সশস্ত্রবাহিনী কোনো রাজনৈতিক পক্ষ নয়

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: শুক্র, ২২/১১/২০১৩ - ৮:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(১)
বাংলাদেশের সবচে বড় দূর্ভাগ্যগুলোর একটি হচ্ছে এই দেশের সেনাশাসন।

আমি জলপাই বলছি !

স্বাধীনতার চারবছরের মাথায় এই রাষ্ট্রের স্থপতি খুন হলেন। গুলি করে মারা হল তাঁর পরিবারের সম্ভব সকল সদস্যকে। ১০ বছরের রাসেল খুন হলেন। তারপর জেলের ভেতরে গুলি করে খুন করা হলো জাতীয় চারনেতাকে। যারা গুলি করল তারা জাতীয় চার নেতার পায়ের ধুলির যোগ্যও নন। তাদের শতপুরুষের কেউ কখনো হয়ে উঠবে না। কিন্তু কেবল বন্দুকের বলে কী অসামান্য সর্বনাশ করে দিল তারা এই দেশটির!

আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, বাঙালি হিসেবে আমি সবচে বেশি লজ্জিত কোন ঘটনায়, তাহলে আমি বলব এই দুটি ঘটনার কথা। নিজের দেশের স্থপতিকে হত্যা করার জন্য, নিজের দেশের মানচিত্র তৈরির সেরা চার কারিগরকে হত্যা করার জন্য যতটা বেঈমান হতে হয়, সেরকম বেঈমান কোন জাতির অংশ হতে আমার লজ্জা লাগে!

সবার নিশ্চয়ই জানা যে বাংলাদেশের আরো নানারকম সমস্যা রয়েছে। এইসব সমস্যার কথা আমি নিয়মিত শুনি, দেখি। কিন্তু বেশিরভাগক্ষেত্রেই এসব সসমস্যাকে যৌক্তিকভাবে আমি পাত্তা দিতে পারিনা! আমরা সচারচর আমাদের ইতিহাস বিবেচনা করিনা। মানচিত্রে একচিমটি এই দেশের কী কী ক্ষমতা রয়েছে সেইটা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়।

বাংলাদেশের যে ভূখণ্ড আর সেই ভূখণ্ডে যতো মানুষ বাস করে সেইটা বাকি পৃথিবীর হিসেবে (বেশিরভাগ দেশের মানুষের কাছে) একটা বিস্ময়। বাদামের খোসার মতো একটা দেশে ১৬ কোটি মানুষ বাস করে আর সেই মানুষেরা এখনো সবাই মরে যায়নি সেইটা কীভাবে সম্ভব তা উন্নত দেশের মানুষদেরকে বুঝিয়ে বলা কঠিন। এইটুকু ভূখণ্ডে আমরা ১৬ কোটি মানুষ খেয়ে বেঁচে থাকি। এই দেশের প্রতিটি শিশু শিক্ষা পায় বিনামূল্যে তো বটেই, বরং উল্টো তাদেরকে খাবার আর টাকা দেয়া হয় শিক্ষা গ্রহন করলে। যাঁদের জানা নেই, তাঁদেরকে জানিয়ে রাখি, খুব কম উন্নত রাষ্ট্রই তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশের মতো মূল্যে শিক্ষার সেবা পৌঁছে দিতে পারে। বড় বড় মাতবর রাষ্ট্রেরা তাদের নাগরিকদের সঙ্গে শিক্ষার ব্যবসা করে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা সেবা পেতে মাসে মাসে টাকা দিতে হয়না। রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা (সে এতগুলো মানুষের জন্য অপ্রতুল হলেও) পাওয়া যায় হাস্যকর রকমের কম মূল্যে।

বাংলাদেশের বড় বড় সমস্যা রয়েছে। এই দেশের মানুষেরা সম্ভব হলেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। ভিনদেশে গিয়ে খেটে মরে। খেটে খেটে কী করে? এই দেশটির রোজগারের বড় উৎসগুলোর একটি হচ্ছে দেশের মায়া ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া এইসব খেটে মরা বোকারা। লাখে লাখে মানুষ দেশ ছেড়ে গিয়ে দেশটাকে আরেকটু বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহনকে অন্যায় মনে করা হেফাজতে ইসলামের মতো মৌলবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়তে থাকা এই রাষ্ট্রটির সবচে বড় রোজগারের অন্য উৎসটি হচ্ছে তৈরি পোশাকশিল্প। যেই পোশাক তৈরি হয়ে দারুণ পরিশ্রমী নারী-পুরুষের হাতে। যাঁরা সমাজের সবচে নিচের স্তরে বাস করেন।

ভৌগলিক ভাবে নানান সমস্যায় ভোগা অঞ্চলের ভূখণ্ড এটি। ঝড়-বন্যা হয় প্রতিবছর। বাংলাদেশে হওয়া মাঝারি ধরনের একটা বন্যা যদি উন্নত বিশ্বের কোন একটিতে হয় তাহলে তারা নরক দেখে ফেলবে। বেশিরভাগ দেশেই প্রশাসন ভেঙে পড়ার একটা সম্ভাবণা উড়িয়ে দেয়া যায়না। কিন্তু বাংলাদেশে আমরা ঠিক এইসব প্রাকৃতিক দূর্যোগ পাত্তা দেইনা। ঝড় বন্যার মাঝে, এইটুকু জমিতে, এতগুলো মানুষ আমরা, তার উপর আছে মানুষের সন্মান না জানা হেফাজত শফির মতো উৎপাত! তারপরও এই দেশটি তার সমপর্যায়ের দেশগুলোর তুলনায় যুগ যুগ এগিয়ে আছে। বাংলাদেশ আজকে যে অবস্থানে রয়েছে সেই অবস্থানে আসার জন্য এইদেশের সব মানুষকে অসাধারণ হতে হয়েছে। তা না হলে এই দেশটি টিকে থাকতো না!

কিন্তু কেউ যদি বলে এই দেশটি স্বাধীনতার প্রায় অর্ধেকটা সময় সশস্ত্রবাহিনী দিয়ে শাসিত হয়েছে, তখন সেই লজ্জা ঢাকবার উপায় কী? রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের এই পরাজয় আমরা কীভাবে লুকোব?

বাংলাদেশের সবচে বেদনার এবং সবচে বড় দূর্ভাগ্যের ঘটনাগুলোর সঙ্গে সশস্ত্রবাহিনীর একটা সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের সবচে বেশি ক্ষতি হয়েছে যে ঘটনাগুলোতে, একেবারে শুরুর দিকের সেসব ঘটনায় সশস্ত্রবাহিনীর প্রত্যক্ষ অংশ রয়েছে। একটা দেশের চাষাভুষো মানুষেরা যখন কাদামাটি থেকে উঠে এসে একটা প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে জিতে যায়, তখন সেই দেশের মানুষদেরকে থামিয়ে রাখার আর কোন উপায় থাকেনা। থাকার কথা নয়। কিন্তু বাংলাদেশের ছিল। বাংলাদেশকে থামিয়ে দিল এই দেশেরই সশস্ত্রবাহিনী! যেই বাহিনীর উপর দেশ রক্ষার ভার দিয়ে অস্ত্রফেলে নিশ্চিন্ত হয়েছিল যুদ্ধফেরত চাষাভুষোর দল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী চারবছরের মাথায় দেশের শাসন ক্ষমতা দখল করে এই দেশের সশস্ত্রবাহিনী। ইতর বদলে বদলে সেই ক্ষমতা বন্দুকের ডগাতেই থেকে যায় পরের প্রায় পনের বছর। গণতন্ত্র একটি পরীক্ষিত পদ্ধতি। কিন্তু এটাও সকল স্বাভাবিক জ্ঞানবুদ্ধির মানুষেরা জানেন যে, গণতন্ত্রকে ধারণ করার জন্য এই প্রক্রিয়ার চর্চা করা যেকোন নতুন জাতিকেই খানিকটা সময় পার করতে হতে পারে। গণতন্ত্র একেবারেই সরাসরি সাধারণের উপর ভর করে টিকে থাকে। আর সাধারণ রাতারাতি গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠেনা। গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠার জন্য যে শিক্ষা এবং মননের প্রয়োজন সেসব সবখানে ঠিকঠিক ছড়িয়ে যেতেও খানিকটা সময়ের প্রয়োজন। সেইজন্য কোন নতুন জাতির গণতন্ত্রের রাস্তা যদি খুব ফুলেফুলে ছাওয়া না-ও হয়ে থাকে তাহলেও সেটা বিশেষ আতঙ্কের কোন বিষয় নয়। সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গণতন্ত্রকে ধারণ করে পূর্ণ সভ্য হয়ে উঠতে ভয়াবহ সব সময় পার করেছে। সেইজন্য গণতন্ত্রে খানিকটা টানাপোড়েন যে আমাদেরকে সহ্য করতে হবে সেটা আমরা জানি। সেই টানাপোড়েনকে আমরা কমিয়ে আনতে চেষ্টা করি, অস্বীকার করিনা।

কিন্তু আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে উপযুক্ত হয়ে উঠতে দিলাম না। স্বাধীনতার পরেরমুহূর্তেই সেনাশাসনের ছায়ায় বাংলাদেশের বুদ্ধিমত্তা আর মানবিকতার বিকাশে একটা দাঁড়ি পড়ে গেল। আমরা দুটো বিষয় শিখে গেলাম। প্রথমত, সেনাশাসনেও বেঁচে থাকা যায়। এবং দ্বিতীয়ত, পাড়ার মোড়ে উঠতি যুবকের লম্বা চুল জনসমক্ষে কেটে দিয়ে জাতিকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার ত্বরিৎ পদ্ধতি থাকে নির্বোধ অহংকারে পুড়ে মরা বন্দুকওয়ালাদের কাছে!

দীর্ঘ সেনাশাসনের সবচে বড় সর্বনাশ হল আমাদের বোধের। আমরা সাধারণ মানুষেরা সত্যি সত্যি গণতন্ত্র কী জিনিস সেইটা বুঝতে মোটামুটি অক্ষম হয়ে উঠলাম। ফ্রি হিসেবে বিশ্ববেহায়া সাহেবের নয় বছরের শাসনে আমরা শিখে গেলাম দূর্নীতি কীভাবে করতে হয়। এই দেশের মানুষেরা এই সময়ে বুঝে গেল দেশটা তাদের আপন কেউ নয়। দেশ তাদের অস্তিত্বের কোন অংশ নয়। বরং দেশটাকে নিংড়ে যতটুকু পারা যায় নিজে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করাই ভালো।

নানান সংগ্রাম করে দেশে গণতন্ত্র ফিরল। নব্য গণতন্ত্রে টানা পোড়েন থাকে, থাকবেই। কিন্তু দেড়যুগের মাথায় আবার ব্যারাক থেকে অস্ত্র নিয়ে হাজির হলো জলপাই। পাঁচ বছর হয়েছে এখনো এই দূর্ভাগ্য পেরোনর পর? ইতিহাস পাঠের ব্লগ এটি নয়। ইতিহাস আমার নখদর্পণেও নয়। কিন্তু নিতান্ত বাধ্য হয়েই ইতিহাস পাঠ দিতে হল। স্বাধীনতার পরের প্রায় অর্ধেকটা সময় যে এই দেশটাকে এই দেশেরই সশ্রস্ত্রবাহিনী বন্দুকের ডগায় শাসন করেছে সেই নিতান্ত লজ্জার কথাটা মনে করিয়ে দেয়ার দরকার ছিল।

(২)
সম্ভবত ভয়াবহ রকমের অশিক্ষা আর নির্বুদ্ধিতার জন্যে এই দেশের কিছু কিছু সেনাকর্মকর্তার কখনো কখনো মনে হতে থাকে যে, দেশটা ঠিকঠাক চলছে না। এবং দেশটাকে "লাইনে' আনার জন্যে বন্দুক নিয়ে তাদেরকে মাঠে নামতে হবে। অথবা হয়তো, এই দেশের কোন কোন সেনাকর্মকর্তা ভালো রকমের রাজনীতি সচেতন। রাজনীতি তাদের হাঁটুর ভার ক্রমশ বাড়িয়ে দিতে থাকে বলেই তারা রাজনীতিতে অংশ নিতে চায়। তারা বুঝতে ব্যর্থ হয় সশস্ত্রবাহিনীর কাজ রাষ্ট্রপরিচালনা করা নয়। রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য সশস্ত্রবাহিনী গঠিত হয়না। কেবল একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রই সশস্ত্রবাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। এবং বিশ্বের রাজনীতিতে খুব খোলামেলা একটি বিষয় হচ্ছে বৈশ্বিক মোড়লেরা দূর্বল রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে সেই দেশেরই সশস্ত্রবাহিনীর মাধ্যমে!

সশস্ত্রবাহিনী রাষ্ট্রের অংশ। এবং সশস্ত্রবাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। মজার বিষয় হচ্ছে, দরিদ্র দেশগুলিতে রাষ্ট্রের উন্নয়নে কোন অবদান না রেখেও সবচে বেশি রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ করা সশস্ত্রবাহিনী পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সরকারকেই। আমাদের দেশেও যখন এখানে সেখানে অপদার্থ রাজনীতিবিদেরা অপরদলকে পথে আনতে চেঁচিয়ে সেনাবাহিনীকে ডাকতে থাকে তখন এই নোংরা সত্যটি দেখতে পাওয়া যায়। সশস্ত্রবাহিনীর কেবল রাজনীতিতে নয়, অর্থনীতিতে (যেই অর্থনীতি সাধারণের কোন উপকারে আসেনা) আশঙ্কাজনক অংশগ্রহনও দেখা যায় সেনাপ্রভাবিত দেশগুলোতে । সশস্ত্রবাহিনীর চমৎকার সফল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দেখে একটি দেশের মেরুদণ্ড কতখানি শক্ত তার খানিকটা আঁচ পাওয়া যায়!

খুব বেশিদিন হয়নি এই দেশের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ সরাসরি বন্দুকের নল থেকে সরেছে। এবং ইতিহাস বলে যে এই সম্ভাবণা শেষ হয়ে যায়নি। এই দেশে এখনো যথেষ্ঠ নির্বোধ রয়েছে যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় সেনাবাহিনিকে দেখতে চায় অথবা সহ্য করতে চায়। আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে সশস্ত্রবাহিনীতে নির্বোধের অভাব সবচে কম। সেইজন্য যখনই দেশের রাজনীতিতে কোন টানাপোড়েন দেখা যায় তখনই তারা দেশটাকে লাইনে আনার অর্গাজমে ভুগতে থাকে।

গণতন্ত্রে টানাপোড়েন শুরু হলে দুটো বিষয় হয়,
প্রথমত, একটা অজুহাত তৈরি হয়। দেশ বেলাইনে যাচ্ছিল। দেশটাকে "লাইনে' না আনলেই চলত না।
এবং দ্বিতীয়ত, রাজশক্তির অর্গাজমিক স্বাদ নেয়ার যে খায়েশ ঠেলেঠুলে চেপে রাখা গিয়েছিল এতকাল সেটা মিটিয়ে নেয়ার একটা সুযোগ তৈরি হয়। তাতে এমনকি ভবিষ্যতেও তখতের আশেপাশে অবস্থান তৈরি হওয়ার সম্ভাবণা সৃষ্টি হয়। (বলে রাখি, বর্তমান প্রধামমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা সেনাশাসককে তখতের আশেপাশে রেখেছেন দীর্ঘদিন হয়। এই বিশ্ববেহায়া প্রাগৈতিহাসিক ভাঁড়টাকে পালার পেছনে ওনার রাজনৈতিক যুক্তি থাকতে পারে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা নূর হোসেনকে মনে রেখেছি। মৃত্যুর দিনে নূর হোসেন আপনার মিছিলে আপনার সহসঙ্গী ছিল। আমরা জয়নাল, দীপালী, জাফর, আইয়ূব, ফারুক, কাঞ্চনকে মনে রেখেছি। আমাদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে গিয়ে ট্রাকের চাকায় পিষে যাওয়া আমাদের ভাইবোনদের আমরা ভুলিনি। আমাদের দেশকে ৯ বছরে একশতাব্দী পিছিয়ে দেয়া বেহায়াটিকে রাজনৈতিক কারণের দোহাই দিয়ে আমরা ভুলতে পারব না।)

(৩)
পাঁচবছর হয়েছে আমরা সেনাশাসন থেকে বেরিয়েছি। গণতন্ত্রকে সময় না দিলে সে উপযুক্ত হবেনা, হয়না। আমাদের তাই দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। আমাদের যদি পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়, সে পরিবর্তন আসবে সাধারণের হাত ধরেই। তা সে যে পরিস্থিতিতেই হোক, যদি ব্যারাক থেকে বন্দুক নিয়ে কেউ রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে, তাহলে সেই নপুংশকটি রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হওয়া পর্যন্ত আমরা আবার পেছতে থাকব। অন্ধকারের দিকে যেতে থাকব। আবার সেই দীর্ঘ স্বপ্নশুরুর আন্দোলনে মানুষকে পথে নামতে হবে। তারপর কোন এক সময়ে ইতরটিকে ক্ষমতা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বাংলাদেশকে আবার শুরু করতে হবে শুরু থেকে। ৪০ বছর হয় আমরা স্বাধীন। কিন্তু আমাদের গণতন্ত্রের পথে যাত্রা কেবল ৫ বছরের। আর কতবার আমরা নতুন করে শুরু করব?

আমি আশা হারাই না। আমি আশা করে থাকি এই দেশের মানুষেরা খানিকটা ঝড় ঝাপটা সামলে হলেও ঠিক ঠিক গণতন্ত্রকে ধরে ফেলবে। সশস্ত্রবাহিনীকে বুদ্ধি দিতে যাওয়ার মতো কৌতুক আর হয়না। কিন্তু কোন গণতান্ত্রিক দেশের সশস্ত্রবাহিনী কোন পরিস্থিতিতেই যে সেই দেশের শাসনব্যবস্থায় কোন প্রভাব রাখেনা, রাখতে পারেনা সেই বুদ্ধিটুকু এই দেশের সশস্ত্রবাহিনীর প্রতিটি সদস্যের মাঝে তৈরি হবে আমি সেই আশা করে থাকি।

সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরাও এই দেশের সাধারণ মানুষের মতো গণতন্ত্রকে গ্রহন করবেন। বুঝতে পারবেন। এবং সেই গণতন্ত্রে যদি তাঁরা কেউ কেউ অংশ নিতে চান তাহলে খুব সাধারণ নিয়মে অস্ত্র ছেড়ে, উর্দি ছেড়ে মানুষের কাতারে দাঁড়িয়ে নির্ভরশীর হবেন মানুষের ভোটের উপর। কারণ এই দেশটির মালিক সাধারণ মানুষেরা। এই দেশের নাম তাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। আর সেজন্য যখন কেউ জনগণের নাকের সামনে অস্ত্র ঝুলিয়ে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তখন বস্তুত বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির সাংবিধানিক অস্তিত্ত্ব বিলুপ্ত হয়!

বাংলাদেশের রাজনীতিতে সশস্ত্রবাহিনী কোনো পক্ষ নয়। এই কথাটি যদি সশস্ত্রবাহিনী বুঝতে না পারে তাহলে তারা যেন মনে রাখে গণতান্ত্রিক দেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা বন্দুকওয়ালার প্রথম প্রতিপক্ষ সেই দেশের সাধারণ মানুষ। বুঝতে পারার মতো বুদ্ধিমত্তার অভাব হলেও ইতিহাস মনে রাখার মতো স্মরণশক্তি অন্তত সম্ভাব্য সেনাশাসকদের আছে বলে আমি বিশ্বাস করতে চাই।

কার্টুন: সুজন চৌধুরী/আমি জলপাই বলছি (শিল্পীর অনুমতিক্রমে প্রকাশিত)
কৃতজ্ঞতা: এস এম মাহবুব মুর্শেদ


মন্তব্য

স্পর্শ এর ছবি

বক্তব্যে চলুক
লেখায় গুরু গুরু


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপ্নে কই? খোঁজ নাই আপ্নের!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখায় চলুক

জলপাইতন্ত্রী দলটার এখন সব নেতাই প্রায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। বড় সেনা কর্মকর্তা হলেই দেখি অবসরে গেলে বড়দলটার বড় পদে অসীন। জনবিচ্ছিন্ন এই মানুষগুলি সারাজীবন ব্যারাকে কাটিয়ে কি করে সাধারণ মানুষের হয়ে উঠবে আমি ঠিক বুঝে উঠিনা। আমি ঠিক জানিনা বিশ্বে আর কোথাও অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তারা এতটা দাপটের সহিত সক্রিয় রাজনীতিতে স্থান পায় কিনা? এটা কি সেনাদের মাঝে রাজনৈতিক উৎসাহ প্রদাণ নয়, যে তোমরা এখন থেকে দল করো, তোমাদেরকে পরে পুরষ্কৃত করা হবে?

মাসুদ সজীব

আদনান এর ছবি

১/ আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের এ পর্যন্ত মোট ৪৪ জন প্রেসিডেন্ট এর মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সহ ১২ জন ব্যতীত বাকী ৩২ জনের মিলিটারী সার্ভিস রেকর্ড রয়েছে। যে ১২ জনের মিলিটারী সার্ভিস ছিলো না, তারাঃ জন এ্যাডামস, জন কিউ. এ্যাডামস, মার্টিন ভ্যান বুরেন, গ্রোভার ক্লেভল্যান্ড, উইলিয়াম এইচ. ট্যাফট, উড্রু উইলসন, ওয়ারেন জি. হার্ডিং, কেলভিন কুলিজ, হার্বার্ট হুভার, রুজভেল্ট, বিল ক্লিনটন, বারাক ওবামা।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা এবং 'মিলিটারি সার্ভিস' মিলিয়ে ফেলবেন না। এই দুটো জিনিস এক নয় হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

নানান নাগরিক সুবিধা নিতে সরকারী-বেসরকারী সিভিল জবের পাশাপাশি মিলিটারিতে রিসার্ভ হিসেবে এটাচ থাকা এবং মিলিটারিতে একটিভ ডিউটিতে থাকার মাঝে পার্থক্য আছে। আপনি যে ৩২ জনের কথা বলতেছেন তাদের এক-দুজন বাদে সবাই রিসার্ভ মেম্বার।

শব্দ পথিক
নভেম্বর ২৫, ২০১৩

এক লহমা এর ছবি

"সশস্ত্রবাহিনীর কাজ রাষ্ট্রপরিচালনা করা নয়। রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য সশস্ত্রবাহিনী গঠিত হয়না। কেবল একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রই সশস্ত্রবাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। এবং বিশ্বের রাজনীতিতে খুব খোলামেলা একটি বিষয় হচ্ছে বৈশ্বিক মোড়লেরা দূর্বল রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে সেই দেশেরই সশস্ত্রবাহিনীর মাধ্যমে!"
চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

লেখা ভালৈছে! এই সিম্পল ব্যাপারটা যদি হাঁটুদের হাঁটুতে ঢুকত!

সুজন চৌধুরী এর ছবি

"এই সিম্পল ব্যাপারটা যদি হাঁটুদের হাঁটুতে ঢুকত!" মুর্শেদ, তাইলে হাটুরা হাটু চুলকাইত বড়জোড় !

সুজন চৌধুরী এর ছবি

খুব সহজ সরল (ভাল) লেখা হৈছে, হাটু-বাহিনী এটাকে বালখিল্য ভাব্বে। এখন বালখিল্য বলতে অনার্য'দা যা বুঝেন হাটু-বাহিনীও তাই বুঝে কিনা সেই বিষয় আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

সন্দেহের কিছু নাই। ফেসবুকে দেখছিলাম দুষ্টু সচলায়তন এবং দুষ্টু অনার্য সঙ্গীতের উপর কিছু কিছু ভাইয়া গোস্বা করেছেন! দেঁতো হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

সেনা কর্মকর্তাদের দেশের হর্তাকর্তা বনে যাওয়ার ইতিহাস আমাদের বহু দিনের, বহু শতাব্দীর এই ঐতিহ্য আমরা এত সহজে ভুলি কি করে। "আমরা" বলছি এই কারনে যে সেনা কর্মকর্তারাই শুধু নয়, আমজনতা থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষিত সুশীল সমাজেরও বহু মানুষ এখনও সেই মোহের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছেন। সর্বশেষ সেনা সমর্থিত সরকারের আগমনে এ দেশের বিপুল সংখ্যক সাধারন মানুষ, সুশীল সমাজের বহু আঁতেল, আলু পত্রিকা, আই চ্যানেল, প্রমূখ মিডিয়ার উদ্বাহু উল্লাস সে ইঙ্গিতই বহন করে।

বাংলাদেশের রোজগারের প্রসঙ্গে প্রবাসী শ্রমিক এবং গারমেন্ট শ্রমিকদের ভুমিকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন, কিন্তু সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি বোধ হয় বাদ পড়ে গেছে, কৃষি। ২০০৯ সালে যখন বর্তমান লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহন করে, তখনও দেশের প্রধান খাদ্যের মোট ঘাটতি প্রায় ত্রিশ/চল্লিশ লাখ টন, এখন যেটা নেই বললেই চলে। এই বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য আমদানীতে শুধু যে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয় তাই নয়, আনুষঙ্গিক আরও নানা সমস্যা ও সঙ্কটের উদ্ভব ঘটে। সুতরাং প্রধান কৃতিত্ব অবশ্যই আমাদের কৃষক এবং তৎসংশ্লিষ্টদের।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমি আসলে মাথায় তাৎক্ষণিক যা এসেছিল সেটুকু উল্লেখ করেছি। বাংলাদেশের সফলতার পূর্ণ ফিরিস্তি দেয়া সময়ের ব্যপার। এই লেখাটার উদ্দেশ্যও সে ছিলনা।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মনি শামিম এর ছবি

অতি উৎকৃষ্ট লেখা। মনে হল যেন, আমার মনের কথাগুলি সহজভাবে আপনি বলে দিলেন। সেনা শাসন একটি অপশাসন, এটা আজ প্রমানিত সব দেশেই। আমার এক আর্জেন্টাইন বন্ধু বলেছিলেন, গণতন্ত্রের নিকৃষ্টতম রূপও সেনাতন্ত্রের চাইতে শ্রেয়। এটা আমরা বাংলাদেশের অধিবাসীরা নিশ্চয়ই হাড়ে হাড়ে টের পাই।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

গণতন্ত্রের নিকৃষ্টতম রূপও সেনাতন্ত্রের চাইতে শ্রেয়। চলুক

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সুবোধ অবোধ এর ছবি

গণতন্ত্রের নিকৃষ্টতম রূপও সেনাতন্ত্রের চাইতে শ্রেয়।

চলুক

আমরা অনেকে সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেলেও অনেকেই সেটা চামড়া চামড়াতেও পায় না!!! বরং তারা বিভিন্ন তাংফাং বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করে যে "সেনা শাসন আসলে সবাই আইন মেনে চলে!!"
তাদের আমি জিজ্ঞেস করি- ভাই লাটির গুতা খেয়ে যে আইন মেনে চলেন তা নিজে থেকে মেনে চলতে দোষ কোথায়?
বলা বাহুল্য-উত্তর পাইনা!
হাঁটু প্রেমিদের বুদ্ধিও হাঁটুতে থাকে!!!

কড়িকাঠুরে এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

দুর্ভাগ্য আরও বেড়ে যায় যখন হাঁটুপল্লীর পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করানো হয় 'রাজনৈতিক দল' এবং তারা বিপুল বিক্রমে 'রাজদণ্ডে' হাঁটু ঘষে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ঠিক বলেছেন।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সুমন চৌধুরী এর ছবি

গত আড়াই দশকে ঞলিবারেলিজমের কৃপায় জন্ম নেওয়া নতুন "উচ্চ মধ্যবিত্ত" শ্রেণী সেনা শাসনের জন‌্য দাপাইয়া গইড়াইয়া কান্তেছে ......

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

পাছায় বন্দুকের নল না ঠেকলে এরা শান্তির অনুভূতি পায়না!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কানন এর ছবি

সুস্থ রাজনৈতিক ধারা তৈরি করা গেলে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা প্রায় শুণ্য হয়ে যাবে বলে মনে করি। সেই ধারাটা তৈরি হওয়া দরকার। স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ের রাজনীতির মধ্যে যে ধারাটা ছিল- নেতারা মানুষের সাথে মিশতেন, বংশানুক্রমে পদ পেত না কেউ - পরবর্তীতে তা থেকে আমরা কেবল পিছিয়েছি। ভাল রাজনৈতিক নেতা তৈরির কারখানা- সুস্থ ছাত্র রাজনীতি, সেটা তো বিলুপ্তই হয়ে গেছে। সামনে রাজনৈতিক নেতৃত্বে যে শুণ্যতা আছে, তাতে অস্থিরতা কেবল বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে। সামরিক বাহিনীর সমালোচনার চেয়ে সেদিকে মনোযোগ দিলেই সামরিক বাহিনীর ক্ষমতায় যাওয়ার পথ রুদ্ধ হবে মনে করি। সাথে সাথে দুর্নীতির তীব্র সমস্যার সমাধান হয়ে আসবে। নয়ত, জনগণই গণতান্ত্রিক সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতায় দেখতে চাইতে পারে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এই বিষয়ে লেখাতেই বলেছি। গণতন্ত্র পরিপক্ক হতে সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশ সেই সময়টা কখনোই পায়নি!

"গণতান্ত্রিক সামরিক বাহিনী' হো হো হো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সুবোধ অবোধ এর ছবি

গণতান্ত্রিক সামরিক বাহিনী

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব চমত্কার একটা লেখা এ বেপারে কোনো সন্দেহ নাই। আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে সেনাবাহিনীর সাথে যুক্ত। তারপরেও বলব উপযুক্ত শিক্ষার অভাব এবং আপামর জনসাধারণ এর সচেতনতার অভাব-ই সেনাবাহিনী কে বার বার সাহস দিচ্ছে অযাচিত ভাবে রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করার। এ যেন কুমির এর বাচ্চা কে পড়ানোর জন্য শিয়াল কে ডেকে আনা। অতঃপর কুমির এর ছানা মরলো আর শিয়াল ও ধূর্ত বলে প্রমানিত হলো। শিয়াল তার বুদ্ধি যদি কুমির কে না পড়ানোর কাজে লাগিয়ে বাঘ তাড়ানোর কাজে লাগাত তাহলে অন্তত আমরা অনেক আগেই আন্তর্জাতিক ভাবে সক্তি শালী হতে পারতাম আরো বেশি।

শিশির অশ্রু

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনার মন্তব্য ভালো লাগলো।

বুদ্ধিমানদের সশস্ত্রহিনীতে না নেয়ার অলিখিত নিয়মটা কি বদলেছে?

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাইদ এর ছবি

লেখার সাথে সমপূর্ণ একমত। শুধু ২ টি প্রশ্ন
১) জিয়াউর রহমানের নাম নেয় কেন?? কারণ বাংলদেশের চেতনা শেষ করার কাজটি উনি শুরু করেছিলেন, জিয়াউর রহমানকে কি বেনেফিট অফ ডাউট দেয়া হচ্ছে না তাতে??
২) গণতন্ত্রের বয়স ৫ বছর হবে কেন?? ৯১,৯৬, ২০০১-এর সরকারগুলি কি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচিত হয় নি?
ভাল থাকবেন

স্যাম এর ছবি

লেখক সম্ভবত ২০০৮ এর সর্বশেষ অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

১। বিশ্ববেহায়া ছাড়া কারো কথাই আলাদা করে উল্লেখ করা হয়নি। সেনাশাসনের ইতিহাসে জিয়ার নাম প্রথম কাতারে পড়ে। কিন্তু নাম ধরে ধরে কিছু বলা লেখাটার উদ্দেশ্য ছিলনা। জিয়াকে "বেনিফিট অব ডাউট" দেয়ার কোন কারণ নেই। জিয়ার কার্যক্রম নিয়ে কারো কোন "ডাউট' নেই হাসি

২। গণতন্ত্রের বয়স ৫ বছর এইজন্য যে, ২০০৯ থেকে আমরা আবার নতুন করে শুরু করেছি।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নির্ঝর অলয় এর ছবি

অনার্য দা,
বহুদিন পর একটি ভীষণ গুরুত্বপুর্ণ ইস্যু নিয়ে আপনাকে লিখতে দেখে ভালো লাগছে।
গণতন্ত্র আমাদের অনেক হলাহলের শিকার করেছে সন্দেহ নেই, কিন্তু স্বৈরাচার যত ভালোই হোক না কেন, তা গণতন্ত্রের চেয়ে মন্দ।
কিছুদিন আগে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে যাচ্ছিলাম। ব্রীজের মোড়ে সব সময় একটা জঘন্য জ্যাম্ লেগেই থাকে। বহুক্ষণ বসে ছিলাম। হঠাৎ উলটো দিক থেকে আর্মির গাড়ি ছুটে এল। মুহূর্তেই জায়গা করে নিয়ে গাড়িগুলো জ্যাম চিরে বেড়িয়ে গেল। আমার রিকশাওয়ালা বলল, "ডান্ডার সামনে সব ঠাণ্ডা! অথচ সাধারণ মানুষগুলারে শান্তি দিব না এই ট্রাক-বাসগুলা!"

এই পরিণতির জন্য স্বৈরশাসনই দায়ী।

আরিফ_শ্রাবন এর ছবি

নামটা "বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়" হবে।

নির্ঝর অলয় এর ছবি

দুঃখিত, আমি "ময়মনসিংহে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে" লিখতে চেয়েছিলাম- অবশ্যই সেটা বা,কৃ,বি!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দীর্ঘ সেনাশাসনে দেশটার সামাজিক পরিস্থিতিই বদলে গেছে! কোথায় একাত্তরের মানুষেরা আর কোথায় আজকের বিভ্রান্ত মানুষেরা! আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

হাসিব এর ছবি

বাংলাদেশে হাঁটু, মোল্লা আর ঞলিবারেলরা সবসময় একসাথে চলেছে।

কয়েকদিন আগে নিশা দেশাই এক বৈঠক ডাকেন। নিউজটার লিংক এটা । পৃথিবীর মোড়ল হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো ছাড়াও কাদের কাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে চায় সেটা ঐ বৈঠকের হাজেরানে মজলিসদের তালিকা দেখলে বোঝা যায়।
ওখানে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা ছিলেন। বেতনভুক সাংবাদিক ছিলেন। পদাধিকার বলে ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর নেতারা ছিলেন। আরো ছিলেন কিছু লোক যারা আপাতদৃষ্টি খাতিরের সূত্রে দাওয়াত পাওয়ারা।

নিউজের হাইলাইটেড অংশগুলো পড়লে বুঝবেন আমেরিকা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে হাঁটু ও তাদের হয়ে কাজ করা সম্পাদক, ব্যবসায়িদেরও গুনে থাকে। মজার ব্যাপার হলো এই হাজেরানেদের তালিকা অনেক নিউজ এজেন্সি, পত্রিকা চেপে গিয়েছে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

নতুন কিছু তো নয়। লাঠিয়ালরা কোন সুতোয় বাঁধা, সে আর কী কোন লুকোন খবর দেঁতো হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ওমর  এর ছবি

আপনার এ লেখার মাঝামাঝি গিয়ে বাকিটুকু পড়বার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। কারণ গঠনমূলক সমালোচনা করবার মত জ্ঞান কারোর থাকলে একটা লেখার শুরুতেই কাউকে ব্যঙ্গ করে অন্তত তা সম্ভব নয়। আমারই ভুল, আপনাকে বেনিফিট অব ডাউট দিয়েছিলাম। যাই হোক, চাইলে আপনার যুক্তি খন্ডানোর অ্যাটেম্পট নেয়া যেত, কিন্তু না। আজকাল এদেশে একটা চর্চা খুব চলছে আর সেটা হলো তর্কে যে কোন মূল্যে জেতার চর্চা। ভারডিক্ট আপনি দিয়ে দিয়েছেন, এখন শুধু সেটাকে হালাল করা। কথা বাড়াবো না। যেভাবে সেনাবাহিনীকে আপনি জেনারালাইজ করলেন সেভাবেই আপনাকেউ জেনারালাইজ করি, দেখুন তো মিল পান কিনা।
সেনাবাহিনী তে যাবার ইচ্ছা এককালে আপনার ছিল, চান্স পেলেও ঐ ট্রেনিং সারভাইভ করবার মত "হাটু" আপনার ছিল কিনা সে ব্যপারে আমার সন্দেহ আছে। সেনাবাহিনী চালাতেও মাথা লাগে। হয়তবা সেটা আমাদের সমাজের বর্তমান স্মার্টনেসের সংজ্ঞা থেকে আলাদা। ওদেরও ম্যাথ আছে। সেগুলো করতে দিলে মায়ের কোলের কথা মনে পড়বে এমন ব্লগার অনেক আছে এদেশে। সমাজের আদিকাল থেকেই যোদ্ধা জাতিকে অনেকে ভুল বুঝেছে, তাদের নিয়ে কু-মন্তব্য করবার আগে যারা একবারো ভেবে দেখে না, তারা খুব সম্ভব মেরুদন্ডহীন। মাফ করবেন, অনেকটা জেনারালাইজ করে ফেললাম, এতটা করবার ইচ্ছে ছিল না। শুধু চাইবো যে, ভবিষ্যতে এভাবে পুরো সেনাবাহিনীকে একটি নাম না দিয়ে বুঝতে শিখুন যে, দেশে প্রতিটি ক্ষেত্রে হরেক রকমের লোক আছে। আর স্বভাবতই হাইলাইটে আসাটা জাতির কু-বুদ্ধি সম্পন্ন লোকগুলোর জন্য সহজ, স্বাধীনতার চল্লিশ বছরে এদেরই দাপট দেখেছে জাতি, তার জন্য পুরো সেনাবাহিনীকে নাই দুষলেন। যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুসভেল্ট বলেছিলেন -

“It is not the critic who counts; not the man who points out how the strong man stumbles, or where the doer of deeds could have done them better. The credit belongs to the man who is actually in the arena, whose face is marred by dust and sweat and blood; who strives valiantly; who errs, who comes short again and again, because there is no effort without error and shortcoming; but who does actually strive to do the deeds; who knows great enthusiasms, the great devotions; who spends himself in a worthy cause; who at the best knows in the end the triumph of high achievement, and who at the worst, if he fails, at least fails while daring greatly, so that his place shall never be with those cold and timid souls who neither know victory nor defeat.”

আশা করি, ভবিষ্যতে যে কোন পেশাকে এভাবে নির্বিচারে বিচার করবার আগে দ্বিতীয়বার ভেবে দেখবেন।

হিমু এর ছবি

মনে করেন, আগামীকাল কোনো আনসার কমাণ্ড্যান্ট এসে সেনাবাহিনী দখল করে নিলো। তারপর বলা শুরু করলো, আনসার চালাতে গেলেও হাঁটু লাগে, মাথা লাগে, মেরুদণ্ড লাগে। তারপর আপনার মতো দুই চারজন আনসার কর্তৃক সেনাবাহিনী দখল নিয়ে গুনগুন করলে বলা শুরু করলো, আপনারা আনসারে যোগ দিতে চাইলেও সারভাইভ না করার মনোবেদনা থেকে এইসব বলতেছেন।

আপনার প্রতিক্রিয়া কী হবে?

Omar এর ছবি

Beg your pardon as I don't have avro on the laptop I'm using. Anyways, I wasn't justifying any of the wrongdoings the military has done throughout the history. I was simply showing the author of this article how it feels to be on the other end of being generalized.

You guys are bloggers. You are supposed to be smart enough to differentiate between an example and a conviction. Please, understand that blaming a whole force based on some
rotten apples will not bring solution to a problem, it would rather take the misunderstanding further.

হিমু এর ছবি

এই লেখাটা সেনাশাসন নিয়ে, সেনাবাহিনীর ইনডিভিজুয়াল সদস্যদের নিয়ে নয়। সেটা আপনি না বুঝলে ধরে নিতে হবে লেখাটা আপনি পড়েননি। কোথাও কেউ একজন এই লেখা সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করে শেয়ার দিয়েছে, সেই লিঙ্ক ধরে আপনি এসে হাজির হয়ে কিছু গরম কথা বলছেন মাত্র।

আপনি যুক্তি দিচ্ছেন, চার-পাঁচজন পচা আপেলের জন্যে গোটা বাহিনীকে দোষারোপ করা যাবে না। সমস্যা হচ্ছে, এই চার-পাঁচজন পচা আপেল গোটা বাহিনীকে ব্যারাকের ভিতরে রেখে ক্ষমতা দখল করে না, গোটা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়েই করে। আপনি যদি ঝাড়ি মারতে চান, তো গিয়ে ঐ পচা আপেলদের মারেন (যদি আদৌ পারেন)।

স্যাম এর ছবি

সচলায়তনে বুয়েট এবং আরো কিছু প্রতিষ্ঠান/পেশা নিয়ে লেখা হলেও এরকম প্রতিক্রিয়া দেখেছি আগে। আমার কাছে প্রত্যাশিত এবং স্বাভাবিক ই লেগেছে। দ্বিমত থাকলেও আপনার মন্তব্য পড়তে আগ্রহী। এবার একটু বুঝিয়ে বলবেন blaming a whole force based on some rotten apples বলতে আসলে কি বোঝাচ্ছেন? কোন একটি দৃষ্টান্ত কি আছে সেই ফোর্স এর - রটেন আপেলগুলোকে অস্বীকার করার তাদের কৃতকর্মের জন্য শাস্তি দেয়ার, ন্যুন্যতম একটি আইএস্পিয়ার এর বিজ্ঞপ্তি?

হাসিব এর ছবি

কিন্তু ধরেন এদেরই কেন হাঁটু বলা হয়? দেশে আমলা আছে, প্রাইমারি স্কুলে পড়ানো মাস্টার আছে, মুদি দোকানদার মাছের কারবারি সব আছে। কিন্তু শুধু এদের কেনু হাঁটু বলতেছে লুকজন?

আরেকটা প্রশ্ন। মেধা বলতে আপনি কী বোঝেন?

Omar এর ছবি

Hasib, a few of the ''Hefajot people'' calling bloggers atheists doesn't actually make them atheists, does it ? You and I both know it doesn't work that way.

হাসিব এর ছবি

এইটা ভুল বললেন যে তাদের বুদ্ধিশুদ্ধি নিয়ে হাসাহাসি ফিউ পিপল করে। তাদের নির্বুদ্ধিতা আর হাতের অস্ত্র তাদের দেশের অন্যতম প্রধান শত্রু করে তুলেছে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বাকি অংশটুকু কি পড়েছিলেন? নাকি অর্ধেকটা পড়েই মন্তব্য করে ফেলেছেন?

আপনি বলেছেন আপনি যুক্তি খণ্ডানোর কোন চেষ্টা করবেন না, কিন্তু আবার তারপরেই অনেকগুলো যুক্তি হাজির করবার চেষ্টা করেছেন। আশঙ্কা করছি আপনি সশস্ত্রবাহিনীর কোন সদস্য হবেন!

আপনার মন্তব্য পড়ে আমি মোটামুটি বিভ্রান্ত। কিন্তু যেহেতু প্রসঙ্গ উঠল তাই জানিয়ে রাখি, সেনাবাহিনীতে যদি সুযোগ পেতাম তাহলে সত্যি সত্যিই আমি ট্রেনিং নিতে পারতাম না। শারিরিকভাবে আমি একেবারেই "অক্ষত্রিয়'। মানসিকভাবে আরো সমস্যা হতো। অযৌক্তিক কাজ সহ্য করতে পারিনা। সেনাবাহিনীতে যদি সুযোগ না পেতাম তাহলে মনে মনে খুশি হতাম। এক পুরনো প্রেমিকা বলেছিল, সশস্ত্রবাহিনীতে বুদ্ধিমানদেরকে নেয়া হয়না। প্রশ্ন না করে "চেইন অব কমাণ্ড' মেনে চলার জন্য বুদ্ধিমানরা উপযুক্ত নয়। আমি এমনিতে ভয়াবহ বোকা মানুষ। কিন্তু সেনাবাহিনীতে চান্স না পেলে মনে মনে ভাবতে পারতাম যে বুদ্ধিমান বলেই আমি চান্স পাইনি চোখ টিপি

আপনি কিছু কিছু কথা কেন বলেছেন তা বুঝতে পারিনি। বলেছেন: "" সেনাবাহিনী চালাতেও মাথা লাগে। হয়তবা সেটা আমাদের সমাজের বর্তমান স্মার্টনেসের সংজ্ঞা থেকে আলাদা। ওদেরও ম্যাথ আছে।'' - তো আমি কী করব? ব্লগাররা অনেকেই সেনাবাহিনীর গণিত না সমাধান করতে পারলেই বা আমি কী করব? (আপনাকে জানিয়ে রাখি, ব্লগ লিখলেই সে ব্লগার। ব্লগার হওয়ার জন্য গণিত জানা কোন শর্ত নয়।)

আপনি কি কোন কারণে সেনাবাহিনীকে একটি ""জাতি'' মনে করেন নাকি? আমি খুব আগ্রহী হয়ে অপেক্ষা করছি আপনি অন্তত এই প্রশ্নটির জবাব দেবেন।

আপনাকে বিনীতভাবে জানিয়ে রাখি, এই মন্তব্যটি আপনার কোন কথার জবাব নয়। আপনি যদি আমার লেখার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক কোন প্রশ্নের জবাব অথবা যুক্তির ব্যাখ্যা/পাল্টা যুক্তি চান তাহলে আমি সেটা দেয়ার চেষ্টা করব।

শুভেচ্ছা।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

Jahed  এর ছবি

I object Mr. Omar's comment "সেনাবাহিনী তে যাবার ইচ্ছা এককালে আপনার ছিল"..!! How did you know it ?? Do not import false information for winning the argument! I can tell you that that era or regime/period has ended (by the grace of almighty) in Bangladesh when in BMA it was a popular saing "One day you (army officers) will be the President of Bangladesh"!! I did not appear for military exam and none of my friends joined in any military service thought almost all of them are holding the top positions in different multinational/private companies and BCS jobs of the country!! So, I feel engared when you said the above thing while expressing your frustration! Rather, it is the militry officers who join in military with a lot of zeal and enthusiasm, got frustrated in the middle of their career, drop out or choose voluntary retirement without shooting a single bullet in real life! Or they try to come out of cantonment and try to fit in some other civil service job or try to do policing in RAB and so on!! You must agree the massacre was done by the military dictators in this coutnry in last decades! They have madet the military service the most lucrative in the same model Pakistan did in their country! Where in the world, you will find the cantonment is located in the middle of a capitol! Still you want to say that its nota central decision of the AFD!! ?? Do you repent or do you not feel uncomfortable about it!? Or do you have the sense of feeling uncomfortable or being uncomfortable at all?? Or it all gone with the training in BMA!! ?? May be you do not have the sense of understanding the collateral damage done in this country due to the military dictators!! Definitely, it needs the knowledge and education and practice of free and open thoughts which is not allowed inside a cantonment. Therefore, you will not realize everything! There are plenty of examples of being unfare or unjust in national level from military dictators in past! The whole nation fought valiantly in 71 and due to their effort we achieved victory over Pakistan but how mean our military can be, they snatched all 7 "Bir Shresto" for them!! Holy smoke!! What does it mena?? What about the first myrtyrs of Rajarbag Police line forces who fired the very first bullets against the Pak army and dessimiate the Pak attack through wireless network to entire country! ?? No medal for them?? What about those brave common people who fought and sacrificed their lives in '71 !!?? Our military tried to build our military forces in line with Pak army and please do not argue that. If you do not know it, just get it in your own source. And think of Pakistan, where the military took Pakistan today! Allah saved us from it!!

চরম উদাস এর ছবি

সশস্ত্রবাহিনীর কাজ রাষ্ট্রপরিচালনা করা নয়। রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য সশস্ত্রবাহিনী গঠিত হয়না। কেবল একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রই সশস্ত্রবাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়।

চলুক

স্যাম এর ছবি

চলুক
কোট করার মত আরো বেশ কিছু বাক্য আছে দারুণ এই লেখায়।

হাসিব এর ছবি

ফেইসবুক নাই। তাই মুস্তাফিজ মামুন ভাইয়ার কথার উত্তর দিতে পারলাম না। আপনি দয়া করে একটু বলেন আর্মি কেন দরকার আমাদের দেশে।

Mustafiz Mamun এর ছবি

আমাদের দেশে সেনাবাহিনির কোনো্ই দরকার নাই। এই জিনিষটা আমাদের সুশিল সমাজ কেনযে বোঝেনা।কি দরকার দেশের এত টাকা নষঠ করার।

হাসিব এর ছবি

কথা সেটাই। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য এতো টাকা বরাদ্দ করার দরকার দেখি না।

সুনীল সাগর এর ছবি

বন্যা হইছে সেনাবাহিনি দরকার। আগুন লাগছে সেনাবাহিনি দরকার। ব্রিজ ভাংছে সেনাবাহিনি দরকার। সন্ত্রাস বাড়ছে সেনাবাহিনি দরকার। ফ্লাইঅভার করা লাগবে সেনাবাহিনি দরকার। ইলেকশন হবে সেনাবাহিনি দরকার। ট্রাফিক বাড়ছে সেনাবাহিনি দরকার। ওয়াসা পানি দিতে পারেনা সেনাবাহিনি দরকার। বাংলাদেশ গেমস করা লাগবে সেনাবাহিনি দরকার। ওয়ার্ল্ড কাপ আয়জন করা লাগবে সেনাবাহিনি দরকার। কোন কোম্পানিতে সৎ, দক্ষ, পরিস্রমী লোক লাগে রিটায়ার্ড সেনা অফিসার দরকার। বুঝেন এবার সেনাবাহিনি কেন দরকার।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বন্যা হইছে সেনাবাহিনি দরকার। আগুন লাগছে সেনাবাহিনি দরকার। ব্রিজ ভাংছে সেনাবাহিনি দরকার। সন্ত্রাস বাড়ছে সেনাবাহিনি দরকার। ফ্লাইঅভার করা লাগবে সেনাবাহিনি দরকার। ইলেকশন হবে সেনাবাহিনি দরকার। ট্রাফিক বাড়ছে সেনাবাহিনি দরকার। ওয়াসা পানি দিতে পারেনা সেনাবাহিনি দরকার।

এগুলো জাস্ট বিশেষ অবস্থা। এটা সেনাবাহিনীর রেগুলার ডিউটি না। বিশেষ অবস্থায় সিভিল প্রশাসনের অধীনে সিভিল প্রশাসনের কাজে সহায়তা করা তাদের দায়িত্ব।

কোন কোম্পানিতে সৎ, দক্ষ, পরিস্রমী লোক লাগে রিটায়ার্ড সেনা অফিসার দরকার।

তাদেরকে সততা, দক্ষতা ও পরিশ্রমী হওয়ার কারণে নেয়া হয় না। দক্ষতার কথাই ধরেন। সেনাবাহিনীর ওই লোকটি তো কোম্পানিতে যে কাজের জন্য নিযুক্ত হন, তাতে অভিজ্ঞ নন, দক্ষ নন। রাজনীতিতে দেখবেন, অবঃ সেনা অফিসারের ছড়াছড়ি। তারা কি রাজনীতিতে 'দক্ষতা'র জন্য এমপি, মন্ত্রী হন?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সুনীল সাগর এর ছবি

ভাইজান ঐ বিশেষ ব্যবস্থাটা সেনাবাহিনি না থাকলে কারা করবে একটু বলেনতো দেখি?

হাসিব এর ছবি

কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য বাধ্যতামূলক ট্রেইনিঙের ব্যবস্থা করে এইসব কাজে দক্ষ লোকবল তৈরি করা যায়। বুট পরা আর্মি অফিসার এখানে এখানে বাধ্যতামূলক না।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য হো হো হো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

হাসিব এর ছবি

আপনি গুগল হ্যাঙাউটে যাইয়েন না। এইটা একটা ট্র্যাপ হতে পারে।

চরম উদাস এর ছবি

অনার্য এর লেখা পড়ে সেই জনপ্রিয় কৌতুক মনে পড়ে গেল। জঙ্গলে গিয়ে বানর দলের হাতে আটকা পড়ছে তিন লোক। তিনজনকে আদেশ করা হল জঙ্গলে গিয়ে কোন একটা ফল নিয়ে আসতে। প্রথমজন লিচু নিয়ে আসলো, বানর রাজ সেই লিচু ভরলো ওই লোকের ইয়েতে, দ্বিতীয়জন আম নিয়ে আসলো তার একই পরিণতি হল। কিন্তু দুইজনেই দাঁত কেলিয়ে খুশিতে হাসতে লাগলো। বানর রাজ ঝাড়ি দিয়ে বলল ব্যাটারা হাসস কেন। বলে আমরা আসার সময় দেখলাম তৃতীয়জন হেলতে দুলতে কাঁঠাল নিয়ে আসতেছে, এই দেখে হাসি।
আমি বুরখা নিয়ে কথা বলে বুরখানুভূতিতে, কিছু আবাল নাকউঁচু বুয়েটিয়ান নিয়ে গল্প লিখে কারো কারো বুয়েটানুভূতিতে আঘাত দিছি - বড়জোর লিচু
তারকাণু সমকামিতা আর লিভ টুগেদার নিয়ে কথা বলে কামানুভূতি আর বিবাহনুভূতিতে আঘাত দিছে - বড়জোর আম
আর অনার্য বেচারা এখন হেলতে দুলতে আসছে কাঁঠাল নিয়া, এই দেখে হাসি আর ঠেকায়ে রাখতে পারতেছি না দেঁতো হাসি

মিলিটারি হোক, কাঠমোল্লা হোক, বুয়েট হোক সবখানে সমালোচনা করতে গেলে সেই একই প্যাঁচাল শুনতে হয়। কিছু দুষ্টু লোকের দুষ্টামির জন্য কেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের সবাইকে ছোট করা হল। এই বলে হাউকাউ করে আলোচনা প্রতিষ্ঠানের অনুভূতি রক্ষার দিকে চলে যায়, সেই কিছু দুষ্টু লোকের কথা চাপা পড়ে যায়। প্রতিষ্ঠান রক্ষায় ঢাল তলোয়ার নিয়ে রক্ষাকর্তারা দাড়িয়ে যায়, কিছু দুষ্টু লোক সেই রক্ষাব্যূহের ভেতরেই থেকে যায়। প্রথমত অনার্য তার লেখার কোথাও পুরা মিলিটারিকে দোষারোপ করেনি। এখন হাঁটু বলা বা বুদ্ধি কম বলা এতে যদি কোন মিলিটারি ভাইয়ের মনে আঘাত লাগে তাইলে বলবো, গ্রো আপ ম্যান। সারা দুনিয়ার মিলিটারিকে নিয়েই এইরকম হালকা নির্দোষ রসিকতা করা হয়। মিলিটারিও একই রকম হালকা রসিকতা করে আমাদের ব্লাডি সিভিলিয়ান বলে। তাতে কি আমরা কান্নাকাটি করি? আর দ্বিতীয়ত - "Few Army officers have done something wrong for that a sensible man should not blame a whole Army. " এইরকম নিরীহ ডায়লগ দেবার আগে Few Army officers আর something wrong দুইটা শব্দকে নিয়ে একটু নেড়েচেড়ে দেখেন। এইদেশের মুক্তিযুদ্ধে আর্মির অবদান যেমন অনস্বীকার্য, তেমনি কিছু দুষ্টু(!) আর্মি অফিসারের কারণে থেকে থেকে দেশকে বারবার পাকিস্তানের দেখানো পথে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটাও অনস্বীকার্য। সুতরাং বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান যেমন আর্মি ছিলেন তেমনি মোশতাক আহমেদ, ফারুক রহমান, রশিদ, মহিউদ্দিন, নূর চৌধুরী, ডালিম থেকে শুরু করে এরশাদ পর্যন্ত সবাই আর্মি ছিলেন। পার্থক্য একটাই, প্রথমজন বহিঃশত্রুর কাছ থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন আর বাকিরা আভ্যন্তরীণ শত্রুর (!) হাত থেকে দেশকে রক্ষার দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন। প্রথমজন আর্মিই ছিলেন বাকিরা রাজনীতিবিদ হয়ে গিয়েছিলেন। ফলাফল আমাদের সবার জানা। অনার্য সেই কথাটাই পুরো লেখায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। এখন পড়া শুরু করেই, ওর নারে আর্মিরে গালি দিছেরে, আর্মিনুভূতি গেল গেল বলে হৈ হৈ রৈ রৈ লাগিয়ে দেন তবে বাকি বক্তব্য মাথায় না ঢুকারই কথা।

নিচে দেখলাম Mustafiz Mamun নামক একজন আর্মি ভদ্রলোক অনার্যকে ক্যান্টনমেন্ট এসে চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছেন। সমস্যাটা এখানেই, আর্মিরা শুধু সিভিলিয়ান ভাইদের ক্যান্টনমেন্টে আসার দাওয়াত দেয়। আবার দাওয়াতের পাশে পাশে আদব লেহাজ শিক্ষার ব্যাপারটিও তাদের কাছ থেকে শিখে নিতে বলেন। প্রথমে মৃদু গলায় বলেন, না শুনলে কান ধরে উঠবস না করান। ভাই, আপনি বরং ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়ে আসেন। এসে পাড়ার মোড়ে বসে আমাদের সাথে চা বিস্কুট খান। খেতে খেতে গল্প শুনেন, বোঝার চেষ্টা করেন বাংলাদেশের মানুষ যেরকম রাজনীতিবিদদের অপছন্দ করে, তেমনি আর্মিকেও অপছন্দ করে বেশ খানিক। অপছন্দের পাশাপাশি ভয়ও করে। বোঝার চেষ্টা করেন কেন সেই অপছন্দ, কেন সেই ভয়। বোঝার চেষ্টা করেন কেন একটা সভ্য দেশের আর্মিকে ভয় পাবার কথা না মানুষের। বোঝার চেষ্টা করেন যেটাকে আপনি Few Army officers have done something wrong বলছেন সেটাকে কেন অনেকে More than a Few Army officers have done something terribly wrong বলে মনে করে। বোঝার চেষ্টা করেন ভবিষ্যতে সেইরকমের wrong কাজ যে আর হবেনা, হটাত হটাত আবারও কোন আর্মি নেতার দেশ সেবা করার ইচ্ছা জেগে উঠবে না তার কোন নিশ্চয়তা আছে কিনা। আর যদি আবারও Few Army officers সেরকম wrong কিছু করে ফেলে তবে আপনার মতো বাকি ভালো আর্মি অফিসারদের করণীয় কি হবে? Few Army officer কে ফলো করা?? সেটার বাইরে অন্য কিছু কি করা সম্ভব???
আর্মির কাজ বহিঃশত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা, দেশ রক্ষায় সরকারকে সহায়তা করা
দেশ পরিচালনা করা না - সে জন্য দেশের রাজনীতিবিদ আমলারা আছেন ( তারা যত অসভ্যই হোক না কেন, কাজটা তাদেরই )
দেশের মানুষকে আদবকায়দা শিখিয়ে civilized বানানো না - সেজন্য দেশের শিক্ষকরা আছেন
দেশের সমস্ত চুরি, ডাকাতি বন্ধ করা না - সেজন্য পুলিশরা আছেন
কোন আন্দোলন শুরু করা বা কোন আন্দোলনের পক্ষ নেয়া না - সেজন্য দেশের ১৬ কোটি মানুষ আছে

Mustafiz Mamun এর ছবি

Sorry I cant type in Bangla. Bro I am very much interested to come out of cantonment and have a cup of coffee with you. All my relatives are civilian, most of my friends are civilian. I mix with them a lot. I dont deny the fact that Army did not do what they were supposed to do in past. I dont have problem getting criticism, but we dont deserve it in such stupid way.

দেশের মানুষকে আদবকায়দা শিখিয়ে civilized বানানো না - সেজন্য দেশের শিক্ষকরা আছেন
দেশের সমস্ত চুরি, ডাকাতি বন্ধ করা না - সেজন্য পুলিশরা আছেন
কোন আন্দোলন শুরু করা বা কোন আন্দোলনের পক্ষ নেয়া না - সেজন্য দেশের ১৬ কোটি মানুষ আছে

Problem is that many of them are not doing for what they are made for. Univeristy teachers are fighting each other, police is most frequent violator of law. Seeing all odds you should criticize to those who bring Army in Power. In a country like us there are few people who want to ride on thorne, but they dont have neither the abililty nor the experience to do so. They use Army to do it. You should blame those who pull the Army in Civilina affiar, not the Army.

For your kind info Mostaq was not an Army officer. He was a dedicated AL politician!!!!

সত্যপীর এর ছবি

পুলিশের বেতন আর সুযোগসুবিধা আর্মি অফিসারের মত করলে তারাও আপনাদের মত লাইনে থাকত। পুলিশ মহা লোক খারাপ ("most frequent violator of law") আর আর্মি ব্যাপক এবিলিটি সম্পন্ন এইটা তো আকাশ থেকে হয় নাই মুস্তাফিজ মামুন।

..................................................................
#Banshibir.

চরম উদাস এর ছবি

কারেকশন - মহিউদ্দিন আহমেদ লিখতে গিয়ে মোশতাক আহমেদ লিখে ফেলেছি
Univeristy teachers are fighting each other, police is most frequent violator of law ... খুব সহজে পুলিশ আর শিক্ষকরা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করে, দায়িত্ব পালন করে না এটা বলে দিলেন, অথচ আর্মি নিজেদের দায়িত্বের মধ্যে সবসময় থাকতে পারেনা এটা বলতে পারলেন না। ও না বলেছেন ... সমালোচনা গ্রহণ করতে সমস্যা নেই কিন্তু স্টুপিড ওয়ে তে না করতে মানা করেছেন। তার আগের বার civilized manner শিখতে বললেন আপনার আর্মি বন্ধুদের কাছ থেকে। আপনি কি বুঝতে পারছেন আর্মির এই এলিট ভাবটাই, বাকি লোকেদের uncivilized ভাবাটাই লোকে অপছন্দ করে? সাধারণ লোকে এভাবেই কথা বলে, সমালোচনা করে। অনার্য এর এই চমৎকার যুক্তিভরা লেখাটা আপনার uncivilized মনে হল?? আমি এই লেখাটা লেখলে লেখার কি অবস্থা হত, আর আপনাদের প্রতিক্রিয়া কি হতো সেটা ভেবে হেসে ফেললাম। তখন এটা সত্যিকারের bloody uncivilized হতো চোখ টিপি

শিক্ষকের হাতে বন্দুক থাকে না, পুলিশের হাতে বন্দুক থাকলেও সেইটাতে গুলি থাকে না তাই fighting each other দেশের অতো ভয়ঙ্কর কোন ঘটনা ঘটায় না যেগুলো আমরা আর্মির fighting each other এর সময় দেখেছি।
অন্যরা কেউ দায়িত্ব পালন করছে না এইজন্য গুরুদায়িত্ব আর্মি নিজের কাঁধে তুলে নিবে - এই ভ্রান্তি থেকে যতদিন বের না হয়ে আসতে পারছেন ততদিন আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

আমি এই লেখাটা লেখলে লেখার কি অবস্থা হত, আর আপনাদের প্রতিক্রিয়া কি হতো সেটা ভেবে হেসে ফেললাম।

লেখার দাবী জানাইলাম! চোখ টিপি

তবে কেউ যদি সেই লেখা পড়ে হাঁটু অধিকারের চরম লঙ্ঘন মনে করে,তাইলে আমারে দোষ দিয়েন না। আমি নেহাত-ই একজন অনুরোধকারী। খাইছে

শাফায়েত এর ছবি

More surprisingly the writer does not know how to write or logic out in a civilized manner. I think he is yet to learn this from some of his military friend (if he has any).

এতই সিভিলাইজড আপনারা প্লীজ ক্যান্টনমেন্টের গেটের মিলিটারী পুলিশগুলো আর গোয়েন্দাবাহিনীর লোকগুলোকে কিছুটা সভ্যতা শিখান, ক্যান্টনমেন্ট বাসিন্দারা বা এই পথে চলাচলকারী সবাই জানে এদের ব্যবহার ইতরের কাছাকাছি। সবথেকে দু:খজনক হলো ক্যান্টনমেন্ট দীর্ঘ দিন বসবাসকারী সেনারা বেশিভাগই সাধারণ মানুষের চিন্তাভাবনা বুঝেনা এবং নিজেদের এদের থেকে অনেক উচু লেভেলের মনে করে এজন্যই কিছু বললেই সহ্য করতে না পেরে ক্যান্টনমেন্টে চায়ের দাওয়াত দেয়,লেখক হয়তো উল্লেখ করেননি কিন্তু ৯/১১ এর সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনারা আনসিভিলাইজড ছাত্রদের কিভাবে সোজা করেছেন সেটা কেও ভুলেনি।

হাসিব এর ছবি

আপনার আর্গুমেন্টের মান দেখে দুঃখিত বোধ করতেছি।

সাম্য এর ছবি

সেনাবাহিনীর সমালোচনা না করে সেসব কতিপয় দুষ্টুদের সমালোচনা করা উচিত যাদের দ্বারা 'অনিচ্ছাকৃতভাবে' আমাদের আলাভোলা সেনাবাহিনী 'কখনো কখনো' ব্যবহৃত হয় - এই ভাবনার সাথে ছাগুদের মেয়েদের যৌন হয়রানি করার পেছনে তাদের পোশাককে দায়ী করার ভাবনার পার্থক্য কতটুকু?

--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

Mustafiz Mamun লিখেছেন:
I dont deny the fact that Army did not do what they were supposed to do in past.

আপনার হেলিক্স মডেলের এই কথাটাকে সোজা করে অ্যাটেন-শন করলে হয়, 'WHAT' Army did in the past, they were NOT supposed to do.

এখন, এই কথাতে যদি আপনার দ্বিমত না-ই থাকে, তাহলে 'ইন পাস্ট' তো বটেই, 'ইন ফিউচার'-এও এই 'হোয়াট' জিনিসটা যাতে আমাদের আর দেখতে না হয়, সেটা নিয়েই লেখা এই পোস্টের শিরোনাম থেকে শুরু করে গোটা পোস্ট জুড়ে আপনার দ্বিমতের জায়গাটা যে ঠিক কোন জায়গায়, সেটা বুঝতে অপারগ হলাম।

তবে হ্যাঁ, উপরে-নিচে করা আপনার গোটা কয়েক মন্তব্য থেকে দুইটা জিনিস অবশ্যই বুঝতে পেরেছি বলে মনে হচ্ছে। যদি কিছু মনে না করেন, তাহলে বলি-
১) ক্যান্টনমেন্টে খুব সম্ভবত উৎকৃষ্ট মানের চা পাওয়া যায়। হাসি আর,
২) 'উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে' বাগধারাটির একটি প্রকৃষ্ট প্রায়োগিক উদাহরণ।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

পৃথিবীতে একজন মানুষই আছে যে কৌতুক শুনায়ে মানুষকে ভয় দেখাইতে পারে! সিরিয়াস ডরায় গেলাম! চ্রমুদাস এক্টা অভিশাপ! মন খারাপ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই পোষ্টের মূল কথা শিরোনামেই বলা আছে।

বাকী তর্ক না করে এটা কে কে মানেন না হাত তুলেন।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হিমু এর ছবি

আফজাল ওমর শরিফ, আপনি সরলীকরণ নিয়ে খুব পীড়িত। এখন একটা প্রশ্নের উত্তর দিন। ১৯৭৫, ১৯৮২ আর ২০০৭ এ সশস্ত্রবাহিনী রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলো কি?

[১] হ্যাঁ।
[২] না।

(সশস্ত্রবাহিনীর ভালো কাজ নিয়ে আলাদা করে পোস্ট দেওয়ার জন্য আইএসপিআরকে অনুরোধ করে দেখতে পারেন। এটা তাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। অথবা যদি মনে করেন তাতে কাজ হবে না, তাহলে আপনি সমমনা কয়েকজনের সঙ্গে বসে নিজেই লিখে ফেলুন।)

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধরে নিলাম রাজনীতিবিদরা খুব খারাপ, তারা দেশ চালাতে ব্যর্থ, গণতন্ত্র রক্ষা করতে ব্যর্থ, দূর্ণীতিতে সিদ্ধহস্ত... যদি তাও হয়, তাহলেও কি সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণের কোনো বিধান আছে?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হাসিব এর ছবি

কোবি ও হাঁটুসমাজ এখানে নিরব। উপরে একজন দেখলাম স্টেকহোল্ডার ইত্যাদি বলে চাপান উতোর দিতে চাইলেন। তয় উনার কথা হয় নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথমে একবার মন্তব্য করেছিলাম লেখাটা পরে খুব ভালো লেগেছিল বলে। এখন আবার করছি অন্যান্য মন্তব্য গুলো পড়ে একটা কিছু বলতে ইচ্ছা করছে। আমাদের সবার মধ্যে একটা প্রবণতা হলো নিজের সমালোচনা কেউ সহ্য করতে পারি না।
সেটা পুলিশ -ই হোক , শিক্ষক-ই হোক , আমলা হোক আর কামলা হোক। তাই দেখা যাচ্ছে সশস্র বাহিনীর লোকজন ও নিজেদের যতটা সিভিলাইস্ড ভাবছে বলে মনে করছে আসলে তারা ততটা নয় । যদি হত তাহলে যুক্তি খন্ডানোর জন্য যুক্তি দিত। তর্ক কে লম্বা করার জন্য নিজেকে আলাদা ভাবা এবং সেটা বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করত না। পৃথিবীর যেকোনো দেশেই সশস্র বাহিনীর কাজ রাষ্ট্র পরিচালনা করা নয়। তাদের কাজ বহিঃ রাষ্ট্রের আক্রমন থেকে দেশকে রক্ষা করা । দেশ দুর্যোগ এর কবলে পড়লে সরকারকে সাহায্য করা। এরকম অনেক কাজ আছে সশস্র বাহিনীর। কিন্তু অবশ্যই রাষ্ট্র পরিচালনা করা নয়। এমনকি রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে হস্তক্ষেপ করাও না। এই সহজ সত্য টা স্বীকার করে নেবার মত উদার মানুষিকতা অন্তত সশস্র বাহনীর কাছে থেকে অন্যান্য পেশাজীবীর মানুষ আশা করতেই পারে।

শিশির অশ্রু

sumon এর ছবি

Dear Sattapir vai, I hope you know the salary structure of government service holder. Military and police have the same salary structure. Some cases police enjoys more compensation than that of military. Military does not have many of the remunerations that the other government service holders enjoy i.e. it is only the military officers who do not get a house/house rent unless he gets marry. There may be many more examples. I request you to know the fact before publishing something. Thanks

সত্যপীর এর ছবি

বাংলা লিখতে পারেননা ঠিক আছে, পড়াও কি ভুলে গেলেন? আমি তো বলিনি শুধু বেতন, আমি বলেছি বেতন আর সুযোগসুবিধা। পুলিশ আর্মির চেয়ে বেশী বেতন পায় এই কান্না কানলে চলবে? আর্মি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যে জিপটা চালায় সেইখানে পুলিশ ফাঁড়ির অবস্থাটা কি?

দেশটা গরীব। আমেরিকা নিত্যনতুন ফাইটার জেট কিনলে ঠিক আছে, তাদের পুলিশের পেছনে খরচে টান পড়ে না। আমাদের প্রায়োরিটিটা ঠিক নাই। শক্ত পুলিশ বাহিনী গড়ার পরে যে পয়সা থাকে তা দিয়ে মিলিটারি রাখা গেলে অন্য কথা।

পুলিশ আপনার আমার মতই মানুষ, তারা জন্মেই ঘুষ খায় না। পুলিশ মহা দুর্নীতিবাজ আর আর্মি বিরাট ত্যাগী, সিভিলাইজড ও সৎ এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন।

..................................................................
#Banshibir.

sumon এর ছবি

Dear Onarza vai, sorry I cannot type Bengali .You have given your thought from your perception which is subjective in nature. There may be some different perception as well. Problem in our country is that this is the only organization against which you can say whatever you feel like to. People serving there cannot response you freely as because of their job limitation .I also believe effective civilian control over military. In his book” The soldier and the state” Samuel p. Huntington described civil military relation and civilian control over military comprehensively where civilian part has the same responsibility. I want to quote some of the lines to grow your interest. “How can military power be minimized? In general two broad answers: subjective civilian control: maximizing civilian power (it involves power relation among civilian groups. It is advanced by one civilian group as a means to enhance its power at the expense of other civilian groups as a means to enhance its power at the expense of other civilian groups) ……..another is the objective civilian control: maximizing military profession ( distribution of political power between military and civilian groups which is most conducive to the emergence of professional attitude and behavior………”I said all this just to say that particular one organization is not the only responsible for all evil deeds. There are some other stake holders as well.

হাসিব এর ছবি

আপনারা কেউই বাংলায় টাইপ করতে পারেন না বিষয়টা কী?

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

হাসিব্বাই, বাংলা তো হইল সাধারণের ভাষা। অইদিকে তো এই ভাষা ব্যবহার হয় না। অইদিকের জাতীয় ভাষা ইংরেজি।

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

আবির আনোয়ার এর ছবি

অফিসার সাহেবরা বাংলায় টাইপ করতে পারেন না বুঝলাম কিন্তু তাদের ইংরেজিও দেখি ভয়াবহ!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমাদের দেশের সমস্যা হচ্ছে এদেশের একমাত্র "অর্গানাইজেশন' যেটাকে নিয়ে মানুষ যা খুশি বলতে পারে সেটা হচ্ছে সশস্ত্রবাহিনী।

আপনার ৪র্থ বাক্যের বাংলা করার চেষ্টা করলাম। ঠিক হয়েছে? আপনি কি এটাই বলতে চেয়েছিলেন?

পেশাগত সীমাবদ্ধতার জন্য সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা মানুষের "অভিযোগের' জবাব দিতে পারেনা বলে আপনি মনে করেন।

এরপর খানিকটা অনর্থক মনে হচ্ছে মন্তব্য করা। শেষ বাক্যে চলে আসি। সশস্ত্রবাহিনীই সব দুষ্টু কাজ করেছে এইরকম বক্তব্য আমি কোথায় দিয়েছি?

আমার পূর্বের সচলের প্রশ্নটা আমারও। আপনারা কেউ বাংলা লিখতে জানেন না কেন? কম্পিউটারে বাংলা লেখা শুরু করতে ১০ মিনিট লাগে। পুরোপুরি শিখে ফেলতে ঘন্টা দুয়েক। কখনো চেষ্টা করে দেখেছেন লিখতে?

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

শাফায়েত এর ছবি

বাংলা লিখতে না পারলেও যেহেতু এদের মন্তব্য ছাপানো হচ্ছে এবং সেসব মন্তব্য নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে, তারা বাংলা লেখা শিখবে বলে মনে হয়না, না ছাপালে ঠেকায় পরে কিছুটা শেখার সম্ভাবনা ছিলো।

মনি শামিম এর ছবি

ভাল প্রশ্ন করেছেন নজরুল ভাই। কিছুদিন আগে ইটালিতে কয়েকটি দিন এমন গেছে যখন এই দেশে কোন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, পার্লামেন্ট কিছুই ছিলনা, ছিলনা কোন তত্ত্বাবধায়ক। তখন রাজনৈতিক দলগুলো দফায় দফায় বৈঠক করেছে, কি করে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায় তা নিয়ে আলাপ করেছে। অনেক বিষয়ে তারা একমত হয়নি, তারপরেও আলোচনা চালিয়ে গেছে। কই, তখন তো ইটালির সেনাবাহিনীকে এইসব ব্যাপারে নাক গলাতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চরম দুর্দিনেও এক শ্রেণীর মানুষ এই সেনাবাহিনী সমর্থিত এক তৃতীয় শ্রেণীর উত্থান চায়। তা তারা চাইতেই পারেন। কিন্তু সেনাবাহিনীরই বা এগিয়ে এসে সেই চিন্তার পালে হাওয়া দিতে হয় কেন? কেন তারা এই বিষয়গুলি দেশের জনগণের হাতে ছেড়ে দেন না? কেন তারা বলেন না, আমরা এসবে নেই?

দেশ থেকে তারা তো কম সুবিধা ভোগ করেন না। এই ঢাকা শহরের ব্যাস্ততম সড়ক তারা নিজেদের করে রেখেছেন। তাদের বাসভবনে ঢুকতে 'সিভিলিয়ান' দের বিশেষ অনুমোদন লাগে। তাঁদের থাকা-খাওয়া, বাসায় দামি আসবাব-পত্র, তাঁদের বিলাস ব্যাসনে কত না ট্যাক্স দিতে হয় এই দেশের জনগনকে। অথচ এসবে অভ্যস্ত এই মানুষগুলি কেন কখনো বলেন না- আমাদের এসবের আর দরকার নেই? কেন তারা দাবি করেন না ঢাকা শহর থেকে ক্যান্টনমেন্ট দুরে কোথাও সরিয়ে নেয়া হোক?

আমাদের দেশের পুলিস বাহিনী, শিক্ষক সহ অন্য সব পেশাজীবী মানুষদের পরামর্শ দান কারী এই সেনাবাহিনীকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, ভাই কবে আপনারা ঢাকা শহর ছাড়বেন? কবে আপনাদের জীবন থেকে এই ফ্রি বিলাস ব্যাসন মুক্ত করবেন?

করবেন তো?

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

মনি ভাই, নিচে সুমন স্যার কিন্তু বলছেন যে তারা অনেক কষ্টে থাকেন। যদি তার কথা সত্যি হয় তাইলে তো সব আর্মি অফিসার/সোলজারদের হালত খুবই খারাপ এবং হতদরিদ্র হওয়ার কথা। ছিড়া জামা, মোটা চাইল, লাল রুটি (তাও সববেলা না, যেই বেলা কোন কাজ করব সেই বেলা শুধূ) তাদের সম্বল হওয়ার কথা। আমার (সম্ভবতঃ কারোরই না) অভিজ্ঞতা কিন্তু তা বলে না। আমি আজ পর্যন্ত কোন হতদরিদ্র আর্মি দেখি নাই। হতদরিদ্র স্কুলশিক্ষক, পুলিশ, সরকারি কর্মকর্তা দেখছি, কিন্তু আর্মি দেখি নাই। আপ্নে দেখছেন? তাইলে কেম্নে কি?

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

sumon এর ছবি

To moni shamim vai,Where in the world you do not need the permission to inter inside a cantonment.If I ask dhaka university is located at the centre of the city creating all the nuisance i will probaly be criticised by everybody, and i do not want that.Military is the part of our society.Your father or your son could be also the member of armed forces. If we all criticse this organization who will join there?Do you know why a state need to keep its military. You have given example of Italy, do you know history of Italy?You have said about lavish life of military..brother you do not know the fact probably.Do not say something from your imagination.Men in uniform are very well part of our society and in our country military get the lowest remunerations than any of the any country in the sub continent and possibly all country in the world.

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

সুমন ভাই (স্যার), ঢাকা ইউনিভার্সিটি আর ঢাকা ক্যন্টনমেন্ট দুইটা কি এক জিনিস হইল? ঢাকার মাঝখানে এই দুইটা জিনিস আছে, তার মধ্যে ভার্সিটি নুইসেন্স, আর ক্যান্ট শান্তির জায়গা? আমি ইংরেজি দুই কলম শিখছি, আমি দেখছি আপনি লেখছেন, "ঢাকা ভারসিটি নুইসেন্স ক্রিয়েট করে এইটা লেখলে পাব্লিক আপ্নেরে ক্রিটিসাইজ করব"।
এইবেলা আপ্নেরে একটা গফ কই। গফটা আমারে এক দোর্দন্ডপ্রতাপ উপজেলা চেয়ারম্যান কইছিল। এক গ্রামে একই দিনে দুইটা চোর ধরা পরছে। একটা ছিচকা চোর, আরেকটা ভদ্রলোক চোর। একটা মানুষের সিঁধ কাটে, আরেকটা কলমের খোঁচা দিয়া টাকা মারে। দুইটাই যখন ধরা পড়ছে, তখন শালিশে তাগো শাস্তি হইছে একশটা কইরা জুতার বাড়ি। ছিচকাটারে একশটা মারা হইল, কিন্তু ভদ্রটারে মারা হইল না, তার শাস্তি খালি ঘোষনা করা হইল। তো যখন চেয়ারম্যানরে জিজ্ঞাসা করা হইল যে, এইটারে মারলেন না কেন? এইটা ও তো চোর। চেয়ারম্যান বললেন," আরে ওইটা হইল ছিচকা চোর, অর নাই কোন গ্যানবুদ্ধি, অরে তো কথা কইলে বুঝব না, একশ জুতার বাড়ি খাইলে সে বুঝতে পারব জুতার বাড়ি কি জিনিস, আর যেইটা শিক্ষিত, অরে বাড়ি দেওয়া লাগব না, কয়টা বাড়িতে একশ জুতার বাড়ি হয়, আর একশ জুতার বাড়ি খাইলে কি হয়, এইটা ওই ব্যাটা ঠিকই বুঝব। শিক্ষিতগুলিরে জুতার বাড়ি দেওয়া লাগে না, কইলেই বুঝে। তাই তাগোরে একশ জুতার বাড়ি দেওয়া, আর তোরে একশ জুতার বাড়ি দেওয়া হইল এই কথা কওয়া দুইই সমান'।

এই গল্প কেন কইছি বুজ্ঝেন? না বুঝলে জিগাইয়া যাইয়েন বুঝাইয়া দিয়া যামু নে। খালি কোনটা নুইসেন্স আর হেভেন এইটা একটু বুইঝা কইয়েন। '

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

হাসিব এর ছবি

এইটা ব্যাপক কমেন্ট হইছে। কোথায় আগরতলা আর কোথায় চকিরতলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর ক্যান্টনমেন্টের তুলনা করে লোক হাসালেন। তবে ঢাবির ওপর মনকষ্টের কারণ বোঝার জন্য আইনস্টাইন হবার দরকার নাই দেঁতো হাসি

মনি শামিম এর ছবি

বাউল আগেই বলেছেন, আমি আবারো বলি। আপনি যে ক্যান্টনমেন্টের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনা টানলেন এখানে, এইটা খুবই দুঃখজনক। আচ্ছা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে আপনাদের বিরোধ কোথায় বলুন তো? আপনি বোধ হয় জানেন, এক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভয়েই কিন্তু পাকি মিলিটারি শাসকরা পরবর্তী তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা করেছিল শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে। রাজশাহী (১৯৫৩), চট্টগ্রাম (১৯৬৬), জাহাঙ্গীরনগর (১৯৭০), তারা এটা করেছিল যাতে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা তাদের এস্ট্যাবলিশমেন্টের পক্ষে বাঁধা না হয়ে দাঁড়ায়। আর তারপর পুরো ঢাকা শহরকে ক্যান্টনমেন্টের জঙ্গলে পরিণত করে ছাড়ল। ঢাকা, পোস্তগোলা, মিরপুর, সাভার, গাজিপুর সবখানে বসিয়ে দিল একটি করে ক্যান্টনমেন্ট। এতটুকু এক শহরে এবং তার আশেপাশে এতগুলি ক্যান্টনমেন্ট কেন? এতে কার কি লাভ?

এই লাভটা আর কারো নয়, রাষ্ট্রেরও নয়, এর জনগণেরও নয়। লাভটা একান্তই মিলিটারি এস্ট্যাবলিশমেন্টের। আজ ঢাকা শহরের আশেপাশে তাকিয়ে দেখুন, বনানি রেল গেটের কাছে উঁচু উঁচু বিল্ডিং এ কারা থাকে? যেখানে আমাদের আবাসিক সমস্যা প্রকট, সেখানে আপনারা সহজেই পেয়ে যান বাসা বাড়ি। কোনদিন দুপুর বেলা ঢাকার রাস্তা চষে বেরিয়ে দেখেছেন বাসা খুঁজতে কেমন লাগে? করেন নি। করবেন কেন? আপনারা তো সবকিছু পেয়ে গেছেন সহজে। আপনাদের জন্য খেলার মাঠ আছে,আছে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা, বাচ্চাদের স্কুল, ওয়েল ফারনিশড বাসা বাড়ি, আরও কত কি!

এত সুযোগ সুবিধা আপনারা ভোগ করেন, তারপরেও আপনাদের ডাণ্ডা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গায়ে, তারপরেও আপনাদের চোখে তারা 'নুইসেন্স।' কেন?

আপনি আমাকে ইটালির ইতিহাস একটু শুনিয়ে দিন তো খানিক? আপনি আমাকে বলুন দেখি, ইটালির কোন শহরের পেটের মধ্যে এমন একটি করে ক্যান্টনমেন্টের বাস? মিলান, ভেনিস, ফ্লোরেন্স, রোম, বোলোনিয়া, নেপলস, তুরিন, লেচ্চে, পালেরমো? কোথায় ক্যান্টনমেন্ট? তবে বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু ঠিকই রয়েছে রে ভাই। প্রত্যেকটি শহরেই রয়েছে একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।

আপনার জানামতে কয়টি যুবক দেশরক্ষার মহান ব্রত নিয়ে এই মিলিটারি এস্ট্যাবলিশমেন্টের সাথে যুক্ত হয় বলে আপনি মনে করেন? আমার জানামতে যে ক'জন মানুষ সেখানে ঢুকেছেন তারা সবাই আর্মিদের বিলাস ব্যাসন, সুযোগ সুবিধার কথা মাথায় রেখে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গেছে। আর বেতনের কথা বলছেন? আমাদের একটু জানাবেন বেতন সহ বেতনের বাইরে আর কি কি সুবিধা আপনারা পেয়ে থাকেন? আর আজকাল শান্তি রক্ষা মিশন থেকে কে কত টাকা আয় করেন, সেটাও পারলে একটু জানিয়ে দিয়েন।

তবে আমাদের মূল প্রশ্ন এগুলি নয়। আমাদের কথা হচ্ছে রাষ্ট্র চালাবে জনগন। আপনারা তাদের সেবক। কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগনের শাসক হবার প্রতি আপনাদের এত আগ্রহ কেন? গণতন্ত্রের সঙ্কটে আপনাদেরই কেন বঙ্গভবনে ছুটতে হয়? আপনারা জানেন না, আপনাদের রাষ্ট্র পরিচালনার নির্মম শিকার আমরা? আর্মি ঠাণ্ডা মাথায় খুন করবে জাতির পিতাকে, আর্মি বানাবে ইনডেমনিটি বিল, বিনা বিচারে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলাবে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক, তারপর ১৫ বছরের মতন চেপে বসবে জগদ্দল পাথারের মতন, তাতেও শেষ নয়, সময় সময় অন্তরালে বসে নানান চাল চালবে, ক্ষমতায় আসবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সমর্থনের ছদ্মবেশে- এই দেখে দেখে আমরা ক্লান্ত হয়ে গেছিরে ভাই। এবার আমাদের একটু রক্ষা করেন। আপনারা বলেন, গণতন্ত্র থাক তার জায়গায়, আমরা এসবে নেই। আমরা আপনাদের মুখে এই কথাটুকু শুনতে চাই। আমাদের প্লিজ একটু আশ্বস্ত করুন। প্লিজ লাগে।

হিমু এর ছবি

নুইস্যান্সের আখড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়টারে শহীদ আনোয়ার গার্লস স্কুল ও কলেজের প্রিন্সিপালের নিয়ন্ত্রণে আনার তীব্র দাবি জানিয়ে গেলুম।

রাব্বানী এর ছবি

হ ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের কি দরকার, ক্যান্টনমেন্টের ভিতর এমএইএসটি তো আছেই শয়তানী হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

If I ask dhaka university is located at the centre of the city creating all the nuisance‌...

Did this really came into your mind?

Now I think, who I was kidding!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

স্পর্শ এর ছবি

If I ask dhaka university is located at the centre of the city creating all the nuisance i will probaly be criticised by everybody, and i do not want that.

পুরো বাক্যটা দেখলে আমার মনে হয় সে বলতে চাইসে, "ঢাকাভার্সিটিকে শহরের মাজখানে নুইসেন্স বললে সবাই তাকে ক্রিটিসাইস করবে, এবং সে তা চায়না"।

কিন্তু ভাই সুমন ইউনিভার্সিটি আর ক্যান্টনমেন্ট এক বিষয় নয় (রীতিমত সম্পূর্ণ বিপরীত মেরূর বিষয়)। তাই ক্যান্টনমেন্টকে শহরের মাঝে নুইসেন্স বলাটা আপনার বলা বাক্যের সমতুল হয় না।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

উহুঁ, শহরের মাঝে ঢাকা ভার্সিটি বসে নুইসেন্স তৈরি করতেছে হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

চরম উদাস এর ছবি

If I ask dhaka university is located at the centre of the city creating all the nuisance‌

স্পর্শের মন্তব্যে মনে হল, কোট করা লাইনটির অর্থ ঠিকমতো করতে পারিনি, তাই রেগে মেগে করা আগের মন্তব্য মুছে দিলাম। সবার কাছে মাফ চাই, দুয়াও চাই দেঁতো হাসি

সুবোধ অবোধ এর ছবি

প্রমাণিত!!!!
টাইপ করতে আঙ্গুল নয়,খুর-ই যথেষ্ট!!! দেঁতো হাসি
(বি.দ্র. - ছাগল,বলদ এদের হাতে পায়ে আঙ্গুল নয়,খুর থাকে)

কেউ একজন এর ছবি

এগুলার নাম ইংলিশ!

রেদওয়ান বাশার এর ছবি

একটা কথা আমার খুব চোখে লাগলো। খুব গায়ে লাগলো। আপনি বললেন, “সেনাবাহিনীই নাকি বাংলাদেশের একমাত্র অর্গানাইজেশোন যাদের নামে যে যা খুশি বলতে পারে।“ আসলেই?!?!

আপনার চারপাশের সাধারণ মানুষজনকে ওরকম বলতে শুনেন মনে হয়। বা কখনো কখনো কোন বেয়াড়া ব্লগারকে। কিন্তু আপনি আমাকে অন-দা-রেকর্ড এমন কয়টা উদাহরণ দেখাতে পারবেন? মূলধারার মিডিয়ায়, কোন রাজনৈতিক দল বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের অমন বক্তব্য দেখাতে পারবেন? বরং সব পক্ষকেই দেখা যায় সেনাবাহিনীকে সমঝে চলতে। সেনাবাহিনী শব্দটার আগে ‘দেশপ্রেমিক’, ‘সকলের আস্থাভাজন’ ইত্যাকার বিষেশণ বসানো যেন অনেকটা ফরয (যেমন, কিছুদিন আগে প্রধাণ নির্বাচন কমিশনারের ভাষণে বিশেষণটা ছিলো “আমাদের সকলের প্রিয়”)। কোন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারেরই সাহস হয় না রাস্ট্রের সামরিক ব্যয় পুনর্বিবেচনা করে দেখতে। বরং নির্বাচনী প্রচারে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে নেয়া পদক্ষেপগুলা হাইলাইট করতে সচেষ্ট দেখা যায় তাদের। হাসিনা-খালেদা বা হাসিনা-ফখরুল বছরে একদিন নিয়ম করে সেনাকুঞ্জে গিয়ে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হাসিমুখে ছবি তুলেন। নিশা দেসাইয়ের সফর আর সশস্ত্রবাহিনী দিবসই কেবল পারে একটা হরতালমুক্ত সপ্তাহ উপহার দিতে। কেউই সেনাবাহিনীকে অসন্তুষ্ট করতে চায় না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অনেক ক্ষমতাবান। এই আনফেটারড পাওয়ার কখনোই শুভ হতে পারে না।

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে “যা খুশি তাই” না, বরং “যা না বললেই না” তেমন কথা বলার কয়েকটা উদাহরণ আমি আপনাকে দেই- চলেশ রিছিল, কল্পনা চাকমা- তারা সেনাবাহিনীর অন্যায়ের বিরুদ্ধাচার করে নিহত হন গণতান্ত্রিক সরকারের আমলেই। তাসনিম খলিল এদের থেকে কিছুটা প্রিভিলিজড নাগরিক ছিলেন হয়তো, তাই নির্যাতিত হয়ে দেশ ছাড়তে হলেও প্রাণটা ছাড়তে হয় নাই। খুব বলিষ্ঠ কণ্ঠে সেনাবাহিনীর কাজের সমালোচনা করেন শহিদুল আলম। কিন্তু তিনি আরেকটু বেশি প্রিভিলিজড- আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী, একটিভিস্ট, নামজাদা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার দেবার দাওয়াত পান, প্রেস্টিজিয়াস ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ডাক পান- হয়তো সেরকম আন্তর্জাতিক যোগাযোগের খাতিরেই তিনি শারীরিক নির্যাতন থেকে রেহাই পান।(কাপুরুষরা শক্তের ভক্ত হয়েই থাকতে চায়, যম হয় নরমের। অনলাইন পত্রিকার খবরে দেখলাম, জনৈক ক্যাপ্টেন আনিস রাস্তাঘাটে লাইনে না থাকা ড্রাইভারদের পিটিয়ে বেড়া্ন, তার পিটাপিটি শেষ হলেই কেবল ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেন। কাপুরুষ ক্যাপ্টেন আনিসেরা, গ্রো সাম বলস!)। কিন্তু শহিদুল আলমের লেখা আমাদের পড়তে হয় অনলাইনে, দেশের পত্রিকায় সেই লেখার জায়গা হয় না, তাঁর আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। অনার্য সঙ্গীতও অলরেডি ক্যান্টনমেন্টে একটা চায়ের দাওয়াত পেয়েছেন দেখলাম। ওদিকে তাকে কাঁঠালের ভয় দেখিয়ে মজা নিচ্ছেন চরম উদাস।

বাইদাওয়ে, কেউ যা খুশি তা বললেই বা সমস্যা কী? অস্ত্রের জবাবে নিরস্ত্র হয়তো খুব অসহায় থাকে, কথার জবাবে কথা বলতে তো অসহায় বোধ করার কিছু নাই। কথাকে এরকম ভয় পাবার কারণ কী? এগেইন, প্লিজ গ্রো সাম বলস!
আপনি আরো জানালেন, পেশাগত সীমাবদ্ধতার কারণে আপনাদের নাকি সব মুখ বুজে মেনে নিতে হয়।

“পেশাগত সীমাবদ্ধতা”। একজাক্টলি দা পয়েন্ট।

মইন ইউ আহমেদের স্মৃতিচারণা থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালে “দেশ উদ্ধারে” কী করা যায় তা নিয়ে যখন তিনি চিন্তাভাবনা করছিলেন, সেই সময় জাতিসংঘ থেকে তিনি একটা ফোন পান, তাকে বলা হয় সেনাবাহিনীর কোন অযাচিত হস্তক্ষেপে পিস মিশন থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নাম কাটা যেতে পারে। সেই ডাইলেমাতে পড়ে নাকি ওইসময় রাতে তার ঘুম আসতো না।

সেনাপতির দুশ্চিন্তার কথা এখানে একজন দেশপ্রেমিক আদম বেপারির দুশ্চিন্তার মত শোনায়।

হাতিরঝিল প্রকল্পের নিয়োগপ্রাপ্ত স্থপতি-প্রকৌশোলীদের নকশা অনেক জায়গায় নানান “অনিবার্য” কারণে বদলে ফেলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সেনাবাহিনী। কিন্তু নকশার যে কোন সংশোধন, পরিবর্তনের দায়িত্ব পুনরায় কোন স্থপতি-প্রকৌশোলীর উপরেই বর্তানোর কথা, ঠিকাদারের উপরে না। গণতন্ত্রের স্বার্থে যদি ‘মাইনাস-টু’ খুব জরুরিও হয়, তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের উপর, সামরিক গোয়ান্দা সংস্থার উপরে না। রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে গণতন্তের চর্চা করে মাইনাস-টু আদায় না করতে পারলে গণতন্ত্রের স্বার্থ উদ্ধার হবার কোন সম্ভাবনা থাকে না। দেয়ার ইজ সিমপ্লি নো গ্লোরি ইন মেইকিং পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর দি পলিটিশিয়ান্স। আচ্ছা বলেন তো, ডাক্তারের উপরে ডাক্তারি করা কি উচিত? তা রোগীর সেখানে যত বড় স্টেইক-ই থাকুক না কেন? ডাক্তারের কাজ কোন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডাক্তারকেই করতে দিতে হবে। এটা গেল পেশাদারিত্বের কথা।

অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখল করাটা কেবল অপেশাদার বা অগণতান্ত্রিকই না, আধুনিক সমাজে তা রীতিমত অসভ্যতা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই অশ্লীল, অপেশাদার, অন্যায়, অসাংবিধানিক কাজটা বারবার করে ফেলে।

অস্ত্রের জোরে রাস্ট্রক্ষমতা দখল, বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড; রাজনীতিবিদ, আদালত থেকে শুরু করে স্থপতি, বেপারি থেকে ট্রাফিক পুলিশ পর্যন্ত কারো কোন কাজই আপনাদের পেশাগত দায়িত্বের সীমার বাইরে পড়ে না দেখে আমরা অনেকে ভুলে যেতে বসি যে, আপনাদেরও একটা পেশাগত সীমাবদ্ধতা আছে। অনার্য সঙ্গীত সেই সীমাবদ্ধতার কথা আমদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতেই এই লেখাটা লিখসেন।

একজন সেনাসদস্য জানতে চেয়েছেন, আমরা জানি কিনা- হোয়াই আ স্টেইট নিডস এন আর্মি? বলা হয়, এভরি স্টেইট নিডস এন আর্মি, হোয়াইল পাকিস্তান আর্মি নিডস আ স্টেইট। আমরা পাকিস্তানের মত হতে চাই না। তাই আমাদের আসলেই জানা খুব জরুরি- হোয়াই আ স্টেইট নিডস এন আর্মি। আপনাদের তরফ থেকেই এই প্রশ্নের সবথেকে ভালো উত্তর পাবার আশা রাখি আমি। রাস্ট্র আর শাসনব্যবস্থার ধরন অনুযায়ী এই উত্তর ভিন্ন ভিন্ন হবার কথা। রাজতন্ত্রে, স্বৈরতন্ত্রে, গণতন্ত্রে নিশ্চয় এই প্রয়োজনীয়তা একই রকম হবে না। উপনিবেশে যেমন হবে, স্বাধীন সার্বভৌম রাস্ট্রে তেমন হবে না। তাই প্রশ্নটা করতে হবে- একটা স্বাধীন, সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রে, একটা গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় আমাদের আর্মি কেন দরকার?
এই যে ধরেন, শহরের মাঝে ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন, এই প্র্যাকটিসটা ঔপনিবেশিক, এমন দৃষ্টান্ত পাবেন শুধু উপনিবেশ থাকা রাস্ট্রগুলাতেই। আপনাদের ডাইনিঙে কাঁটাচামচ দিয়ে খাবার প্র্যাকটিসটাও তাই। এই প্র্যাকটিস জরুরি ছিলো ব্রিটিশ-ভারতীয় সেনাবাহিনীতে, যেন বাদামী অফিসারেরা হাত মাখিয়ে ভাত খাওয়া বাদামী নেটিভদের থেকে নিজেদেরকে আলাদা মনে করতে পারেন, নিজেদেরকে এলিট ভাবতে শিখেন, মনের ভুলে কখনো বা নিজেকে সাদাই ভাবতে পারেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ব্রিটিশ আমলের বা পাকিস্তান আমলের অনেক প্র্যাকটিসই এখনো বদলায় নাই। তাই বদলায় নাই অনেক “এটিট্যুড এন্ড বিহেভিয়ার”, সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতায় তারা এলিটিস্ট হিসেবেই ধরা পড়ে।

ক্যাপ্টেন আনিসের অন্যায়, অসভ্যতার খবরটা পড়লাম আজকেই। পুলিশ অফিসারেরা যেমন ‘অসত’ হিসেবে জন্মায় না, সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিশ্চয় ‘অসভ্য, অমানুষ’ হিসেবে জন্মায় না। সমস্যা কিছু থাকলে তা তাদের প্রশিক্ষণে বা প্র্যাকটিসেই থেকে থাকবে, থাকবে কোন ফুল মেটাল জ্যাকেটে। সেনাসদস্যদের প্রায়ই কোনঠাসা অবস্থায় এই কথা মনে করিয়ে দিতে দেখা যায় যে তারাও মানুষ। এদেশেরই মানুষ, আমাদেরই কারো ভাইবোন তারা। মনে করিয়ে দিতে হয় কেন এই কথা?! বিডিআর বিদ্রোহে নিহত অফিসারদের জানাজার সময় একজন অফিসার বুক চাপড়ে এই কথাটা বলতেসিলেন টিভি ক্যামেরার সামনে। খুবই হৃদয় বিদারক দৃশ্য ছিলো সেটা।
উপরের এক মন্তব্যে দেখা নিশা দেসাইয়ের মজলিশে হাজির কর্তাব্যক্তিদের তালিকা, বা উইকিলিক্স থেকে জানতে পারা সেনা কর্মকর্তাদের সাথে মার্কিন দূতাবাসের আলাপ আমাদের যেমন ধারণাই দিক না কেন; আমি সত্যি মনে রাখতে চাই সেনাসদস্যরা আমাদেরই ভাইবোন, আমাদের থেকে কিছু কম বা বেশি দায়িত্বশীল, কিছু কম বা বেশি দেশপ্রেমিক নন তারা, তারা আমাদেরই মত। অনার্য সঙ্গীতের মত আমিও আশা করতে চাই, গণতন্ত্রের পথে আমাদের অগ্রযাত্রায় তারা আমাদেরই মত অংশ নিবেন। লেখক বলসেন উর্দি ছেড়ে অস্ত্র, ছেড়ে অংশ নিতে। উর্দি গায়ে, অস্ত্র হাতে একজন পেশাদার সৈনিক হিসেবেও কিছু করার থাকতে পারে, যার যার জায়গা থেকে সকল পেশাজীবীরই যেমন থাকে। সশস্ত্রবাহিনীর আধুনিকায়নে ফ্রিগেট, মিগ কেনার পাশাপাশি বাহিনীকে গুণগতভাবে আধুনিক করে তুলতে কিছু পদক্ষেপও নেবার থাকতে পারে। স্যামুয়েল পি হান্টিংটনকে কোউট করলেন এই লেখার বক্তব্য কাউন্টার করতে, যেখানে “প্রফেশনাল এটিট্যুড এন্ড বিহেভিয়ার” নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কিছু কথা বলা, যা কোনভাবেই অনার্য সঙ্গীতের কোন কথার বিপক্ষে গেল না। যাবার কথা না। জনাব হান্টিংটন রাস্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলার রিফর্ম, গুণগত আধুনিকায়ন, গণতন্ত্রায়ন এসব নিয়েই কাজ করতেন। আরো বেশি মনযোগ দিয়ে ওনার লেখাগুলাই পড়ে দেখা যেতে পারে। এখানে মনযোগ বলতে আমি বাংলায় মনযোগ বুঝাতে চেয়েছি। এটেনশন আলগা করে, আরামে দাঁড়িয়ে, মনটা লাগিয়ে যেই মনযোগ ভালো দেয়া যায় বলে মনে করি।

একটা মন্তব্যে দেখলাম, আপনাদের বিরুদ্ধে আনা কোন একটা অভিযোগকে ‘সাবজেক্টিভ’ বলে নেগেইট করতে চাইলেন একজন। ‘সাবজেক্টিভ’ হওয়াটা আর্গুমেন্টের জন্য কোন সমস্যা না, উনি হয়তো বলতে চেয়ে থাকবেন ‘ভিত্তিহীন’ বা ‘কল্পনাপ্রসূত’। (প্রসঙ্গত বলি, আর্মি অফিসারদের বুদ্ধি হাঁটুতে থাকে- এই কথাটা কিন্তু স্যার একদমই অবজেকটিভলি বলা হয় না, আপনাদের বুদ্ধি জায়গা মতই থাকে, এই কথাটা অতি অবশ্যই কল্পনাপ্রসূত। কিন্তু স্বীকার করতেই হবে, এই কল্পনার শৈল্পিক মানটা দারুণ। একারণেই হয়তো কথাটা টিকে থাকে মানুষের মুখে মুখে। প্লিজ ডোন্ট টেইক ইট টু হার্ট)। এমআরটি-৯ বিষয়ে বিমানবাহিনীর দেয়া বক্তব্যে ঘন জনবসতির মাঝে সামরিক বিমানবন্দর থাকাকে ইতিবাচক বলা হয়েছিলো, তা যুদ্ধকালীন সময়ে শত্রুর আক্রমণের ঝুঁকি কমাবে বলে। স্থপতি ইকবাল হাবিবের বক্তব্যে আবার সেই মানব বর্মের ধারণাকে নিকৃষ্টতম যুক্তি বলে নিন্দা করা হয়েছিলো। সেইসব সাবজেক্টিভ আলাপের বাইরে, ঢাকা শহরের জন্য ক্যান্টনমেন্ট কেবল কী কী স্প্যাটিয়াল কারণে ক্ষতিকারক, তা আগে গুগল-আর্থে দেখে কমনসেন্স খাটিয়ে সবাইকে বুঝে নিতে বলতাম। ভুল করতাম, কারণ কমনসেন্স একে আসলে সাবজেক্টিভ, তার উপরে আবার খুব আনকমন। এই ডিজিটাল যুগে নানান স্পেইস সিন্ট্যাক্স সফটওয়্যার পাওয়া যায়, ভাবতেসি কোন একটা ভালো করে আয়ত্তে এনে একটা সিমুলেশন দিয়েই দেখানো লাগবে আপনাদের। সফটওয়্যারের হিসাবনিকাশ, বিলকুল অবজেক্টিভ হবে। যদিও আমি নিশ্চিত তখন আবার আপনারা নানান সাবজেক্টিভ আলাপে উতসাহ দেখাবেন।

হিমু ভাই আপনাদের জন্য অলরেডি একটা অবজেক্টিভ প্রশ্ন রেখেছেন দেখলাম। বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে আমারো ধারণা এমন যে, সেনাসদস্যরা অবজেক্টিভ পছন্দ করেন। সাবজেক্টিভ, শৈল্পিক (বা রোমান্টিক, রসিক, বৈপ্লবিক) সব ধরনের “নুইসেন্স” তারা খুব অপছন্দ করেন। আঁকাবাঁকা পথে হাঁটতে দিলে তাদের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, তারা লেখা অর্ধেক পড়ে বা না পড়েই কনক্লুশনে চলে যেতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন,(সোভিয়েত কৌতুক বলে, আর্মি অফিসারদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি রুবিক্স কিউবে ছয়টা তলই নাকি লাল রঙের থাকে)। তাদের সঙ্গে কখনো কোন আর্গুমেন্ট আমি লাইনে রাখতে পারি না, এই ব্যর্থতা হয়তো আমারই, আমারই হয়তো কদম মিলে না। কিন্তু এই লেখাটার আসল বক্তব্যের ব্যাপারে আপনাদের মতামত আমি সত্যিই খুব জানতে ইচ্ছুক ছিলাম। তাই প্রশ্নটা সেনাসদস্যদের জন্য অবজেক্টিভ আকারে রেখে গেলাম-

“গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সশস্ত্রবাহিনী কোন রাজনৈতিক পক্ষ হতে পারে না”, আপনি কি এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত?
অপশন লেফটঃ হ্যাঁ
অপশন রাইটঃ না

অত্যন্ত সুলিখিত লেখাটার জন্য অনার্য সঙ্গীতকে অশেষ ধন্যবাদ।

ওয়াইফাই ক্যানসার এর ছবি

চলুক

sumon এর ছবি

sattapir vai. Who is crying? I just corrected your wrong statement. If you have the knowledge please mention what all are the extra benefit military people get from others.

সত্যপীর এর ছবি

প্রায়োরিটির ব্যাপারটা মাথায় ঢুকছে?

..................................................................
#Banshibir.

হাসিব এর ছবি

১। ঢাকা শহরের ক্যান্টনমেন্ট

আরো বলবো?

নিলয় নন্দী এর ছবি

দেশের মানুষেরা এই সময়ে বুঝে গেল দেশটা তাদের আপন কেউ নয়। দেশ তাদের অস্তিত্বের কোন অংশ নয়। বরং দেশটাকে নিংড়ে যতটুকু পারা যায় নিজে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করাই ভালো।

চলুক চলুক চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

বিশাল লেখা! বিশাল বিশাল কমেন্টসমূহ!! বিশাল বিশাল বিশাল তথ্য!!!

লেখকের সাথে সম্পূর্ণ একমত। তবে মন্তব্যের বিতর্কটা উপভোগই করছি। হাসি

-এস এম নিয়াজ মাওলা

শাফায়েত এর ছবি

এখানে যেসব সেনাসদস্যরা লেখার সমালোচনা করতে আসছেন তারা স্বভাবগত ঔদ্ধত্য আর নিজেদের আলাদা ভাবার প্রবণতায় উল্টাপাল্টা লিখছেন, একজন ঢাবিকে নুইসেন্স বলছেনতো আরেকজন বলছেন শুধু ক্যান্টনমেন্টে সভ্য মানুষ থাকে আর বাকিদের তাদের কাছে সভ্যতা শিখতে হবে!! অনার্য সঙ্গীত এবং অন্যান্য ব্লগারদের করা অভিযোগের ৮৫% যৌক্তিক হলেও কিছু অভিযোগ যৌক্তিক না। যেমন ক্যান্টনমেন্টে সিভিলিয়ানদের ঢোকা খুব একটা কঠিন ব্যাপারনা, আপনি ক্যান্টনমেন্টগামী বাসে উঠে বসলে আপনাকে কেও জিজ্ঞেসও করবেনা কোথায় যাচ্ছেন, তবে গাড়ি নিয়ে ঢুকতে চাইলে জিজ্ঞেস করবে(তাদের হাস্যকর সিকিউরিটি সিস্টেমের একটা উদাহরণ এটা, আরো অনেকগুলো দিতে পারবো!), আমি যতটুকু জানি সব দেশেই ক্যান্টনমেন্ট সংরক্ষিত এলাকা যেখানে সাধারণ মানুষ সহজে যেতে পারেনা, তবে এটাও ঠিক যে ক্যান্টনমেন্ট কখনোই শহরের মাঝে থাকার কথানা। আর সব অফিসাররা যে বিলাশবহুল জীবনযাপন করেন সেটাও ভুল, মাঝারি পদের অধিকাংশ অফিসারদের ইনকাম মধ্যবিত্তদের থেকে খুব একটা বেশি না, তাদের বাড়ি-রেশন সহ কিছু সুবিধা দেয়া হলেও বেতনের স্কেল বেশ কম, সিভিল অনেক মানুষ বা সরকারী অনেক কর্মকর্তা এদের থেকে বিলাশবহুল ভাবে থাকে। আর সেনাবাহিনীর সবাই অফিসার না, সাধারণ সৈনিকরা সুবিধা অনেক কম পায়। এদের ইনকামের মুল উৎস জাতিসংঘের মিশন(সেনাবাহিনীর অস্ত্র কেনার টাকাও অনেকটা উঠে আসে মিশনে অস্ত্র ব্যবহারে প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার মাধ্যমে)। আর এটাও মনে রাখতে হবে তাদের খুব কঠিন ট্রেনিং করতে হয়, সবসময় চাপের উপর রাখা হয়, নিজের স্বাধীনতা খুব কম, সাধারণ মানুষের সাথে মেশার সুযোগ অনেক কম, তাই তারা ব্লগে সাধারণদের সাথে কথা বলতে এসে এরকম অদ্ভূত আচরণ করছে!

কেও আবার ভেবে যেন না বসে আমি তাদের ডিফেন্ড করতে এই কমেন্ট করছি। ঢাবির ছাত্র হিসাবে ৭/১১ এর হামলাই তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা দিতে যথেষ্ট, আর সাথে সেনাশাসনের অন্যান্য ইতিহাস, সিভিলিয়ানদের মানুষ মনে না করা ইত্যাদিতো আছেই। এখানে মুস্তাফিজ মামুন সহ বাকি সেনাসদস্যদের মন্তব্য পড়েই যথেষ্ট বিরক্ত লেগেছে, সেনাবাহিনীর হাজারো নেতিবাচক দিকের পাশে যত ইতিবাচক অর্জন আছে সেগুলো ম্লান হয়ে যায় তাদের উদ্ধত আচরণের জন্য, মাটিতে পা রাখতে না পারলে কখনোই তারা সাধারণ মানুষের ভালোবাসা পাবেনা।

দুর্দান্ত এর ছবি

কাঠমোল্লারা উর্দু কিতাব থেকে কোটেশান দেয়।
হাঁটুরা এক্সপায়ারি ডেট পার হওয়া আম্রিকান কিতাব থেকে কোটেশান দেয়।

***
সেনাবাহিনীর কাজ প্রতিরক্ষা। বিশ্বযুদ্ধ লাগলে কোন কথা নাই, কিন্তু আন্চলিক যেকোন কাইজায় বাংলাদেশী সেনাবাহিনী ঠিক কিভাবে বাংলাদেশকে ভারতের বিরুদ্ধে সুরক্ষিত করবে, সেটা গবেষণার বিষয়। ডিফেন্স ডক্ট্রিন আর সামরিক কর্মক্ষমতার দিক থিকা দেখলে তুলনামূলক হিসাবে ৭১ সালের পাক বাহিনীর চাইতে ২০১৩ সালের বাংলাদেশে সেনাবাহিনী কোন অংশে শক্তিশালী হয়নাই, উল্টা ভারতীয় সেনাবাহিনীর নিজস্ব সামরিক উতপাদন ক্ষমতা দশ পনেরো গুণ বারছে, আর আমরা আরো পাকাপোক্ত ভাবে আমদানি নির্ভর রপ্তানিকারক হয়েছি।

জলপাই ভাইয়েরা গরম গরম কথা বললেও তারা জানেন গার্মিজের আপাদের চাইতে দেশের প্রতি তাদের অবদান ও হ্য়াডম ক্ষুদ্রতর। তাই তারা সরব সমালোচকের পশ্চাতে লাথি মারে আর সময়ে সময়ে সংসদ ভবন হাইজ্য়াক করে।

হাসিব এর ছবি

নিচে দেখেন আফজাল ওমর শরীফ ভাইয়া বলতেছেন মহড়ার শোডাউন করে নাকি ইন্ডিয়া বার্মারে ঠেকায় দেয়া যায়। ভাবখানা যে ইন্ডিয়া বার্মা এরা বাংলাদেশে আর্মির শক্তিমত্তা সম্পর্কে অবহিত না। হামলাটামলা না করে বাণিজ্য করতে পারলে আরো বেশি লাভ এইটা পৃথিবীর প্রায় সব দেশগুলোই এখন বোঝে। খামোখা শতবর্ষি পুরনো যুক্তি বারবার দেখায় এরা নিজেদের এক্সারসাইজের টাকাপয়সা যোগাড় করে।

সাইদ এর ছবি

একটা তথ্য জানতে চাচ্ছি

সশস্ত্র বাহিনীর সেনাবাহিনীর উপর সাধারণ মানুষ যতটা ক্ষেপে থাকে ততটা কি বিমান ও নৌবাহিনীর উপর থাকে?
যদি উত্তর না হয় তাহলে সশস্ত্র বাহিনীর জায়াগায় সেনাবাহিনী বলাটা কি যুক্তিযুক্ত হবে না?

আমি বিমান বা নৌবাহিনীর কাউকে এখন পর্যন্ত এই লেখার কোন মন্তব্য বা সমালোচনা করতে দেখিনি কোন ফোরাম বা ফেসবুকে।

হাসিব এর ছবি

কেউ তাদের আলাদা করে দেখে বলে মনে হয় না। কারণ হতে পারে চরিত্র বিচারে এরা সবাই একরকম। অতএব কী নামে ডাকা হলো সেটা গুরুত্বপূর্ণ না।

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন লেখা কিন্তু তারচেয়েও দারুন সব মন্তব্য। শুধু একটা কথা বলতে চাই ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে, আমার খুব ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর হাজবেন্ড আর্মি অফিসার। বেতন কম হলেও যেই সুবিধা তারা পায় তা কিন্তু আমাদের কল্পনারও বাহিরে। আর্মিরা যদি নিজেদের এলিট আর বাকি সবাইকে সিভিলিয়ান ভাবার অভ্যাস দূর করতে না পারে তবে কোনদিনই তারা অন্যদের পাশাপাশি আসতে পারবে না।
ইসরাত

অতিথি লেখক এর ছবি

স্কুল জীবনে সহপাঠীদের অর্ধেকই ছিল সেনা পরিবারের সন্তান। খুব কাছ থেকে বুঝতে পেরেছি এদের মানসিকতা। আর তথন তো বাংলাদেশের শাসনক্ষমতাই ছিল তাদের আঙ্কেলদের হাতে!
একদিন একজন জিজ্ঞেস করল, ‘বন্ধু স্কুল শেষে রোদে হেঁটে হেঁটে বাসায় কেন যাস? তোদের ড্রাইভার কোথায়?’
ওইটুকু বয়সেই মুখ ফসকে বলে দিয়েছিলাম ‘একদিনের রিক্সা ভাড়া ৫ টাকা বাঁচিয়ে আমাকে পুরা সপ্তাহের টিফিনের সিঙ্গারা কিনতে হয়, আর আমার সিভিলিয়ান বাবার ট্যাক্সের পয়সায় তোদের ড্রাইভারের বেতন দিতে হয়’ ।

......জিপসি

হিমু এর ছবি

জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কর্নেল (অব.) আলী আহমদ আর লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আতাউর রহমান "সচেতন সিলেটবাসী" ব্যানারে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ব্যবস্থা বাতিলের জন্য আর্জি জানিয়ে এসেছেন (সূত্র)।

যেসব অফিসার সশস্ত্রবাহিনীকে লেখক "হাঁটু" বলায় হাউকাউ করলেন, তারা এইবার কানে ধরে পঞ্চাশবার ওঠবোস করেন। এখনও হয়তো ক্যাপ্টেন মেজর র‍্যাঙ্কে আছেন দেখে বুদ্ধিশুদ্ধি কিছুটা অবশিষ্ট আছে, যখন লেফটেন্যান্ট কর্নেল বা কর্নেল হিসাবে অবসর নিবেন, তখন সলিড কাঠবলদ হিসাবে বাইর হবেন আর নাগরিক সমাজের সুবিধা রহিত করার জন্য এইখানে সেইখানে নুইস্যান্স হিসাবে হাজির হয়ে উৎপাত করবেন।

সুবোধ অবোধ এর ছবি

যেসব অফিসার সশস্ত্রবাহিনীকে লেখক "হাঁটু" বলায় হাউকাউ করলেন, তারা এইবার কানে ধরে পঞ্চাশবার ওঠবোস করেন। এখনও হয়তো ক্যাপ্টেন মেজর র‍্যাঙ্কে আছেন দেখে বুদ্ধিশুদ্ধি কিছুটা অবশিষ্ট আছে, যখন লেফটেন্যান্ট কর্নেল বা কর্নেল হিসাবে অবসর নিবেন, তখন সলিড কাঠবলদ হিসাবে বাইর হবেন আর নাগরিক সমাজের সুবিধা রহিত করার জন্য এইখানে সেইখানে নুইস্যান্স হিসাবে হাজির হয়ে উৎপাত করবেন।

চলুক

জালাল এর ছবি

এ কমেন্টে মনে হচ্ছে ফ্যালাসি আছে। অনেক মানুষ এর সাথে যুক্ত - সিলেট, শাবিপ্রবির অনেকে। শুধু দুজনকে বেছে তাদেরকে বোকা বলাটা সিলেকটিভ বায়াস। অধিকাংশ সিলেটবাসীই বোকা, হাটু, ভোদাই - যাই বলুন না কেন। শুধু তারা দুজন নন। কোনো এক সাইটে সব পালের গোদাদের নাম আছে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

গুরু গুরু

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।