আন্ধা কানুন

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: শুক্র, ২৭/০৮/২০১০ - ১:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যৌবন কাজের সময়। তাই দোয়েল চত্বর থাইকা মতিঝিল যাইতে হবে। আমি আর বাল্যবন্ধু। মাঝখানে প্রেসক্লাবের মোড় আইসা তার সাথে দেখা। হাতে গু। রিকসা থাইকা লাফ দিতে পারতেসিলাম না, পাশে পদ্মা অয়েলের তেলবাহন। এই বেলা কারে তেল সাপ্লাই দিতে যায় বুঝি নাই। বুঝার টাইমও নাই। কারণ তার সাথে দেখা। হাতে গু।

পকেটে ৪০ টাকা আছিল। ৪০ ট্যাকায় এক পেগ জরিনা+৫টাকা। কিন্তু গুবাবায় আরো উচ্চক্ষমতার মাল টানে। সুতরাং তার দরকার। দিতে হইল। পদ্ম অয়েলে গেলেগা রিকশা থাইকা নামলাম। গুবাবা জাতীয় ঈদগার দিকে ধাবমান। তার খাদ্য সংগ্রহের অর্থনীতি। সুতরাং টাইম নাই। আমি নামলাম। রিকশা এক সাইডে রাইখা।

প্রথমে ট্রাফিক পুলিশ। নিধিরামের মাথা অলরেডি গরম। ঢালতলোয়ার বাদ্দিয়া স্কুরু ডাইভার ধরায় দিসে। সেও মনে মনে সরকারের পতন চায়। রাষ্ট্রীয় ভাবনার মধ্যেই হানা দিতে বাধ্য হইলাম। বললাম গু নিয়া ছিনতাই হয়, চোখে পড়ে না। মাতৃভাষায় পাত্তা পাইনা তাই টোফেল দিবে দিবে বাল্যবন্ধু কয় - হোয়াট কাইন্ড অফ ননসেন্স ইস দিস। ট্রাফিকে ভাবে এরারে কিসুটা পাত্তা দিতে হয়। আপ্নেরা টহল পুলিশরে জানান। তারপর স্কুরু ডাইভার দিয়া কান খুঁচায়।

টহল পুলিশ কই পাই। রিকশাঅলায় কয় ভাড়া দিয়া দেন, যাইগা। আমরা কই না এর শেষ দেখিয়া লইব। থানায় চলো। এইটা কোন থানায় পড়ে সাব্যস্ত কইরা, রমনা থানায়। রমনা থানায় যাইতে যাইতে ভিকারুন্নিসার বালিকাদের ভীড় ঠেলতে হয়। এই সময়টা কঠিন। রাগ পইড়া যাওয়া বিচিত্র না। তাই কিড়মিড় করতে করতে খিস্তি জারি রাখলাম। দেশে আইনের শাসন নাই। নাগরিকের নিরাপত্তা নাই। গু-সন্ত্রাসের হাতে জিম্মি জাতি। এইতে উপনীত হইলাম থানার সামনে।

রমনা থানা পুরান বাড়ির মতো। লম্বা লম্বা গোল গোল থাম। উঁচা ছাদ। আমরা গিয়া বসলাম অফিসারে সামনে। আমি কই মামলা করব। আমি মামলা দিবই। বাল্যবন্ধু কয় দোস থানায় মনয় মামলা লয় না। তাইলে ডাইরি করব। আমার থানাপুলিশের জ্ঞানের উৎস আন্ধা কানুন নাম এক তাজ্জব সিনামা। সুতরাং অফিসারে কয় ডাইরির দরকার নাই। আমি কই না লিখিত দিব। সব লিখিত দিব। তারপর একটা কাগজ আইসা পড়ে। সেইখানে ইকোনো ঘইষা খড় খড় শব্দে একটা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়া দিলাম। যাবজ্জীবন দিলে কলমের ডগা ভাঙতে হয় কিনা মনে করতে পারতেসিলাম না। সুতরাং ক্ষান্ত দিলাম।

অফিসার ভালো মানুষ। ওয়াকিটকিতে ফোর্সরে খবর দেয়। আমার সন্দেহ গু-অলারে ধরতে হইলে যেই জাল মারন লাগব সেইটা এগো নাই। আমি একটা পুলিশরে জিগাই ক্যামনে ধরবেন। সে বলে তরিকা আছে। বলা যাবে না। তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকায় আর জিগাই না। তারপরও চিন্তিত চেহারায় তাকায় থাকি। গুবাবা ধরা না পড়লে নড়ব না। আমি নড়ব না। বাল্যবন্ধু বলে দোস আমরা আইন অনুযায়ী যা করার করসি। এইবার মতিঝিল চলো। পুলিশও কয়, চিন্তা কইরেন না। তরিকা আছে। চোখ টিপি দেয়। তারপরে আমরা দুই সচেতন নাগরিক মতিঝিল যাই।

পকেটে টাকা নাই তাই মতিঝিল থাইকা হাইটা ফিরতে ফিরতে, বায়তুল মোকাররমের সামনে আইসা বাল্যবন্ধুর একটা দার্শনিক ভাবের উদয় হয়। সে বলো শুনো - গুবাবারে ভয়ের কিছু নাই । নাই মানে কি। সে কয়, গুবাবা কখনোই গু মারবে না। কমন সেন্স থাকলেই বুঝা যায়। আমি তার কথা বুঝি না।  গুবাবার প্রতি অগাধ আস্থার কারণ কী। কেস কী। সে আমারে বুঝায়, দোস্ত, বুঝ আগে কথাটা : গু-ই তার সম্বল। একবার মাইরা দিলে, সারাদিন খালি হাতে ঘুরতে হবে। আমি কই, পোলার আর্গুমেন্টের যুক্তি ঠিকাসে। তয় শর্ত প্রযোজ্য। গু তার নিজস্ব হইতে হবে। অন্যের গু হাতে নিয়া ঘুরলে বেপরোয়া সে হইতেই পারে।

২৭.০৮.২০১০

ছবি: উইকি

নিজ পাতায় সরিয়ে নিয়েছি। আশা করি সকলে বিষয়সংশ্লিষ্ট মন্তব্য করবেন। ধন্যবাদ।

 


মন্তব্য

টিউলিপ এর ছবি

দেঁতো হাসি
___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

অতিথি লেখক এর ছবি

যৌবন কাজের সময়।

ভালই কইছেন। চোখ টিপি

যাবজ্জীবন দিলে কলমের ডগা ভাঙতে হয় কিনা মনে করতে পারতেসিলাম না।

কলমের ডগা নাকি কলম ভাঙ্গে???

গু তার নিজস্ব হইতে হবে।

চিন্তিত
এইড্যা তো আগে ভাবি নাই!!!
পেট্রোলের ঢিবিটা ডিঙ্গাইবার ট্রাই মারতেন...পেট্রোলেস্টের চূড়ায় উঠবার ট্রাই, আপনিও সফল হইতেন। যেহেতু ইজ্জতের ভয় আছিলো।
ভাল্লাগছে।

পলাশ রঞ্জন সান্যাল

স্তব্ধ এর ছবি

গুবাবা। হা হা হা হা ...............

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হো হো হো...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

এটা অনেকটা তিব্বতের দালাইলামার গুমীথের মতো রসালো হয়েছে। খুব ভালো লাগলো গুচরিত,মেধার নিয়তি গু, মানে ব্রেণ থেকে ব্লগে এসে তা গু হয় মনে হচ্ছে। ব্লগ কী তাহলে কমোড। সবচেয়ে শান্তির জায়গা। ভাল এলেগরী। এর থেকে প্রমাণ হয় সাহিত্যের ছেলেরা গুঘাঁটা ডাক্তার বা প্যাথলজিস্ট হলে হয়ত না খেয়ে কমোডে বসতো না বা কমোডেই হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছো মহান,তুমি মরে দানিয়াছ কন্সটিপেশনের সংগ্রাম বলে পটল তুলতোনা।

গুকথা শিল্পের দীর্ঘায়ু কামনা করি। লং লিভ গুবাবাদালাইলামা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

মাসকাওয়াথ ভাই,

আপ্নের মন্তব্যে আপত্তি জানালাম।

গু প্রতিনিয়ত বেরোয়। শরীরটাকে তাই বলে কমোড বলি না। ভৈকম মুহম্মদ বশীরের গল্পে একটা লাইন পাইছিলাম,

মানুষ হচ্ছে মলমূত্রের এক চলন্ত কারখানা।

এই কারখানার কাঁচামালকে এতো ঘৃণা কর্লে চলবে?

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

গু থেকে নবায়নযোগ্য শক্তি এনে আমরা বিদ্যুত ঘাটতি কমাতে পারি।
গোরুরগু পুড়িয়ে রান্নাতো আবহমান কাল ধরে গোবরডাঙ্গা থেকে হাগেন নানা জায়গায় হচ্ছে লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

দেশের বুদ্ধিজীবীরা গুরুতীর্থে গিয়ে কলকাতা নিউমার্কেট থেকে ইষবগুলের ভুষি কিনে স্কচ দিয়ে খাচ্ছেন। ফিরে এসে টকশোর স্পটলাইটের জন্য নবায়িত আলো জোগাতে প্রাণপণ লড়ে যাবেন শোবিজ লাইভ কমোডে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

কুলদা রায় এর ছবি

এই গল্পটি আমার অসাধারণ লেগেছে।
অনিন্দ্যর হাতে যাদু আছে। পাথরকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে চাপ দিয়ে। আবার লোহাকে বাকিয়ে বানাতে পারে চাকা। ফুঁ দিয়ে ফোটাতে পারে ফুল।
নতুন ট্রেন এসে যাচ্ছে। পুরনো ট্রেনের সরে পড়ার দরকার।

আমি কদিন ধরে ভাবছিলাম--কিছু ম্যাড লিটারেচার লেখা দরকার। এই জাতীয় রচনা করতে গিয়ে কেউ কেউ মারেফতে চলে গেছেন। কিন্তু ম্যাডের ধারে কাছে ভিড়তে পারেন নাই।

অনিন্দ্য, আপনারা এসে পড়লে এগুলো আমরা আবার শুরু করব। শুধু কঙ্কালে নয়--রক্তে-মাংসে-প্রাণে।

সেল্যুট।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

সবকয়টা ট্রেনই থাকুক না। এক ট্রেনে কি সবাই আঁটবে?
অনুপ্রেরণার জন্য ধন্যবাদ।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

এই গুবাবারে নিয়া অনেক গা-শিউরে ওঠা রোমহর্ষক কাহিনী শুনসিলাম, তবে পরিচিত কেউ সরাসরি হ্যাপা পোহাইসে এমনটা শুনিনাই।

এরকম অভিনব তরিকার বাবাদের নিয়া রিসার্চ করা উচিত। এইটা সময়ের দাবি।

অদ্রোহ।

তানভীর এর ছবি

কী আচ্চাইর্য! আমি এই সেদিনই গুবাবার কথা ভাবতেসিলাম! আম্রিকায় আমি যে দোকানে গ্রোসারি করতে যাই তার রাস্তার ধারে পেত্যেক দিনই এক দাঁড়িওয়ালা ‘আইয়াম হাঙরি’ প্ল্যাকার্ড নিয়া দাঁড়ায় থাকে। খুব কমই তার হাসিমুখ দেখসি। ভাবতেসিলাম এভাবে মূর্তির মতো খাড়ায় না থেকে এই লোক যদি বাংলাদেশের গুবাবার টেকনিক ফলো করতো, পাব্লিক হয়তো তারে বাপ-বাপ কয়ে টেকা দিয়ে যেত (হয়তো পুলিশের ভয়েই সে গুবাবারে ফলো করে না)। কিংবা গু বাদ দিয়া হে যদি আমার গাড়িতে ঢিল দেয় তাইলে ইন্সুরেন্সের টেকা নেয়াই মুশকিল হয়া যাইতো। তারে জেলে নিলে তো আমার কুনো ফায়দা নাই। অস্ট্রেলিয়ায় শুঞ্ছি বড়লোকেরা নাকি লোকালয় থেকে দূরে বিশাল বিশাল জায়গা নিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে তারা আশেপাশের গরীব এলাকায় বিশেষ করে আদিবাসীদের দান-খয়রাত করে যেন তারা কৃতজ্ঞতাবশত জঙ্গলে একলা পেয়ে তাদের ঘর-বাড়িগুলো পোড়ায়ে না ফেলে (কিন্তু ভাব লয় যে বিশাল মহৎ কাম করসে, গরীবের দুঃখে মারা যাইতেসে)।

গুমারা আসলে গুবাবার রাইট। আপনে-আমি হয়তো তারে পার্সোনালি গুহাতে নিতে বাধ্য করি নাই, কিন্তু সে যে সমাজের দায়িত্বহীনতার শিকার, আমরা তার প্রতিনিধি। হেরা যে আমগো পোড়ায় ফেলে না- এই তো ভাগ্যি!

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

দেঁতো হাসি
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

শাওন [অতিথি] এর ছবি

বছর দুয়েক আগের কথা। পুরানা পল্টন দিয়ে সিএনজিতে বসে যাচ্ছি। সিগণ্যালে হঠাৎ গুবাবার সাথে দেখা। ঐ যাত্রায় ১০ টাকা দিয়ে রেহাই পাইছলাম মন খারাপ

এই ধরনের সন্ত্রাস আর কতদিন ?

অতিথি লেখক এর ছবি

গুমারা আসলে গুবাবার রাইট। আপনে-আমি হয়তো তারে পার্সোনালি গুহাতে নিতে বাধ্য করি নাই, কিন্তু সে যে সমাজের দায়িত্বহীনতার শিকার, আমরা তার প্রতিনিধি। হেরা যে আমগো পোড়ায় ফেলে না- এই তো ভাগ্যি!

ভাবতাছি এইবার মান ইজ্জত ভুলে গুবাবা দের নিয়ে একটা কার্যকরি পরিষদ গঠন করে ফেলবো নাকি?

'গুবাবা জাতীয় সংগ্রাম পরিষদ'

নামটা তো ভালই লাগে।

এলেবেলে
_________________________

অস্থির চিত্তের বিস্ময়কর পদচারনা

তারাপ কোয়াস [অতিথি] এর ছবি





অতিথি লেখক এর ছবি

ধুরুউউউউউউউউউউউউ বস্‌, আমি মনে করছিলাম 'গুআ'রে নিয়া বুঝি লিখছেন। হাসি

- বুদ্ধু

দ্রোহী এর ছবি

হে হে হে হে। লেখায় উত্তম জাঝা।

আন্ধা কানুনের পোস্টারটা দেখে কত স্মৃতি মনে পড়ে গ্যালো। আগের দিনে সিনেমার পোস্টারগুলা সুন্দর হইতো। হাসি


কি মাঝি, ডরাইলা?

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আমারও মনে পড়ল। আসেন একটা গান শুনি।

___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই পোস্ট কি কারো উদ্দেশ্যে করা? মেটাব্লগিংয়ের ব্যাপারটা কি এর মধ্যেই ভুলে গেলেন?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দ্রোহী এর ছবি

"[ভার্চুয়ালগুবাবারস্মরণে]" ছাড়া সব ঠিকাছে।


কি মাঝি, ডরাইলা?

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

সমস্যা মনে হওয়ায় এই বাক্যাংশটা সরায়া দিলাম।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

মুর্শেদ ভাই, কারো উদ্দেশ্যে না। কেউ নিজের উদ্দেশ্যে ভেবে নিলে লেখকের কী দোষ? মেটাব্লগিংয়ের কথা আমি তো ভুলি নাই। আপনারা সিদ্ধান্ত নেন।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

কালো-মডু এর ছবি

মাসকাওয়াথ আহসানের পোস্টের বির্তকের পর সুক্ষ্ম খোঁচা দেয়া এই অহেতুক পোস্টটি কেন মেটাব্লগিং নয় সেটি জানাবার অনুরোধ থাকল। আপনার কারণ গ্রহণযোগ্য না হলে দুই সপ্তাহের জন্য আপনার একাউন্ট মডারেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আমার বক্তব্য :

১. কোনো ঘটনা আরেকটি ঘটনার পরপর ঘটলেই ওই দুয়ের মধ্যে কস অ্যান্ড ইফেক্ট রিলেশন স্টাব্লিশড হয়ে যায় না বলে আমার মত।

২. এই পোস্টটি মডারেশন উল্লিখিত মাসকাওয়াথের পোস্টের মন্তব্য হিসেবে কোনোভাবেই আসতে পারত বলে আমি মনে করিনা।

৩. স্যাটায়ারে খোঁচা তো থাকবেই। কিন্তু কেউ নিজের গায়ে এসে খোঁচা নিলে, এর দায় লেখকের উপর বর্তায় না।

৪. আমার আগের পোস্টটি - যেটি মেটাব্লগিংয়ে অভিযুক্ত হয়েছিল - সেটিও আমি নিজে মেটাব্লগিং মনে করিনি। কিন্তু মডারেশন মনে করেছে। এবং আরো অনেক পাঠক মনে করেছেন। সুতরাং ব্যক্তি ও ব্যক্তির মধ্যে চিন্তার পার্থক্য থাকবেই।

৫. আপনারা যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আমি মডারেশনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার জায়গা থেকে আমি সাবজেক্টিভ হয়ে গিয়ে অনেক কিছুই হয়ত বুঝতে পারছি না। আমাকে সেটা অবজেক্টিভ জায়গা থেকে মনে করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

আসমানী-মডু এর ছবি

অনুগ্রহ করে পার্সোনাল কনফ্লিক্টের সূচনা হলে স্যাটায়ার লেখা থেকে বিরত থাকবেন। স্যাটায়ার তখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে যখন সেটা পার্সোনাল কনফ্লিক্ট থেকে প্রসূতঃ ব্যক্তি আক্রমণকে অতিক্রম করে আনবায়াসড রেটরিকের মাধ্যমে শিল্পের পর্যায়ে যায়। নচেৎ স্যাটায়ার পরিণত হতে পারে ব্যক্তি আক্রমণে। এক্ষেত্রে গুবাবার গল্প বলে তার সাথে একজন সচলকে ভার্চুয়াল গুবাবা সাব্যস্ত করার মধ্যে স্যাটায়ারের চেয়ে ব্যক্তি আক্রমণ বেশী প্রতীয়মান।

আপনাকে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সর্তক করা হল। পরবর্তীতে একইরকম পোস্ট দিলে আপনাকে বিনা নোটিশে মডারেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। নিজ বিবেচনায় পোস্টটি নিজের ব্লগে নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

অনুগ্রহ করে পার্সোনাল কনফ্লিক্টের সূচনা হলে স্যাটায়ার লেখা থেকে বিরত থাকবেন। স্যাটায়ার তখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে যখন সেটা পার্সোনাল কনফ্লিক্ট থেকে প্রসূতঃ ব্যক্তি আক্রমণকে অতিক্রম করে আনবায়াসড রেটরিকের মাধ্যমে শিল্পের পর্যায়ে যায়। নচেৎ স্যাটায়ার পরিণত হতে পারে ব্যক্তি আক্রমণে।

মডারেশনের এই মতামতের বিরুদ্ধে দেয়ার মতো কোনো যুক্তি আমার কাছে নেই। যৌক্তিক বিবেচনাটির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। এই কথাগুলো আমারও মনে হচ্ছিল। ধন্যবাদ।
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

স্পর্শ এর ছবি

ঘটনা সত্য নাকি?
কী বিপদ!

আচ্ছা টেকনিক্যাল প্রশ্ন। এই লেখায় কোনো 'ট্যাগ' নাই। কেমনে করলেন? আমিতো পোস্টানোর সময় কোনো না কোনো ট্যাগ না দিলে পোস্ট হয়ই না। সিস্টেম ইরর দেখায় চিন্তিত


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

পুরাই মুগ্ধ কইরা ফালাইলেন! অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত লেখা।

আসিফা এর ছবি

ভাল লাগলো...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

সেরাম লাগ্লো। আমি অবশ্য বিশাল দাবড়ানি দিয়া রক্ষা পাইসিলাম! খাইছে হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতিথি লেখক এর ছবি

খাইছে বলেন কি!! একেই বলে সাহস হাসি

তাহসিন আহমেদ গালিব [অতিথি] এর ছবি

লেখায় এক ধরণের উত্তেজনা ছিল। মনে মনে "আন্ধা কানুন" সিনামাটা দেখারও বাসনা মনে জাগলো। লেখা ভাল হইছে।

তাহসিন গালিব

অতিথি লেখক এর ছবি

আমিও একবার পড়েছিলাম গুবাবার খপ্পড়ে... কপাল ভালো সাথে সাথে সিগন্যাল ছেড়ে দিয়েছিল... সিএনজি ওয়ালাও টেনে দৌড়...

"আমার থানাপুলিশের জ্ঞানের উৎস আন্ধা কানুন নাম এক তাজ্জব সিনামা।" আমারো, তবে অন্য একটা, মান্না ছিলে ওইটাতে খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

"আমার থানাপুলিশের জ্ঞানের উৎস আন্ধা কানুন নাম এক তাজ্জব সিনামা।" আমারো, তবে অন্য একটা, মান্না ছিল ওইটাতে খাইছে

--------------------------------------------------
ধূসর স্বপ্ন, rupokc147 এট gmail ডট com

সবজান্তা এর ছবি

হা হা হা ... আপনার লেখার স্টাইলটা দারুণ !


অলমিতি বিস্তারেণ

অতিথি লেখক এর ছবি

অনিন্দ্য ভাইয়ের লেখনি চমৎকার। আগ্রহ নিয়েই পড়ি। গুবাবার কথা অনেকদিন ধরে শুনে আসছি। ঢাকায় থাকলে হয়তো বাবার দর্শন মিলতো। তবে গুমার দর্শন মিলেছিলো অনেক দিন আগে।

মোহাম্মদপুর কাটাসূর এলাকায় ট্রাক ষ্ট্যান্ড থেকে শুরু করে পাগলা সাঈদ কমিশনারের বাড়ি পর্যন্ত এক মহিলা চোর ছিলো। তাকে ধরা মাত্রই হেগে দিতো আর সেই গু যারা তাকে ধরতো তাদের গায়ে মেরে দিতো। সে খুবই পরিচিত ছিলো কাটাসূর এলাকায়। তবে পাবলিকও কম যায় না। কয়েকটা ধাওয়া এবং গুখাওয়ার ঘটনার পর থেকে পাবলিক তাকে আর ধরতে যেতো না, দুরত্ব বজায় রেখে ইট-পাটকেল মারতো। এভাবে কয়েকবার ইট খাওয়ার পর আমি তাকে আর দেখিনি।

বন্ধু জাহাঙ্গীরদের বাসা চোর ধরা পড়লো গভীর রাতে। জাহাঙ্গীরের আব্বা বললেন ওকে আটকে রাখতে, তারপর ভোরে পুলিশ ডাকলে হবে। জাহাঙ্গীর আর দু'একজন প্রতিবেশী চোরটাকে কয়েক ঘা মেরে টয়লেটে আটকে রাখলো। ফজরের নামাজের পর এলাকার মুরুব্বীরা আসলেন, পুলিশও আসলো। টয়লেটের দরজা খোলা হলে চোর সবার সামনে দিয়ে লর্ড ষ্টাইলে হেটে বেরিয় চলে গেলো; কেউ কিছু বললো না, এমনকি পুলিশও না। চোরের সারা গায়ে গু মাখা ছিলো।

ঢাকা হাইকোর্টের মাজার এলাকায় আরেক বাবা আছে যার নাম দে বাবা। হঠাৎ করেই হেঁটেচলা মানুষের সামনে অথবা রিকশার সামনে 'দে' বলে হুংকার দিয়ে পড়তো। কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেইন নিয়মিত এই রাস্তায় রিক্সায় চড়ে চলতেন। তিনি কয়েকবার দেবাবার স্বীকারও হয়েছিলেন। তারপর একদিন,

[img=auto]hyder_album[/img]

দূর থেকে হায়দার ভাই দেখতে পেলেন দে বাবা আসছে। দেবাবা কাছাকাছি আসতেই হায়দার ভাই বিশাল এক লাফ দিয়ে রিক্সা থেকে সরাসরি দে বাবার সামনে পড়েই বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি সহযোগে 'দে' বলে এক হুংকার দিলেন। আচমকা এই 'দে' হুংকারে দে বাবা একটু ভড়কে গিয়ে এক পা পিছিয়ে গেলো। আবার হায়দার ভাই আরেক হুংকার 'দে' বলে। দে বাবা আরও পিছালো। এইভাবে হায়দার ভাই 'দে' 'দে' করতে করতে দে বাবাকে একদম মাজার ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে ছাড়লেন।

রাতঃস্মরণীয়

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

হাসি
___________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।