ক.
"Those who can make you believe absurdities, can make you commit atrocities." (Voltaire)
খ.
"A minute of silence takes forever" (Bande à part by Jean-Luc Godard)
১.
জুলাইয়ের প্রায়ান্ধ বিকালে এইসব প্রশ্ন ফিরোজের মাথায় এমনি এমনি জমা হয় নাই। বৃষ্টি হবে হবে। মোকা কফি থেকে ধোঁয়া উঠছে। এখন সামনের মেয়েটাকে ইমপ্রেস করতে হবে। নাম রোজি। সে অবশ্য এই গল্পে একটা মাইনর ক্যারেকটার।
ফিরোজ বলে যায়, এই যে টাকা, এতো একটা রসিদই কেবল। ফিরোজের ভাষা প্রমিত। কণ্ঠ পেলব। বলে যায়। এই যে তুমি, আমি, এই লোকটা, ওই লোকটা - সবাই - সকলেই তাড়া-তাড়া বস্তা-বস্তা রসিদ জমিয়ে যাচ্ছি, এতে এই সভ্যতার অনুশোচনা হচ্ছে কি? এই নিরেট বৈচিত্রহীনতায়? কই? না তো! ফিরোজ কোথাও, সন্দেহ, কোনো এক রবীন্দ্রজলসায়, শুনেছিল এইকথা : সভ্যতা বিচিত্রপ্রাণ।
আরে! সভ্যতা আবার কী করবে ! তাড়া-তাড়া বস্তা-বস্তা রসিদগুলোকে এক জায়গায় চ্যাপ্টাচৌকো করে ফিরোজের পাছার নিচে ঢুকিয়ে বসে আছে বরং। সানন্দে। গৌরবে। ফিরোজ পকেট থেকে বের করে সেটা প্রায়ই টাকার বাক্সে ঢোকায়। বাক্সের তালাও টাকা। চাবিও টাকা। আর ভিতরে তো, বলাই বাহুল্য। এনি টাইম মানি। এটিএম। 'এম' দিয়ে মানি। তাহলে মেশিনটা কই?
এখানকার এই কফিটা ... এক সেকেন্ড। আপনি ক্যাপ্রিকর্ন সিমেন্টটা আঠারোশ হলেই ছেড়ে দেবেন। আঠারোশো। এর বেশি দরকার নাই। আর পাঁচশো রত্না স্পিনিং মিল কিনে ফেলেন। আমার সোর্স কনফার্ম করেছে। শীতলক্ষ্যার কুচকুচা পানিতে রত্না স্পিনিং মিলের ছায়া কাঁপে তখন। দু-চার ফোঁটা বৃষ্টি পড়ল, তাই। কোম্পানি লসে আছে আঠারো মাস। তাতে কার কী!
এই মুহূর্তে আছি কাওরান বাজার বারিস্তা লাভাৎসায়। সোনারগাঁ হোটেলটার জাস্ট অপসিটে। গাড়ির বেশ চাপ রয়েছে লিসনার্স, এফ এম জানাচ্ছে তখন। আচ্ছা এই 'এম' দিয়ে কী হয়? মানি নাতো? তাহলে 'এফ' দিয়ে কী?
ফাকিং মেশিন। এটিএমে টাকা নাই। ভালো কথা নাই। কিন্তু কার্ডটাও হজম করে ফেলল। বুথে টাকা না থাকা প্রসঙ্গে একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা মেশিনে টাকা ভরা ও নিরাপত্তার জন্য গডফরসেকেন, সংক্ষেপে জিফোরএস, কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। তাই এ ব্যাপারে সবসময় হস্তক্ষেপ করা যায় না। আপনার সমস্যার কথা নিরাপত্তারক্ষীকে জানান। লেখা।
বিষয় কী? নিরুত্তর আলি হোসেন অপ্রস্তুত হাসে। সে এটিএম-এর সিকিউরিটি গার্ড। ইচ্ছা করতেসে শুয়ারের বাচ্চাটাকে ঘুরায়া দুইটা থাপ্পড় লাগাই। কিন্তু প্রবলেম। থাপ্পড়ের সাপেক্ষে এই লোকটার বয়স বেশি। এইখানে বইসা কী ফালাইতেসেন? আপনি জানতেন না এই ঘটনা হবে? কথা বলেন না কেন? মজা লন?
আলি হোসেন (৫৬) ফিরোজ(২৯) এর দিকে তাকায়। গত কয়দিনের প্রচন্ড বৃষ্টিতে গলা বসে গেছে আলি হোসেনের। কাশতে কাশতে প্রথমে ভাঙল। তারপর একদম সাইলেন্ট। তাই সে মজা নিচ্ছে। মজা নেয়ার কোনো বয়স নাই, এই কথা সত্য।
ফিরোজ পিসড অফ। বিডিআরের মতো একটা ড্রেস পইড়া, নিজেরে বিডিআর ভাবা শুরু করসে। ওল্ড ফার্ট। একটা চাক্কুও নাই। সিলেটি বেত দিয়া চোর-ডাকাত তাড়াবে। দেখেন ভাই, এইগুলাকে পয়সা দিয়ে পালতেসে ব্যাংক। আমার সার্ভিস চার্জ থেকেই তো এদের রাখা হয়। আরো এক প্রত্যাখ্যাত যুবককে দেখা যায়। আকাশ অন্ধকার। ফিরোজ আকাশের দিকে তাকায়। বুঝতে পারে এখানে সময় নষ্টের সময় নাই। কোনো একটা কাজে, ফর্টি থাউসেন্ড ক্যাশ দরকার। রাত নয়টার মধ্যে। ইয়েস, ইটস ফিরোজ, রাইট। ওয়েল, ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড, আপনার সাথে পরে কথা বলি। আমি একটু ঝামেলায় আছি।
ঝামেলা পৌনে নয়টায় শেষ হয়। টায়ে টায়ে। জায়গা মতো ক্যাশ চলে গেছে। ফিরোজ এখন সাহিত্যে মন দিতে পারবে। সাহিত্য মানুষকে অন্য পশুদের থেকে পৃথক করেছে।
এই যে এখন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে, সাহিত্যের ছাত্র ছিলাম বলেই এর পুরো বিউটিটা ভোগ করতে পারছি। আয় বৃষ্টি ঝেঁপে, ধান দেব মেপে। আমার স্ট্যাটাসে সবাই লাইক মারতেসে, গণতে। রোজি কেনো মারে না : (
২.
রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টি। আলি হোসেনের অস্বাভাবিক কাঁপুনি। অনেকটা জ্বর। রাতটা এইভাবে ফুটপাতের উপর কাটিয়ে দিলে মারাও পড়তে পারেন। বেশ বুঝতে পারেন । তাই ভাবেন বাড়ি ফিরে যাবেন। ডিউটি শেষ হওয়ার আগেই। ব্যাংক থেকে লোক এসে এমনিতেও একটা আউট অফ অর্ডার ঝুলিয়ে গেছে। তবু এই কাজে ব্যপক দুঃসাহসের প্রয়োজন। গত তিন দিন ধরে তিনি আঠারো ঘন্টা করে ডিউটি করছেন। অতএব, মস্তিষ্ক দুঃসাহসকে প্রণোদনা দিচ্ছে। এবং মনে মনে ঠিক করেন সকালে আবার এটিএম বুথের সামনে এসে ঠিক দাঁড়িয়ে যাবেন। বদলি লোক আসার আগেই।
নিরাপত্তারক্ষী খুন
রাজধানীর কাওরান বাজার মাছের আড়তের সামনে বুধবার দিবাগত রাতে একটি বেসরকারি সিকিউরিটি এজেন্সির নিরাপত্তাকর্মীকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে। নিহত মোঃ হোসেন আলী (?) বিসিএইচডিএল ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখার এটিএম বুথের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়োজিত ছিলেন। হত্যার কারণ জানা যায়নি। তবে এলাকাটি রাত নামলেই মাদকসেবীদের দখলে চলে যায়। গত সপ্তাহেও প্রায় একই জায়গায় ... বোরিং স্টাফ।
৩.
আমার নাম আলি হোসেন। পোলাগুলারে আমি পরথম দেখিই নাই। যেই বিষ্টিবাদলা। কোইত্থুন জানি আয়া পড়ল। আমারে কয় এটিম মেশিনের চাবি দিতে। আমার গলা দিয়া আওয়াজ বাইর হয়না বাপধন। তারপরও কইলাম, এটিমের চাবি আমার ধারে নাই। কইলাম মেশিনের মইদ্যেও ট্যাকা নাই। বিশ্বাস গেল না।
আমার নাম ফিরোজ এ চৌধুরি। আমি একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ইংলিশ ল্যাঙ্গোয়েজ টিচিং-এর ওপর পড়াই। ইয়েস আই অলসো ডু সাম স্টক এক্সচেন্জ। ফরেক্সও করি। বাট এটা কি অবৈধ? বেআইনী? এই লেখক খামাখা আমাকে এই গল্পটায় ঢুকিয়েছেন। আমি ব্যাংকে টাকা রাখি। এটা কি অবৈধ? বেআইনী? ব্যাংক কাকে কীভাবে ট্রিট - ঠিক আছে এক্সপ্লয়েটই বললাম - এক্সপ্লয়েট করছে এটা আমার দেখার বিষয় নয়। আপনি এতোক্ষণ যে এই স্টোরিটা পড়লেন, আমার সাথে কোনো রিলেশন পেয়েছেন - উইথ দ্যাট পুয়োর গাই? আলি হোসেন অর হোয়াটেভার? আই ডোন্ট থিংক সো। দেন হোয়াই মি! আর বাই দ্য ওয়ে, ওই লোকটা তো ব্যাংকের কর্মচারিই নয়।
৪.
আমি লেখক। সুতরাং এই গল্পটা আমি লিখেছি। যেভাবে ইচ্ছা লিখেছি।
একজন আউটসোর্সড সিকিউরিটি গার্ডকে নিয়ে গল্প হওয়ার মতো কোনো পর্যাপ্ত নাটকীয় ঘটনা আমি সত্যিকার অর্থে প্রত্যক্ষ করিনি। হ্যাঁ, মাঝে মাঝে এক-দুজন সিকিউরিটি গার্ড এভাবে সেভাবে মারা পড়েন। পত্রিকায় পড়েছি। কিন্তু সব পেশাতেই এরকম হয়। ওই রিস্ক ফ্যাক্টর আর কি। তাহলে গল্পটা আপনাদের কেন বলা?
জানি না। তবে অনেক অনেক আগে আমি একটা এটিএম বুথে ছাতা ফেলে আসি। তাড়াহুড়ায়। বর্ষাকালের গোড়ায়। তারপর, দু-তিনদিন গেলে, আমি ওই এটিএম বুথটিতে ফেরত যাই। ছাতাটা আমার প্রেমিকার। তো, সেখানকার দায়িত্বরত বৃদ্ধ সিকিউরিটি গার্ডটা আমাকে চিনতে পারে। আমি ছাতা ফেরত পাই।
ছাতা হস্তান্তরের সময় আমার সাথে তার, এই মনে করেন একটা চার-পাঁচ সেকেন্ডের চোখাচোখি হয়। সেই মৌন সেকেন্ডগুলো আমি ভুলতে পারিনি। আমাকে সেগুলো দীর্ঘকাল অকারণে পীড়িত করেছে। আজ আমি তার অর্থ করেছি, সে হয়ত কিছু বখশিশ চাইছিল। দশ-বিশটাকা দিয়ে আসলেও পারতাম। ওই লোকটার সারা মাসের বেতন আঠারশো টাকা।
মন্তব্য
ভাল লেগেছে অনিন্দ্য দা।
অনেকটা মুভির মত, পড়ার চেয়ে দেখেছি বেশি।
এমন আরো আসুক।
.......................................................................................
জগতে সকলই মিথ্যা, সব মায়াময়,
স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয় ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
'দেখাতে পেরে' অনেক ভালো লাগছে । আরো লেখার চেষ্টা করব।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অসাধারন লেগেছে গল্পটা।
অনেক ভালো লাগল শুনে।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ভালো লাগলো ভাইয়া...
তবে বিন্যাসে আরেকটু যত্নশীল হলে ভালো হত বোধহয়...
চলুক এমন গল্পগুলো...
--------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো,
গৃহী হয়ে কে কবে কী পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
বিন্যাস জিনিসটাকে গলা টিপে মারলে কেমন হয় ?
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
গল্পটার নামকরণ খুব লাগসই হয়েছে। একবার পড়লাম, দুইবার পড়লাম। মুগ্ধ হলাম। অভিবাদন জানাই।
মূল থিমের কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এক কথায় মুগ্ধ!!
আমারতো অসাধারণ লাগলো। প্রত্যেকের আলাদা পারস্পেক্টিভ [বাংলাটা পেটে আসছে মুখে আসছেনা!]
কী সব্বোনাশ!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পরিপ্রেক্ষিত বা দৃষ্টিকোণ?
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
চমৎকার
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
খুব খুব ভালো লাগলো গল্পটা।
নিয়মিত আপনার গল্প পাঠের প্রত্যাশায় রইলাম।
_________________________________________
সেরিওজা
স্মার্ট ,সুখপাঠ্য গল্প।পড়ে আরাম পেলাম ,সন্দেহ নেই।
অদ্রোহ।
দারুণ লাগছে আপনার গল্পগুলো, ভক্ত হয়ে যাচ্ছি! অবিন্যস্ততাটাই থাকুক, সেটাই সৌন্দর্য। আরও লিখুন।
অবিন্যস্ততাটাই থাকুক। আমিও তাই বলি। ধন্যবাদ।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
দারুণ হয়েছে অনিন্দ্য ভাই
চমৎকার লাগল।
আপনার গল্পগুলোর "মুগ্ধ পাঠকের" দলে যে আমিও আছি সে কথাটাই জানাতে আসলাম।
সম্মানিত বোধ করছি। ধন্যবাদ।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হুমম, উত্তরাধুনিক ডিসকোর্স।
রঙ্গবাতিল: শব্দগুলো যেন টুকরো কাচের মতো ঝলসে উঠছে, শব্দ জ্বলছে, আলো ঝলকায়। আমাদের সভ্যতার ভেতরের নির্বিণ্নতা দেখছি, আর একটু-আধটু শিউরে উঠছি।
এটাই দারুণ। এটাই সৌন্দর্য।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
উত্তরাধুনিক !
বাকি বিশ্লেষণের জন্য ধন্যবাদ।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
কোন ভাষা পাচ্ছি না...
জানি অনেকক্ষণ চুপ করে বসে থাকলে ভালো হতো...যেমন চুপ করে বসে থেকে থেকে আমরা শুধু আমাদেরটাই ভাবি, আমাদের আখেরই গুছিয়ে চলি, আমাদের আড়ং বা আর্টিস্টি'র শো-রুম চোখে নিয়ে অদৃশ্য লোল ফেলি...
অনিন্দ্য...আরো লেখা চাই। আমি বুভুক্ষ হয়ে থাকলাম। বুকের মধ্যে কতটা মোচড় দিচ্ছে জানিস্ না! দিন-রাত এয়ার-কন্ডিশনড্ বক্সে উত্তরআধুনিক যুগের ক্রীতদাস হয়ে সময় কাটাচ্ছি, আর ভেতরে ভেতরে হয়ে উঠছি কুচ্ছিতরকম স্বার্থপর...
লিখলে লিংক পাঠাতে ভুলিস্ না...
চুপ করে বসে থাকা আর লেখায় সরব হওয়ার মধ্যে ফাংশনাল ডিফারেন্স বা প্রায়োগিক তফাৎ কতটুকু সেটা ভাবছি আজকাল। ধন্যবাদ শুচি।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ভাল্লাগলো।
------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
ভালো লাগলো
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
আলোকবাজি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
শুভাদা ও আশরাফ ভাইসহ অন্যান্য মন্তব্যকারীকে ধন্যবাদ।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
স্রেফ অসাধারণ!!!
ধন্যবাদ হে।
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
সাড়ে আট বছর পরে এই গল্পটাতে মন্তব্য করলাম ঠ্যালা দিয়ে গল্পটার এক কোনা নীড়পাতাতে ভাসানোর জন্য। তাতে আগে পড়েননি এমন কোন পাঠক যদি গল্পটা পড়েন। গল্পলেখককে একটা ঠ্যালা দিতে পারলে হতো। কিন্তু তাতেও তার কোন হেলদোল হতো কিনা সন্দেহ। অনিন্দ্য লিখছে না - এটাই ঠিক না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পড়ানোর জন্য তোমারে বিশেষ ধন্যবাদ!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
অনিন্দ্য, শুনতে পাচ্ছেন? আপনি আর লেখেন না কেন?
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন মন্তব্য করুন