গল্পটি রগরগে নয়। শিরোনামটি কিছুটা। চরিত্র ৪টি। চতুর্থজন আপনি স্বয়ং।
***
এই চারদেয়ালে পড়ে থাকি দিনের পর দিন আর উত্তরাধুনিক কবিটি আমাকে এসে এসে ধর্ষণ করে দিয়ে যায়। দিয়ে যায় ! চারদেয়ালে এই নিরন্তর ধর্ষণোপহার গ্রহণে মনোযোগী হতে না পেরে আপাতত, হ্যাঁ আপাতত, বাইরে আসি ধূসর সন্ধ্যায় ...
বাতাসে ফুলের গন্ধ আর কীসের হাহাকার। সমর সেনের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই এবং আপনাদেরও জানাই। কৃতজ্ঞতা নয়। একদা আমিও কবিতাসক্ত ছিলাম। ইদানিং মোমবাতি জ্বালাই।
তবু আমার এই বিষাদ। এই কথামালাটি, আজকের বিষাক্ত সন্ধ্যায় কবিতা কিংবা মোমবাতি নিয়ে নয়। প্রধানত আমার বাইরে আসা। এ আমার পক্ষে অনেক।
***
আমি তো অনেক দূরের থেকে আসলাম। অনেক দূর। কারণ সেখান থেকে কখনোই এই অবতল শহরে আলো এসে পৌঁছায় না। আলো কমে আসিতেছে। এমনিতেও।
পালিয়ে আসলাম এই শহরে। মাথায় ওয়ারেন্ট নিয়ে কেবল এই অন্ধদূর্যোগেই চলাচলের সাহস পাই। এমন হতাশাকর অন্ধকারে। এখানে যাবতীয় অস্তিত্ব ছায়াসমেত দ্রবীভূত । কেবল দৈহিক ভার অদৃশ্যে টালমাটাল। তবু কেন মাথার ভিতরে ওয়ারেন্ট সার্চ লাইট মারে। ওয়ারেন্ট - এই শব্দটা ফ্যাকাশে এই রাস্তাটায় আলোভূক পতঙ্গের মতো বাড়ি খায়।
আর পতঙ্গভূক আলোর দেখা নাই। আজকে কি সেই দিন? একটা অনেক অনেক উঁচু ভবনের সামনে উপনীত হয়ে এই কথা ভাবি।
***
আমি কখনো প্লেনে চড়িনি। নাগরদোলাতেও না। আমি পর্বত দেখেছি ন্যাটজিওতে। আর পাহাড় শব্দটা এতো চমৎকার গড়িয়ে গড়িয়ে যায়, আমি ওটাকে উঁচু কিছু ভাবতেই পারিনি। উচ্চতা বড়ো কষ্টের ভাবনা। আমি সমতলে সমতলে কোনোমতে কাটিয়ে দিয়েছি এই যৌবন। ভালোয় ভালোয়। কেবল ধর্ষক কবিটি আমাকে মাটিতে সেঁধিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে ... কেবল আজ প্রথমত আমি উচ্চতায় আরোহন করতে চাই।
আমাকে বলেছিল সে, আমার উচ্চতাভীতির কথা। আমার কোনো উচ্চতাভীতি নেই। নেই।
***
তুমি কি জানো পুরো শহরটা যখন অন্ধকার হয়ে যাবে তখন আকাশে নীল ফিরে আসে। এমনকি নক্ষত্রখচিত রাতেও?
সুতরাং এই পঁচিশতলা বিল্ডিংয়ের ওপর উঠে আমায় দেখতে হলো। এই ব্ল্যাক আউটের রাতে।
এখানে সমবেত মাত্র দুটি মানুষ। এই ছাদে। একজন যে জানাতে চায় তার উচ্চতাভীতি নেই। একজন, যে প্রায়শ অন্ধকার খেয়ে বেঁচে থাকে।
আমি তৃতীয় পুরুষ, ফ্ল্যাশগান তাক করেছি বাস্তবের দিকে। সাহিত্যে বাস্তবের বড়ো প্রয়োজন।
ছবির সূত্র
মন্তব্য
খাইছে রে ভাই!!!!!!!!!
কী এইটা? কবিতা নাকি গল্প নাকি রাজনৈতিক আলোচনা? পুরা মাথার উপর দিয়া গেল! আমার মত আম লোকের জন্য দয়া করে এইটার একটা বঙ্গানুবাদ ছাড়েন পপি গাইড স্টাইলে।
কি মাঝি, ডরাইলা?
রাজনীতির বাইরে কী থাকে আর স্যার ? লিখলাম একটা। বইসা বইসা ..
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আমিও আজ ছাদে উঠেছিলাম। খুঁজেছিলাম তাদের। গিয়েছে কোথায় সকলে? অন্ধকারে ফিরে আসা আকাশের নীলে? উচ্চতাভীতির গহ্বরে?
সুবীর কর
তারা কোথাও নাই। আমরা অন্ধকারনিবাসী।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মারবেই। এর থেকে বাঁচার কোন পথ নেই।
হ ...
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ভালো লাগলো ভাইয়া...
-------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ধন্যবাদ।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
[b] i liked it Ninda.....
ধইন্যাপাতা
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপ্নে দেখি আমার ফিল্ম রিভিয়্যুর চাইতেও জটিল ভাষায় গল্প কন।
-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
এইটারে ফিল্মের স্ক্রিপ্ট ভাবতে পারেন। কীভাবে দুইটা মানুষ, যারা এই শহরে অন্ধকারে ঘুরতে ঘুরতে একটা উঁচা বিল্ডিংয়ের ছাদে জড়ো হইলো - সেই কাহিনী।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
একটু ঠাট্টা কর্লাম। লেখা ভাল্লাগছে।
---------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
হ ... এইরম আরেট্টা লিখুম
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
নতুন মন্তব্য করুন