তৎকালে যাহা নাই, তাহাও ছিল না, যাহা আছে, তাহাও ছিল না। পৃথিবীও ছিল না। অতি দূরবিস্তার আকাশও ছিল না। আবরণ করে, এমন কি ছিল? কোথায় কাহার স্থান ছিল? দুর্গম ও গম্ভীর জল কি তখন ছিল? তখন মৃত্যুও ছিল না, অমরত্বও ছিল না; রাত্রি ও দিনের প্রভেদ ছিল না। কেবল সেই একমাত্র বস্তু বায়ুর সহকারীতা ব্যতিরেকে আত্মামাত্র অবলম্বনে নিশ্বাস-প্রশ্বাসযুক্ত হইয়া জীবিত ছিলেন। তিনি ব্যাতীত আর কিছুই ছিল না। (ঋগ্বেদ থেকে রমেশচন্দ্র দত্তকর্তৃক অনুদিত)
১/
যখন “না” ছিল, তখন ঈশ্বর ছিল। বিশুদ্ধ “না” কল্পনা করা মানুষের সাধ্যাতীত। অতএব “সেই একমাত্র বস্তু”র, অমূল্য বস্তুর সন্ধানে বাংলাদেশ। নির্বাচনে “না-ভোটে”র সুযোগ এই আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানের মহাসুযোগ। জানি, দার্শনিক আলাপের সময় এটা নয়। তবু কোনো একভাবে তো শুরু করতে হবে। বিশেষ করে “না-ভোট” যখন সর্বব্যাপিতা লাভ করেছে। আসলে সর্বব্যপিতা নয়, মূলত শহরের আকলমন্দরা এই মোক্ষম গণতান্ত্রিক অস্ত্রটিকে নতুন খেলনার মতো বারবার সবিস্ময়ে ছুঁয়ে দেখছেন, এবং নিরাপদ জায়গায় তুলে রাখছেন। কেউ খেলনাটির বদনাম করলে দু-কথা শুনিয়েও দিচ্ছেন। বলছেন আপনারা গেঁয়ো তাই এর গুরুত্ব ধরতে পারছেন না। এক ব্যক্তি কোনো এক ব্লগে লিখেছেন -
“আর না ভোট সম্পর্কে গ্রামের কজন জানে? আপা বলল "কাকে ভোট দেব? কাউকে তো পাইনা"। আমি বললাম না ভোট দেন। বলল "খালি খালি ভোটটা নষ্ট করার দরকার কি?” তাহলে বোঝেন এর সফলতা কিভাবে আসবে? গ্রামের লোকজন কেউ ভোট নষ্ট করতে চায় না। পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি বিজয় যার দিকে ঝুলে গেছে বলে মনে হয় মানুষ তাকেই ভোট দিচ্ছে। কারণ তারাও তার ভোটটাও নষ্ট করতে চায় না।”
আমার মনে হয় গ্রামের লোকেদের রাজনীতি-অসচেতন ভাবাটা আমারা যারা ইন্টারনেট এলিট তাদের একটা স্বভাবে পরিণত হয়েছে। যা খুশি তাই তাদের নিয়ে বলা যায়, কারণ ব্লগের তথাকথিত মিথস্ক্রিয়া তাদের বাদ দিয়েই সুসম্পন্ন। অন্যদিকে, আমরা ভোটটা নষ্ট করতে চাই বটে। আমরা বড় বড় দালানে ঘুমাই। কে ক্ষমতায় আসল না আসল তাতে আমাদের খুব কমই যায় আসে। তবু, শ্রেণীবৈশিষ্ট্যে বিপরীতে গিয়ে কিছু কথা বলতে হচ্ছে এখানে। শুনতে যেমনই লাগুক।
যদি আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, যদি আমরা সরকাররূপী-মিলিটারি নামক অদ্ভূত উটের পিঠে না চড়তে চাই, তাহলে কোনো একটি দল ক্ষমতায় আসবেই এটি আমাদের বিশ্বাস করতে হবে এবং মেনে নিতেও হবে। তাহলে এই দলগুলোর মধ্যেই বেছে নেয়া ছাড়া আমরা কীই বা করতে পারি। নাকি না-ভোট দিয়ে আমি একটা বিপ্লব করে ফেলব? এই সুযোগে দায়মুক্তও হয়ে নিব? যেই ক্ষমতায় আসে আসুক, বলব - আমি তো “না-ভোট” দিয়েছি। নাকি আমি ঠিক এতটা স্বার্থপর নই। তাহলে কি জাতির বৃহত্তরে স্বার্থে “না-ভোট” দিচ্ছি?
২/
“না-ভোটে”র নাকি একটা গভীর ও ব্যাপক অর্থ রয়েছে। আমিও তাই বলি। শহুরে উচ্চ মধ্যবিত্তের জন্য ফ্যাশনেবল এই উদ্দীপক বস্তুটি কেবল না বলে না, সেই সাথে আরো অনেককিছুই বলে, যেটি আসলে বলতে চাওয়া হয়নি। এখানেই এর প্রধান তাৎপর্য।
কিন্তু মুশকিল হল, “না-ভোটে”র বিধানটিকে কোনোভাবেই গনতন্ত্রের বাচ্যার্থ ও লক্ষ্যার্থ কিছুর সাথেই মেলাতে পারছিনা। মুশকিল বহুমুখী। এখানে উদাহরণ দিয়ে দিলাম।
ধরা যাক আমার ব্যালটপেপারে নিচের ৫ টি নাম আছে।
১ ক দলের প্রার্থী
২ খ দলের প্রার্থী
৩ গ দলের প্রার্থী
৪ স্বতন্ত্র
৫ “না-ভোট”
এই ব্যালটপেপার অনুযায়ী সম্ভাব্য পরিস্থিতগুলো বিবেচনা করি -
পরিস্থিতি-১
আমি “না-ভোট” দিলাম কারণ ১-,২-,৩- বা ৪ নম্বর কাউকেই আমি যোগ্য মনে করি না। সেটা হতেই পারে। কিন্তু কেন মনে করি না? ধরা যাক, ১ ও ৪ নম্বর প্রার্থীকে আমি ব্যক্তি হিসেবে এলাকার উন্নয়ন কিংবা রাষ্ট্রীয়নীতি নির্ধারণের যোগ্য মনে করি না। ২,৩ এমন দলের প্রার্থী যে দলটিকে আমি কখনোই ভোট দিব না। এখন আমার “না-ভোট”টি যখন জয়যুক্ত হল, এবং সেকারণে নতুন করে ভোট হল। নতুন যে ভোট হবে সেখানে আইন অনুযায়ী ১-,২-,৩- ও ৪ নম্বর প্রার্থী দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু খ ও গ দল কিন্তু প্রার্থী দেয়ার ক্ষমতার হারাচ্ছে না। সুতরাং এই হিসাবে যতক্ষণ ক দলের প্রার্থী আমার মন মত না হচ্ছে ততক্ষণ আমি না ভোট দিতেই থাকব। তাহলে খ ও গ দলকে আসলে ক দলের প্রার্থী নির্বাচনের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এটি গনতান্ত্রিক নয়।
পরিস্থিতি- ২
ধরে নিচ্ছি এই এলাকায় খুব স্বাভাবিকভাবে ক কিংবা খ দলেরই জিতার কথা। আমি “না-ভোট” দিলাম কারণ ক ও খ কোনো দলের প্রার্থীকেই আমি যোগ্য মনে করি না। তাহলে “না-ভোট” জয়যুক্ত হয়ে ৩- ও ৪ নম্বর প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়ানোর অধিকার কেন হারাবেন? এটি কোন হিসাবে গণতান্ত্রিক?
পরিস্থিতি-৩
এটা পরিস্থিত ২ এরই কিঞ্চিত ভিন্নরূপ। আমি “না-ভোট” দিলাম কারণ ১-,২-,৩ নম্বর প্রার্থী কেউই যোগ্য নয়। ৪ নম্বর সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই নেই। সবার সম্পর্কেই যে স্পষ্ট ধারণা থাকবে এমন আশা করা ঠিক নয়। সেক্ষেত্র ৪ নম্বর প্রার্থী কেন প্রার্থীতা হারাবেন?
পরিস্থিতি-৪
“কোনো আসনে সার্বিকভাবে না-ভোটের সংখ্যা পঞ্চাশ শতাংশের বেশি হলে ঐ আসনের ফলাফল বাতিল” (নির্বাচনী তথ্য কণিকা অনুসারে)। এখানে “সার্বিকভাবে” শব্দটি লক্ষ্যণীয়। এর মানে কি ঐ আসনের মোট ভোটারের পঞ্চাশ শতাংশ নাকি প্রদত্ত ভোটের পঞ্চাশ শতাংশ? যদি মোট ভোটারের পঞ্চাশ শতাংশ হয় তবে কিছু বলার নেই। কিন্তু যদি প্রদত্ত ভোটের পঞ্চাশ শতাংশ হয় সেক্ষেত্রে হিসাবে গোলামাল হয়ে যাচ্ছে। যারা ভোট দিতে আসেননি তাদের ভোটকে মোটা দাগে না-ভোটের আওতায় ফেলে দেয়া হচ্ছে। এই এলাকায় ভোট দিতে যারা আসেনি তারা আসলে এবং ভোট দিলে না ভোটের সংখ্যা অর্ধেকের কম হত। সেক্ষেত্রে যারা ভোট দিতে আসেনি তারা কেন “না-ভোটে”র দায় নিবে? উল্লেখ্য বাংলাদেশের কোনো নাগরিকই আইনত বাধ্য নয়।
পরিস্থিতি-৫
“কোনো আসনে কোনো প্রার্থী না-ভোটের চেয়ে কম ভোট পেয়েও নির্বাচিত হতে পারে” (নির্বাচনী তথ্য কণিকা অনুসারে)। তাহলে না-ভোটের ফাংশন কী? কোনো এক বা একাধিক প্রার্থীর ভোট কাটা? এটিকে খুব একটা গণতান্ত্রিক মনে হচ্ছে?
সে যাক। এই নিছকই গাণিতিক হিসাব-নিকাশের উপর অনেক কিছুই বলা যায়। নির্বাচনী গনতন্ত্রের গোটা কনসেপ্টের ভিতরেই নানা রকম শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। যে এই ফাঁকিটা বেশি ব্যবহার করতে পারে দেখা যায় সেই শেষমেষ জিতে।
৩/
আমি মনে করি এই না-ভোটের একটি রাজনৈতিক বিশ্লেষণও জরুরি।
বাংলাদেশে ভোটাভুটির বিষয়টি প্রথাগতভাবেই নেতিবাচক (খারাপ অর্থে বলছিনা, বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করছি মাত্র)। আমরা ওমুকের পক্ষে ভোট কম দেই। যতনা তমুকের বিপক্ষে দেই। এখনো অনেকেই মানবেন বাংলাদেশে দুইরকম ভোট আছে আওয়ামীলীগ আর অ্যান্টি আওয়ামীলীগ। আবার অ্যান্টিজামাত ভোটও একটা ফ্যাক্টর। এই ভোটগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির খুব স্বাভাবিক বহিপ্রকাশ।
ধরি, ক আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে না। এটাই তার প্রায়োরিটি। তাহলে ভোটটা, খুব স্বাভাবিকভাবেই আওয়ামীলীগের নিকটস্থ প্রতিদ্বন্দ্বীকেই দিবে। সে যেই হোক।
আবার ধরি, খ জামাতকে (জামাত-শিবির-রাজাকার) ভোট দিবে না। এটাই তার প্রায়োরিটি। তাহলে ভোটটা খুব স্বাভাবিকভাবেই জামাতের নিকটস্থ প্রতিদ্বন্দ্বীকেই দিবে। সে যেই হোক।
এখন ক এর পক্ষে জামাতকে ভোট দেয়া সহজ না খ এর পক্ষে আওয়ামীলীগকে ভোট দেয়া সহজ? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রেক্ষিতে আমার একেবারেই ব্যক্তিগত বিশ্বাস থেকে বলব খ এর পক্ষে আওয়ামীলীগকে ভোট দেয়াটাই বেশি সহজ। এবং আমি আরো মনে করি এবারের নির্বাচনে ক এর খ এর মতো ভোটারের সংখ্যাটা বেশি। কিন্তু না-ভোটের অপশন থাকলে খ এর দেয়া আওয়ামীলীগের ভোটগুলোই কিছুটা কাটা পড়বে। এখানে অন্তত দুঃখের সাথে বলছি নিরূপায় হয়েই এখনো আওয়ামীলীগ = মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এই দুর্বল সমীকরণটি বেশিরভাগক্ষেত্রেই মেনে নিচ্ছি। এটাই খুব সম্ভবত আমার বিশ্লেষণের দুর্বলতা। মহাজোটের দুই-তিন রাজাকারকে হিসাবে রাখতেও হচ্ছে। তাদের প্রতিহত করাটাও আমাদের নৈতিক কর্তব্য। কিন্তু একটা কথা খুবই স্পষ্ট, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি নিয়ে অনেক জটিলতা ও অস্পষ্টতা তৈরি হলেও, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ শক্তি ১৯৭১ এ যারা ছিল এখনো তারাই আছে।
রাজাকারের বাচ্চারা কিন্তু আঁতলামি করে তাদের ভোটটা নষ্ট করবে না। আমার আর সব কথা নিয়েই সন্দেহ চলতে পারে কিন্তু এই কথাটা শতভাগ নির্ভুল।
মন্তব্য
- না করতে হলে ভোটকে নয়, বরং
রাজাকার-যুদ্ধাপরাধী আর তার দোসরদের না বলুন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পরিস্থিতি-১
এতো সহজে প্রার্থীশূণ্য হয়ে যাবে সেটা মনে হয় না। তাই এই হাইপোথিটকাল পরিস্থিতি উদ্ভবের সম্ভাবনা নাই।
পরিস্থিতি- ২
এই যুক্তিতেও ফ্যালাসি আছে। না ভোট তখনই দিচ্ছে লোকজন সবগুলা প্রার্থীকেই বেশীরভাগ মানুষ চাইছে না। স্পেসিফিক কাউকে চাইলে তো সেই প্রার্থীরই বিজয় হবে।
পরিস্থিতি-৩
আবারও ভুল এনালাইসিস।
পরিস্থিতি-৪
এটা শুধু না ভোট কেন, যেকোন ভোটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য! সুতরাং এর দায় না ভোট কে টানতে হবে কেন?
পরিস্থিতি-৫
এইটা আসলেই ঘাপলা জনক মনে হচ্ছে।
আমার না ভোটের আইডিয়াটা ভালো লাগছে। মানুষ জন প্রায়ই বলে ধুর যোগ্য প্রার্থী নাই তো ভোট দিবো কারে। তারা এইটা বলতে পারবে না আর। ভোটার টার্নআউট বেশী হবে। টুকটাক যে ভুল ত্রুটি আছে সেগুলা সারানোর প্রস্তাব করা যেতে পারে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
১.
আপনার বিশ্লেষণের সাথে "সার্বিকভাবে" একমত। তাছাড়া বাংলা ব্লগে রাজাকার-আলবদরদের সমর্থকদের না ভোট নিয়ে মড়াকান্না দেখেও আপনার বিশ্লেষণটিকেই বাস্তবের কাছাকাছি বলে মনে হচ্ছে। যদিও "না" ভোট ভোটারদের হাতে ক্ষমতা দেয়, রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রার্থী দেয়ার ব্যাপারে একটা মেসেজ পৌঁছানোর জন্যে, তারপরও আসন্ন নির্বাচনে না ভোটের বিলাসী প্রয়োগ রাজাকারদের গাড়িতেই পতাকার পুনর্স্থাপনকে সহায়তা করবে।
২.
ব্লগের মিথষ্ক্রিয়া নিয়ে পূর্ববর্তী কোন এক পোস্টে আপনার মন্তব্য, আর আজ পোস্ট এর প্রতি মৃদু বিদ্রুপ দেখে বুঝতে পারছি, এর প্রতি আপনার ভরসা নেই। কিন্তু দেখুন, আপনিও কিন্তু এসে ব্লগেই লিখছেন, প্রান্তিক ভোটারদের দোরে দোরে কিন্তু লোকজন নিয়ে গিয়ে তাদের না ভোটের বিরুদ্ধে সংগঠিত করছেন না (অনুমিত, কে জানে, আপনি হয়তো সক্রিয়ভাবেই এ কাজে নিয়োজিত, সেক্ষেত্রে মার্জনা করবেন)। তাহলে শুধু শুধু হুল ফোটানো কেন? সচলায়তনে একজন সম্ভাব্য সদস্যের কাছ থেকে আমরা নিশ্চয়ই সচলে আরেকটু সক্রিয়তা আশা করতে পারি, সে কথা ভেবেই আপনি অনুরুদ্ধ হয়েছিলেন মিথষ্ক্রিয়া বৃদ্ধির ব্যাপারে। এতে যদি আপনি মনক্ষুণ্ণ হন, সেক্ষেত্রে আতিথ্য দীর্ঘায়িত হওয়ার দিকেই ব্যাপারটা চলে যায়।
হয়তো অপ্রাসঙ্গিক, তবুও বলি, আমি একটা প্যাটার্ন দেখে উদ্বিগ্ন। বাম রাজনীতির সমর্থকদের মধ্যে দেখেছি, তাঁরা যাদের লেখনী বা বক্তব্যের মাধ্যমে অ্যাড্রেস করতে চান, শুরু আর শেষ করেন তাদের নানা বিদ্রুপের মাধ্যমে খুঁচিয়ে। এতে করে যেটা হয়, অডিয়েন্স তাদের সুভাবিত প্রস্তাবগুলি না শুনে সেই বিদ্রুপগুলি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত লেবু চিপতে চিপতে তিতা হয়ে যায়, এবং পাঠকের সাথে তাদের যোগাযোগ ব্যাহত কিংবা রহিত হয়। এর থেকে উত্তরণ ঘটলে কিন্তু উভয় পক্ষই লাভবান হতেন। আমার মনে হয় আপনিও একমত হবেন আমার পর্যবেক্ষণের সাথে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
সম্পূর্ণ একমত। খুব গুছিয়ে লিখেছেন, হিমু।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
হিমুর শেষের কথাগুলোর সাথে ১০০% একমত । এর চেয়ে ভালোভাবে বলা যেতো কিনা সন্দেহ।
নন্দিনী
আমি বুঝতে যদি ভুল না করে থাকি তাহলে উপরের তিনটি স্থানে আপনি যে প্রশ্ন রেখেছেন সেখানে আমি বলব -- এটাই গণতন্ত্রের রীতি। কে প্রার্থীতা হারাবে বা না হারাবে সেটা তার জনভিত্তি বা গ্রহণযোগ্যতার উপরেই নির্ভর করবে। ভোটার হিসেবে কার প্রার্থীতা থাকলো বা গেলো সেটা আমার দেখার বিষয় না।
আপনার রাজনৈতিক বিশ্লেষণ (৫ নং) আমি ঠিক বুঝলামনা। না ভোট দেয়ায় আমি কোন সমস্যাও দেখছিনা। আমি রাজাকার পছন্দ করিনা বলেই আ.লীগের প্রার্থীকে ভোট দেব কিংবা আ.লীগ পছন্দ করিনা বলেই অন্য কাউকে ভোট দেব তেমন সমীকারণে আমি বিশ্বাস করিনা। একটা আসনে রাজাকার দাড়ালে তাকে অবশ্যই ভোট দেবনা। তাই বলে অন্যদলকে ভোট দিতে হবে তেমনটা বললেই বরং গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ মনে হয়। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠতে পারে যে ভোট না দিলেই হয়। সেটাও আমার অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে মনে করি। (এখন পর্যন্ত না ভোট সম্পর্কে যতটা জেনেছি তার বিচারে) আমি তাই 'না' ভোটের পক্ষে।
'না' ভোট দেয়ার ফলে কোথাও কোথাও রাজাকারদের লাভ হতে পারে-- তেমনটা হতে পারে, নাও হতে পারে। সেটা থেকে পরিত্রাণের উপায় হতে পারে এমন যে- জয়ী প্রার্থীর মোট ভোট মোট 'না'ভোটের চেয়ে কম হলে সেই প্রার্থীকে জয়ী বলা যাবেনা।
একমত@ প্রকৃতি প্রেমিক।।
বেশ খানিকটা দ্বিমত@ অনিন্দ্য রহমান।।
পোস্টের অন্যন্য বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই। তবে বিষয়টি সত্যিই খুব ভাবাচ্ছে। পোস্টদাতাকে অনেক ধন্যবাদ। নিয়মিত লেখার জন্য আবারো অনুরোধ রইলো।...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
না। এখন আমার “না-ভোট”টি যখন জয়যুক্ত হল, এবং সেকারণে নতুন করে ভোট হল। নতুন যে ভোট হবে সেখানে আইন অনুযায়ী ১-,২-,৩- ও ৪ নম্বর প্রার্থী দাঁড়াতে পারবে না। ....................................... এই জায়গা টি তে মনে হয় একটু সংশোধনী দরকার কারন আজকে রাতে সাড়ে দশটার খবর এর পর বিটীভির এক টকশো তে সিইসি এই একি কথার উত্তরে বলেছেন যে এই ক্ষেত্রে ১-২-৩-৪ এই পুরাতন প্রার্থীদের দাড়াতে কোন সমস্যা নেই ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
তাহলে না-ভোটের বিধান রেখে লাভটা কী? ব্যাপারটা তো একটা লুপের মধ্যে চলে গেলো তাহলে।
না ভোটের পর ১-২-৩-৪ প্রার্থীর মধ্যে থেকে একজনকেও কোন রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করবে না। কারণ পরিবর্তন করা মানেই তাকে গরুচোর হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া। ধরা যাক দল ১ থেকে কুদ্দুস, দল ২ থেকে সোলায়মান, দল ৩ থেকে হাক্কানি আর দল ৪ থেকে ইসমাইল নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। গণহারে না ভোট পড়লো। এরপর যদি দল ১ থেকে কুদ্দুসের পরিবর্তে জব্বারকে দাঁড় করানো হয়, সোলায়মান সাথে সাথে প্রচারণা শুরু করবে, দেখেন ভাই দেখেন, কুদ্দুসকে লোকজন না ভোট দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে। পরবর্তী উপ-নির্বাচনে তা প্রভাব ফেলুক আর না ফেলুক, কুদ্দুসের দলের রাজনৈতিক খাতায় সেটি লালকালি হিসেবেই বিবেচিত হবে, এবং এই ভয়েই তারা সেটা করবে না।
সবচেয়ে হতাশাব্যঞ্জক যেটা মনে হয়, আমাদের দেশে গণতন্ত্রের ধারণাটি নির্বাচিত স্বৈরতন্ত্র হিসেবেই ইন্টারপ্রেটেড। অর্থাৎ, একবার ভোটের মাধ্যমে জিত্যা ক্ষমতায় গিয়া লই, তারপর দেহিস কী করি! না-ভোট জনগণের কাছে ক্ষণিক স্বস্তির মোরগ-মার্কা কয়েল হয়ে থাকার সম্ভাবনা প্রবল, কে যায় রাজনীতির এঁদো ডোবা সাফ করতে?
হাঁটুপানির জলদস্যু
ঠিক মত পরিকল্পনা করে কাজ না করলে যা হয়, আরকি!
বুঝলাম আপনি একজন বিদগ্ধজন ও বিবেচক মানুষ! ভোটের হিসেব নিকেষ তরলের মতো সোজাসাপ্টা আমাদের বুঝিয়ে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন জনগনের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কি করা উচিত! আপনার মতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নতুন পোষ্ট না দিয়ে এই পোষ্টেই আমার মতামতটা জানিয়ে দিতে চাই। তার আগে সবার প্রতি, বিশেষ করে যারা চট্টগ্রামের রাজনীতির সাথে পরিচিত তাদের কাছে কিছু প্রশ্ন রেখে যেতে চাই...
নোটঃ ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামাত জোট চট্টগ্রামের ১৫টি আসনের মধ্যে জিতে ১৩টি আসন। যদিও ১৯৯১ সালে ৬টি ও ১৯৯৬ সালে ৭টি আসন জিতে আওয়ামী লীগ।
উপরে উল্লেখিত নোট দেখে অনেকে জামাত-বিএনপি-র দুর্গ ভাংতে ও রাজাকার ঠেকাতে আওয়ামী লীগে ভোট দেয়ার কথা বলবেন। চলুন একবার একটু দেখা যাক মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি।
এবারের নির্বাচনে চট্টগ্রামের মূল দুই দলের প্রার্থীরা
চট্টগ্রাম ০১ (মিরসরাই): ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (আওয়ামী লীগ), এম ডি এম কামাল উদ্দিন চৌধুরী (বিএনপি)
মন্তব্যঃ দুর্নীতির দায়ে মোশাররফ হোসেন অভিযুক্ত হলেও আপাতত ক্লীন! অন্যজনের বিরুদ্ধেও তেমন কোন অভিযোগ নেই। এখানে ‘না’ ভোটের হয়তো প্রয়োজন পড়বে না।
চট্টগ্রাম ০২ (ফটিকছড়ি): এটি এম পেয়ারুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ), সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (বিএনপি)
নিজস্ব মন্তব্যঃ সোনা রফিকের (দুর্নীতি প্রমাণিত বলে বাদ) ডান হাত বলে কথিত পেয়ারুকে ফটিকছড়ির সাধারন মানুষ চেনে সফল খুনের পরিকল্পক হিসেবে। এখন নিজেই গড ফাদার! তার বিপরীতে আছেন রয়্যাল গড ফাদার সালাউদ্দিন সাহেব! এখানে একজন সাধারন মানুষ হিসেবে আমি ‘না’ ভোটই দিবো। কারন এদের যেই জিতুক তাতে এলাকার ভাগ্যের কোন হেরফের হবেনা।
চট্টগ্রাম ০৩ (সীতাকুন্ড): এবিএম আবুল কাশেম আওয়ামী লীগ), আসলাম চৌধুরী (বিএনপি)
নিজস্ব মন্তব্যঃ এখানে না ভোটের প্রয়োগ নিষ্প্রয়োজন।
চট্টগ্রাম ০৪ (হাটহাজারী): ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (মহাজোট-জাতীয় পার্টি), ওয়াহিদু আলম (বিএনপি)
নিজস্ব মন্তব্যঃ আনিস সাহেব অনেকদিন থেকে এলাকার বাইরে। আরেকজন এলাকাকে ভাবেন বাপের সম্পত্তি। এখানেও ‘না’ ভোটের হয়তো প্রয়োজন নেই।
চট্টগ্রাম ০৫ (রাউজান): ফজলে করিম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী (বিএনপি)
নিজস্ব মন্তব্যঃ চাচাতো দুই ভাইয়ের আপাত লোক দেখানো লড়াই। করিম সাহেব হিন্দুদের বন্ধু সাজতে গিয়ে তাদের হত্যা, সম্পত্তি দখলসহ বহু ঘটনার জন্য দায়ী। অন্যজনও কম যান না, অন্যভাবে বললে বলা উচিত তিনি করিমের সাহেবের রক্ষক! এখানে সাধারন মানুষের ‘না’ ভোট দেয়া ছাড়া কোন গতি দেখিনা।
চট্টগ্রাম ০৬ (রাঙ্গুনিয়া): ড. হাসান মাহমুদ (আওয়ামী লীগ), সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (বিএনপি)
নিজস্ব মন্তব্যঃ একজন শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী, অন্যজন খালেদার জিয়ার উপদেষ্টা। এখানে নতুন চিন্তার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম ০৭ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী): মাইনুদ্দিন খান বাদল (মহাজোট-বামদল), এরশাদ উল্লাহ (বিএনপি)
নিজস্ব মন্তব্যঃ বাদল সাহেব সৎ বাম বলে পরিচিত হলেও শিল্পপতিদের দাক্ষিণ্যেই নির্বাচন করেছেন এবং এবারো করছেন। এমন কি বিএনপি-র তথাকথিত প্রভাবশালী ও নাকউচুঁ নেতা মোরশেদ খানেরও সমর্থন পাচ্ছেন তিনি! সে বিচারে এরশাদ উল্লাহ নতুন। এখানেও নতুন চিন্তার দাবী রাখে।
চট্টগ্রাম ০৮ (কোতোয়ালী): নুরুল ইসলাম বিএসসি (আওয়ামী লীগ), শামসুল আলম (বিএনপি)
নিজস্ব মন্তব্যঃ দুই শিল্পপতির লড়াই। তবে দুজনেই ভালো প্রার্থী।
চট্টগ্রাম ০৯ (ডবলমুরিং): মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম (মহাজোট), ডাঃ আফসারুল আমীন (আওয়ামী লীগ), আব্দুল্লাহ আল নোমান (বিএনপি)
নিজস্ব মন্তব্যঃ প্রথমজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের ছেলেকে জিবরান হত্যা মামলা থেকে বাচাতেঁ জজ সাহেবকে এক কোটিরও বেশী টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন। দ্বিতীয়জন ডাক্তারী করেন না মাস্তানি করেন বোঝা মুশকিল! আর নোমান সাহেব ধোয়া তুলশী পাতা! হয়তো এক্ষেত্রেও ‘না’ ভোটের প্রয়োজন হবে না।
চট্টগ্রাম ১০ (পতেঙ্গা-বন্দর): এম এ লতিফ (আওয়ামী লীগ), আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (বিএনপি)
নিজস্ব মন্তব্যঃ দুজনেই প্রার্থী হিসেবে মোটামুটি ভালো। তবে খসরু সাহেবের বিরুদ্ধে পারিবারিকভাবে দুর্নীতি ও বন্দর সমস্যাকে জিইয়ে রাখতে তার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
চট্টগ্রাম ১১ (পটিয়া): শামসুল হক চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), গাজী মুহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল (বিএনপি), এয়াকুব আলী (এলডিপি)
নিজস্ব মন্তব্যঃ চোরাকারবারী ও দানবীর দুভাবেই পরিচিত জনাব জুয়েল। আশা করি এখানেও ‘না’ ভোটের প্রয়োজন হবেনা।
চট্টগ্রাম ১২ (আনোয়ারা): সরওয়ার জামাল নিজাম (বিএনপি), আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু (আওয়ামী লীগ)
নিজস্ব মন্তব্যঃ একজন বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। অন্যজন্য পুরোনো চোরাকারবারী ও গড ফাদার (অনেকের হয়তো তার ঢাকায় ব্যাংক দখলের ঘটনা মনে আছে)। ‘না’ ভোট বিশেষভাবে প্রজোয্য।
চট্টগ্রাম ১৩ (চন্দনাইশ): কর্ণেল অলি আহমেদ (অবঃ) বীর বিক্রম (এলডিপি), ইঞ্জিনিয়ার আফসার উদ্দিন (আওয়ামী লীগ), মিজানুল হক চৌধুরী (বিএনপি)
নিজস্ব মন্তব্যঃ মোটামুটিভাবে সকলেই প্রার্থী হিসেবে ভালো।
চট্টগ্রাম ১৪ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া): সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), শামসুল ইসলাম (জামাত),কর্ণেল অলি আহমেদ (অবঃ) বীর বিক্রম (এলডিপি)
নিজস্ব মন্তব্যঃ চট্টগ্রাম জামাতের আমীর শামসুল ইসলাম বাদে মোটামুটিভাবে বাকী দু’জন প্রার্থী হিসেবে ভালো।
চট্টগ্রাম ১৫ (বাশঁখালী): জাফরুল ইসলাম চৌধুরী (বিএনপি), সুলতান উল কবীর চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)
নিজস্ব মন্তব্যঃ জাফরুল ইসলাম হত্যা, ভূমি দখল বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে ভয়াবহভাবে অভিযুক্ত। সেক্ষেত্রে সুলতান সাহেব ভালো অপশন।
চট্টগ্রাম ১৬ (সন্দ্বীপ): মোস্তফা কামাল পাশা (বিএনপি), মাহফুজুর রহমান মিতা (স্বতন্ত্র কিন্তু আওয়ামী লীগ), জামাল উদ্দিন চৌধুরী (মহাজোট)
নিজস্ব মন্তব্যঃ এই আসন সম্পর্কে কোন ধারনা নেই।
নোটঃ এবারের নির্বাচনে চট্টগ্রামে একটি আসন বেড়েছে।
সুতরাং এইরকম বাস্তবতা যেখানে বিদ্যমান সেখানে 'না' ভোট একটা ভালো অস্ত্র হতে পারে। কারন যে বাস্তবতায় নিজের ভোটটাই মূল্যহীন, সেখানে ক্ষোভটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত মানুষের 'না' ভোট থেকে যেন দলগুলো প্রার্থী নির্বাচনের আগে সুচিন্তা করে।
নোটঃ আমার নিজের বিশ্লেষন ঠিক নাও হতে পারে। অনেকে তার এলাকার হিসেব আরো ভালো বলতে পারবেন। তবে যে কোন অবস্থাতেই নতুন বিশ্লেষনকে জানাই স্বাগতম।
না'কে 'না' বলতে শিখুন
এককক্ষবিশিষ্ট সংসদ নির্বাচনে শুধু এলাকা নিয়ে ভাবলে বোধ হয় চলে না। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরি জিতলে ৪দলীয় জোটের একটা সিট বাড়ে। তার মানে ৪ দলীয় জোটের সরকার গঠনও সুগম হয়। ৪ দলীয় জোট সরকার গঠন করা মানে নিজামীর মন্ত্রী হওয়া (আদারওয়াইজ যাকে এমপি হয়েই হয়ত সীমিত থাকতে হতো)। একটি মন্ত্রণালয়ের যে ব্যুরোক্রেটিক নেটওয়ার্ক সারাদেশে আছে সেটি ব্যবহার করার সুযোগও পাবে যুদ্ধাপরাধী নিজামী। বিষয়টা এভাবেই দেখছি। আর “রয়্যাল গড ফাদার” অভিধাটিকে আমার কিঞ্চিত সুভাষণ মনে হচ্ছে। উল্লেখ্য পেয়ারুর পরিচয় দিতে আপনি ২৩টি শব্দ খরচ করেছেন, অথচ সাকাচৌধুরি সম্পর্কে বলেছেন রয়্যাল গড ফাদার। আপনার কথার সুত্র ধরেই বলি “যে বাস্তবতায় নিজের ভোটটাই মূল্যহীন, সেখানে ক্ষোভটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ “ - আমি মনে করছি না-ভোটে চেয়ে কোনো স্পেসিফিক প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দেয়াটা অনেক বেশি যুক্তিযুক্ত।আপনার দীর্ঘ সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
বিন্দু বিন্দু জল মিলে সিন্ধু হয়, আখেরে এলাকার উন্নয়নের উপর নির্ভর করে জনগণের ভাগ্য! যাইহোক আপনি আপনার ভাবনার কথা বলেছেন আমি আমার।
আপনার যদি অল্প কথার অভিধাটিকে সুভাষণ মনে হয় কিছু করার নেই। তবে পেয়ারু সম্পর্কে বেশী বলার পেছনে হয়তো ব্যক্তিগত ক্ষত কাজ করেছে। এককালে আমার পরিবার আওয়ামী ঘেষা হওয়ার পরও (এখন এসব ব্যাপার বেশ অবান্তর) এই পেয়ারু গঙ্গের হাতেই প্রাণ দিতে হয়েছে দুজনকে। তাছাড়া ছাত্রলীগের কত শত তরুন প্রাণ এদের হাতে অকালে ঝড়ে গেছে তার তালিকা দিতে গেলে অনেক কিছু নিয়ে টানাটানি পড়ে যাবে! অবশ্য অপর প্রার্থীও এই দায় থেকে কোনভাবেই মুক্ত নন। তাছাড়া তার সম্পর্কে কম বেশী সবাই জানেন বলে নতুন করে কিছু বলারও নেই।
@ মাহবুব মুর্শেদ: যেটা এখনো প্রমাণিত নয় সেটা আবশ্যিকভাবেই হাইপোথিটিকাল। এবিষয়ে আমি একমত। আমার যদি রাজনৈতিক সংগঠন করার অধিকার থাকে এবং আইন অনুযায়ী নির্বাচনে প্রার্থী দেয়ার অধিকার থাকে তাহলে সেই অধিকারগুলো সংবিধানের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ উপায়ে কেড়ে নেয়াটা অতটা সস্তা না বলেই আমি মনে করি। হ্যাঁ, গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশের আওতায় প্রার্থীকে ৮ প্রকার তথ্য দিতে হবে। সব ভোটারও সব প্রার্থী সম্বন্ধে জানতে বাধ্য বাংলাদেশের কোনো আইনে এমন কিছু লেখা নেই। তাই আমি স্পেসিফিক দু-একজনকে পছন্দ করি না বলেই যদি না ভোটে সিল দেই তাতে কারো কিছু করার নেই। সেক্ষেত্রে আমার উদ্দেশ্যকে মিসরিড করে সবার প্রার্থীতা বাতিল কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের তথাকথিত সুশীল সমাজ যে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনীতিকে হেয় করার (কেন করছে সেটা এই পোস্টের আওতাভুক্ত নয়)- তারই ফসল এই না-ভোট। বাংলাদেশের মানুষ ঐ সুশীল সমাজকে চিনে। এবং আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের মানুষ এটাও জানে মাজায় জোর না থাকলে গোলটেবিল লম্বাটেবিল বহু কিছুই করা সম্ভব কিন্তু রাজনীতি করা সম্ভব নয়। প্রার্থীদের না বলার ছলে রাজনীতিকে না বলে ফেললে এই সুশীল সমাজ ও তাদের নব্যসাম্রাজ্যবাদী মনিবদের খুবই সুবিধা। আমরা এই সুবিধাটা হতে দিব কেন সেটাও একটা প্রশ্ন। আরেকটা কথা - নির্বাচনী গনতন্ত্রের গোটা কনসেপ্টের ভিতরেই নানা রকম শুভঙ্করের ফাঁকি আছে - এই কথাটা আমিও বলেছি, শুধু না-ভোটের উপর চাপাতে চাইনি। তবে গণতন্ত্রের এতসব তাত্ত্বিক সমস্য যখন ইতিমধ্যেই উপস্থিত তখন আরো একটা সমস্যা আমদানী করার প্রয়োজন কেন এর উত্তর আমি নিশ্চয়ই খুঁজব।
@ হিমু : আপনার মন্তব্য আমাকে নিশ্চয়ই অনুপ্রাণিত করবে। তবে পাঠককে হেয় করার কোনো উদ্দেশ্য আমার ছিল বলে আমি মনে করি না। আমি নিজেকেও হেজেমনির অন্তর্গত মনে করি। তারপরও পাঠকের সাথে সংযোগ টিকিয়ে রাখতে আরো সর্তক হতে হবে। চেষ্টা করব। সচলায়তনে আমি নতুন। আপনাদের আতিথ্য আমি উপভোগ করছি। প্রান্তিক ভোটাররা আমার ধারণা না-ভোট নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবিত নয়। এটা শহরের লোকদের আইডিয়া, তারাই ইম্প্লিমেন্ট করবে, যতটুক সম্ভব।
@ প্রকৃতিপ্রেমিক : “কে প্রার্থীতা হারাবে বা না হারাবে সেটা তার জনভিত্তি বা গ্রহণযোগ্যতার উপরেই নির্ভর করবে” বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে এটা লেখা আছে জানালে খূশি হব।
@ বিপ্লব রহমান: “একটা আসনে রাজাকার দাড়ালে তাকে অবশ্যই ভোট দেবনা। তাই বলে অন্যদলকে ভোট দিতে হবে তেমনটা বললেই বরং গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ মনে হয়” - প্রকৃতিপ্রেমিকের এই বক্তব্যের সাথে আপনি একমত হতেই পারেন। কিন্তু আমার রাজাকারবিদ্বেষ আমার আওয়ামীবিদ্বেষের চেয়ে কম নয় বলে আমি প্রয়োজনে আওয়ামীলীগকেই ভোট দিব। আমার গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে গিয়ে, রাজাকারের বিপক্ষে একটি কম ভোট পড়বে সেই দায়ভার আমি নিতে রাজি নই। এটা যার যার প্রায়োরিটি।
সকলকে ধন্যবাদ।
---------------------------------------------------------
The philosophers have only interpreted the world in various ways; the point, however, is to change it.
[MARX : Theses on Feuerbach]
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
সংবিধানের ব্যাপারটা আসলো কীভাবে বুঝলামনা। আমি তো সংবিধানের কথা বলিনি। যেটা বলতে চেয়েছি সেটা ঐ লাইনের পরেই বলেছি, আবারো বলছি-- কার প্রার্থীতা গেল বা না গেল সেটার বিচার কি ভোটার করে?
আমি আপনার মতের সাথে আমার মতপার্থক্যটা তুলে ধরেছি মাত্র। নো হার্ড ফিলিংস প্লীজ। আপনার লেখা ভালো লাগে কারণ আপনি সুন্দর করে বিশ্লেষণ করে লেখেন। তবে সব বিশ্লেষণের সাথে তো আর সবাই সবসময় একমত হবেনা, তাইনা ?
সচলায়তনের একটা অন্যতম প্রিয় দিক হলো এখানকার সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মানবোধ ও মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তার প্রকাশের মাধুর্য। সেটা সবসময়ই উপভোগ করি, এবং বজায় রাখার চেষ্টা করি।
প্রকৃতিপ্রেমিক, আমি জানি আপনি আমাকে ভুল বুঝেননি। আর আমি কোনো ব্যক্তিগত হার্ড ফিলিংস্ও রাখতে চাই না কারো প্রতি। আসলে এখানে যে খানিকটা উত্তপ্ত তর্ক-বিকর্ত হচ্ছে সেট বন্ধুদের মধ্যেই হয়। আপনি আমার পোস্টগুলোতে যে মন্তব্য করেছেন তার জন্য আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। আপনাকে, আপনার মত আরো সচলদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আছে বলেই আমি এখানে লিখি।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
--
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
@ অনিন্দ্য রহমান,
এর পরেও আপানার মতামতের সঙ্গে আমার ব্যাক্তিগত মতামতের বেশ খানিকটা দ্বিমত আছে; তবে তারপরেও আপনার মতটিকে আমি সাধুবাদ দিচ্ছি। ক্যারি অন!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
না ভোটটা একটা চুতিয়ামি ছাড়া কিছুই না
এটা হচ্ছে একটা হাঁটুবুদ্ধির গণতন্ত্র ফর্মুলা
ভোট যেখানে সব প্রার্থীর জন্য উন্মুক্ত সেখানে যদি কেউ না দাঁড়ায় তবে যারা দাঁড়িয়েছে তাদের প্রতি না বলার কোনো অধিকার আমার নেই
কারণ কাউকে ভোট না দেয়া মানেই হলো তাকে আমি না বলছি
০২
না ভোটের এই আজব ফর্মূলাটা নরওয়ের মতো কিছু দেশ ছাড়া পৃথিবীতে কোথাও নেই
(যেসব দেশে আদৌভোটেরই কোনো দরকার আছে কি না সেটা প্রশ্ন সাপেক্ষ)
০৩
প্রার্থীর যোগ্যতা বাছাইয়ে নির্বাচন কমিশনের ক্রাইটেরিয়া নির্ধারণের প্রক্রিয়াটাকে আমি গণতন্ত্র বিরোধী মনে করি
নির্বাচনের একমাত্র বিচারক হওয়া উচিত ভোটাররা
তারা যদি কোনো চোর বাটপারকেও নির্বাচন করতে চায় তবে তাদেরকে তা করতে দেয়া উচিত
তাদেরকে সেই সুযোগ না দিয়ে নির্বাচন কমিশনই যদি প্রার্থী বাছাই ও ছাটাই শুরু করে তাহলে ভোটারদের একটা অধিকারতো কমিশনই খর্ব করে নেয়
০৪
নাগরিকত্ব ছাড়া নির্বাচনে দাঁড়ানোর আর কোনো যোগ্যতার ১০০% বিপক্ষে আমি
আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বক্তব্যের সঙ্গে প্রচণ্ড দ্বিমত পোষণ করছি। ...
-প্রথমত, খেদ ঝাড়তে গিয়ে অহেতুক নোংরা শব্দ চয়ন হয়তো একেবারেই অপ্রয়োজনীয়।
-দ্বিতীয়ত, ১/১১ এর পরে 'না' ভোট যুক্ত হওয়ায় আপাত দৃষ্টি এটি 'হাঁটুবুদ্ধির গণতন্ত্র ফর্মূলা' মনে হতেই পারে। কিন্তু 'প্রার্থীদের প্রতি না বলার কোনো অধিকার আমার নেই' এটি কোন গণতন্ত্রের ফর্মূলা, বিশেষ অনুগ্রহ করে একটু বলবেন কী?
-তৃতীয়ত, 'কাউকে ভোট না দেয়া মানেই হলো তাকে আমি না বলছি'...আমার মনে হয়, আপনি বোধহয় 'না ভোট' এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্যটা একটু ভুল বুঝেছেন। আসলে 'না ভোট' দিচ্ছি--এর অর্থ হলো অপছন্দের সব প্রার্থীদের জানিয়ে দিচ্ছি, আমি তাদের ক্ষমতায় দেখতে চাই না এবং 'না ভোট' দিয়ে আমি এর একটি রেকর্ড রেখে দিচ্ছি।...
অনেক ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
শব্দটা নোংরা এবং বিকলল্প শব্দ খুঁজে না পাওয়ায় ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছি বলে দুঃখিত স্যার
কিন্তু ভোট কনসেপ্টে কাউকে ভোট না দেয়া মানেই হলো তাকে না করা
কিন্তু ঢোল বাজিয়ে কাউকে না বলা মানে যারা তাকে সমর্থন করে তাদরে প্রতি অসম্মান জানানো
০২
কোনো প্রার্থীকেই যদি আমার যোগ্য না মনে হয় তবে গণতন্ত্রের মধ্যে আমার নিজেরই দাঁড়ানোর সুযোগ আছে
আমি কেন দাঁড়াই না?
০৩
পৃথিবীর অনেক দেশেই অনেকগুলো পদে নির্বাচিত হবার জন্য বিজয়ীকে শুধু সর্বোচ্চ ভোট পেলেই হয় না। শতকরায় একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোটও পেতে হয় (কোথাও মোট ভোটের। কোথাও কাস্ট ভোটের)
যদি কোথাও সর্বোচ্চ ভোট অর্জনকারীরর ভোটের হার সেই নির্দিষ্ট হারের নিচে হয় তবে সেখানে আবার নির্বাচন হয়
(নিকটতম দুইজন- তিনজনের মাঝে কিংবা নতুন করে)
০৪
কতটা ভোটার কাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না তা মোট ভোট থেকে তার পাওনা ভোট বিয়োগ করলেই পাওয়া যায়
তার জন্য না ভোট কেন?
মাথায় রাখতে হবে এটা গণভোট না
এটা নির্বাচন
এখানে ভোট দেয়া হয় নির্বাচনের জন্য
সবাইকে বাতিলের জন্য না
০৫
আমি আবারও বলব স্যার
এটা একটা হাঁটু বুদ্ধির ফর্মুলা
১.
এটা একটা হাস্যকর, আবেগপ্রসূত জোলো সংলাপের মতো শোনাচ্ছে। তাহলে উল্টোদলের প্রার্থীকে ভোট দেয়া মানেই তো সোজাদলের প্রার্থীর সমর্থকদের অসম্মান জানানো। আর ভোটে তা-ই হয়।
২.
হয়তো আপনি নিজেকেও সংসদ সদস্য হিসেবে যোগ্য মনে করেন না, তাই?
হাঁটুপানির জলদস্যু
হিমুর মন্তব্যে -বিপ্লব -
---
ইয়ে, এই অধমের ছবিসহ স্মাইলিটি আসছে না কেনো কে জানে!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
হিমু
আমার বক্তব্য হাস্যকর জোলো মনে হলেও আমি তা আবারও উচ্চারণ করতে চাই
কারণ আমার কথাগুলো গোলটেবিলের প্রসব করা কোনো কনসেপ্ট না
০২
আমি নিজেকে সংসদ সদস্য হিসেবে যোগ্য মনে করি না কারণ সংসদ সদস্য হিসেবে যারা দাঁড়ায় তাদের প্রত্যেককে আমি নিজের থেকে বেশি যোগ্য মনে করি এবং সম্মান করি
বাংলাদেশের প্রতিটা রাজনীতিবিদ আর যা হোক নিঃসন্দেহে মানবিক
তাদের নিজস্ব লোক যেমন আছে
তারা নিজেদের লোকদের জন্য করেও অনেক বেশি
এবং বাংলাদেশের মানুষ এই সব রাজনীতিবিদদের ভরসা ও আশ্রয় করেই নিজেদের জীবন যাপন করে
যে দেশে সরকার নাগরিককে একটা কানা পয়সারও সমর্থন কিংবা আশ্রয় দেয় না
সেই সরকারের কিংবা তাদের গোলটেবিলওয়ালাদের কোনো অধিকার নেই এইসব রাজনীতিবিদদের আটকানোর কোনো ফন্দি করা
০৩
আবারও বলি
ব্যালটে না ভোট সংযোজন
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচে ঘৃণ্য জনবিরোধী পদক্ষেপ
রাজাকার নেতাদের ব্যাপারে আপনার মন্তব্য জানতে খুব ইচ্ছা করছে !
নন্দিনী
নন্দিনী
আমাদের ঝামেলা হচ্ছে যখনই আমরা একটা শক্তি নিয়ে এক দিকে এগিয়ে যাই তখনই আমাদের শক্তিকে ভাগ করে দেবার বিভিন্ন কৌশল আবিষ্কার করা হয়
রাজাকার বর্জন আর দুর্নিতীবাজ রাজনৈকিত বর্জনকে এক করে ফেললে আবারও সেই অবস্থা তৈরি হবে
০২
নির্বাচন রাজাকার বর্জনের উপায় না
রাজাকার বর্জন দৈনন্দিন জীবনাচারের অংশ
ইয়া হাবিবি!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
১.
কথাটা কিন্তু এক অর্থে সবার জন্যই খাটে। মানে আমি বলতে চাচ্ছি যে যারা পাঁড় আওয়ামী বা বিএনপি বা জাপা সমর্থক তারা কেউই কিন্তু না-ভোট দিবেনা, সবাই নিজের নিজের দলকে ভোট দিবে কারন এদের কাছে ব্যক্তি'র চেয়ে দল বড়। এরা কেবল ব্যালোট পেপারে ধানের শীষ, নৌকা বা লাঙ্গলকেই চিনে, পাশের নামগুলোর আলাদা কোন অর্থ এদের কাছে নাই।
২.
জামাত বাদ গেলো, ধরা যাক মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল থেকে (আমি আদৌ ব্যাপারটা নিয়ে সন্দিহান, কারন আমার জানা মতে নেতৃস্থানিয় সব গুলো দলই কোননা কোন সময়ে জামাতের সাথে আঁতাত করেছে) আমার কাছে কোন প্রার্থীকেই যোগ্য মনে হয় না সে ক্ষেত্রে আমি কি করব? আমি কি মন্দের ভালো হিসেবে তাকেই ভোট দেব না আমার যে অসন্তোষ সেটা জানাবার জন্য না-ভোট দেব? এই ক্ষেত্রে হিমু ভাইয়ের সাথে আমি একমত যে ""না" ভোট ভোটারদের হাতে ক্ষমতা দেয়, রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রার্থী দেয়ার ব্যাপারে একটা মেসেজ পৌঁছানোর জন্যে"।
৩.
জামাতকে ভোট দেবনা তার মানে এই নয় যে অন্য দলের কোন অসাধু, খুনী, অযোগ্য লোককে ভোট দেব। অন্তত আমি জামাতকেও ভোট দিতে পারবনা আবার অন্য কোন দলের তাফালিং করা কাউকেও দিতে পারবনা। সেই হিসেবে আমি এখনো পর্যন্ত না ভোটের পক্ষে। অন্তত পলিটিক্যাল পার্টিগুলো সম্পর্কে আমার মতামত জানাতে না-ভোটের বিকল্প কিছু আমার হাতে এই মুহূর্তে নেই।
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
উদ্ধৃতি: জামাতকে ভোট দেবনা তার মানে এই নয় যে অন্য দলের কোন অসাধু, খুনী, অযোগ্য লোককে ভোট দেব।
একান্তই ব্যক্তিগত মত: অন্য দলের চোর-বাটপাড়কে ভোট দেয়া জামাতের "সাধু" প্রার্থীকে ভোট দেয়ার তুলনায় ছোট পাপ।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
সহমত।
অন্য প্রসঙ্গে বলি, আমার মনে হয় বাংলাদেশে এখনো প্রার্থী দেখে ভোট দেওয়ার মত সময় আসে নাই।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
apni kamne vablen kotha ta???????? moja laglo besh
না ভোট নিয়ে এখন পর্যন্ত যতগুলো লেখা পড়েছি, তার মধ্যে এই লেখার বক্তব্য আমার কাছে সবচেয়ে দুর্বল বলে মনে হলো। অনেকগুলো দুর্বল বক্তব্যের জগাখিঁচুড়ী পাকিয়ে শেষ পর্যন্ত রাজাকারের বাচ্চাদের গালি দিয়ে রাজাকার প্রতিরোধে চেতনার ব্যবসায়ীদের বক্তব্য (যার বটমলাইন ইনফ্যাক্ট রাজাকারলালন) দিয়ে শেষ হয়েছে।
আপনার সিনারিওগুলো দিয়ে শুরু করা যাক। এখানে যে প্রশ্নগুলো তুলছেন, সে জাতীয় কোনো লুপ বা সিস্টেমে দুর্বলতা থাকলে সেটা না ভোটের ইমপ্লিমেন্টেশনের প্রবলেম, না ভোট কনসেপ্টের প্রবলেম না। যেমন, না ভোট জিতলে হারা প্রার্থীরা আবার নির্বাচন করতে পারবে কিনা, এটা ১০০% ইমপ্লিমেন্টেশনের সমস্যা, না ভোট কনসেপ্টের কোনো দুর্বলতা নয়। যে সিনারিও দিয়েছেন, তার দুর্বলতাও চরম প্রকট। যেমন, আপনি ধরেই নিয়েছেন, কোনো বিশেষ দলে ভোট দেয়ার জন্য পাবলিক পুরা উন্মুখ হয়ে আছে, সে দল যতক্ষণ পর্যন্ত পছন্দের প্রার্থী না দিবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পাবলিক অন্যান্য দলের প্রার্থিদের একেবারে ইগনোর করে যাবে। বাস্তবতা এরকম হলে এন্টি-আওয়ামী লীগ বলে কিছু থাকতো না। পাবলিকের সাথে বিলা করলে পাবলিক আলটিমেটলি লাথি মারে, সেইটা বঙ্গবন্ধুর দল হোক আর শহীদ জিয়ার দল হোক।
আপনার পোস্টের সবচেয়ে বাজে বক্তব্য হলো পাবলিকের না ভোটের অধিকারকে অগণতান্ত্রিক বলা, না ভোটকে 'নষ্ট' ভোটের আখ্যা দেওয়া। ভোট নষ্ট আবার কি জিনিস? আমি কোনো প্রার্থিকে ভোট দিলাম, যার সম্বল আমার ওই ১টিই ভোট, জামানত বাজেয়াপ্ত! তাতে কি আমার ভোটটা নষ্ট হলো? নির্বাচনে যে জিতে, তাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভোট দিলেই ভোট নষ্ট? না ভোট দিয়ে আমি সবগুলার মুখে লাথি মেরে বললাম, তোদের কেউই যোগ্য না। এতে আমার ভোট নষ্ট হলো? না ভোট অবশ্যই একটি বিপ্লব। রাজনৈতিক দলগুলোকে বুঝিয়ে দেয়া যে, আকাম-কুকাম করলে তাদেরকে লাথি খেতে হবে। আপনার উদাহরণ থেকেই নেই। ধরলাম রাজাকারের বাচ্চারা না ভোট দেয় না। কিন্তু আমি না ভোট দেয়ায় চেতনার ব্যবসায়ী দলটি নির্বাচনে হারলো। অথচ তারা চেতনা থেকে ব্যবসায় অংশটা বাদ দিলে আমার ভোটটা পেত। এতে ওই দলটির শুদ্ধিকরণে আমার না ভোট বিরাট একটা চাপ হিসেবে কাজ করবে। যখন এমনিতে হয় না, তখন ঠেকায় ফেলে শিখাতে হয়। কেউই অপরিহার্য নয়, এই শিক্ষাটা বিশেষ করে আমাদের দেশের নষ্ট পলিটিশিয়ানদের শেখানোর একমাত্র উপায় না ভোট। আর আপনি এটাকে আঁতলামি, অগণতান্ত্রিক ইত্যাদি বিশেষণে অভিহিত করে আপনার বক্তব্যকে দুর্বল করার বাইরে আসলে আর কিছুই করছেন না।
এবার আসা যাক, আপনার পোস্টের হেডিং এবং উপসংহারে। আপনিও স্বীকার করছেন,
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
প্রতি নির্বাচনেই একটা মহল বেশ তৎপর হয়ে উঠে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট টানার জন্য। এখনো এই তৎপরতা অটুট আছে দেখে বেশ মজা পেলাম। যতদূর বুঝি এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জেতার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী, আমার ধারনা তারা জিতবেনও। কিন্তু একটা প্রশ্ন আগের মতো আজো করতে চাই, এই আওয়ামী লীগ কি জামাতের রাজনীতি আদৌ নিষিদ্ধ করবে ক্ষমতায় গেলে? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে?
১) ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এরা এসবের কিছুই করবেনা, কারন এখন পর্যন্ত এই দুটো ইস্যু নিয়েই রাজনীতির ময়দানে কোমর শক্ত করে বসে আছে। এইটা ব্যবসার মূলধনের মতো, ওটাতে হাত দিতে নাই।
২) শুধুমাত্র তখনি হাত দিতে পারে যখন দেখবে ব্যবসার ধরনটাই বদলে গেছে। তখন নতুন করে মূলধন খাটাবে (জঙ্গিবাদ নতুন ইনভেষ্ট হিসেবে যোগ হয়ে গেছে হয়তো) আর পুরোনো সমস্যার যেনতেন একটা সমাধান করে ফুরিয়ে যাওয়া মূলধনের প্রফিট নিতে চাইবে।
সুতরাং মনে হয়না আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলেও এই দুই ইস্যুর সহসা কোন সমাধান হবে। তাই এসব প্রচার প্রচারনা তাদের নির্বাচনি ক্যাম্পেইনে বাড়তি স্পাইস যোগ করে মাত্র; দু'টো ভোটও যদি বেশী পাওয়া যায়!
এতটুক পর্যন্ত আমার মন্তব্য পড়ে মনে হতে পারে আমি আওয়ামী বিদ্বেষী কিনা! না আদৌ তা নই, ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যুদ্ধপরাধী ও জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্যমত। যে বা যার সরকারই ক্ষমতায় আসুক নিরবিচ্চিন্ন চাপের মাধ্যমে এদের বাধ্য করা এই ইস্যুগুলোর সমাধানে যেতে। আওয়ামী বিএনপি যে হোক যদি এরা এর সমাধান না করে তবে কারো আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে নয়, স্বনির্ভরভাবে গণ আন্দোলন তৈরী করে প্রয়োজনে 'স্বাধীন মুক্ত আদালত' বানিয়ে বিচার কাজ পরিচালনা করা উচিত। এমন কি ফান্ড রাইজ করে আন্তর্জাতিক আদালতে যুদ্ধাপরাধ আইনের আওতায় এর বিচার কাজ শুরু হতে পারে (বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে ভালো জানবেন)।
তারপরও ভোটারদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, সবকিছুর উপর জামাত ঠেকাও নীতি অবলম্বন করুন। সবার আগে নিশ্চিত করুন ওরা যাতে আপনার ভোটটি না পাই। যেখানে জামাতের প্রার্থী আছে ওখানে প্রয়োজনে তুলনামূলকভাবে অপছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন। আশা করি ভয়ের কিছু নেই, শিবির ক্যাডাররা আর বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেনা। ওদের আদর্শিক কোমর ভেঙ্গে গেছে, এখন বাকী আছে ওদের পঙ্গু করে ফেলা। আপনার ভোটই পারে তাদের পঙ্গু করে দিতে, ওদেরও দেশের কিছু কিছু উচ্ছিট্ট দলের মতো বানিয়ে দিন একটি বা দুটি সীটে জিততে দিয়ে। দেখবেন আগামী ৫ থেকে ১০ বছর পর কোন দলই আর তাদের সাথে আতাঁতের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবেনা।
Option ২টা আছে ভাই -
(A)
(B)
Choice আপনার। আমি যদি B কে বেছে নেই তাহলেই আমি আওয়ামীলীগের ক্যাম্পেইন করছি ধরে নেয়াটা ঠিক না। আপনার মন্তব্যে কিছুটা হতাশ হয়েছি।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আমি অত শত সমীকরণ, না ভোট, হ্যাঁ ভোটা বুঝি না, আমি শুধু একটা জিনিষই বুঝি, এই নির্বাচনে যেন কোন রাজাকার নির্বাচিত না হতে পারে।
সহমত।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
তবে এইটা নিশ্চিত যে, সংসদে দুই দল মিলে "না ভোটে"র বিধানটা বাতিল করে পোষ্টদাতার 'শতভাগ নির্ভুল'তার প্রমান রাখবে।
অনিন্দ্য রহমানের যুক্তির স্পিরিটটি সমর্থন করি। তাঁকে ধন্যবাদ বিষয়টা উত্থাপন ও যুক্তির ভিতটা দাঁড় করানোর জন্য।
না ভোট প্রসঙ্গে এই চুটকিটি মনে পড়লো। এক লোক কুকুরের লেজে একটা পাইপ ঢুকিয়ে বসে আছে। তো লোক যায় পাশ দিয়ে আর হাসে। একজন তো বলেই ফেলে, আরে বোকা ওর লেজ কী আর সোজা হয়! লোকটির উত্তর: না ভাই, আমি লেজ সোজা করতে পাইপ ঢোকাইনি, পাইপ বাঁকা করার জন্যই লেজের আশ্রয় নিয়েছি।
বিষয়টা নিয়ে সংক্ষেপে তড়িঘড়ি করে এভাবে ভাবতে চাইছি। দেখা যাক দাঁড়ায় কিনা।
১. পরাশক্তি প্রেরিত আমাদের সিভিকো-মিলিটারি-কর্পোরেট রেজিম চেয়েছিল গোটা রাজনৈতিক নের্তৃত্বকেই 'নাই' করে দিতে। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, এখন এসেছে 'না'। তাঁদের যে নাই করে দেওয়া রাষ্ট্রের মাথায় বসতে চেয়েছিল, এখন তার ঠাঁই হয়েছে ব্যালট পেপারের নিচে। রূপান্তরটি লক্ষ্যণীয়।
২. বুঝলাম 'না' একটা তরিকা, একটা পছন্দ। সুতরাং না-য়েরও একটা রাজনীতি রয়েছে। কিন্তু দল রয়েছে কি? আপাতভাবে সিভিল সোসাইটি, শহুরে মধ্যবিত্তের একটা অংশ, সিভিল সোসাইটির জুনিয়র তরফ (নির্বাচন উপলক্ষে দেশে এসে না-য়ের পক্ষে সেমিনার, পোস্টার এবং মিডিয়ায় সক্রিয়) এবং তার থেকেও হয়তো বেশি করে বিদ্যমান রাজনীতিতে মোহশূণ্য হওয়া নাগরিকরা এর পক্ষপাতি। এই না রাজনৈতিক হলেও নির্দল। এই নির্দলীয় না-বাদী রাজনৈতিক আচরণ দেশকে রাজনীতিশূণ্য করার বাতিল কর্মসূচির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রচনা করে কি? অসচেতনভাবে হলেও?
৪. না-বাদ থাকা মানে এমনি এমনি থাকা নয়। যেহেতু ব্যালটে ও সমাজে না-য়ের ধারা বিদ্যমান। সেহেতু ধরে নেয়া চলে যে, ব্যালটের না জয়যুক্ত হতেও পারে। তা করতে হলে সমাজের না-বাদীদের ব্যাপক ততপর হতে হয়। ধরা যাক, এ ধরনের তৎপরতা জয়ীও হলো একটি অথবা অধিকাংশ আসনে। তা যদি হয়, তাহলে প্রশ্ন এই যে, না-বাদ যদি এতই প্রবল হতে পারে ( এবারে না হলেও আগামীবার, কিংবা তার পরের বার), তাহলে সেই না-বাদীরা একটি রাজনৈতিক দল খুললেই তো লেঠা চুকে যায়। তারা ভাল রাজনীতিই উপহার দিতে পারেন। আর যদি তা না পারেন, তাহলে না-র কোনো ভবিষ্যত নাই। তা বিচ্ছিন্ন কিছু মানুষের আকাঙ্ক্ষা বা হতাশার প্রকাশ ঘটাবে মাত্র। সে পথে জনগণ যাবেন কেন?
৫. সুতরাং, না-এর একদিকে থাকছে বিদ্যমান প্রার্থীদের খারিজ করা। ব্যালটে যদি না মার্কা থাকে, তাহলে তা কোনো না কোনো বা সব প্রার্থীদের বিরুদ্ধেই যাবে। অন্যদিকে না হচ্ছে নতুন কোনো রাজনীতির আকাঙ্ক্ষা। না-য়ের প্রচারকদের সেই রাজনীতির রূপটি কী হবে সেটা স্পষ্ট করতে হবে। যদিও না দেয়ার মধ্যে দিয়েই বিমূর্ত ভাবে সেটা তারা করছেন। এটাকে মূর্ত করলে তখন আর না-মার্কা থাকবার প্রয়োজন পড়ে কি?
৬. তাহলে দাঁড়াচ্ছে, না একটা অন্তর্বতীকালীন ব্যাপার। একসময় যেমন তত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মূলা এসেছিল, এখন তেমন এসেছে না ভোটের সুশীল ফর্মুলা। তত্ববধায়ক সরকার ব্যর্থ হয়েছে, না-ও ব্যর্থ হবে। তাহলে এই হুজুগে মাতার ফজিলত কী?
৭. এরশাদ আমলেও হ্যাঁ-না ভোট হয়েছিল। এবারে সেই প্রেসিডেন্সিয়াল হ্যাঁ-নাকে সংসদীয় পদ্ধতির মধ্যে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। হ্যাঁ-না ভোট ছিল বন্ধ্যা। কারণ সেখানে সবসময়ই হ্যাঁ-কেই জয়ী করবার ব্যবস্থা থাকতো। অন্যভাবে না জয়ী হলেও এরশাদের বদলে অন্য কাউকে হ্যাঁ করার অর্থাত প্রার্থী বদলটা স্বতঃসিদ্ধ হতো না।
৮. সিস্টেম সবময় সবাইকে তার জালের আওতার মধ্যে বা ভাবাদর্শের মশারির মধ্যে রাখতে পারে না। সিস্টেম বেশি ব্যর্থ হলে বেশিরভাগ লোকই ওইসবের বাইরে চলে যায়। তারা তাদের ক্ষোভ প্রকাশের রাস্তা খোঁজে। উপযুক্ত ও সাহসী নের্তৃত্ব দাঁড়িয়ে গেলে জনগণ সেই ক্ষোভকে ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটানোর পথে নিয়ে যেতে পারেন। তখনই আবির্ভাব ঘটে নতুন রাজনীতির। না-ভোট সেই সম্ভাবনাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে তা নয়। তবে সেখানে কিছুটা চোখে ধুলা তো দিতেই পারে। আমি অ্যাকশনের পক্ষে, না ভোট জাতীয় ইনঅ্যাকশনে কোনো কাজ হয় বলে বিশ্বাস করি না।
৯. মীরপুরে দেখা যাচ্ছে, কোনো কোনো প্রার্থীর পোস্টারের পাশে কে বা কারা 'না ভোট' দেবার স্টিকার লাগিয়ে যাচ্ছে। হতে পারে কোনো সৎ নাগরিক তা করছেন। অথবা করছে তার বিরোধী পক্ষ। এতে করে ঐ প্রার্থীর ভাবমূর্তি কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ই। এ থেকে দেখা যাচ্ছে, না ভোটের অস্ত্র না-বাদীদের হাতে থাকছে না পুরোটা, ভোটের আগেই তা চলে যেতে পারে বিদ্যমান রাজনৈতিক শঠদের কারো না কারো হাতেই।
১০.যাত্রাপালায় বিবেকের একটা ভূমিকা স্বীকৃত। বিবেক কিছু না করলেও ভাল ও মন্দের ভেদ চিনিয়ে দেয়। দর্শকের সহানুভূতি কার দিকে যাওয়া উচিত তার সিগনাল তোলে ট্রাফিকের মতো। না-ভোটের এই ভূমিকা থাকতে পারে। রাজনীতির অধপতনের একটা ব্যারোমিটার তা হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু পতন চিহ্নিত হলে প্রতিকার কি আবারও সেই দলগুলোর কাছেই আরেকবার প্রার্থী চাওয়া। এভাবে চাইতেই থাকা। যে লুটেরারা কোনোভাবেই পাল্টাবে না, যাদের লেজ কিছুতেই সোজা হবে না, তাদের লেজ সোজা করার এই মেহনত তাহলে কার কাজে লাগবে? ১৯৯০ এর পরের দেড় দশক এবং ১/১১ এর পরের দুই বছর প্রমাণ করেছে এদেশে আমূল পরিবর্তনই একমাত্র বিকল্প। এবং বিদ্যমান নায়ক-খলনায়কদের কেউই তা দিতে পারে না। সেই পরিবর্তনের শক্তি আসতে পারে নতুন কোনো জায়গা থেকে। সুপ্ত জনগণের ভেতরে নতুন রাজনীতি ও সংগঠন দঁড়ানোর মাধ্যমে। এই উপলব্ধি যদি সঠিক হয়, তাহলে না ভোট তার পথে বাধা না হোক, ছোট্ট গোলকধাঁধা। জেনেশুনে তাতে পা দেব কেন? লেজ সোজা হয় না বলে নিজেদের বাঁকা করার কী মানে?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
এই চুটকিটা আগে দিলে কসকি মমিন সিরিজে দিয়া দিতাম
না-ভোটের প্যাঁচ-ঘোচ এখনও পুরা বুঝতে পারিনি। এটার মধুটা কে খাবে তাও ধরতে পারছি না। বিদেশী শক্তি তো সব সবময়ই বড় ফ্যাক্টর।
মইন-ই-ভরসা করে থাকি আপাতত!
চূড়ান্ত অর্থে 'না ভোট' তো বটেই, এমন কী ভোটবাজীর অসারতা এখানেই। তবে আপাত অর্থে 'না ভোট' গলিত রাজনীতির বিরুদ্ধে একটি ছোট্ট প্রতিবাদ।
ধারালো বিশ্লেষণের জন্য আপনাকেকে -বিপ্লব- দিতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু সচল কর্তৃপক্ষ এই স্মাইলিটি বোধহয় তুলে নিয়েছে!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
না ভোট দিয়ে আমি সবগুলার মুখে লাথি মেরে বললাম, তোদের কেউই যোগ্য না। এতে আমার ভোট নষ্ট হলো? না ভোট অবশ্যই একটি বিপ্লব। রাজনৈতিক দলগুলোকে বুঝিয়ে দেয়া যে, আকাম-কুকাম করলে তাদেরকে লাথি খেতে হবে।
একমত।
তবে মনে হয় এই না ভোট টা আমাদের দেশে কার্যকর হতে সময় নেবে।
এখনই এত বোঝা যাবে না।
নতুন মন্তব্য করুন