জলপাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সহজ হয়ে উঠবে বলে আমরা চিরকাল আশা করে থাকি। আমরা খুব আশা করে থাকি রঙ বদলানো গিরগিটির নোংরামি দেখতে হবে না বাংলাদেশ জুড়ে।
আমাদের আশা পূরণ হয়না। একটি পরাজিত জাতি হয়ে ওঠার জন্য যতোরকমের গণিত মেলানো প্রয়োজন, সব মেলাতে থাকে বিক্রী হয়ে যাওয়ার পোকার দল।
কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ ১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। রঙ বদলে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী ৭৫ পরবর্তী সামরিক সরকারের সহচর হয়েছিলেন। বিএনপি সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।
তবে মাঝে মাঝে মনে হত বাংলাদেশ বিরোধীদের কট্টর সমালোচক তিনি। ২০০৬ এ যখন দল ছাড়লেন তখন ভাসা ভাসা ভাবে মনে হল, জামায়াতের সঙ্গে আপোষ করতে চাননি বলেই দল ছাড়লেন।
তখন জনাব অলি বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে নানাবিধ বাক্যবান ছুঁড়ে অর্জুনের অবতার হয়ে উঠেছিলেন। বলেছিলেন: জিয়াকে রাস্তা থেকে ডেকে এনে যুদ্ধে নামিয়েছি। স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করিয়েছি। যেসব মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী বেগম জিয়ার জুতা স্যান্ডেল টানে তারাই কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করে আমার (অলি) বিরুদ্ধে কথা বলছে।
বলেছিলেন, বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ উত্থানের জন্য খালেদা ও তার পুত্র তারেক দায়ী। এদের পৃষ্ঠপোষকতায় জামায়াত-শিবির আশ্রিত ক্যাডাররা সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলার সাহস পেয়েছে।
অথচ কী চমৎকার দেখা গেল! তিনি বাংলাদেশ বিরোধী রাজাকার নিজামী মুজাহিদ সাইদীর মুক্তি চাইলেন প্রকাশ্যে। গত ১২ তারিখে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত শিবিরের সংগঠন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদে হাজির হলেন প্রধান অতিথি হিসেবে। তার সঙ্গে দেখা গেল জামায়াতের মহানগর আমীরকে। কী চমৎকার!
অলি আহমেদের সঙ্গে ছিলেন আরেক প্রাক্তন জলপাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম। মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। জামায়াতের অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতি মাতৃভূমির সঙ্গে বেঈমানীর চমৎকার নজির হয়ে রইল!
দেশ রক্ষায় ক্ষমতা হাতে নেয়া জলপাইয়ের যে নাটক গত নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছিলাম। রাজনৈতিক মহলে নানান ডিগবাজি এবং ভুঁইফোড় গোষ্ঠীর তিড়িংবিড়িং সুশীলতাও সেই নাটকের অংশ ছিল। অলি আহমেদ প্রাক্তন জলপাই। পরিস্থিতি আঁচ করে তিনি মোক্ষম চাল চেলেছিলেন বলে সন্দেহ হয়।
তবে এসবে আজকাল তেমন আগ্রহ জন্মে না। বাংলাদেশের ইতিহাসে জলপাই কলঙ্ক বড্ড আটপৌরে হয়ে গেছে। জলপাইয়ের দেশরক্ষা এবং ইতরকূলের লাফানো দেখে তেমন বিকার হয়না আর।
নড়েচড়ে বসি মুক্তিযুদ্ধকে সেনাবাহিনীর যুদ্ধ বলে একটা মোয়া যখন গেলাতে চান জলপাই অলি। দ্বীনি চেতনার যুদ্ধ বলে যখন বাংলাদেশের মুক্তির যুদ্ধকে রং করতে চান ইব্রাহিম।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান গবেষক ইব্রাহিম জানেন না যে বাংলাদেশের মুক্তির যুদ্ধের গায়ে দ্বীনি চেতনার কোন রং কখনো ছিল না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা বরং ধর্মের নামে নরহত্য করেছে, নারী নির্যাতন করেছে, যুদ্ধাপরাধ করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা ধার্মিক ছিলেন, বিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু অসাম্প্রদায়ীকতার সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণও ছিলেন তাঁরাই। এই মুক্তিযুদ্ধেই সুজন-সুধীর কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছেন দীনের নামে নরহত্যা করা পাকি সেনা আর তাদের সহচর আলবদর-আলশামস-রাজাকার-জামায়াতের বাহিনীর বিরুদ্ধে। পাকিস্তান আর জামায়াতের প্রোপাগাণ্ডা "দ্বীন রক্ষা"র তত্ত্ব গিলে দেশ আর মানুষের সঙ্গে বেঈমানী তাঁরা করেন নি।
অলি আহমেদ, রাজাকারের কাছে বিক্রী হয়ে গেলেন। বাংলাদেশের বিরোধীদের প্রিয়ভাজন হওয়ার যে অর্জন, সেই কলঙ্কের অলীক বেদনায় তিনি ভুললেন না। বক্তব্য দিলেন, 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সেনাবাহিনীর অধীনে হয়েছে'।
চমৎকার!
অলি আহমেদ তার বিক্রী হয়ে যাওয়া কণ্ঠে চাপা দিয়ে গেলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সেনাভ্যুত্থানের মত কোন মধ্যযুগীয় বর্বরতার মাধ্যমে হয়নি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কোন গৃহযুদ্ধ ছিল না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ত্ব কোন জলপাই দেয় নাই! বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে নির্বাচিত সরকারের অধীনে। সেনাবাহীনির যেসব সদস্য যুদ্ধ করেছে তারা রাষ্ট্রের অনুগত বেতনভোগী কর্মচারী হিসেবেই লড়েছে। ২৬ মার্চ ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। সেই স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রবাসী সরকারের কর্মচারী হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী সেনা খেদাতে লড়াই করেছেন।
আজকের যেই রাজাকারের সভায় রাজাকারের পাশে বসে অলি-ইবরাহিম বক্তব্য দিয়ে বেড়ান, সেইসব বরাহরা ৭১'র সেই স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধী। ৭১'র সেইসব রাষ্ট্রদ্রোহী আর তাদের অনুসারীদের সভায় বসে অলি-ইবরাহিম মুক্তির যুদ্ধের ইতিহাস নতুন করে বলার চেষ্টা করেন।
চমৎকার!
তবে এইখানে কেবল রঙ বদলানোতেরই সব হিসেব শেষ হয়ে যায় না। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার হচ্ছে সেই বিচারে যুদ্ধাপরাধীদের উকিলদের জেরা দেখলে অলি-ইবরাহিম-জামায়াতের অন্য হিসেব খানিকটা বুঝতে পারা যায়।
এই হিসেবের একপাশে থাকে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে পাকি সেনাদের যে সম্পর্ক নেই সেটা দেখানো। আর অন্য পাশে থাকে বাংলাদেশের মুক্তির যুদ্ধ যে সেনাবাহিনী পরিচালিত যুদ্ধ ছিল সেটি প্রচার করা।
যুদ্ধকে স্রেফ সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড হিসেবে দেখাতে পারলে তাতে বরাহছানাদের বের করে নিয়ে আসার একটা উপায় হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বরাহদের উকিলেরা বারে বারে জিজ্ঞেস করে, অপরাধীরা সেনাবাহিনীর কেউ ছিলকি? পাকি সেনাবাহিনীর সঙ্গে বরাহদের সম্পর্ককে মিথ্যে প্রমাণ করা দারুণ জরুরি। ভেতর থেকে বরাহদের সেনাবাহীনি থেকে মুক্ত করতে পারলে, আর বাইরে থেকে মুক্তিযুদ্ধকে সেনাবাহিনীর যুদ্ধ বানাতে পারলেই সবদিক থেকে সব ঠিক থাকে। যুদ্ধাপরাধীরা বের হয়ে আসতে পারে নিরাপরাধ পীরফকির হয়ে! আর বাংলাদেশের জন্ম নিয়েও একটি দারুণ বিতর্ক তৈরি করা যায়! মুক্তির যুদ্ধকে গৃহযুদ্ধ বানানো যায়। বাংলাদেশের হাজার বছরের ইতিহাসের সবচে গৌরবময় অধ্যায়কে স্রেফ গুটিকয় বিদেশী অনুচরের রাষ্ট্রদোহ হিসেবে চালিয়ে দেয়া যায়। তাতে রাজাকারের দোষ কাটা যায়, পাকিসেনারা বীরের খেতাব পায়, পাকিস্তানের মুখ বাঁচে, তিরিশ লক্ষ হত্যার ইতিহাস চাপা পড়ে, নির্যাতনের কলঙ্কময় অধ্যায় একটি প্রয়োজন হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
জামায়াতের হিসেবে চমৎকার অংশগ্রহন অলি এবং ইবরাহিমের!
তবে ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না, এই স্বাধীনতা বিরোধীরা নিজের মা-বোনকে হাতে পায়ে দড়ি বেঁধে পাকি শুয়োরের ব্যারাকে দিয়ে এসেছে। তাদেরকে ক্ষমা করিনাই। করার কোন সম্ভাবণাও নাই। অলি-ইবরাহিম নিজেদেরকে শুয়োর-কুকুর যেই গোষ্ঠীর কাছে ইচ্ছে বিক্রী করুন, এসব আজকাল গা সওয়া হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের জন্ম এবং মুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করার চেষ্টা সাধারণের নজর এড়াচ্ছে না!
অলি-ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ মুক্তিযোদ্ধাদের
অলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের
কর্নেল অলি ও ইব্রাহিমকে চট্টগ্রামে অবাঞ্চিত ঘোষণা
প্রসঙ্গত, একটি খুব তীব্র কৌতুহলে ভুগছি। মায়ের সঙ্গে বেঈমানী করলে কি লজ্জার কোন অনুভূতি হয়?
মন্তব্য
বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা ধার্মিক ছিলেন, বিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু অসাম্প্রদায়ীকতার সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণও ছিলেন তাঁরাই।
facebook
ধন্যবাদ তারেক ভাই।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নির্লজ্জ জলপাই নিপাত যাক...এইরকম ২/৪ টা পতিত জলপাই আমাদের জাতীয় অর্জনের বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারবেনা!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমাদের দেশে এতো সস্তায় সব বিক্রি হয় দেখলে দারুন লাগে। বিক্রি হওয়ার তালিকায় দেখি লোকের অভাব হয়না।
আমার কৌতূহল আছে তবে একটু ভিন্ন, এদের মা আছে তো?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মেহদীর কথা মনে পড়ল, এইটুক দেশে অ্যাতো বেঈমান কীভাবে হয় এইটা একটা রহস্য!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এই লজ্জানুভূতি এদের থাকে না।
পোস্টে
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এ জন্যই রবি ঠাকুর লিখে গেছেন, অলি বারবার ফিরে আসে। বেচারা খালেদার উপর রাগ করে মাটিতে ভাত খেয়ে এখন আবার অলিন্দ পথে ঘরের বিটকেল ঘরে ফিরে এসেছে।
এল কোলোনেল তিয়েনে মিলোনেস দে সেরদোস কে লে এসকুচেন।
ওই লাইন শিরোনাম দিয়ে অলি সম্পর্কিত পোস্ট রয়েছে দেখলাম
পরের লাইনটার কিছু বুঝিনাই!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ইব্রাহিমের রাজনীতিতে যোগ দেওয়াতে খুশি হয়েছিলাম। এই লোকের চেহারা পাল্টে যাবে কখনো কল্পনাও করিনি।
উনার পারিবারিক ঐতিহ্য সম্পর্কে হালকা পাতলা ধারণা থাকলেই আপনার এতো কষ্ট করে কল্পনা পর্যন্ত যেতে হতোনা।
ইবরাহিম একজন রক্তেমজ্জায় জলপাই! এই লোক পার্বত্য চট্রগ্রামে কীরকম সেবা দিয়েছিল সেটা আমি জানতে আগ্রহী।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে এই লোক বড় বড় কথা বললেও তার সময়ে নির্যাতন হয়েছিলো চরম। আমার বিভাগের শিক্ষক প্রশান্ত ত্রিপুরা স্যার তার চাপাবাজির জবাব দিয়েছিলেন বহু আগে প্রথম আলোয়, পরপর কয়েকটা লেখা ছাপা হয়েছিলো, স্যারের নিজের পরিবারের উপর নির্যাতন এর কথাও বলেছিলেন তিনি।
এই লোক রক্ত-মজ্জায় বিষাক্ত। দালাল।
ধন্যবাদ তানিম। এর কাছে ভালো কিছু আমি আশাও করিনি।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তোমাকে সচল-বার্তা পাঠিয়েছি, দেখে নিও।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ পাণ্ডব'দা। পেয়েছি।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বাংলাদেশ ত্যাগী নেতা-কর্মীদের দেশ। এই ত্যাগীদের কেউ কেউ '৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে ছেড়ে খুনী মোশতাকের সাথে যোগ দিয়েছিল (মোশতাকের মন্ত্রীসভা দ্রষ্টব্য) পরে আবার অবস্থা বেগতিক দেখে মোশতাককে ত্যাগ করেছিল। কেউ কেউ '৭৬-'৭৭-এ জেনারেল জিয়ার পক্ষে নিজ দল ত্যাগ করেছিল। একইভাবে '৮৩-'৮৬ সালে তাদের অনেকে পতিত সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের পক্ষে নিজ দল ত্যাগ করেছিল। '৯০-এর ডিসেম্বরে পঙ্গপালের মতো ত্যাগী নেতা-কর্মীদের লাঙ্গল ছেড়ে ধানের শীষ আর নৌকায় ভিড়ে যেতে দেখেছিলাম। এরপর গত ২২ বছরে নানা ঘটনায় বহু ত্যাগী নেতা-কর্মীদের এভাবে বার বার নিজ দল ত্যাগ করতে দেখেছি। সর্বশেষ জলপাই আমলে অনেকে জেহাদী জোশে বলীয়ান হয়ে নিজ দলে ভালো ভালো সব সংস্কারের কথা বলেছে। তারা ত্যাগের আশায় ছিল, তবে সে আশা পূর্ণ হয়নি। ভোটের সময় আসতে তারা সবাই কাছা সামলাতে সামলাতে নৌকা-ধানের শীষের দিকেই দৌড়ে গেছে।
তবে পাকিগোলামদের মধ্যে ত্যাগী নেতা-কর্মী বিশেষ দেখেছি বলে মনে হয় না। ওখানে কনস্ট্যান্ট দুধ-মধু'র ভালো সাপ্লাই আছে তাই কেউ বিশেষ নড়েচড়ে না। তাছাড়া নড়লে চড়লে জানটাও মনে হয় থাকে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
খাজা বাবা ইউনূস পর্যন্ত তার ডেস্কটপ রাজনৈতিক দল নাগরিক শক্তিকে হাফবয়েলে রেখে রাজনীতির ময়দান ত্যাগ করলেন। ছাতাবদল দেশের রাজনীতিকদের মধ্যে লুঙ্গিবদলের মতোই নিত্য ঘটনা, কিন্তু ছাতা ত্যাগ ইউনূস ছাড়া আর কেউ করে নাই। এমনকি রাজনীতির ময়দানের সিকাডা ফড়িং কোরেশী পর্যন্ত তার পিডিপিসহই হাইবারনেশনে গেছে।
অকাল গর্ভপাতের শিকার ভ্রুণ নাগরিক শক্তিকে সিপিআর দিয়ে চাঙা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন ইউনূসের ভাই জাহাঙ্গীর। আল্লাহ তাকে ভেস্তেনসিপ করুন।
খুবই খারাপ লাগছে বলতে কিন্তু সাংগনিক শক্তিতে পাকিগোলামেরা অনেক সময়েই দারুণ দক্ষতার পরিচয় দেয়। সেটা ন্যায্য পথে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে, কিন্তু কার্যকর যে সেটা নিশ্চিত।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
'তাদেরকে ক্ষমা করিনাই। করার কোন সম্ভাবনাও নাই'
'তাদেরকে ক্ষমা করিনাই। করার কোন সম্ভাবনাও নাই'
'তাদেরকে ক্ষমা করিনাই। করার কোন সম্ভাবনাও নাই'
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আচ্ছা ভালো কথা ফড়িং কোরেশীর বর্তমান হাল কী?
...........................
Every Picture Tells a Story
পিডিপি কোরেশীর কথা বলছেন? নামগন্ধ শুনি না তো ইদানিং!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
"জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ" একটি বিভ্রান্তিকর নাম, এই ব্যাপারে কোন নীতিমালা নাই? যে সংগঠন চালাইতেসে জামাতি রুকন তারা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ সাইনবোর্ড তুলে কেমনে? আমি কি দেশে "জাতীয় নিউক্লিয়ার সাইন্টিস্ট পরিষদ" খুলতে পারব? কেউ আটকাবে না?
..................................................................
#Banshibir.
লেখাটা দরকার ছিলো বস।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আহা, ওদের বলতে দিন না!
আমরা শুনছি তো।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
এরা মাথায় আগুন লাগিয়ে দেয়।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
জীবনের শেষভাগে এসে অনেকেরই মনে হয়, এ জীবনে অনেক কিছুই পাওয়ার ছিল কিন্তু ......। তাই পাওয়ার নেশায় বুঁদ হয়ে অনেক কিছুই ভুলে যায়।
সময়োপযোগী লেখা। ধন্যবাদ।
শেষ পর্যন্ত এদের প্রাপ্তি হয় তীব্র ঘৃণা! অনন্তকাল। কিন্তু সেটা বুঝতে পারার জন্য প্রথমে মানুষ হতে হয়। সেই অর্থে এরা সৌভাগ্যবান।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বেরসিক মন্তব্য - বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর কোনদিন জলপাই পোশাক ছিলনা। প্রথমে খাকি, তারপর ঊডল্যান্ড প্যাটার্নের কাছাকাছি কেমো। খামাখা রং টারে কালার করা ঠিক?
ডিমপোচ
ঊডল্যান্ড প্যাটার্নের মধ্যে কি জলপাই রংটি নাই??
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পোষাক জলপাই রঙের কিনা তা যাচাই করে এই পোস্ট লেখা হয়নি। 'বাংলাদেশ সেনাবিহিনী' নিয়ে কোন আলোচনাও এখানে হচ্ছে না।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হায় হায়, ইব্রাহিম মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন নাকি, আমি তো কথাবার্তা শুনে শুরু থেকেই রাজাকার মনে করতাম এঁকে। মানে, রিপ্যাটু আর কী। রিপ্যাটুদের অনেকেই কিন্তু মনে মনে রাজাকার। যাহোক, অলিকে নিয়ে আফসোস করে লাভ নেই, মেরুদণ্ড বলে শারীরিক প্রত্যঙ্গটি তো সকলের থাকে না, অলি ৭৫-এর পর থেকে সেটা হারিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী। মেরুদণ্ড না থাকলে কেউ কেউ আবার মস্তিষ্কবিকৃতিতেও ভুগতে পারেন। মেরুদণ্ডহীন মস্তিষ্কবিকৃত লুলা অলি-ইব্রাহিমদের প্রতি আপনারা খানিক সদয় হবেন, এই আশা রইল।
জরুরী লেখা
একজন পতিতাও একসময় কুমারী ছিল - এমন কথা বলেছিলেন শওকত ওসমান।
একজন মুক্তিযোদ্ধা সারাজীবন মুক্তিযোদ্ধা না, কিন্তু একজন রাজাকার সারাজীবনই রাজাকার - এমন একটা কথা বলেছিলেন হুমায়ূন আজাদ।
অলি, ইব্রাহীম, কাদের সিদ্দিকীকে মনে পরল এই কথাগুলো পড়ে !
ঠিক তেমনিভাবে এক নেত্রীর ভ্রাত শেখ সেলিম, যিনি আত্মীয়তা করেন কুখ্যাত নুলা রাজাকারের সাথে - তেনার কথাও মনে পরল।
জাহান্নামে যাক সব রাজাকারের পাল - যেই বেশে থাকুক না কেন।
যেখানে কবি আল মাহমুদ বিক্রি হয়ে যান সেখানে অলিতো একজন পরিবর্তনশীল রাজনীতিবিদ মাত্র! তার পরিবর্তনে কি আপনারা কেউ আশ্চর্য হয়েছেন? আমি হইনি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে আমি সম্মান করি,করব। তবে রাজনীতিবিদ হিসেবে কখনই নয়। মুক্তিযুদ্ধের পর অনেক মুক্তিযোদ্ধাই হয়েছেন নতুন দেশের রাজাকার। তাদের জন্য সম্মানের সাথে রইল একরাশ থু। ওয়াক্কক্কক্কক্কক্কক্কক্কক্কক্কক্ক থু।
jatra shuru
নতুন মন্তব্য করুন