“তাদের মাংস ও তাদের রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছয় না, কিন্তু তোমাদের সীমারক্ষা তাঁর কাছে পৌঁছয়।“(পবিত্র কোরআন, ২২:৩৭)*
তাফসির না তায়িল? বাতিন না জাহির? কোন পথে আসে অর্থ? রূপে না রূপকে প্রকাশ স্রষ্টার সমুদয় বাণী? এই প্রশ্ন পুরোন। তবু অর্থের আরেক অর্থ জানি। ধর্মে যে সেই অর্থেরও অন্বেষণ চলে। রূপ আর রূপকের একই গন্তব্য তখন- অর্থ। ক্ষমতাও বটে, প্রকারন্তরে।
কোরবানি ত্যাগ। কিন্তু কী ত্যাগ? লাখ টাকায় কেনা দুদিনের দর্প? নাকি তাও নয়?এই নগরের পুঁজিপতিরা তারা বছরে একবার যৎসামান্য খরচার বিনিময়ে হাভাতে মানুষগুলোকে বুঝিয়ে দেয় - দেখো এইভাবে বাজার থেকে কিনে এনে এগুলোকে এইভাবে জবাই দেয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে। আর একথা সর্বমান্য - পশুর উপর মানুষের প্রশ্নাতীত অধিকার থাকে। না। সব মানুষের নয়, সামর্থ্যবান মানুষের। ক্ষমতাবান মানুষের - যাদের ক্ষমতাহীন মানুষের অস্তিত্বের উপরও থাকে নিরঙ্কুশ অধিকার। আর এই সংযোগে, ক্ষমতাহীন মানুষ পশুর সঙ্গে সমীকৃত হয়। কোরবানি আসে যায়। নিজ নিজ অবস্থানে টিকে থাকে মানুষ আর পশু। টিকে থাকে বড়লোক আর ছোটলোক।
এইভাবে যে যার সীমারক্ষা করে? না। নিশ্চয়ই না। কারণ বিশ্বাসীরা জানে, মানে, স্রষ্টার কাছে একদিন জবাবদিহি করতে হবে। আমাদের আনন্দ, আমাদের বিলাস, আমাদের শ্রেণীদম্ভ, আমাদের যাবতীয় সীমাবদ্ধতা - সবকিছুর মাঝেও বিশুদ্ধ গ্লানির মতো খানিকটা সত্যিকারের ত্যাগস্পৃহা যেন আমাদের চেতনালোকে ঠাঁই করে নেয়। কুরবানিতে আমরা যেন আমাদের ঔদ্ধত্যের সীমারক্ষা করি।
পরিশেষে ... আজ অভিজাত বিপণিকেন্দ্র আড়ংয়ের (গুলশান শাখায়) কাঁচ ভেঙ্গে ঢুকে তান্ডব চালিয়েছে ক্ষুব্ধ এক ষাঁড়। সেও আবার শ্রেণীসংগ্রামে লিপ্ত নাতো?
____________________
কাজী আবদুল ওদুদের অনুবাদ থেকে
মন্তব্য
হা হা হা !
আমাদের মানুষের মধ্যে সংগ্রামী চেতনাবোধ যখন মিইয়ে আসছে, শ্রেণীসংগ্রামের দায়িত্ব সে-ই স্বেচ্ছায় নিয়ে নিচ্ছে কিনা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আজ অভিজাত বিপণিকেন্দ্র আড়ংয়ের (গুলশান শাখায়) কাঁচ ভেঙ্গে ঢুকে তান্ডব চালিয়েছে ক্ষুব্ধ এক ষাঁড়। সেও আবার শ্রেণীসংগ্রামে লিপ্ত নাতো?
...................................................... দারুন বলেছেন ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
অনিন্দ্য,
আপনার 'টিভি সাংবাদিক হিসেবে ক্ষমাপ্রার্থী '-অসাধারণ!
অনেক পরে চোখে পড়েছিল। তাই এই লেখার সঙ্গে সেই ভালোলাগাটা জুড়ে দিলাম।
একজন টেলিভিশন মিডিয়া কর্মী হিসেবে এই অনুভূতিটা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল। আপনার লেখায় সেই প্রকাশটা ভাষা পেলো, যদিও আপনার চিন্তায়।
ভালো থাকবেন।
নতুন চাকুরীস্থল কেমন লাগছে?
পার্থ সনজয়
ধন্যবাদ পার্থদা। নতুন চাকরি ... এখনো নতুন কিছু দেখছিনা। দেখব হয়ত। ভালো থাকবেন।
------------------------------------------------------------------------
The philosophers have only interpreted the world in various ways; the point, however, is to change it.
[MARX : Theses on Feuerbach]
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অনিন্দ্য,
চমৎকার লেখার জন্য আরও একবার অভিনন্দন।
লেখায় (বিপ্লব)
---
আচ্ছা, উৎসবের নামে, ধর্মের নামে এই সব হাজার হাজার নিরীহ প্রাণী হত্যার মানে কী? একবিংশ শতাব্দীতেও এই প্রশ্নটি বুঝি এখনও অবান্তর!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ষাঁড়ের প্রতিবাদটাই হয়তো এই সময়ের ভরসা...
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
দারুন হয়েছে ...
পরিশেষে ... আজ অভিজাত বিপণিকেন্দ্র আড়ংয়ের (গুলশান শাখায়) কাঁচ ভেঙ্গে ঢুকে তান্ডব চালিয়েছে ক্ষুব্ধ এক ষাঁড়। সেও আবার শ্রেণীসংগ্রামে লিপ্ত নাতো?
- বিপ্লবী ষাঁড়কে জাঝা
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সরল সত্য
============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।
============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।
জয়নুলের ছবিটা সংযোজনের জন্য ধন্যবাদ।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
নতুন মন্তব্য করুন