আমাদের গাড়ির ইতিহাস ও আরেকটা

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: শনি, ০৪/১২/২০১০ - ১:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের গাড়ির ইতিহাস

হওয়ার কথা ছিল গ্যারেজ। দুর্দিনে ভাড়া দেয়া হল। দুইঘর। গাড়ি কেনা হল না। আমাদের পৈত্রিক বা পিতামৈহিক ব্যবসা ভাল যাচ্ছিল না। চাচাদের ভাগাভাগি, চাচিদের রাগারাগি, আমরা ছোটরা নীরব দর্শক। এর মধ্যে একদিন একজন বলল বড় হয়ে সে কোক কম্পানিতে চাকরি নিবে। সে ভাবত কোক ভাল। আব্বা ভাবল চাকরি ভাল। সহ্য হল না। অনেক পিটানি খেল সে। তারপর আর চাকরির নাম করেনি। আজও। আব্বা অবশ্য জানত ব্যবসা যে খুব ভাল তাও না। কিন্তু পৈত্রিক।

গ্যারেজঘরে এক ভদ্রলোক, তার স্ত্রীর সংসার। বাচ্চাকাচ্চা দেখিনি। ছিল না মনে পড়ে। ভদ্রলোক সারাদিন কোথায় কোথায় থাকত। ফিরতেও রাত। স্ত্রী হয়ত অসুস্থ। বিছানাতেই থাকত প্রায়। মহিলা রান্না করত না। কারণ রান্নাঘর ছিল না। একটা ষাট পাওয়ারের বাল্ব আর একটা রেডিও ছিল ঘরে। শেষটায় কিছু না কিছু চলত অল্প আওয়াজে। সবই ধারণা থেকে বলা।

একদিন সেই রেডিওটাই খারাপ হল। শুক্রবার দিন। লোকটা একটা মোড়া নিয়ে বাইরে আসল। ভিতরে গেল। একটা টুল নিয়ে বাইরে আসল। ভিতরে গেল। একটা ক্যারম বোর্ড নিয়ে বাইরে আসল। বোর্ডটা টুলের উপর রাখল। তারপর ভিতরে গেল। রেডিও নিয়ে আসল। ক্যারমবোর্ডের উপর রেডিওটা রেখে খুলল। খুলল, তারপর আর জোড়া লাগাতে পারল না।

কয়েকদিন পরে বিকালে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বলটা চলে গেল গ্যারেজঘরে। মহিলা বিবশ শুয়ে আছে। মিশরের মমির মত। ফারাক সে জীবিত। এবং ফর্সা। মাথার কাছে টেবিল থেকে একটা কমলা নিল। কষ্ট করেই হাত বাড়াল। হাসল। বলল, বাবু কমলা খাবে? খাও না। আমি বলটা নিয়ে ফেরত আসলাম কেবল। মহিলার চেহারাটাও ঠিক মতো দেখি নাই। কারণ ভয়। ছোটবেলায় সবকিছুকেই খুব ভয় পেতাম।

তারপর একদিন আব্বা একটা সবুজ পাবলিকা নিয়ে আসল। আমরা বৃষ্টি কাদায় খেলছিলাম। শুধু গ্যারেজঘরের ভদ্রলোক তখন খুব মন খারাপ করে সারাদিন বসে থাকল। কোথাও গেল না। বিকালে একটু গেল। তারপর একটা ভ্যানগাড়ি নিয়ে চলে গেল, একদম যা ছিল। যা যা ছিল, ছোটবেলার প্রচুর অস্পষ্ট স্মৃতির মতন। পাবলিকা গাড়ি ঢাকার রাস্তায় দেখা যায় না এখন। ছোটবেলার প্রচুর অস্পষ্ট স্মৃতির মতন।

 

 

 

ফরিদের চিকিৎসা

ফরিদের দুই মেয়ে। স্ত্রী। ছোট সংসার। স্বাভাবিকভাবেই চলতে চলতে একদিন ভেঙে গেল। বরখাস্ত। বেতনে বকেয়া নাই, বোনাস সময়মতন পাওয়া গেছে, কারখানা লাভে, তারপরও একদিন ফ্লোর ম্যানেজারকে বেঁধে পিটান হল। কারণ সামান্য। আজকে না বলি। কিন্তু ফরিদের চাকরি চলে গেল। এরপর গেল স্ত্রী। দুই মেয়ে। ছোট সংসার।

তারপর এই ফরিদ, দেখ কী অদ্ভূত বিষয়, রাস্তা পার হবে, তা না হয়ে ওভার ব্রিজ থেকে পড়ে গেল। ওভারব্রিজে হাজার হাজার লোক আসে যায়। ফরিদ ঝুপ করে পড়ে গেল ক্ষয়ে যাওয়া পাটাতন গলে। বেঁচে গেলেও সপ্তাহখানেক হাসপাতালে। সরকারিতে। নাগরিক যতটুকু ভাগে পায়, পুরোটা না হলেও কম পেল না। এক পা খোঁড়াতে খোঁড়াতে হাসপাতালের দরজায় এসে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল। সিএনজি অটোরিকশা ভাড়ায় চালিত। অনেক দামাদামি করে বাড়ি পর্যন্ত গেল। প্রদাহ।

সন্ধ্যায় একজন এনজিও আসল। খাতায় লিখল বিষয়গুলো। সামান্য নয়। চিকিৎসা সুবিধা নয়। সুযোগ নয়। অধিকার। আপনি কতটা পেলেন। এনজিও চলে গেল। পরদিন সকালেও আরেকজন এনজিও আসল। খাতায় লিখল বিষয়গুলো। সামান্য নয়। দেশে শ্রম আইন ঠিক মতো মানা হচ্ছে কী? তারপর দুপুরে খাবে কী এই ভাবতে ভাবতে ফরিদ দোকানে আসল। দোকানে অনেক মাছি।

এরপর একজন সংবাদপত্র আসল। আসলে সংবাদপত্র কি যুব মন্ত্রনালয় কি প্রাইভেটাইজেশন বোর্ড, ফরিদের সামান্যই যায় আসে। সে সকাল থেকে বটিতে ধার দিচ্ছে। সংবাদপত্র খাতা খোলে। প্রতিদিন নতুন নতুন প্রশ্ন। প্রশ্নে প্রশ্নে ঘুম আসে তার। অথচ রাষ্ট্র, তার কারখানার এক লিডার বলেছিল, সব করবে, সব। কারখানার আরেক লিডার বলেছিল, ভাইসব, সাম্রাজ্যবাদীরা একদিন আপনার ঘরের বৌকেও মিনিপ্যাকে করে বেঁচে দিবে।

তাই এইসব অন্তরালের রক্তক্ষয় ও বেদনানাশকবিজড়িত সকাল-সকাল একজন নিরীহ পেটেভাতে থাকা জরিপকারীকে কোপ মেরে, তাও শালার মাথায় লাগে নাই, পায়ে লাগল, বদরাগী ফরিদ ছুটতেই থাকল। রাষ্ট্র সব করবে সব। আর যদি কিছু না করে, আমরাই রাষ্ট্র করব মায়রেবাপ। তারপর দেখ, ঠিকই কিন্তু রাষ্ট্র হল: আইনকে ফাঁকি দিতে পাগলের ভান করে বেঁচে যাচ্ছে ফরিদ নাগরিক।
 

--- 

 

ছবির সূত্র


মন্তব্য

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

হুমম
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

?


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

সে ভাবত কোক ভাল। আব্বা ভাবল চাকরি ভাল। সহ্য হল না। অনেক পিটানি খেল সে। তারপর আর চাকরির নাম করেনি। আজও। আব্বা অবশ্য জানত ব্যবসা যে খুব ভাল তাও না। কিন্তু পৈত্রিক।

ঠিক বুঝলাম না। মন খারাপ
এটা কি "আব্বা ভাবল চাকরি ভাল না" হবে?

দ্বিতীয়টা বেশি ভালো লেগেছে।
প্রথমটার বাক্যগুলো বেশি ছোট ছোট, পড়তে কষ্ট হয়।

পাগল মন

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

পড়তে কষ্ট হওয়ার জন্য দুঃখিত। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সাইফ তাহসিন এর ছবি

অনেকদিন পর টয়োটা পাব্লিকার ছবি দেইখা নস্টালজিক হইলাম

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

এই তো বিষয়টা ধরতে পারসেন।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

স্পর্শ এর ছবি

অসাধারণ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ স্পর্শ।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সুরঞ্জনা এর ছবি

দুটো গল্পই, খুব ভাল হয়েছে।

............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ সুরঞ্জনা।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

রাষ্ট্র আর সরকার সব করে। শোয়ার ঘরে ঢুকে বিছানার চাদর পর্যন্ত পাল্টায়ে দেয়।

-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

‌‌সবারটা না ...


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

নাহ্‌ এটা মলা মাছের ভাগা নয়, বরং এক একটা আস্ত রূপালী ইলিশ! এই মাছ দুটো আলাদা আলাদা করে দুই বারে পাতে দিলে হতো। তাতে পাঠকের প্রতিক্রিয়াগুলো ঠিক ঠিক পাওয়া যেতো। এখন ভাগাভাগি হয়ে যাবে।

আমাদের কুটিরশিল্পের ইতিহাসের মতো নাম হয়ে গেছে পাব্‌লিকা স্টারলেটের গল্পটা। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসেনা। এমন গল্প মাসে একটা পড়তে পেলেও ভালো। আমার কাছে এটা মোটেও গল্প নয়। এই দৃশ্যকল্পের কাছাকাছি জীবন খুব কাছ থেকে দেখেছি।

ফরিদের গল্পের ভাষার স্টাইল একই রকম না হলেও চলত। ফরিদের গল্পের পরিণতিটা বোঝা যাচ্ছিল (পাব্‌লিকা স্টারলেটেও)। শেষের বিদ্রোহটা নাগিব মাহ্‌ফুজের গল্পের মতো হয়ে গেছে। শেষের তিনটা বাক্যের প্রয়োজনীয়তাটা একটু পুনর্বিবেচনা দরকার।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

শেষের ৩ বাক্য ... চিন্তা করি
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সচলায়তনে হইলো কী... পরপর সবকয়টা দুর্দান্ত লেখা... সকালটাই ভালো হয়ে গেলো...

গাড়ির ইতিহাসটা পড়ে মনে হইলো এইটা একটা চমৎকার ফিল্ম হইতে পারে...

ফরিদের গল্পটা পড়ি নাই, পরে পড়ুম। মাথার মধ্যে গাড়ির ধোঁয়াটা আরো কিছুক্ষণ রাখতে ইচ্ছা করতেছে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

পরেরটাও পইড়েন।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

"আমাদের গাড়ির ইতিহাস" বেশি ভাল্লাগলো...
যাক্‌ , দু'টো মিলিয়ে ভালো একটা লেখা পড়া হল...
একটা কথা মনে হল শুধু -
(ফরিদের চিকিৎসা আরেকটা গল্প। তৃতীয় পুরুষে লিখা। প্রথমটার সাথে কোনো সম্পর্ক নাই)
বলে দিতে হবে। কেন? শিরোনাম তো আলাদা দেয়া আছেই, আর তারপরেও কোন পাঠক অন্যরকম কোন মানে যদি খুঁজে নেয় তো নিক।
কিছু ভাবনা পাঠক-মন নাহয় ভাবুক... চোখ টিপি

----------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ওকে


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ছোট বাক্য দিয়ে এইভাবে লেখাটা আরেকটা কঠিন স্টাইল মনে হয় আমার কাছে। পাঠক ঠিক কনসেনট্রেশনে যাইতে পারে না।

প্রথম গল্পটা খুব ভালো লাগলো। দ্বিতীয়টা ততোটা না- কারণ শেষ প্যারা। আমার ধারণা শেষ প্যরাতে কেবল প্রথম বাক্যটাই যথেষ্ট ছিলো।

_________________________________________

সেরিওজা

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

সুহান অনেক ধন্যবাদ। আসলে শেষ প্যারাটা আমার কাছে জরুরি। হতে পারে এতে সাহিত্যমূল্য কমসে। কিন্তু এইটা আমার পলিটিকাল বক্তব্যকে সরাসরি তুলে ধরে। সাহিত্যরক্ষার দায় কম বোধ করি ইদানিং। কী করা।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

রেজওয়ান এর ছবি

দুটোই ভাল লেগেছে। তবে প্রথমটা অসাধারণ।

লেখার স্টাইলটা বেশ তো!

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ। প্রথমটাই মূল। পরেরটা ফিলার।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

১ম

"অস্পস্ট " এই বানানটা কি ইচ্ছা করে এমন লেখা হল "অস্পষ্ট" না লিখে? অস্পষ্টতা বাড়ানোর জন্য? কেন জানি না, আমার তাই মনে হল।

গল্পের বলাটা দারুণ। ঘষা কাঁচের ওপার থেকে দাঁড়িয়ে বলে যাবার মত।

২য়

এনজিও চলে গেল। পরদিন সকালেও আরেকজন এনজিও আসল।

বটির কোপ না পড়লে এই আসা থামত না।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

না ... বানান ঠিক করলাম। পড়ার আর কমেন্টর জন্য ধন্যবাদ।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বেশ ভালো লেগেছে।

কষ্ট করেই হাত বাড়াল। হাসল। বলল, বাবু কমলা খাবে? খাও না। আমি বলটা নিয়ে ফেরত আসলাম কেবল। মহিলার চেহারাটাও ঠিক মতো দেখি নাই। কারণ ভয়। ছোটবেলায় সবকিছুকেই খুব ভয় পেতাম।

এইটুকু নিয়েই একটি গল্প লেখার জন্য আমার হাত নিশপিশ করছে, কিন্তু খ্যামতা নাই যে, গদ্য বড় ওজনদার!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ। আচ্ছা, গদ্য পদ্যের পার্থক্য কী ?


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

তারাপ কোয়াস এর ছবি

প্রথম গল্পটা অসাধারণ, বর্ণনা আমার কাছে খানিকটা হূআ'র মত মনে হয়েছে তবে ওনার তুলনায় অনেক অনেক গুণ ভাল। ২য় গল্পের শেষ প্যারাটাই আমার কাছে সব থেকে বেশি ভাল লাগছে।
(অট: ক্ষমতা থাকলে 'জ্ঞানী উই' আমাদের দেশের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতাম)


আমার বিলুপ্ত হৃদয়, আমার মৃত চোখ, আমার বিলীন স্বপ্ন আকাঙ্ক্ষা


love the life you live. live the life you love.

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ভালোই কী আর খারাপই কী ... তবে উদার প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

জি.এম.তানিম এর ছবি

ভালো লাগলো গল্প দু'টি। আলাদা পোস্টে আসলে ভালো হতো আরও, দ্বিতীয়টা পড়ার সময় প্রথমটার ঘোর হতে বের হতে সময় লাগে।

দুই এক জায়গাতে বাক্য খুব ছোট ছোট হওয়ার কারণে বারবার পড়তে হয়েছে, তখন একটু তাল কেটে গেছে।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

লেখার সময়ও তাল কেটে যায় খালি। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

প্রথমটা খুবই ভালো লাগল।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ অতন্দ্র প্রহরী।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

বাউলিয়ানা এর ছবি

একনাম্বারটা বেশি ভাল লাগছে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ বাউলিয়ানা।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

কৌস্তুভ এর ছবি

এইটা মিস হয়ে যাচ্ছিল!

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আমারও টার্গেটে লাগল না


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

দুটোই ভালো লেগেছে তবে প্রথমটা একটু বেশি ভালো। ১৯৭২-৭৩ সালের দিকে আমার চাচা তার ছোট ভাইটাকে একটা মরিস মাইনর গাড়ি কিনে দেন। সেই সময়টায় খুলনা-বাগেরহাটে ড্রাইভার পাওয়া খুব কঠিন ছিলো। বেবিট্যাক্সির ড্রাইভার কুতুব কাকাকে ট্রেনিং দিয়ে গাড়ির ড্রাইভার বানানো হলো এবং প্রথম কিছুদিন কুতুব কাকা গাড়িটায় নিয়মিত ঘষা-গুঁতো লাগাতে লাগলেন।

পরে ১৯৭৬ সালে গাড়িটা বিক্রি করে দেয়া হয় খুলনার ফয়েজ কাকার কাছে এবং মনে পড়ে ফয়েজ কাকা ২০০-১০০ করে দাম শোধ করেছিলেন। সর্বশেষ তিনি ১৯৭৮ সালে ৫০০ টাকা দিয়েছিলেন।

======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ইন্টারেস্টিং অভিজ্ঞতা ...


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

তারপর একটা ভ্যানগাড়ি নিয়ে চলে গেল, একদম যা ছিল। যা যা ছিল, ছোটবেলার প্রচুর অস্পষ্ট স্মৃতির মতন। পাবলিকা গাড়ি ঢাকার রাস্তায় দেখা যায় না এখন। ছোটবেলার প্রচুর অস্পষ্ট স্মৃতির মতন..

তিনদিন ধরে এই পাতাটা খোলা... এই কথাটুকু কোট করার ইচ্ছা...
সময়! ছোটবেলার অস্পষ্ট সব স্মৃতির মতন ছেড়ে চলে যায় রে ভাই... থামিয়ে রাখতে পারি না... অসাধারণ লেগেছে জানিয়ে গেলাম।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ছোটবেলার অস্পষ্ট সব স্মৃতির মতন ছেড়ে চলে যায় রে ভাই...

সত্যিই।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নিবিড় এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।