শারদীয় সদমা

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/০৯/২০১০ - ৪:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কয়েকদিন ধরে ধস্তাধস্তির পর একটা গল্প লিখলাম। একদম বানিয়ে বানিয়ে।

জুলেখার মা ছিল পাগল। বাপের খোঁজ জানি না। জুলেখার মাকে একটা খালি ঘরে রাখার নিয়ম ছিল। খালি ঘর, কারণ সে সব আসবাব কুপিয়ে ভাঙত। তাকে আমরা ভাঙনবুড়ি ডাকতাম। আমাদের আম্মারা এইসব বলতে মানা করত। কে শোনে। জুলেখা কোনো স্কুলে পড়ত না। তবে তখনকার দিনে তাকে মাঝে মাঝে জানলায় দেখা যায়। রঙবেরঙের জামা গায়। জানা যায় এগুলো সেই বানায়। একদিন জুলেখার মামার বাড়ির সামনে দিয়ে টহল মারতে সময় একটা রুমাল উড়ে আসে। রুমালে আমার নাম। তারপর নিন্মোক্ত ঘটনার জন্ম।

এই ঘটনা অনেক পুরান। তখনও এই শহরে কলের পানি খেলে কলেরা হতো না। শরৎকাল অবশ্যই। কারণ ঢাকে দুইএকটা বাড়ি পড়ল কি পড়ল না, মনে প্রেম প্রেম ভাব আসল। মনে প্রেম প্রেম ভাব আসল তো দুইটা জিনিস চাই। এই ঘটনা সেই চাহিদাদ্বয়ের।

প্রথমে একটা অন্ধকার শব্দ চাই যার মধ্যে মোম জ্বলবে খুব ক্ষীণ করে। পেলামও। জুলেখাদের বাড়ির সামনে দাঁড়াই। অপেক্ষা করি। বাড়ি ভিতরে খুটুখুটুর আওয়াজ হয়। বাইরে গড়ানি ফকিরের দল চলে যাওয়া পর্যন্ত সই। কারণ তাদেরও অনেক আওয়াজ। যদিও তারা গেলে পরেও সুনসান হয় না। ফেরিঅলা বাড়ি ফিরতে ফিরতেও চিল্লাতে থাকে। তার অভ্যাস। ভাই, মাথায় তো খালি টুকরি। গলা বন্ধ রাখেন তো আরাম পাবেন। বেহুদা চিল্লানোয় ফায়দা কী। সে চলে যায়। কিন্তু এরপরও আওয়াজ থামে না। মানুষের বাচ্চা কান্দে। নাকি বিল্লি। সেটা থামলে আবার ফকিরের দল। গড়ানি দিয়ে দিয়ে আবিষ্কার করে ফেলে পৃথিবী গোল। তারপর তারা আবার আবিষ্কারে গেলে, চমৎকার সুনসান হয়। একটা অন্ধকার শব্দে মোম জ্বলে খুব ক্ষীণ করে। জুলেখার মামাদের নিস্তব্ধ বাড়ি, ৯ মঙ্গলচরণ লেন।

তো, সেই শব্দ আমাকে চিনতে পারে। সে বলে এইতো আমাদের দেখা হল ফের। তবু আমি তাকে দেখতে পেলাম না। দেখলাম ঘরের ভিতরে মোমবাতির আলোয় মোমবাতি দেখা যায়, আর অতিরিক্ত নাই। শব্দ বলে তুমি কাঁদো নাকি? তোমায় গলায় কাফনী বাঁধা। আমি আমার গলায় হাত দিলাম। কই? জানলা দিয়ে বাতাস দেয় তখন। মোম তখন যাই যাই করে। আর রুমালে আমার নাম।

একদিন সেই জুলেখা তার শব্দগুলো গুছিয়ে নিয়ে চলে যায় শুনি। শুনি কিন্তু মানি না। রুমাল পকেটে নিয়ে জুলেখাকে খুঁজতে আসি। জুলেখা তোর কী লাগে? দপ করে অন্ধকার চলে যায়। কী লাগে রে সালা লাদখোর হারামি। তারপর শূন্য থেকে একটা খঞ্জর আসে। এই নে। আয় খেলি। খেলব না। তাহলে মর। তারপর হঠাৎ হাতটা ছিৎ করে কেটে যায়। এই মুহূর্তে প্রস্থান সঙ্গত হয়। অথচ জুলেখা অন্দরমহলে সেলাই করে। ঠিক শুনতে পাই। সুরঙ্গে ধুপধাপ বাড়ি খাই। লৌড় পার সালা খচ্চরের পয়দা। সদর দরজাটা আমাকে পিচিক করে ছুঁড়ে মারে গলিতে। গলিটা আলোতে ছয়লাব। শব্দেও। এরপর আমরা আর কখনো জুলেখার সেলাই মেশিনের আওয়াজ শুনতে পাই না।

তাই রাতভর মর্সিয়ার পর, পরের দিনই দ্বিতীয়টায়, নেহারীর বাটিতে কবজি ডুবালাম। মনে প্রেম প্রেম ভাব আসল তো আমি নেহারীর বাটিতে  ঠাণ্ডা হাড্ডির মতো ভাসতেই থাকি। শরতকালে। সেইসময় মুয়াক্কের মিয়া টেবিল সাফ করতে করতে আজব তথ্য দেয়। শুনো ভাতিজা, ভাঙনবুড়ি সবকিছু ভাঙত কেন জানো? না। এই পৃথবীতে জান নিয়ে বেঁচে থাকে যারা তারা বেজান জিনিসে হিংসা করে। কারণ বেজান জিনিসের বিনাশ নাই। বুঝলা? বুঝলাম। এখন একটা লেবু দাও।

বেজান জিনিসে হিংসা ভালো না। হয়ত প্রেমও না।

 


মন্তব্য

কুলদা রায় এর ছবি

এই গল্পটির ভাষা অনবদ্য। কবিতার বিকল্প বলা যেতে পারে। এত অসাধারণ শব্দ ব্যবহার--অন্ধকার শব্দ। এবং এই অন্ধকার শব্দটিই এই গল্পের প্রাণ। শব্দটি কথাও বলে। অনিন্দ্য, ভাই--আপনি কবিতার লোক।
আরম্ভ পর্ব ঠাণ্ডা হাওয়ার মত কলিজা কাঁপিয়ে দেয়--

জুলেখা কোনো স্কুলে পড়ত না। তবে তখনকার দিনে তাকে মাঝে মাঝে জানলায় দেখা যায়। রঙবেরঙের জামা গায়। জানা যায় এগুলো সেই বানায়। একদিন জুলেখার মামার বাড়ির সামনে দিয়ে টহল মারতে সময় একটা রুমাল উড়ে আসে। রুমালে আমার নাম।

এই গল্পটি লেখার জন্য কয়েকদিন মাত্র সময় নয়--বহুদিন লাগে। এবং পাঠক যখন পড়েন--তার মাথার মধ্যে নীরবে ঢুকে পড়ে, বহুকাল ধরে চলচ্চিত্রের মত দৃশ্যমান হয়ে ওড়ে।

বহুদিন পরে এই রকম অমৃত গল্প পড়া হল। সেল্যুট, অনিন্দ্য।

আমি আবার পড়ব।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

কৌস্তুভ এর ছবি

জটিল...

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুন হইছে। ভিন্ন স্বাদ।

অনন্ত

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নুসায়ের এর ছবি

অনেকদিন অপেক্ষায় ছিলাম। আজকে পেলাম।

প্রথম দুই প্যারা পড়লাম। চোখের সামনে দিয়ে অনেক কিছু চলে গেল। পুরোনো ঢাকার গলিতে কাটানো ছেলেবেলা, গড়ানো ফকির, ফেরিঅলা, ঝিম ধরানো দুপুর। অনেক করে "কালো বরফ" এর কথা মনে পড়ছে। ভালো লেখা পড়ার অনুভূতি সবসময়েই একি রকম।

"বেজান জিনিসে হিংসা ভালো না।" -- হয়তো জান নিয়ে বেঁচে থাকাও না...

আসছে ফেব্রুয়ারীতে তো এই রকম গল্পের একটা সঙ্কলন পাঠককূল চাইতেই পারেন!

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ। পুরান ঢাকা ছাড়া আজকাল কিছু মাথায় আসে না। আরেকটা লিখতেসি।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

হিমু এর ছবি
অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নাশতারান এর ছবি

অন্ধকার শব্দ! অদ্ভুত! অদ্ভুত সুন্দর!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

বাউলিয়ানা এর ছবি

উরিবাপ্স! কি একটা গল্প লিখলেন অনিন্দ্য।

দারুন লাগল চলুক

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

অনিন্দ্য !!!

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ হে !!!


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলেই কবিতার মত গল্প

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ। নাম জানতে পারলে আরো ভালো লাগত।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

কনফুসিয়াস এর ছবি

গল্পটা খুব ভাল লাগলো।
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

কৃতজ্ঞতা হাসি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সুমন সুপান্থ এর ছবি

দারুণ একটা গল্প পড়লাম অনিন্দ্য । আপনাকে সাধুবাদ ।

১. গল্প আর কাহিনী ফেঁদে বসার ফারাক আমরা অনেকেই বুঝি না । আপনি, বুঝতে পারলেন বলেই এমন একটা গল্প মিললো ।

২. সবচেয়ে ভালো লাগলো, সদ্যপ্রয়াত এক গদ্যকারের ছায়া আপনি যেভাবে বারবার সরাতে পারছিলেন___ আমরা অনেকেই সেটা পারি না । পারছি না ।
আপনি মনে হয় লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছেন । সেই সঙ্গে নিজের জন্য একটা 'এপ্রোপিয়েট ল্যাঙ্গুয়েজ'
এখন শুধু পুরানা ঢাকা নয়, আমাদের ভূ-বাংলার নিজস্ব কাহিনীর বিপুল ভাঁড়ার এই টেকনিকে ব্যবহৃত হয়ে অনেক শস্য ফলুক, এমন দেখে একটু ঈষান্বিত হই ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

অনেক কৃতজ্ঞতা।

১. না বুঝেই হয়ে গেল বোধ হয় হাসি

২. গল্পের চেয়ে অনেক সময় আবহ মুখ্য হয়ে ওঠে। লেখক-পাঠক সেই আবহে কিছুটা সময় কাটাই। খারাপ কী।

অনুপ্রাণিত করলেন।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

বাপ্রে! ক্যামন ক্যামন ভাবটা কাটিয়ে উঠতে পারছিনা! অন্ধকার শব্দ! বাহ! হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

হাসি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

গল্প-কথকের বর্ণনার ভঙ্গি ভাল লাগলো...
কয়েকটি শব্দচয়ন মন কাড়লো...

শুভকামনা রইলো অবশ্যই ... হাসি

------------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

থ্যাঙ্কস


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

বইখাতা এর ছবি

চলুক

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নীলকান্ত এর ছবি

এখন পর্যন্ত আমার পড়া আপনার সেরা লেখা।
পুরনো ঢাকা সম্পর্কে আমার কেবল ধারণা হওয়া শুরু করেছে, আমি একেবারেই ওদিকটা সম্পর্কে অজ্ঞ। চারদেয়ালে আটকে থাকা মানুষকে হঠাৎ করে ছেড়ে দিলে যে অভিজ্ঞতা হয় আমার হয়েছে সে দশা।
লেখার ভাষা এবং শব্দচয়ন সম্পর্কে কুলদা রায়ের সাথে সম্পূর্ণরুপে একমত, 'এককথায় অনবদ্য'।
অন্ধকার শব্দ খুঁজি।
---------------------------------------------------------------------------

প্রতিনিয়ত চিনছি নিজেকে


অলস সময়

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

বুঝলাম। তবে আমার বিবেচনায় এইটা মনে হয় বেটার। বেটার মানে, এইটার তুলনায়।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গত কয়েকদিন এবং আগামী কয়েকদিন দৌড়ের উপ্রে আছি। সচলে লগিন করেই কেটে পড়ি...

গল্পটায় তারানোর জন্যেই লগানো।

ভাঙনবুড়ি সবকিছু ভাঙত কেন জানো? না। এই পৃথবীতে জান নিয়ে বেঁচে থাকে যারা তারা বেজান জিনিসে হিংসা করে। কারণ বেজান জিনিসের বিনাশ নাই। বুঝলা?

চলুক

_________________________________________

সেরিওজা

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পঞ্চতারকা।

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

পঞ্চধইন্যা


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

প্রথমে একটা অন্ধকার শব্দ চাই ...

চলুক
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

(গুড়)
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

হাসি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অদ্রোহ এর ছবি

অনেক ভাল্লাগসে।

--------------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

ভালো লাগল বেশ গল্পটা ।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

আফসোস! অন্য দেশে হলে বলতাম, চাকরি-টাকরির চেষ্টা ছেড়ে দিয়ে লেগে যান কলমবাজিতে। কিন্তু, দেশটার নাম বাংলা।

অপ্রা: ঢাবির সাহিত্যপঠন মাঝপথেই ছেড়ে দিলেন কেন?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

চাকরি আমারে ছাড়লে হয় ...
অট: ঢাবি ছাড়লাম কই ... সবরকম পাশ দিয়ে বের হইসি হাসি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

দময়ন্তী এর ছবি

অসম্ভব ভাল একটা গল্প|
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নৈষাদ এর ছবি

শাহীন স্কুলের সামনে এক জায়গায় স্ট্যান্ডস্টিল হয়ে পুরো আধঘন্টা জ্যামে বসে আপনার গল্পটা পড়লাম - খুব ভাল লাগল।

(প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে এসে বোঝলাম ঘটনা কী - আমজনতা ফুল দিতে এসেছিল বিশ্বনেত্রীকে দেঁতো হাসি আপনাকেও ফুলেল শুভেচ্ছা

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

হাসি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সুরঞ্জনা এর ছবি

খুব ভাল লেগেছে অনিন্দ্য দা।
আজকে লগ ইন করেই দুটো সুন্দর জিনিস পেলাম, উজানগাঁর ব্যানার, আর আপনার লেখা।
হাসি
............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

মুস্তাফিজ এর ছবি

অনেক ভালো লাগলো। আরো নিয়মিত হবেন আশা রাখি।

...........................
Every Picture Tells a Story

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই। চেষ্টা করব।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

হাসান মোরশেদ এর ছবি

অনিন্দ্য ভালো লাগা জানিয়েই একটু সমালোচনা করিঃ-
আপনার গল্পে ধার আছে, চমক আছে,শক্তি আছে। যা নেই( মানে আমি যা পাইনি) সেটি হলো প্রান। পূর্ণতার জন্য ঐ প্রানটুকু লাগে। রবীবাবুর বলে দেয়া ছোটগল্পের সংজ্ঞা না মানলে কি আসে যায়?

আর সুপান্থ শহীদুর জহির প্রসঙ্গে যা বলেছে, আমি বরং উল্টোটাই বলি। প্রয়াত এই লেখকের ভাষায় যাদু ছিলো যে যাদুতে অনেকেই আক্রান্ত স্বেচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়। পরিনামে এটি ক্লিশে হয়ে যাবে।

আপনি বরং আপনার ভাষায় লিখুন।আপনার সেই শক্তি আছে, ভরসা রাখি।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

মোর্শেদ ভাই অনেক ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। আমি কখনোই শহীদুল জহির ঠিকমত পড়ি নাই। ফিকশনই পড়ি না বহু বহু দিন হইসে। তবে লেখায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা কঠিন বিষয়, এতে একমত। চেষ্টা করব।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নিবিড় এর ছবি
অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

আঁকাইন এর ছবি

প্রথমে একটা অন্ধকার শব্দ চাই যার মধ্যে মোম জ্বলবে খুব ক্ষীণ করে। পেলামও। জুলেখাদের বাড়ির সামনে দাঁড়াই। অপেক্ষা করি। বাড়ি ভিতরে খুটুখুটুর আওয়াজ হয়। বাইরে গড়ানি ফকিরের দল চলে যাওয়া পর্যন্ত সই।

অপুর্ব লাগলো!! হাসি

============================
শুধু ভালোবাসা, সংগ্রাম আর শিল্প চাই।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ আঁকাইন।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।