেখতে পারছি। অনার্যদার লেখা পড়ে সেই জিনিসই প্রথম মাথায় এলো।
অলস সময়
উনার মতো নাড়া দেয়ার ক্ষমতা কারো নেই তাই স্যারের প্রতি সবার প্রত্যাশা অনেক বেশী।
লেখার শিরোনাম পড়ার পর, মনে হয়ছিল যিনি লেখাটা লিখছেন তারে কিছু উত্তম- মধ্যম কমু, কিন্তু লেখা পড়ার পরে খুবই ভালো লাগলো। এইটা যদি আপনের এলোমেলো লেখা হয় তাইলে আপনি এলোমেলো লেখাই লিখতে থাকেন।
ঠিক ঠিক--- অণু
শিরোনাম দেখে ভয় পাইছিলাম,পরে পুরাটা পরেই শান্তি পেলাম।
শুরুটা দেখে তো ভয় ই পাইছিলাম!
যাহোক লেখকের সাথে সহমত। বামদের প্রতি আমার একটু দুর্বলতা আছে। কিন্তু তাদের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে যে তারা কোন সমস্যার সমাধানের উপায় বের করতে পারে না। তারা খালি বিপ্লব বোঝে। আমি আমার সীমিত জ্ঞান দিয়ে তাদের একটা পরামর্শ দেই। আপনারা সেই পাকিস্তান আমল থেকে ভালো কথাগুলই বলে আসছেন তারপরও কেন আপনাদের আশেপাশে মানুষ এত কম? কেন আপনারা কোনদিন ঐক্যবদ্ধ হতে পারলেন না? বুঝলাম দেশের মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তরা 'পুঁজিবাদ' দ্বারা প্রভাবিত। কিন্তু সাধারণ মানুষ? তাদের মন কেন পেলেন না কোনদিন? কারন আপনারা নিজেদের মহা পণ্ডিত মনে করেন। মনে করেন যারা আপনাদের চিন্তাধারাকে সমর্থন করে না তারা খারাপ মানুষ। এই আমি ভালো, সবাই খারাপ - এই মনোবৃত্তিকে কি বলে জানেন? 'মৌলবাদ'। একজন জামাত/শিবির কর্মীও মনেপ্রানে বিশ্বাস করে তারা মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করতেসে। তাদের সবাই খারাপ বলে কারন তারা ঘৃণাকে অস্ত্র হিশেবে ব্যবহার করে। এখন আপনারাও যদি কুৎসা রটানো শুরু করেন তাহলে তাদের সাথে আর আপনাদের তো আর কোন পার্থক্য থাকে না।
আপনারা জাফর ইকবাল এর নামে কুৎসা রটিয়ে মানুষকে সচেতন করেননি। যারা তাকে শ্রদ্ধা করে তাদের কাছে খারাপ হয়েছেন। এবং আপনাদের এই মনোবৃত্তিই আপনাদের রাজনৈতিক ভাবে একঘরে করে রেখেছে এতকাল।
আমি আপনাদের তত্ত্বে বিশ্বাস করি। কিন্তু এও বিশ্বাস করি যে প্রত্যেকটি মানুষ তার নিজের বেক্তিসত্তার অধিকারী। সে তার নিজের বিচারবুদ্ধি দিয়ে ভালো খারাপ নির্ণয় করে। তাকে ভালো জিনিশ বোঝাতে না পারা কিন্তু আপনার ব্যার্থতাও প্রকাশ করে।
সুতরাং চুপ থাকা কাউকে গালাগালি না করে নিজেরা মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করুন। জাফর ইকবাল তার যখন ইচ্ছা তখন লিখবেন। না চাইলে লিখবেন না। তাতে তো আর আমাদের হতাশ হওয়ার কথা না। আমাদের কথা আমরা মানুষকে বলে যাব। মানুষ চাইলে শুনবে, না চাইলে শুনবে না। দেশটা তো আমার একার না, সকলের। উদ্ধার ও করবে সকলে, আমি একা না। আমি দুইটা বই বেশি পড়সি তার মানে এই না যে আমার সবাইকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়ার লাইসেন্স আছে।
লেখা ভালো হয়েছে দাদা।
বিষয় নিয়ে কিছু বলার নেই, বিরক্ত লাগে এসব দেখতে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
আমি সমস্ত বুদ্ধিজীবি হইতে জাফর ইকবালকে পৃথক সমীচিন করি । সুতরাং লেখাটি তদানুযায়ী মানানসই
হইয়াছে ।
জাফর ইকবাল স্যার প্রেরিতপুরুষ নন, তার ভুল এবং ত্রুটি হতেই পারে। তিনি সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন। তার সমালোচনা বিভিন্ন ইস্যুতে হতেই পারে। কিন্তু তেল গ্যাস ইস্যুর সমালোচনার আলোচনা যখন ঠেকে এখানে যে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে টিকতে না পেরে চলে এসেছেন, তার সব বই চুরি করে লেখা, (এবার তো তাও তিনি ছাত্রীদের গায়ে হাত দিয়ে নাচানাচি করেন এই পয়েন্টটি কেউ বলেন নি...), তিনি সরকারের দালাল, তিনি মাস্তান বাহিনী পোষেন, দেশকে কী দিয়েছেন এসবে তখন সেটা আর গঠণমূলক সমালোচনা থাকে না। এটি এই কারণে বলছি, কারণ যিনি স্যারের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন (সেই পোস্টটির লেখক, যেটি আবার বিভিন্ন ব্লগে প্রকাশিত হয়ে পরে গায়েব হয়ে যায়... এবং সেটার দোষও স্যারের "মাস্তান বাহিনী"র উপরে গিয়ে পড়ে) এমন না যে তিনি স্যারের এই কথিত দোষগুলোর কথা জানতেন না। কিন্তু তার সাথে কথার মিল না হতেই বেড়িয়ে আসে সেই পোস্ট এবং তাতে লেখকের সাথে সাথে সুর চড়ে মন্তব্যকারীদের। এই ভাবে হুজুগে তাল মিলিয়ে তার মুণ্ডুপাত আর যাই হোক প্রগতিশীল আচরণ নয়।
যাই হোক পরবর্তিতে জেনে গেছেন সবাই যে, স্যার তেল গ্যাস আন্দোলনের সাথেই আছেন, এ বিষয়ে প্রচারিত একটা লিফলেটে তার স্বাক্ষর রয়েছে যেটি অচিরেই প্রকাশ পাবে শোনা গেছে। শেষ কথা এটুকুই, উনি প্রেরিতপুরুষ নন, সব ব্যাপারে তার একটা ফতোয়ার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে সেটা ঠিক নয় আর সেই ফতোয়া না দিলে তাকে শ্মশানে পোড়াতে হবে... এমন চিন্তা দ্বিপদী আধুনিক মানুষের মানায় না।
লেখা (গুড়) হয়েছে!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
যদি তেল গ্যাস আন্দোলনের সাথে সরাসরি যোগ না দেন, তবে??
সেক্ষেত্রে এই কোটেশনের পরের কথাগুলো মনে হচ্ছে প্রযোজ্য।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ভাইরে যোগ না দিলে next a business a loss hoibar pare.aktu mukos to portai hoy.
জনস্বার্থে তেল গ্যাস কয়লা রপ্তানি নিষিদ্ধ আইন জরুরী(function() { var scribd = document.createElement("script"); scribd.type = "text/javascript"; scribd.async = true; scribd.src = "http://www.scribd.com/javascripts/embed_code/inject.js"; var s = document.getElementsByTagName("script")[0]; s.parentNode.insertBefore(scribd, s); })();
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
লাভ নাই তানিম্ভাই। কোনো কিছুতেই কিছু হবে না।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
লেখা ভালো হয়েছে রতন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আমি কি বলব,এই মানুষটা একটা poision . উনার বেশ কিছু বই পড়ে আমার তাই মনে হইছে । এরা হল এক শ্রেণীর লোভী মানুষ যারা নিজেদের স্বার্থ নিয়া বাস্ত।অনেকে আমার কথার বিরোধিতা করবে তাই খুব ছোট একটা উদাহরণ দেই উনি সবাই কে জ্ঞানী বানানর জন্য বই লিখে আর ৮০-১০০ page এর একটা বই এর দাম ১৬০ টাকা । লাভ একটু কম করলে হয় না । বিদ্যা দান কি তার উদ্দেশ্য নাকি ব্যবসা ।
আমি যতদূর জানি বই এর দাম ঠিক করে প্রকাশক, লেখক না। আর তিনি বিদ্যা দান করেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার জন্য তিনি কোন বাড়তি টাকা নেন না। তিনি যদি সত্যিই লোভী হতেন তাহলে আমেরিকা ছেড়ে দেশে আসতেন না। আপনাদের মত অশিক্ষিত আবালদের জন্য জানার জন্য বলি, উনি ফাইবার অপটিক্স এর ওপর পৃথিবীর সেরাদের একজন। তার এই বই বা কলাম না লিখলেও সম্মানের কোন কমতি হবে না। উনি লিখেছেন তাই কতগুলো অকৃতজ্ঞ এখন তাকে গালমন্দ করছে।
আপনার নিকটা একদম 'পার্ফেক্টো'!
বই কি উনি পাবলিশ করেন যে উনি দাম ঠিক করবেন! আপনার কথামত দুনিয়ার তাবৎ লেখকরে গালি দিয়ে ভূত উদ্ধার করে দিতে হবে, কারণ তারা সবাই তাদের বই বিক্রির রয়ালটি নিয়ে "ব্যাবসা" করে, বই মুফতে বিলিয়ে দেয় না। আপনি কামেল আদমী, পয়জন দেখে চিনতে পারছেন, আপনার জন্য আছে কয়েক লেয়ারের বেহেশত।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ভাই ”উন্মাদ ৯৭”, আপনার মন্তব্যটা কেন জানিনা গ্রহনযোগ্য মনে করতে পারলামনা, সেটা বলতেই হলো!
আপনার জ্ঞানের পরিধি দেখে আমি মুগ্ধ। বই এর দাম এর দায়িত্ব লেখকের না, প্রকাশকের। দাম কম-বেশী, ব্যবসা কম-বেশি এইগুলা হচ্ছে প্রকাশকের ব্যপার।
দেশের ব্যপারে আপনার অবদান জানতে ইচ্ছুক। কম মুল্যে কত জ্ঞান বিতরন করেছেন? আপনি চাকুরিজীবি হলে আপনার দায়িত্ব কতটা সঠিকভাবে পালন করে দেশকে কতটা সাপোর্ট দিয়েছেন? স্টুডেন্ট হলে দেশের ভবিষ্যত গড়তে কতদূর এগিয়েছেন? মানুষের গীবত করা ছাড়া উল্লেখযোগ্য আর কি কি করেছেন?
অনভালভাবে কোনকিছু না জেনেই যে কারো সম্পর্কে (বিশেষ করে জাফর ইকবাল স্যারের মত লোকদের বিপক্ষে) মন্তব্য করাটা একটা জাতীয় সমস্যায় পরিনত হয়েছে। নিজে কিছু না করে অন্যের দোষ বের করাও অনেকের স্বভাব হয়ে গেছে। কথা বলার লোকের অভাব নেই, অভাব শুধু কাজ করার লোক। দেশের সব সমস্যা কিভাবে ১ সপ্তাহে সমাধান করে ফেলা যাবে সেই প্ল্যান দেয়ার লোক পাওয়া যাবে প্রতিটি ঘরে/দোকানে, কিন্তু সেই প্ল্যান অনুযায়ী কাজ করতে গেলে সহজে কাঊকে পাওয়া যাবে না। তা না হলে একজন জাফর ইকবাল স্যারকে এত কিছু করতে হয় কেন? যারা নেটে উনার বদনাম করে টাইম পাস করে তারা দেশের জন্য সেই টাইমটা ব্যবহার করলে দেশ আরো উপরে উঠে যেত।
আমি নিয়মিত ব্লগ পড়িনা। শুধু ফেসবুকে শেয়ার করাগুলো ছাড়া। তাও, শুধুই পড়ি,কখ্খনোই কিচ্ছু লিখিনা। কিন্তু এই লেখাটা পড়ে লিখতে বাধ্য হলাম। সত্যি একেবারে আমাদের মনের কথাটাই লিখেছেন লেখক।
আমার লেখার মূল কারণ হল পাঠকদের ধন্যবাদ দেয়া। অত্যন্ত মার্জিত ভাষায় কমেন্ট লেখার জন্য।আমার মনে হয় আমি এর আগে যত কমেন্ট পড়েছি তার সবই ছিল নোঙরা আর কুতসিত ভাষায়। এটা পড়ে মনে হল ব্লগে আসলেই শুভবুদ্ধির চর্চা হয়।
চমৎকার হয়েছে।
কিছু লোক আছেন যারা অন্যের দোষ ধরা ছাড়া অন্য কোন কাজে তেমন পারদর্শি না। যারা অভিযোগ করেছে আমি তাদেরকে মোটামোটি চিনি।
অসাধারণ লিখা হইসে
মুহম্মদ জাফর ইকবাল কোন সমালোচনার উর্ধ্বে মানুষ না। তিনি ভুল করতেই পারেন এবং সেজন্য সমালোচনাও করা যেতে পারে।
কিন্তু যেভাবে, যেসব তথ্য কিংবা যুক্তির ভিত্তিতে সমালোচনা করা হলো, তাতে বিরক্তি ছাড়া কিছুই আসলো না। জেনেরালাইজেশনের ঝুঁকি থাকে তবু বলি- বামপন্থী (যদিও শুনতে পেলাম শব্দটার ব্যবহার নাকি ঠিক নেই, সেক্ষেত্রে কম্যুনিস্টই সই) দের সবকিছুকে এক টেমপ্লেটে ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই বামপন্থী (স্পেসিফিক্যালি ছাত্র ফ্রন্ট) রাজনীতির একই ছক, একই কথা শুনতে শুনতে ক্লান্ত, বিরক্ত। তথাকথিত মূলধারার দলগুলির ইতরামির বিরুদ্ধে দারুণ একটা জবাব হতে পারতো এই দলগুলিই, কিন্তু সম্ভবত এইসব কারণেই অনেকে ভরসা করতে পারেন না।
আশা করবো তাঁরা আবেগ আর টেমপ্লেটের বাইরে বের হয়ে এসে সবকিছুকে দেখবেন- এতে আখেরে লাভ সবারই।
অলমিতি বিস্তারেণ
অনেকেই দেখলাম জাফর ইকবাল তেল গ্যাস নিয়া কিছু লিখছেন না বা করছেন না - এর যুক্তি হিসেবে বলছেন ওনাকে কেন বলতেই হবে। তেল গ্যাস নিয়া কিছু না বলাটা অপরাধ কিনা!!!! উনি চার দলীয় আমলে গ্যাস রপ্তানির আন্দোলনে ব্যাপক সরব ছিলেন। সেই সময় লংমার্চেও উনি বক্তব্য দিয়েছিলেন। আজ উনি নীরব কেন??? এই প্রশ্ন করা আপনাদের মতে বড় অপরাধ!!! মুক্তিযুদ্ধ উনি লিজ নেন নাই যে উনার কোন আচারনের বিরোধীতা করলেই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী শক্তি হিসেবে ট্যাগ খেতে হবে!!! আওয়ামীলীগ কত গুলো হরতাল করেছে, তার কয়টা হরতালের বিরোধিতা উনি করেছেন??? আজ জাতীয় কমিটি হরতাল করার কারনে, এর কর্মীদের উনি চা বিস্কুট খাইয়া হরতাল করেন বলে ঘোষনা দেন - এই কর্মীদেরকেই উনি গত গ্যাস রপ্তানি বিরোধী আন্দোলনে দেশের সম্পদ বলেছিলেন!!
তমাল, জাফর স্যারের প্রতি আপনার মন্তব্য/বিদ্বেষ সবই আপনার ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এসেছে। জবাব দেয়ার প্রয়োজনিয়তা বোধ করছি না।
শুধু একটা ব্যপার বলে রাখি, জামাত ট্যাগটা দিয়েছি অন্ধ আক্রোশে খড়কুটো ধরে চিল্লানো এবং সুদখোর বিষয়ে সচেতনতার জন্য।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমার বিদ্বেষ আপনি কোথায় দেখলেন, বুঝাইয়া বলেন। আমি কি ভুল/ মিথ্যা বলছি?? আমার ভুল হইলে আমি মানতে রাজি আছি। আপনি আবারও ট্যাগ করছেন। আমি তেল-গ্যাস আন্দোলনের একজন কর্মী হিসেবে উনি যদি আমাকে চা-বিস্কুট খাওয়া কর্মী বলেন আমি সেইটা বলতে পারব না!!!! জতীয় কমিটি হরতালের ডাক দিয়েছেন বলে উনি নাখোশ হয়েছেন, কাজেই অন্য হরতাল বিষয়ে উনার বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করাটা আক্রোশ!!!! আপনার বক্তব্যের সাথে একমত না হলেই ব্যক্তিগত আক্রোশ হয়ে যায়????
আপনি মিথ্যা বলেছেন কিনা খুব তদন্ত করে দেখিনি। তবে নিশ্চিত ভাবেই রঙ চড়িয়েছেন। আপনি রঙ চড়িয়েছেন তখন যখন জাফর স্যারকে দিয়ে আপনার কাজ উদ্ধার হয়নি। আপনার কাজ উদ্ধার হলে আর রঙ চড়াতেন না। জাফর স্যারের অসংখ্য খারাপ দিকও আপনার চোখে পড়ত না। খুব সংক্ষেপে বলি। (আপনার এখানকার কমেন্ট ধরেই বলছি। পূর্বে আপনারা কী লিখেছেন/বলেছেন সেদিকে না যাই। সেদিকে গেলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে!)
আজকে উনি নিরব সেটা আপনার কেনো মনে হচ্ছে? আপনাদের সভায় যোগ দেননি বলে? উনি তো আসলে নিরব নন। উনি যথেষ্ঠই সরব। আপনারা হাজার জনে মিলে যতটুকু সরব উনি একাই ওনার একটি মাত্র লেখায়/কথায় তার থেকে হাজার গুণে বেশি সরব। তবে ওনার সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মীদের মৌলিক তফাত আছে। রাজনৈতিক কর্মীরা নেতার কথাকে ধ্রুব সত্য ধরে বিপ্লবে(!) ঝাঁপিয়ে পড়েন। উনি সেটা করতে পারেন না। ওনাকে দেখতে হয়, বুঝতে হয়, তারপর দেশের মানুষকে বলতে হয়!
তবে আপনার কথার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতটি আমি আন্দাজ করতে পারি। আপনি সম্ভবত বলতে চাইছেন, উনি বিএনপিকে বলেন, আওয়ামীলীগকে কিছু বলেন না। একটু চোখ রগড়ে নিন। স্পষ্ট দেখতে পাবেন উনি আওয়ামীলীগেরও যথেষ্ট সমালোচনা করেন। তবে সেটা কথা নয়। উনি কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক সেটা এই আলোচনার বিষয়বস্তু নয়। সেটা নিয়ে তর্ক হতে পারে। সেই বিষয়ে আমি খুব ভালো জানিও না।
আমি বলতে চাইছি, আপনার মনে হয়েছে উনি আওয়ামী সমর্থক। তাই তেল গ্যাস নিয়ে এই আমলে কিছু বলছেন না। আর সেটাই আপনার গাত্রদাহের কারণ। আপনার কারনটি আপনার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে এসেছে। আমার দৃষ্টিতে তাই এটি আপনার ব্যক্তিগত আক্রোশ।
এখানেও সেই একই সমস্যা। আওয়ামীলীগকে কেনো উনি কিছু বলেন না! আমার জবাব আপনার সমস্যা মেটাবে না। কারণ আপনি জানতে চাইছেন না। আপনি অভিযোগ করছেন এবং চাইছেন যেনো কেউ আপনার অভিযোগের জবাব না দিতে পারে। আমি অন্য সব পাঠকের জন্য জবাব দিতে চাই, যারা আসলে জানতে চাইছেন।
উনি মাঠে নেমে হরতালের বিরোধীতা করেছেন বলে আমার জানা নেই। উনি হরতাল নিয়ে কথা বলেছেন আপনাদের সঙ্গে (জানিনা আপনাদের কথোপকথন কতটুকু সত্য! সেটাকে সত্যি ধরে নিয়েই বলছি)। আপনারা ওনার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন বলেই উনি ওনার দ্বিমত আপনাদেরকে জানিয়েছেন। আপনাদের হরতাল উনি সমর্থন করেন না সেটা ব্যক্তিগত আলাপে আপনারা জেনে গেছেন। অন্য দিকে আওয়ামী হরতালের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডার কোনো বিলবোর্ড উনি লাগাননি। সেজন্য উনি আওয়ামী হরতালের সমর্থক হয়ে গেলেন? পরিমল জয়ধরের ব্যপারটা নিয়ে এই সচলে কয়েকটি পোস্ট এসেছে যারা অনেকেই বিএনপির আমলের ধর্ষকদের নিয়ে কিছু লেখেন নি। তারমানে কি ওনারা ওইসব ধর্ষকদের পক্ষে!
এই সহজ ব্যপারগুলো আপনার চোখে পড়ছে না। কারণ আপনি খুব রেগে আছেন। আপনার ক্ষোভ আপনার 'উপর থেকে' দেখার চোখকে নষ্ট করে দিয়েছে (যদি সেটা স্বাভাবিক অবস্থায় আপনার থেকে থাকে!)। আপনাকে মৌলবাদী বলার কারণও ওটাই।
চোখ বন্ধ করে রাখলে বুঝিয়ে বলা খুব মুস্কিল! (আপনাতের ভাষ্যমতে) উনি কথা ছিল এরকম, "তোমরা তো মিছিল করে চা-পানি খেয়ে চলে যাও। দেশের যে ক্ষতি হচ্ছে সে খোঁজ রাখো!"
আপনারা সেটাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নানাভাবে রঙ চড়িয়েছেন। ওনার কথাকে বিকৃত করেছেন এভাবে, "উনি তো তেল গ্যাস রক্ষার আন্দোলনের কর্মীদের চা-বিস্কুট খাওয়া কর্মী বলেন" অথবা, "উনি তো দেশ রক্ষার আন্দোলনকে চা বিস্কুট খাওয়া আন্দোলন বলেন" অথবা "উনি তো তেল গ্যাস রক্ষার আন্দোলন কে ফালতু আন্দোলন মনে করেন" অথবা... (আরো নানা রকমের নিশ্চয়ই আছে। কী বলেন?)
ওনার আসল কথাটি আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। কিন্তু সেটি স্বীকার করতে চান না। সেটি স্বীকার করলে এটাকে ইস্যু বানানো যায় না। আরিফের কার্টুনের কথা মনে আছে? খুব স্পষ্টতই আরিফ ধর্মকে ব্যঙ্গ করেনি। কিন্তু সেটি স্বীকার করলে ওই কার্টুনকে ইস্যু বানিয়ে ফায়দা লোটা যায় না। আপনাদের অবস্থাটিও সেরকম।
(যদিও উনি শুদ্ধ বাংলাতেই কথা বলেছেন। বাংলাকে কিভাবে বাংলা করে আমার জানা নেই। আর উনি বোধহয় রাজনৈতিক প্যাঁচঘোচ ভালো বোঝেন না। এজন্যই কোন কথাটা কীভাবে ইস্যু হতে পারে ভাবেন না। এটা ওনার অপরাধ বটে!) ওনার কথাকে আরো খানিকটা সরলীকরণ করলে এরকম ভাবে বলা যায়: তোমরা তো হরতাল ডেকে সেটা পালন করতে পারলেই খুশি (হোক সেটা কোনো প্রয়োজনীয় দাবী আদায়ের জন্য)। কিন্তু তার ফলাফল হিসেবে দেশের কতদিক থেকে কতটা ক্ষতি হচ্ছে সেটা কী খোঁজ করো? সেই বিষয়গুলি কী তোমাদেরকে ভাবায়? মানুষকে এক করার, দাবীর জন্য আন্দোলন করার অন্য কোন উপায় কী নেই!
নিশ্চিত উনি এই কথাটি বলেছেন ওনার হরতাল বিরোধী অবস্থান থেকেই। তেল গ্যাস রক্ষার বিরোধীতা উনি কখনোই করেন নি। লক্ষ্য করুন, উনি কিন্তু ঠিকই তেল গ্যাস রক্ষার পক্ষে আছেন। বিপক্ষে তো নয়ই, এমনকি নিরবও নন। কিন্তু তিনি হরতাল ডাকছেন না।
আপনার আরেকটা সমস্যা হচ্ছে, আন্দোলনটিকে নিজের সম্পত্তি ধরে নেয়া। আন্দোলনে যোগ দেয়া প্রতিটি মানুষকে (আন্দোলনের বাইরেও) নিজেদের মতবাদে বিশ্বাসী বলে ধরে নেয়া। আল্লাহকে যেমন জামাত নিজের সম্পত্তি ভাবে সেরকম। ব্যপারটা একই সঙ্গে হাস্যকর, বিরক্তিকর এবং নোংরা। স্যার যেই আন্দোলনকারীদের দেশের সম্পদ বলে মনে করেন, আপনি ধরে নিয়েছেন তারা আপনাদের পেছনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আপনার ধরণা হয়েছে আপনিও তাদের একজন। বড্ড ভুল করেছেন। আপনি তাদের একজন যাদের জন্য আমার মতো সাধারণের বামপন্থা থেকে আস্থা উঠে যাবে। যাদেরকে আমি মুক্তচিন্তার মানুষ বলে ভাবতাম। আমি বিশ্বাস করতাম যারা দেশের সঙ্কটে এগিয়ে আসবে সত্যিকারের দেশ প্রেম থেকে, কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। আপনার জন্য আমি এখন থেকে তাদেরকে সন্দেহ করতে শুরু করব। আমার বিশ্বাস নষ্ট করে দেবার জন্যে আপনার প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করে গেলাম।
আমার আরো অনেক কিছু লেখার ছিল। কিন্তু আপনাকে যুক্তি দেখিয়ে লাভ নেই। যে বিশ্বাস নিয়ে আপনি আছেন সেটি আপনাকে বাঁচিয়ে রাখে। সেই বিশ্বাস টলে গেলে আপনার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাবে। তাই আপনার বিশ্বাস ভ্রান্ত নাকি সত্য সেটি যাচাই করে দেখার সাহস আপনার নেই। সেজন্যই আপনি কোনো যুক্তি মানবেন না।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ব্যাক্তির উপর চরম বিশ্বাস নিয়ে আছেন আপনারা আমি নই। তাই আপনারা একজনকে ঈশ্বর বানান। সেই ঈশ্বরের কোন সমালোচনা হইলে বিশ্বাসের ভিত টলে যাবার ভয়ে শংকিত থাকেন!! আপনার সাহসের পরীক্ষা নিতে আমি বসে নাই।
আমি অবশ্যই একটা রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং আমার দেশপ্রেম সেই রাজনৈতিক মতাদর্শ থেকেই আশা। এইটা প্রকাশ করতে আমি দ্বিধান্বিত না কারন রাজনৈতিক মতাদর্শ একটা সামগ্রিক বিষয় হিসেবেই আমি নিয়েছি।
আপনার কথামত উনি হরতালে দেশের ক্ষতি হয় সেটা বুঝানোর জন্য অই মন্তব্যটি করেছেন। জাতীয় কমিটি শুধু এই বার ই প্রথম হরতাল করে নাই। বিএনপি আমলেও করেছে, সেইটা মনে হয় আপনারা ভুলে গেছেন!!!! হরতালে দেশের ক্ষতি উনি দেখলেন কিন্তু সেই হরতালে সরকারের আচারন নিয়া কোন মন্তব্য আমরা শুনলাম না!!!!!
আমি কোন জায়গায় এই আন্দোলনকে আমার সম্পত্তি বলছি বুঝাইয়ে বলেন। নিজের বুঝ আর এক জনের উপর ফেলটা মনে হয় ঠিক না।
আর জাফর ইকবালেরা এই আমলে ২ ১/২ বছরে কত তীব্র আন্দোলন করেছেন তা আমরা দেখতে পেয়েছি। শেষে উনি আরও কয়েক জনের সাথে রপ্তানি নিষিদ্ধকরনের অনুরোধ জানাইয়া একটা লেখা লিখছেন -সেই লেখার বিভিন্ন বিষয় নিয়া যারা দীর্ঘ দিন যাবত এই ইস্যু নিয়া কাজ করেছেব তারা বিশ্লেষন করেছেন। সময় থাকলে সেইগুলো একটু পইরেন তাইলে বুঝবেন কত তীব্র তার আন্দোলনের ভাষা।
হয় নাই। জাফর স্যার একজন মন্দ লোক প্রমাণ হওয়া মাত্র আমি ১৮০⁰ ঘুরে যাবো। তখন আমি বলে বেড়াবো, যে এতদিন জানতাম উনি খুব ভালো লোক কিন্তু এখন দেখলাম 'এই' কারণে খারাপ। আপনার সঙ্গে আমার পার্থক্য হচ্ছে শুধুমাত্র উনি আমার রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী নন বলে আমি ওনার পেছনে লাগিনাই।
আপনি মৌলবাদী এজন্য যে, আপনার রাজনৈতিক বিশ্বাস যে ভুল হতে পারে। অথবা আপনার রাজনৈতিক দল/নেতারা যে কোনো ভুল করতে পারে সেটা আপনি বিশ্বাস করেন না। এবং রাজনৈতিক কর্মী হিসেবেই আপনার রাজনৈতিক বিশ্বাসে যারা বিশ্বাসী নয় তাদের উপর আপনার ক্ষোভ চিরন্তন। ঠিক যে কারণে জাফর স্যারের উপর আপনি/আপনারা ক্ষ্যাপা।
মোদ্দা কথা হচ্ছে এই, জাফর স্যারের উপর আপনাদের রাগ ক্ষোভ সবই রাজনৈতিক বোধ/উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
আমি বুঝিয়েই বলেছি। আপনি বুঝতে চাচ্ছেন না। বুঝলে আপনার সমস্যা আছে! সাধারণ পাঠকের জন্য সংক্ষেপে বলি, জাফর স্যার আপনাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথোপকথনে আপনাদেরকে যা বলেছেন আপনারা সেটা নিয়ে ফেলেছেন সকল আন্দোলনকারীর উপর! কী চরম বিনোদন!
আজকে যদি কেউ আমাকে মন্দ বলে, আর আমি ঘোষণা দিয়ে বেড়াই যে সে সকল ব্লগারকে মন্দ বলেছে তাহলে ব্যপারটা যেরকম হবে, আপনাদের ব্যপারটাও সেরকম! এলা থামেন। নিজেদেরকে অতো গুরুত্বপূর্ণ ভাবার কিছু নাই। একদল দেখলাম বলে বেড়াচ্ছে একটি বিশেষ দল তেল গ্যাস রক্ষার আন্দোলনের কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সেটাও মারাত্বক বিনোদন। এবং একই সঙ্গে নোংরা। সাধারণের আন্দোলনকে যারা নিজের দলের আন্দোলন বলে তাদের দেখলে ঘেন্না লাগে। এই দেশের প্রতি ১০০ জনের একজনও এই দলের নাম জানে না। এদের মতাদর্শ কী তা জানে না!
তেল গ্যাস রক্ষার আন্দোলনের সব দূর্বলতার জন্য এইসব রাজনৈতিক ফায়দা লোটা গোষ্ঠী দায়ী!
শেষ পর্যায়ে দেখলাম জাফর স্যারের ভাষা কতটা শক্ত কিংবা নরম সেটা নিয়ে আপনাদের অভিযোগ। আপনারা তো বিনোদনের উপরে বিনোদন! হাসতে হাসতে মানুষের রোজা ভেঙে যাবে আপনাদের বক্তব্য শুনলে! জাফর স্যার কতটা কড়া ভাষায় কাকে বকা দিলেন সেটা একটা ইস্যু! ট্রাম্প কার্ড ফুরিয়ে এসেছে দেখা যায় আপনাদের। এইবার বাদ দিন। পরে আবার নতুন কোনো ইস্যু নিয়ে শুরু করবেন। কে না জানে, রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই!
অনেক উপকার করলেন এই কথাটা বলে। আপনার দেশপ্রেম যে আপনার রাজনৈতিক বিশ্বাস থেকে এসেছে জেনে নাকমুখ কুঁচকিয়ে বুঝতে পারলাম এইরকম মারাত্মক দেশপ্রেমিকের সঙ্গে কথা বলে সময়ের কী বিপুল অপচয়টাই না করেছি এতক্ষণ! কী বোকার মতই না আমি ভেবে বসেছিলাম আপনার রাজনৈতিক আদর্শ এসেছে আপনার দেশপ্রেম থেকে, তার উল্টোটা নয়!
আপনার চাইতে জামাতও ভালো। এদের রাজনীতি এসেছে ধর্ম/ঈশ্বরে বিশ্বাস থেকে। রাজনীতি করে বলেই এরা কোনো ধর্মে/ঈশ্বরে বিশ্বাসী নয়!
হাঁ ঈশ্বর! কার সঙ্গেই না তর্ক করছিলাম এতক্ষণ!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমারও এখন মনে হচ্ছে কার সাথে তর্ক করতেছিলাম!!! উনি জাতীয় কমিটি এবং সেই কমিটির কর্মসূচী নিয়া মন্তব্য করলেন আর আপনি কইলেন যে উনি শুধু একটা রাজনৈতিক গ্রুপ বা আমাদের নিয়া বলছেন!!!! বিনোদন এইবার কে দিতেছে!!!! অই হরতাল তো জাতীয় কমিটি ডাকে নাই শুধু আমরা ডাকছি!!!!!!
আমার রাজনৈতিক বোধ থেকেই আমার দেশপ্রেম আসছে কারন আমি এই বোধটাকে গ্রহন করছি সেইটা দেশ এবং মানুষের স্বার্থবোধক বলেই। তবে আমি অই দেশপ্রেমিক না যে চুক্তি কইরা নিজেরে দেশপ্রেমিক বইলা পরিচয় দিমু অথবা ৯ টা ব্লকের চুক্তি না কইরা ২ টা ব্লকের চুক্তি কইরা সরকার যে খুবই জনস্বার্থের পক্ষে ভূমিকা রাখছে সেই ঘোষনা দিয়া নিজেরে আন্দোলনের পক্ষের বইলা প্রমান করতে চামু।
এইরে! এতোদিন তো জানতাম উনি আপনাদের সভায় যেতে রাজি হননি। আর ওনার আপনাদের দল পছন্দ নয়!
ওনার বক্তব্যের নতুন করে ডালপালা গজাচ্ছে তা তো খেয়াল করিনি! তা হবেও বা! রাজনীতি আমি জাফর স্যারের চাইতেও কম বুঝি! আফসোস! দেশের কল্যাণ করার কোনো সুযোগ রইলো না আমার আর!!!
কী সর্বনাশ! আপনি আবারো বলতেছেন, "আপনার রাজনৈতিক বোধ থেকে আপনার দেশপ্রেম আসছে"!!! আমি ভাবছিলাম প্রথমবার ওটা আপনি ভুলে লিখে ফেলেছিলেন। অন্তত আপনার দলের অফিসের বাইরে পাবলিক ফোরামে ওই কথা বলতে চাননি।
আপনার দেশপ্রেম নিয়ে আর কোনো সন্দেহই রইলো না। আরো একবার বলে আপনি একেবারে আমার সব ভ্রম কাটিয়ে দিলেন। আপনার রাজনীতির জন্য আপনার দেশপ্রেম। দেশের জন্য রাজনীতি না! সাবাস। সত্য বলার সৎ সাহস কয়জন রাজনীতি ব্যবসায়ীর হয়!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
"ওনার বক্তব্যের নতুন করে ডালপালা গজাচ্ছে তা তো খেয়াল করিনি! তা হবেও বা! রাজনীতি আমি জাফর স্যারের চাইতেও কম বুঝি! আফসোস! দেশের কল্যাণ করার কোনো সুযোগ রইলো না আমার আর!!!"
উনি কোন দলের অনুষ্ঠানে না যাওয়া নিয়া আমি কোন কথাই বলি নাই। আমি আমার প্রথম কমেন্টেই হরতাল নিয়া উনার বক্তব্য নিয়া কথা কইছি। আপনি মনে হয় উত্তেজনায় সেইটা খেয়াল করেন নাই। যদিও আপনি হরতাল নিয়া তার বক্তব্যের একটা ব্যাখ্যা দিছিলেন তারপরেও ভুইলা গেলেন!!!! আমি শেষ কমেন্টে কোন জায়গায় ডালপালা তৈরি করলাম!!!!
আপনি আবার আমার খন্ডিত বক্তব্য দিছেন। আমার কমেন্ট ছিল "আমার রাজনৈতিক বোধ থেকেই আমার দেশপ্রেম আসছে কারন আমি এই বোধটাকে গ্রহন করছি সেইটা দেশ এবং মানুষের স্বার্থবোধক বলেই।" আপনি শুধু প্রথম অংশটা কোট করলেন কোন উদ্দেশ্যে!!!???
আর জাফর ইকবালের শেষ লেখটায় আপনি খুবই তীব্র প্রতিবাদ/ আন্দোলন খুইজা পাইছেন শুইনা খুশি হইলাম!!! যদিও ৯ টা ব্লকের জায়গায় ২ টা ব্লক ইজারা দেওয়াটা উনাদের ভাষায় একটা ভাল লক্ষন!!!! উনাদের লেখাটা একটু ভাল কইরা পরেন। এইরকম আরও কিছু বিষয় আশা করি আপনি নিজেই খুজে পাবেন যদি শুধু ভক্তিবাদ থেকে বাইর হইতে পারেন।
যেহেতু তাল গাছ আর তাল দুইটাই আপনার তাই এইটাই আমার শেষ মন্তব্য।
উফ! ভালো যন্ত্রনায় পড়া গেলো। কতবার কতভাবে বুঝিয়ে পারা যায়! তবে কিনা বেশ শান্তি পাচ্ছি মাঠ ছেড়েছেন দেখে! আরেকটু কাণ্ডজ্ঞান থাকলে আরো আগেই ছাড়তেন। যাই হোক মূল কথায় আসি।
উনি জাতীয় কমিটি নিয়ে কোথায় কী বললেন! বললেন তো সব "তোমরা/তোমাদের" উল্লেখ করে! জাতীয় কমিটির আন্দোলন নিয়ে উনি কোথায় কী বললেন! বললেন তো স্রেফ হরতালে ওনার সমর্থন নেই সেটা! হাঁ হরি! রাজনীতি'তে কতটা কথা বাঁকালে ঠিকঠিক বাঁকা বলে তাকে? যতখানি বাঁকালে নিজামী বলে তারাই স্বাধীাতা এনেছে তারাই রক্ষা করবে ততটা? নাকি যতখানি বাঁকালে কোনো বিশেষ নামস্বর্বস্ব রাজনৈতিক দলের গুটিকয় কর্মীকে দেখানো স্যারে যুক্তি পুরো জাতির জাতীয় কমিটির ঘাড়ে পড়ে ততখানি!
তাই বলছিলাম, ডালপালা গজাচ্ছে! তবে সেটা আমার খানিকটা ভুল হয়েছে। আমার বলা উচিত ছিল ডানা গজাচ্ছে, আর সেই ডানা মেলে বক্তব্য সমানে পল্টি খাচ্ছে!
এটা অন্তত আপনি আপনার এখানের কোনো মন্তব্যে অবশ্যই বলেন নাই। আমি এই কথাটি বলেছি আমার বক্তব্যে। উনি আপনাদের চক্ষুশূল হয়েছেন যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেটির কথা বলেছি আমি। উদ্ধৃতি দেই,
আমি আমার বক্তব্যে এটার কথাই বলেছি। ওই বিশেষ রাজনৈতিক দলের সভায় না যাওয়াতেই তো আপনাদের সব ক্ষোভ! ওই ঘটনার পর থেকেই তো আপনারা স্বপ্নে আদিষ্ট হলেন জাফর স্যার কতো মন্দ লোক! তাইনা?
পুরো অংশ কোট করলে তাতে আপনার বক্তব্য বদলে যায় না। আমার বক্তব্যের জন্য ওটুকু প্রয়োজন ছিল তাই সেটুকুই কোট করলাম। আগ্রহী পাঠক চাইলেই আপনার আসল বক্তব্য দেখতে পারতেন।
যাকগে আপনার মনোবেদনা কমাতে পুরোটা কোট করি আবার,
প্রথমত, আপনার দেশপ্রেম আসছে আপনার রাজনৈতিক বোধ থেকে। মানে আপনার রাজনৈতিক বোধে যদি দেশপ্রেম না থাকতো তাহলে আপনার দেশপ্রেম আসতো না। আপনার রাজনৈতিক বোধে যদি মানুষ খুন করা থাকতো তাহলে আপনি মানুষ খুন করতেন। আমাদের বড্ড সৌভাগ্য আপনার রাজনৈতিক নীতিমালায় লেখা আছে "দেশকে ভালোবাসুন"। তাইতো আমরা আপনার মতো একজন দেশপ্রেমিক পেলাম! তা না হলে কী যে হতো! ভাবতেই আমার হাত পা...
পরের লাইনে বলছেন, আপনি ওই বোধ গ্রহন করেছেন সেটা দেশ ও মানুষের জন্য ভালো বলেই। এইখানে বড্ড গোল লেগে গেল! আপনি একবার বলছেন রাজনীতি আগে, সেখানে দেশপ্রেম ছিল বলে দেশপ্রেম জেগেছে আপনার! আবার বলেছেন, দেশপ্রেম ছিল বলেই আপনার রাজনীতির বোধ! কী বিপদ!
আমি বাংলার ছাত্র নই। তারপরও আমি আমার মায়ের ভাষা অন্তত বুঝতে এবং শুদ্ধভাবে বলতে পরার মতো শিখেছি। রাজনীতি করে দেশোদ্ধার করে ফেলার আগে ভাষাটা শেখা প্রয়োজন কী বলেন? ভাষার প্রতি ভালোবাসায় না হোক, অন্তত পাবলিক ফোরামে ইজ্জত রক্ষার জন্যে হলেও, নাকি?
এটাকে বলে আরোপিত বক্তব্য! তাও আবার রাজনীতির স্বার্থে! আমি কোথাও ওনার কথায় তীব্র প্রতিবাদ খুঁজতে যাই নি। উনি তেল গ্যাস রক্ষার বিরোধিতা করলে আমার খারাপ লাগতো। কিন্তু ওনার ঘাড়ে আমি প্রতিবাদ করার দায় চাপিয়ে দেইনি। আমি কেবল আশা করেছিলাম উনি কিছু বলবেন। আমার পুরোটা লেখা জুড়ে আমি এটাই বোঝাতে চেয়েছি, তেল গ্যাস রক্ষা নিয়ে উনি কিছু না বললে সেটা ওনার অপরাধ নয়। তেল গ্যাস রক্ষার বিরোধিতা করলে সেটা হয়তো খারাপ হতো। যে কথাটি আস্ত ব্লগ জুড়ে বলার চেষ্টা করেছি সেটি আবার মন্তব্যে বোঝানোর চেষ্টা না করি। বিশেষত যখন জানি যে আপনি রাজনৈতিক কর্মী!
খুদাপেজ। লেজ দেখতে চাইনা বলে মুখ ফিরিয়ে নিলাম। কেবল বলে রাখি, তাল এবং তালগাছের সঙ্গে সঙ্গে দেশটাও আমার। আপনারা যত দ্রুত পিঠটান দেন ততই ভালো।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
লাফানো মন্তব্য।______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
স্যার এটা বলে থাকলে সাপোর্ট করতে পারছি না। ঘটনা কী ঘটেছিলো জানেন (কোন ব্লগে এসেছিল বা অন্য কোথাও)?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সবজান্তা ভাই যেহেতু মনে করেন মূলধারার দলের বিরূদ্ধে তারাই একটা জবাব হতে পারত কিন্তু একই টেমপ্লেটে একই কথা বলার কারনে মানুষ ভরসা করতে পারে না - সেই ক্ষেত্রে আপনি তো ছাত্রফ্রন্টকে কিছু পরামর্শ দিতে পারতেন কিভাবে এই টেমপ্লেট থিকা বের হয়ওয়া যাইতে পারত......
পরামর্শ দেওয়ার তো কিছু নাই। তাঁদের অনেকেই আমার চে বয়সে বড়, পড়াশোনাও বেশি- তাঁরা যদি নিজেরা না বুঝে আমার বলাতে কী হবে সন্দেহ আছে। আর পরমার্শর কথা যদি বলেনই সেইটা তো মনে হয় আমি বলেই দিসি...
অলমিতি বিস্তারেণ
আমি কিছু না বলি যা মানুষের মাঝে ডুকে গেছে তা বদলাতে সময় লাগবে।সময় সব বলবে।
যাই হোক একজন আমাকে "অশিক্ষিত আবালদের" বলছে।উনি হয়তো নিজের পরিচয় নিজেই দিছে।কারও শিক্ষাগত যোগ্যতা না জানে কিছু বলার আগে ভাবা উচিত।
তেল গ্যাস নিয়া কথা অনেক দিন হল চলতেছে উনি একজন এই ব্যাপারে পুরান সৈনিক এত দিন কি উনি কিছুই জানত না। যখন দেখল উনাকে নিয়া কথা হচ্ছে তখন একটা "বার্তা" লিখে সাধু হয়ে গেলেন এতদিন কি হাতে ব্যথা ছিল। বলা হইছে উনি "ফাইবার অপটিক্স এর ওপর পৃথিবীর সেরাদের একজন " আপনি কি আমাকে উনার এই ব্যাপারে উনার কোন মৌলিক papers দেখাতে পারবেন ? জানার সল্পতার কারণে কাউকে "পৃথিবীর সেরাদের একজন" বলবেন না। ঐ জায়গা এত সস্তা না।
বিদেশ থেকে কেউ দেশে আসলেই সে দেশের জন্য আহামরি ভালবাসা নিয়া আসছে তা কে জানে? বিদেশ কেউ
৫০০০ ডলার আয় করে যদি মাসে তাইলে দেশে সে ১০০০০ ডলার পাইলে কেন ওখানে থাকবে। বিদেশে একবার গেলে বুজবেন কেন শিক্ষিত লোকরা দেশে ফিরে আসে।
যোগ্য নিকই নিয়েছেন। সেটা কথা নয়, কথা হচ্ছে আপনি যদি সুস্থ যুক্তিতে জাফর স্যারকে মন্দ লোক প্রমাণ করেন, আমার কাছে জবাব না থাকলে আমি মেনে নেবো।
জাফর স্যারের পাবলিকেশন দেখতে চেয়েছন। দেখাতে পারলে কি আপনি মেনে নেবেন যে উনি আসলেও যোগ্য? নাকি বলবেন, যে ওরকম কয়েকটা পাবলিকেশনে কিছু যায় আসে না?
আপনার সঙ্গে তর্কে যেতে আপত্তি নেই। যদি জানতে পারি আপনি যুক্তি মানবেন। সেটা জানার পরই শুরু করব। আপনার জবাবের অপেক্ষায় রইলাম।
জাফর স্যার আমার আপনজন সেজন্য ওনাকে শুদ্ধ প্রমাণ করা আমার দায়। আমি জানতে চাইছিলাম, ওনাকে অশুদ্ধ প্রমাণ করার দয়টা আপনার কাঁধে কী করে চাপল? এটা কেবলই আমার কৌতুহল।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
উন্মাদ, আপনি যে খুব বেশি শিক্ষিত না তা আপনার কথাবার্তা শুনলেই বোঝা যায়। আপনি ফাইবার অপটিক্স ও বোঝেন না, মৌলিক পেপার সম্পর্কেও আপনার ধারনা নেই। আর আমি বাজি ধরতে পারি আপনি বিজ্ঞানী জাফর ইকবালের ক্যারিয়ার নিয়ে এক ফোঁটাও খোঁজখবর নেননি।
আপনার ৫০০০ আর ১০০০০ ডলার এর কপচানি দেখলেই বোঝা যায় আপনি বিজ্ঞানীরা কিভাবে বিদেশে জীবিকা নির্বাহ করে তা সম্পর্কেও কোন ধারনাই রাখেন না। আর এই ডলারের অঙ্ক কোথায় পেয়েছেন? তিনি কোথায় কত টাকা আয় করেন বা আগে কত করতেন তার কোন তথ্য আপনার কাছে আছে? না জেনে বোকার মত বকে গেলে তো আর হবে না।
তাই শুধুশুধু মুখে ফেনা না তুলে ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (CALTEC) এর বেল কমিউনিকেশন্স ল্যাবরেটরি, যেখানে তিনি ১৮ বছর ছিলেন তার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখুন। পৃথিবীর সেরাদের একজন না হলে সেখানে পা ও ফেলা যায় না।
আপনারা তাকে কলাম আর বই পড়ে চেনেন তো তাই নস্যি মনে করেন। তিনি যে আসলে কে তার খোঁজ রাখেন না। একটা ফাইবার অপটিক্স ক্যাবল কাটা পড়লে টের পাওয়া যায় জাফর ইকবাল কে।
আর শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা তুলবেন না। আমি বহু পি এইচ ডি করা ছাগল প্রতিদিন দেখি যারা নিজেদের মহাপণ্ডিত মনে করে। ডিগ্রি থাকলেই শিক্ষিত হওয়া যায় না।
kub valo ami osikkito ami asolai moulik paper buzi na.apni buzen zane kusi holam.
কয়লা বাবা। আপনার জানায় ভুল আছে। "ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (CALTEC) এর বেল কমিউনিকেশন্স ল্যাবরেটরি, যেখানে তিনি ১৮ বছর ছিলেন।" ক্যালটেক আর বেল ল্যাব আলাদা দুটো ইনস্টিটিউট ও রিসার্চ ল্যাবরেটরি। উনি আমেরিকাতে মোট ১৮ বছর ছিলেন - ওগুলোতে নয়। আর ওখানে কাজ করা মানেই 'ফাইবার অপটিক্স' এ একজন "সেরা এক্সপার্ট" হয়ে যাওয়া নয়। উনি ক্যালটেকে মোটেই 'ফাইবার অপটিক্স' নিয়ে কাজ করেন নি। বেল ল্যাবে সে বিষয়ে রিসার্চ করেছেন। উনি একজন এক্সপার্ট, অতি সাধারন একজন, তবে "পৃথিবীর সেরাদের একজন" নন। বেল ল্যাব যখন ছিল তখন হাজার হাজার ইন্ডিয়ান, ৫০-৬০ জন বাংলাদেশি ওখানে কাজ করত, তাদের আর কারো নাম কি আপনি জানেন? যেমন এখন করে ইন্টেল, মাইক্রোসফ্ট এ।
আপনার মত অতি অন্ধভক্তরা তাকে না জেনে মাথায় তুলেন বলেই আরেকদল সেটাকে টেনে হিচড়ে নিচে নামানোর চেষ্টা করে। জাফর ইকবাল কেবল বাংলায় সায়েন্স ফিকশনেই ও কিশোর সাহিত্যেই এক্সপার্ট। অন্য কোনো কিছুতেই তেমনটা নয়, খুবই সাধারন। উনি আমেরিকাতে এই সেই করেছেন ইত্যাদি নিজের গল্প নিজে ফেদে আপনাদের মত সরল বিশ্বাসিদের কে গুলিয়ে খাইয়েছে।
এই লেখাটা ভাল হয়েছে। তবে আমি তবুও বলব, যতদিন না জাফর ইকবালকে সবাই তাদের ছোট বয়সের ভাল লাগার মোহ থেকে বেরিয়ে এসে বড় বয়সের নতুন পার্সপেক্টিভে দেখতে পান, তাকে অসাধারন একজন মনে হওয়ারই কথা যিনি তার লেখায় ছোটদের বড় হওয়ার বয়সে নীতিবাক্য, সায়েন্স ফিকসন, গল্প শুনাতেন। কিন্তু বাস্স্তব দুনিয়া বানানো গল্প নয় এবং তারও অনেক লিমিটেশন আছে - সেটা মেনে নিন, ও তাকে তার মতই থাকতে দিন।
কোথায় ফেঁদেছেন এই গল্প? রেফারেন্স দেন। আমরাও পড়ে দেখি কী লিখেছেন।
আর লিখতে গিয়ে এর হয়ে গিয়েছিলো সেজন্য দুঃখিত।
বাকিদের নাম আমি জানি। আপনি জানেন না। কারন আপনি তাদের একজনকেই চেনেন। আমি আবারো বললাম ক্যালটেক আর বেল এর লেভেল আপনি এখনও বোঝেননি। ইন্টেল মাইক্রোসফট এর কাজ আমাদের দেশের গ্রামীনফোনের কাজের মত। রিসার্চ ইনিস্টিটিউট আর কর্পোরেট কোম্পানির মধ্যে তুলনা দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনার জ্ঞানের দৌড় কতদুর।
নেট ঘেঁটেছেন বোঝা যাচ্ছে, আরেকটু ভালো করে ঘাঁটুন।
আর সাহিত্যের কথা যদি বলেন, তিনি অত্যন্ত সাধারণ মানের লেখক। তিনি সম্মান পান এই জন্য যে কম্পিউটার সায়েন্স এর মত বিষয়ে গবেষণা আর শিক্ষকতা করার পরও তিনি লিখতে পারেন এবং তার সোজাসাপটা কথা লোকের মনে দাগ ফেলে।
অবশ্যই তার সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু তা কেবল তার সাহিত্যিক দিকটির। সেখানেই থাকুন। তার ক্যারিয়ার পুরোটাই বুলেটপ্রুফ; ইট মারলে পাটকেল খাবেন।
কয়লা বাবা, আপনাকে যা বলার তা বলা হয়ে গেছে। "কম্পিউটার সায়েন্স এর মত বিষয়ে গবেষণা আর শিক্ষকতা" - উনি কি গবেষণা করেন তা জানা আছে। "তার ক্যারিয়ার পুরোটাই বুলেটপ্রুফ" - উনি একজন সাধারন মানের সায়েন্টিষ্ট - মানে ডিগ্রি আছে - এর বেশি কিছু না, সাহিত্যিক হিসেবেই উনাকে আমি বা অনেকেই দেখে। "আপনার জ্ঞানের দৌড় কতদুর" - নিজে কি জানেন সেটা ফলানোর জন্য অন্যকে এ ধরনের কথা বলার প্রয়োজন নেই। আমি আগেই বলেছি, আপনাদের মত অনেকে তাকে মাথায় তুলে বলেই অনেকে আবার তাকে নিচে টেনে নামায়। আশাকরি আপনি ছোটবেলার মোহ থেকে বেরিয়ে বড়দের পার্সপেক্টিভে তাকে দেখতে পারবেন।
রাসেলকে মিস করি!
আমিও সেটাই বলছি। যা জানেন না তা নিয়ে কথা না বলে আলোচনা - সমালোচনাটা সাহিত্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেন। তিনি বিদেশ থেকে কেন এসেছেন, তিনি কতটুকু শিক্ষিত, তিনি কিসের ব্যাবসা করেন - এইসব চিল্লাচিল্লি করে দলে লোক ভারি করতে পারবেন না।
উনি কি গবেষণা করেন আর করেছেন তা আমি জানি। আপনি কোত্থেকে কি জেনেছেন কে জানে। আমাদের অবশ্য আপনি যেকোনো সময় রেফারেন্স সহ জানাতে পারেন।
ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (CALTEC) এর বেল কমিউনিকেশন্স ল্যাবরেটরি, যেখানে তিনি ১৮ বছর ছিলেন।" এখানে বাড়িয়ে বলার মধ্যেই বোঝা যায়, আপনার জ্ঞানের দৌড় কতদুর। বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ (জাফর ইকবালের ব্যাচমেটরাও) প্রিন্সটন, ইয়েল, এম আই টি আর ক্যালটেকে পড়েছে - কেউ তার মত এত প্রচার করে না, এবং যেগুলো আপনার মত মানুষরা খায়। "ক্যালটেক আর বেল এর লেভেল আপনি এখনও বোঝেননি" "তার ক্যারিয়ার পুরোটাই বুলেটপ্রুফ; ইট মারলে পাটকেল খাবেন।" উনি এমন কোনো পেপার লেখেন নি যেটা কিনা ৬০ বারের বেশি সাইটেড হয়েছে - অধিকাংশই ৫ থেকে ১০ বার, কিছু ১৫-২০ বার। একাডেমিক লাইনে/সায়েন্সে/গবেষনায় কাজের প্রভাব মাপতে এটা খুবই দেখা হয়। তার অর্ধেক বয়সের বর্তমান জেনারেশনের নতুনরাও এর চেয়ে বেশি সাইটেশন পায়, আমারো তার চেয়ে বেশি সাইটেশনের কাজ আছে। আমাকে জ্ঞান বিতরন করে লাভ নেই। ওনাকে বিশেষ এক সায়েন্টিস্ট হিশেবে না দেখে, সায়েন্স ফিকশন লেখক, সাহিত্যিক ভাবে দেখাটাই বেশি যুক্তিযুক্ত।
আমারও তার থেকে বেশি সাইটেশনের পেপার আছে। কিন্তু কোথায় সাইটেড হয়েছে তাও দেখতে হবে। উনি যে আমলে ওগুলো বের করেছিলেন তখন কয়টা ওয়েব জার্নাল ছিল? এখন তো কোন একটা গরম টপিক নিয়ে কতগুলো ডাটা দেখালেই অনেক সাইটেশন পাওয়া যায়। প্রতিদিন এখন একটা টপিক এর ওপর ডজন কে ডজন পেপার পাবলিশ হয়। সাইটেশনের গরম দেখানোর দরকার নাই।
তিনি কবে প্রচার করলেন? প্রচার করছি আমরা আপনাদের কথাবার্তা পড়ে, একরকম বাধ্য হয়ে।
উনাকে বিজ্ঞানী না প্রমান করার জন্য এত উঠেপড়ে লেগেছেন কেন? এখন তো মনে হচ্ছে রীতিমত ব্যক্তিগত আক্রোশ আছে। নাকি আমার ওপর জিদ চড়ে গেছে? সেটা হলে বলেন আমি নগদে চুপ করে যাব।
"উনি যে আমলে ওগুলো বের করেছিলেন তখন কয়টা ওয়েব জার্নাল ছিল?" উনি ৩০০ বছর আগে ক্যারিয়ার করেন নি। ২০/২৫ বছর আগে। তার বয়সি ভালো কোনো গবেষকের অনেক সাইটেশেনের পেপার থাকে। ১৯৬০, ৭০, ৮০, ৯০ এর দশকেও যারা পেপার লিখেছেন, আপনার এই "কোন আমল পেপার লিখেছেন" থিওরী তাদের জন্যও প্রযোজ্য নয়। এখন অনেক পেপার বের হয় বটে, কিন্তু তা হাওয়ার উপর নয়, ২০, ৩০ বা ৫০ বছরের আগের ইম্পর্ট্যান্ট কাজ সবসময়ই রেফারেন্স হয়ে আসে।
উনাকে আপনি "পৃথিবীর সেরাদের একজন" বলেছেন। তার বয়সী যে কোনো ভালো গবেষকের অনেক হাইলি সাইটেড কাজ থাকে। তার নেই। আপনিই তাকে "পৃথিবীর সেরাদের একজন" বানাতে উঠেপড়ে লেগেছেন, যে কারনেই আমি এর বিরোধীতা করছি। উনি সেরাদের একজন হলে আমি ভাবতাম কম করে হলেও উনার ২০০ বা ১০০ এর উপর সাইটেশনের অনেক বা কম করে হলেও একটা পেপার তো থাকবেই। উনার তা নেই - আমি সেটা দেখে খুবই অবাক হয়েছিলাম। উনাকে অনেকেই আপনার মতই সেরাদের একজন ভাবে। উনার সমবয়সীদের তুলনায় উনি অনেক পিছিয়ে - সেরাদের একজন তো ননই। এখানে চেচামেচি করে লাভ নেই। উনি ভাল কোথায় কাজ করেছেন, সেটা বলে মুখে ফেনা তুলেও লাভ নেই। উনার গবেষনাকে সময়ের বিচারে নির্মোহ ভাবে বিচার করা যায় - সায়েন্সে এটা করা যায়।
"এখন তো কোন একটা গরম টপিক নিয়ে কতগুলো ডাটা দেখালেই অনেক সাইটেশন পাওয়া যায়।" এটা ঠিক। সাময়িক ভাবে কিছু পাওয়া যায়। কিন্তু ইম্পর্ট্যান্ট কাজ না হলে ১০ বছর পরে দেখা যাবে সেই পেপার কখনোই হাইলি সাইটেড হয়ে উঠবে না। ৮০ - ৯০ দশকের ইম্পর্ট্যান্ট কাজগুলোও অনেক হাইলি সাইটেড। এখন অনেক বেশি পেপার লেখা হয়, এই ব্যাপারটা কিন্তু ৮০-৯০ দশকের কাজ হাইলি সাইটেড হতে পারে না - তাকে নেগেট করে না।
"উনাকে বিজ্ঞানী না প্রমান করার জন্য এত উঠেপড়ে লেগেছেন কেন?" আমি উঠিনি। "পৃথিবীর সেরাদের একজন" বলে আপনি উঠেপড়ে লেগেছেন। আমি আগেই বলেছি, কেউ তাকে মাথার উপরে তুলেন বলেই তাকে নামানোর প্রয়োজন হয়।
এখানে বারবার 'সাইটেশনের" কথা এসেছে, কারন সায়েন্সে কেউ দাবি করলেই হয় না যে সে পেপার লিখে আবিষ্কার করে ফাটিয়ে ফেলেছে। অন্যরা তার কাজকে ক'বার রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করেছে, সেটা দেখে কাজের গুরুত্ত্ব বোঝা যায়। আপনার সব কিছু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাকে মহাবিজ্ঞানী প্রমান করার চেষ্টাটা প্যাথেটিক মনে হচ্ছে। "কোন আমলে পেপার লিখেছে", "কোথায় সাইটেড হয়েছে", "কয়টা ওয়েব জার্নাল ছিল" - এইসব খোড়াযুক্তি কেন?
অন্যদিকে তার কিশোর উপন্যাস বা সায়েন্স ফিকশন সবাই পড়েছে, পছন্দ করে - তাই উনি এ দিকেই সেরাদের একজন, আমি সেটাকেই উনার সিগনেচার কাজ মনে করি।
১। আমি ইন্টারনেটে ক্য়ালটেকের কোন বেল রিসার্চ সেন্টার খুজে পাচ্ছিনা। একটা লিন্ক দিয়ে সাহায্য় করবেন?
২। রিসার্চ ইন্স্টিটিউট আর কর্পোরেট কোম্পানি - অন্তত নতুন প্রযুক্তির ক্ষেত্র- কার অবস্থান
কোথায় বলে আপনার মনে হয়? এমন কি হতে পারে যে বেল রিসার্চ ইন্স্টিউট আসলে লুসেন্ট নামক কর্পোরেটের গৃহপালিত গবেষনাগার, যেখানে আসলেই কিছু কর্পোরেট উদ্দেশ্য় বাস্তবায়নের কারিগরি উদ্ভাবন-যাচাইবাছাই-উন্নয়ন ইত্য়াদি ঘটে থাকে?
ছোট লোকদের একটা পরিচয় -উনার "থিওরি অব রিলেটিভিটি" বইটা কিনলাম উনি বাচ্চাদের জন্য কি লিখছে তা পরার জন্য । যাই হোকা একটা স্থানে দেখলাম উনি বিজ্ঞানী লরেন্ট কে নিয়া কিছু মন গড়া কথা বলছে জাতে বিজ্ঞানী লরেন্ট কে একরকম অপমান করা হইছে । একজন বিজ্ঞানী সম্পর্কে কিছু বলার আগে উনার এই বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা জরুরি। বাচ্চারা লরেন্ট কে চিনে না কিন্তু যারা চিনে তারা ভাল করেই জানে উনি কে? বিজ্ঞান কারও একার ফল না অনেক ধ্যানীদের সাড়া জীবনের সাধনা।
আপনি উনার এই বইয়ের ভুলটা ধরিয়ে দিয়ে এখানেই একটা ব্লগ লিখুন। তবে আপনার কথার টোনে বুঝাই যাচ্ছে, তার ভুল আপনার খুঁজে বাইর করতেই হবে, একটু আগে দিলেন বইয়ের দাম বেশি রাখে সেই দোষ, এখন বইয়ে বিজ্ঞানীরে অপমান করছে। আপনার জ্ঞানে যে ভুল ধরতে পারছেন, সেই বিষয়ে জাফর স্যারের কোন জ্ঞান নেই এটাও বেশ বিস্ময়ের ব্যাপার। যাই হোক, ব্লগ লিখার কথাটা সিরিয়াসলিই বললাম, রেফারেন্স সহ জাফর স্যাররে কোৎ করে ধরুন।
why my all comments are not published? i say no slang language.i write many word that it very essential for all to know.plz publish those or i think u are not help us to say the truth
সচলে রোমান হরফে বাংলা এবং ইংরেজিতে কমেন্ট দেখতে বিরক্ত লাগে। আরও বিরক্ত লাগে সেই ইংরেজিতে ভুলের এমন ছড়াছড়ি হলে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
apni soke type koren, ar ata amar pesa karon ami kompu mistri,ar bangla lika vule gaci,likte onek time o lage.ar vul nea bollen valo laglo ami blog a english exam dicci na.
সচলায়তনের ডেভুরা বাংলা লেখাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। আমার মতো শৌখিন টাইপকারী না হয়েও বাংলা লিখতে পারবেন। বিজয়, অভ্র কিংবা ফোনেটিকে সহজেই বাংলা লেখা যায় এখানে। এই পোস্টটা দেখতে পারেন।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
(থাক মুছে দিলাম)
উন্মাদ ৯৭ আপনি নিজের পরিচয়টা ভালই দিয়েছেন। আপনি আসলেই "kompu mistri"! এর চেয়ে বেশী বলতে বিবেকে বাধছে!
কানা
তানিম্ভাই আপনিও! কারো শিক্ষাগত যোগ্যতা না জেনে কিছু বলার আগে ভাবা উচিত!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
উম্মাদ ভাইডি, বুকে আসেন। আম্নের মতো গানি-গুনি মাইনসেরেই খুজতেসে বাংলাদেশ। আম্নে বস, আম্নে সবার তে বেশী বুঝেন। আম্নেরে লই একটা জগা খিচুড়ি লেহুম গো।
... উদাস
ভাই জাফর স্যার দেড় মাস বিদেশে ছিলেন। তাই উনার কোন কর্মকান্ড আমরা দেখিনি এত দিন । ঊনি দেশে আসার কিছুদিন পরেই আমরা শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ তেল গ্যাস রক্ষার জন্য সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম। উনি সেটায় উপস্থিত ছিলেন । আর এখন উনি এবং আরও গুনি ব্যাক্তিরা একটা ছোট দলিল তৈরি করেছেন যেটা মানুষকে সহজে বুঝতে সাহায্য করবে আসল ঘটনা সম্পর্কে। আশা করি আপনার ভুল ধারনার অবসান হবে এতে ।
আপ্নের জগা খিচুড়ি এর নাম চেঞ্জ করে (আকিকা দিয়ে) উন্মাদ খিচুড়ি করেন। অথবা এটা নিয়ে নতুন কোনো খিচুড়ি ছাড়েন ... ... ... উদাস করেন সবাইকে ... ... ... সবাই যে উন্মাদ হয়ে গেল... ... ...
কানা
মন্তব্যের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
একটি কথা বলে রাখা জরুরি, আমি জাফর ইকবাল স্যারকে পছন্দ করি তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে উনি প্রেরিত পুরুষ। এমন নয় যে, ওনাকে নিয়ে কথা বলা যাবে না, ওনার সমালোচনা করা যাবে না। মানুষ বলেই উনি নিশ্চয়ই অনেক ভুল করেন, করবেন। কোনো অপরাধ/ভণ্ডামি করেন কিনা জানি না। যাঁরা মনে করেন/বিশ্বাস করেন/ দেখেছেন জাফর ইকবাল স্যার একজন মন্দ মানুষ তাঁদের কাছে আবেদন রইল আমাদের ভুল ভেঙে দেয়ার। তবে অবশ্যই, সেটা হোক যুক্তির শক্তিতে। উনি জামা গায়ে দেন অথবা ওনার বাড়ির বেড়ালটার বড়বড় নখ, এই জাতিয় কু-যুক্তিকে খুব সাদরে গ্রহন করব না নিশ্চিত।
মুক্ত চিন্তা/যুক্তির প্রকাশে সচলায়তন সবসময়ই উন্মুক্ত।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
aita uni e likcilo - http://www.somewhereinblog.net/blog/tAriqhappy/29403836
সচলায়তনে বাংলিশ কমেন্ট প্রকাশ নিশিদ্ধ। যদি কখনো কোথাও প্রকাশিত দেখা যায় ধরে নিতে চাই সেগুলি মডু-ঠাকুরের মাউস পিছলে বেরিয়ে গেছে। সচলদের অনুরোধ করছি আপনারা নিয়মিত ডুয়াল পোস্টিং এ্যালার্টের মতো মডুদের বাংলিশ-এ্যালার্টও দিন।
অজ্ঞাতবাস
বাংলিশ দেখলেই আমরা বলব
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কয়লা বাবা। আপনার জানায় ভুল আছে। "ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (CALTEC) এর বেল কমিউনিকেশন্স ল্যাবরেটরি, যেখানে তিনি ১৮ বছর ছিলেন।" ক্যালটেক আর বেল ল্যাব আলাদা দুটো ইনস্টিটিউট ও রিসার্চ ল্যাবরেটরি। উনি আমেরিকাতে মোট ১৮ বছর ছিলেন - ওগুলোতে নয়। আর ওখানে কাজ করা মানেই 'ফাইবার অপটিক্স' এ একজন "সেরা এক্সপার্ট" হয়ে যাওয়া নয়। উনি ক্যালটেকে মোটেই 'ফাইবার অপটিক্স' নিয়ে কাজ করেন নি। বেল ল্যাবে সে বিষয়ে রিসার্চ করেছেন। উনি একজন এক্সপার্ট, অতি সাধারন একজন, তবে "পৃথিবীর সেরাদের একজন" নন। বেল ল্যাব যখন ছিল তখন হাজার হাজার ইন্ডিয়ান, ৫০-৬০ জন বাংলাদেশি ওখানে কাজ করত, তাদের আর কারো নাম কি আপনি জানেন? যেমন এখন করে ইন্টেল, মাইক্রোসফ্ট এ।
আপনার মত অতি অন্ধভক্তরা তাকে না জেনে মাথায় তুলেন বলেই আরেকদল সেটাকে টেনে হিচড়ে নিচে নামানোর চেষ্টা করে। জাফর ইকবাল কেবল বাংলায় সায়েন্স ফিকশনেই ও কিশোর সাহিত্যেই এক্সপার্ট। অন্য কোনো কিছুতেই তেমনটা নয়, খুবই সাধারন। উনি আমেরিকাতে এই সেই করেছেন ইত্যাদি নিজের গল্প নিজে ফেদে আপনাদের মত সরল বিশ্বাসিদের কে গুলিয়ে খাইয়েছে।
এই লেখাটা ভাল হয়েছে। তবে আমি তবুও বলব, যতদিন না জাফর ইকবালকে সবাই তাদের ছোট বয়সের ভাল লাগার মোহ থেকে বেরিয়ে এসে বড় বয়সের নতুন পার্সপেক্টিভে দেখতে পান, তাকে অসাধারন একজন মনে হওয়ারই কথা যিনি তার লেখায় ছোটদের বড় হওয়ার বয়সে নীতিবাক্য, সায়েন্স ফিকসন, গল্প শুনাতেন। কিন্তু বাস্স্তব দুনিয়া বানানো গল্প নয় এবং তারও অনেক লিমিটেশন আছে - সেটা মেনে নিন, ও তাকে তার মতই থাকতে দিন।
একটা ভালো লেখা পড়লাম, অনার্যদাকে ধন্যবাদ এবং সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের মাঝে যথারীতি কিছু আপাতদৃষ্টিতে "স্মার্ট" লোকের(!) বিদ্যাজাহির ও বিরোধিতা করে স্মার্ট সাজার প্রয়াস দেখলাম। ব্লগের সুন্দর লেখাগুলো আমাকে স্বপ্ন দেখায় একটা সুন্দর বাংলাদেশ এর জন্যে। এবং একই সাথে এই স্বপ্নও দেখি "ঊন্মাদ ৯৭" জাতীয় অশিক্ষীত বস্তু-বিহীন বাংলা ব্লগ এর।
"ঊন্মাদ ৯৭" এর জন্যে,
অনেক কিছু বোঝানোর চেষ্টা করেন আপনি। আপনার মনে অনেক গভীর চিন্তা খেলা করে এটাও আমরা সবাই জানি। কিন্তু আমার দুঃখ হয় আপনার সমমনা যারা আছেন...তারা বিভিন্ন ট্রাফিক সিগনাল এ থালা হাতে ঘুরে বেরান। ব্লগে এসে অজস্র ভুল বানানে বাংলাকে কলঙ্কিত এবং "বুদ্ধিমত্তার" পরিচয় দিতে গিয়ে নিজ বংশ পরিচয়কে দ্বিধান্বিত না করে আপনার বন্ধুদেরকে সময় দিন। বেশী রোজগার করতে পারবেন। ভালো কথা, ইংরেজীতেও যেভাবে grammar ছাড়া ভুল-ভাল লিখলেন, ...আপনার "দামী" কথাগুলোও তো এখন সস্তা মনে হচ্ছে।
আর English Exam এর দোহাই দিলেন । হয়েছে কি, আমরা এখানে যারা ব্লগ পড়ি, তারা বাংলা/English এর প্রফেসর নই, তবে কিনা আমরা ভদ্র।
...ধন্যবাদ (যদি লেখাটা পড়ে থাকেন) আর আগাম ধন্যবাদ (যদি শুদ্ধ বানানে জবাব লিখতে পারেন)
কোথায় গ্যাস !! কোথায় তেল !! তার কোন খোজ নেই, আর সেই তেল গ্যাস বিক্রি করে দেওয়া নিয়ে চলছে মল্লযুদ্ধ !!
-------------------------------------------------------------------
ছায়ার সংগে যুদ্ধ করে গাত্রে হল ব্যথা।
ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যার কে ভালু পাই, নিজের আদর্শ মনে করি, তাঁর সম্পর্কে খারাপ কথা কেউ বললে তার মাথা ফটিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। অনার্য দা আপনার ও মাথা ফাটানোর ইচ্ছে হয়েছিল প্রথম কিছুটা পড়ে। সম্পুর্ণটা পড়ার পর দেখলাম আমার মনের কথা গুলোই বলেছেন।
আমাদের সবার ই মনে রাখা উচিৎ স্যার একজন মানুষ, তাঁর ভাললাগা খারাপ লাগা আছে, তিঁনি সবজান্তা নন, লেখা ছাড়া ও তার অন্য কাজ আছে।
তিনি তো দেশের সব বিষয়ে (হোক তা ভাল অথবা খারাপ) লেখার ঠিকাদারী নেন নাই, দেশে এত্ত এত্ত বিশেষজ্ঞ থাকতে তাঁকে নিয়ে কেন এত টানাটানি?
কানা
দুঃখিত আমি আপনার সঙ্গে মাথা ফাটানোর দলে নাম লেখাতে আগ্রহী নই। নিজের যুক্তি স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে এবং যাঁদের দ্বিমত আছে তাদের যুক্তি শুনতে আগ্রহী।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দাদা মাথা ফাটানো পিটিয়ে না যুক্তি দিয়ে!
আমি স্যার কে সম্মান করি তবে এটাও মানি উনি ও ভুল করতে পারেন।
কানা
চারিদিকে “পয়জন” এর ভীড়ে, পয়জনরা বাকীদেরও পয়জনাস করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কি অদ্ভূত ব্যাপার! আমি একদম প্রথম থেকেই মন্তব্যগুলো দেখে গেছি, উন্মাদ ৯৭ এর প্রথম মন্তব্য পড়ে প্রতি উত্তর না দিয়ে পারিনি। কারা এরা? উনি কতবড় সায়েন্টিস্ট, কতটা সাইটেশন আছে আমার জানার কোন দরকার নেই। উনার একটা সাধারন কথা এখানে উদ্ধৃত করতে চাই, বাংলাদেশ নিয়ে কোন এক জায়গায় মন্তব্য করতে যেয়ে উনি বলেছিলেন “আমার মাকে যদি কেউ অসুন্দর বলে তাহলে কি আমি অন্য কাউকে মা বলে ডাকবো?” রেফারেন্স আছে, দিবোনা। ঠ্যাকনা দিতে দিতে ঘরবাড়ীর দিকে তাকানো যায়না, সাইটেশন আর রেফারেন্স দিয়ে কি হবে!!
পয়জনে ভরে গেলোদেশ, গ্যানী গূনী(উন্মাদ=kompu mistri, iqbal)র অবমুল্যায়ন হচ্ছে এখানে। ব্লগে এসেও পরীক্ষা দিতে হচ্ছে অনেক্কে এভাবে আর চলতে দেওয়া যায়না। এই গ্যানী-গূনীদের প্রাপ্য সম্মান বুঝায়ে দেওয়া হঊক এই দাবি যানিয়ে গেলাম।
কানা
শালাদের হ্যাডম নাই আরও গুটি কয়েক জাফর ইকবাল তৈরী করার, দেয়ারফোর যেইটা আছে সেইটারেও কোপায়া পুঁতে তার উপরে বুল্ডোজার চালায়ে নিশ্চিহ্ন না করলে শান্তি নাই।
লেখাটির মাঝে যাদের উপর লেখকের বিরক্তি প্রকাশ পেয়েছে তাদের মাঝে নিজেকে বার বার খুঁজে পেয়েছি বলে কিছু সহজ কথা বলার দায় বোধ করছি।
প্রথমত জাতীয় স্বার্থে তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটি প্রকৌশলী শেখ শহিদুল্লাহ ও অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ সহ অন্যান্যদের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে তাতে বাসদ ও তার অঙ্গ সংগঠন ছাত্র ফ্রন্ট তাদের সামর্থ্যমত কাজ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে লেখকের সংশয় দূর করতে পারেন এ কমিটির নেতৃবৃন্দ। এটা জানার আগ্রহ থাকলেই যথেষ্ট।
দ্বিতীয়ত দেশপ্রেম কিভাবে গড়ে ওঠে তা নিয়ে লেখকের মত হল তা রাজনীতি থেকে গড়ে উঠতে পারে না। বাংলাদেশের চলমান রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলসমুহের দেশপ্রেমের অভাব এ ধরনের সংশয় গড়ে ওঠার কারণ হয়ে থাকতে পারে। অথচ মানুষ বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির আকাঙ্ক্ষা লালন করে। কারণ দেশের মানুষকে গুটিকয় লুটপাটকারি গোষ্ঠীর কবল থেকে রক্ষা করতে একটা রাজনৈতিক শক্তির বিকল্প নেই। রাজনৈতিক শক্তি জনগণের মাঝে দেশপ্রেমের আকাঙ্ক্ষাকে বহুগুনে বাড়িয়ে তুলে তাদেরকে লুটপাটকারিদের মায়ার জাল থেকে বের করে আনতে পারে। ফলে রাজনৈতিক দল যদি দেশপ্রেম এর জাগরণ ঘটায় তাতে লেখকের কটাক্ষ অনভিপ্রেত।
তৃতীয়ত সমুদ্রের গ্যাস ব্লক ইজারা নিয়ে অধ্যাপক জাফর ইকবালসহ ৫ জন বুদ্ধিজীবীর যে লেখা প্রথম আলোতে ছাপা হয়েছে তাতে আন্দোলনের কতিপয় দাবির সাথে সহমত পোষণ করা হয়েছে; তাদের প্রত্যেকেই সশরীরে এ আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন নানা সময়ে। সে লেখা অনেকের মাঝে আন্দোলনের পক্ষে সমর্থন তৈরি করছে। তা নিয়ে দ্বিমত নেই। বাসদ ও ছাত্র ফ্রন্টের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক এম শামসুল আলম ব্যতীত ৩ জনই সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক জাফর ইকবাল কোন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে যান না। কিন্তু বর্তমান সরকার যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে সে কমিটিতে অধ্যাপক জাফর ইকবাল ছিলেন। ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামুলক ও মাদ্রাসা শিক্ষা বহাল, ইংরেজি মাধ্যম সহ বহুধারার শিক্ষা বহাল, শিক্ষার বানিজ্যিকিকরণ, ইত্যাদি এ শিক্ষানীতির অন্যতম ত্রুটি। আওয়ামী লীগের এ সকল নীতির সাথে উনার দ্বিমত নেই। তাই উনি সেখানে ছিলেন। তাতে তিনি নিরপেক্ষও রয়ে গেলেন। কিন্তু তেল-গ্যাস বিষয়ক সেমিনার এ গেলে তাতে রাজনীতির আবর্জনা গায়ে লাগে!!!!!! এটা আসলেই বৈপরীত্য। লেখক এ বিষয়টি ভেবে দেখবেন, আশা করি।
অনেক কথাই চলে আসে। আরেকটি প্রসঙ্গ না বলে পারছি না। লেখক একটা দলের সংখ্যা বিচার করে কটাক্ষ করেছেন। অথচ ভলতেয়ার বলেছিলেন, অন্যের মতের সাথে আমার অমিল থাকতে পারে কিন্তু তার মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেহ বিঘ্নিত করলে জীবন দিয়ে সে মত প্রকাশের অধিকার রক্ষা করবেন। আজকের দিনেও সে মনন অধ্যাপক জাফর ইকবাল এর মত ব্যক্তিদের নিকট আশা করতে না পারলে কার কাছে করা যাবে?
প্রিয় মোশাররফ হোসেন,
প্রথমত, নিশ্চয়ই। (ব্যক্তি/দল) অনেকেই তেল গ্যাস রক্ষার জন্যে কাজ করছে। অস্বীকার তো করিনি। কেবল বলতে চেয়েছি তেল-গ্যাস রক্ষার আন্দোলন কোনো বিশেষ রাজনৈতিক ব্যক্তি/দল/গোষ্ঠীর সম্পত্তি নয়। কোনো বিশেষ দলের পক্ষ না নিলে তাই তেল গ্যাস রক্ষার আন্দোলনের বিরোধিতা করা হয় না।
দ্বিতীয়ত, এখনো বলছি, রাজনীতি থেকে দেশপ্রেম গড়ে উঠতে পারে না। উল্টোটা হতে পারে। রাজনীতি দেশপ্রেমের প্রকাশ হতে পারে, দেশের কাজে সহায়ক হতে পারে কিন্তু যার ভেতরে আগে থেকেই দেশপ্রেম নেই সে রাজনীতিতে স্রেফ নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্যেই নামবে!
তৃতীয়ত, শিক্ষানীতির সমস্যাগুলো নিয়ে কারো বক্তব্যের বিরোধিতা আমি আমার লেখায় করিনি। জাফর স্যার কেন এরকম শিক্ষানীতির বিরোধিতা করছেন না অথবা যে ব্যপারগুলো আপনি বলেছেন সেই পরিবর্তনগুলো আনছেন না সেটা ওনাকে জিজ্ঞেস করা যেতে পারে। আমি হলে ওনাকে জিজ্ঞেস করতাম, উনি এই পরিবর্তনগুলোর বিপক্ষে, নাকি এই মুহূর্তে এক লহমায় এই পরিবর্তনগুলো বাস্তব নয় বলে উনি নিশ্চুপ! আপনার কাছে প্রশ্ন রইল, আপনি হলে কী করতেন? এক লহমায় দেশের সব মাদ্রাসা বন্ধ করে দিতেন? সব ইংরেজি স্কুল? ধর্ম শিক্ষা? প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়? আমাদের সামাজিক পরিস্থিতিতে সেটি কি আপনার কাছে সম্ভব মনে হয়? এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা/তর্কের অবশ্যই সুযোগ আছে। আপনার কাছে আবেদন রইল এটা নিয়ে সচলায়তনে লেখার। আমরা আমাদের মতামত জানাবো। যুক্তি আসবে, তর্ক হবে। এবং আশাকরি আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
আপনার শেষ কথাটি সম্পর্কে বলি, কোনো দলকে কটাক্ষ করা আমার উদ্দেশ্য নয়। উনি নিজেকে এখানে ব্যক্তি হিসেবে না এনে দল হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন (অন্তত এরকম একটি শ্রেণির পক্ষ নিয়েছিলেন)। এজন্যই আমার কটাক্ষ সেই দলের গায়েও লেগেছে। ব্যক্তিগতভাবে ওই দলটি সম্পর্কে আমার কোনো নেতিবাচক ধারনা নেই।
ভলতেয়ারের কথাটির সঙ্গে আপনি জাফর স্যারের আচরণ কিভাবে মিলিয়েছেন আমার কাছে স্পষ্ট হয়নি।
আরেকটি কথা খুব ছোট করে বলে রাখি, জাফর স্যারকে আমি পছন্দ করি তার মানে এই নয় যে উনি মন্দ কিছু করতে পারেন না অথবা তা করলেও আমি ওনার পক্ষে থাকবো। ওনার অনেক ব্যপার নিয়েই উনি সমালোচিত। অনেক ব্যপারেই আলোচনা/তর্কের সুযোগ আছে। কিন্তু যখন কেউ তার রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধ হয়নি বলে ওনার দুর্ণাম করতে শুরু করে তখন বিরক্ত হই! বিশেষত সেই দুর্ণাম যখন "তিনি মিডিয়াসৃষ্ট জনপ্রিয়তার ফাঁপা রঙিন ফানুসের বাসিন্দা" বলে শুরু হয় তখন বোঝাই যায় এই লোকটি যুক্তি নিয়ে আসেনি। এসেছে ক্ষোভ নিয়ে, স্বার্থ পূরণ না হওয়ার কষ্ট নিয়ে...
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য পড়ে বিরক্ত লাগেনি বরং ভালো লেগেছে। জবাব দিতে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
প্রথমেই বলে রাখছি আমি উপরের মন্তব্য করা কারো সঙ্গে কোনো ভাবে যুক্ত নই...আর লেখাটা পরে মনে হয়েছে অনেকটা বাক্তিগত পর্যায়ে জাফর ইকবাল এর পক্ষ সমর্থন করা হয়েছে.......যেটা নিয়ে আমার কোনো বিশেষ কোনো মতামত নেই....জাফর ইকবাল-কে আমিও পছন্দ করি তার লেখা আর কাজ থেকে....রাজনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে|
তবে দেশপ্রেম সম্পর্কে যে কথাগুলো উঠেছে টা নিয়ে আমার কিছু মতামত/প্রশ্ন আছে....
আপনি খুব জোর দিয়ে বলছে রাজনৈতিক মতাদর্শ থেকে দেশপ্রেম কখনই তৈরী হতে পারে না....শুধুমাত্র উল্টোটা পারে....আমার কাছে মনে হয় না| দেশ (বা জাতি...আমার কাছে জাতি অনেক বেশি রেলেভান্ট মনে হয় কারণ আমরা জাতির প্রতি দেশের থেকে বেশি অনুগত থাকি তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দুটো প্রায় সমার্থক বলে খুব একটা কিছু আসে যায় না)...কী একটা ধারণা নয়...যেটা আমরা ছোটবেলা থেকে শিখে আসছি - পরার বই-এ ম্যাপ দেখে, বাবা-মায়ের কাছ থেকে শুনে, সাহিত্য সংস্কৃতি থেকে? এবং বেশিরভাগ মানুষের কাছে আমার মনে হয় বাপারটা খুব ঝাপসা....চিন্তা করুন গ্রামের একটা মানুষ, যে তার আসেপাশের কয়েকটা গ্রাম বা থানাশহর ছাড়া খুব বেশি দূর যায়নি তার কাছে দেশের মানে কতখানি আর দেশপ্রেম বলতেই সে কী বোঝে| আমার যদ্দুর মনে হয় সাধারণ মানুষ খুব একটা দেশপ্রেমিক হয়না| তার কাছে তার ব্যক্তি আর পারিবারিক স্বার্থ সবার আগে, তারপর নিকটাত্মীয়, গোষ্ঠী (কমুনিটি) ইত্যাদি| যখন ব্যক্তিস্বার্থ আর দেশের স্বার্থের মধ্যে দন্দ থাকে সবাই বাক্তিস্বার্থকেই প্রাধান্য দেয়| আমরা তখনি দেশপ্রেমকে ব্যক্তিস্বার্থের উপরে স্থান দিতে পারি যখন কোনো উন্নততর আদর্শ থাকে| সেসব ক্ষেত্রেই বরংচ দেশপ্রেম অনেক বেশি প্রবল হয়| বরং আমার মনে হয় যদি শুধু অনুভুতিপ্রশুত কোনো বাপার হয় তখন সহজেই ঝরে যাবার সম্ভাবনা থাকে| এগুলো আমার মতামত....খানিকটা বাস্তবে মানুষকে দেখে, খানিকটা অবসর চিন্তার ফসল....পাল্টা যুক্তি শুনতে আগ্রহী|
পোস্টের লেখক অনার্য সঙ্গীত তার ৯৬, ১৩১, ১৪৬ নাম্বার মন্তব্যে স্পষ্ট করেই বলেছে তার অবস্থানের কথা। জাফর ইকবালকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়ে এই পোস্ট না। জাফর ইকবালের কোন কাজের যৌক্তিক সমালোচনা অবশ্যই কাম্য। তবে তালগাছ বাদী তর্ক আর ব্যক্তি আক্রমণের ধুয়া - এই দুইয়ের বাইরে তেমন কিছুই চোখে পড়ে না।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আমি একজন সাধারন পাঠক । কখনো ব্লগ বা অন্য কোথাও লিখি নি । মুহাম্মদ জাফর ইকবাল কেমন মানুষ আমি জানি না । উনি সাধারন মানের না কি অসাধারান লেখক ,উনি অত্যন্ত সধারন মানুষ নাকি প্রতিভাবান এসব আমি খোজ নিয়ে বের করি নি । শুধু এততুকু বলতে পারি আমার জীবনে উনার অনেকখানি প্রভাব রয়েছে। উনার বই আমি প্রথম দেশের জন্য , ভাষার জন্য তীব্র মমতাতুকু অনুভব করতে পেরেছি । উনার বই পরে আমি দেশ এবং মানুষ এর জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করিছি । তাই আমি এইতুকু জোর দেয়া বলতে পারি উনি এই দেশটাকে অনেক ভালবাসেন । আমার মত অনেক কে উনি দেশ কে ভালবাসতে শিখিয়েছেন । এতুকুই বা কয়জন করতে পারে ।
আমার লেখা যদি কারো ভাল না লাগে তবে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । ভাল লাগলে জানাবেন ।
এখনো জাফর স্যার আছে তাই হতাশ হলেও নিজেকে অপরাধী মনে হয়, মনে হয় কি ভাবে হতাশ হতে পারি আমি, স্যার তো আমাদের মত অসংখ্য ভক্তের কাছে আশা করে আছেন যে দেশের ভালর জন্য আমরা কিছু না কিছু করবই, নিজেকে তৈরী করব, তাই তার আদর্শে আদর্শিত হয়ে চেষ্টা করি নিজেকে তৈরী করার জন্য, যাতে দেশের এতটুকু উপকারে আসতে পারি, দেশের ক্ষতির কারন না হই, হতাশ হওয়াও অপরাধ মনে হয়। স্যার কে নিয়ে এত ফালতু কথা এরা কিভাবে বলে...তারা নিজেরা কি সত্যিই দেশটার ভাল চায়না? বুঝতে পারেনা এই মানুষটা , উনার মত আরো কিছু মানুষই আমাদের প্রাণশক্তি। নিজের দেশের ক্ষতি কিভাবে চায় এই প্যারাসাইট গুলো।।
সুন্দর লেখা,মন্তব্যগুলোও সুন্দর,জ্ঞানের পরিধি বাড়াল!!কোনও সন্দেহ নেই,দেশে জাফর ইকবাল স্যারের মত মানুষের বড্ড বেশী দরকার!কিন্তু সমস্যা জানেন তো?তিনি নিজেই তাঁর ছাত্রদের কাছে ও দেশে হাজার হাজার ছাত্রদের কাছে নিজের অবস্থান অনেক উঁচুতে নিয়ে গেছেন,নিজের প্রতি প্রত্যাশার পারদ চড়িয়েছেন চড়চড় করে!তাই যখন তাঁকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনও বিষয়ে কলম ধরতে দেখি না,তখন নিজেদের বড় বঞ্চিত বলে মনে হয়!
সবজায়গায় যুক্তি খাটে না...আমার ক্ষেত্রে এখানে আবেগ খেটেছে!!
নতুন মন্তব্য করুন