মহা৮মীর পুতুলকথা

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: শুক্র, ১৫/১০/২০১০ - ১১:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খড়গ শব্দটা একবার ডয়শূন্যড়এ আটকানোর পর শেষে গোল হয়ে গেল, বেশ গোল, এদিকে ত্রিশূল শব্দটাও ত্রিংঙঙঙ করে একটা ধাতব আওয়াজ করে দীর্ঘঊকারএর ঢাল বেয়ে ল হয়ে থেমে গেল, যেই লটাও গোলগোল লাগে, অথচ তীর শব্দটা আমার পছন্দ বিশেষ, কারণ ছোট্ট এই শব্দটা তী করে একবারেই ছুটে যায়, ছুটে গিয়ে, যেহেতু দীর্ঘঈ, তার দীঈঈর্ঘপথশেষে বয়শূন্যরএর সুক্ষ্মবিন্দুতে গিয়ে লক্ষ্যভেদ করে, আর যেহেতু লক্ষ্যভেদকরা তীর আমার বিশেষ পছন্দের, সেহেতু সৌরভ গাঙ্গুলি যখন চ্যানেলপাল্টানোরফাঁকে দাদাগিরি করল, আর জিজ্ঞাসা করল ‘দূর্গা মহিষাসুরকের শেষে গিয়ে কী দিয়ে মারল?’, তখন তীর - এই শব্দটা আসুরিক বাতাবন ভেদ করে এসে সহাস্যে জানাল, আমি নই আমি নই, আমি ভুল মৃগয়ার অনিচ্ছুক উপস্থিতমাত্র, যদিও মায়ের নান্দনিক করতলে চিত্রায়িত নচেৎ মূর্ত, তবু সঠিক উত্তরের আশায় বিজ্ঞাপন থাকুক, সনাতন পৌত্তলিকতায় আমার আগ্রহ কী।

সুতরাং দেখলাম একদম নতুন সিনামা ‘রবিন হুড’, তারও পেশা তীর ছোঁড়া, তাই, রাজা যখন বলে ‘মুক্তি’ চাও তোমরা সকলে, প্রজাসকল-? চাও যে তোমরা সকলেই প্রাসাদে থাকো-? মস্করা-? তখন রবিন হুড বলে, প্রত্যেক ইংলিশম্যানের বাড়িই তার প্রাসাদ হোক তবে, আর এরপর, শতক শতক ধরে, ইংলিশম্যানসকল নিজ নিজ বাড়িতে রাজা হয়ে উঠল, আর সেই ক্ষুদে ক্ষুদে রাজারা আর সকলকে ধরে ধরে ভালো করে ক্ষুদে দিল, আর যখন ক্ষুদা শেষ তখন গণতন্ত্র মহান বলে শীৎকার পাড়ল, আমরা তার কতক কতক দেখেছি বটে, এই পুবের দেশেও, আমরা আজও তাদের ক্ষোদনের শিকার মুক্তিপ্রাপ্তা গৃহপরিচারিকা, আমাদের পূজা দেখে কাজ নাই, কারণ এই শুক্কুরবারে আমাদের সাথে মোঘল-এ-আজমও মুক্তি পায়, মধুমিতায়, ‘প্রেম করেছি ভয় কি আমার, প্রেম করেছি চুরি করিনি’ - সে-ই দেখব বাঞ্ছা করি।

সেই থেকে রবিনহুড বনে, আনারকলি পাথরে আর দেবীমাতা নানাবিধ অস্ত্রের চক্করে, কোনটা দিয়ে কাকে মারবেন ঠাহর পাচ্ছে না। আজকের সারাদিনে এই ত্রিবিধ পৌত্তলিকতার শিকার হয়ে ব্লগ লিখতে বসলাম। আসলে অনেকদিন লিখিটিখি না, যদিও ধার করা ভাষায় ... ধরা না পড়িলে চুরি, পড়িলে মাস্কারি, দেখেছিলাম পিকাপভ্যানের টুলবাকশায় লিখা।


মন্তব্য

সবুজ বাঘ এর ছবি

আমাগো দ্যাশেও ড়বং রা রিশক্যার হুড ফালাইয়া চলাফেরা নেয় আর লালরঙের প্যান্ট গায় দেয়। বেম্পি চুদে আম্লীগ চুদে। চা চুদে বইলা এট্টু দেরি হইলেই চাক্কু দিয়া পাড় দেয় সুদ্দর ভাইরে তুমা। দুকানদার ও বন্দু বান্দব হইলে তো কথাই নাই। চাক্কুর ু কারডা দেকছত? চাক্কুর নগালই চুক্কা।

আর বিজ্ঞান কিম্বা বলিভর্দ যাই বলস না ক্যা, দুর্গাকে কিন্তু হিউজ লাগে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

চাক্কুতে কএ কএ প্যাঁচ লাইগা গেল ...


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সবুজ বাঘ এর ছবি

মারলে তো আবর ঠিকই ভুরির প্যাঁছ কাটিয়া দেয়?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কাল সন্ধ্যা থেকে মহাঅষ্টমী আমার মাথায় নানা প্রকার প্যাঁচ লাগিয়ে দিয়েছে। সেই প্যাঁচের জট খুলতে একটা ব্লগরব্লগর নামানোর কথাও ভেবেছিলাম। কিন্তু লেখার বল পাইনি। এই ব্লগরব্লগরটা প্যাঁচটা কাটাতে পারেনি তবে বেশ আরাম দিলো, বিশেষ করে রবিন হুডের ব্যাখ্যাটা।

সবাইকে শারদ শুভেচ্ছা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

অ্যাবসলুট মনার্কের কেন্দ্রীভূত ক্ষমতার বাটোয়ারায় অন্যান্য ইন্সটিটিউশনের সাথে, পরিবারও কিছুটা ভাগ পাইসে। পরিবার, জেল কিংবা বিদ্যালয়ের এই অ্যবসলুট ক্ষমতার চর্চা চলে। এইবিষয়ে মিশেল ফুকো (তার নাম আবার সকলেই উঠতে বসতে নেয়, 'ইন ফ্যাশন') তার বিবিধ জটিল গ্রন্থে বিস্তারিত লিখসে। আসলে ব্লগরব্লগর করার জন্যই ব্লগরব্লগর করা। ধন্যবাদ।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অ্যাবসলুট মনার্কির ব্যাখ্যা নিয়ে দ্বিমত নয় আমার কিঞ্চিত ভিন্ন ব্যাখ্যার ধারনা আছে। কিন্তু এই ব্লগে ঐসব নিয়ে প্যাঁচাপ্যাঁচি করতে ইচ্ছে করছেনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ওকে সেটা একদিন সময় নিয়া হবে ... শুনতে চাই হাসি

পুনশ্চ, অপ্রাসঙ্গিক : রাজা সবারে দেন মান সে-মান আপনি ফিরে পান। ১ম মান = ২য় মান হইলে, প্রজাদের হাতে নিট কিছু থাকে না।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আরেকটা মহাঅষ্টমী প্রায় দ্বারপ্রান্তে। গত আট বছরে দুনিয়াটা এতোটা পালটে গেছে যা কখনো আমাদের ধারণায় ছিল না। অ্যাবসলুট মনার্কিরও নতুন কয়েকটা ফর্ম বাজার যাচাই করা শুরু করেছে।

প্রজাদের হাতে আসলে কখনো কিছু থাকে না। এক বিন্দু আকারের বীজ যেমন প্রকৃতিকে শুষে নিয়ে এক বস্তা ফসল ফলায়, প্রজারাও তেমন মোটামুটি নাই থেকে অনেক কিছু উৎপাদন করে ফেলে, ইনক্লুডিং 'মান'। রাজা প্রজারে যে মান দেন সেটা ফিরিয়ে নেবার সময় উৎপাদিত বাড়তি মানটুকুও নিয়ে নেন। প্রজার হাতে পেন্সিলও নেই।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মন মাঝি এর ছবি

আট বছর আগে অনিন্দ্য আপনার "কিঞ্চিত ভিন্ন ব্যাখ্যা"-টা শুনতে চেয়েছিলেন। এতদিন পরে সেটা আপনার মনে পড়লো! কিন্তু সেই অনিন্দ্য এখন কই? উনি কি এখন আর এই আঙিনার কলরব শুনতে পান?

****************************************

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আট বছর আগে আমার মাথায় যে 'কিঞ্চিত ভিন্ন ব্যাখ্যার ধারনা' ছিল সেটা এখন আর অমন নেই। ঐ যে বললাম 'গত আট বছরে দুনিয়াটা এতোটা পালটে গেছে যা কখনো আমাদের ধারণায় ছিল না'। আমার আসলে কিছু মনে পড়েনি। মনের মুকুরে এটা ভেসে উঠেছিল। আলোচনাটা আবার পড়ে মনে হলো এবার আরও কিছু বলে যাই।

যত দূর জানি অনিন্দ্য ঠিকঠাক আছেন। লেখালেখি ভিন্ন সৃজনশীলতার অন্য দুয়েকটা মাধ্যমে ব্যস্ত আছেন। সুতরাং এই আঙিনার কলরব তার কানে নিয়মিত পৌঁছায় কিনা নিশ্চিত না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তানভীর এর ছবি

ঠিকঠাক বুঝি নি তেমন...তবে পড়া মজা পেলাম- একদম জ আকার জা...উমমমমম

আর সেই ক্ষুদে ক্ষুদে রাজারা আর সকলকে ধরে ধরে ভালো করে ক্ষুদে দিল, আর যখন ক্ষুদা শেষ তখন গণতন্ত্র মহান বলে শীৎকার পাড়ল, আমরা তার কতক কতক দেখেছি বটে, এই পুবের দেশেও, আমরা আজও তাদের ক্ষোদনের শিকার

আম্রা এখন সভ্য হয়েছি, আগের মতো খোলামেলা তো আর করা যায় না, তাই এখনও নানা নামে, পন্থায় ক্ষোদন চলছে...চলবেই।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

নানা নামে, পন্থায় ক্ষোদন চলছে...চলবেই

ঠিক তাই মন খারাপ
পাঠ ও মন্তব্যরে জন্য ধন্যবাদ ...


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

দুগ্‌গা দুগ্‌গা

-----------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

হ ...


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।