নিবেদন :
পূর্ণ সচল হওয়ার পর, এটি আমার প্রথম পোস্ট। তাই সচলায়তনের লেখক-পাঠক-সংগঠক সকলের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। সচলত্বপ্রাপ্তির কারণে আজ আমার জন্য বিশেষ একটি দিন। (এবং অবশ্যই জাতীয় ইতিহাসের নিরিখে, বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় কার্যকর হবার দিন হিসেবে)
স্বাভাবিক নিয়মেই হয়ত, কারো কারো (লেখক হোক বা অ-লেখক) কোনো কোনো সময় ধরে লেখার সাবলীল ক্ষমতা মুলতবি থাকে। এমনই একটি অনুৎপাদনশীল সময়ে পূর্ণ সদস্যপ্রাপ্তি আমার পক্ষে খানিকটা কষ্টকর তো বটেই। কিন্তু লিখতে আমার বড়ো ভালো লাগে।
বর্তমান পোস্ট (যেটি ঘটনাক্রমে একটি কবিতাসদৃশ রচনা) নিয়ে একটি কথা বলার রয়েছে। সেটি হল, লেখাটির শেষ অংশের চিন্তামূল জীবনানন্দের অতি-বিখ্যাত কবিতার অপেক্ষাকৃত স্বল্পখ্যাত লাইন : থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন। আরো উল্লেখ্য এই রচনার সাথে শাস্ত্রীয় গণিতের যথেষ্ট সম্পর্ক নেই।
---
এয়ারপোর্টের বিক্ষিপ্ত চিন্তা
।।পাসপোর্টে পাতা নেই।।
শূন্যের সাথে এক, ও একের সাথে দুইয়ের
সম্পর্ক এক নয়।
আমরা সকলেই তাই শূন্যের
এবং অন্যের
সাথে দ্বিবিধ সম্পর্ক গড়ি।
আর এই একই সূত্রে অন্যের সম্বন্ধে আসি বিশেষ সিদ্ধান্তে
সিদ্ধান্ত : অভিজ্ঞ পাইলটের জন্য বিমানে ওড়া মামুলি ব্যাপার
তবে এই দিয়ে এক-কে সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব নয়।
দুইয়ের সাথে এক
কম বেশি হলে
এক কিংবা তিন পাওয়া যাবে।
একের সাথে এক
কম হলে কিছু পাওয়া যাবে না,
বেশি হলে দুই মিলবে।
এই হিসাবে, একের চেয়ে কম কিছু নেই। বাস্তববোধে।
তাই : আমরা প্রত্যেকেই নিজস্ব জ্ঞানে নিতান্তই সর্বনিম্ন।
।। রানওয়েতে ঘাস ফড়িং, একা একা ।।
এক - সর্বনিম্ন বেজোড়
একে সমান দুইভাগে
ভাগ করবার প্রশ্নই
আসে না।
কারণ এক দুইয়ের চেয়ে ছোট।
জোড় বেজোড়ের সকল হিসাব তাই
শুরু হবে দুই এর পর থেকে।
বাস্তবে ও পূর্ণতায় চিন্তাকে বদ্ধ রাখলে এই সব চিন্তাই সত্য।
এখন অবাস্তব ও ভগ্নসংখ্যায় চিন্তা যুগপৎ উন্মুক্ত হলে
এক-কে আর এক রাখা যাবে না।
যে-জন্য : এক-ই ঈশ্বর, যদি বাস্তবে থাকো।
।। এয়ারপোর্টের ক্যাফেতে, অপেক্ষায় ।।
বর্গাকার টেবিলে, ধরা যাক
আমি আর তুমি মুখোমুখি
বসে।
আয়তাকার টেবিলেও
সেই একই আমি আর তুমি, মুখোমুখি।
নিশ্চিত বদলে যাবে
আমার-তোমার সম্পর্ক
টেবিলের গুনে।
যেমন বর্গাকার
টেবিলের আর দুটো ধার
থাকবে সমান সমান।
আমাদের দুজনের জন্যই কাছাকাছি,
অথচ মুখোমুখি নয়,
এমনভাবে বসা ব্যক্তির সাথে
সম্পর্কের সম্ভাবনা
উন্মুক্ত রেখে
আমরা বসতে পারি বর্গাকার টেবিলে।
অথবা আমরা যদি
আয়তকার টেবিলের
বড় দুই ধারে
দুইজন মুখোমুখি বসি,
আমাদের, আমাদের নিজেদের চেয়ে কাছাকাছি
এবং মুখোমুখি আসবার কেউ নেই।
নয়ত আমরা যদি
ছোট দুই ধারে বসি
তবে, মুখোমুখি যদিও হবো,
কাছাকাছি কখনো হবো না কখনো।
গোলটেবিলে তাই : যাবতীয় সম্পর্ক হিসাবের বাইরে চলে যায়।
আমি তাই চারকোনা টেবিলে বসে, সম্পর্ক নিয়ে ভাবতে চাই, বাস্তবে থেকে।
[ছবি : ইন্টারনেট]
মন্তব্য
দারুণ দিনে সচল হলেন। মনে রাখার মতোই।
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
কবিতা পড়ার আগেই অভিনন্দন জানিয়ে নিলাম
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অভিনন্দন!
--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
- ভাই এই ঐতিহাসিক সচলত্বের দিনেই আপনারে কোবতে দিতে হৈলো?
যান, তাও অভিনন্দন জানায়া গেলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অভিনন্দন, আপনার সৌভাগ্যে ঈর্ষান্বিত
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অভিনন্দন রইল অনিন্দ্য রহমান।
অভিনন্দন! সচল থাকুন, সচল রাখুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অভিনন্দন!
অভিবাদন সচলত্বে ।
নতুন মন্তব্য করুন