পঙ্খীরাজ ঘোড়া তৈরির চিন্তা আমার মাথায় তৈরি হয় সম্ভবত একটা রুপকথার গল্পের অনুপ্রেরণা থেকে। তবে এই জিনিসের সাধারণ যে রূপকথা আমরা জানি সেই গল্প থেকে নয়। রাজপুত্তুর পঙ্খীরাজে চড়ে গিয়ে রাক্ষস মেরে রাজকন্যাকে উদ্ধার করল সেই চিন্তা কারো কাছে শিশু বয়সেও বাস্তব (সম্ভাব্য) মনে হওয়ার কোনো কারণ নেই। যে গল্প পড়ে মনে মনে ভেবেছিলাম, ঘটনাটা সত্যি হলে মন্দ হতোনা, সেটা অন্য গল্প। কে লিখেছেন অথবা আদৌ সেটি কোনো প্রচলিত রুপকথা কিনা জানা নেই। কেবল মনে আছে গল্পটা।
সেই গল্পে এক কৃষকের তিন ছেলে ছিল। তিন ভাইয়ের বড়দুটি দস্যুপনা করে বেড়ায়। ছোটটি শান্ত, নরমসরম। একরাতে তিনভাই মিলে বাড়ির পাশের মাঠে কৌশলে ধরে ফেলল এক ঘোড়া। সেই ঘোড়ার বোধহয় বিশেষ ক্ষমতা থেকে থাকবে, সে তিন ভাইকে বলল, পরবর্তী কোনো একদিন তার তিনটে বাচ্চা হবে। সেই তিনটে বাচ্চা সে তাদের তিনভাইকে দিয়ে দেবে যদি তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এই হচ্ছে ঘটনা। বড় ঘোড়াটাকে ছেড়ে দিয়ে তারা তিনভাই পেলো তিনটে ঘোড়ার বাচ্চা। তিনটে বাচ্চার বড়দুটো স্বাস্থবান, চকচকে। ছোটটি বেঁটে, কুঁজওয়ালা। সেটিই ওই ছোট ছেলেটির ভাগে জুটলো। গল্পের এই পর্যায়ের কাহিনী নতুন কিছু নয়। দেখতে অনাকর্ষনীয় হলেও ছোট ঘোড়াটির নানা গুণ ছিল। ছোট ছেলেটকে নিয়ে সে উড়তে পারত, কথা বলতে পারত। নানা বিপদ থেকে তাকে রক্ষা করত। আমি ভাবতাম, আমার এরকম একটা ঘোড়া হলে মন্দ হয়না।
অনেক অনেক অনেকদিন পরে আমার সত্যি সত্যি মনে হল, একটা পঙ্খীরাজ ঘোড়া বানিয়ে ফেলতে সমস্যা কী? বুঝলাম, সমস্যা রয়েছে, আমার সেই ল্যাবরেটরি নেই। সেই জ্ঞানও নেই। জ্ঞান হয়তো কুড়িয়ে নিতাম, ল্যাবরেটরি কোথায় কুড়োবো? পঙ্খীরাজ ঘোড়া তাই তৈরি হতে লাগল কল্পনায়। সেই কল্পনার খানিকটা এইখানে লিখছি।
পঙ্খীরাজ হতে হলে তার কী কী গুণ থাকতে হবে?
১. তার ডানা থাকতে হবে।
২. তাকে সেই ডানা ঝাপটে উড়তে হবে।
প্রথম কাজটি সহজ। পরেরটির তুলনায় অসম্ভব রকমের সহজ। একটি ঘোড়ার ডানা তৈরি আসলে খুব কঠিন কিছু নয়। এই সময়ে জীববিজ্ঞানের প্রযুক্তি দিয়ে সম্ভব। এইরকম জিনিস তো আরো পনেরো বছর আগে থেকেই একটা একটু হচ্ছে। ভ্যাকানটি ইঁদুরের কথা মনে আছে আপনাদের? যে ইঁদুরের পিঠে একটি মানুষের কান ছিল?
ইঁদুরের পিঠের ওই কানটি আসলে মানুষের কান নয়। গরুর তরুনাস্থি-কোষ ব্যবহার করে ওটা বানানো হয়েছিল আর তারপর একটা ইঁদুরের পিঠে জুড়ে দেয়া হয়েছিল ওটাকে বাঁচিয়ে রাখতে। সে পনেরো বছর আগের কথা। এই সময়ের বিজ্ঞান আরো উন্নত। এখন একটা মানুষের কানই ল্যাবরেটরিতে বানানো যেতে পারে। সেই হিসেবে, জুতসই পাখির পাখা বানানোও কঠিন হওয়ার কথা নয়। সরাসরি সেই চেষ্টা করা হচ্ছেনা বলে, কিছুদিন গবেষণা করতে হবে ঠিক। কিন্তু জেনেটিক্সে যে অসম্ভব উন্নতি আমরা গত দশ বছরে করেছি তাতে এইসব নিয়ে চিন্তিত হওয়া আর সাজেনা। আপনি যে এই লেখাটি পড়ছেন, আপনার একটা কোষ থেকে আপনার দুটো হৃদপিণ্ড আর চারটে পা বানানো যায়, জানেন তো? যাদু মনে হচ্ছে? গতবছর যে কোষের জাদুকরদের নোবেল পুরষ্কার দেয়া হলো, সেই ওই যাদু দেখানোর জন্যেই। (পুরনো একটা লেখা আছে, পড়তে পারেন এখানে।)
সুতরাং ডানা বানানো কঠিন কিছু নয়। ঘোড়ার উপর (আমাদের প্রয়োজনীয় বিষয়ে) খুব কঠিন গবেষণা করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু কয়েকবছর গবেষনা করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। আর তখন ঘোড়ার পিঠে দুটো ডানা জুড়ে দেয়াও অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দ্বিতীয় ধাপে। ঘোড়ার পিঠে ডানা জুড়ে দিলেই হবেনা। সেই ডানা ঝাপটে তাকে উড়তে হবে!
এইখানে এতো এতো সমস্যার মুখোমুখি হবো আমরা যে বারবার মনে হবে, না এ সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা সকল সম্ভব্য পথ বিবেচনা না করে থামবো না। এমনকি যখন সকল সম্ভাব্য পথ বিবেচনা করে দেখবো যে এ সম্ভব নয়। তখন আমরা সেই অসম্ভব অংশগুলো কেন সম্ভব নয় তা খুঁজে বের করে তার সমাধান করব।
আমাদের পঙ্খীরাজের ডানা মেলে উড়তে সবচে বড় সমস্যাগুলো হচ্ছে, সেই ডানার ক্ষমতা, ঘোড়ার শরীরের সঙ্গে তার সামঞ্জস্যতা, প্রয়োজনিয় ঐচ্ছিক পেশী আর অতি অবশ্যই সেই পেশী সঞ্চালনের তাগিদ।
ক'দিন আগের এক ঘটনা বলি। "গেইম অফ থ্রোন্স' সিরিয়ালটা আমার খানিকটা পছন্দের। বিশেষত এমিলি ক্লার্কের অংশটুকু। এমিলি ক্লার্কের তিনটে ড্রাগন রয়েছে। যতদূর মনে পড়ছে, দ্বিতীয় সিজনে, তখনো সেই ড্রাগনের বাচ্চাগুলো বড় হয়নি। এইটুক একেকটা বাচ্চা। কিছু হলেই ডানা ঝাপটে খাওমাও করে। দেখে ভয় পাওয়ার চেয়ে বেশি আদর লাগে। ড্রাগনের বাচ্চাগুলো দেখে এতো ভালো লেগে গেল যে, একটা ছবি ফেসবুক কাভারে দিয়ে দিলাম। কিন্তু পরে কাভারের সেই স্থিরচিত্রে ভালোমতো নজর পড়তেই মনটা খারাপ হলো। এমিলি ক্লার্কের কাঁধে ড্রাগনের বাচ্চাটার ডানাগুলো যেরকম, তাতে সেটা কখনোই উড়তে পারবেনা। তার শরীরের যে আকার, সেই আকারের সঙ্গে তার ডানার গোড়ার দিকের অংশ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ওটা তার শরীরের ভার বইতে পারবে না! ড্রাগনটার দুই পায়ের একটা আবার রুগ্ন! গ্রাফিকসে তাকে বানানো হয়েছে। এতোকিছু ভেবে বানানো হয়নি বলেই তাকে রুগ্ন আর ওড়ার ক্ষমতাহীন মনে হয়। কিন্তু ভেবে খারাপ লাগলো, এমনকি অন্তত কল্পনাতেও ওই ড্রাগনের বাচ্চা উড়বে না! কল্পনাতেও ব্যর্থ হলে কেমন লাগে!
আমাদের পঙ্খীরাজের প্রসঙ্গে ফেরত আসি। আমরা যখন পঙ্খীরাজ বানাতে চেষ্টা করছি তখন আমাদের সামনে প্রথম সমস্যাটি ডানা তৈরির। সেটি খুব সহজ। অন্তত তুলনামূলকভাবে। পরের সমস্যাটি ধাক্কা দিয়ে হিমালয় সরানোর মতো। কী কী করতে হবে দেখুন,
১. ঘোড়ার ডানা হতে হবে তার শরীরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এমন যেন, সেটা দিয়ে শক্তিপ্রয়োগ করে সে তার পুরো শরীরকে উড়িয়ে নিতে পারে।
২. সেই ডানা ঝাপটানোর জন্য প্রয়োজনীয় অস্থি আর পেশি থাকতে হবে ঘোড়াটির।
৩. সেই ডানাটি ওইসব পেশি আর হাড়ের সঙ্গে মিলিয়ে শরীরে প্রতিস্থাপন করতে হবে এমনভাবে যেনো ঘোড়াটি সুস্থ থাকে।
৪. সেই ডানা ঝাপটে ওড়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকতে হবে ঘোড়াটির।
৫. ডানা ঝাপটে ওড়ার ইচ্ছে থাকতে হবে তার। সহজ হিসেব, আপনি চাইতে পারেন, কিন্তু ঘোড়া নিজে কেনো উড়তে চাইবে? তার ওড়ার কী প্রয়োজন? তার তো সেই প্রাকৃতিক অভ্যাসও নেই।
৬. ইত্যাদি ইত্যাদি...
সত্যিকার অর্থে বিবেচনা করলে, এই কাজগুলো বিজ্ঞানের এই পর্যায়ে সম্ভব নয়। অন্তত আমরা যেভাবে ভাবছি সেভাবে নয়। যেমন ধরুন, ঘোড়ার কাছাকাছি উড়তে সক্ষম প্রাণি হচ্ছে বাদুড়। কিন্তু আমি নিশ্চিত, আমরা এতক্ষণ পাখির পাখার মতো কোনো ডানা তৈরি করে দেয়ার কথা ভাবছিলাম আমাদের পঙ্খীরাজকে। বাদুড়ের ডানাওয়ালা পঙ্খীরাজ হলে তার মধ্যে স্বপ্ন-স্বপ্ন ব্যপারটি থাকেনা, তাইনা? (তবে সেরকম যে করা যাবেনা তা নয়।)
অন্য প্রসঙ্গগুলো একটু দেখি, ঘোড়া পাখিদের (অথবা উড়তে সক্ষম প্রাণীদের) থেকে এতো দূরে অবস্থিত যে তার শারীরিক গঠন উড়বার এমনিক ধারেকাছেরও নয়। তার শরীর ভারী, তার পেশি এবং হাড়ের গঠন ওড়ার উপযোগী নয়। যেমন দেখুন, দেখতে পাখি আর ঘোড়ার হাড়ের গঠন একই মনে হতে পারে। কিন্তু বস্তুত পাখির হাড় বহুগুণে হালকা। ঘোড়ার শরীর যেমন ভারী, সেটাকে উড়িয়ে নেয়ার মতো ডানা বানালে সেটাও হবে মারাত্মক রকমের বিস্তৃত আর ভারী। আমার অ্যরোনটিক্সের কোনো জ্ঞান নেই। পদার্থবিজ্ঞানেরও নেই। কিন্তু সাধারণ জ্ঞান থেকেই এটা আন্দাজ করতে পারি।
ঘোড়ার ওজনের সঙ্গে মিলিয়ে অনেক বড় আর ভারী ডানা তৈরি খানিকটা অসম্ভব। এমনকি এই সময়ের বিজ্ঞানেও। এতো হাজারো সমস্যা রয়েছে যে তা সবগুলো এমনকি লেখাও সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা কল্পনায় আমরা চেষ্টা না থামাই। ধরলাম, সেই বিশাল ডানা তৈরি করা গেল। এখন?
সেই ডানাকে ঘোড়ার শরীরে কেথায় লাগাবেন? ইঁদুরের পিঠে কান লাগিয়ে দেয়ার মতো হলে হবেনা! ডানাকে এমনভাবে লাগাতে হবে যেন সেটা ঘোড়া ব্যবহার করতে পারে। সেজন্য সেই ডানায় এবং তার সংযোগস্থালে থাকতে হবে যথেষ্ট ঐচ্ছিক পেশি। সেই পেশি কোথায় পাবো আমরা? আর পেলেও, এমন একটি অজানা অঙ্গ ঘোড়ার শরীরে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা একঝটকায় প্রত্যাখ্যান করবে। শক্ত ইমিউনোসাপ্রেসেন্ট (যে ওষুধ ইমিউন সিস্টেমকে দূর্বল করে ফেলে) দিয়ে খুব ঝুঁকি নিয়ে সেটা করা গেলেও ঘোড়াকে উড়তে শেখাবে কে? সে কেনই বা শিখতে চেষ্টা করবে? তার বরং কষ্ট হবে ওই ডানা বয়ে বেড়াতে। তার হৃদপিণ্ড, পাকস্থলী, সংবহনতন্ত্র, লসিকাতন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র আরো কতো এটাসেটা সবই কি একঝটকায় আমাদের জুড়ে দেয়া সেই ডানাকে গ্রহন করে নেবে, আর সেটাকে বাঁচিয়ে রাখবে? উহুঁ, কোনো সম্ভাবণা নেই।
তাহলে?
ভাবনার পথ বদলানোই বোধহয় ভালো!
কেমন হয় যদি একটা ঘোড়া জন্মানোর সময়েই একজোড়া ঝলমলে ডানা নিয়ে জন্মায়? এটা বস্তুত আমাদের সমস্যাগুলোর অর্ধেক কমিয়ে দেবে। আর জীববিজ্ঞানের আজকের ক্ষমতার দিকে তাকালে তাত্ত্বিকভাবে এটা সম্ভবও। কিন্তু বাস্তবে?
আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। সলিড সাধারণ ধারনার উপর ভর করে ভাবছি। বিবর্তনের হিসেবে ঘোড়ার সঙ্গে পাখিদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে বহু আগে। তাদের ভেতরের দূরত্বের হিসেবে তাদের ডিএনএ-তে একটুখানি পরিবর্তন করেই ঘোড়ার ডানা গজানো সম্ভব নয়। অনেকখানি পরিবর্তন করে সম্ভব হলেও, সেখানেও সেই পুরনো অনেকগুলো সমস্যা তৈরি হবে।
প্রথম অংশটুকু নিয়ে খানিকটা বলে নেয়া দরকার। ঘোড়ার জেনেটিক্স নিয়ে আমরা যা জানি, সেই জ্ঞান একটি ঘোড়ার ডানা তৈরির জন্য যথেষ্ট নয়। কেবল একটি নয়, অনেকগুলো মিউটেশনের প্রয়োজন হবে ডানা তৈরি করতে। আক্ষরিক অর্থেই হাজার হাজার সমস্যা তৈরি হবে, প্রতিবন্ধকতা দেখা যাবে। সেসব সমস্যার সমাধান করতে অসম্ভব রকমের গবেষণা করতে হবে। আশার কথা হচ্ছে, তাত্ত্বিকভাবে, সেটা করাও সম্ভব। কিন্তু এই গবেষণার সবচে বড় সমস্যাটি হয়ে দাঁড়াবে, সময় এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতা। একটি ঘোড়ার জন্ম এবং বেড়ে ওঠার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন, সেই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সম্ভাব্য পরীক্ষণের ফল পেলে আমাদের চলবে না। সেক্ষেত্রে আমরা অন্তত কেউ জীবদ্দশায় এই গবেষণার ফল দেখে যেতে পারবনা। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও পারবে কিনা কে জানে। বিজ্ঞান যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে আমরা আশা করতে পারি আগামী দশকেও আমরা অকল্পনীয় উন্নতি দেখব জীববিজ্ঞনের বিভিন্ন শাখায়। তখন হয়তো আমার এই হিসাব বদলাবে। কিন্তু যতক্ষণ তা না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সময় সবচে বড় সমস্যা। এর পরবর্তীতে রয়েছে সামাজিক বাধা। সারা পৃথিবীতেই নানা পর্যায়ের বিজ্ঞানের গবেষণায় বাধা দেয়া হয়। জেনেটিক্স, ক্লোনিং এবং স্টেম সেল গবেষণার সবচে বড় বাধাগুলো আসে মূর্খ ধর্মীয়গোষ্ঠিগুলোর থেকে। এই শ্রেণি মহা আড়ম্বরে বিজ্ঞানের বিরোধিতা করে। অথচ বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির সহায়তা বন্ধ করে দিলে এরা ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ইতিহাস হয়ে যাবে!
ওই প্রসঙ্গে না যাই। অন্ধ-মূর্খ শ্রেণিকে যুক্তি শোনাতে যাওয়া নির্বুদ্ধিতা। আমরা বরং আমাদের পঙ্খীরাজ তৈরিতে মনোযোগ দেই।
বাস্তবের সমস্যাগুলো এড়িয়ে তাত্ত্বিকভাবে, একটি ঘোড়ার জন্ম দেয়া সম্ভব, যেটির ডানা থাকবে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হবে তার ডিজাইনে। আমাদের পঙ্খীরাজের ডানা আমরা কীভাবে ডিজাইন করব? ডানা ঘোড়াটির কোন অংশে থাকবে? কোন পেশির শক্তিতে সেটি চলবে? নিঃসন্দেহে সেসবও আমাদেরকেই ডিজাইন করতে হবে। সেই ডিজাইনের ক্ষমতা আমাদের এই মুহুর্তে নেই। বাস্তবে নেই। কিন্তু তাত্ত্বিকভাবে রয়েছে। মানুষ প্রাণ সৃষ্টি করতে পারে, করেছেও। একটি প্রাণির গঠন বদলে দেয়া আধুনিক জীববিজ্ঞানে নিতান্তই সহজ।
কঠিন অংশটি হচ্ছে, কোনো কৃত্রিম অঙ্গকে কর্মক্ষম করা। কিন্তু আমরা যেহেতু কল্পনা করছি, এবং আমরা জানি, কল্পনাতে হলেও আমরা যেটি করতে চাচ্ছি তা কোনো সহজ বিষয় নয়, সুতরাং আমরা সকল সম্ভাবণাই বিবেচনা করব। সে এমনকি অতিক্ষুদ্র আর অতিতুচ্ছ হলেও।
ঘোড়ার ডানাকে কর্মক্ষম করার একটি সম্ভব্য উপায় হচ্ছে, তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া। শিশু থেকেই তাকে ডানার উপর নির্ভরশীল করে তোলা। সেটি সহজ নয়। বস্তুত সম্ভবও নয়, যদিনা তার ডিএনএ-তে অসম্ভব রকমের পরিবর্তন আনা হয়। সেই অসম্ভব পরিবর্তন আনতে সক্ষম হলে তারপর তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে। ঘোড়ার (আকার আয়তনের) বৃদ্ধি কমিয়ে এনে তার প্রজননের সময় যদি কমিয়ে আনা যায় তাহলে সেই পরীক্ষণ সহজ হবে। সেক্ষেত্রে প্রজন্মের পর প্রজন্মে তাদেরকে ডানার উপর নির্ভরশীল হয়ে ওঠার প্রশিক্ষণ দেয়া যেতে পারে। সেই প্রশিক্ষণ সহজ হবেনা। প্রায় অসম্ভব হবে। কিন্তু কোথাও না কোথাও একটুখানি হলেও তা সম্ভব।
মূল কথাটি যা বলতে চাইছিলাম, একটি অথবা একঝাঁক পঙ্খীরাজ তৈরি করা অসম্ভব নয়।
একটি বিষয় বলে রাখি, আপনারা যারা পঙ্খীরাজের পিঠে চড়ে উড়বার চিন্তা করছেন তাঁরা অন্যভাবে ভাবলেই ভালো করবেন। পিঠে চড়ে উড়ে বেড়াবার জন্য ঘোড়ার চাইতে ঈগল ভালো। এদের সেই সামর্থ রয়েছে। প্রমাণ আকারের মানুষ বয়ে বেড়াবার জন্য "খুবই সম্ভব' খানিকটা গবেষণা করলেই হবে। সেই গবেষণায় বিশেষ ঝক্কি নেই। দ্রুত সফলতা আসবে সেটাও প্রায় নিশ্চিত করে বলা যায়। সমস্যা হবে ঈগলের মানসিকতায়। আপনাকে উড়িয়ে বেড়াবার বদলে সে যে আপনাকে দিয়ে লাঞ্চ করে ফেলতে চাইবেনা সেই নিশ্চয়তা অন্তত আমি দিতে পারছি না।
ভূমিকা:
আমি সম্ভবত অদ্ভুত চিন্তা করি। আমার সকল ভাবনা লিখে ফেললে সমাজে বাস করা মুস্কিল হবে। খুব শঙ্কা নিয়ে প্রথমবার মহাসরলীকরণ করে খানিকটা আজাইরা ভাবনা লিখে ফেললাম। পঙ্খীরাজ প্রসঙ্গে একটা ধারনা দেয়ার চেষ্টা করলাম কেবল। এটা পড়ে আপনাের কীরকম হাসি পাবে বুঝতে পারছিনা। যাঁরা জীববিজ্ঞান পড়েছেন, তাঁরা যদি সত্যি বৈজ্ঞানিক সম্ভাবণার হিসেব করে মন্তব্য করেন তো সেটা নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগবে। শিখতে ভালো লাগবে। কল্পনার কোথায় কোথায় বদলে নিতে হবে সেটা জানতে ভালো লাগবে। কিন্তু কল্পনা থামাতে ভালো লাগবে না। সুতরাং যাদের আমার কল্পনায় আপত্তি রয়েছে তারা হেফাজতে কল্পনায় যোগ দিন।
এবং শুভ জন্মদিন মুর্শেদ ভাই। আপনি যে কীরকম পঙ্খীরাজের মতো অসম্ভবভাবে সচলায়তনকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা নিতান্ত কম লোকই বুঝতে পারে। কখনো সত্যি সত্যি পঙ্খীরাজ বানালে আপনাকে একজোড়া দেবো। আপাতত ক্লোন করা কিছু ব্যাকটেরিয়া আর ছত্রাক রয়েছে। নাশতায় মিথাইলথায়োএডিনোসিন ফসফোরাইলেজ খেতে চাইলে দুচারটে স্ট্রেইন নিতে পারেন।
মন্তব্য
মিথবাস্টার্স এ দেখিয়েছিল ড্রাগন যেভাবে আগুন বের করে মুখ থেকে সেটা অসম্ভব, এর জন্য যে পরিমান বড় ফুসফুস তার দরকার সেটা করতে গেলে তার দেহের ওজন এতোটাই বাড়বে যে সে তখন উড়তে পারবেনা, আবার পরে এটাও দেখিয়েছিল ড্রাগনের ওজন এতই বেশি অতো বড় পাখা হবেনা কারণ তার জন্য যেরকম মজবুত হাড় দরকার তাতেও ওজন অনেক বাড়বে। শেষে দেখিয়েছিল ড্রাগন আসলেই গালগল্প।
তবে আপনার পঙ্খীরাজের ধারণা পছন্দ হইছে। এই চিন্তার জন্যই লেখাতে পাঁচ তারা দিলাম।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আগুনের বিষয়টা অসম্ভব। কিন্তু উড়তে পারার বিষয়টা অসম্ভব না। কেবল আমরা ড্রাগনকে প্রথাগতভাবে যেরকম কল্পনা করি সেরকম ভাবলে হবেনা। চিন্তা একটু খুললেই ড্রাগনের পক্ষে উড়ে বেড়ানো সম্ভব
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হুমম এভাবে চিন্তা করলে হবে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মনে হয়না। এভাবে কেবল উঁচু ডাল থেকে পড়ে খানিকদুর ভেসে বেড়াতে পারবে। উড়তে পারার কথা নয়!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হুমম, উড়ার ব্যাপারটাই সমস্যা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পঙ্খীরাজ নিয়ে লেখা চমৎকার হয়েছে। এমনিতে পঙ্খীরাজের সমস্যা হল তা দৌড়তেও পারে ভাল আবার উড়তেও পারে ভাল। প্রকৃতিতে এরকম প্রাণী দুর্লভ, চারপেয়ে তো নেই কেউ। ভাল দৌড়তে গেলে মজবুত পা থাকা ভাল, আবার ভাল উড়তে গেলে পিঠের পেশী ভাল হতে হবে। দুটোকেই একসাথে ভাল করা মুশকিল। যেটা হতে পারে সেটা হল গ্লাইড করা, ডানা ঝাপটিয়ে ওড়ার পরিবর্তে। পাতলা একটা পর্দার মত আবরণ থাকলেই হবে। এটাই বলা যায় বেবীস্টেপ।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
গ্লাইডিং করে এমন ছোটো প্রাণি রয়েছে বলে জানি। কিন্তু বড় প্রাণিদের ক্ষেত্রে এটা খুব সুবিধার নয়। পরিচিত যত পরিবেশের কথা মাথায় আসছে সেখানে মানানসই লাগছে না। গ্লাইডিং গাছ থেকে গাছে অথবা গাছ থেকে মাটিতে হতে পারে। বড় প্রাণিদের জন্য সে তো কোনো কাজে আসবেনা! গ্লাইডিংয়ের জন্য পরিবেশ কই?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
টেরোড্যাকটিল ফ্লাই করে না গ্লাইড করে তা নিয়ে বিতর্ক ছিল জানি। এখন কি সিদ্ধান্ত হয়েছে জানা আছে? গ্লাইডিং করে পাহাড় থেকে নামা যাবে, ওঠার জন্য তো মজবুত পা আছেই।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
শেষ খবর জানিনা। খোঁজ করিনি কখনো। কিন্তু আমি উড়তে পারার পক্ষে ওদের আকৃতি তো দৌড়াবার জন্য সুবিধার না।
কেবল পাহাড় থেকে নামার জন্য গ্লাইডিং-এর অঙ্গ টিকে যাবে বিবর্তনে? আমার সেরকম মনে হচ্ছেনা। তবে আমি হয়তো জানিনা।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বিবর্তনে তো টেঁকেনি
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
উহুঁ, ওই টেকা নয়। আমি পুরোপুরি গঠিত হওয়া পর্যন্ত যে সময়টা সেসময়ের কথা বলছি। কাজে না লাগলে ভালোমতো তৈরি হবে কেন?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কিমেরাল রিসার্চ আপনি সমর্থন করেন? এটা কিন্তু সঠিক আর ধর্মীয় বাধার পর্যায়ে থাকে না, আমাদের সাধের বানানো আইন-সংবিধান-সমাজ সবই লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে কিমেরা তৈরী হতে থাকলে। দুঃখের বিষয় এ নিয়ে গবেষণা ও মানবাধিকার বিষয়ক আলোচনার পরিবর্তে কিছু মূর্খের হাউমাউ শুনতে হয়। কিন্তু আসলেই বিষয়টা নিয়ে গভীরে ভাবার দরকার আছে। যেমন ধরুণ, যদি সত্যিই একটা ফ্র্যাঙ্কেস্টাইন কেউ বানিয়ে ফেললে কি করা হবে? মানুষ ও শিম্পাঞ্জীর সংকর প্রজাতির "মানবাধিকার" কতটা হওয়া উচিত?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
অস্ত্র ছাড়া অন্য কোনো গবেষণা সমর্থন করিনা তেমন মনে পড়ছে না। অস্ত্র এবং বিশেষ দুয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া সকল গবেষণাই সমর্থন করি। কিমেরাল রিসার্চও সমর্থন করি। তবে সত্যি সত্যি মানুষ শিম্পাঞ্জীর সংকর নিয়ে কখনো ভাবিনি।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
প্রশ্নটা আমারই ভুল। আসলেই গবেষণা সমর্থন না করার কারণ নেই (এমনকি অস্ত্রেরও)।
সমস্যাটা দাঁড়ায় প্রয়োগে। পেটেন্ট আর বহুজাতিকের খপ্পরে কোন গবেষণা মানব-সমাজের লাভে আসবে আর কোনটা ক্ষতিতে দাঁড়াবে সেটা এখন সমস্যা হয়ে গেছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
সেটাই
অস্ত্রের কথা বিশেষত এজন্য বললাম যে এই পৃথিবীতে ব্যবহার ছাড়া অন্য উদ্দেশ্যে অস্ত্রের গবেষণা হয়না।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তা হয় (বা হতে পারে) - কোনো ধাবমান উল্কাপিন্ডের গতি প্রিবর্তনের জন্য বা কোনো ভিনগ্রহীদের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য , তাছাড়া, জিপি-এস বা টিসিপি-আইপি প্রযুক্তির অনেকটাই কিন্তু অস্ত্র গবেষণা থেকে নেওয়া।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
শেষের অংশের সুফলের জন্য অস্ত্র গবেষণাকে কৃতিত্ব দিতে রাজি নই। দশ টাকার অস্ত্র বানাতে গিয়ে যদি এক টাকার ওষুধ তৈরি হয়ে যায় তাতে অস্ত্রের কলঙ্ক কমেনা। তৃতীয় বিশ্বের স্বাস্থ্যগবেষণার একটা পড় বাজেট কিন্তু আর্মির খরচ থেকে আসে। আম্রিকান আর্মির পকেট থেকে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ওয়েল, সেটাই তো আমি আগে বললাম। ধরুণ ইরাকের মত আরও কোনো দেশকে আমেরিকার আর্মি এবারে মানুষের জায়গায় কিমেরা পাঠিয়ে দখল করল। কি বলবেন?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
অস্ত্র মানে বায়োলজিকাল অস্ত্রও। আর্মিও তো অস্ত্রই, তাইনা?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সেইটাই তো, যত বিজ্ঞান আছে তার সবটাই অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যায়। ইতিহাসে পড়া আগুন আবিষ্কার থেকেই শুরু।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
নখ শার্প করার ফাইল পর্যন্ত
্তবে আমি সাধারণ অর্থে মারাত্মক বিধ্বংসী অস্ত্রের কথা বলছিলাম। মানুষকে তো মানুষ গলা টিপেও মারতে পারে। সেটার জন্য তো আর হাত কেটে ফেলা যাবেনা!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বাক্যহারা, ইন এভরি পজিটিভ ওয়ে।
স্বপ্নদ্রষ্টাদের জন্যই পৃথিবীটা এতো সুন্দর। অন্ধরা কুয়োর ভেতরে যতদিন বসে থাকতে চায় থাকুক। মানুষের পৃথিবী মানুষের ক্ষমতায় একদিন স্বপ্নসম হয়ে উঠবেই।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চমৎকার চিন্তাভাবনা! কাছাকাছি ঘরানার একটা বই, ইওর ইনার ফিস, নিয়ে ঘুরছি পড়ার সময় করে উঠতি পারছি না।
শেষ প্যারাটা ঠিক পড়তে পারলাম না। টেকনিকাল বিভ্রাট মনে হয়। ( ধন্যবাদ )
সচলায়তনের ডেভু একটা অভিশাপ। খালি টেকনিকাল সমিস্যা হয়!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ডানা এতো ঝাপ্টানোর দরকারটা কি? বিমান কি ডানা ঝাপ্টায়? ধরেন ঘোড়ার দুই পাশে লম্বা ডানা লাগায় দিলাম আর পেছন্দিকে দিলাম একটা কড়া ইঞ্জিন। পঙ্খীরাজ উড়বো কিনা কন?
..................................................................
#Banshibir.
এতো ঝামেলা না করে পাঙ্খীরাজরে প্লেনের টিকিট কেটে দিলে কেমন হয়? ঘোড়ার পিঠে চড়ে প্লেনে উঠে গেলেই ঝামেলা শেষ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এই দেখেন পঙ্খীরাজের পিঠে পীর
..................................................................
#Banshibir.
আমি হয়ত এই ভাবে চিন্তা করতামঃ প্রথমেই ঘোড়া আর পাখির সাধারণ পূর্বপুরুষ পর্যন্ত ফিরে যেতাম। ফাইলোজনি'র সাহায্যে মনে হয় ব্যাপারটার কিছুটা সোরাহা করা সম্ভব। তার পর সেই সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে দুই ধারায় বিবর্তনের মিউটেশন গুলা দেখতাম এবং শুধ আলাদা মিউটেশন নিয়ে চিন্তা করতাম। একই জায়গায় কার্যকর আলাদা মিউটেশনের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কঠিন হয়ে যাবে, মার্জ করা যেতে পারে সেক্ষেত্রে, একই জায়গায় কার্যকর আর অকার্যকর মিউটেশন থাকলে কাজের মিউটেশনটাকে অন্তর্ভূক্ত করব।
তবে আসল কাজে হাত দেয়ার আগে সিমুলেশন করে নেয়া যেতে পারে। এমব্রায়োলজির সিমুলেশন করে দেখা যেতে পারে প্রাণীটার চেহারা কেমন দেখায়। প্রাণীটার শেইপ পাওয়া গেলে তার শরীরের অ্যারোডিনামিক্স অ্যানালিসিস করে দেখা যেতে পারে।
(স্বপ্নেই যখন খাওয়া... )
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সফটওয়ার ডেভেলপমেন্টে যারা আছেন, তারা এটাকে ফরওয়ার্ড ইন্টিগ্রেশন নামে জেনে থাকবেন।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
মুরগি থেকে ডায়নোসর বানানোর মতো মনে হল খানিকটা। (সেই চেষ্টা কিন্তু বৈজ্ঞানিক, এবং তা করাও হচ্ছে)।
অ্যারোডিনামিক্স অ্যানলিসিস ছাড়া পুরো বিষয়টা সম্ভব বলে মনে হয়না। একজন অ্যারোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ার লাগবে প্রোজেক্টে।
কয়েকটা কথা এলিয়েনিকের মতো শোনালো। ইঞ্জিনিয়ারিং বুঝিনা
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দারুণ লাগ্লো। ড্রাগন, ঘোড়ার পরে ঈগল দেখে লর্ড অব দ্য রিংসের কথা মনে পড়লো। এক্টা ঈগল বানায় দেন
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
সিরিয়াসলি, ঈগল বানানো বিরাট সোজা হওয়ার কথা। মোটাতাজা ফার্মের মুরগি বানানোর মতো। মেলা টাকাপয়সা হইলে সিরিয়াসলি ট্রাই দিমু ভাবতেছি
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শুভ জন্মদিন মুর্শেদ ভাই।
facebook
কেক চায়া দেখেন কী কয়
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভাই বানানো শেষ হইলে টিকিট ছাইড়েন।
ঠিক আছে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ঘোড়ার পিঠে (এটাই আপাতত গ্রহনযোগ্য পজিশন মনে হচ্ছে) ডানার ব্যবস্থা করা হলে আরেকটা সমস্যা আছে। তখন সেখানে বসবো কিভাবে? বসা গেলেও দুই পা গুটিয়ে বসতে হবে। এভাবে ঠিক আরাম পাচ্ছি না! আর আস্ত মানুষ বয়ে নিয়ে উড়তে পারার মত ঘোড়ার পাখার যে সাইজ হবে সেটা মাটিতে দৌড়ানোর সময় একটা ঝামেলা তৈরি করবে। ফোল্ডিং ডানা একটা সমাধান হতে পারে।
অসাধারন লেখা
কিছু বিষয় অন্যভাবে ভাবুন,
যেমন, ঘোড়ায় চড়াটা লক্ষ্য না এখানে। উড়ে বেড়াবার জন্য মানুষের আরো এফিশিয়েন্ট যন্ত্রপাতি রয়েছে।
এবং ঘোড়ার ডানা এরোপ্লেনের মতো হবেনা। যেন না হয় সেজন্যই বায়োইঞ্জিনিয়ারিং করার কথা ভেবেছি। ডানা বায়োলজিকালই হবে। অ্যারোপ্লেনের মতো ডানা হলে সেটা ঝাপটে সে উড়বে কীভাবে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এজন্যই আধুনিক বিদেশী রুপকথা 'লর্ডস অফ দ্য রিং' বা 'দ্য হবিটস' এ পঙ্খীরাজ ঘোড়ার বদলে ঈগলের পিঠেই মানুষকে উড়তে দেখা গেছে
দারুণ হয়েছে লেখাটা, বায়োলজিক্যাল ফিকশান টাইপ
- সেভেরাস স্নেইপ
এরা মনেহয়না যুক্তির দিয়ে ভেবে ঈগল বেছে নিয়েছে। লর্ডস অফ দ্য রিং এবং বিজ্ঞান দুটো দুই মেরুর জিনিস
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কোনটা সোজা হবে? একটা বড়সড় ঈগল বানানো না ঘোড়ার পাখা?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
বড়সড় ঈগল বানানো অনেক সহজ। তবে তার একটা সীমা পর্যন্ত। মানে অতিরিক্তি কিছু চাইলে সেটাও ওই ঘোড়ার ডানা বানানোর মতই অনেক কঠিন হবে! ঈগলের ক্ষেত্রে বেশি কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে যদিও!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমি ভাবলাম এই লেখা শেষ পর্যন্ত পড়ে শিখতে টিখতে পারবো, তারপর একটা বানায়ে ফেলবো, জানজটে আর ভুগতে হবে না।
মুলা দেখায়া পোস্ট পড়ায়ে এইভাবে ঠকানোর অপরাধে আপনার তিন বছরের যাবজ্জীবন শাস্তির জন্য মডুদের নিকট আকুল আহ্বান জানাচ্ছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মন্তব্যটা অনেক আগে পড়েছি। কী কী জানি ভাবছিলাম বলব। এখন আর ভালো লাগছে না! যদি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করে দেশের মানুষগুলোকে বদলে দেয়া যেতো, তাহলে হয়তো এই পরিস্থিতিতে পড়তে হতনা!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দারুণ পোস্ট! চিন্তাভাবনা করার মত এক্সাইটিং বিষয় পাওয়া গেল! এমন আরো পোস্ট আসুক।
ঘোড়াকে ওড়াতে হলে পাখি বা বাদুড়ের চেয়ে মাছির টেকনলজি বেশি ফিজিবল। এতটুকু ডানা দিয়ে কী চমৎকার ওড়ে প্রাণীটা!
আবার ঘোড়াকে ডানা লাগিয়ে ওড়ানো গেলেও, সেই ঘোড়ার পিঠে বসা যাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তাই বরং, আমি নিজের শরীরেই ডানা লাগিয়ে নিতে পারলে খুশি হবো। ডানাটা পুরোপুরি বায়োলজিক্যাল না হলেও চলবে। কার্বন ন্যানোটিউব, গ্রাফেন, এসব ব্যবহার করে কয়েক গ্রাম ওজনের পাখা বানিয়ে ফেলা সম্ভব, যেটা পুরো মানুষের ভর নিতে পারবে। সমস্যা হলো সেটা চালানো।
এর জন্য জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করে পিঠে বিশেষ ধরনের মাসল সৃষ্টি করে নিতে হবে। এই কৃত্রিম ডানা যুক্ত হবে সেই মাসলে। এ ছাড়া মানুষের হাড়ের ওজনও একটা প্রবলেম। ওটা সামলাতেও ন্যানোটেকনোলজি প্রয়োগ করা সম্ভব। একটা ক্যাপসুল খেয়ে নেব, তার মধ্যে থাকবে কোটিকোটি ন্যানোবট। তারা গিয়ে আমার হাড়গোড় সব বদলে ফেলবে। কার্বন ন্যানোটিউব স্ট্রাকচার বানিয়ে দেবে। আর অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ঝরিয়ে ফেলবে। পাখির মত হালকা এবং স্টিলের চেয়েও শক্ত হাড় তৈরি হয়ে যাবে। এমন কি চাইলে, সেই হাড়ের স্থিতিস্থাপকতাও নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। মানব শরীর এই ধরনের হাড়কে রিজেক্ট করতে পারে। এটা ট্যাকেল দেবার মত ব্যবস্থা জেনেটিসিস্ট/জীববিজ্ঞানীরা করে ফেলতে পারবে মনে হয়।
ডানাটা হবে এমন যা ভাজ হয়ে সারা শরীরে জড়িয়ে যেতে পারে। তখন বুলেটপ্রুফ ভেস্ট হিসাবে কাজ করবে। আর ওড়ার দরকার হলেই, খুলে গিয়ে হয়ে যাবে ডানা। এর নিয়ন্ত্রণ মস্তিষ্কের সাহায্যেই করা সম্ভব। এরকম একটা সাইবর্গ হবার সুযোগ পেলে খুশিমনেই রাজি হয়ে যেতাম!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আপনি দারুণ আইডিয়া দিলেন। তয় ন্যানোবটের আইডিয়াটা ভাবছিনা। ওইটা একটু বেশি দূরের হিসাব বলে মনে হচ্ছে! মানুষকে নিয়ে গবেষণাই করতে দেবেনা। মাছির আইডিয়াটা পছন্দ হলো। অসাম আইডিয়া। হালকা, সহজ কিন্তু কার্যকর! অসাম!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এর থেকে মনে হয় ইউনিকর্ণ বানানো সোজা হবে।
পাখির জিনোমের সাথে ঘোড়ার জিনোম ঘুট পাকায় ফাপা হাড়ওলা ঘোড়া বানাইতে হবে আগে। ঘোড়ার দৌড়ের গতি লিফট অফের ব্যাপারে কোন সাহায্য করবে না? ডান ঝাপটায়েই উঠতে হবে এমন তো না। তবে পেশীর সাথে নার্ভের যোগাযোগের ব্যাপারটাই সবচে ঘাপলা লাগবে মনে হচ্ছে।
আপনি যদি এইটা সত্যি সত্যি আবিষ্কার করেও ফেলেন, ধর্মীয় গোষ্ঠী বলবে এইটা তো ধর্মগ্রন্থে আগেই উল্লেখ করা আছে, 'বুরাক' নামে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ইউনিকর্ণের মাথায় শিং ছাড়ার তার আর কী গুণ আছে? মানে, তাতে কী ঘোড়াটা উড়বে?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শিং গজানো সহজ । কোন ফাংশনালিটি নাই এই জিনিষের। কাজেই সাকসেস ক্রাইটেরিয়াও সহজ। যদি পেচানো স্প্রিং এর মত ফ্লেক্সিবল শিং করতে পারেন তাইলে শিং দিয়ে মাটিতে ঢুঁস মেরে একতা লিফট অফ করতে পারে। তারপর উড়ে গিয়ে কই পড়বে সেই ড্যামেজ কন্ট্রোল এর চিন্তা ভাবনা আপনি বের করেন।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
নাউজুবিল্লাহ্ । আমার ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগিতেছে।
আব্দুল্লাহ এ.এম.
পৃথিবীর বৈজ্ঞানিকেরা যদি আজকে কেবল কোনো বিশেষ ধর্মের জন্য তাঁদের উদ্ভাবন সীমাবদ্ধ করে দিতেন তাহলে পৃথিবীর বেশিরভাগ ধর্মের লোকজন দুইমাসের মধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দারুন লাগলো !
লেখা এবং মন্তব্যগুলি।
তবে আমি বিশেষ একজন মানুষের মনের ভেতর কী চলছে সেটা বোঝার কোন যন্ত্র পাওয়া যাবে কিনা, না পাওয়া গেলে বানানোর উপায় খুজঁছি।
মনের ভিতর কী চলছে সেটা কিছুটা এখনই বোঝা যেতে পারে। মানে শক্ত অনুভূতিগুলো টের পাওয়া যায়। এই প্রযুক্তি উন্নত হলে আপনার চাহিদা মিটে যাবে। এটা খুবই সম্ভাবণাময়!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সম্ভবতো চাইলেই। চেষ্টা করলেই হয়তো পারা যাবে
চেষ্টার অনেক আয়োজন লাগবে। তবে সম্ভব তো বটেই
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পঙ্খিরাজ ঘোড়ার চারপা কি দরকার আছে? চার পেয়ে প্রানী উড়তে দেখিনি কখনো। কচ্ছোপের মত পাগুলি ঢুকিয়ে ফেলার ব্যবস্থা থাকলে আকৃতিটা উড়ার জন্য সুবিধা হতে পারে?
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ভাবতে অসুবিধা নেই। কিন্তু সবচে সহজে কীভাবে করা যায় সেটা ভাবতে হবে। যেমন দেখুন, চারপেয়ে প্রাণি উড়তে না দেখলেই যে চারপা ওড়ার জন্য প্রতিবন্ধক হবে তা কিন্তু নয়। চারপা যতক্ষণ উড়তে বাধা দিচ্ছেনা ততক্ষণ পায়ের পেছনে সময় নষ্ট করাটা অবৈজ্ঞানিক। বিশেষত, ঘোড়ার পা কচ্ছপের মতো বানিয়ে ফেলা এই সময়ের বিজ্ঞানে অবাস্তব মনে হচ্ছে।
তবে নিশ্চয়ই, ভাবনার কোনো সীমা না থাকুক
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পঙ্খীরাজ ঘোড়া চাই না। মানুষের প্রত্যঙ্গ পুনরুৎপাদন চাই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
নতুন মন্তব্য করুন