আমি বাজাই। ওই উঁচুতে। কাঁচের লিফটে পিয়ানো আঁটে না। সিঁড়ি ভাঙতে লোকের অভাব নাই যদিও। আমার পকেটে আছে। অভাব। আর এতে স্বভাবও, নষ্ট না হলেও বদলে তো গেছে। আমি গান গাই, যা লোকে শুনতে চায়। দিলসা কোঈ কমিনা ন্যহি। আমার ভাইটা কথা বলতে পারে না। মা নাই। বাবাও। আমি তাই পিয়ানোটা নিয়ে তিন তলা করে ভাঙি। তারপর এট্টু জিরাই। তিন পাঁচা পনেরো, তারপর ব্লু মানডে ক্যাফে। আমার জন্য বিষ্যুদবার বিকাল। ফকির শাহবাজের দরগায় গান চলে তখন। অচেনা পাখি ডাকে টোয়াই, টোয়াই, টোয়ইলাইট। আমার শোনা হয় নাই বহুদিন। অথবা কোনোদিন। রাহাত আলি, ভায়া ভরদ্বাজ আমার গলায় নামে। হাতও চলে।
আমি রেহজিয়া। ছেলেটাকে ব্লু মানডেতে দেখেছি। বৃহস্পতিবার করে বাজাতে। ভাইটাকে সাথে নিয়ে পিয়ানোটা বয়ে পনেরতলায় ওঠে। ভাইটা বোবা। ভাই বাজানো শুরু করলে এক কোনায় বসে থাকে। ব্রাদার এইখানে সিগারেট ধরায়েন না। ভাইটা প্যাকেটে ভরে দেয় আবার। বয়স আর কত। ওফ, আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। আই অ্যাম জাস্ট অবসেসড। স্ট্রাগলারদের আমার ভালো লাগে।
সন্ধ্যায় ব্লু মানডেতে আরো অনেকের ভীড়। বোবা ভাইটাকে রেখে সেলিম গান ধরে। যখন যা ফরমায়েশ। এলাকা গরম হচ্ছে। আর রেহজিয়ার অন্তর্বাস। দৃশ্যমান। চাইতে, কিংবা না চাইতে। ভাইটা রেহজিয়ার বুকের দিকে এক দৃষ্টিতে। বিস্ময়। দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি। সেলিমের গলা চলছে। এ এক অদ্ভুত অন্ধকার। অন্ধকার নয়?
সন্ধ্যার পরও ব্লু মানডেতে ভীড়। সেলিমের সময় শেষ। বড়োরা গাইবে। রেহজিয়া ভাইটাকে নিয়ে খুশি নয়। তবু বোবা বলে ক্ষমাসুন্দর। আচ্ছা ক্ষমা নাকি সুন্দর। কোন শুয়োরের বাচ্চা বলসে? তবে রেহজিয়া সুন্দর। সেলিম জানে কি? বড়লোকের বাচ্চাদের সাথে মিশতে ভয় হয়। ওই মিয়া, হপ্তায় হপ্তায় এই বাকশা লইয়া আসেন ক্যান। কিবোর্ড কিনেন একটা। নাইলে ধার করেন। ভাব মারতে মারতে তো শ্যাষ হয়া গেলেন। ইয়ানি বাজাইছে পিয়ানি।
থার্সডে নাইটের উপরি, এক পেগ মাল।
কি মাল জানি না। হুইস্কি হুইস্কি লাগে। আবার পোড়া পোড়া গন্ধ। ভালো জিনিস। আমি রেহজিয়া। মেয়েটা বলল। ভাইটা দূর থেকে কাছে ঘেঁষল। অন্তর্বাসটা বেরিয়ে নেই এখন। তো এই ভাবেই পরিচয়। এই ভাবে। আসলে ভাব বস্তুটা কি ভাই। আমি সত্যি জানি না। কিন্তু আমার নাকি বেশি। পয়সার অভাবে একটা সস্তা কিবোর্ডও কিনতে পারি না। এক কোরিয়ান চাইচুইয়ের পরিত্যক্ত পিয়ানো আমার বাপের রেখে যাওয়া। শালা চাইচুইগুলার মন ভালো ছিল। সিনেমার মতো ব্যাপারস্যাপার। পিয়ানো বাজাতে শিখেছিলামও ওদের কাছে। বাপটা কাজ করত ওদের জন্য। তারপর তো মরেই গেল। মায়ের কথা বললে পুরা সিনেমা। তাই ওই কথা বাদ। রেহজিয়া শুনে চোখ দিয়ে পানি-টানি ঝরালো। বড়লোক তো। মন নরম। এরা আবার ক্যামনে ক্যামনে জানি ফরসা হয়। এদের মাংসও নরম।
আমি সেলিম আর কিছু জানি বা না জানি, গল্প জানি, জানি এই মেয়েটার পছন্দের গান। ডর লাগতা হ্যায় তানহা সোনেমে জি...
ব্লু মানডে থেকে একরাতে সোজা রেহজিয়ার শোবার ঘরে। শালার বিছানা না চোরাবালি। সেলিম ভালোই চালালো। ভাইটা এতদিনে এক জোড়া অর্ন্তবাস নিয়ে খেলার সুযোগ পেল। আহ। এরা অনেক ফ্রি টাইপের। ফ্রি-ফ্র্যাংক । ভাই রে আমরা যে কীসব ইংরেজি বলি। এগুলা শুনে ওরা হাসবে। ইংলিশ স্কুলে পড়েছে । ওরা এইসব ফল-ফ্রুট, পোস্ট-পজিশন, মন-মানসিকতা টাইপের কথা বলে না। এইসব দ্বন্দ্ব সমাস বাংলায় চলে। ইংরেজিতে বহুত ঝামেলা।
আমি রেহজিয়া। অফকোর্স আই নো হোয়াট ফ্রিফ্র্যাংকিং ইজ। ইটস আ ব্রিটিশ পোস্টাল সিস্টেম। আই টুক আ কোর্স অন লিডারশিপ অ্যান্ড ডেমোক্রেসি। আমি অন্যদের মতো ইনসাবসট্যান্সিয়াল না। আমি জানি। দরকারি। দরকারি নয়। এমন বহুকিছু। আর আমি আমার বুবস সামলে রাখাটাকে মিডলক্লাস বিষয় মনে করি। হ্যাঁ। সবকিছুকে সেকশুয়ালাইজ করাটাই ছোটোলোকি। ঠিক তাই।
রেহজিয়া ভাবে বোবা ভাইটাই সেফ ছিল। বাংলায় কি জানি একটা কথা আছে না, বোবা কারো শত্রু না, না কি জানি, এই টাইপের। যাই হোক।
ফ্রি ফ্র্যাংক ম্যাকওর্টারের নাম শুনেছেন? ইনি ছিলেন ক্রীতদাস। কিন্তু এমন তার ব্যবসায়ী বুদ্ধি। সেই বুদ্ধি খাটিয়ে, দিনে দিনে বড় লোক হলেন। কিনে নিলেন স্বাধীনতা। নিজের মালিকের থেকে। নিজের বউটাকেও স্বাধীন করলেন। আটশ ডলার দিয়ে সেই আমলের। উনিশ শতকের। নিউ ফিলাডেলফিয়ায় গেলে আরো ভালো জানতে পারবেন। ফ্রি ফ্র্যাংক ম্যাকওর্টার। আমেরিকার প্রথম কালো মেয়র। বিপ্লব করেননি। টিপ্লবও না। বুদ্ধি খাটিয়ে স্বাধীনতাটা কিনে ফেলেছেন। স্রেফ। লেখক জ্ঞান ফলায়। আমি কিন্তু লিডারশিপের কোর্স করি নাই। লেখক আবার ফলায়। সবজান্তা হারামি। স্টকারের তো একটা বাংলা বের করতে পারলি না।
ভাষায় যা নাই, তা বের করা অবৈধ।
রেহজিয়া ক্লান্ত সেলিমকে বলল তুমি কিছু নেবে? যেমন? সেলিমের প্রশ্ন। যেমন টম্যাটো জুস। টম্যাটোরও জুস হয় নাকি!
সেলিম আর তার ভাই সেই খেয়েই মাতাল। রেহজিয়াদের গ্যারেজে পিয়ানো রেখে এসেছে। কাল-পরশু নিয়ে আসলেই হবে। তুমি কি বল বুঝি না ভাই। তুমি যাবা আনাতে? কী? একাই যাবা? একা একা পারবা তো? সেলিমের জিজ্ঞাসা। বোবা ভাইটা হাসে। সেলিমও হাসে।
মন্তব্য
কী কপাল কাকা!!!!!!
------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ভাল্লাগছে।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
আলোকবাজি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ভাষাকামমোহিত হয়ে পড়লাম আর পড়লাম (দুটো দুই অর্থে), বুঝবেন আপনি।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
থাইমা থাইমা পড়তেন
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপনার বই বেরুলে আমি গাঁটের পয়সা খরচ করে কিনব, কসম! কী লেখা!
ধন্য কিন্তু বইটা যে কবে বাইর হবে
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
দারুণ কাব্যিক ঢঙে লেখা। ভাল লাগলো বেশ।
অটঃ ঢাবি'র ইংরেজির আপনি? মনে হলো কার যেন প্রোফাইলে দেখলাম ফেইসবুকে!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
১.
কাব্য আমার উদ্দেশ্য ছিল না। আপনার ভালো লাগায় আনন্দিত।
২.
হ্যাঁ। আমি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কুঠিবাড়িতে বছর সাতেক বরকন্দাজগিরির ট্রেনিং নিয়ে, চূড়ান্ত বিচারে অকৃতকার্য। এই বেদনার কথা মনে করতে চাইনা। ফেসবুকে অ্যাড করেন না, সেইখানে কথা হবে । aninda ডট rahman অ্যাট hotmail ডটকম
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হা, হা! আমিও তাইলে ওই ''ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি''-র দাসী-বাদী বলতে পারো, খালি আমাদের এক বছর কম লেগেছিলো অনার্সে। তুমি কি রুবায়েদ-এর ব্যাচ?
আমার নিক (ক্লিক করে ইমেইল অ্যাড্রেস পাবে) ধরে খোঁজ লাগিয়ে অ্যাড করে ফেলো। কথা হবে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।
রুবায়েদ আমাদের এক ব্যাচ সিনিয়ার। ইংরেজি বিভাগ নিয়ে আর কথা না। অ্যাড করসি ...
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
চলুক
স্টাইলটা ভাল লাগল ,একটা নিস্পৃহ ঢং আছে ,কিন্তু আরোপিত মনে হলনা মোটেই ।
অদ্রোহ।
ধন্যবাদ। ব্লু মানডে ক্যাফেতে আরো ঘটনা ঘটে। আরেকদিন লিখে ফেলব।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপনার গল্প মারাত্মক ভালো লাগলো।
আপনি কি কম লেখেন? নাকি আমিই কম পড়ি?
আবারো বলি, অনেক ভালো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আমিই কম লিখি। গল্প তো আরও কম। এটা আমার জীবনের ৬ নম্বর গল্প। আপনার মতো পাঠক আমাকে আরো লিখতে অনুপ্রাণিত করবে। অনেক ধন্যবাদ।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
প্রকাশ নতুনের প্রয়াশ । আরো চলুক । যে কোন নতুনের সাথে আগে পরিচিত হতে হয় পরে আস্তে আস্তে এগুনো ।
ভালো লাগলো এই টুকুন বলতে পারি -
ধন্যবাদ
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
দারুণ লাগলো!
থ্যাঙ্কু ...
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপনার গল্প এই প্রথম পড়লাম। চমৎকার লাগলো!
গল্প তো তেমন একটা লিখিও না। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অন্যরকম লাগলো। অবশ্যই ভালো। আগে কখনও আপনার লেখা পড়া হয়নি। এখন মনে হচ্ছে মিস করেছি!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অট: আমাদের রেস্টুরেন্ট কাম বইয়ের দোকানটা কি হবে না আর, হে মহান উদ্যোক্তা?
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ভাগ্যিস আজ ফেসবুকে রাহাত ফতেহ্ আলী খানের গানটা পোস্টাইছিলাম। তাই তারই সূত্র ধরে এই গল্পটা পড়া হল। গল্পটা আঙ্গুলের ফাঁক গলে বের হয়ে গিয়েছিল কী করে তাই ভাবি।
গানটার প্রতি আরেক দফা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হয় দেখছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ।
গল্পটা আমারও আঙ্গুলের ফাঁক দিয়া ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ভাষা কি রে ভাই!!!!লা জাবাব!!!
ফাটাইয়া তো ফেলাইছেন।
অলস সময়
আস্তে ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মনের মুকুরে আজকে এই লেখা দেখলাম। ৫ বছর চলে গেল!
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মনের মুকুরের কারণে পড়া হল। ধন্যবাদ মনের মুকুরকে। সাবাশী লেখক-কে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন মন্তব্য করুন