শুক্রবারে এক্সপেরিমেন্টের ফাঁকে অভ্যসবশত পরিচিত বিজ্ঞান পত্রিকাগুলোতে ঢুঁ মারছিলাম। ন্যাচারে (nature.com) বিশেষ প্রজাতির সাধারণ পিঁপড়াদের দৈত্যাকার প্রহরী পিঁপড়া হয়ে ওঠা বিষয়ক খবরটা নজর কাড়ল। বিজ্ঞানের পৃথিবীতে চমক না থাকাটাই অস্বাভাবিক। অভ্যেস হয়ে যাওয়ায় এসব খবরে এখন আর চমকাই না। তবে সত্যি সত্যি দারুণ চমকে উঠলাম পরের খবরটাতেই। একটা গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে অস্বীকার করা হয়েছে এইচআইভি ভাইরাসসের সঙ্গে এইডসের সম্পর্ক ! গবেষণাপত্রটি ন্যাচারে প্রকাশিত হয়নি। ন্যাচার বরং এটির উপর একটি নিবন্ধ ছেপেছে। নিবন্ধটি এবং পরবর্তীতে মূল গবেষণাপত্রটিও আমি আক্ষরিক অর্থেই হাঁপাতে হাঁপাতে পড়েছি! এইচআইভি ভাইরাস এইডসের জন্য দায়ী নয়? এইডস কোনো মহামারী নয়? এইডসের টিকা/ওষুধের যে যুগব্যপী গবেষণা, পরীক্ষামূলক ব্যবহার সেসবের দরকার ছিলনা? এইডস পূর্ববর্তী/পরবর্তী নানা সামাজিক-রাষ্ট্রীয় আয়োজন সব অর্থহীন? বলে কী!
১৯৮৪ সালের পর থেকে এইচআইভি/এইডস-এর কারণে বিশ্বের সমাজ-রাষ্ট্র-অর্থনীতি-স্বাস্থ্য যেভাবে ওলটপালট হয়েছে সেটার খুব অস্পষ্ট একটা ধারনা নিয়েই আমি বলতে পারি, এই গবেষণাপত্রটি বিজ্ঞানের বিশ্বে অন্তত গোটা দশেক নাইন-ইলেভেন-এর প্রভাব ফেলবে! ফেলা উচিত।
ন্যাচারের নিবন্ধটির শিরোনাম মূল গবেষণাপত্রটি সম্পর্কে একটা ধারনা দেয়। শিরোনামটি এরকম: Paper denying HIV–AIDS link secures publication. এটার বাংলা করা যায় অনেকটা এরকম: এইচআইভি-এইডসের সম্পর্ক অস্বীকার করা গবেষণাপত্র (নিজের) প্রকাশ নিশ্চিত করেছে! এভাবেও বলা যেত, একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে যেটিতে এইচআইভি এবং এইডসের সম্পর্ক অস্বীকার করা হয়েছে! কিন্তু শিরোনামের "প্রকাশ নিশ্চিত করেছে (secures publication)" অংশটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি বলে দেয় যে এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হবার কথা ছিল না। অথবা এটি প্রকাশিত হবার মতো "যোগ্য" হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু সেই যোগ্যতাটি এই গবেষণা অর্জন করতে পেরেছে! এই গবেষণাপত্রের যোগ্যতা বিষয়ক ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু সেদিকে যাওয়ার আগে, পাঠকদের এইচআইভি এইডস বিষয়ে কিছু তথ্য মনে করিয়ে দেই।
এইডস রোগটিতে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেড়ে পড়ে। এইচআইভি নামক ভাইরাস এইডস রোগের জন্য দায়ী। এই ভাইরাসটি মানুষের শরীরের একটি বিশেষ রোগপ্রতিরোধী কোষ ('টি কোষ' T lymphocyte)-কে সংক্রামিত করে। এইচআইভি সংক্রমণে শরীরের এই বিশেষ রোগপ্রতিরোধী কোষের সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়ে এদের উপর নির্ভরশীল শরীরের রোগপ্রতিরোধী বড় একটি অংশ! রোগপ্রতিরোধের এরকম একটি স্তর ভেঙে পড়লে যেসব জীবাণুর সঙ্গে সহজেই মানুষ লড়াই করে বেঁচে থাকত সেসব জীবাণূর সংক্রমণেই মানুষ মারা যায়। একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন, এইচআইভি ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করলেই এইডস হয়না। এইচআইভি সংক্রমণ থেকে এইডস হতে সময় লাগে। কখনো এই সময়ে ১০-১৫ বছরের মতো দীর্ঘও হতে পারে। এই সময়টি নির্ভর করে, এই ভাইরাসটি কত দ্রুত শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে পারছে তার উপর! শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে যখন আপাত ক্ষতিকর নয় এরকম জীবাণুর আক্রমণে মানুষ দূর্বল হয়ে পড়ে, অথবা যখন খুব সাধারণ অসুখ বিসুখ আর সারেনা তখন সেই পর্যায়টিকে মোটাদাগে এইডস বলা যায়।
এইডস রোগটির কারণ হিসেবে এইডস ভাইরাসকে প্রথম চিহ্ণিত করা হয় ১৯৮৪ সালে একটি গবেষণাপত্রে। সারা পৃথিবীতেই এরপর এইডস আতঙ্ক বেড়েছে বই কমেনি। পৃথিবীর সব রাষ্ট্রই এইডস প্রতিরোধে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছে গত তিন দশকেরও বেশি সময়ে। এইডস প্রতিরোধ, সচেতনতা থেকে শুরু করে এইচআইভি-এইডস বিষয়ে গবেষণার জন্যে রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যয় করা হয়েছে অকল্পনীয় পরিমাণের অর্থ। এই বিষয়টিতে সারা পৃথিবীতে নানা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ! এইডস বিষয়ক গবেষণা, আবিষ্কার সংবাদ শিরোনাম হয়েছে নিয়মিত। লক্ষ মানুষ-পরিবার যেমন এই রোগে সর্বশান্ত হয়েছে তেমনি এই রোগটিকে মোকাবেলায় নতুন উদ্যমও এসেছে প্রতিদিন। এইডস বিষয়টি অপরিচিত নয় কারো কাছেই! যে কেউ চারপাশে তাকালেই বুঝতে পারে এই রোগটিকে কতটা গুরুত্ব দেয়া হয়! সারা পৃথিবীতেই এর চাইতে বেশী প্রচারণা অন্য কোনো সংক্রামক রোগ পেয়েছে বলে আমার জানা নেই!!।
এখন যদি কেউ আচমকা একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করে যেটিতে এইচআইভি এবং এইডসের সর্ম্পকটিকেই অস্বীকার করা হয় তাহলে সেটি কীভাবে গ্রহনযোগ্যতা পাবে! এরকম আজগুবি কোনো ব্যাপার তো প্রকাশযোগ্যই হতে পারেনা! কিন্তু সেটিই হয়েছে। এই গবেষণাপত্রটি আপন যোগ্যতাতেই প্রকাশিত হয়েছে! অথচ এই গবেষণাপত্রটিরই একটি পুরনো সংস্করণ (২০০৯-এ) প্রকাশের পর আবার ফিরিয়ে নেয়া হয়েছিল! তখন যে ঘটনাগুলো ঘটেছিল সেগুলো এরকম:
একবার যে গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করে এরকম হাঙ্গামা হয়েছে সেটিই আবার প্রকাশ করতে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এটাকে যথেষ্ট শক্তিশালী হতে হয়েছে তাতে কারো সন্দেহ থাকার কথা নয়। এবার অবশ্য এটি পুরোপুরি নতুন সংস্করণ নয়। এটিতে পুরনো সংস্করণটির অনেক যুক্তিকেই আবার উপস্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে যেটি করা হয়েছে সেটি পুনর্নীরিক্ষণ (peer review)! পুনর্নীরিক্ষণ বা পিয়ার রিভিউ বিষয়ে সংক্ষেপে বলি, একটি গবেষণাপত্র যখন কোনো বিজ্ঞান সাময়িকীতে পাঠানো হয় তখন সেই সাময়িকীর সম্পাদক যদি সেই গবেষণাপত্রটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অন্য গবেষকদের কাছে পাঠান। এবং অন্য গবেষকরা পর্যালোচনা করে রায় দেন ওই গবেষণাপত্রটি যথার্থ কীনা! তখন সেই প্রকৃয়াটিকে বলা হয় পুনর্নীরিক্ষণ।
উদাহরণ দেই, ধরা যাক রোনালদো একটা বিশেষ পদ্ধতিতে বলে লাথি দিয়ে গোল দেয়া যায় বলে আবিষ্কার করেছে। সেটি তথ্য-প্রমাণ সহ একটা গবেষণাপত্র আকারে লিখে শাঁখারিবাজার ফুটবল ম্যাগাজিনে পাঠালো। শাঁখারিবাজারের সম্পাদক সেটিকে তখন পুনর্নীরিক্ষণের জন্য মেসি এবং অন্যান্যদের কাছে পাঠাবেন। তাঁরা ওই গবেষণাপত্রে লেখা পদ্ধতি যাচাই করে দেখবেন, আসলেও ওই বিশেষ লাথিতে গোল হয় কীনা! মেসি এবং অন্যান্যরা যাচাই করে রায় দিলে তখন সেটি পুনর্নীরিক্ষিত গবেষণাপত্র হিসেবে শাঁখারিবাজার ফুটবল ম্যাগাজিনে প্রকাশ পাবে।
বিজ্ঞানের গবেষণাপত্রের পুনর্নীরিক্ষিত হওয়া খুব জরুরী। এটি কোনো গবেষণার/আবিষ্কারের গ্রহনযোগ্যতা নিশ্চিত করে! এইচআইভি এইডসের সম্পর্ক অস্বীকারকারী ডুয়েসবার্গের গবেষণাপত্রের এই সংস্করণটি পুননীরিক্ষিত। এটি প্রকাশিত হয়েছে ইটালিয়ান জার্নাল অব এনাটমি এণ্ড এমব্রায়োলজি'তে। গবেষণাপত্রটির পুনর্নীরিক্ষকদের একজন এই জার্নালেরই প্রধান সম্পাদক, গবেষক পাওলো রোমাগনলি। রোমাগনলি বলেন, তিনি এই গবেষণাপত্রটি পুনর্নীরিক্ষা করেছেন কারণ পূর্বে এটি প্রকাশের পরও ফিরিয়ে নেয়া হয়েছিল এটির কোনো তথ্য বিভ্রান্তি/বিকৃতির জন্য নয়, বরং এটি বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল বলে! যদি একটি গবেষণার তথ্য সঠিক হয় তাহলে সেটি কেবল বিতর্কিত হওয়ার কারণে প্রত্যাখ্যাত হতে পারে না!
ডুয়েসবার্গের বিরোধীরা (এঁরাই সংখ্যায় বেশি, ডুয়েসবার্গ ভয়ানকভাবে সংখ্যালঘু) কী বলছেন?
এইডস গবেষণা এবং প্রচারণার হর্তাকর্তারা তো এই গবেষণাপত্র কীভাবে পুনর্নীরিক্ষিত হতে পারে সেটা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন! অনেকে বলছেন এটি প্রকাশিত হয়েছে একটা নিন্মশ্রেনীর বিজ্ঞান সাময়িকীতে। খুব কম লোকই এই সাময়িকীর বিষয়ে জানে! এটার কোনো গ্রহনযোগ্যতা নেই! এই কথাগুলো অবশ্য খানিকটা সত্যি, বিসমিল্লা বলে শুরু করলেই একটি প্রকাশনা বিজ্ঞান সাময়িকী হয়ে যায় না! সেটি একটি গ্রহনযোগ্য মানের হওয়া আবশ্যক! গ্রহনযোগ্য হয়ে ওঠাও সহজ নয়! বিজ্ঞান সাময়িকীর গ্রহনযোগ্যতা/মান নির্ণয়ের একটি উপায় তার ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর। ইটালিয়ান জার্নাল অব এনাটমি এণ্ড এমব্রায়োলজি'র ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর ০.৪৮৮ (তথ্যটি যাচাই করে দেখিনি)। এটি নিঃসন্দেহে খুব সুখকর ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর নয়! বরং বেশিরভাগে এই তথ্য শুনেই নাক কুঁচকাবেন!
ন্যাচারের নিবন্ধটি থেকে ডুয়েসবার্গ বিরোধীদের কয়েকটা বক্তব্য তুলে দেই:
নিঃসন্দেহে, এইইচআইভি-এইডস এতো দীর্ঘসময় ধরে গবেষণার বিষয়বস্তু যে এটি এখন একটি অকল্পনীয় মহাবৃক্ষ! এক কোপে এটিকে বিনাশ করা সম্বব নয়। এক কথায় এতদিনের প্রমাণিত এই বিজ্ঞানকে উড়িয়ে দেয়াও সম্ভব নয়! কিন্তু ডুয়েসবার্গও বিজ্ঞানের জগতে নতুন কেউ নন, পাত্তা না দেয়ার মত কেউ নন। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এই গবেষক দীর্ঘ ২০ বছরেরও বেশী সময় ধরে এইচআইভি-এইডস সম্পর্কের বিরোধীতা করে আসছেন। এই সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে তিনি বিরোধীতা করলেন এইডসের চিকিৎসারও। তার ভাষ্যমতে এটি অপ্রয়োজনীয় তো বটেই, ক্ষতিকরও! যুগ যুগ ধরে চালানো ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের আর অকল্পনীয় শ্রমের গবেষণা সম্পর্কে এরকম মন্তব্য সহজ নয়। পৃথিবীর জনস্বাস্থ্য যে এই একটি ২১ পাতার গবেষণাপত্রে কতটা নাড়া খেতে পারে তা না বোঝার মতো বোকা তিনি নন। গবেষণায় সততা না থাকলে এতোবড় ঝুঁকি তাঁর নেয়ার কথা নয় বলেই আমার মনে হচ্ছে!
ডুয়েসবার্গ বলেন, এই গবেষণাপত্রটি এইডসের বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব নিয়ে আমাদের দীর্ঘ যুদ্ধের বিজয়। অনেকেই অবশ্য বলছেন, ডুয়েসবার্গের কথায় কেউ পাত্তাও দেবে না। ডুয়েসবার্গের তত্ত্ব এখন কবরে এক পা দিয়ে বসে আছে! অবশ্য পাত্তা না দেয়ার কথা বললেও বিজ্ঞান মহলে ঝড় কম হচ্ছে না। কেউ বলছেন, বোকা বুড়োটা ক্ষেপেছে! কেউ বলছেন, দূর দূর! কিন্তু অনেকই ভাবছেন। ভাবার মতো কথাই ডুয়েসবার্গ বলেছেন তার গবেষণাপত্রে।
তিনি বলছেন, এইচআইভি এইডসের জন্য দায়ী সেটি নিশ্চিত নয়! এইডস কোনো মহামারী নয়! এবং এখনকার যে এইডস বিরোধী চিকিৎসা সেটির ক্ষতি বিবেচনা করে সেটির আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা তা আবার ভেবে দেখা দরকার। যতদিন না এইচআইভি-এইডস সম্পর্ক নিশ্চিত হচ্ছে ততদিন এইচআইভি সংক্রমণের প্রমাণ মিললেই এইডসের চিকিৎসার প্রয়োজন নেই! এবং অবশ্যই সারা বিশ্বে এইডস মহামারীতে মৃতের যে হিসাব, সেই মহামারীর কোনো অস্তিত্বই নেই!
৩৫ বছর ধরে সারা পৃথিবীর মানুষ যে দুঃস্বপ্নে অস্থির হয়ে আছে! আজকে ডুয়েসবার্গ বলে দিলেন সেই দুঃস্বপ্নের অস্তিত্ব নেই? এতোই ক্ষমতা অখ্যাত সাময়িকীতে প্রকাশিত পাওয়া ২১ পাতার একটি গবেষণাপত্রের?
ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে ভাবছি। কুল কিনারা পাচ্ছি না! আমার গোবর ভরা মাথায় তা পাওয়ার কথাও নয়! এমনিতে এ পর্যন্ত যতো বিরোধীতা এসেছে তাতে ডুয়েসবার্গের যুক্তির বিরোধীতা কাউকে করতে দেখিনি! সবই রাজনৈতিক ঝোপঝাড় পেটানো বিরোধিতা বলে মনে হচ্ছে! অখ্যাত সাময়িকীর যে যুক্তি তাতে আমি নিজে মনে করি, বিতর্কিত হওয়ার ঝুঁকি এড়াতেই নামী সাময়িকীগুলো এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেনি। ডুয়েসবার্গের গবেষণাপত্রটি শক্ত, কিন্তু এরকম একটা ভয়াবহ বিষয়ে কথা বলে পরে ভুল প্রমাণিত হওয়ার ঝুঁকি নামী সাময়িকীগুলো নেবে না! সমস্যা হচ্ছে, এইচআইভি-এইডস বিষয়ে আমি অন্য সব বিষয়ের মতই মূর্খ। তাই নিশ্চিত করে কিছু মানতেও পারছি না! কেবল দেখার জন্য অপেক্ষা করছি, এইচআইভি-এইডস সম্পর্কে বিশ্বাসী বিজ্ঞানের বড় মাথারা ডুয়েসবার্গের গবেষণার যুক্তিযুক্ত বিরোধীতা করবেন কীভাবে! নাকি অদূর ভবিষ্যতে আরো গবেষণার মাধ্যমে এই ক্ষ্যাপা বুড়ো বিজ্ঞানী আরো শক্তভাবে প্রমাণ করে দেবেন, এইডসের মহামারী এমন একটা দুঃস্বপ্ন যার সত্যিকারের কোনো অস্তিত্বই নেই!
এই লেখাটি এমনিতেই যথেষ্ট বড় হয়েছে। মূল গবেষণাপত্রে কীভাবে/কেন এইচআইভি-এইডস সম্পর্ক অস্বীকার করে এইডসের মহামারীকেই গায়েবী বলা হয়েছে সেই আলোচনা দীর্ঘ হবে বলেই মনে হচ্ছে। আজকে আর সম্ভব নয়! ব্যস্ত থাকলেও এরকম টাটকা গরম বিষয় এড়িয়ে যেতে পারলাম না বলে একটা লেখা লিখে ফেললাম। ডুয়েসবার্গের মূল গবেষণাপত্রটি সহজ ভাষায় লেখা। আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন। তা নয়তো সেটি নিয়ে আগামী ১১ তারিখের পর সেটি নিয়ে আরেকটি লেখা লেখার ইচ্ছে রইল।
ন্যাচারের নিবন্ধ
ডুয়েসবার্গের মূল গবেষণাপত্র (সবার জন্য উন্মুক্ত)
মন্তব্য
পারবনা পরতে। এই সহজ ভাষাও আমার জন্য বেজায় কঠিন। আপনিই লেখেন। জানতে মুঞ্চায়।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পড়লাম। মূল গবেষণাপত্রে কীভাবে বা কেন এইচআইভি-এইডস সম্পর্ক অস্বীকার করে এইডসের মহামারীকেই গায়েবী বলা হয়েছে সেই আলোচনাতেই আসলে অধিক আগ্রহী। সেটা কবে দিচ্ছ আগে জানাও।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
১১ তারিখের পর লিখতে শুরু করব, যখন শেষ হয়। গরম গরম লিখে ফেলার ইচ্ছা
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
'এইডস প্রত্যাখানকারী'দের কে নিয়ে উইকি থেকে কিছু লাইন এখানে তুলে দিলাম:
love the life you live. live the life you love.
মূল কারণটা এই যে, বিধর্মীরা সংখ্যালঘু!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চারপৃষ্ঠার পেপারই পড়তে চাই না বলে অ্যাডভাইজরের ভ্রুকুঁচকানি খাই, আর ২১ পৃষ্ঠার পেপার ধরায়া দিলেন! একটু বাংলায় খুলে বলেন না ঐ পেপারটায় কি কইসে। জানতে মুঞ্চায়।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আমিও ১১ এর অপেক্ষায় আছি। অনার্যর মত সহজ করে গুলায় খাওয়াইতে পারে আর কয়জন?
১১ তারিখের পর গুলবো
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
<ডুপ্লি ঘ্যাচাং>
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
মূল গবেষণা পত্রটি কয়েক পাতা পড়লাম। তারপর মোটামুটি চোখ বুলিয়ে যা মনে হলো তা সংক্ষেপে বলছি-
১। AIDS বা এর জীবানু বা এ সংক্রান্ত গবেষণার ভিত্তির বিরোধীতা করা হয়েছে মূলত কিছু পরিসংখ্যানের উপর নির্ভর করে।
২। মূল বক্তব্য হচ্ছে, এইচআইভি নিয়ে মহামারীর যে আশংকা বা মহামারীর নির্দেশক মৃত্যুহার বা যেকোন মহামারীর ক্ষেত্রে যে এক্সপোনেনশিয়াল মৃত্যুহার দেখা যায় তাকে পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে নাকোচ করা হয়েছে
৩। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইটালী বা উগান্ডার জন্সংখ্যা বৃদ্ধির হার স্থিতিশীল এবং এইডসের কোন প্রভাব জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয় নাই। সূতরাং একে কোনভাবেই মহামারীর সংজ্ঞায় ফেলা যায় না।
৪। এন্টি এইচআইভি ড্রাগসের কোন প্রভাব মৃত্যহারের উপর দেখা যায়নি। বরং কিছু পরিসংখ্যানে এই ড্রাগসের কারনে মানব স্বাস্থের উপর এর ক্ষতিকর দিকটাই উঠে এসেছে
৫। এইসব পরিসংখ্যানের আলোকে সময় এসেছে এইডস আদৌ কোন মহামারী কিনা বা এইচআইভির কারণেই এই স্থিতিশীল মৃত্যুহার কিনা তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার এবং এইচআইভি জীবানু শুধুমাত্র একটি প্যাসেঞ্জার ভাইরাস কিনা তা বিবেচনা করার।
মোটামুটি যা বুঝলাম এই গবেষণা নিখাদ পরিসংখ্যান ভিত্তিক এবং তা শুধু এইডস জনিত মহামারীর পূর্ব-অনুমিতিকেই চ্যালেঞ্জ করে। বিস্তারিত বোঝার অ জানার জন্য ১১ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করি এইবার
ফেসবুকের একটা মন্তব্য তুলে দেই। মনে হচ্ছে প্রাসঙ্গিক,
পরিসংখ্যানকে দূর্বল ভেবে অগ্রাহ্য করা বোধহয় ঠিক হবে না (ঘটনা সত্য হলেও তা অনেক লোকের রুটিরুজি, যেমন কৌস্তুভ )।
জৈবপরিসংখ্যান জীববিজ্ঞানের অনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয়। (সবাইকেই পড়তে হয়, আমাকেও হয়েছে!)। এটার সাহায্যে প্রমাণ করা হয় কোনো টিকা/ওষুধ কার্যকর কীনা! কোনো গবেষণার ফলাফল কী! এইচআইভি'কে এইডসের কারণ বলে দাবী করা প্রথম পেপারটা পরিসংখ্যান দিয়েই তাদের দাবী প্রমাণ করেছে! পরিসংখ্যান অস্বীকার করলে আপনাকে সবার আগে সেটা অস্বীকার করতে হবে! কৌস্তুভ'দা নারীক্রোড় থেকে বের হয়ে সময় পেলে আরো জানাতে পারবেন এ ব্যপারে!
আপনার সারসংক্ষেপ ঠিকই আছে। আমি নিজে যা বুঝেছি লিখতে চেষ্টা করব।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমি আসলে পরিসংখ্যানকে ঠিক অগ্রাহ্য করতে চাইনি। পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে একটা রোগ মহামারীর মর্যাদা পাবে কিনা তা বের করা যাবে কিন্তু সেই রোগটার অস্তিত্ত্বকে কি অস্বীকার করা যায়? এখন এইডস কোন মহামারী না এটা জেনে যদি এর পেছনে গবেষণার বরাদ্দ কমিয়ে দেয়া হয় তবে ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াবে?
পরিসংখ্যানকে অবজ্ঞা করার প্রশ্নই উঠে না।
জৈববৈজ্ঞানিকভাবে কার্যকারণ বের করার আগ পর্যন্ত পরিসংখ্যানের উপর নির্ভর করাটা তো মনে হয় বেঠিক নয়। অনেক ক্ষেত্রেই পরিসংখ্যান কার্যকারণের সম্পর্ককে সঠিকভাবে পূর্বাভাস করতে পারে, এমন কি কোনটার সাথে কোনটার সম্পর্ক খুঁজতে হবে, সেটার একটা ফোকাস্ড ইঙ্গিত দিতেও পরিসংখ্যানের জুড়ি মেলা ভার।
এইচআইভি এইডসের জৈববৈজ্ঞানিক কার্যকারণ সম্পর্ক যে এখনো অনাবিষ্কৃত সেটা জানতাম না।
খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছি ১১ তারিখের। এর মধ্যে দেখি মূল প্রবন্ধগুলো পড়ে ফেলা যায় কিনা।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অ্যা!!! আমি তো পড়ে পুরা হা হয়ে গেলাম!!!!
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
তাই তো বলি, মাছিগুলো গেল কই!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
জটিল ব্যাপার। আরো জানা দরকার। নতুন কিছু জানতে পারলেই জানান আমাদের--
facebook
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমার ভাবনাটা অন্য রকম। যদি একজন মানুষও কোন রোগে মারা যায় তাহলেও ঐ রোগ নিয়ে গবেষণা করতে হবে, তার প্রতিকার বের করতে হবে। এইটা মহামারী, ঐটা মহামারী না - এই বিতর্কটা আমার কাছে মানবিক বলে মনে হয় না। সুমনের গানটার কথা মনে পড়ে, "কতো হাজার মরলে পরে বলবে তুমি শেষে, বড্ড বেশি মানুষ গেছে বানের জলে ভেসে"।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
গবেষনা মনে হয় হয় সব রোগ নিয়েই পান্ড্বদা। অনেক ব্যতিক্রমী রোগের ক্ষেত্রেই রোগীকে কেস স্টাডি হওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করে থাকে সংস্লিষ্ট চিকিৎসক। তবে মহামারী বা অত্যন্ত সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে হয়ত সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির কথা চিন্তা করে অর্থ জনবল বেশী ব্যয় করা হয়ে থাকে। আমার কাছে সেইটাই স্বাভাবিক মনে হয়।
সেটা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই পাণ্ডব'দা। ডুয়েসবার্গের গবেষণাপত্র এইডস নিয়ে গবেষণা বন্ধ করতে বলে না কিন্তু। সে বলতে চায়, এইডসকে যেভাবে যা বলা হচ্ছে, এটা তা নয়! এইডসের যে বর্তমান চিকিৎসা "অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল ড্রাগ" (এইচআইভি, রেট্রোভাইরাস পরিবারের সদস্য) তার সত্যিই প্রয়োজনীয় কিনা সেটা বিবেচনা করা দরকার! সে বলতে চায় হুলুস্থুল করা হচ্ছে অলীক বিষয়ে, এই হুলুন্থুলের দরকার নেই!
কোনো রোগ মহামারী কিনা সেটা বিবেচনা করাও দরকার। বৈজ্ঞানিক প্রয়োজনে তো আবশ্যই দরকার। এবং আপনি ভূতের ভয়ে লাখ টাকা খরচ করে বিপজ্জনক মোল্লা পুষছেন কিনা সেটা জানার জন্যেও দরকার। এইডস সত্যি বাঘ হয়ে থাকলে তার জন্য লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে কোনো দ্বিমত নেই!
পরবর্তী লেখায় আরো খানিকটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
যাব্বাবা। আরও জানার অপেক্ষায় রইলাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আজকে মাত্র নয় তারিখ, তবে আপনার সহজপাচ্য লিখার জন্য ওই পর্যন্ত অপেক্ষা করাই যায়।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
একমত
সত্যি কথা বলতে - পুরাই তব্দা খেয়ে গেলাম
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আমিও খেয়ে আছি!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
জানতাম। জানতাম। চাকুরীর গোড়ার দিকে, যখন কাজের বদলে ‘তা-না-না-না’ ই বেশি হত, তখনই যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করা সিয়ারালিওনের সহকর্মী তার দৃঢ় বিশ্বাস থেকে বলেছিল এইডস আসলে আফ্রিকা মহাদেশের ‘আগ্রাসী সেক্সকে’ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমেরিকান প্রোপাগান্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়। বিদ্রুপের হাসির পর ইংরেজিতে ‘কাঙ্গালের কথা বাসি হলে ফলে’র কাছাকাছিও কিছু বলেছিল..।
(অটঃ তার আরেকটা হাইপোথিসিসও ভাল লেগেছিল। ইউরোপীয় ভেজিটারিয়্যান ইন্টার্নদের সাথে খাবার টেবিলে মুরগীর মাংস খেতে খেতে সে নিজেকে ভেজিটারিয়্যান দাবি করেছিল, যুক্তি ছিল সে শুধু ভেজিটারিয়্যান প্রাণির মাংস খায়...।)
জোকস অ্যাপার্ট,আশি-নব্বইয়ের দশকে এইডস আসলেই ‘মহামারীর’ সংজ্ঞা পূরণ করেই আফ্রিকার কিছু দেশে ছড়িয়েছিল (অন্ততপক্ষে কিছু অভ্যন্তরিণ রিপোর্টে তাই ছিল, জানিনা ভিতরে কোন ব্যাপার ছিল কিনা)। বাংলাদেশের একজন ভদ্রলোক, যিনি অনেক বছর আফ্রিকাতে কাজ করেছেন এইডসের উপর, তার কাছে করুণ সব গল্প শুনেছিলাম। অনেকপরে তিনি খুব গর্বিত ছিলেন এজন্য যে আফ্রিকার গ্রামে গ্রামে যে অ্যাওয়ারনেস সৃষ্টি করে ধীরে ধীরে এইডসকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল সেটার অংশ ছিলেন তিনি।
(সেফসেক্স/কন্ডমের ক্যাম্পেনে তার কাছে আফ্রিকান মহিলারা জানতে চেয়েছিল বাংলাদেশে মানুষজন মোড়কসহ লজেন্স খায় কিনা?)
খুব আগ্রহী হলাম। মূল গবেষণাপত্রটা পড়লাম না, ১১ এর পর আপনার ভার্ষনটাই পড়ে নিব।
এইক্ষেত্রে দুটো কথা আছে, প্রথমত, একটা মহামারীর স্থায়ীত্বের নিয়ম আছে, ৩৫ বছরে এইডস সেটা পার করে ফেলেছে কিনা! এবং দ্বিতীয়ত, এইডস আছে, কিন্তু সেটার জন্য এইচআইভি কতটা দায়ী এবং সেটাকে যতোবড় বাঘ বলা হচ্ছে সে আসলেই ততোবড় বাঘ কীনা!
আরো লিখব আশাকরি।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কস কী মমিন!
আমিও কইসি!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পুরাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। এইকেন্দ্রিক বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের একচেটিয়া ব্যবসাতো মনে হয়না লাটে উঠতে দেবে মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানিগুলো। আরো জানতে চাই, অপেক্ষায় থাকলাম।
কেবল কম্পানি নয়, এর পেছনে সামরিক বাহীনি, রাষ্ট্র, সংঘ, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান অনেক কিছুই রয়েছে! তবে আসল ব্যাবসা এখনো শুরু হয়নি! শুরু হবে ৫/৭ বছরের মধ্যেই। সেটা এইডস থাকলেও হবে, না থাকলেও হবে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বড়ই জটিল অবস্থা। ১১ এর অপেক্ষায় আমিও রইলাম। রতন দা দরকার হলে কিছু সময় আরও নিন। ব্যাপারটা আরো ভালো ভাবে তুলে আনা দরকার।
উপরে নৈষাদ দার মন্তব্য থেকে আরেকটা জিনিষ মাথায় আসতেছে । চাঁদের বুকে নীল আমস্ট্রং প্রথম পাড়ি দেওয়ার গল্পের মতো এটাও আমেরিকার প্রোপাগান্ডা?????? তাহলে তো সেরেছে।
ডাকঘর | ছবিঘর
এতো বড় আর বিস্তৃত একটা ব্যাপারকে প্রোপাগাণ্ডা বলা খুব শক্ত! কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে যুক্তি দিয়েই
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শুধু একটা শব্দই বলার আছে
খাইছে!
দেখি পড়ে গবেষনাপত্রে কি লিখলো ব্যাটারা...
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
দেইখা পোস্ট লিখে ফেল দেখি ভাই!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বিজ্ঞানীরাও "বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি" টাইপ পেপার লেখে দেখে দুঃখ পাইলাম।
তবে বৈজ্ঞানিকরা ওই রাজনীতিবিদের চেয়ে বুদ্ধিমান! শক্ত খুঁটি পুঁতে তারপর ত্যানা পেঁচিয়েছে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পাগমার্ক না তো আবার?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দুটো ইস্যু - এইচ আই ভি আর এইডস দুটো সম্পর্কিত কি না - এ বিষয়ে আমার মনে হয় পরীক্ষাভিত্তিক বিজ্ঞান শেষ কথা বলবে - পরিসংখ্যান নয়।
অন্যটা হল মহামারী। এটা নিয়ে সংজ্ঞাগুলোই আমার কাছে অদ্ভূত ঠেকছে।
মোটের ওপর ব্যাপারটা এরকম। দ্বাদশ শতাব্দীর ইউরোপে ফিরে যান। দেখুন একেকটা মহামারী হচ্ছে আর গ্রামের পর গ্রাম উজার হয়ে যাচ্ছে। ৩০-৩৫ বছর ধরে জনসংখ্যা আগের পর্যায়ে ফিরছে না। লোকজনের মধ্যে ভয় ঢুকে যাচ্ছে - সবাই দেবদেবীর আরাধনা করছে মহামারী দূর করার জন্য। একবিংশ শতাব্দীতে বসে একজন বিজ্ঞানী বলছেন এইডস মহামারী না কারণ এইডসে ফলে এই ওপরের বর্ণিত কিছুই ঘটে না।
আমার মনে হয় বিতর্কটা অন্য একটা টপিকে হতে পারে - কাকে মহামারী বলব, কাকে নয়। অন্য টপিকে বিতর্ক হতে হলে যেরকম পরীক্ষা চালানো দরকার এই বিজ্ঞানী অন্তত সেরকম কিছু করেন নি।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
আপনি ঠিক বলেছেন। আমি পরের লেখায় ডুয়েসবার্গের যুক্তিগুলো বলার চেষ্টা করব
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এইটাই বলতে চাইছিলাম।
এদিক সেদিক গুঁতোগুতি করে দেখলাম একদল বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন না এইআইভির অস্তিত্ব নিয়ে, আরেকদল বিশ্বাস করেন না এইচ আই ভির সাথে এইড্সের সম্পর্ক। এরকম বাইনারী মত পার্থক্য স্বয়ং বিজ্ঞানীদের মাঝেই থাকতে পারে জেনে খুবই অবাক হলাম। ওয়ান ইলেভেনের অপেক্ষায় রইলাম
উইকির গ্র্যাভিটি আর্টিকেলের শেষে দেখুন মহাকর্ষের মত তথাকথিত বিজ্ঞানের ধারণার বিরোধিতায় অসংখ্যা তত্ত্ব আছে - কিছু পুরোনো কিছু নতুন। এটাই বিজ্ঞানের মজা, দীর্ঘদিনে ভুলগুলোর পক্ষে প্রমাণ কমতে থাকবে আর ঠিকের স্বপক্ষে প্রমাণ জমা হবে - সেইসাথে ভুলগুলো নস্যাৎ হয়ে যাবে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
লিস্টটা কিন্তু মহাকর্ষ-বিরোধী তত্ত্বের না। বিকল্প ব্যাখ্যার।
মহাকর্ষ একটা ঘটনা (ফেনোমেনোন)। ঠিক তত্ত্ব বা ধারণা নয়। ঘটনাকে বিরোধিতা করার কিছু নেই।
বিজ্ঞান ঘটনাকে পূর্বাভাসযোগ্যভাবে ব্যাখ্যা বা বর্ণনা করে। এর বর্তমানের সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত, ব্যাখ্যাকারী তত্ত্ব হচ্ছে জেনারেল রিলেটিভিটি নির্ভর।
নিচের লিস্টটাতে দেখতে পাচ্ছি অন্যান্য ব্যাখ্যাকারী তত্ত্ব যা জেনারেল রিলেটিভিটির ব্যাখ্যা থেকে ভিন্ন। কোনোটাই মহাকর্ষের ধারণার বিরোধিতা করছে না। আর ফলসিফায়েবল (মিথ্যা প্রতিপাদনযোগ্য) ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্ব প্রদান বৈজ্ঞানিকতারই অংশ। (বার বার ফলসিফাই হয়ে গেলে অবশ্য লোকে ছি ছি করবে বটে।)
আপনি হয়তো মহাকর্ষ ঘটনাটার প্রতিষ্ঠিত ব্যাখ্যাটার বিকল্প ব্যাখ্যার কথা বলতে চেয়েছেন।
ঠিক যে বিভিন্ন ব্যাখ্যাকারী তত্ত্বগুলোর মধ্যে যেটা পর্যবেক্ষণের সবচেয়ে সঠিক পূর্বাভাস দেবে, সেটা টিকে যাবে, বাকিগুলো অর্থাৎ 'ভুলগুলো' নস্যাৎ হয়ে যাবে।
তবে বিজ্ঞানে কেউ গ্যারান্টি করতে পারবে না যে বর্তমানের প্রতিষ্ঠিত তত্ত্বটি চিরস্থায়ী হবে। অনাগত কোনো পর্যবেক্ষণকে পূর্বাভাস করতে ব্যর্থ হলে আবার উন্নততর ব্যাখ্যাকারী তত্ত্ব সন্ধানের প্রয়োজন পড়বে।
সঠিক। জেনারেল রিলেটিভিটির বিকল্প ব্যাখ্যার কথাই বোঝাচ্ছিলাম। বিষয় অনুসারে ধরলে ভিন্ন ব্যাখ্যা স্বাভাবিক।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
হা করে একটানে লেখাটা পড়লাম।
আজকে দশ তারিখ। পরের পর্ব এগার তারিখের পর আসবে বলেছিলেন। মনে আছে তো ?
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
সাউথ আফ্রিকায় এএনসি সরকারের হর্তাকর্তাদের কারো কারো তো মনে হয় এই গবেষনাপত্রটি লুফে নেয়ার কথা এতদিনে!
****************************************
মূল গবেষণাপত্রটি নিয়ে আপনার লেখার অপেক্ষায় রৈলাম
_____________________
Give Her Freedom!
নতুন মন্তব্য করুন