আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন ধূমপানে ক্যান্সার হয়? আরো এটাসেটা কী কী জানি হয়! ডাঁহা মিথ্যে কথা। কিচ্ছু হয়না। একেবারেই কিছু না! এই লেখাটিতে সেই বিষয়ে বলছি। মহাপণ্ডিত গবেষকরা যে তামাককে ক্যান্সারের কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান তার পেছনে বিরাট রাজনীতি আছে। মূল বিষয়টা অন্যরকম। যুগ বদলেছে, এখন আর তেলমশলা গুলিয়ে খাইয়ে দিলেই কি আর মানুষ ভুল বুঝে বসে থাকে? থাকেনা। সত্য সবার কাছে পৌঁছবেই। আপনার কাছেও পৌঁছবে। কিন্তু সত্য পৌঁছনোর আগে তামাকের প্রাথমিক এটাসেটা সম্পর্কে একটুখানি বলে নেই।
কথাগুলো তামাক নিয়ে নয়, সিগারেট নিয়ে বলছি। সিগারেট আর তামাকের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, তামাক খাওয়ার নিয়মে। তামাক পুড়িয়ে ধোঁয়া ফুসফুসে নিলেই সে সিগারেট খাওয়া। আর এমনিতে তামাক চিবিয়ে অথবা ভাত দিয়ে খেলে সেসব অন্যরকমের তামাক সেবন। আজকের কথাবার্তা সিগারেট নিয়ে। একটু এদিকসেদিক করে নিয়ে অবশ্য কথাগুলো অন্যউপায়ে তামাক সেবনের বেলাতেও সত্যি।
মানুষে সিগারেট কেন খায়?
শান্তির জন্য খায়। এবং অশান্তি থেকে পালাবার জন্য খায়। এই দুটো জিনিসই মানুষকে দেয় নিকোটিন। যারা নিকোটিনে আসক্ত নন, তাঁরা নিকোটিনে শান্তি মিলবে সেই আশায় সিগারেট খান। আর যাঁরা নিকোটিনে আসক্ত তাঁরা সিগারেট খান অশান্তি থেকে বাঁচার জন্য। মস্তিস্কে নির্দিষ্ট মাত্রায় নিকোটিন না থাকলে তাঁদের অশান্তি লাগে। সেই অশান্তি নাছোড়বান্দা অশান্তি। অদৃশ্য-নীরব সেই অশান্তির মতো অশান্তি আর কোনো মাদকে হয়না।
বলছিলাম, মস্তিস্কে নিকোটিনের মাত্রা কমে গেলেই অশান্তির শুরু, নিকোটিনের মাত্রা কমবে কেনো? একবারে একবোচকা নিকোটিন মস্তিস্কে ভরে দিলেই হয়। তারপর নিশ্চিন্ত। তাই না?
উহুঁ, নিশ্চিন্ত হওয়া যায়না। মানুষের শরীরের নানা কলকব্জা নিকোটিনকে ভালোবাসেনা। রক্তে থাকা আস্ত নিকোটিন ধরে ধরে শরীর থেকে বিদেয় করে কিডনী, যকৃতের এটাসেটা এনজাইম মিলে বেশিরভাগ নিকোটিন ওলটপালট করে কোটিনিন বানিয়ে ফেলে। খানিক নিকোটিন ফুসফুসে গিয়ে অক্সিজেনের সঙ্গে ঘোঁট পাকিয়ে নিকোটিন অক্সাইড হয়ে যায়। সবমিলিয়ে নিকোটিনের শান্তি নেই। শরীর থেকে তাকে ঝেঁটিয়ে বিদেয় করবার তালে থাকে শরীরের এটাসেটা কলকব্জা।
নিকোটিন শরীরে থাকলে কী হতো? মানে যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ কী হয়?
হয় অনেক কিছু। আমাদের মতো যারা সাতেপাঁচে নেই তাদের অল্পস্বল্প জানলেও চলে, তাই আমরা অল্পস্বল্প জানবো। নিকোটিন ফুসফুসে পৌঁছলে দুম করে রক্তে পৌঁছে যেতে পারে। সবাই জানে ফুসফুসের অন্দরমহলে রক্তের সঙ্গে বাতাসের দেখায় হয়। ধূমপান করে সেই বাতাসের সঙ্গে ধূমপায়ীরা নিকোটিন মিশিয়ে দেন। বাতাসের মতো করে নিকোটিনও তখন একমুহূর্তে রক্তে চলে যেতে পারে। রক্তে গেলেই নিকোটিন মস্তিস্ক আর অন্যসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে যাওয়ার অনুমতি পায়। কিন্তু কেবল ফুসফুস থেকে যে নিকোটিনকে শরীরে প্রবেশ করতেহবে তেমন নয়। খানিক অক্সিজেন, নাইট্রেজোন, কার্বনে বানানো নিকোটিন মানুষের ত্বক আর মিউকাস মেমব্রেন ভেদ করে প্রবেশ করতে পারে। তারমানে, নিকোটিন গ্রহনের জন্য যে আপনাকে সিগারেট খেতে হবে তেমন নয়। সিগারেটের ধোঁয়া অথবা ধূমপায়ীর কাছাকাছি থাকলেও হবে। ধূমপায়ীর জামাকাপড়-ঘরবাড়ির সংস্পর্শে থাকলেও হালকাপাতলা নিকোটিন আপনি পাবেন। যিনি ধূমপান করেন তাঁর পরিবার পরিজনকে নিকোটিন অত্যন্ত ভালোবাসে।
যা বলছিলাম, শরীরে প্রবেশ করে নিকোটিন সবার আগে হরমোন গ্রন্থিকে ফুসলিয়ে শরীরে একগাদা এড্রেনালিন হরমোন ছেড়ে দিতে বলে। তাতে শরীরে একটা টানটান অনুভূতি হয়। এড্রেনালিন একাধিক অনুভূতির সঙ্গে জড়িত। এসব অনুভূতির সঙ্গে হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুততর হওয়া আর রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে।
এড্রেনালিনের জন্যে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। গ্লুকোজ হচ্ছে শরীরের জ্বালানী। রক্তে জ্বালানি বেড়ে যাওয়া মানে বেশি শক্তি খরচের জন্য শরীর প্রস্তুত হয়ে যাওয়া। তারউপর যে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে ঠিক করবে, নিকোটিন গিয়ে সেই ইনসুলিনের কাজকর্মেও বাগড়া দিত পারে। তারমানে রক্তে তো গ্লুকোজ বাড়লই আর তা নিয়ন্ত্রণেও তৈরি হলো বাধা।
নিকোটিনের কাজকর্ম এখানেই শেষ না। শরীরের সব কার্জকর্ম নানান সংকেতের মাধ্যমে হয়, সে তো আপনারা জানেনই। তেঁতুল দেখলে আপনার জিভে জল আসে কেন? তেঁতুল দর্শনের অনুভূতি প্রক্রিয়াজাত করে আপনার মস্তিস্ক জিহ্বার লালাগ্রন্থিগুলোকে খুঁচিয়ে রাগিয়ে দেয় বলেই জিভে জল আসে। কিন্তু মস্তিস্ক কি আর হাতে ধরে লালাগ্রন্থিকে খোঁচাতে পারে? পারে না। খোঁচাখুঁচির জন্য মস্তিস্কের রয়েছে খোঁচানো রাসায়নিক। খোঁচাখুঁচি করার মস্তিস্কের এসব রাসায়নিককে বলে নিউরোট্রান্সমিটার। নিকোটিন মস্তিস্কে অ্যাসিটাইলকোলিন নামের এক নিউরোট্রান্সমিটার ছাড়তে অনুপ্রাণিত করে। খটোমট নামের এই কচুটার কাজ হচ্ছে আপনার মস্তিস্ক এবং শরীরকে উত্তেজিত করা। কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য সতর্ক করা। পরীক্ষার আগের মুহূর্তে বইয়ের পাতা ওল্টানোর যে সতর্ক ব্যস্ততা সেইরকমের সতর্কতা। পাগলা কুকুরে তাড়া করলে দৌড়াবার যে উত্তেজনা, সেইরকমের উত্তেজনা।
ধূমপায়ীরা এজন্য সিগারেট খেলে সতেজ এবং "এনার্জেটিক' বোধ করেন। জটিল চিন্তায় মনোনিবেশ করা সহজ হয়ে যায় সিগারেটে একটা টান দিলেই। এইসব অনুভূতি যে ভালো লাগার অনুভূতি তাতে সন্দেহ নেই। সাধারণত ধূমপায়ীরা সিগারেট খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভালো লাগার অনুভূতিকে মিলিয়ে নেন। একটা সময় পর, তাঁরা অচেতন ভাবেই নিকোটিন গ্রহন করে ভালো থাকতে শুরু করেন। সিগারেট নিয়ে ম্যাচ হাতে বারান্দায় দাঁড়িয়েই মনে হতে থাকে, বেশ ভালো লাগছে। যদিও তখনো নিকোটিন মস্তিস্কে প্রবেশ করেনি। কিন্তু ধূমপায়ীর মস্তিস্ক হচ্ছে এমন। ভালো থাকার অনুভূতির সঙ্গে সিগারেটকে সে মিলিয়ে নিয়েছে। মস্তিস্কে নিকোটিনের পরিমাণ কম হলেই তখন তার "খারাপ থাকা'র অনুভূতি শুরু হয়।
নিকোটিনের সঙ্গে ভালো থাকার অনুভূতির সংযোগটাকে শক্ত করে ডোপামিন নামের আরেক নিউরোট্রান্সমিটার। এই ব্যাটা হচ্ছে সুখানুভূতির যোগানদার। ডোপামিনের বাংলা নাম হচ্ছে লোভ। যেখানেই লোভ সেখানেই ডোপামিন। বায়োলজিস্টরা এইখানে আমার কথা খানিকটা তেরছা হয়েছে বলে কাঁইকুঁই করতে পারেন। কিন্তু আমরা তো কোনো সাতেপাঁচে নেই, তাই আমাদের খানিকটা তেরছা করে বিজ্ঞান বুঝলেই চলে।
যা বলছিলাম, ডালপালা ছেঁটে ফেলে নিকোটিনের মূল বিষয়টা হচ্ছে এই। ভালো থাকার লোভ আর খারাপ থাকার ভয়। এই দিয়ে নিকোটিন ধূমপায়ীদের বশ করে রাখে। এই প্রসঙ্গে আরেকটু বলব, কিন্তু সে পরে। এইবার যেসব মাথামোটা বৈজ্ঞানিকেরা সিগারেট নিয়ে দুষ্টুদুষ্টু কথা বলে তাদেরকে একহাত নেয়া যাক। প্রথমে দেখি নিকোটিন এবং সিগারেটের প্রসঙ্গে অভিযোগ কী কী রয়েছে। তারপর আমরা এইসব অভিযোগকে বৈজ্ঞানিকভাবে ডাঁহা মিথ্যা প্রমাণ করব!
সিগারেটের দ্বিতীয় খারাপ দিকটি হচ্ছে, নিকোটিন নিজে একটি বিষ। ঘটনা সত্য। পোকামাকড় মারতে নিকোটিনের ব্যবহার আছে। মানুষের জন্যেও এটি বিষ। এইখানে কোনো তেরছা কিছু নেই। সহজ সরল সত্য। তাহলে নিকোটিন নিয়ে ধূমপায়ীরা মরে যায়না কেনো? অথবা ধূমপায়ীদের নিঃশ্বাস, ত্বক, জামাকাপড়, পরিবেশ, ঘরবাড়ি থেকে তাদের স্বজনরা যে নিকোটিন শরীরে গ্রহন করেন তারা মরে যায়না কেনো? কারণ হচ্ছে, মরে যাওয়ার মত যথেষ্ট পরিমাণ নিকোটিন কেউ একবারে গ্রহণ করেনা। মাত্রায় কম বলে নিকোটিনে দুম করে মানুষ মরেনা। মরে আস্তে আস্তে। ধূমপায়ীরা প্রতিবার ধূমপানের সময়ই আশেপাশের সকলকে নিয়ে একটুখানি মরে যায়।
ধূমপানের প্রথম খারাপ দিকটি সম্পর্কে বলি এবার। সবার জানা, সবচে প্রচারিত, সবচে চিল্লায়িত প্রসঙ্গ। ফুসফুসে ক্যান্সার। ধূমপান করলে ফুসফুসে ক্যান্সার হয়। নিশ্চিত হয়? হিসাবটা এরকম, ১০ জন ফুসফুসে ক্যান্সার রোগীর মধ্যে ৯ জনেরই হয় ধূমপানের কারণে।কিন্তু কেনো? ধূমপান করলে ফুসফুসে ক্যান্সার কেনো হবে?
এই বিষয়টা খুব সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি। সিগারেটের মূল আশক্তি নিকোটিনে। কিন্তু নিকোটিন নেয়ার জন্য আমরা তামাক পুড়িয়ে ধোঁয়া গ্রহন করি ফুসফুসে। সিগারেটের ধোঁয়াতে থাকে অন্তত ৭ হাজার (সাত হাজার) [ঠিকই বলছি, অন্তত ৭ হাজার] রকমের রাসায়নিক। মজার বিষয় হচ্ছে এই সাত হাজার রাসায়নিকের বেশিরভাগই মানুষের শরীরে (কোষে) কীরকমের প্রভাব ফেলতে পারে তা আমাদের জানা নেই। সুনির্দিষ্ট গবেষণা করে সেসব বের করার সুযোগ খুবই কম। কিন্তু সব যে আমাদের অজানা তা নয়। আমরা জানি এই সাত হাজার রাসায়নিকের মধ্যে অন্ততপক্ষে ৬০ টি হচ্ছে কারসিনোজেন। এর বেশিও হতে পারে, আমাদের জানা নেই। কিন্তু অন্তত ৬০টি কারসিনোজেন যে আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
কারসিনোজেন হচ্ছে সেই জিনিস যা ক্যান্সারের কারণ। ক্যান্সার মানে তো আমরা জানিই। কোষের বৃদ্ধিতে যখন আর নিয়ন্ত্রণ থাকেনা তখন সেটা ক্যান্সার কোষ। কোষের নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হওয়ার কারণের হিসেব এই লেখাতে আমরা না করি। একটা গাড়িকে যতো উপায়ে নষ্ট করা যায় তারচে বেশি উপায়ে কোষের চরিত্র নষ্ট করা যায়। কারসিনোজেন হচ্ছে কোষের চরিত্র নষ্ট করার উপাদান। একজন ধূমপায়ী যখন ফুসফুসে তামাকের ধোঁয়া গ্রহন করেন তখন অন্তত ৬০ টি কারসিনোজেন তাঁর ফুসফুসের অগণিত কোষের সংস্পর্শে আসে। কেউ যদি একশোটা ঢিল নিয়ে একটি দেয়ালের গায়ে ছুঁড়ে মারে তাহলে সর্বোচ্চ সেই দেয়ালের একশোটা ইট ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। কিন্তু কেউ যদি ঘরের ভেতর আগুন জ্বালিয়ে ধোঁয়া তৈরি করে তাহলে সেই ধোঁয়া ওই ঘরের দেয়ালের কোন ইটটির সংস্পর্শে আসবে না?
প্রতিটান সিগারেটের ধোঁয়ার সঙ্গে অন্তত ৬০টি রাসায়নিক গিয়ে ফুসফুসের কোষগুলোকে ক্যান্সার কোষ বানাতে চেষ্টা করে। এবং তারা নিয়মিতই সফল হয়। জ্বি হ্যাঁ, ঘটনা সত্যি। কিন্তু মানুষের শরীরে রয়েছে শক্ত রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা। শরীরের রোগপ্রতিরোধী কোষেরা যে কেবল বহিরাগত রোগজীবাণু মেরে নিকেশ করে তা নয়। তারা শরীরের বিগড়ে যাওয়া কোষগুলোকেও মেরে শেষ করে। ধূমপায়ীর শরীরে প্রতিনিয়ত তৈরি হওয়া ক্যান্সার কোষেরা সেজন্য বাঁচতে পারেনা। তাদেরকে মেরে ফেলে শরীরের রোগপ্রতিরোধী কোষেরা। (আয়রনি হচ্ছে, ধূমপানের ফলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাও দূর্বল হয়ে যায়।) কিন্তু হারজিতের এই খেলা অনন্তকাল চলেনা। সেরকম যদি হতো তাহলে এই পৃথিবীর মানুষেদের কখনো ক্যান্সার হতনা। সব ক্যান্সার কোষকে শরীরের রোগপ্রতিরোধী কোষেরা মারতে পারেনা। কেউ কেউ টিকে যায়। আর অনন্তকাল ধরে বাড়তে থাকে। তখন হয় সত্যিকারের ক্যান্সার। প্রতিদিন একঘন্টা পরপর আপনাকে একলক্ষ গুলি করা হলে আপনি কতটা গুলি এড়িয়ে যেতে পারবেন? কতকাল ধরে কতটাগুলি এড়িয়ে যেতে পারবেন? সেজন্য ধূমপান করলে যে ফুসফুসে ক্যান্সার হবে সেটা অবাস্তব কিছু নয়, ক্যান্সার না হলেই বরং সেটা অবাক করার মতো বিষয়!
আমেরিকায় প্রতি ১০টি ক্যান্সারের ৩টির কারণ ধূমপান। হয়তো আরো বেশি। আমাদের জানা নেই। সারাপৃথিবীতে এই সংখ্যা আরো বেশি। তৃতীয়বিশ্বের মানুষেরা ভোগেন সবচে বেশি ক্যান্সার ঝুঁকিতে। কিন্তু ক্যান্সার প্রসঙ্গই শেষ নয়। ক্যান্সার প্রসঙ্গ এমনকি শুরুও নয়। ধূমপানের ফলে আর যা যা হতে পারে তাতে ক্যান্সার না হলেও কিছু এসেযেত না!
৭০০০ রাসায়নিকের ৬০টির হিসেব করছিলাম আমরা। যে ৬০টা সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত যে সেগুলো ক্যান্সারের কারণ। বাকি ৬ হাজার ৯শ ৪০টি রাসায়নিক কী করে শরীরে গিয়ে?
আমরা তো সব জানিনা। কিছু কিছু জানি। সায়ানাইড, এমোনিয়া, এসিটাইলিন, মিথানল, বেনজিন, ফরমালডিহাইড এইসব রাসায়নিকগুলোর নাম তো আমরা সবাই জানি তাইনা? এইসব নিয়ে অনেক বর্ণনা করার সময় নেই। আমরা আমাদের মূল প্রসঙ্গে আসব। এইখানে কেবল জানিয়ে রাখি যে, এইসব রাসায়নিক যেকোন একটি দিয়ে মানুষ মেরে ফেলা যায়। অন্তত সায়ানাইড বিষটি তো সাহিত্য-নাটক-সিনেমার তারকা!
ধূমপানের কারণে কী কী হতে পারে সেসব তো আমরা জানিই। আমি দুইলাইনে আবার বলব:
প্রথম লাইন: ধূমপানের কারণে অন্তত ১০ রকমের ক্যান্সার হয়।
দ্বিতীয় লাইন: ধূমপানের কারণে আরো অন্তত ১০ রকমের রোগ হয় যা ক্যান্সারের মত মারাত্মক।
বোনাস লাইন: এইগুলো সম্ভাবণার কথা নয়, কিছু না কিছু হবেই।
সমস্যা হচ্ছে, কেউ ধূমপানের ফলে ক্ষতিকার কিছু চোখের সামনে দুম করে ঘটতে দেখেন না। কিন্তু বৈজ্ঞানিক সত্য মেনে না নিলেই সে মিথ্যে হয়ে যায়না। ধূমপায়ীরা প্রত্যেকেই তাঁদের জীবনে সরাসরি ধূমপানের কুফল ভোগ করেন। সেই কুফল খুব সহজ এবং স্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু বেশিরভাগেই জানেন না যে তাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলি ধূমপানের ফলে হচ্ছে। রসায়নের নিয়মগুলো খুব সহজ এবং বাস্তব। একটি কোষের উপর একটি রাসায়নিক প্রয়োগ করলেই সেই কোষটি ওই রসায়নিকের প্রেক্ষিতে আচরণ করে। একটি কোষের উপর ৭ হাজার রাসায়নিক প্রয়োগ করলে কী হবে?
এই মুহুর্তে ধূমপায়ীদের যাঁরা এই লেখাটি পড়ছেন তারা অনেকেই একটা বিশেষ অনুভূতিতে আছেন। একটা অস্থিরতার অনুভূতি, অস্বস্তির অনুভূতি। শেষ একটা সিগারেট না খেতে পারার আতঙ্কের অনুভূতি। সিগারেট নিয়ে এতগুলো কথা পড়ার ফলে, এতবার সিগারেট শব্দটা পড়ার ফলে তৈরি হওয়া এক অদ্ভুত অনুভূতি। ডোপামিনের অভাবের অনুভূতি। খানিকটা বেশি ডোপামিন না থাকার অনুভূতি! মজার বিষয় হচ্ছে এই সকল সমস্যাই আর মাত্র একটি সিগারেট খেয়ে উপশম হয়ে যাবে। সিগারেটের প্রথম কয়েকটি টান দেয়ার পরেই সব অস্বস্তির শেষ হয়ে যাবে। তখন মনে হবে, সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেয়া যেতে পারে। ছেড়ে দেয়াই ভালো। তখন আপনি জানবেন এই সিগারেটটিই আপনার শেষ সিগারেট। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে শেষ সিগারেটটিতে। শেষ সিগারেটটি না খেয়ে থাকা অসম্ভব একটি কাজ।
বৈজ্ঞানিকভাবে, মানুষের মস্তিস্কের পুরষ্কার পাওয়ার অনুভূতি তৈরি করতে পারে এমন সকল কিছুই আসক্তি। পুরষ্কার পাওয়ার অনুভূতি তৈরি করে ডোপামিন। ডোপামিন আপনার মধ্যে সেই অনুভূতি তৈরি করে যা বারবার পাওয়ার জন্য আপনার আকাঙ্খা তৈরি হবে। হতেই হবে। মানুষ হিসেবের বাইরের কোনো প্রাণি নয়। মানুষের এমনকি প্রেম-ভালোবাসা-স্নেহ-মমতার অলৌকিক বাংলসিনেমা সব অনুভূতিরও সহজ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে।
নটে গাছটি মুড়োল।
[সূচনা: এই লেখাটি কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে লেখা নয়। ধূমপায়ীদেরকে আমি কখনোই ধূমপান বন্ধ করতে বলিনা। পৃথিবীর মানুষ ধূমপান করবে এবং সেই অসাধারণ অনুভূতির দেনা শোধ করবে তাদের জীবদ্দশাতেই। এই হিসেব অঙ্কের মত সহজ। আমি এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত নই। আমার শুধু ভালো লাগেনা ধূমপায়ীদের পরিজনের কথা ভেবে। ধূমপায়ীদের আশেপাশের মানুষেরাও একইরকমের ক্ষতির মুখোমুখি হন। অথচ তাদের কোনো দোষ নেই।
আমি ধূমপান ছেড়েছি ২ বছরেরও বেশি আগে। আমি এখনো নিশ্চিত নই ডোপামিনের আসক্তি আমি কাটিয়ে উঠতে পেরেছি কিনা। আমার এখনো কাউকে খুব দারুণ ভাঙ্গিতে সিগারেটে টান দিতে দেখলে মনে হয় একটা টান দিলে কী না জানি অলৌকিক ভালোলাগার অনুভূতি হতো! দুইবছর পর থেকে খানিকটা আসক্তি কাটিয়ে উঠতে পেরেছি বলে মনে হচ্ছে বলেই এই লেখাটি লিখলাম। আত্মবিশ্বাসটা আজাইরা কিনা জানিনা কিন্তু সেটি তৈরি না হলে এই লেখাটি লিখতাম না হয়ত। এমনিতে এই লেখাটি আরো দীর্ঘদিন আগে লিখতে ইচ্ছে হয়েছিল।
এবং যারা ধূমপানের ফলে কোন ক্ষতি হয়না কীভাবে' সেই অলৌকিক সত্য জানতে অপেক্ষা করে আছেন তাদেরকে জানিয়ে রাখি, ওই বিশেষ অংশগুলো আমি মিথ্যে বলেছিলাম।]
মন্তব্য
লেখা সবসময়ের মতই।
জীবনটাই ধোঁকা
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
খুব ভাল লাগল। লেখা তো ভাল হয়েইছে, আপনার লেখা যেমন হওয়ার কথা। কিন্তু বেশী ভাল লেগেছে আপনি দু বছর ধরে ধূমপান থেকে দূরে থাকতে পেরেছেন বলে।
আমার খুব কাছের মানুষ (না কি আসলেই অনেক দূরের, চিনিই না ঠিক মত!) ধূমপান ছেড়েছে তিরিশ বছর আগে। আজো সে বলে যে ধূমপান-এর সেই সুখ-টা সে 'মিস' করে। কিন্তু এখন টান লাগাবার জন্য কোন টান আর অনুভব করে না। উল্টে এখন আবার সে ঘ্যাম নেয় একটা কঠিন কাজ শেষ পর্যন্ত করে উঠতে পারার জন্য। আসলে তো গলায় ঝামেলা বাইধ্যা (আ্যজমার কারণে, জানতনা তখনো- ভাবছিল ক্যান্সার অবনীর খোঁজ নিতে আইছে বুঝি) - সে এই জবরদস্ত কাম কইরা ফালায়!। তবে অখন সে স্বীকার যায় যে তার লজ্জার শেষ নাই কারণ, তার প্রিয় মানুষদের উপর অত্যন্ত অত্যাচার-ই সে চালায় গেছে প্রতিদিন নির্বিকার ভাবে, বছরের পর বছর! তা এই হল বিত্তান্ত! কাজেই শক্তি রাখুন, ধৈর্য্য রাখুন - যে চমৎকার কাজটা করেছেন, সেটা ধরে রাখুন, এইটা অতি অবশ্যই একটা কাজের মত কাজ।
- একলহমা
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভাগ্যিস ধূমপানটা ছেড়ে দিয়েছিলাম! এতদিনে কয়েকবার ক্যান্সার হয়ে যেত নাহলে।
সুহাস শিমন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ক্ষতি হবেনা কিন্তু নিকোটিনের মতি একি অনুভূতি তৈরী হবে এমন কোন রাসায়নিক কি আছে?
ক্ষতি না করে? নেই।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
উপকারী লেখা। এই বিড়ি-বাড়া নিয়ে অনেক সমস্যায় আছি। আর ভাল্লাগেনা।
লেখায় পাঁচতারা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আগে দেখে না থাকলে এই সিনেমাটা দেখে ফেলতে পারেন - Thank you for Smoking
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ভুনাখিচুড়ি খাইতে যাই। এসে দেখব
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনার বাক্য গঠন রীতিটা আমার দারুণ লাগে। খুব সাধারণ কিছু কথাও স্রেফ গঠনরীতির জন্যে ভোজবাজির মত পাল্টে দারুণ হয়ে যায়। লেখা পড়ে মজা লেগেছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দারুণ একটা লিখা, তবে একটা প্রশ্ন ছিল, আশেপাশের মানুষজন যারা পরোক্ষ ধূমপায়ী তারা কেন ধূম্পানের জন্য আসক্তি অনুভব করেন না? নিকোটিনের মাত্রা কম হবার জন্য কি তাদের আসক্তির অনুভুতি আসেনা যদি ও তারা ভুক্তভুগি?
আসক্ত হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট মাত্রায় নিকোটিন একসঙ্গে মস্তিস্কে যেতে হয়। পরোক্ষধুমপায়ীদের মস্তিস্কে সেই পরিমান পৌঁছায় না! কিন্তু ক্ষতি ঠিকই হয়।
হিসেবটা এমন, একলিটার তেল না হলে গাড়ি চলবে না। কিন্তু একছটাক তেল দিয়েই গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া যায়।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধুর মিয়া। আমি মোটামুটি একটা কার্টন টানা স্বপ্ন দেইখ্যা ফেল্লাম... পরে কয় সব মিছা।...
নাস্তিক বোলাগার কি আর সাধে কয়??
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সেম হিয়ার আইলসা! শুক্রবার টা মাটি করে দিসে অনার্যর এই লেখা - বিশেষ করে শিরোনাম - খুব আশায় ছিলাম ভাই মনে হয় আশার কিছু শোনাবে!! কিসের কি বজ্জাত বিজ্ঞানী ! সিগারেট হলো 'লিভিং ব্যারোমিটার' পুরোটা খেতে পারলে আপনি সম্পুর্ণ সুস্থ, অর্ধেক পারলে কিছুটা শরীর খারাপ আর না খেতে পারলে পুরাই রোগী। আর এটা সভ্যতারো প্রতীক, মানুষ ছাড়া আর কেও ধুম্পান করে নাকি? আশ্রাফুল মখলুকাত কি খামোখা আমরা?
(সিগারেট ছাড়া থাকা এখন অবিশ্বাস্য মনে হয়, মাত্র কয়েক বছর আগে পড়াশুনা শেষ করার পরেও অবিশ্বাস্য মনে হত কোন্দিন সিগারেট খাব )
লন শাপলা চত্ত্বর না, হোক কমপক্ষে কলমি শাক চত্ত্বরে বইয়া অর্নায্যগিরি প্রতিবাদ জানাই।
চমৎকার লেগেছে পড়তে। আমি বিড়ি খাই না, কিন্তু বন্ধুবান্ধব সবাই খায়। ওদেরকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলাও সম্ভব না। কি করে নিকোটিনের হাত থেকে বাঁচতে পারবো?
------------
মিলন
উপায় নেই। পারবেন না। দুঃখিত
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনার লেখায় সবসময় একটা ঝরঝরে ভাব থাকে, এ লেখাও তার ব্যতিক্রম নয়।
দারুণ বলেছেন, অনার্যদা। এজন্যই এত্ত এত্ত অ্যান্টি স্মোকিং ক্যাম্পেইন থাকা স্বত্বেও সিগারেট ইন্ডাস্ট্রি নিঃশেষ হয় না, বরং নিঃশেষ করে দেয় লক্ষ লক্ষ জীবন প্রদীপ ফি বছর।
'৬০ এর দশকে সিগারেট সেবনের রমরমা ছিল ইউরোপ-আমেরিকায়, এখন এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্কন্ধে ভর করেছে। ১৯৭০ সালে আমেরিকান পুরুষদের সিগারেট সেবনের হার ছিল ৪৪% , যা ২৮% এ নেমে আসে ২০০০ সালে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের একজন পুরুষ যেখানে বছরে ৫১০ টি সিগারেট খেত '৭০ এর দশকে, সেখানে বছরে ৯৯০ টি সিগারেট খেয়েছে '৯০ এর দশকে। বর্তমানে সংখ্যাটি নিশ্চয়ই আরও অনেক বেড়েছে। এখন বছরে ৪০ লাখ মানুষ মারা যায় সিগারেট সেবনের কারণে, ২০৩০ সাল নাগাদ সংখ্যাটা কোটিতে পৌঁছুবে বলে হু ভবিষ্যতবাণী করেছে। হু এর মতে, এই শতাব্দীতে মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য-হুমকি হল ধূমপান।
তবে একদিন সিগারেট ইন্ডাস্ট্রি বিলুপ্ত হবে। সিগারেট আশ্রয় নেবে মিউজিয়ামে।
সিগারেট ইন্ডাস্ট্রি বিলুপ্ত হবে? অতো আশা করিনা।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভাই, কাহিনীতে যে রকম টুইস্ট মারলেন তাতে তো হলিউড ফেইল!!!
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হ। সিগারেট খেলে অনেক ক্ষেতি হয়
কিন্তু বিড়িতে তো কোনো অসুবিধা নাই; তাই না?
একইরকমের ক্ষতি! আপনে যে পরিমাণ খান ভাবলেই আমার হালকা মাথা ধরে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধুম কইরা বিড়ি ছাইড়া দিছি। চল্লিশ দিন। খালি খাই খাই লাগে; ওজন বাইড়া গেছে কয়েক কেজি। তোমারে জানাইয়া রাখলাম। উলটা সিধা কিছু হইলে কিন্তু তুমি দায়ী
মন শক্ত কইরা বিড়ি থেইকা দূরে থাকেন।
বিড়ি ছাড়ার কারণে কয়েক কেজি ওজন বাইড়া গেছে? ক্যামনে? এত্ত খাই খাই লাগে?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
চুরুট বা পাইপে নিশ্চয়ই সমস্যা নেই!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চমৎকার লেখা, জরুরী লেখা ।
অ্যাল্কোহল নিয়ে এরকম একটা লেখা লেখেন না। প্রাত্যহিক অ্যাল্কোহল, সাপ্তাহিক অ্যাল্কোহল, মাসিক অ্যাল্কোহল, অ্যাল্কোহলের নেশা ক্যাম্নে কী করে, কট্টুক ক্ষতি করে, কট্টুক আনন্দ দেয়, কেন দেয়, নেশা হয় নাকি, হলে কেন হয় এটা নিয়ে একটা লেখা দ্যান না!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অ্যালকোহল বিষয়ে আমার জানা নেই ঠিকঠিক। আর তাছাড়া সিগারেটের কাছে অ্যালকোহল কিছুই না! ওতে তো অন্তত আশেপাশের মানুষগুলো মরেনা!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনি নিজে সিগারেট খেয়ে কাউরে মরতে দেখেছেন?
সিগারেট হইলো অমৃত, আর যে অমৃতের নামে বিষোদগার করে, সে পাপিষ্ঠ!
মরতে দেখছি, নিয়মিত। লাখে লাখে। স্রেফ ধূমপানের জন্য। সত্যি।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চমৎকার লেখা হে !
সিগারেটের ধোঁয়া আমি কোনভাবেই সহ্য করতে পারি না, তাই কেউ পাশে বসে চিমনি বনে গেলে, বিশেষ করে সেই ধোঁয়া যদি আমার নাস্রারন্ধে হানা দেয়, তখন মনে হয় সিগারেটসহ তার মালিককে এঁদো জলে চুবিয়ে রাখি মিনিট দশেক।
facebook
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পুরাই সহমত।
জীবনেও ধুমপান করি নাই।
----------------------
সুবোধ অবোধ
আমি ভালা পুলা!!
বিড়ি খাই না।
আর লেখা সেইরাম হইছে!!
---------------------
সুবোধ অবোধ
অনার্যটা যে এরকম একটা বাজে লেখা দিবে তা ভাবতেই পারি নাই ! শেষমেষ কিনা আমার উপরই হামলে পড়লো !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সরি রণ'দা। কিন্তু সত্যি কথা, কী করুম!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনার্য বাড়ি আছো ? এই পহেলা বৈশাখে তো বছর পূর্তি হয়ে গেলো রতন !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
অনেক চিন্তা-ভাবনা করে দেখলাম সিগারেট খাওয়া একটি বদঅভ্যাস ছাড়া আর কিছুই না।তাই আজকে থেকে ছেড়ে দিলাম।
.
.
.
কি হবে এসব ফালতু চিন্তা করে,তারচেয়ে বরং অন্য বিষয় নিয়ে চিন্তা করি আর সুখটান দেই।কারন আমি সিগারেট ছাড়া চিন্তা করতেই পারি না।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কী সুন্দর করে লিখলেন ভাইয়া! বিজ্ঞানের লেখা আমার মত অ-বিজ্ঞান ছাত্রদের জন্য এমন মজা করেই লেখা উচিৎ। আর এমন মজা করে বললে আমি হয়ত বিজ্ঞানেই থেকে যেতাম কলেজে এসেও!
যারা ধূমপান করে তাঁরা এইসব পড়েও বলবে আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান!
লেখায় পাঁচ তারা
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সিগারেট ছাড়ার মত সহজ কাজ আর নেই - আমিই কতবার ছাড়লাম!!
আহা, সত্যিই ছাড়তাম যদি!!
-প্রোফেসর হিজিবিজবিজ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ফিল্টার টিপড্ এবং ফিল্টার ছাড়া- কোন্ ধরণের সিগারেটে এই ৭ হাজার রাসায়নিক থাকে?
বেনসন সিগারেটে নাকি খুব উন্নতমানের ফিল্টার ব্যবহার করা হয়। ইদানিং দেখি সেই ফিল্টারের পাছায় কেউ কেউ একষ্ট্রা ফিল্টার লাগিয়ে নেয়। তো ফিল্টারগুলো কি ৭ হাজার রাসায়নিকের মধ্যে কয়েক হাজার আটকে দিতে পারে না?
উন্নতমানের ফিল্টার ইত্যাদি কথাবার্তা হচ্ছে ব্যবসায়ীক চালাকি। ফিল্টার বরং ধোঁয়ার সঙ্গে অক্সিজেন মিশতে দেয়না। তাতে ক্ষতি আরো বেশী হয়! কিছু কিছু ফিল্টারে খানিকটা আলকাতরা আটকে ফেলে আর খানিকটা নিকোটিন ( ফিল্টারে দেখবেন, খয়েরি/কালো আঠালো পদার্থ)। কিন্তু সিগারেটকে ক্ষতিহীন করবে এমন কোনো ফিল্টার নেই।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তাও খামু
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ওকে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
@অনার্য দা, দারুণ লেখা
একটা ব্যাপার, শব্দটা হবে ধূমপান,
ধুমপাননয়।ধন্যবাদ। বানান জানা ছিলনা। ঠিক করলাম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সিগারেট ছাড়ার মত সহজ কাজ আর নেই - আমিই কতবার ছাড়লাম!!
আহা, সত্যিই ছাড়তাম যদি!!
-প্রোফেসর হিজিবিজবিজ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অসাধারণ লেখা। আমি আপনার সাথে একমত। তারচেও জেনে খুশি যে আপনি সিগারেট ছাড়তে পেরেছেন। আমি ছাড়তে চাই না। আমি ফাউস্টের মত শয়তানের কাছে আমার আত্মা বিক্রি করে দিয়েছি- ২৩ বছর পর শয়তান এসে আমার আত্মা নিয়ে যাবে। আমি প্রস্তুত।
তো আপনার কথায় চিড়ে ভিজবে না। আপনার কথা শুনে আমার ফেলো কমরেড স্মোকার- যাঁরা হতাশ হয়েছেন তাদের জন্যে শয়তানের মুখপাত্র হয়ে কিছু সুসমাচার দেয় যাক।
পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে। একদল ধুমপায়ী আরেকদল হল শাক-সব্জি। একদল লোক ধূমপান করে, আরেকদল কিছুই করেনা। (সচেতন যে আমার কথা ফ্যাসিস্ট হচ্ছে, কিন্তু খলের তো যুক্তির অভাব নেই)।
সিগারেটই একমাত্র বস্তু যা কিনা প্রায় সবকিছুরই নিকটতম বিকল্প। প্রেমিকার হাত ধরা থেকে শুরু করে ভাত খাওয়ার বিকল্পও হতে পারে। এমনকি আপনি চুলে জেল দেয়ার বদলেও একটা ব্যানছোন খেতে পারেন। বিবাহিত পুরুষের বউ থেকে লুকিয়ে বিড়ি খাওয়া মানে একটি পরকিয়া করা।
সকল ধুমপায়ী বিড়ি-বন্ধনে আবদ্ধ, তাহারা পরস্পর ভাই-ভাই। এই মহৎ বৃহত ভাতৃত্ব অধুমপায়ীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠা পাওয়া সম্ভব না। ধুমপায়ীদেরর এই প্রতিষ্ঠান পৃথিবীর সব চেয়ে বড় ব্রাদারহুড প্রতিষ্ঠান। নিকারাগুয়ার আলেন্দেকে ধূমপান পঞ্চগড়ের আকালুর সাথে মেলাতে পারে। ধূমপান মানে শুধুই ধূমপান নয়, ধুমপান একটা দর্শন। যেসকল ধুমপায়ী ব্যাক্তি ধুমপান ছেড়ে দেয়, তাদের মত প্রতারক আর হয় না।
সিগারেট কোন জড়-বস্তু নহে, সে একটি সত্ত্বা। ধূমপান সবচাইতে সহজলভ্য অ্যাডভেঞ্চার। আর কোনভাবেই এত কমদামে মৃত্যুর এত কাছাকাছি যাওয়া যায় না।
(ডিস্ক্লেইমারঃ এটা টোটালি ফান কমেন্ট। এইটা কোনভাবেও সিগারেটকে উৎসাহিত করা কোন কমেন্ট হসেবে বিবেচিত হবে না। আমি চাইনা কেউ সিগারেট খাওয়া শুরু করুক। আমি চাই, সিগারেটের দাম আরো বাড়ানো হোক। আমার কারণে কেউ সিগারেট খাওয়া ধরুক এমন আমি কখনোই হতে দেবনা।)
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কারণ কেউ কেউ ধূমপান না করলেও জলপান করে!
ধন্যবাদ। লিখতে চেষ্টা করব।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনি তো ভাই মহা খারাফ লোক। আগে জানলে লেখাটা পড়তাম ই না। শেষ পর্যন্ত পড়ায় ফেলছেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সত্যি কথা!!!! লেখাটা পড়তে পড়তেই মনে হচ্ছিল, একটা ধরানো দরকার। কী বিপদ!!!!!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চমৎকার লেখা
আশা করছি অন্ততঃ একটি হলেও বোকা পাঠক আপনি পাবেন যার চিঁড়ে আপনার কথাতেই ভিজে যাবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আসলেই ধূমপান তেমন ক্ষতিকর নয়। এটার উপর বিরাট বিজনেস বেঁচে বর্তে আছে। যুদ্ধাস্ত্র শিল্পও অনেক মানুষের পেটের ভাত যোগায়। যাউগ্গা আমি নিজে অধূমপায়ী। ধোঁয়ায় বিশ্রী লাগে।
বসুনিয়া স্যার বলতেন; ধূমপান করলে ক্যান্সার হয়ে মরে, আর না করলে ডায়াবেটিসে মরে। (মরা তথা অসুখে মরা যেহেতু এঁড়ানো যাবে না) আমি ক্যান্সার হয়েই মরবো।
কলিগের কাহিনীটা আরো ভালো। সিগারেটের গন্ধে বমি আসে। তিন সিট সামনের যাত্রীকে সেটা বলে আসার পরও উনি নির্বিকার (নোয়াখালি টু ঢাকা)। উনি গিয়ে উক্ত যাত্রীর পাশেই বাসের মেঝেতে কাজটি করে এসেছিলেন।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
জরুরি লেখা।
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কিন্তু ধূমপান ছাড়ি কেমনে!!!!
আমি জানিনা। চেষ্টা করা সম্ভবত একটা উপায় হতে পারে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কীভাবে পারলি এরকম নোংরা একটা লেখা লিখতে? একসাথে বইসা কম সিগারেট তো আর খাই নাই। সিগারেটের মতো অমৃত না থাকলে কি ওইরকম আড্ডাগুলা হইতো আমাদের? আর আজকে তুই সেই সিগারেটের পিঠেই ছুরি মারলি!
অন আ সিরিয়াস নোট: খুবই ভালো বিষয় নিয়ে লেখা, এবং দরকারি লেখা। আমি জানি যারা ধূমপানের দাসত্ব মেনে নিয়েছেন, তাদের ফেরার পথটা কঠিন। কিন্তু যারা এখনো ধূমপান শুরু করেননি, তাদের জন্য এই লেখাটা খুব বেশি জরুরী। বাইরে আসার পর প্রথম দিকে, দেশ থাকা আনা সিগারেট দিয়েই চলতো। কিন্তু ওই চালান শেষ হয়ে যাওয়ার পর, সিগারেটের চড়া দামের কারণে খাওয়া বন্ধ করে দিলাম। শুরুতে ভয়াবহ খারাপ লাগতো। বিশেষ করে দুপুর কিংবা রাতে খাওয়ার পর সিগারেটে একটা টান না দিতে পারার, কিংবা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ল্যাবের থেকে বের হয়ে একটা সিগারেট না ধরাইতে পারার যন্ত্রণা যে কী ভয়াবহ, সেইটা তুই অন্তত বুঝস। প্রথম দিকে ভাবতাম, আর পারবো না! কিন্তু কয়দিন পর অবাক হয়ে দেখলাম, অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
অস্ট্রেলিয়ান একটা বেনসনের প্যাকেট গিফট পাইসিলাম অনেক আগে- ওইটার প্যাকেটের গায়ে ধূমপায়ীর ফুসফুসের বীভৎস ছবি দেওয়া থাকতো। ওইটা দেখে সিরিয়াস ভয় লাগতো। এরকম ছবি দিলে লোকজনের মধ্যে একটু ভয়টা বাড়তে পারে। তবে ধূমপান ছাড়ার খুব ভালো একটা বুদ্ধি হতে পারে, নিয়মিত বিরতিতে কোনো ক্যান্সার স্পেশালিস্টের চেম্বারের সামনে ওয়েটিং রুমে বসে থাকা। মৃত্যু পরোয়ানা স্বাক্ষর হয়ে যাওয়া ফুসফুসের ক্যান্সারের রোগীর শূন্য দৃষ্টির দিকে তাকাইলে আসলেই সিগারেট খাওয়া সম্ভব না। অন্তত আমি, এই অভিজ্ঞতার কারণে মাস খানেক সিগারেট থেকে দূরে ছিলাম।
যাই হোক, লেখা উমদা হইছে। দেশে যদি কখনো দেখা হয়, কোঞ্চিপাতে একলগে বিড়িতে দুইটা টান দিতে দিতে গল্প করতে চাই এই ব্যাপারে
অট: একটা অংশ যোগ করতে ভুলে গেছিলাম। অনেক আগে, একটা ইন্টারনেট ভিত্তিক ফোরামের গেট টু গেদারে ছিলাম আমি আর খেঁকশিয়াল। দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষে রেস্টুরেন্টের সামনে খোলা জায়গায় যায়া দুইজন বিড়ি ধরানোর পর দেখি, পঙ্গপালের মতো পোলাপান আসতেছে বিড়ি খাইতে। তখন খেঁকশিয়াল আফসোস কইরা বলছিলেন যে, বাংলাদেশে আজকাল এতো পোলাপান সিগারেট খায়... যদি সিগারেট এতো লোক না খাইতো তাইলে হয়তো অস্বস্তি আর লজ্জাতে পইড়া হইলেও আমরা সিগারেট খাওয়া বন্ধ করতাম বা কমাইতাম।
ব্যাপারটা আসলেই খুব অ্যালার্মিং লাগে। সবাই সিগারেট খায়। এরকম হওয়ার কথা ছিলো না
অলমিতি বিস্তারেণ
খুবই আত্মগ্লানিতে ভুগতেছি কঞ্চিপার কথা মনে করে
সিগারেটের "নিড' চলে গেলে একটা পুরনো টান ছাড়া আর কিছু থাকেনা। এড়ায় চলা যায়।
এবং তুই ঠিক বলছস। সবাই সিগারেট খায়। যে খায়না তাকে সবাই অবাক হয়ে দেখে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
যিনি নিয়মিত ধূমপান করেন তিনি যদি ধোঁয়া ফুসফুসে টেনে না নিয়ে জাস্ট পাফ্ করেই ছেড়ে দেন
তাহলেও কী একই মাত্রার ক্ষতির সম্ভাবনা? ধূমপানের ক্ষেত্রে আপনার ডোপামিন অনাসক্তি বাকীজীবন পর্যন্ত
স্হায়ী হোক, শুভকামনা।
না। দুইক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ সমান নয়। কিন্তু দুটোই ক্ষতিকর। নিকোটিন এবং অন্যান্য অনেক ক্ষতিকর পদার্থ শ্লেষ্ণা ঝিল্লী দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। মুখের ভেতর তামাক রেখে দিয়েও তামাক সেবনের পন্থা রয়েছে কিন্তু। সেই পদ্ধতিতেও অসংখ্য মানুষ তামাক খান। বলে রাখি, মুখ এবং গলার ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হচ্ছে ধূমপান।
আমার জানামতে ধোঁয়া ফুসফুসে না নিয়ে কেউ ধূমপান করতে পারেন না। কারণ তাতে নিকোটিনের অভাব পূরণ হয়না। যিনি প্রথমবার সিগারেট খাচ্ছেন তিনি হয়তো ওভাবে শুরু করেন। কিন্তু অচিরেই তিনিও ধোঁয়া ফুসফুসে নেয়া শিখে ফেলেন।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এই লেখা ছেপে ফটোকপি করে স্কুল-কলেজের পোলাপানকে দিতে পারলে ভালো লাগতো!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
বরাবরের মত ভালো লেগেছে
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সিগারেট ছেড়ে দেওয়া মনে হয় খুব সহজ একটা কাজ, প্রতিদিন একবার নিয়ম করে ছেড়ে দেওয়া যায়।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সিগারেটখোর দুই চক্ষে দেখতে পারি না। কিন্তু স্বপ্নে মাঝে মধ্যেই দেখি কষে টান দিচ্ছি, খুবই আজব ঘটনা কারণ জীবনে কৌতুহলের বশেও সিগারেট ছুয়ে দেখিনি।
এই লাইনটা
পড়ে মনে হইলো গাড়ির জায়গায় "নারী" চরিত্র হইলে আরও ভালো তুলনা হইত।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
নষ্ট করা বলতে যদি ক্ষতি করা বুঝিয়ে থাকেন তাহলে হয়তো
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অভিনন্দন।
চমত্কার একটা লেখার জন্য ধন্যবাদ।
কোন একদিন
আমাদের ইস্কুল কলেজের বিজ্ঞান ভিত্তিক লেখাগুলো এমনটাই সহজবোধ্য ও কৌতুহল উদ্দিপক হয়ে উঠবে,
এই কামনাই করি। ভালো থাকুন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অনেক সুন্দর ভাবে তথ্যবহুল একটা লেখা গুছিয়ে লিখেছেন ! নিকোটিন যে একটি কারসিনোজেন তাতে সন্দেহ নেই । কিন্তু মারাত্নক ব্যপার হল নিকোটিন কারসিনোজেন হিসেবে খুবই উতকৃষ্ট ! এটি একাধারে ইনিশিএটর এবং প্রমোটর হিসেবে কাজ করে ! সাধারণত ক্যান্সার হওয়ার জন্য এই দুটি জিনিসের একটি সিকুয়েন্সিয়াল প্রয়োগ দরকার আছে ! যেমন , আগে কিছু দিন ইনিশিওয়টর কাজ করবে তারপর প্রমোটর কাজ করবে ! কিন্তু মাঝখানে কোন গ্যাপ থাকলে হবে না ! যেহেতু নিকোটিন একই সাথে দুটাই তাই ক্যান্সারের সম্ভবনা কতটুকু তা সহজেই অনুমেয় !
ভালো থাকবেন !!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনি।
ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ্যসুচিতে এই ধরণের সহজপাঠ্য রচনা থাকা উচিত! ধূমপান থেকে দূরে থাকার ওটাই সর্বোত্তম বয়সশ্রেণী।
.....জিপসি
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধূমপায়ীদের জন্য ভয়াবহ চিত্রকল্প।
কিন্তু বাংলাদেশে অন্যান্য খাতে মৃত্যু সম্ভাবনা এত বেশী যে ধূমপানে মৃত্যুসম্ভাবনার রেটিং আমার কাছে কমই মনে হয়।
আপনার কাছে অনুরোধ, যানবাহনের ধোঁয়ার উপর এই জাতীয় একটা লেখা দেন। কারন অধুমপায়ীরা তামাকের চেয়েও এই খাতে বহুগুন বেশী ক্ষতিগ্রস্থ। কিন্তু সরকার বা এনজিও বা স্বাস্থ্যকর্মীরা এই বিষয়ে উদাসীন দেখা যায়। আমার চেনা একাধিক মানুষ ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন যারা জীবনে বিড়িতে একটা ফুক দেননি। আবার এমনও আছে যিনি ৬০ বছর অবিরাম ধুমপান করেও মারা গেছেন জণ্ডিস হয়ে। আমার ধারণা ফুসফুসে ক্যান্সারের জন্য কলকারখানা যানবাহনের বিষাক্ত ধোঁয়াও অন্যতম কারণ হতে পারে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লিখতে চেষ্টা করব এই প্রসঙ্গে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভাবী তাহলে সিগারেট ছাড়াইসে শেষমেষ?
লেখা বরাবরের মতনই সুখপাঠ্য।
ধূমপায়ীদের জন্য সবচেয়ে বিব্রতকর প্রশ্ন - তুমি আমাকে চাও নাকি সিগারেটকে?
সঠিক উত্তরদাতাকে অবশ্যই ধূমপান ছাড়তে হয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হ। ভাবীর জন্য জীবন দিয়ে দেতে পারি :/
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শিরোনাম ভালো, কন্টেন্ট যা তা
মাকাল ফল টাইপ।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
একজন মা জানতে চেয়েছিলেন, সিগারেট খেলে কি মানুষ মারা যায়?!
ছেলের ধূমপানের সমর্থনে এই সাফাই গাওয়া ছেলের বৌ এর কাছে। এই লেখাটা সেই মায়ের ভাল লাগত। তবে প্রথম চারটে প্যারা।
হ্যাঁ। সিগারেট খেলে মানুষ মারা যায়।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
রোজা রেখে এই লেখা পড়া খুব কঠিন!!
লোভ, সুখটান, শেষটান কি কি সব কথা যে লিখছেন !!!
আপনে একটা অদ্ভুত
দেহাইলেন মুরগী, খাওয়াইলেন ডাইল
সিগারেট খাইলে 'ক্যান্সার' হয়। কইলেন। মানলাম। কিন্তু সিগারেট খাইলে যে 'পারকিনসন' হয়না তাতো কইলেন না?
ক্যান্সার হইলে মানুষ-জনরে অন্ততঃ কইবার পারমু যে রোগ টা কি (ভাব নিয়ে আর কি!)।
গান গাইবার পারমু----জীবনের গল্প / আছে বাকী অল্প ------
কিন্তু পারকিনসন হইলে ?
মাথা-শরীরের কাঁপাকাঁপি দেইখ্যা মানুষ নাম দিব - 'কাঁপাইন্যা বুড়া'।
ইজ্জতের ফালুদা হইয়া যাইবো।
তাই, সিগারেট? বিলকুল ছাড়বো না, কভি নেহি, নেভার।
--------------------------------------------------
কিন্তু, আপনার লেখার নীচে ব্র্যাকেট বন্দী করে যে কথাগুলো লিখেছেন তা সত্যি আমাকে ভাবাচ্ছে। এই অস্থির সময়ে এতো কিছু মেনে নিতে পারছি, আর সামান্য 'ডোপামিন' এর যাতনা সহ্য করা যাবেনা? নিশ্চয়ই যাবে। যেতে হবেই। আমাকে সন্তানদের জন্য পারতেই হবে।
--------------------------------------------------
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা অনার্য।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
একটি তথ্য খুব অবাক করল, ধূমপানে পারকিনসন্স হয় না। এই তথ্যটি কোথায় পেয়েছেন?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
হুমায়ুন আহ্মেদের স্মৃতিচারণমূলক লেখায় পেয়েছি। উনার লেখায় তথ্যটি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর মুখ থেকে নেয়া বলে উল্লেখ ছিলো।
এছাড়া আমার কাছে এই তথ্যের আর কোন সূত্র নেই বস্।
ভালো থাকবেন।
----------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
ভাই এইটা কি হইল? এমন প্রতারনার মানে কি? তবে জেনে ভাল লাগলো, জানা থাকা ভালো। মাথায় জট লাইগা গেছে। যাই একটা সিগারেট খাইয়া আসি।
স্বয়ম
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দুর্ধর্ষ লেখা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
থ্যাঙ্কু নজুভাই
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সিগারেট ছাড়ার কি কোন চিকিৎসা আছে ?
আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এখানে মাঝে মাঝে দেখি মা প্র্যাম ঠেলে ঠেলে সিগারেট খাচ্ছেন।
ইচ্ছা করে ঠাশ ঠাশ করে দুটো থাপ্পড় লাগাই
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
সিরিয়াসলি, এদের নামে শিশু নির্যাতন মামলা করা উচিত!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দুবছর ধুমপান থেকে দূরে থাকার জন্য । লেখাটির জন্য।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সিগারেট টানার সাথে কোন 'বিশেষ জবের' মিল আছে?
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ জাহিদ ভাই
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সবচে ভাল অস্ত্র হইলো রিভার্স সাইকোলজি!
এইজন্য কেউ যদি আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করে হাই হিল পরলে সমস্যা হবে কি না, আমি বলি সমস্যা হবে না। (মনে মনে বলি, কয়দিন পরে হাইহিল পরে পায়ে কোমরে ব্যথা হলে তো আমার কাছেই আসবে মুহুহুহুহুহু আর এর মানে হইলো টাকা টাকা টাকা টাকা টাকা
কি খারাপ একটা লোক আমি
বাইদ্যওয়ে, দারুন একটা লেখা । ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ তে কি আশা করতে পারি কিছু?
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ফেব্রুয়ারি ২০১৪তে ভ্যালেন্টাইন ডে। আগে থেকে বান্ধবী জোগাড় করতে হবে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
শিরোনাম দেখে মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পড়ে মজা পেয়েছি। সমস্যা হলো যারা ধূমপায়ী তারা কোনো কিছুতেই এটা ত্যাগ করবে না, যতদিন না নিজে থেকে ইচ্ছে না করে।
সকল ধূমপায়ীর ধূমপান ত্যাগের ইচ্ছে হোক এই কামনা করি।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এই লেখার জন্য।
ভীতিকর লেখা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ধুম্র শলাকায় অগ্নি প্রজ্বলিত করিয়া সুখটান দেওয়া যাহাদের স্বভাব, যতপ্রকারেই উহাদের ভয়ভীতির উদ্রেক করাইবার চেষ্টা লওয়া হউক না কেন, উহারা পুনর্বার সুখটান দিবেই।
সিগারেট তো নয়, যেন খারাপ জিনিসের হোলসেলার...
লেখা ভাল লাগল...
খুব ভাল লাগল। যদিও ধুমপান ছাড়ছি না।
দেখতে আসলাম কি আর দেখলাম কি!
প্রয়োজনীয় লেখা নতুনদের জন্যে, পুরোনো রা মনে হয়না এমন ক্ষতির বৈজ্ঞানিক ব্যাখার পরও ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি বলে সিগেরেট ছিঁড়ে দিবে। নিকোটিনের স্বাদ একবার যার অনুভূতি কিংবা শরীর পেয়ে যায় তা থেকে ফেরা অসাধ্যপ্রায়। তবু আশা রাখি কেউ কেউতো ছাড়বে, যদিও একজনও ছাড়ে সেটাই অনেক বড় সফলতা লেখাটির।
পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় এই সুগন্ধময় খাদ্যের(সিগারেটের ?) আমি কখনো সহ্য করতে পারিনা, আমার সামনে কেউ খেলে সেটাও সহ্য করতে পারি না, সামনা সামনি না পারলেও মনে মনে গালি দিতে ভুল করিনা।
মাসুদ সজীব
ধুমপান বাদ
সিগারেট ছাড়া প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার! ছয় বছর না খেয়ে (একদম নো টাচ) আবার যে হারে শুরু হয়েছে এর চেয়ে কন্টিনিউ খেলেও এত খেতাম না!
আমার হাঁপানি লক্ষণ দেখা না দেওয়া পর্যন্ত ধূমপান পুরোপুরি ছাড়তে পারিনি । তারপরও ছাড়তে কষ্ট হয়েছে, সিগারেট টানলে শ্বাসকষ্ট, না টানলে মনঃকষ্ট। এই দুইয়ের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে বহু বছর। তারপর ব্র্যান্ড চেঞ্জ, সংখ্যা কমানো, মনের জোর এইসব খাটিয়ে পরিশেষে মুক্তি। আমি দেখেছি ছাড়ার অন্তত দুবছর পর্যন্ত সিগারেটের ধোয়ার জন্য মন হঠাৎ টান লাগতো। তবে সেটা প্রবল নয়। প্রবল নেশা চাগিয়ে ওঠার অনুভূতিটা প্রথম এক সপ্তাহ কি এক মাসের মধ্যে চলে যায়। তারপর মানসিক চাপ থেকে দুরে থাকতে পারলে (যদিও সেটা প্রায় অসম্ভব) সিগারেট টানার ইচ্ছেটা সেভাবে মনকে আচ্ছন্ন করতে পারে না।
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
নতুন মন্তব্য করুন