জুলস বরডেট পৃথিবীতে এসে আমাদের ধন্য করেন ১৮৭০ সালের ১৩ই জুন। মানুষের ভেতরেও যাঁরা সবার উপরে। ইনি তাঁদের একজন। এই লোকটি রক্ত খুব পছন্দ করতেন। পছন্দ করতেন মানে এই জিনিসটিতে ওনার অপার কৌতুহল ছিল। ওনাকে সালাম দিয়ে একটা গল্প বলি। এটি আসলে একটি ঘটনা। আমি গল্পের মতো করে বলছি।
বরডেট রক্ত নিলেন। আর তা থেকে আলাদা করে ফেললেন রক্তের সব কোষ। রক্ত থেকে কোষ আলাদা করে ফেলা খুব জটিল কিছু নয়। একশো বছর আগেও ছিল না। সবাই জানে, রক্তে থাকে লোহিত কণিকা। বাংলায় যেটাকে বলে লাল কণিকা অথবা লাল কোষ। থাকে অণুচক্রিকা। এটাকে বাংলায় কী বলে তা জানিনা। ছোট ছোট চক্র হবে কি? এরকম দারুণ একটা জিনিসকে এরকম কঠিন নাম দিয়ে মানুষের শত্রু, বিশেষত আমার মতো কমবুদ্ধি ছাত্রদের শত্রু বানিয়ে দেয়ার কৃতিত্বটি কার তা কে জানে! যাকগে, রক্তে তৃতীয়ত থাকে শ্বেত কণিকা, মানে বাংলায় যাকে বলে সাদা কোষ। এরা আদতে কিন্তু ঠিক সাদা নয়। হয়েছে কি, ওই লাল কোষে আটকা থাকে লোহার ছোট ছোট টুকরা। তাই এদের রঙ লাল। সাদা কোষের তো আর লোহা নেই তাই এদের রঙ লাল নয়। লাল নয় বলেই সাদা। সাদা বলতে বিশেষ রঙহীন হবে বোধ হয়! সাদা কোষদের রঙ না থাকলেও বিরাট ভুঁড়ি থাকে। আর ভুঁড়ি থাকে বলে এদের সারাক্ষণ খাই খাই লেগে থাকে। এরা জীবাণু অথবা শরীরের মরা কোষ পেলেই টপাটপ গিলে খেয়ে ভুঁড়িতে হাত বোলাতে থাকে। এদের আমি নাম দিয়েছি গিলেখাদক
রক্তের যে এসব কোষ এগুলো ডুবে থাকে একটা তরল পদার্থে। ইংরেজিতে বলে সেরাম, বাংলায় রক্তরস। তো আমাদের বিজ্ঞানী বরডেট করলেন কি, এই রক্তরস আলাদা করে নিয়ে তাতে খানিকটা ব্যাকটেরিয়া ছেড়ে দিলেন। ব্যাকটেরিয়াদের সাঁতার শেখানোর চেষ্টা করছিলেন বোধ হয়। এমনিতে কিছু ব্যাকটেরিয়া খুব ভালো সাঁতার জানে, কিছু ব্যাকটেরিয়া জানে না। আমি অনেক ভেবে চিন্তেও ওই সাঁতার শেখানো ছাড়া আর কোনো কারণ বের করতে পারলাম না। বরডেটের ব্যাকটেরিয়াগুলো নিশ্চয়ই সাঁতার জানতো না! সে যাই হোক, বরডেটের সেই সাঁতার শেখানোর চেষ্টা সফল হলো না। ব্যাকটেরিয়াগুলো মরে ভুত হয়ে গেলো। আমি হলে ভাবতাম নিশ্চয়ই হতচ্ছাড়াগুলো ডুবে মরেছে। বেশ হয়েছে। কিন্তু বরডেট তা ভাবলেন না। বরং উনি ভাবতে বসলেন।
ভেবে দেখলেন, ওনার ওই রক্তরসে কোনো কোষ নেই, তারমানে ওই খাই খাই স্বভাবের সাদা কোষগুলো নেই যারা ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধরে খাবে। তাহলে ব্যাকটেরিয়াগুলো মরল কেনো? আর তাছাড়া ওই মরা ব্যাকটেরিয়াগুলোর শরীরে ফুটো কেনো?
বরডেটের সন্দেহ হলো, উনি করলেন কি, আবার রক্তরস নিয়ে সেটাকে সেদ্ধ করলেন। তারপর ওই রক্তরসে আবার ব্যাকটেরিয়া ছেড়ে দিলেন। এবার ব্যাকটেরিয়াগুলো বেশ চমৎকার হেসে খেলে বেড়াতে লাগলো রক্তরসে। তাদের মধ্যে মরার কোনো ইচ্ছেই আর দেখা গেল না।
বরডেট বললেন, রক্তরসে থাকে একটা জিনিস যেটা ব্যাকটেরিয়া অথবা অন্য কোনো কোষকে ফুটো করে দিতে পারে। তবে ওই জিনিসটা তাপ দিলে নষ্ট হয়ে যায়। উনি ওই জিনিসের নাম দিলেন অ্যালেক্সিন।
এরপর অনেক দিন কেটে গেল। নানা জায়গায় যুদ্ধবাজরা মানুষের রক্ত ঝরিয়ে খ্যা খ্যা করে হাসতে লাগল। আর একদল বোকা লোক ভাবতে লাগল মানুষকে বাঁচানো দরকার। মানুষ এমনিতেই যথেষ্ট মরে যাচ্ছে। তাকে মারার জন্য কোনো দো'পেয়ে শ্বাপদ বানানোর দরকার নেই। এইসব লোকেরা ওই অ্যালেক্সিন নিয়ে বসে বসে চিন্তা করতে লাগলো আর নানা পরীক্ষা করতে লাগলো। পরীক্ষা করতে করতে তারা বের করে ফেলল, অ্যালেক্সিস আসলে প্রোটিনের একটা দল। সব প্রাণির রক্তে থাকে। তারা এর নাম দিল কমপ্লিমেন্ট প্রোটিন।
এই প্রোটিনেরা কী কী করে?
আলাদীনের প্রদীপের মতো এরা প্রায় সবকিছুই করে। ছোট তালিকা দেই:
সবার আগে এরা জীবাণুর গায়ে আংটা বসায়। ঘুরিয়ে বললে এরা গিলেখাদকদের কাঁটা চামচ হিসেবে কাজ করতে পারে। মানে এমনিতে জীবাণুরা পিছলা। পালিয়ে বেড়ায়। তাদের সহজে ধরা যায় না। কমপ্লিমেন্ট প্রোটিনেরা গিয়ে জীবাণুর গায়ে আংটার মতো লেগে থাকতে পারে। তাতে গিলেখাদকেরা শতগুণ সহজে জীবাণু ধরে গিলতে পারে। এই প্রকৃয়াটিকে বলে অপসোনাইজেশন।
রক্তরসের এই কমপ্লিমেন্ট প্রোটিনেরা কেউ কেউ খুব ভালো বংশীবাদক। বাঁশী মানে হুইসেল। এরা হুইসেল বাজানোর মতো করে শরীরের রক্ষী কোষদের সংকেত দিতে পারে যে শত্রু এসেছে। ঠ্যাং দোলানো বাদ দিয়ে জলদি এসে ঠেকাও!
চেহারার ভুগোল বদলে দেয়ার যে কথাটা বাংলায় প্রচলিত আছে। আমার সন্দেহ হয় সেই কথাটা এসেছে কমপ্লিমেন্ট প্রোটিনদের কাজ দেখে। এরা কিছু কিছু ভাইরাসের চেহারার ভুগোল বদলে দিতে পারে। সাঁপের বিষদাঁত ভেঙে দেয়ার মতো। তাতে ভাইরাসেরা নির্বিষ হয়ে যায়!
কমপ্লিমেন্ট প্রোটিনেরা আরো এটা সেটা অনেক কিছু পারে কিন্তু তারা সবচে চমকপ্রদ যে কাজটি করে সেটি হচ্ছে দশেমিলে করি কাজ পদ্ধতিতে ব্যাকটেরিয়া অথবা অন্য জীবাণুর কোষ ফুটো করে দেয়া। প্রোটিনের নিশ্চয়ই বুদ্ধি থাকতে পারে না। কিন্তু এরা এমন দারুণ উপায়ে জীবাণুর কোষ ফুটো করে যে দেখলে সন্দেহ হয় এরা মারাত্মক বুদ্ধিমান। তিনভাবে এরা এই কাজ করতে পারে। সবগুলোর লক্ষ্য একই, জীবাণুর চামড়া ফুটো করে দেয়া। শেষ পর্যায়ের তাই তিনটা পদ্ধতি একইভাবে কাজ করে। পার্থক্য কেবল প্রথমদিকের কয়েকটা ধাপে। আমি সবগুলো মিলিয়ে একটুখানি ধারণা দেই,
কমপ্লিমেন্ট প্রোটিনদের নাম নেই। এদেরকে ডাকা হয় নাম্বার দিয়ে। যেটা সবার আগে আবিষ্কার হয়েছে সেটার নাম কমপ্লিমেন্ট প্রোটিন ১ সংক্ষেপে সি১। ১ নাম্বার, ২ নাম্বার, ৩ নাম্বার এভাবে ডাকলেও এরা কিছু মনে করে না। প্রথমে শরীরে জীবাণু ঢুকলে ৩ নাম্বার টের পেয়ে দুভাগ হয়ে যায়। সি৩ নাম্বার এ' আর সি৩ নাম্বার বি'। সি৩বি গিয়ে ৫ নাম্বার কে দুভাগ করে সি৫ এ' আর সি৫ বি' বানিয়ে দেয়। তারপর ওই সি৩বি+সি৫বি+সি৬+সি৭+সি৮ মিলে গিয়ে জীবাণুর গায়ে লেগে যায়। এটার পাশে এবার সি৯ গিয়ে পর পর জীবাণুর কোষে গেঁথে যেতে থাকে। তাতে জীবাণু কোষটা ফুটো হয়ে যায়। একটা তরমুজে একটা বৃত্ত এঁকে পরিধি বরাবর পরপর অনেকগুলো ছুরি গেঁথে দিলে যেরকম তরমুজটা ফুটো হয়ে যায় সেরকম।
গুগল ডকে একটা ছবিও এঁকে ফেললাম। তা না হলে তানিম্ভায়ের মতো মন্দ লোকে নিন্দা করে।
তো সবমিলিয়ে কমপ্লিমেন্টের ব্যাপার হচ্ছে এই। তবে কিনা কমপ্লিমেন্ট নিয়ে আমাদের এখনো অনেক কিছু জানতে বাকি। আর কেউ কেউ আছেন না জানতে পারলে যাঁদের খুব কষ্ট হয়। জানতে না পারলে যাদের খুব কষ্ট হয় তাদের অনেকেই তাই দিনরাত কমপ্লিমেন্ট নিয়ে বসে বসে ভাবেন আর এটা সেটা পরীক্ষা করে দেখেন। এরকম একজন হচ্ছেন প্রফেসর পিটার সিপ্ফেল। ভাগ্য গুণে এই প্রফেসরের ল্যাবে আমার একটুখানি কাজ দেখার সুযোগ হয়েছে, তাতেই আমার চক্ষু চড়কগাছ! মাথায় কিছু নেই বলে আমি বেশি কিছু ভাবতে পারছি না। তবে খবর সংগ্রহের কাজটি ঠিক ঠিক করে যাচ্ছি। কমপ্লিমেন্ট নিয়ে নতুন কোনো খবর পেলেই আমার হাজির হয়ে যাবো আপনাদের জানাতে।
বলে রাখি,
রক্ত রসে অ্যান্টিবডি নামের একধরনের জীবাণুরোধী প্রোটিনও থাকে। কিন্তু অ্যান্টিবডি থাকবে কেবল সেইসব প্রাণীর রক্তে যারা আগে কখনো ওই বিশেষ জীবাণুর সংস্পর্শে এসেছে। অ্যান্টিবডি জীবাণু চেনে, কমপ্লিমেন্ট প্রোটিন জীবাণু চেনেনা। অনেক আগে এদের নিয়ে লিখেছিলাম। আজকে আর সেদিকে না যাই।
আর,
জুলস বরডেট কেবল কমপ্লিমেন্টেই থেমে থাকেন নি। এটা সেটা আবিষ্কার করে করে জীবাণু আর মানুষের শরীররক্ষা সিস্টেমের একেবারে হেস্তনেস্ত করে ছেড়েছিলেন। অদম্য কৌতুহলের স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি চিকিৎসা ও শরীরবিদ্যায় ১৯১৯ সালে পেয়েছিলেন নোবেল প্রাইজ। হুপিং কাশীর জন্য দায়ী যে ব্যাকটেরিয়া বরডেটেল্লা পারটাসিস, সেটা উনি আর ওনার সহযোগী মিলে প্রথম প্রকৃতি থেকে আলাদা করেছিলেন। বরডেটেল্লা নামের ব্যাকটেরিয়ার যে গোত্রটি, সেটির ওনার নামেই নাম।
[সুরঞ্জনার সঙ্গে কথা হয়েছিল, সেও লিখবে, আমিও লিখব। আমি লিখেছিলাম ঠিকই কিন্তু সেটা ছিল বড্ড মারমার কাটকাট ধরণের একটা পোস্ট। ওরকম লেখায় আমি আরাম পাইনা। আর তাছাড়া ভাবলাম, এতো ভালো একটা মেয়ে, পৃথিবীর সব ভালো ভালো বান্ধবী কিনা যে দখল করে রেখেছে তার জন্য আরেকটা লেখা লেখাই যায়। এই লেখাটি তাই সুরঞ্জনার।]
ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশিত।
মন্তব্য
এতো কিচ্ছা কাহিনী পড়ে টাশকি খেলুম...... ”মনামার দেহ ঘড়ি....সন্ধান করি কোন মেস্তরি বানায়াসে....”
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ঈশ, আমাদের সঙ্গীতা ওরফে রত্না একা হাতে কতোদিক সামলাচ্ছে মা দূর্গার মতো! দেখলেই অবাক হতে হয়! এক হাতে রান্ধে, এক হাতে চুল বান্ধে, এক হাতে মডুগিরি সামলায়, এক হাতে বালিকাদের চিপক্কে ধরে ফটুক খিচে, এক হাতে অনুজীব নিয়া ব্লগ লেখে... বাকি হাতগুলো দিয়া 'কী' করে সেইটা তো আর আমি বলতে পারি না! মুফতি মোহাম্মদ মেম্বর আহাম্মদ বলতে পারবেন বটে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
"কী" করার জন্য এতোগুলো হাত লাগে!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দুনিয়াজুরা দেখি পচুর গিয়াঞ্জাম!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধুগো'দা, বড়ভাইগুলা পথের কাঁটা হয়ে আছে বলেই তো...
নজুভাই, হ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
প্রায় বছর খানেকের প্রবাস জীবনে, বাংলা পড়ার নেশা মেটাতে সচলায়তন আমার দৈনন্দিন রু্টিনের একটি অংশ হয়ে গেছে। সচলায়তনের সবার লেখাই পড়ি, কিন্তু আজ আপনার লেখা পড়ে প্রথম মন্তব্য করলাম, বলা যায় করতে বাধ্য হলাম। কাকতালীয় ভাবে আজই 'Role of complement in innate immune response against pneumoccus' নামে একটি অধ্যায় লিখে শেষ করার পর সাইটে ঢুকে দেখি আপনার এই লেখা। এই রকম বিষয় নিয়ে এত প্রাঞ্জল লেখা কিভাবে লিখেন! আপনার লেখাগুলো পড়ে মাঝে মাঝে মনে হয় যদি কখনো এরকম একটি লেখা লিখতে পারতাম তাহলে জীবনটা সার্থক হত। অনেক ধন্যবাদ এরকম সহজ ভাষায় বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো নিয়ে লেখার জন্য।
বাহ কী সুন্দর মন্তব্য!!!! সহমত ডক্টর।
Dr. Shamsher Ahmed,
মন্তব্যের জন্য অনেক থন্যবাদ। আপনিও কিছু ব্লগ লিখে ফেলুন চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ে। এরকম মন্তব্যের মতো গোটা দশেক প্যারা হলেই তো হয়ে যায়।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এমন ডাল ভাত করে বলেন যে আমার মনে হয় আমি আবার আপনার কাছে ইন্টেরমিডিয়েটের বায়োলজী পড়ি।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
love the life you live. live the life you love.
ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
খুব ভালো লাগলো পড়ে। সহজে অনেক কিছু বোঝা গেলো। এই যেমন সুরঞ্জনার বান্ধবীর জন্যই এই ব্লগ লেখা।
হে হে...
ইয়ে মানে বহুবচন হবে মুর্শেদ ভাই
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনেক কিছু জানলাম।:)
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কী যে সহজভাবে লিখেন অনার্যদা!!!! চমৎকার ভাবে বুঝে গেলাম। কম্প্লিমেন্ট প্রোটিনের নতুন খবরের অপেক্ষায় রইলাম। নিয়মিত বায়োলজির পোস্ট চাই, ভাইয়া...............
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
কমপ্লিমেন্টের নতুন খবর প্রতি সপ্তাহেই আসছে। আগ্রহী হলে গুগল স্কলারে সার্চ দিলেই পাবেন।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কিন্তু সেখানে কী আর এরকম ক্লাশ কেউ নিবে বলেন?
নাহ এই রকম একটা মাস্টার পেলে বায়োলজি ছাড়তাম না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
শিশুপালন কই আগে কন! দুই পিচকার নতুন ছবিও তো দেখিনা হাজার হাজার বছর!!!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনার দেখছি রুশদেশী রাজকন্যাদের দশা হয়েছে, যাদের রূপ-গুণের কথা বলে/লিখে শেষ করা যায় না।
লেখাটা এত ভালো হয়েছে যে কী বলবো। বান্ধবীদের জানাতে হয় তাহলে
লেখায়
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
হে হে... ওই ইয়ে বুঝলে... মানে তুমি যখন এতো জোরাজুরি করতেছ...
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সুখপাঠ্য লেখা।
তবে ধন্যবাদটা আপনাকে আর দিলামনা, এটা পৃথিবির সব ভাল ভাল বান্ধবীদের বান্ধবী সুরঞ্জনাদির পাওনা
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এতো জোশ করে লিখলেন - গুটিকয় স্যার ছাড়া আর কারো বিজ্ঞান পড়াতে পড়ানো ভালো লাগেনি, তবে তাদের কেউ এইভাবে গল্প করতোনা ....রক্তের ভেতরেতো দেখি মারমার-কাটকাট ব্যাপারসেপার, এইভাবে আগে বুঝি নাই
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভালই শিক্ষা নিলাম বটে এই বুড়ো বয়সে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সরল বাংলায় অনেক জটিল অনুজীব বিজ্ঞান শিখলাম আর কমপ্লিমেন্ট নিয়ে নতুন খবরের প্রতিক্ষায় থাকলাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
যথারীতি সরল এবং সুখপাঠ্য।
[লুল শিরোনামে আশান্বিত হয়া গেস্লাম রে মডু...]
আর আশা! মডুদের কোনো আশা থাকতে নাই। বুঝলা ছুডো মডু।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এতো সুন্দর বিজ্ঞান লেখা বাংলায় খুব কম পড়েছি। চমৎকার হয়েছে বললেও কম বলা হবে। আরো লিখুন এমন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দারুন লিখেছেন! আরো লিখতে থাকুন এমন তথ্যবহুল লেখা( তিব্বতে একবার রক্তে হিমগ্লোবিন কমে যাওয়ায় প্রায় জোম্বি হয়ে ছিলাম বেশ কিছু দিন, সেই কথা মনে পড়ে গেল)।--- অণু
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কি চমৎকার একটা লেখা!
আমি সিরিয়াসলি বলতেছি, এইরকম সুন্দর করে কেউ যদি আমাকে মাইক্রোবায়োলজি পড়াইতো, তাহলে আমিও হাতুড়িবাটালকরাতের কারবার ছেড়ে 'কালচার্ড' হয়ে যাইতাম
লেখার জন্য আর পরের বইটার অপেক্ষায় থাকলাম
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
পরের বিয়ের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দারুণ... এই মন্তব্যটা করার জন্যই লগাইলাম আমি ইমিউনোলজি নিয়ে পড়া শুরু করলাম। তাই এই লেখা আমার ভীষণ কাজে লাগলো!!! ধন্যবাদের শেষ নাই কোন
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
ইমিউনোলজি নিয়ে পড়লে এই লেখাটা (আমার কোনো লেখাই) কাজে লাগার কথা নয়! এই লেখাগুলো হয় হাওয়াই মেঠাইয়ের মতো, ভেতরে মাশমশলা কিছু থাকে না!
আপনি (মলিক্যুলার?)বায়োলজিস্ট তা জানা ছিলনা!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমার মাস্টার্স এর সাব্জেক্ট 'ইনফেকশন এন্ড ইমিউনিটি' আর অনার্স ছিল ফার্মেসী তে ইমিউনোলোজীর ব্যাসিক তাই বেশ খারাপ বলা চলে
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
দারুণ। আমারও মেজর ইনফেকশন বায়োলজি। থিসিস ইমিউনোলজিতে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
রে সংক্রমণপটিয়সী জীবাণু ভাই, আপনার লেখা পড়ে জীববিজ্ঞান নিয়ে লেখার প্রেরণা পাই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অবশ্যই লিখুন। আপনার লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়েও কেন যে এমন সহজ লেখা আসে না, সচলে । সমস্যা হলো সবাই সহজ ও মজার করে লিখতে পারে না (এই যেমন আমি ) । আশা করি গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, ইতিহাস, সহ প্রায় সব বিষয়গুলো নিয়েই সচলে অন্যান্যরাও লিখবেন। অনার্যকে নুতন করে আর কিছু বলার নেই। লিখতে থাকুন নিয়মিত।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দুর্দান্ত লেখা, গল্পের মত লেখা!
ইসস এমন করে কেউ জীববিজ্ঞান পড়ালে আমি কি আর পদার্থবিজ্ঞান পড়ে অপদার্থ হতাম???
ভাল কথা তোমার রক্তরস বা 'সেরাম' কে তো 'প্লাজমা'ও বলা হতো আগে---তাই না? আমার জানা মতে প্লাজমা শব্দটা আসলে আগে ঐ রক্তরসের ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হত। ঐ প্লাজমা'র 'আসল' প্লাজমায় রূপান্তর বোধহয় পরে হয়েছে।
এমন আরো অসাধারণ লেখা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। আর হ্যাঁ, এই বারও তোমার লেখা নিয়ে খারাপ কিছু বলতে না পারায় মনটা কিঞ্চিত খারাপ হয়েছে। পরের বার এনশাল্লাহ---
শুভেচ্ছা নিরন্তর
হ্যাঁ তাইতো। প্লাজমাও বলে রক্তরসকে।
হা হা... আপনি আর পারছেন। লন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অণুজীব আমাদের পরবর্তী আবদুল্লাহ-আল-মুতী শরফুদ্দিন।
কই তালগাছ আর কই ম্যাচের কাঠি!
আপনার ইমোটিকনও বেশ বিপদে ফেলে দেয় সবসময়
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নতুন মন্তব্য করুন