এইবার সচলাড্ডা হলো হুট করে। কিন্তু ভালই হলো। অন্যবার আগে থেকে প্লান করে করেও খুব জনসমাগম হয়না। সবাই সময় করে উঠতে পারেন না। হুট করে ইউরোপে আসাও সবার জন্য সম্ভব হয়না। এইবার হুট করে আয়োজন হলেও আড্ডাবাজ সমাগম হলো ভালই। মুর্শেদ ভাই প্রতিবারই আমার মতো গরীব ছেলেপেলের ফারশাইনের (জার্মান রেল টিকিট) পয়সা দেন। তারপর আড্ডায় এসে উনি বসে বসে সচলায়তন সামলান আর আমরা আড্ডা মারি। আমি প্রতিবারই ঘোষণা দেই, সচলের ডেভলপার যদি এইরকম অমানবিক উদার না হবেন তো কে হবেন? সচলের ডেভলপার হতে গেলে খানিক ত্যাগ স্বীকার করতেই হয়! মুর্শেদ ভাই অবশ্য বলার চেষ্টা করেন, ছেলেপেলে তার সর্বনাশ করে ছাড়তেছে প্রতিবছর। আমেরিকা থেকে দুটো, বাংলাদেশ থেকে একটা আর ইউরোপের এদেশ-সেদেশ থেকে মোট ৮ টা প্লেন টিকিট আর ৪টা রেল টিকিটের খরচ গেছে ওনার পকেট থেকে এবার। সচলের ডেভু হলে আমার কী হতো সেই ভেবে আমি মাঝে মাঝে ঘেমে উঠি!
তানভীর ভাই (সচল স্পর্শ) সিঙ্গাপুর থেকে আমস্টারডাম এসেছিলেন এক সেমিনারে। আমি বলে রেখেছিলাম যেন নাইট ট্রেনে বার্লিনে চলে আসেন। ওনাকে এখান থেকে নিয়ে আমি হিমু ভাইয়ের ওখানে যাবো। সবাই হিমু ভাইয়ের ওখানেই আসবে। ওনার বাসাটাই বেশী মানুষের আড্ডার উপযোগী। একজন ব্যাচেলর মানুষের যে এইরকম বিশাল বাসা থাকতে পারে তা বিশ্বাস হতে চায়না। হিমুভাইয়ের বাসায় প্রথম গিয়ে ওনার বেডরুম দেখে ভচকে গিয়েছিলাম। ওনার যে বিছানা, সেটাতে ৪-৫ জন মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুমিয়েও অর্ধেকটা জায়গা বাঁচে! সচলাড্ডার সময় রাতের বেলা অবশ্য কেউ ঘুমোবার সুযোগ পায়না। গতবার আশু শেষরাতের দিকে ঘুমিয়ে পড়েছিল। সুবাহানাল্লাহ বলে আমরা বাকি ১১ জন মার্কার-কলম নিয়ে বেচারার সারা গায়ে শিল্পচর্চা করেছিলাম। প্রথম ৩০ সেকেণ্ড পরে যদিও বেচারার ঘুম ভেঙে গেছিল, কিন্তু ১১ জন উঠতি শিল্পীর শিল্পচর্চার বাধা দেয়ার সাহস সে পায়নি! যতই ক্লান্তি থাকুক, সচলাড্ডায় ঘুমিয়ে পড়া সেজন্য কোনো ভালো বুদ্ধি না!
শুরুটাই দেখি লম্বা হয়ে যাচ্ছে। ছাড়া ছাড়া ঘটনাগুলো আলাদা করে লিখব। আজকে সোজা আড্ডার দিনের কাহিনী বলি।
বার্লিন থেকে কাসেল (হিমু ভাইয়ের বাসা) ৪০০ কিলোমিটারের মতো। যেতে ঘন্টাতিনেক লাগে সব মিলিয়ে। আমি আর তানভীর ভাই সকাল সাড়ে সাতটায় রওনা দিয়ে এগারোটার খানিক পরে হিমু ভাইয়ের বাসায় পৌঁছলাম। আমার সঙ্গে একটা ছোট ব্যাগ। তানভীর ভাইয়ের ব্যাগটা খানিক বড়। উনি অনেক দূরে এসেছেন, বড় ব্যাগ থাকাই স্বাভাবিক। হিমু ভাইয়ের কাছে জানলাম আমাদের আগে এসেছে তারেক অণু আর তার বান্ধবী। জিজ্ঞেস করলাম সেই বদলুক কোথায়?' হিমু ভাই বললেন, ও হচ্ছে তারেক অণু! সে কী আর ঘরে থাকবে! এসেই খানিক খেয়েদেয়ে বান্ধবীকে নিয়ে শহর দেখতে বেরিয়েছে। দুপুরে ফিরবে'।
তানভীর ভাই রাস্তায় রাস্তায় ছিলেন বলে আয়োজনের বিস্তারিত জানেন না। হিমু ভাই ওনাকে বললেন। আমেরিকা গোষ্ঠী এসে পৌঁছবে বিকেল বেলা। মুর্শেদ ভাই, চরম উদাস ভাই, উদাসী ভাবী, মিমি ভাবী, তানিম ভাই, জ্যোতি, আর তাসনীম ভাই। সবাই একসঙ্গেই আসছে। কানাডা থেকে মুস্তাফিজ ভাই, আর রীতা ভাবী। বাংলাদেশের নজরুল ভাই, নূপুর ভাবী, আর সুরঞ্জনা গতকাল এসেছেন মিউনিখে হাসিব ভাইয়ের বাসায়। হাসিব ভাই ওনাদের নিয়ে এখন রাস্তায়। পথে ধুগো'দাকে উঠিয়ে নেবেন। দ্রোহী'দা আলাদাভাবে পৌঁছবেন সন্ধ্যার পর।
আড্ডা শুরু হয়েছিল সন্ধ্যাবেলায়। রান্নার ভার নিয়েছিলেন রীতা ভাবী, মিমি ভাবী, নূপুর ভাবী, আর উদাসী ভাবী। ফেসবুকের ছবির ঠেলায় সবাই জানতো চরম উদাস ভাই অসাধারণ রান্না করেন। আড্ডার দিনে প্রকাশ পেল উদাসী ভাবী রান্না করেন আর সেসবের ছবি তুলে ফেসবুকে নিজের নামে প্রকাশ করেন চরম উদাস ভাই। সেই ঘটনার পর চরম উদাস ঘোষনা দিলেন, সচলাড্ডা একটা অভিশাপ। আমরা সবাই জানলাম, চরম উদাস অদ্ভুদ! রান্না-বান্নার সময় কিচেনে সারাটা সময় নজরুল ভাই ঘোরাঘুরি করেছেন কখনো সাহায্য করার নামে, কখনো লবন চেঁখে দেখার নামে! এ অবশ্য নতুন না। নজু ভাই চিরকালই পরস্ত্রীকাতর।
আমাদের সুরঞ্জনা হিমু ভাইয়ের বেডরুমের ফ্রিজ থেকে একগাদা চকলেট উদ্ধার করে আনলো। হিমু ভাইয়ের বেডরুমে উনি ছাড়া কোনো পুরুষলোকের প্রবেশাধিকার নেই বলে আমরা কেউ চকলেটের হদিস পাইনি আগে। আবিষ্কার করলাম অন্তত চারটে দেশের চকলেট আছে ঝাঁপিতে! কে জানে, বড় বিছানা থাকলে বোধহয় নানান দেশের চকলেট উপহার পাওয়া যায়! আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি বড় হয়ে এরকম একটা বড় বিছানা বানাবো। গান শেখার আমার ছোটবেলার শখ!
নূপুর ভাবী ঘোষণা দিলেন ধুগো'দার জন্য সুখবর আছে। নূপুর ভাবী কারো সুখবরের ঘোষণা দিলে যার জন্য সুখবর তিনি ছাড়াও বাকি আমরা সবাই খুশি হয়ে যাই। সুখবর অনুষ্ঠানে বরাবরই আমরা কয়েক দফায় বিশাল খাওয়া-দাওয়া পাই, সেই আনন্দে। নূপুর ভাবীর মুখে সুখবরের কথা শুনে ধুগোদা খানিকটা আনমনা হয়ে গেলেন। গুনগুন করে কী জানি গান গাইতে লাগলেন। দ্রোহীদা ওনার পাশেই ছিলেন। দ্রোহীদা আবিষ্কার করলেন, ধুগো'দার গানের শিরোনাম "আজ পাশা খেলব রে শ্যাম...'। এইফাঁকে বলে রাখি, এই সচলাড্ডায় এবারই কুকিল ফিচারিং কালার প্রথম লাইভ প্রোগ্রাম হলো। সেই প্রোগ্রামের গানগুলোর রেকর্ডিং আছে জ্যোতির কাছে।
সুরঞ্জনা বাদে আমি, তানিম্ভাই আর জ্যোতি জুনিয়রদের ভেতর পড়েছি। জ্যোতি আমাকে তানভীর ভাইয়ের দিকে ইশারা করে বলল, কী হয়েছে রে? বেচারা এমন মনমরা কেন? আমি তানভীর ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম, কী হয়েছে? কথা বলেন না কেন? তানভীর ভাই বললেন, উনি ভাবছেন। ঠোঁটের ন্যাচারাল ফ্লেভার কী হতে পারে সেই নিয়ে ওনার চিন্তা। আমি খুকখুক করে উঠলাম। তানভীর ভাই বললেন, "শুনেছি স্ট্রবেরি, চকলেট এসব ফ্লেভারের লিপস্টিক নাকি পাওয়া যায়'? জ্যোতি একেবারে আকাশ থেকে পড়ে বলল, "কী বলেন! সত্যি? আমার কিউই ফ্লেভার কি পাওয়া যায়? আমার খুবই পছন্দ।' তানভীর ভাই বললেন, উনি জানেন না, তানিম ভাই ওনাকে বলেছেন। আমরা সবাই তানিম ভাইয়ের দিকে তাকালাম। তানিম ভাই বললেন উনি ওনার বন্ধুদের কাছে শুনেছেন। তাসনীম ভাই তানিম ভাইকে বললেন, এরকম বন্ধুদের মুখে কতকাল শুনবা? দ্রোহীদা বললেন লিপস্টিকের ফ্লেভারের বিষয়ে সবচে ভালো জ্ঞান রাখেন হাসিব ভাই। হাসিব ভাই উস্তাদ লোক বলে আমরা লোকমুখে শুনেছি। আড্ডায় গিয়ে সত্যি সত্যি জানলাম। হাসিব ভাই তানভীর ভাইকে জিজ্ঞেস করলেন, হঠাৎ ফ্লেভারে উৎসাহী হয়ে উঠলে কেন? বেচারা কাচুমাচু করতে লাগল। জ্যোতি আমাকে ফিসফিস করে বলল, "প্রশ্নটা কিন্তু সিরিয়াস, কী বলিস? এই বিষয়টা জানা থাকা দরকার'। আমি বললাম, "কিউই ফ্লেভার থাকলেই বা কী? তুই তো আর লিপস্টিক লাগাতে পারবি না'! জ্যোতি সম্মতি দিয়ে মাথা নাড়ল! নিজের ঠোঁটে লিপস্টিক না লাগাতে পারলেও আমার একটা দ্বিতীয় সম্ভাবণার কথা মাথায় এসেছিল কিন্তু প্রশ্ন করার সাহস পেলাম না!
মিমি ভাবী বললেন, আর কতকাল তোমরা এর ওর কাছ থেকে লিপস্টিকের ফ্লেভার সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করবা? তোমাদের সমস্যা কী!' কী বিপদ! রান্নাঘর থেকে এসে ভাবী যে আমাদের আলোচনা শুনে ফেলেছেন তা কীকরে জানবো! ভাবীর কথায় হাঁ হাঁ করে উঠলেন মুস্তাফিজ ভাই আর তাসনীম ভাই। মুস্তাফিজ ভাই এতক্ষণ বারান্দায় দাঁড়িয়ে ওনার বুলডোজার সাইজের ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলছিলেন। তিনি মাত্র ঘরে ঢুকেছেন তখন। নূপুর ভাবী আমাদেরকে উদ্ধারে এগিয়ে এলেন। তিনি মিমি ভাবীবে বুঝিয়ে বললেন, ধুগো'দার বিষয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। তানিম ভাইকেও এবার দেশে গিয়ে স্বর্ণের দাম কমেছে দেখে খুব খুশি হয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে। চিন্তার আছে কেবল হিমু ভাইকে নিয়ে। উদাসী ভাবী বললেন, হিমু ভাইকে নিয়েও চিন্তার কিছু নেই। ওনার বেডরুমের রেফ্রিজারেটরে বিদেশী চকলেটের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে! আমি ভাবলাম, একটা ফ্রিজ কিনতে হবে বেডরুমের জন্য। তারপর বিদেশী চকলেট সেখানে রাখতে পারলেই নিশ্চিন্ত! জ্যোতি আমাকে আবার বলল, "প্রশ্নটার কিন্তু কোনো সুরাহা হলনা'! আমি মুখ ফুটে ওই প্রশ্ন করার সাহস পেলাম না। ভাবলাম তারেক অণুকে জিজ্ঞেস করব। লোকটা দেশে দেশে ঘুরে বেড়ায়। ঠোঁটের ফ্লেভার সম্পর্কেও সে-ই ভালো বলতে পারবে। কিন্তু তখনও সে বান্দার দেখা নেই!
দুপুরের কথা বলে ক্রোয়েশিয়ান বান্ধবীকে নিয়ে তারেক অণু হাজির হলো সন্ধ্যায়। কাচুমাচু হয়ে বলল, পাশের শহরটায় নাকি কীসের বিকিনি ফেস্টিভাল হচ্ছিল। তাই সে একচক্কর ঘুরে এসেছে। শুনে হাসিব ভাই আঁৎকে উঠলেন। পাশের শহর মানে দেড়শো কিলোমিটার। আসতে যেতে চারঘন্টা! তাসনীম ভাই জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কখন গেলে আর কখন আসলে? তারেক অণু বলল, খুব বেশি সময়ের দরকার হয়নি। দ্রোহীদা বললেন, "আরে মিয়া, পুরুষ মানুষের সময়টাই হচ্ছে আসল'। হাসিব ভাই বললেন, "ঠিক। কিন্তু একইসঙ্গে শক্তভাবে সময়কে সামাল দিতে জানতে হবে'। তারেক অণুর বান্ধবী বাংলা বুঝতে না পেরে বোধহয় খানিকটা অস্বস্থিতে ভুগছিল। চরম উদাস ভাই ওনাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন। ইংরেজিতে অনুবাদ করে বললেন, "দীর্ঘ সময় শক্তভাবে মাথা উঁচু করে টিকে থাকাই হচ্ছে সত্যিকারের মনুষত্ব'! আমরা সবাই হাসি লুকোতে লাগলাম। তাসনীম ভাই বললেন, উদাস ছেলেটা একটা প্রতিভা।
খাওয়ার আয়োজন চলছিল। নজরুল ভাই রান্নাঘর থেকে বের হয়ে ঘোষণা দিলেন, সব রান্নায় তার বিরাট অংশগ্রহন আছে। মুস্তাফিজ ভাই বললেন, নজরুল রান্নায় না, রাঁধুনিদের সাহায্য করতে গেছিল। নজরুল ভাই গম্ভীর মুখে বললেন, "যে ব্যক্তি রাঁধুনীদের নিকটবর্তী সে সুখেরও নিকটবর্তী'! তাসনীম ভাই বললেন, "এইটা একশোভাগ সত্যি কথা'। আমি মনে মনে ভাবলাম, শোবার ঘরে ফ্রিজ আর সেই ফ্রিজে বিদেশী চকলেট রাখলেই হবেনা। রাধুনীদের নিকটবর্তী হতে হবে। তারেক অণু ঘোষণা দিল, ক্রোয়েশিয়ার রাঁধুনীরাই বিশ্বে এক নম্বর। তাসনীম ভাই বললেন, "অণু ছেলেটা বুদ্ধিমান আছে। যখন যে দেশে যায় সেই দেশের রাঁধুনীদের সুনাম করে'। চরম উদাস বললেন তিনি একটা ব্লগ লিখবেন এই প্রসঙ্গে, "এসো নিজে করি: কিভাবে রাঁধুনীদের নিকটবর্তী হবেন?'।
মিমি ভাবী খাওয়ার বিরতির ঘোষণা দিলেন। আমরা যারা নিষ্কর্মা ছিলাম তারা চামচ-প্লেট এগিয়ে নিতে লাগলাম। কোন সুদূর ইউরোপের কাসেল শহরের একটা ফ্লাট ম ম করছিল বাংলা খাবারের গন্ধে। তাসনীম ভাই সুরঞ্জনাকে বললেন খাওয়ার আগে একটা গান শোনাও। আমরা সবাই তাসনীম ভাইয়ের আদেশে হ্যাঁ ভোট দিলাম। সুরঞ্জনা গান ধরল, "পুরোনো সেই দিনের কথা ভুলবি কীরে হায়...'। তবে একা সে গাইতে পারল না। আমরাও ভাঙাচোরা গলায় সুর মিলালাম। সারাটা সন্ধ্যা কম্পিউটারে বসে সচলায়তন সামলাচ্ছিলেন মুর্শেদ ভাই। তিনিও খানিক বিরতি নিয়ে উঠে এলেন। এতগুলো অসমবয়সী মানুষ। তাদের অনেকেই একজন আরেকজনকে আগে কখনো দেখেনি। এই মানুষগুলো একসঙ্গে হয়ে নিজের বাড়ির মতো হৈ হৈ করে রান্না করে আড্ডা দিয়ে এখন বসে বসে গান গাইছে, সেটা তারেক অণুর ক্রোয়েশিয়ান বান্ধবী অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে দেখছিল। আমাকে তাকাতে দেখে সে ফিসফিস করে জানাল, সে এই গানটা শিখতে চায় আর আমাদের দেশে যেতে চায়। আমি কিছু বললাম না। ইশারায় বুঝিয়ে দিলাম, নিশ্চয়ই।
সন্ধ্যা তখনো গভীর হয়নি। পুরো রাত পড়ে আছে আড্ডার। আড্ডার বর্ণনা লিখে ঠিক কুলানো যায় না। খানিকটা চেষ্টা করলাম। খাওয়ার আগে পর্যন্ত কাহিনী সংক্ষেপে এটুকুই। বাকি গল্প বাকি থাকুক। মুস্তাফিজ ভাইয়ের ছবিগুলো প্রসেস করা হলে উনি একটা ছবিব্লগ দেবেন বলেছেন। আমিও আস্তে ধীরে বাকি আড্ডার গল্প লিখে ফেলব। তারেক অণু তো আর আড্ডার গল্প লিখবে না। তার কাছ থেকে ওই বিকিনি ফেস্টিভালের ব্লগ পড়তে অপেক্ষায় থাকুন।
মন্তব্য
জম্পেশ সচলাড্ডা হয়েছে দেখা যাচ্ছে!
বটতলার উকিল
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ঠিক ঠিক - আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে এই গল্পটি সপ্নে প্রাপ্ত নয়, সত্য কাহিনী অবলম্বনে বানানো...
বাকি গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।
ঠিক বলেছেন। আড্ডার গল্পগুলো অলৌকিকই লাগে...
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শুধু আহারেই এই অবস্থা? নাকি হিমু ভাইয়ের ফ্রিজ থেকে চকোলেটের সাথে কিছু তরলও মেরে দিয়েছিলেন?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এই অবস্থা আহারের আগের। আহারের পরের অবস্থাও জানবেন ধীরে ধীরে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শুধু আপনারা আড্ডা দিলেই হবে, বাংলাদেশে আড্ডা কবে হবে? মুরশেদ ভাই ত এই কলিকালের হাতেম তাই দেখি । তাড়াতাড়ি ছবি দেন
ইসরাত
ছবির জন্য মুস্তাফিজ ভাইরে গুতান। বাংলাদেশে তো আমি নেই। বাংলাদেশে যাঁরা আছেন তাঁদেরকে ধরে সচলাড্ডা করেন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আমি ফলস্ শাটার টিপেছিলাম, ক্যামেরায় মেমরি কার্ড ছিলোনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
সরি মুর্শেদ, তোমার টিকিট পেয়েছিলাম। কিন্তু কানাডায় আমার একটা প্রোগ্রাম ছিল আজ। জানোই তো, আজ আবার কানাডা ডে। আমাকে তো অনেক দিক সামলাতে হয়। পরের বার মিস করবোনা আশা করি। খারাপই লাগছে। --এয়ারপোর্ট থেকে কমেন্ট লিখছি। ফিরে বিস্তারিত লিখবো। থ্যাংকস অনার্য।
মনটা খুব খারাপ হয়েছিল ভাই। আপনি একা তো না। অনেকেই আসতে পারেন নি!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আরে এ যে দেখি এলাহী করাবার, কীভাবে কীভাবে সবাই একত্রিত হয়ে গেলেন, দূর দূর দেশ থেকে! সচলাড্ডা সাংঘাতিক! ছবিব্লগের অপেক্ষায় রইলাম............
_____________________
Give Her Freedom!
মুস্তাফিজ ভাইরে ধরেন ছবির জন্য
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পোস্টে পাঁচতারা মার্কা হিংসা জ্ঞাপন, ল্যাখায়
এদ্দিন ধইরা ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া ধরসিলেন...এখন দেখি সচলের মহারথীগো প্যান্টও খুইল্লা দিলেন। খালি সচলাড্ডা না, আফনেও অভিশাপ। তবে হ্যাঁ... বড় খাট আর ফ্রিজ+চকলেট এর বুদ্ধিখান মাথায় ধরসে।
সর্বশেষে দাবীঃ চরম উদাসকে শ্রেষ্ঠ অনুবাদক এওয়ার্ড প্রদান করা হউক
চরম উদাস ভালো অনুবাদ করে। তার অনুবাদ নারী-পুরুষ ভেদে ভিন্ন হয়
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তাইলে এওয়ার্ডের সার্টিফিকেটে 'লিঙ্গবিশেষজ্ঞ অনুবাদক' লেইখা দিয়েন
মুর্শেদ ভাইয়ের কাছে আবদার : একটা ব্লগ লেখেন - এসো নিজে করি কীভাবে সচলাড্ডার টিকেট পেতে হয়।
তারেক অণু আর বান্ধবী - ব্লগ আসবে নাকি?
আহারে, হিমু ভাইয়ের চকলেট চেখে দেখা হলো না----
জয়তু সচল এবং সচলাড্ডা।
মুর্শেদ ভাই প্রতিবছর বিরাট ধরা খায়। আগামীবার মনে হয় বেচারা দেউলিয়া হয়ে যাবে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হিট
facebook
কারে হিট করলেন?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এই সচলাড্ডাতে গিয়েই জানতে পারলাম অনার্য শুধু বেহালাই নয়, শর্ট হ্যান্ডেও হাত পাকিয়েছে। আমরা আড্ডা দিচ্ছি, হই-হল্লা করছি, আর সে একতাড়া কাগজ আর পেনসিল নিয়ে খস খস করে কে কী বলছে না বলছে শর্ট হ্যান্ডে লিখে চলেছে। তবেই না এই পোস্ট।
তবে তারেক অণু যে ইয়ে ফেস্টিভ্যালে গেল রোমানিয়ান বান্ধবী নিয়ে আর ফিরলো ক্রোয়েশিয়ান বান্ধবী নিয়ে, সেটা তো বললে না।
ফেসবুক আসার পর থেকে সচলাড্ডার কেমন যেন জোস কমে গেছে। প্রথম সচলাড্ডা, দ্বিতীয় সচলাড্ডা গুলোর কথা মনে পড়ে, নজরুল ভাই বিশাল এক নাটকের সেট ভাড়া করেছেন। আর সেখানে জড় হয়েছি আমরা। কে কেমন দেখতে, বয়স কত, বা কোনটা কে, কেউ কিছু জানে না। একেকজনকে অন্য নামে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলাম। আমি অমুক, বলে পরিচয় দেবার পরে দেখা গেল, যাকে বলছি, সে-ই হয়তো ঐ ব্যক্তি!
আজকাল ফেসবুকে, সারাক্ষণ, কে কোথায় জ্যামে আটকা পড়ে আছে, কার বিয়েতে অ্যাটেন্ড করছে, বিয়ে করছে... ইত্যাদি ইত্যাদি সব জানা হয়ে যাওয়ায় আড্ডাগুলোর আবেগ কেমন যেন কমে গেছে। এনিওয়ে, ফেসবুককে বিদায় দিয়েছি। এখন হয়তো আবার আবেগ ফিরে পাওয়া যাবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ওরে! তারেকাণু কি বান্ধবী বদলেছিল নাকি? তাকে তো যাওয়ার আগে দেখিনি, সেজন্য বুঝতে পারিনি!
আহারে, কীসব সচলাড্ডার কথা মনে করিয়ে দিলেন! সিমনভাইরে মিস করতেছি
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
প্রথম কয়েক লাইন পড়েই
বলাইদা ছিলো না??
বলাইদা মিস করছেন।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভিসা নিয়ে গ্যাঞ্জাম যথারীতি, এত শর্ট নোটিসে সব এরেঞ্জ করা আসলেই মুশকিল - সবাই কি আর নজু ভাই যে এম্বেসীতে বন্ধু থাকবে আর সব সহজেই হয়ে যাবে - মুর্শেদ ভাইয়ের পাঠানো টিকেট টা তাই নুপুর কে দিয়ে দিলাম - একি সঙ্গে আড্ডা আর ৪০ নাম্বার হানিমুন এর জন্য আপনার জন্য বাংলা রোমান্টিক গানের একটা সিডি পাঠিয়েছিলাম, পেয়েছিলেন তো?
আপনার সিডি পেয়েছি। কিন্তু জ্যোতি মেরে দিছে
আপনি আসতে পারলেন না। খুবই খারাপ লাগলো। দেখি আরেকটা সচলাড্ডার আয়োজন করতে হবে দ্রুত। ছুটির কথা বলে দেখেন তো অফিসে, তারপর আমাকে জানান। এম্বেসির বিষয়টা একটা ব্যবস্থা করা যাবে হাতে কয়েকদিন সময় থাকলে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ইউরোপে অফিকশন একটা আড্ডার আয়োজন করা যায়? জার্মানির মধ্যে যে কোনো শহরেই আসতে পারবো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আড্ডার আয়োজন বড়রা করেন। আমরা তো কেবল খাই। দেখেন বড়রা কী বলেন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বেভারিয়া আর হেসেন ছাড়া যেকোনো দিকেই হোক এবার। বেভারিয়াতে গেলে খালি পুলিশে ধরে। আর হেসেনে গেলেই হেসেনের পাখি সব করে রব করতে করতে ঠেলে ঠেলে প্রতিবারই পাহাড়ে তুলে একই হারক্যুলিস দেখতে বাধ্য করে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সেপ্টেম্বরের শেষে হোক, মিউনিখে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মাত্তা খারাপ! ঐ সময় ভুলেও বেভারিয়ার দিকে যাইস না। চাইরদিকে খালি বাতিলের হাতছানি। ঈমান আকিদা বজায় রাখা দায়! তাছাড়া, বেভারিয়া ভালু না, জাগায় বেজাগায় খালি ঠোলায় ধরে। অবশ্য ঠোলারও দোষ না, সাথে যেই মনহুশ চেহারার পাবলিক থাকে ঠোলায় না ধরে যাবে কৈ!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
একবার কইবেন না, কাসেল আসতে আমারতো মাত্র ৪ঘন্টা লাগে।
অভিশাপ
ইস! আগে জানিয়ে রাখবেন তো!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মিস করি সচলাড্ডা!
আব্দুল্লাহ এ এম
পরেরবার চলে আইসেন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মানহানির মামলার অপেক্ষায় থাকোরে মমিন!
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এই ভালো পোলাটারে আপনে ডর দেখান ক্যানরে ভাই? আপনের নামে তো কিছুই কয় নাই। কতো কতো সত্য কথা চেপে গেলো আপনের নামে! আপনে কী কী করছেন, সেগুলা কওয়া শুরু করুম একে একে?
মডু সঙ্গীতা, তুই আরও ভালো ভালো দুইটা কথা ক দেখি ভাই আমার নামে। এই যেমন ধর, লুপুর ভাবীর 'সুখবরের' খোমা, ম্যাপ, জিওগ্রাফী ইত্যাদির কথা তো কিছু কইলি না। পাশার গুটির কথাও তো কইলি না, পাশা যে খেলুম- মানসিক একটা প্রিপারেশন আছে না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নূপুর ভাবীর কাছে ছবি আছে শুঞ্ছি বস
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দিলি তো পুরান বেদনা আবার উথলাইয়া...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমিও আড্ডা দিমু
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
হ! আড্ডা দেয়া সকলের নাগরিক অধিকার
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পোলাপান খালি মিছামিছা সচলাড্ডা দেই।
একবার সত্যি সত্যি দিয়ে ফেলেন। আর কতো মিছা মিছা! তানভীর ভাইয়ের সঙ্গে এইবার এসে পড়তে পারতেন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনার্যের যে থাইরয়েডের সমস্যা প্রকট তা তো জানতাম না ! সেও তো বলেনি ! আমি যে আড্ডার বিরাট একটা সময় নিয়ে আর্য ও অনার্য শব্দদুটোর ব্যুৎপত্তি খুঁজে ভারতীয় দর্শনের বিরাট একটা লেকচার দিয়ে এলাম, সেটা কি আড্ডা-মারা (মানে মাঠে-মারা) গেলো তাইলে !
নাহ্ ! ময়-মুরব্বিদের প্রতি ভক্তিশ্রদ্ধা উঠেই গেছে ! আমার দর্শন-পাঠটাই বৃথা গেলো !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কী কন্নাকন! আড্ডার পুরো গল্পতো লিখিনি এখনো। গল্পের সবটাই তো বাকি
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
গুপন আড্ডার গুপন খবর প্রকাশ হয়ে গেল দেখি
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আঙ্গুর ফ্লেভারের লিপস্টিকের ব্যাপারে কিছু জানস নাকি?
অলমিতি বিস্তারেণ
লিপস্টিক ফ্লেভারের বিষয়টা জানা দর্কার। জ্ঞান বিতরণে উদার সচলের পাঠিকারা কেউ এগিয়ে আসেন কিনা দেখি! নয়তো কাউরে সাহস করে জিগাইতে হবে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কোন জ্যোতি ?
আছে এক জ্যোতি। বদের বদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
যদিও অনেক কথাই গুপন করা হইছে
হ্যাঁ। অনেককিছু চেপে গেলাম
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আড্ডার খবরটা পেয়েছিলাম। কিন্তু ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে সময় মেলাতে পারলাম না। এমন একটা আড্ডার আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ। পরেরবার যোগ দেওয়ার আশা রাখি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আপ্নেরে মিস্কর্ছি
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ব্রাজিলে না গিয়েও স্পেইন আর ব্রাজিলের মধ্যস্থিত কনফেডারেশন কাপের ফাইনাল আমরা সরাসরি দেখেছি। সচল এমনই সচল হবে যে, অদূর ভবিষ্যতে আমরা আড্ডাস্থলে না গিয়েও সচলের আড্ডা সরাসরি দেখতে সক্ষম হব। প্রযুক্তি বিকাশের এ মহেন্দ্র যুগে সেদিন বেশী দূরে নয় বলেই মনে হয়।
- পামাআলে
নিশ্চয়ই। পরেরবার সচলাড্ডা লাইভ সম্প্রচারের জন্য সচলের ডেভুকে হুমকি দেন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
যেন কাছেই কোথাও একটা অসাধারণ ফুলের বাগান আছে - নানা সুন্দর গন্ধ পাচ্ছি তার, কিন্ত জানি না ঠিক কোথায় সেটা।
- একলহমা
খাইছে! কবিতা নাকি?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আরে বাঃ! আড্ডা জমে দৈ! বাকি গল্পটুকু আর বাকি থাকে কেন? লিখেই ফেলুন না। হিংসুকেদের জন্যে দুধ নয়ত ঘোলই সই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
তুমি বেঁচে আছো আশাদি!!! আমি তো ভাবছিলাম তুমি মরে মমি কিংবা নিদেনপক্ষে
পেত্নী হয়ে গেছো। ইহা কি সত্যিই তুমি নাকি তুমি তার ভূত
বাকি গল্প লিখে ফেলব দেখি
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সচলায়তন হচ্ছে একটা সাক্ষাৎ অভিশাপ। চরম উদাসের এসো নিজে করি পড়েই এখনো শেষ করতে পারিনি (পারব কী করে? হাসতে হাসতে পেটে খিল, চোখের পানিতে একাকার অবস্থা)। তার মধ্যে আবার সচলাড্ডার এই রকম একটা পেট ফাটানো হাসির লেখা। আপনারা পারেনও
অ. ট. লেখায় আজাইরা পাঁচ তারা।
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
হুঁ। সচলায়তন অদ্ভুদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সচল আড্ডা থেকে এসে আমি মোসাম্মৎ কাহিল হয়ে পরে আছি, আর এর মাঝেই তুমি পোষ্ট নামিয়ে দিয়েছও? তবে তুমি লিখে ভালোই করেছো, চরম উদাস লিখলে তো এক্কেবারে আড্ডার জানাজা পড়ায়ে দিতো! আর সেই যে ধূগোর সেই লিপস্টিকের স্বাদের বর্ণনা! মনে নেই? সেটা নিয়ে তো কিছু লিখলে না?
ধুগো'দার চাঁখা লিপস্টিক সম্পর্কে সনামে লেখার সাহস পাইতেছি না ভাবী। অতিথি লেখক একাউন্ট থেকে একটা লেখা ছাড়ব দেখি
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আড্ডাবাজী! ছিঃ, খুবই খারাপ কথা।
ফটোমটো কই? নইলে ভাববো পুরাটাই গফ।
ভাবতে আর সমস্যা কী! ছবি মুস্তাফিজ ভাইয়ের কাছে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
উফ, দেশে ফিরলাম হপায়। জার্মানী এতো দূরদেশ কেনু?
যাহোক, আড্ডায়োজনের জন্য সচল কর্তৃপক্ষকে অশেষ ধন্যবাদ। আর টিকিটের জন্য মুর্শেদ ভাইকে ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করা ঠিক হবে কি না বুঝতে পারছি না। কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাই লম্বা করে দিলাম।
আয়োজনটা বেসম্ভব ভালো ছিলো, যারা আসতে পারেনি তাদেরকে দারুণ মিস করেছি। সবাই মিলে আড্ডাটা দিতে পারলে কী যে মজা হতো!
হিমু আর সুরঞ্জনার যৌথ গান, সঙ্গে আপনার ভায়োলিন, জ্যোতি আর উদাসদার হাততালি... একেবারে ফ্যান্টাস্টিক ফাইভ ছিলো। সেই সুমধুর সঙ্গীত এখনো কর্ণে লেগে আছে।
আর মিমি ভাবীর হাতের রান্না, দেশে এসে তো এখন আর কিছুই খেতে ইচ্ছে করছে না। বিফটা অসাধারণ ছিলো রে ভাই। আর তাসনীম ভাই যে এতো ভালো ককটেইল বানাতে পারে... নাহ্, কতো কিছু যে শিখতে হবে...
আড্ডার সেকেন্ড পার্টটা একটু সেন্সর করে লেইখেন। বিশেষ করে ধূগো অনুর বান্ধবীর ছোটবোনের ফোন নম্বর সংগ্রহ করার জন্য যা যা করলো... এগুলো লেখা ঠিক হবে না। নূপুর যেই পাত্রীর ছবি নিয়ে গেছিলো, ধূগোর তারে এবং তার ছোটবইন দুজনরেই পছন্দ হইছে, অচিরেই হয়তো শুভকাজে দেরি হবে না। তাই এই সময়ে কিছু কথা থাক না গুপন।
তানভির আর জ্যোতি যে ওখানেই এক চিপায় বসে ফ্লেভারড লিপস্টিক বানানোর জন্য প্রোগ্রামিং শুরু করে দিলো, এবং অবশেষে তা বানিয়ে ফেললো, কিন্তু ভোরবেলা সেই লিপস্টিক থেকে একটা বদবু ছড়িয়ে পড়লো, যদিও দ্রোহীদা তখন মাত্রই একটু আগে জয়েন করেছে আড্ডায়... এসব কথাও লেখার দরকার নাই।
আর তাছাড়া অনু যে একটু পরেই আবার হঠাৎ হাওয়া হয়ে গেলো, তারপর তারে কোথায় পাওয়া গেলো, এসবও লেখার দরকার নাই।
আর আপনি যে 'আপন ভাবী'দের খুশি করতে কী কী করলেন... যাহোক, সেগুলো আমরা কাউকে বলবো না।
এতো দারুণ একটা আড্ডার স্মৃতি এখন শুধু আপনার লেখনীতেই থাকবে। মুস্তাফিজ ভাই লাখ লাখ ছবি তুললেও পরে জানা গেছে ক্যামেরায় নাকি কোনো মেমোরি কার্ড ছিলো না। মুস্তাফিজ ভাইয়ের ফাঁসী চাই।
আরো কতো কি লেখার ইচ্ছে করছে। সব আমি লিখে ফেললে আপনি পরের পর্বে কী লিখবেন? তাই ক্ষান্ত দিলাম। জলদি পরের পর্ব ছাড়েন।
আপনাদের সবাইকে ভীষণ ভীষণ ভীষণ মিস করতেছি। আমার দেহটা বাংলাদেশে এলেও মনটা এখনো পড়ে আছে কাসেলে
ভালো থাকবেন সবাই। আগামী বছর নিশ্চয়ই আবার দেখা হবে।
শুভ জন্মদিন সচলায়তন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বস... আপনে বরং সিক্রেটলী এইগুলা নিয়া একখান পোস্ট দিয়া দ্যান। ল্যাখার উপ্রে ***ফর আইজ ওনলি*** ডিসক্লেইমার দিয়া দিয়েন
আমিও হবায় ফিরলাম। ইশশ অল্পের জন্য মিস হলো!! নেট বিচ্ছিন্ন থাকলে যা হয় আর কি।
গত সপ্তার পুরাটা কোপেনহেগেনে হাফ বেকার সময় কাটিয়ে আইসল্যাণ্ড যাবার পথে ফ্ল্যাইট ক্যানসেল করে দেশে ফিরলাম। আগে জানলে আইসল্যাণ্ড বাদ্দিয়ে জর্মনদেশে ছুটতাম।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এই অপরাধে আপনের ফাঁসি চাই
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আর্যদাদা কর্ছেন কি? অনলাইনে হুমকি টুমকি দিয়েন্না কিন্তু
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আপ্নে একটা পোস্ট দেন বস। আপ্নারে মিস্কর্তেছি অলরেডি
মানে আসলে নূপুর ভাবীরে মিস্কর্তেছি! আপ্নেরে মিস্করার কী আছে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দিলাম না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এতো হাসাহাসি কীসের?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পাগলের সুখ মনে মনে
আসেন সব্বাই মিলে একটা আন্তঃজিলা ডাকাতদলের থুরি! সচলদের আড্ডার ব্যবস্হা করি
আসেন আসেন করে কী আর হয়! আড্ডা দিলেই আড্ডা হয়। আয়োজন করে সেমিনার হয়, সভা হয়। আড্ডা হয়না
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ঠিক্কথা! মাত্রই আমি সেইরকম আড্ডা সেরে এলাম। ওবামা আঙ্কেল আর মিশেল আন্টি তো আমাকে ছাড়তেই চান না। জর্মানের সচলাড্ডার গল্প শুনতে চান আরো। এত সময় কোথায় আমার। আপনাদের আড্ডার কিছু ছবি ধরিয়ে সটকে পড়েছি। ওহ ভালো কথা আপনাদের আড্ডার কিছু ছবি পেলাম নন্টেফন্টে ভাইয়ার কাছ থেকে দেখা হয়নি হয়ত আপনাদের অনেকেরই। এখানে দিয়ে দিলাম। বেশ সুন্দর হয়েছে সব্বার ছবি।
(প্রথম ছবিটা সুরঞ্জনার চকলেট আবিষ্কারের বিস্মিত আড্ডাবাজদের একাংশ)
(দ্বিতীয় ছবি: সেইরকম গানাবাজনা চলছে আড্ডায়)
[img]http://www.google.com/search?
q=images+of+monkeys&tbm=isch&tbo=u&source=univ&sa=X&ei=btjVUZDKE6H5ygHe_YCYCQ&sqi=2&ved=0CCoQsAQ&biw=1032&bih=639#facrc=_&imgdii=_&imgrc=Ny82tV7Wa881gM%3A%3B-Pso3yG4sXFB7M%3Bhttp%253A%252F%252Fresources3.news.com.au%252Fimages%252F2013%252F04%252F06%252F1226614%252F043163-monkey.jpg%3Bhttp%253A%252F%252Fwww.news.com.au%252Fworld-news%252Fsanctuary-lifes-more-fun-than-a-barro...[/img]
(৩য় ছবি: চ্রম উদাসকে এত্তকাছে পেয়ে ছবি তোলার সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ কতিপয় আড্ডাবাজ)
শেষ ছবি: বাড়ির পাশেই জর্মানে এমন একটা জমজমাট আড্ডা হয়ে গেলো অথচ আয়নামতির তাতে যোগ দেয়া হলো না(কারণ জ্ঞানীজনে কয় আড্ডা নাকি এম্নি এম্নি হয় ) বিস্ময়ে মুখ তাই তার হা!
আসলেই বাঘা বাঘা সব সচল জার্মানী গেছে কিনা বুঝতে বুঝতে একটু সময় লাগলো। আমি এক্টূ টিউবলাইট আছি।
তানিম জুনিয়র আর তানভীর জুনিয়র না? ঘটমা কি? মুখবহিতে কোন আলামত দেখলাম না! যতদূর মনে হয় তানিমই তো স্বর্ণের দাম কমার খবর ছড়াচ্ছিল।
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
জার্মান দেশ থেকে ফিরে এখনো গা টন টন করছে। যাই হোক থ্যাঙ্কস ফর দ্য গুড টাইমস - ফটোশপ ঠিক মতো শিখে ছবিগুলো আপ্লোড করব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি ইংলিশ ক্যানেল পেরোবার অনুদান পেলাম না কেন? মডুদের ফাঁসি চাই।
ঢং করে চ্যানেল ফাইভ মেখে ইংলিশ ক্যানেল পেরুতে গেলে অমনি হবে বাছা
হুমম... একদিন আমরাও...
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন