এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে চলবে না

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: সোম, ২৩/০৮/২০১০ - ৬:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সুকান্ত লিখে গেছে এই ১৮ বছর বয়স নিয়ে। মানেটাও বলে গেছে। স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি। এবং আরো কী কী।

বুড়ো ভামগুলো কলামটলাম লিখেছে এরপর বহু। শিক্ষকের-ছাত্রের দায়িত্বটায়িত্ব নিয়ে লেকচার। ছাত্রশিক্ষক দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিন। জানমালের মর্যাদা দিন। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের তরফদার ফখরু আর ভাইসরয় মইনু, সেরেস্তাদার মইনুল হাঁটুপূজারি খাদিম - সব শুয়োরের এক রা। এই রে সব ধ্বংস করে ফেলল। ধসিয়ে দিল সব। এবং নৈরাজ্য। নৈরাজ্যকে ভয়। এদের জীবনে কখনো ১৮ সংখ্যক বছরটা আসে নাই। এরা সতের টপকে সত্তরে চলে গেছে। দুর্গন্ধে ভাসিয়ে দিয়েছে পৃথিবী।

কিন্তু অনন্য ১৮ এসেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। অসুন্দর ১৮ এসেছিল জাহাঙ্গীরনগরে। এসেছিল রাজশাহীতে। বরিশাল বিএম কলেজে। যশোরের এমএম কলেজে। তবে কেবল ছোট্ট রাজাকারগুলোকে কোথায় দেখা গেল না।× ওদের জীবনে ১৮ আসবে না কখনো। পাকশিশ্ন জেনারেলদের অনুর্ধ ১৮ তেই রুচি।

মনে করাই, আজকে সেই ২৩ আগস্ট। মাত্র তিনবছরই তো হল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ঠেঙ্গিয়ে বিদায় করেছিল হাঁটুবাহিনীকে। আর শেষপর্যন্ত হাঁটুবাহিনী ইজ্জত বাঁচিয়েছিল কারফিউ দিয়ে। ইজ্জত যদি কখনো থেকে থাকে তবে।

আমি মানি, ঐ তখনকার ঠেঙানি খেয়েই ওরা বুঝতে পেরেছিল, দিন ওদের শেষ। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন - সারা বাংলার ছাত্রসমাজ, এটা ওদের বুঝিয়ে দেয়। আর ছিল রাস্তা থেকে উচ্ছেদ হওয়া হকার। আর ছিল স্বাধিকার থেকে উচ্ছেদ হওয়া মানুষসকল।

তোমরা ছিলে বলেই আমি ১৮-র স্বাদ পেয়েছিলাম। তোমরা ছিলে তাই একদিন জাতির গলা থেকে নেমে গিয়েছিল সামরিক জাক্কুম।

তাই, ঠ্যাঙারেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। ভ্যান্ডালদের প্রতি।

যারা ইন্ধন জুগিয়েছিল তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

যারা যারা সঠিক কাজটি করে নাই তাদের সকলের প্রতি অসম্ভব কৃতজ্ঞতা।

 

 

 

-----------------------------------------------------------------

ছবি : ২২ তারিখ আজিজ মার্কেটের সামনে মিলিটারি বাহন পুড়িয়ে দেয় ছাত্ররা। পরদিন কারফিউ দিয়ে, চুপিচুপি ফেরত এসে মার্কেটের ওপর বসবাসরত ছাত্র-ছাত্র-দেখাচ্ছে এমন প্রত্যেককে নির্মমভাবে পেটায় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী। ছবি : আনিছ আহমেদ

ছবি ব্যবহারের অনুমতির জন্য ফটোগ্রাফারকে ধন্যবাদ।

 


মন্তব্য

মনামী এর ছবি

মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

মনে থাকবার কথা।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

যারা যারা সঠিক কাজটি করে নাই তাদের সকলের প্রতি অসম্ভব কৃতজ্ঞতা।

চলুক
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

হাসিব এর ছবি

ঠিকাছে। সেইসাথে শান্তিকামী সুশীল নিস্তরঙ্গ ভুদাইদের খ্যাতা পুড়ি। হেরা কৈছিলো (এখনো কয়) ভাইসকল তুমারা শান্তিপূর্নভাবে দাবি দাওয়া পেশ কর। পরে বাড়ি গিয়ে পড়ালেখায় মন দাও। ছাত্রনং অধ্যয়ং তপ। রাজনীতি বড়দের জিনিস।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

১ জনের অপছন্দ দেখি হাসি
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

হাসিব এর ছবি

ব্যাপার্না। বাংলা ব্লগের একদম শুরু থেকে ব্লগাই। বহুত লোকে আমি যেইটা বলি বা ভাবি সেইটা অপছন্দ করে। সবাই আমারে পছন্দ করলেই বরং চিন্তিত হইতাম। সেইক্ষেত্রে বুঝতাম যে আমার অবস্থান যথেষ্ট শক্ত না।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

বাবা বলে গেল আর কোনোদিন গান করো না
কেন বলে গেল সেই কথাটি বলে গেল না ...
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

গৌতম এর ছবি

আমি তখন থাকতাম আজিজ মার্কেটের এগার তলায়। অনেককিছু নিজের চোখে দেখেছি। পৃথিবীর অনেক বড় বড় ঘটনা হয়তো ভুলে যাবো, কিন্তু নিজের চোখে দেখা ওই ভয়াবহ নৃশংসতা কোনোদিন ভুলতে পারবো কিনা সন্দেহ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আরো ৫-৭ লাইন লিখে যান। আমি চাই এই পোস্টে প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ থাকুক। পাঠের জন্য ধন্যবাদ।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নাশতারান এর ছবি

অরাজনৈতিক হওয়াটা এখন একটা ফ্যাশান। রাজনীতিবিচ্ছিন্ন থাকাটা শান্তিকামিতার নতুন নাম মনে করেন অনেকে। এই শান্তিকামিতা আসলে মেরুদণ্ডহীনতার কাব্যিক নাম।


বানান

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

সহমত
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সময়ের প্রয়োজনে গর্জে ওঠাই ছাত্রদের বৈশিষ্ট্য। একে টেন্ডারবাজি আর হল-দখলের ছাত্র-রাজনীতির সাথে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

সময়ের প্রয়োজনে সবাইকেই তাই করতে হবে। কিন্ত প্রয়োজনটা আগে টের পাইতে হবে। অনেকের একজীবনে কিছুই প্রয়োজন হয় না, তাহারা সুফি মানব হাসি
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হুম। সেটা ঠিক। তবে সেরকম মনে হয় সংখ্যায় কম।

ওডিন এর ছবি

খুব ভালোমতই মনে আছে।

যারা যারা সঠিক কাজটি করে নাই তাদের সকলের প্রতি অসম্ভব কৃতজ্ঞতা

______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

অনেকেই মনে রাখতে চাইতেসে না।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

রাসেল [অতিথি] এর ছবি

কিছুদিন আগে ঠোলাবাহিনী যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পিটালো সেটা এর চেয়ে কম কিসে?

১/১১ না হয়ে বিএনপি ভুয়া নির্বাচন করে আসলে মনে হয় খুব ভাল হত? ফখর, মইন এদেরকে গালাগালি না করে বরং বিশ্লেষন করে সমালোচনা করা যায়।

দেশে সারাজীবনই লীগ, দল, জামাত নামে ছাত্ররা রাজনীতির নামে মানুষ খুনাখুনি করে যাবে। আবেগ দিয়ে নয়, বরং যুক্তি দিয়ে লেখা উচিত। হাটুবাহিনীর এ ঘটনা মনে রাখার মত, কিন্তু এত রং লাগানোর কিছু নেই। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচাররা যাতে লাল, সাদা, নীল, কমলা দল না করে, তা নিয়েও একটু লিখুন। প্ থিবীর কোথাও এ রকমটা আছে বলে আমার জানা নেই - মুলত এ জন্যই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

কোন জায়গায় লাগল ভায়া?
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছু মনে করবেন না, কিন্তু আমার মনে হয়েছে আপনি লেখকের বক্তব্য বুঝতে পারেননি।
প্রথম কথা, বিষয়টি ছিল পুরোপুরি ছাত্রদের সাথে, এবং তখন এক পক্ষ ছিল ছাত্র সত্তা আর এক পক্ষ সরকার। হয়ত পরবর্তীতে সুসময়ের মাছিরা সুযোগ নেবার চেষ্টা করে, কিন্তু মূল বিষয়টা কিন্তু স্বৈরাচার বনাম গণতন্ত্রের।
দ্বিতীয়ত, আপনি এখন যে পরিস্থিতির কথা বলছেন, সে পরিস্থিতিতে ছাত্ররা হল বিভক্ত এক সত্তা যার বিভিন্ন পদবী রয়েছে। এবং একজন ছাত্র হিসেবে বলছি এর সম্পূর্ণ দোষ আমাদের। আমরাই আমাদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করতে দিয়েছি। মতের অমিল, বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য অবশ্যই থাকবে কিন্তু সত্তাটাকে ভুলে গেলে হবে না।
আর লেখক যদি আবেগ দিয়ে লিখে থাকেন তাহলে আমি এক্ষেত্রে ক্ষতির কিছু দেখছি না। কারণ উনি বলতে চেয়েছেন(আমার মতে), ঐ অভিন্ন ছাত্র সত্তার কথা, তাদের শক্তির কথা।
শিক্ষক চাইলে তালেবানদের কাছ থেকে ট্রেনিং নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু তাদের গ্রহণ করা বা না করার দায়িত্ব আমাদের।
আমরা নিজেদের দুর্বল ভাবি, এবং মনন এবং মেধায় দুর্বল হই। এবং আমরা নিজেদের ছিন্নভিন্ন করি। নাহলে মৃণালের মত ছেলেরা কেন মাথা নত করবে অন্যায়ের কাছে?

প্ থিবীর কোথাও এ রকমটা আছে বলে আমার জানা নেই - মুলত এ জন্যই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি।

এই শিক্ষকরাও কিন্তু একদা ছাত্র ছিলেন, আমার আপনার মতন!

অতিথি লেখক এর ছবি

সে এক নিদারুণ বিভীষিকা...দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়া ছাত্রবিক্ষোভের পূর্বাপর অনেক কিছুই এখনো চোখের সামনে ভাসে।

অদ্রোহ।

চয়নিকা [অতিথি] এর ছবি

আমার জীবনে আমি ৬৯ কিংবা ৭১ দেখিনি। খুব আফসোস ছিল। কিন্তু ২০০৭ সাল আমার সে আফসোস ফিরিয়ে নিয়েছে। আমি গর্বিত তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। আমি গর্বিত কেননা আমি খুব কাছ থেকে আন্দোলনের খুটিনাটি দেখতে পেয়েছি। ছাত্র ইউনিয়ন করি বলেই দেখেছি ছাত্র আন্দোলন কেন বারবার প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর নেতৃত্বের দিকে চেয়ে থাকে। সে এক অদ্ভূত সময়, সে সত্যিই তারুণ্যের স্পর্ধিত চেতনার সময়।

Faiyaz Zamal এর ছবি

২৩ শে আগস্ট আমার বিয়ে হবার কথা, সকালে আক্দ, রাত্রে বিয়ের অনুষ্ঠান। কিন্তু শালার সরকার ২২ তারিখ রাত থেকেই কারফিউ দিয়ে দিল, ২৩ তারিখ উঠেও কারফিউ থামার কোনো লক্ষণ নেই। কি আর করা, পাড়ার পোলাপান রাস্তায় ক্রিকেট খেলছিল , খেললাম ঘন্টা খানেক. তারপর বাসায় বসা। এর মধ্যে ২:৩০ টার দিকে জানলাম ৪ টা থেকে ৭ টা কারফিউ থাকবে না, সাথে সাথে সব আত্বীয়দের আর বন্ধু দের খবর লাগানো হলো, ৫ টার মধ্যে বাসায় ৩০- ৪০ জন উপস্থিত। এই বিরাট দল নিয়ে গেলাম মেয়ের বাড়িতে. কোনো মতে বিয়ে পড়ানো মাত্রই বউ কে নিয়ে তুরন্ত ফিরে আসা, সঙ্গে ডেকচি ভর্তি পোলাউ, খাবার সময় নেই। বউ নিয়ে আসা মাত্রই আমাদের লোক জন সবাই আবার যার যার বাসায় ফিরল, ৭ টার আগেই পৌছতে হবে তো !!!

কি এক দিন ছিল সেই ২৩ শে আগস্ট ২০০৭।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

হ্যাপি অ্যানিভার্সারি ...
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

আনিছ আহমেদ এর ছবি

৭১এ পাক বাহীনির নির্যাতন কেমন ছিল দেখিনি। তবে সেদিন আজিজ মারকেটে আরমির নির্যাতন দেখেছি। মনে আছে, থাকবে।

"কোন জায়গায় লাগল ভায়া?"- কথাটা ভালো লাগলো না। লেখকদের পরমতসহিষ্নুতা বেশি বেশি থাকা দরকার খাইছে

আপনাকেও ধন্যবাদ, ছবি ব্যবহারের জন্য।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ আনিছ ভাই।

লেখকের পরমতসহিষ্ণুতা থাকা ভালো।

আমার কাছে মন্তব্যকারী রাসেলের কথাগুলো প্রাসঙ্গিক মনে হয় নাই। তাই আমি জিজ্ঞেস করসি কোন জায়গায় [আমার পোস্টটা আপনার কথাগুলার সাথে] প্রাসঙ্গিক লাগল ভায়া?

ভালো থাকবেন হাসি
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

তাসনীম এর ছবি

তারিখটা ভুলে গিয়েছিলাম। মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আসলেই ভুলে গেলে চলবে না।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আজকের [২৪.০৮.১০] আমাদের সময় পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় একটা ছোট লেখা ছাপা হয়েছে। প্রাসঙ্গিক মনে করে তুলে দিলাম :

ঢাবির ছাত্রবিদ্রোহকে আমরা ভয় পাই!

আলমগীর নিষাদ: দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সংগ্রামের গতিমুখ ও ভেতর-বার্তা ধ্বংস করার চেষ্টা বারবার হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাবের বৈষম্যের মধ্যে যেমন মুক্তিযুদ্ধের গণ-সম্পৃক্ততাকে অস্বীকারের চেষ্টা চলেছে। ২০০৭ আগস্টের ছাত্রবিদ্রোহের ঘটনার ক্ষেত্রেও একইভাবে জনগণের সংগ্রাম চৈতন্যকে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঢাবির ছাত্র আন্দোলনের ফসল এই গণতান্ত্রিক সরকার, সেই সরকার বা সমাজই এখন ছাত্রবিদ্রোহের শক্তিকে স্মরণ করতে ভয় পাচ্ছে। ঢাবির ছাত্রবিদ্রোহকে অনুধাবনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোথাও কোনো একটা দ্বিধা বা সংকোচ কাজ করছে। অস্বীকার না করলেও একে এড়িয়ে চলার চেষ্টা চলছে। কারণ কি এই আন্দোলনটি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে? কারণ কি এই সংগ্রামের অভিভাবক কোনো পার্টি বা দল ছিল না?

একাত্তর, নব্বইয়ের আন্দোলনকে বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর আওতায় ঢোকানো গেলেও আগস্টের ছাত্রবিদ্রোহকে কোনো দলের অধীন করা যাচ্ছে না। এই প্রতিরোধ নিরঙ্কুশ জনগণের সংগ্রাম। আবহমান বাঙালির গণমুখী রাষ্ট্রীয় আকাঙ্ক্ষার স্ফূরণ। জন-আকাঙ্ক্ষার এ অভ্যুদয় ভুলে যাওয়া সমীচীন নয়।"

লিঙ্ক এখানে
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

মর্ম এর ছবি

ঘটনা ভুলিনি, তারিখ মনে ছিলো না, মনে করিয়ে দেয়ায় কৃতজ্ঞতা।

বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়ি তখন, কি কারণে যেন ক্লাশে যাইনি সেদিন, টিভিতে হঠাৎ এ খবর দেখে অবাক না হয়ে পারিনি। মেডিকেল কলেজে রক্তাক্ত ছাত্রদের ফুটেজ আর হল থেকে বন্ধুদের থেকে পাওয়া খবর শুনে যেতে চেয়েছিলাম ক্যাম্পাসে, বাংলা কলেজের সামনে অব্যাহত ভাংচুর পেরিয়ে আর যাওয়া হয়নি।

এক বন্ধুর পরিচিত একজন কাজ করতেন "সি এস বি" নামের নিউজ চ্যানেলটিতে। তিনি পরে বলেছিলেন, ওদের কাছে ভয়াবহ সব 'রাশ প্রিন্ট' ছিল যা প্রচার করা যায়নি। ওগুলো দেখে নাকি চোখের পানি আটকে রাখা কঠিন হয়েছিল ওদের জন্যই।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

মর্ম, কেবল সিএসবি নিউজের কথা বলতে গেলেই একটা গোটা পোস্ট হয়ে যাবে। একদিন বলব। আসলে অনেক অনেক কথা বলার আছে। অপেক্ষা করি আরো কয়েকটা দিন। পাঠ-মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্যও।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হল দখল, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস এইগুলা ছাত্রদের মধ্যে ঢুকানো হয়েছে ছাত্রদের সচেতনতাকে ধংস করতে। জিয়া, এরশাদের মতো সামরিক শাসকদের সময়েই ছাত্র রাজনীতির নামে এগুলার প্রসার ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। এই কাজগুলা যারা করে তারা একান্তই সংখ্যালঘু, তার মধ্যে এই সংখ্যা লঘুদেরও বিরাট অংশ অছাত্র। কিন্তু যতো দোষ নন্দ ঘোষ ছাত্রের।

জলপাইয়ের মাস্তানি নিপাত যাক।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

জলপাইয়ের মাস্তানি নিপাত যাক

___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।