উইকিলিক্সে আরো একটু বাংলাদেশ : প্রসঙ্গ ভারতের সীমান্তনীতি

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: সোম, ২০/১২/২০১০ - ৩:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উইকিলিক্সে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ, গত কয়েকদিন ধরে আমাদের গণমাধ্যমে খুব আলোচিত। বার্তা সংস্থা বিডিনিউজ২৪.কমে, এবং তারপর কয়েকটা পত্রিকায়, বাংলাদেশের উল্লেখ আছে এমন বেশ কিছু ফাঁস হয়ে যাওয়া তারবার্তা প্রকাশিত হয়। এগুলোতে বাংলাদেশের একটা সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার সাথে জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার কথা আসে - যেটা, আগে থেকেই আন্দাজে ছিল বলে, আমাদের বেশি অবাক করে নাই। কিন্তু, মার্কিন রাষ্ট্রীয় গোপন যোগাযোগে এই উল্লেখ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

আবার, ঢাকায় এমন পত্রিকাও আছে, যারা সম্পাদকীয় নীতি হিসেবে সামরিক বাহিনীর যেকোনো অগ্রহণযোগ্য কাজের বিরুদ্ধে ‘সোচ্চার’ অবস্থান নেয় বলে দাবী করলেও, উইকিলিক্সের এই 'করে দেয়া' সুযোগটা নেন নাই। যদিও, ভিন্নমত হচ্ছে, গোটা উইকিলিক্স-কাণ্ডের প্রতিই ওই পত্রিকাটা সংশয়বাদী। যাই হোক, এটি বর্তমান বিষয় না। বিষয় - উইকিলিক্সে ফাঁস হয়ে যাওয়া ‘তথ্য’ -- যা কূটনৈতিক কাঠামোর মধ্য দিয়ে আসা ব্যক্তিবিশেষের মতামত কিংবা ব্যক্তিবিশেষের মধ্য দিয়ে আসা কূটনৈতিক মতামত -- বাস্তব ঘটনাপ্রবাহে তার প্রতিফলনটা কী। আরো সহজে বললে, ফাঁস হয়ে যাওয়া ‘কথা’ এবং ‘কাজে’র মধ্যে ফারাকটা নিয়ে আমরা ভাবতে চাই।

অতিসম্প্রতি (ডিসেম্বরের ১৭) ছাড় হওয়া একটি তারবার্তায় পুনরায় বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো প্রচারমাধ্যমে এটা চোখে পড়ে নাই। পৌনঃপুনিক গুগল অনুসন্ধানের ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ তারবার্তাটি নজরে আসে। এটার রেফারেন্স আইডি: 0707NEWDELHI1051। প্রেরক, নয়া দিল্লির দূতাবাস। এখানে, ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়া কাউন্টার টেররিজম জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (আইসিটিজেডব্লুউজি) বৈঠকের ফিরিস্তি দেয়া রয়েছে। বৈঠকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ ঠেকাতে ভারতের ‘নজরবহির্ভূত সীমান্ত’ নিয়ে করণীয় সম্পর্কে বিশদে বলেছেন আইসিটিজেডব্লুউজি এর ভারতীয় প্রতিনিধি কে সি সিং। বার্তাটির ১৮ সংখ্যক অনুচ্ছেদ, যেখানে সিং ভারতের সীমান্ত-নীতিতে সম্ভাব্য পরিবর্তনের কথা বলেছেন, সেটার বাংলা অনুবাদ করা যাক।

"১৮: ভারতের পক্ষে এই পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সীমান্ত ব্যবস্থাপনার জন্য সঠিক হাতিয়ার খুঁজে বের করা। সিং তেরাই বেল্টে [হিমালয়ের নিম্নাঞ্চলে] গজিয়ে ওঠা অসংখ্য মাদ্রাসার কথা উল্লেখ করে, ওই অঞ্চল নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানালেন। ওই অঞ্চলে ভারতের নজরদারির বাইরে খোলা সীমান্ত রয়েছে, যাকে স্থিতিশীল ও শান্তিময় করে তোলা প্রয়োজন। নয়া দিল্লি এই অঞ্চলের অর্থনীতিকে মুক্ত [পড়া যায়, ‘বাজারকে উন্মুক্ত’] ও স্থিতিশীল করতে রেল ও রাস্তা তৈরির ওপর খুব জোর দিচ্ছে। সিং বললেন, ‘আমরা সীমান্ত বেড়া দিতে পারছি না, তাই, আমাদের সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হচ্ছে সীমান্তের দুপাশের অধিবাসীকে সফল [‘সমর্থ’ পড়া যায়?] করে তোলা, যাতে ওই অধিবাসীদের চরমপন্থা নেযার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়’। সিং এটাকে সীমান্তে ভারতের নতুন সন্ত্রাসবাদবিরোধী কৌশল হিসেবে উপস্থাপিত করলেন। তিনি বোঝালেন, সীমান্তকে নমনীয় করে তুললে আসলে ভারতের পক্ষে সন্ত্রাসবাদ থেকে বাঁচা সহজ হয়, কারণ, স্থানীয়রা যত বেশি তুষ্ট থাকবেন, সন্ত্রাসবাদীদের অভয়ারণ্য গড়ে তোলায় তারা ততই কম সহায়তা দেবেন। (মন্তব্য [মার্কিন কর্মকর্তার]: সিং বোঝালেন যে এটা কাশ্মীর ও বাংলাদেশসহ সীমান্ত রাষ্ট্রগুলোর সাপেক্ষে ভারতের সন্ত্রাসবাদবিরোধী কৌশল)।"

ওপরের বার্তায় খুব যে নতুন কিছু আছে তা না। সীমান্তে ‘শান্তি’র পাশাপাশি ‘সমৃদ্ধি’কে গুরুত্ব দেয়া ভারতীয় বাজার সম্প্রসারণের কৌশল, এ কথাও নতুন না। সমস্যা হচ্ছে, বাংলাদেশের পক্ষেও এতে আপত্তি নাই। সরকারী জবানে নানা সময়েই এর প্রমাণ পাওয়া যায়। যেমন, এই বছর মার্চে, টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ প্রতিনিধি গওহর রিজভি বলেছেন, 'আমরা [বাংলাদেশ] সংর্ঘষ-সংঘাতের সীমান্তকে শান্তি-সমৃদ্ধির সীমান্তে পরিণত করতে চাই'। সরকারের এই অবস্থান স্বস্তিকর নয়, যখন বোঝা যাচ্ছে ভারতের সীমান্তনীতিতে শান্তি কেবল ভারতের পক্ষে লাভজনক বাণিজ্যের বিনিময়েই আসতে পারে। এ প্রসঙ্গে আবারও লক্ষ্য করা যাক, কীভাবে ভারতের শান্তি কিংবা উন্নয়নের কথামালার আবরণের ভিতরে বাণিজ্যিক সম্প্রসারণবাদের প্রাণভ্রমর গুনগুন করছে। উইকিলিক্স থেকে পাওয়া ওই একই তারবার্তা খেয়াল করি [অনুচ্ছেদ:৬]। এবার প্রসঙ্গ আফগানিস্তান। এখানে মার্কিন কর্মকর্তা লক্ষ্য করছেন ভারত আফগানিস্তানের অর্থনীতিকে সুস্থির করতে সাড়ে সাতশ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও, আদপে এই অর্থ ভারতেরই বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক স্বার্থ রক্ষা করবে। রাস্তা বানানোর মতো কর্মকাণ্ডে সহায়তা দিয়ে ভারত আসলে ভাবছে, এতেই ‘চোরাচালানিরা ব্যবসায়ীতে পরিণত হবে’। সুতরাং, ঋণ দিয়ে রাস্তা বানিয়ে দেয়ার ভারতীয় উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখে, চাইলে এই সিন্ধান্তে সহজেই আসা যায় যে, ভারতের কাছে আফগানিস্তান-বাংলাদেশে প্রভেদ নাই। এতে দুঃখ বা অভিমানের যে কিছু আছে তাও অবশ্য না।

কিন্তু প্রশ্ন, ঋণ গিলিয়ে রাস্তা-রেললাইন ধরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি সীমান্তে নমনীয় হওয়াটাকেই যদি ভারত নীতি বা কৌশল হিসেবে নিয়ে থাকে, তাহলে, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার ঘটনা কমছে না কেন? আইসিটিজেডব্লুউজি-র বৈঠক হয়েছিল ২০০৭ এর ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ। তার ঠিক পরের মাসেও কুষ্টিয়া ও চাপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে মানুষ মেরেছে বিএসএফ। সেই বৈঠকের তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত কত কত মানুষকে বিএসএফ মেরেছে তার তালিকা দেখলে কোনোভাবেই ভাবা সম্ভব না যে, ভারত তার সীমান্তে কিছুমাত্র নমনীয় (বা সভ্য) হয়েছে। এমন কী এই মাসেই, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের "'ট্রিগার হ্যাপি': এক্সেসিভ ইউজ অব ফোর্স বাই ইন্ডিয়ান ট্রুপস্ অ্যাট দ্য বাংলাদেশ বর্ডার" নামের ৮১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ‘ট্রিগারপসন্দ’ বিএসফের বর্বরতার কথা তুলে ধরেছে। তাহলে, আমার শেষ প্রশ্ন হল, যতদিন না বাংলাদেশ ভারতের বাণিজ্য-উপনিবেশ পুরোদস্তুর স্থাপিত হয়, ততদিন কি তাদের নতুন ‘নমনীয়’ সীমান্তনীতি কার্যকর হচ্ছে না? সহজে বললে, যতদিন ‘চোরাচালানিরা’ ব্যবসায়ী [পড়া যায় ‘ঠক খাওয়া ক্রেতা’] হয়ে উঠছে না ততদিন পর্যন্ত কি তাদের জানের দাম নাই?

বিএসএফ যাকেই মারে, তাকেই চোরাচালানি বলে চালিয়ে দেয়। মুশকিল হল, বিএসএফের চোখে ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে আমাদের আর কতদিন বাকি, এটা সম্ভবত উইকিলিক্সের কোনো কেবল থেকে আমরা জানতে পারছি না।

সূত্র:

১. উইকিলিক্সের কেবল

২. বিএসএফের হত্যানামা

৩. ট্রিগার-হ্যাপি


মন্তব্য

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

সিং বোঝালেন যে এটা কাশ্মীর ও বাংলাদেশসহ সীমান্ত রাষ্ট্রগুলোর সাপেক্ষে ভারতের সন্ত্রাসবাদবিরোধী কৌশল...
সীমান্তে নমনীয় হওয়াটাকেই যদি ভারত নীতি বা কৌশল হিসেবে নিয়ে থাকে, তাহলে, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যার ঘটনা কমছে না কেন

কাশ্মীরে অধিবাসীদের সফল বা সমর্থ করে তোলারও কিছু ভারতীয় কৌশল নিয়ে রিপোর্ট করেছে উইকিলিকস্‌, যেমন জম্মু ও কাশ্মীরে আটক ১৪৯১ জন বন্দীর সাক্ষ্য নিয়ে আর্ন্তজাতিক রেডক্রস রিপোর্ট করেছিল কে কী ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়-- পিটুনি ১৭১ জন; বৈদ্যুতিক শক ৪৯৮ জন; ছাদ থেকে উল্টোকরে ঝুলিয়ে রাখা ৩৮১ জন; রোলার ২৯৪ জন; দুই পা ১৮০ ডিগ্রি কোনে টেনে রাখা ১৮১ জন; বিভিন্ন ধরনের পানি ট্রিটমেন্ট ২৩৪ জন; যৌননির্যাতন ৩০২ জন।

বাংলাদেশের সীমান্তের চলমান হত্যাকান্ডও সম্ভবত "সফল বা সমর্থ করে তোলার" ভারতীয় কৌশল মন খারাপ
-----------
চর্যাপদ

-----------
চর্যাপদ

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি তুলে আনার জন্যে ধন্যবাদ। একটি প্রশ্ন ছিল। বাণিজ্য সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে ভারতের সীমান্ত-সংক্রান্ত নমনীয় নীতির ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের অনাপত্তিকে আপনি সমস্যা হিসেবে দেখছেন। এটা কেন সমস্যা তা আমার কাছে পরিষ্কার না। সীমান্ত আচরণ নমনীয় হবে, আশা করি এটা আমাদের সবার কাছেই কাম্য। এখন ভারতীয় বাণিজ্যের সম্প্রসারণ যদি অকাম্য হয়, তা তো নমনীয় সীমান্তের সাথে সাংঘর্ষিক হতে বাধ্য নয়। ব্যাপারটা নিয়ে আপনার বক্তব্য আমার কাছে পরিষ্কার হয় নি।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটার জন্য। আমি বলতে চাই 'শান্তি'র জন্য 'সমৃদ্ধি' যে একটা শর্ত হিসাবে আসছে এটাকে সরলভাবে নেয়ার সুযোগ কম। শুনতে ভালোই শোনালেও, আসলে কার সমৃদ্ধির বিনিময়ে কে শান্তি পাবে তার হিসাব নেয়াটা জরুরি। বিএসএফ সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষ মেরে যাচ্ছে দিনের পর দিন। এটা বন্ধ করতে ভারতকেই নিঃশর্ত হতে হবে। সেটা না করে, সীমান্তবর্তী এলাকায় নানা ধরণের সুশীল/সুশীলকরণের উদ্যোগ (যেমন 'সীমান্ত হাট', যেখানে দুইপাশের সীমান্তবর্তী গ্রামের নাগরিকরা বাজারসদাই করতে পারবেন) কিংবা ভারতের পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকা - ইত্যাদির মাধ্যমে বিএসএফের নিয়মিত হত্যাকাণ্ড একরকম অনাপত্তি তো পাচ্ছেই।

আপনি লিখেছেন :ভারতীয় বাণিজ্যের সম্প্রসারণ যদি অকাম্য হয়, তা তো নমনীয় সীমান্তের সাথে সাংঘর্ষিক হতে বাধ্য নয়। আমিও ঠিক তাই বলতে চাইছি।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

উইকিলিক্‌স এর মূল সাইট এখন আসলে কোনটা? এর এতগুলা মিরর সাইট!

সত্যান্বেষী

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২,১৯৪ টা মিরর ছিল। তারা ম্যাস মিররিং এর আহ্বান করেছে। এখানে দেখতে পারেন। মিরর সাইটের একটা তালিকা এইখানে পাওয়া যাবে।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

দিগন্ত এর ছবি

কথা ও কাজের মধ্যে ফারাক থাকাটাও নীতির অংশ বলেই মনে হল। হাসি
তবে বি-এস-এফকে বললেই বা নীতি নির্ধারণ করলেই যে বি-এস-এফ ট্রিগার টিপবেনা এরকম কোনো গ্যারান্টি নেই। একগুচ্ছ সাধারণ নিরস্ত্র মানুষের মধ্যে কিছু বন্দুকধারী দাঁড় করিয়ে রেখে তাদের গুলি ছুঁড়তে বারণ করলে তারা সবসময় শুনবে?


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

তার মানে কি, বিএসএফ কোনো এক পর্যায়ের অটনমি ভোগ করে? নাকি, নিরস্ত্র মানুষের মধ্যে বন্দুকধারী দাঁড় করিয়ে দেয়াটা কোনো রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ নয়?


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

দিগন্ত এর ছবি

বি এস এফ এর তথাকথিত "অটোনমি"-র কথাই বলছি। অবশ্যই জনবহুল এলাকায় সেনা মোতায়েন করা রাষ্ট্রীয় নীতির অংশ কিন্তু বন্দুক ব্যবহার করা মনে হয় না নীতির অংশ (ব্যক্তিগত মত)। কিন্তু নীতি অনুসারে বন্দুক চালালে কোর্ট-মার্শাল ছাড়া বিশেষ কিছু করা হয় না, তাই বি এস এফ পার পেয়ে যায়। এখন বলতে পারেন, সেনা বা আধা-সেনাদের মাথায় চাপানোর নীতি কি রাষ্ট্রীয় নয়? অবশ্যই রাষ্ট্রব্যবস্থায় বন্দুকধারীদের বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয় এবং এই দোষ প্রচলিত রাষ্ট্রব্যবস্থায় সর্বত্র এবং এর দায় রাষ্ট্রের ঘাড়ে বর্তায়। তবে সেই বিশেষ ক্ষমতা না থাকলে দেশ ভাল চলত কি না সে নিয়ে আমার কোনো মতামত নেই। আমি এমনিতে বিশেষ ক্ষমতার বিপক্ষে কারণ এটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের পথ, কিন্তু আরো অনেকেই এর পক্ষে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

কিন্তু নীতি অনুসারে বন্দুক চালালে কোর্ট-মার্শাল ছাড়া বিশেষ কিছু করা হয় না, তাই বি এস এফ পার পেয়ে যায়।
সেই নীতিটা কী আসলে? অন্য দেশের নিরস্ত্র নাগরিককে গুলি করা? লাশ নিয়ে ফেরত চলে যাওয়া নাকি নিজেদের লোককে সশস্ত্র পাহারা দিয়ে সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে মাছ ধরতে নিয়ে যাওয়া?

সীমান্তে যদি বাংলাদেশের কোনো নাগরিক সীমান্তআইন লঙ্ঘন করে, তাকে ধরে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করতে পারে বিএসএফ, এইটা নীতি। কিন্তু নোম্যান্স ল্যান্ড থেকে মানুষ তুলে নিয়ে যাওয়া কোন নীতি?

মাতাল অবস্থায় সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে, পারিবারিক অনুষ্ঠানে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা বিএসএফ এর নীতি, নাকি বিশেষ ক্ষমতা? যে বিশেষ ক্ষমতার বলে "দেশ ভালো চলে" বলে দাবী করতে পারেন!

আট বছরের শিশুদের হত্যা করা হয়, তাও বাংলাদেশের সীমানাতেই। এইটা বিএসএফের কোন নীতি? নিজেদের তৈরী?

নিরস্ত্র মানুষের মাঝে অস্ত্র দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিলে যদি 'বিএসএফকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না' বলে মতামত দেন তাহলে সেক্ষেত্রে কী করতে হবে? সীমান্তে সে সকল বাংলাদেশী নাগরিক বসবাস করেন, তাদের সবার হাতে একটা করে রকেট লাঞ্চার ধরিয়ে দিতে হবে? যাতে তখন 'বিএসএফকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব' হয় (পড়ুন, বিএসএফ এর কর্মকাণ্ডকে জায়েজ করা যায়)!

বিডিআরের সাথেও যদি বন্দুক যুদ্ধ হতো, তাও নাহয় মানা যেতো যে হ্যাঁ, তথাকথিত নীতির মধ্যে থেকেই বিএসএফ বন্দুকের ব্যবহার করেছে। কিন্তু যখন রাস্ট্রের দেয়া বন্দুকগুলো ব্যবহৃত হয় অন্য দেশের সীমান্তবর্তী নিরস্ত্র নাগরিক হত্যায়, তখন দায়টা কেবল বিএসএফের একার থাকে না, বরং এর হাতে বন্দুক তুলে দেয়া ভারত রাস্ট্রের উপরও বর্তায়।

বিনাযুদ্ধে, বিনা উষ্কানীতে কোনো দেশের সাধারণ নাগরিক হত্যা কোনোভাবেই কোর্টমার্শালের মধ্যে সংক্ষিপ্ত থাকার কথা না। এটা পরিষ্কারভাবেই মানবাধিকার লঙ্ঘণ। এর দায়ভার বিএসএফ ছাড়িয়ে দিল্লির উপরেই বর্তায়।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

দিগন্ত এর ছবি

বাংলাদেশে/পাকিস্তানে যতগুলো সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে তার দায় কাদের? সামরিক বাহিনীর না রাষ্ট্রের? সামরিক বাহিনী যখন নিজের হাতে ক্ষমতা তুলে নেয় তখন তাদের সামলানোর ক্ষমতা এখনও উপমহাদেশের গণতন্ত্রে আসে নি। বি এস এফ তারই একটা নিদর্শন।

অবশ্যই এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। তার মূল কারণ রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের এই হত্যাযজ্ঞে আমি কোনো লাভ দেখি না, আমার মনে হয়না দিল্লীতে বসা রাজনীতিকেরাও তা দেখেন।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

কীসের মধ্যে কী আনলেন বুঝলাম না। আপনি কি বলতে চাইছেন যে বিএসএফ এর উপর ভারত রাস্ট্রের কোনো নিয়ন্ত্রণ বা কর্তৃত্ব নাই?

আমি আর আপনি কারো লাভ বা লোকসান দেখছি কি দেখছি না, সেইটা তো ভাই বিচার্য না। একটা দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী অন্য দেশের নিরস্ত্র নাগরিক মারছে অহরহ, এটা দেখে, জেনে চুপ করে বসে থাকলে সেটাকে আপনি কী বলতে চান? "আমি দেখি না, আমি শুনি না, আমি বলি না"— এরকম কিছু?



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

দিগন্ত এর ছবি

আপনি কি বলতে চাইছেন যে বিএসএফ এর উপর ভারত রাস্ট্রের কোনো নিয়ন্ত্রণ বা কর্তৃত্ব নাই?

অনেকটা তাই। "কোনো" শব্দটা না ব্যবহার করে আমি বলব অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ নেই। অন্তত রাষ্ট্রনীতি মেনে চলার মত নিয়ন্ত্রণ তো নেইইইইই।

দায় বিষয়ে আমি খুব একটা দ্বিমত নেই। দায় দিল্লীরই। কিন্তু তার মানে এটা নয় রাষ্ট্রনীতিটাই এরকম।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আপনি সেই কৌতুকটা জানেন নিশ্চয়ই। ঐ যে কোনো এক আর্মি ক্যাডেট ব্রিফিং-এ বলা হচ্ছিলো, শত্রুপক্ষ একটা তীর ছুড়লে সেটা যদি আমাদের জমিনে পড়ে তাহলে আমরা এর প্রতিকার করবো, প্রতিহত করবো। তখন এক ক্যাডেট জিজ্ঞাসা করেছিলো, স্যার, তীরটা যদি পানিতে পড়ে, তাহলে? তখন ব্রিফিং দানকারী অফিসার বলেছিলেন, ঐটা নেভিদের ব্যাপার, আমাদের না!

আপনার এই মন্তব্য পড়ে আমার এই কৌতুকটার কথাই মনে পড়ে গেলো। ভারতীয় আর্মি আর রাজনীতিবিদরা বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বোধ করি এমন ধারণাই পোষণ করেন।

যখন বিএসএফ বাংলাদেশের মানুষ মারে, তখন বলা হবে, "বাপু, এইটা আমাদের ডিপার্টমেন্ট না। এরা আমাদের কথা শোনে না।" কিন্তু যদি বিডিআর এর কর্মকাণ্ডের সমুচিত জবাব দেয় বিডিআর, তখন দিল্লি তো দিল্লি, পুরা ভারতই হারেরেরে করে তেড়ে আসবে। আপনিও আসবেন। তখন আর ব্যাপারটা 'বেয়াড়া বিএসএফ' এর একার থাকবে না।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

দিগন্ত এর ছবি

তখন দিল্লি তো দিল্লি, পুরা ভারতই হারেরেরে করে তেড়ে আসবে। আপনিও আসবেন।

ঠিক নয়। এরকম কোনো উদাহরণ নেই। ঘটবেও না।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বস, বিডিআর যদি এখন থেকে প্রতিদিন ভারতের ভেতরে ঢুকে, ভারতের গ্রামবাসীদের সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়ে গুলি চালায়, সশস্ত্র পাহারা দিয়ে বাংলাদেশীদের ঐ পাড়ে নিয়ে গিয়ে ভারতীয় ধান কেটে নিয়ে আসে, নো ম্যান্স ল্যান্ডে গোসলের জন্য বিরাট পুষ্করীনি খনন করে, মাছ চাষের জন্য দীঘি কাটা শুরু করে ভারতের সীমান্তে, আর তারপর প্রতিদিন এভারেজে ৪-৫টা ভারতীয় নাগরিকের উপর হাতের নিশানা প্র্যাকটিস করে— তখনও যদি আপনি বলতে চান এতে ভারতের কোনো অংশগ্রহণ আসবে না, ভারত এতে মাথা ঘামাবে না, কারণ এরকম কোনো উদাহরণ নেই, তাহলে তো ব্যাপক সমস্যা!

উদাহরণ তৈরী করতে হলে তো বিডিআরের, বিএসএফ-এর অনুরূপে এমন কিছু করা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। সেরকম উদাহরণ তৈরী হোক, সেটা নিশ্চয়ই চাচ্ছেন না! নাকি অন্য কথায় বলতে চাচ্ছেন, সীমান্তে এমন কিছু ঘটানোর জন্যই বিএসএফ জান বুঝকে এরকম করে যাচ্ছে?



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

বি-এস-এফকে বললেই বা নীতি নির্ধারণ করলেই যে বি-এস-এফ ট্রিগার টিপবেনা এরকম কোনো গ্যারান্টি নেই

এই ভাবনাটাকে আমি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। নীতি-নির্ধারক ট্রিগার টিপতে মানা করেছে কি করে নাই, সেই আলোচনা ব্যতিরেকেই এই বিষয়টা চিন্তা-ভাবনার দাবী রাখে। বন্দুকধারী সংস্থার পারফেক্ট নিয়ন্ত্রণ বেশ কঠিন বলে আমার ধারণা। বন্দুকধারী সংস্থা তার নীতি-নির্ধারকের থেকে ভিন্ন একটা সত্তা হিসাবে আবির্ভূত হতে উপমহাদেশে দেখা যায়। তবে এটার সমাধান আছে বলেই আমার মনে হয়। পশ্চিমের দিকে এ ব্যাপারে দৃষ্টিপাত করা যায়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

বন্দুক হাতে তুলে দেয়ার আগে রাষ্ট্রেরই ভাবতে হবে, কাকে কী কাজে বন্দুকটা দেয়া হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে রাষ্ট্রের দায়মুক্তি ঘটে না, বরং বাড়ে।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

তা তো বটেই!

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হুমম অ্যাঁ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

?


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

হাসান [অতিথি] এর ছবি

তবে বি-এস-এফকে বললেই বা নীতি নির্ধারণ করলেই যে বি-এস-এফ ট্রিগার টিপবেনা এরকম কোনো গ্যারান্টি নেই। একগুচ্ছ সাধারণ নিরস্ত্র মানুষের মধ্যে কিছু বন্দুকধারী দাঁড় করিয়ে রেখে তাদের গুলি ছুঁড়তে বারণ করলে তারা সবসময় শুনবে?

মন্তব্যটা পড়ে একটু অবাক হলাম সাথে একটু হতাশও।পরোক্ষভাবে(কৌশলে) কি সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যাযজ্ঞ থেকে ভারতীয় সরকারকে দ্বায়মুক্ত করতে চাইলেন!

সীমান্তে বি,এস,এফ যা করে তার প্রতি ভারত সরকারের প্রত্যক্ষ সমর্থন নেই! আচ্ছা, চীন-ভারত কিংবা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে তো অস্ত্রধারী বি,এস,এফ পাহারা দেয়।নাকি!
তারাও কি ট্রিগার টিপে!

তারা যদি ট্রিগার না টিপে তাইলে কি বাংলাদেশের সাধারণ নিরস্ত্র মানুষ আর চীন-পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের মধ্যে পার্থক্যটা বি,এস,এফ কিভাবে বোঝে!

আপাতদৃষ্টিতে চীনা-পাকিরা তো বি,এস,এফ'র চোখে আমাদের চেয়ে আরেকটু বেশি শত্রু হওয়ার কথা।

দিগন্ত এর ছবি

একে একে আসি - চিন সীমান্তে মানুষ বসবাস প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। চিন ভারত সীমান্ত হিমালয় দিয়ে চিহ্নিত, যেখানে মানুষ দূরে থাক কয়টা প্রজাতির প্রাণী থাকে তা-ও হাতে গোণা যায়। সুতরাং, গুলি চললেও সিভিলিয়ান মরে না। তবে গুলি চলেও কম - এটাও স্বীকার করা উচিত, কারণ ওই সীমা পেরোনো বৈধ বা অবৈধের সংখ্যা আরও কম।

আসি পাকিস্তানে, সেখানেও জনবহুল সীমা বলতে একমাত্র পাঞ্জাব, যার জনঘনত্ব পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশেরও কম। বাকি রাজস্থান-গুজরাতে সীমা হল মরুভূমিতে আর কাশ্মীরে সীমা পাহাড়ের গায়ে। স্বাভাবিকভাবেই সীমা পেরোনোর চেষ্টাও কম বা গুলি ছুঁড়লে সাধারণ মানুষ মরার সম্ভাবনা কম। এই সীমান্তে গুলি চলে অনেক বেশী কিন্তু মানুষ মরে কম।

এই দুই সীমানার সাথে ভারত-বাংলাদেশ সীমানার তুলনাই চলে না, এটা মানুষ পারাপারের সংখ্যায় পৃথিবীর busiest বর্ডারগুলর মধ্যে একটা। আগের দুই সীমানা পাহারা দেয় বি এস এফ ও আর্মি মিলে, বাংলাদেশ সীমানায় শুধু বি এস এফ থাকে। বি এস এফ সীমান্তে গুলি চালায় ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে কে ভারতীয় বা কে বাংলাদেশী না জেনেই। তাই মৃতের সংখ্যায় ভারতীয় যথেষ্টই আছে। যেমন ধরুণ, ১৯৯৮ থেকে ২০০২ পর্যন্ত পরিসংখ্যানে দেখি বি এস এফ এর গুলিতে ৪৮ জন ভারতীয় ও ২০২ বাংলাদেশী মারা গেছেন। রাষ্ট্রনীতির অংশ হিসাবে পরিচালিত হলে এত বেশী সংখ্যায় ভারতীয় মারা যেত বলে আমার মনে হয় না।

রাষ্ট্রনীতির অবশ্যই ফাঁক আছে - যেই ফাঁক গলে উপমহাদেশে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে অহরহ। সামরিক বাহিনী মাথায় চড়ে বসা অবাধ্য ছেলের মত ব্যবহার করে অহরহ। বি এস এফ এর আচরণ আমার কাছে সেই প্যারাডাইমে পড়ে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বি এস এফ সীমান্তে গুলি চালায় ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে কে ভারতীয় বা কে বাংলাদেশী না জেনেই।
এই যে বললেন একটা কথা! এই কথা শুনলে স্বয়ং বিএসএফও খিক খিক করে হেসে উঠবে মাটি চাপড়ে!

আটানব্বই-ছিয়ানব্বই বাদ, একটু ক্লেশ স্বীকার করে দেখুন কেবল এবং কেবলমাত্র গত ছয় মাসে (চাইলে আরও বাড়াতে পারেন আপনি) 'নাদান এবং অবুঝ' বিএসএফ'এর গুলিতে কয়জন ভারতীয় মারা পড়লো আর কয়জন বাংলাদেশী পটল তুললো, তাও বাংলাদেশের সীমানার ভেতরেই কিংবা বড়জোর নোম্যান্স ল্যান্ডে! (লিংকটা এই মন্তব্যের নিচেই আছে)

আপনার ক্যু করার যুক্তিদান প্রসঙ্গে জিজ্ঞাস্য- বিএসএফ কি সামরিক বাহিনী? উপমহাদেশের কোন ইতিহাসে আছে যে সীমান্তরক্ষী বাহিনী রাস্ট্রীয় ক্ষমতার জন্য ক্যু করেছে? আর এরা ক্যু করলে গিয়ে করুক না দিল্লির মসনদের জন্য। বাংলাদেশের সীমান্তে ক্যু করতে যাবে কোন দুঃখে? তাও বিডিআরের বিরুদ্ধে না, গ্রামের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ক্যু করতে চায় বিএসএফ! হালের বলদের দখল নেয়ার জন্য?



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

দিগন্ত এর ছবি

১) আপনার লিঙ্কে গিয়ে ভারতীয়দের মৃত্যুর খবর তো পেলাম না। আপনি কি ধরে নিয়েছেন ভারতীয় মৃত্যুর খবর বাংলাদেশের সংবাদপত্রে আসে?

২) নো ম্যানস ল্যান্ডে কি মানুষ গায়ে পাসপোর্ট সিঁটিয়ে ঘোরাফেরা করে? বি এস এফ কি করে জানে কে বাংলাদেশী আর কে ভারতীয়?

৩) সামরিক বাহিনী নয় বলেই ক্যু করেনি, তাদের সীমায় যতটুকু আছে ততটুকুই বেয়াড়াপনা করেছে। বাংলাদেশে সামরিক ক্যু হলে যেমন মসনদের হাতবদল হয় তেমন বিডিআর বিদ্রোহে কিছু সামরিক কর্মকর্তার প্রাণ যায়। দুটোর কোনোটাই রাষ্ট্রনীতির মধ্যে পড়ে না।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

১) ঠিকাছে, বাংলাদেশের সংবাদপত্রের লিংক না, আপনি ভারতের কোনো সংবাদপত্রেরই লিংক দিন। যেখানে গত এক বছরের খতিয়ান দিন তারিখ সহ দেয়া আছে, এবং যেখানে অবুঝ বিএসএফ এর হাতে বাংলাদেশ সীমান্তে নিরপেক্ষভাবে ভারতের নাগরিকের প্রাণপাতের কথা আছে।

২) আবারও খিক খিক করে হাসানো কথা বললেন।

৩) একটা দেশের আভ্যন্তরীন ক্ষমতার পালা বদলের সাথে অন্য দেশের সীমান্তরক্ষীর হাতে প্রতিবেশী দেশের সাধারণ নাগরিক হত্যাকে বারবার গুলাচ্ছেন কেনো? বাংলাদেশে হাজারবার বিডিআর বিদ্রোহ হোক, লক্ষবার ক্যু করে ক্ষমতা বদল হোক, তাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর হাতে কী করে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক হত্যা জায়েজ হয়ে যায়? ভারত রাস্ট্র কেনো সেটার প্রতিকার করে না? কেনো পরিস্থিতির উন্নয়ন করে না, সেইটা নিয়ে না ভেবে বাংলাদেশের আর্মি কেনো ক্যু করলো, এইটা নিয়ে ভাবলে চলবে?



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

দিগন্ত এর ছবি

১) আমি তো একটা পরিসংখ্যান দিলাম। আমার হাতে অবশ্যই পরিসংখ্যান নেই বলেই দিতে পারছি না। আপনি ১৯৯৮-২০০২ পরিসংখ্যান নিয়ে কি মত রাখেন বলুন? আমি তো দুদিকের পরিসংখ্যানই দিয়েছি। আপনার সুবিধার জন্য সোর্স দিয়ে দিলাম - উইলিয়াম ভ্যান ডার শিন্ডেলের লেখা দ্য ওয়াগা সিনড্রোম। আপনি একই লেখকের দ্য বেঙল বর্ডারল্যান্ড বলে আরো একটা বই পড়ে দেখতে পারেন।

২) উত্তর পেলাম না। হাসি

৩)

"তাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর হাতে কী করে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক হত্যা জায়েজ হয়ে যায়?"

জায়েজ কে কবে কখন বলেছে? আমি আপনাকে উদাহরণ দিলাম মাত্র। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী রাষ্ট্রনীতি অমান্য করে বিদ্রোহ করে আর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী সীমান্তে ইচ্ছামত গুলি চালিয়ে সাধারণ লোক মারে। দুটোর কোনোটাই কোনোভাবে জায়েজ নয় কিন্তু এগুলো ভারত বা বাংলাদেশের রাষ্ট্রনীতির অংশ নয়। ভারতীয় বাহিনী যখন কাশ্মীরে, মণিপুরে বা নাগাল্যান্ডে নিরপরাধ মানুষ মারে বা বালুচিস্তানে কোনো দলকে সাহায্য দেয় সেটা হল রাষ্ট্রনীতি। এবং সেই সব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রনীতির মোটিভ পরিষ্কার। কিন্তু বি এস এফ এর বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি চালানোর জন্য কোনো রাষ্ট্রনীতি থাকতে পারে না। এটা সরকারের বি এস এফ এর ওপর নিয়ন্ত্রণের অভাবের কারণেই ঘটে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ইগল এর ছবি

২ নম্বর এর উত্তর টা আমি দেই- ধূগোদা তো শধু নোম্যানস ল্যান্ড এর কথাই বলেননি, বাংলাদেশ এর সীমানার ভেতরের কথাও বলেছেন। যখন গুলিবর্ষণ টা বাংলাদেশএর সীমানার ভেতরে হচ্ছে তখন কি পাসপোর্ট সেটে নেয়া টা খুব দরকারী পরিচয় এর জন্য ?

দিগন্ত এর ছবি

নো ম্যান্স ল্যান্ড কি বাংলাদেশের সীমার বাইরে? সীমান্তের দুপাশের ১০০-১৫০ গজ এলাকা ইন্দিরা গান্ধী-মুজিব চুক্তি অনুসারে নো ম্যানস ল্যান্ড হিসাবে গণ্য করা হয়। এই অঞ্চলে পাকাপাকি সামরিক কোনো কাঠামো করা চুক্তির পরিপন্থী। তার মানে এই নয় ওই অঞ্চলে বাংলাদেশের বা ভারতের সার্বভৌমত্ব নেই।

তবে এর সাথে রাষ্ট্রনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। আপনার কি মনে হয় গুলি শুধু সীমানার ওপারেই যায়, তারা এপারেও একই কাজ করে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

... অথচ এই নোম্যান্স ল্যান্ডেই কয়দিন পর পর বিএসএফ স্থায়ী স্থাপনা নির্মানে উদ্যোগী হয়। ইন্দিরার চুক্তি মানে তো ভারতের চুক্তি, রাস্ট্রের চুক্তি। তো বিএসএফ যে এই চুক্তি বারবার ভাঙতে উদ্যত হয়, রাস্ট্রের কি এখানে কিছুই করার নেই?

আপনি দ্বিতীয় প্যারা দিয়ে কী বুঝাতে চাইলেন? বিডিআরের পাশ থেকে গুলি চলে বলেই বিএসএফ শ্যুটিং প্র্যাকটিস করে বাংলাদেশের নাগরিকের উপর?



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

১) পরিসংখ্যান নেই অথচ বলছেন গুলি এদিক থেকেও যায়! একটু কেমন হয়ে গেলো না কথাটা? আর গত শতাব্দীর কথা তো বললাম বাদ দিন। ফন উইলিয়ামের বই এর প্রকাশের পর সীমান্তে কয়েক লক্ষ বার পতাকা বৈঠক হয়ে গেছে বিডিআর-বিএসএফ এর মধ্যে। বিএসএফের হাই কমান্ড সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার জন্য দুঃখবোধ করেছে, কখনো অন্যায় স্বীকার করেছে। ঐ পর্যন্তই। তারপর আবার যেই-কে-সেই। অভিযুক্ত বিএসএফ জোয়ানকে কখনোই শাস্তির মুখোমুখি করা হয় নি। পতাকা বৈঠকে অন্তত খোদ বিএসএফও এইসব পরিসংখ্যান নিয়ে হাজির হয় নি যে তাদের হাতে ভারতীয় নাগরিকও মারা যায়। কারণ রাতের আঁধারে তো আর বুঝা যায় না কে ভারতীয় আর কে বাংলাদেশী। তারা কি আর পাসপোর্ট সঙ্গে রাখে!

২) কী জবাব দিবো এখানে? বললাম তো আপনার এই কথা শুনে খোদ বিএসএফও খিক খিক করে হাসতে থাকবে। তাদের হাসি থামলে জবাব তাদের কাছেই খুঁজে দেখতে পারেন।

৩) সীমান্তে টপাটপ মানুষ মারা রাস্ট্রনীতির প্রত্যক্ষ অংশ হলে সেই রাস্ট্র অবশ্যই উন্মাদরাস্ট্র হিসেবে বিবেচিত হবে সারা বিশ্বে। আমি বিশ্বাস করি ভারত উন্মাদরাস্ট্র না। তবে সীমান্তে বাহিনীর কার্যকলাপের কারণে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে অবশ্যই রাস্ট্রের কিছু করার আছে। বিডিআর বিদ্রোহের কথা বললেন। হ্যাঁ, তাতে রাস্ট্রের কোনো অংশগ্রহণ নেই বটে। কিন্তু এই বিদ্রোহের বিচার ঠিকই রাস্ট্র করে। সেজন্য আইন সংশোধনও করে। 'আমাদের এতে কোনো দায় বা অংশগ্রহণ নেই' বলে হাত গুটিয়ে, চোখ সরিয়ে বসে থাকে না। যদি এই বিদ্রোহের বিচার না করতো বাংলাদেশ, তাহলে অবশ্যই ধরে নিতে হতো, জরুর ডাল মে কুচ কালা হ্যায়।

এবার আপনি বলুন, ভারত কেনো সীমান্তে বিএসএফ এর বারবার, প্রতিদিন সীমা লঙ্ঘণের প্রতিকারে 'এটা আমাদের এখতিয়ার নয়' এর দোহাই এর বাইরে গিয়ে কিছু করবে না?



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

দিগন্ত এর ছবি

কে বলেছে এখতিয়ারে নেই বলে কিছু করা উচিত নয়। অবশ্যই দায় রাষ্ট্রের এবং প্রতিকারের ব্যবস্থা রাষ্ট্রকেই করতে হবে। তার মানে এই না এটা রাষ্ট্রনীতির অংশ। রাষ্ট্রের ব্যর্থতা এক জিনিস আর নীতি অবলম্বন করা আরেক।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

উপরে একবার স্পষ্ট করেই বলেছি যে সীমান্তে প্রতিবেশী দেশের নাগরিক হত্যা করাটা কোনো সুস্থ দেশের 'নীতি' হতে পারে না। আমি এটা মনেও করি না। আপনিও এমনটাই বলছেন। এখন বাকী যা থাকে তা হলো 'ব্যর্থতা'। রাস্ট্রের ব্যর্থতা।

এখানে কথা হলো, ভারতের মতো চৌকস একটা রাস্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ব্যর্থতা কতোটা যৌক্তিকভাবে গ্রহণযোগ্য। এইটা নাম্বার ওয়ান।

নাম্বার টু হলো, একটা সুসজ্জিত বাহিনী রাস্ট্রের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে, এই ব্যাপারটা ভারতের জনগণের কাছে কতোটা পরিষ্কার? ভারতীয় মিডিয়া এ ব্যাপারে কতোটা ওয়াকিবহাল? এ ব্যাপারে তাদের ভূমিকা কী? রাস্ট্রের নীতিনির্ধারকদেরই বা এই ব্যাপারে মনোভাব কী? দুষ্টু, অবাধ্য বিএসএফ'কেই লালন করা নাকি গড়িয়ে-পিটিয়ে মানুষ বানানো?



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আপনার বারংবার "রাষ্ট্রনীতি নয়" তত্ত্বটা একটু ডিবাঙ্ক করি। এর জন্যে আপনার ব্যবহার করা একটা উদাহরণই কাজে লাগাই। বিডিআর বিদ্রোহ রাষ্ট্রনীতি নয়। বটেই। কিন্তু এটা বার বার ঘটছে না। একবার ঘটেছে। রাষ্ট্র এর জন্যে উঠেপড়ে লেগে প্রতিকারের ব্যবস্থা করেছে। ফলত রাষ্ট্র এই বিদ্রোহের বিপক্ষে পরিষ্কার করে তার অবস্থান ব্যক্ত করেছে। অতএব, বিডিআর বিদ্রোহ অবশ্যই বাংলাদেশের রাষ্ট্রনীতির অংশ নয়।

কিন্তু বিএসএফ প্রসঙ্গে এলে দেখা যায় তারা যুগ যুগ ধরে সীমান্তে হত্যা করছে। ভারত রাষ্ট্র এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে? বহু বহু দিন ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে বিএসএফের আচরণই ভারতের ডি ফ্যাক্টো রাষ্ট্রনীতিতে পরিণত হয়েছে বললে মনে হয় খুব ভুল বলা হবে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্যবসায় আমি কোনো সমস্যা দেখিনা। ভারত তার স্বার্থেই ব্যবসা করবে। বাংলাদেশও। যেটা ভাল তা হল দুই দেশই সীমান্তে বাজার সম্প্রসারণ করতে পারে, এতে দুই দেশেরই লাভ হয় আর সীমান্তও "ঠান্ডা" থাকে।

এইটা হল কথার কথা। আসল কথা হল, যখন একজন বেশি খাইতে চায় তখন কি হয়? তখন একজন ট্রিগার বেশি পছন্দ করে আরেকজন গুলি। তারপরও কথা না শুনলে নাদিম মহাজনের ঝাড়ি।

উইকিলিক্সে "ফাঁস" হলেও ব্যাপার গুলা আমরা সবসময় জানি, বুঝি। তবে শুধু ওতটকুই। কাজের কাজ কিছু হচ্ছেনা।

অনন্ত

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ঠিক। আর তাছাড়া কূটনীতিক মন্তব্য আর রাষ্ট্রীয় নীতি কখনোই এক না। এইটাই বুঝাইলাম।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

২ লিঙ্ক চাপার পর আর কিছু লিখতে ইচ্ছা করছে না। বৃহত্তর দাদা রাষ্ট্র ভারতের কাছে বাংলাদেশের মানুষ এখনো মানুষ হয়ে উঠতে পারেনি।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

মানুষকে মানুষ মনে কইরা সাম্রাজ্য টিকায়া রাখা যায় না। আবোলতাবোল কথা কয়েন না।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

হাসান [অতিথি] এর ছবি

উদ্ধৃতি

তখন দিল্লি তো দিল্লি, পুরা ভারতই হারেরেরে করে তেড়ে আসবে। আপনিও আসবেন।

ঠিক নয়। এরকম কোনো উদাহরণ নেই। ঘটবেও না।

আপনি আসবেন না কিন্তু ভারত সরকার যে আসবেনা এমন কোন গ্যরান্টি আপনি দিতে পারেন না।

রৌমারি ঘটনার পর অনেক ভারতীয় পার্লামেন্টারিয়ান বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন।নিউ এইজ সম্পাদক নুরুল কবির এক টকশো'তে বলেছিলেন তদানিন্তন বাংলাদেশি প্রধানন্ত্রীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ২১ বার 'স্যারি' বলতে হয়েছে।
(তথ্য প্রমান নেই আর এমন বিষয়ে তথ্য প্রমান সম্ভবও নয়। আপনি বিশ্বাস নাও করতে পারেন।)

একজন ভারতীয় বি,এস,এফ জওয়ান মারা গেলে তার প্রতিক্রিয়া কেমন হয়, এইখানে দেখুন

আর বি,এস,এফ চিফ তো বলেই দিয়েছেন those should be called deaths as the BSF did not kill by targeting anyone intentionally.

অবশ্য বি,এস,এফ চীফ রাষ্ট্রের অংশীদার নন, এইটাই বলতে পারেন।

আচ্ছা, ভারত-চীন, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে মানুষ কম তাই মরে কম।অন্য সব সীমান্ত ভারত-নেপাল, ভারত-ভুটান, ভারত-মায়ানমার, ভারত-শ্রীলংকা(ওইখানে বি,এস,এফ কিংবা তারমতো কেউ তো থাকার কথা) সবগুলোতেই কি একি হিসাব!

শালার সব দোষ বাংগালদের।কড়ায়-গন্ডায় বাচ্চা পয়দা না করলে সীমান্তে বি,এস,এফ আরেকটু প্র্যাক্টিস করতো; তাতে অযথাই এত্তো এত্তো মানুষের death ঘটতো না।

দিগন্ত এর ছবি

ভারত সরকার তেড়ে আসেনি, মিডিয়া এসেছে। এবার নিশ্চয় সরকারের অংশীদার হিসাবে মিডিয়াকে দাঁড় করাবেন না। নিউ এজ এর সম্পাদকের জানার কথা নয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কতবার সরি বলেছেন, সুতরাং তথ্য বিশ্বাসযোগ্য নয়।

ভারত-নেপাল সীমান্তে খুব অল্প কিছু বি এস এফ থাকতে পারে কিন্তু ভারত-নেপাল বর্ডার ফ্রি বর্ডার। একই রকম ভারত-ভুটান বর্ডারও। মায়ানমার বর্ডারে জনসংখ্যা চিনের মতই খুব কম। সুতরাং হিসাব এক জায়গাতেই।

চলেন তাহলে দুই দেশে প্রস্তাব তুলি বাংলাদেশ থেকে বি ডি আর আর ভারত থেকে বি এস এফ বর্ডার থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। কি মনে হয় ? দুই দেশের জনগণ রাজী হবে?


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

তিতাস
ভারতের মত শক্তিশালী প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক দেশের গণতন্ত্রের সাথে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের তুলনা চলে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্র বরাবরই দুর্বল ছিল এখনও আছে, তাই আমাদের সামরিক বাহীনির উপর কোনদিনই পূর্ণ নিয়ন্ত্রন ছিল না, আজও নেই। যার জন্য আমাদের অনেকবার সামরিক শাসনের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
কিন্তু সফল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের তার সশস্র বাহীনিগুলোর উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রন আছে বলেই আমার বিশ্বাস। যার ফলশ্রুতিতে তারা বিরতিহীন গণতন্ত্রের শাসন উপভোগ করেছে।
তাই এখন যদি কেউ বলে যে, ভারতীয় সীমান্ত বাহীনি বি, এস, এফ, এর উপর ভারত সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন নেই, তবে তা হবে নিতান্তই গাঁজাখুড়ি গল্প বা শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেস্টা। আমি বিশ্বাস করি আজকে যদি ভারত সরকার কঠোরভাবে সীমান্তে নীরস্ত্র নীরপরাধ বাঙ্গালী হত্যা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় কাল থেকেই তা বি, এস, এফ মানতে বাধ্য।
কিন্তু তা বাস্তবে সম্ভব হচ্ছে না, কারন একটাই হতে পারে যে এতে ভারত সরকারের অলিখিত/ উহ্য অনুমোদন রয়েছে। আর এই বিষয়টি বুঝার জন্য মহা পণ্ডিত হবার দরকার নেই।
পক্ষান্তরে, স্বধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি খুবই দুর্বল। আর বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এই পদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তাছাড়া আমাদের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের এক দল একটু বেশিই ভারত প্রেমী আর আরেকদল একেবারে ভারত বিমুখী।

আজ ভারত ট্রানজিটসহ আরও কিছু সুবিধা নেবার জন্য বাংলাদেশের সাথে চুক্তি করেছে, অথচ আমরা আমাদের ন্যায্য প্রাপ্যটুকু আদায় করতে পারছি না। এ ব্যার্থতা আমাদের পররাষ্ট্রনীতির। আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ বুঝি না, বুঝি ব্যাক্তিগত স্বার্থ। তাই অন্যকে দোষ দিয়ে কী করব।
অন্যরা ছোট করার আগে আমরা নিজেরাই নিজেদের ছোট করি, ব্রিটিশ আমল থেকে আয়ত্ত করা সেই চাটুকারিতা ও দাসবৃত্তির অভ্যাস আজও আমরা ত্যাগ করতে পারি নাই।
কিছুদিন আগে শাহরুখ খানকে নিয়ে মাতামাতি তারই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
যতদিন না আমরা জাতি হিসেবে নিজেদের শ্রদ্ধা করতে শিখতে পারব ততদিন আমাদের এসব অত্যাচার সহ্য করতে হবে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

তাই এখন যদি কেউ বলে যে, ভারতীয় সীমান্ত বাহীনি বি, এস, এফ, এর উপর ভারত সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন নেই, তবে তা হবে নিতান্তই গাঁজাখুড়ি গল্প বা শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেস্টা।
এই ব্যাপারটা হলো অনেকটা ঐরকম, এক পোলা বাপ-মা'র আষ্কারা পেয়ে এখন অমুকের বাড়ির মুরগীটা, ছাগলটা ধরে নিয়ে হাটে বিক্রি করে দেয়, সেই টাকায় বাপ-মা'র জন্য পান্তামুক কিনে আনে। এখন গ্রামবাসী বাপ-মা'র কাছে পোলার নামে নালিশ করলে বাপ-মা মুখ পুছে বলে, "বাপু, এই পোলা তো বখে গেছে। এই পোলা আমাদের না। আমরা পোলারে ত্যাজ্য করে দিছি!" কিন্তু গ্রামবাসী চলে গেলেই পোলাকে ডেকে নিয়ে শিং মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খাইয়ে আবার প্রতিবেশীর বাড়িতে অভিযানে পাঠায়!

আর ভারত প্রেম বা বিমুখতার তো দরকার নেই আমাদের। আমরা চাই আমাদের পরপরাস্ট্রনীতি মিনমিনে স্বর ভুলে গিয়ে গলা খাঁকারি দিয়ে কিছু বলুক। ক্ষমতায় গিয়ে ভারত তোষামোদ আর বিরোধী দলে গিয়ে সার্বভৌমত্ব গেলো বলে চিৎকার না করে সাফ সাফ কিছু কথা বলতে শেখা উচিৎ। এভাবে বলতে না পারলে কতো জনেই আউল ফাউল কতো কিছু শুনিয়ে যাবে এসে, যেমনটা এখন শুনতে হয়!



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার সুন্দর বিশ্লেষণের জন্য ধন্যবাদ। ব্যাপারটা আসলেই এরকম।কিন্তু শুধু আমদের মত গুটিকয়েকজন বুঝলে কি হবে বলেন।যাদের বুঝা দরকার সেই রাষ্ট্রনায়কেরা তো এখনও ইচ্ছে করে ঘুমিয়ে আছে। উনারা সুন্দর স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে না, দেখে শুধু নিজেদের ভবিষ্যত।

তিতাস

কালো কাক এর ছবি

"তাই এখন যদি কেউ বলে যে, ভারতীয় সীমান্ত বাহীনি বি, এস, এফ, এর উপর ভারত সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন নেই, তবে তা হবে নিতান্তই গাঁজাখুড়ি গল্প বা শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেস্টা। আমি বিশ্বাস করি আজকে যদি ভারত সরকার কঠোরভাবে সীমান্তে নীরস্ত্র নীরপরাধ বাঙ্গালী হত্যা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় কাল থেকেই তা বি, এস, এফ মানতে বাধ্য। কিন্তু তা বাস্তবে সম্ভব হচ্ছে না, কারন একটাই হতে পারে যে এতে ভারত সরকারের অলিখিত/ উহ্য অনুমোদন রয়েছে। আর এই বিষয়টি বুঝার জন্য মহা পণ্ডিত হবার দরকার নেই।"
চলুক সেটাই।
একটা দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপর রাষ্ট্রের নিয়ন্তণ নাই এই কথাটা বলা কতটুকু যৌক্তিক ?

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ তিতাস, আপনার মন্তব্যের জন্য। কিন্তু আমাদের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের এক দল একটু বেশিই ভারত প্রেমী আর আরেকদল একেবারে ভারত বিমুখী। আপনার এই কথাটা অতিসরলীকরণ। বাংলাদেশে কোনো দলই 'একেবারে' ভারত বিমুখী নয়। অন্তত মুখে যারা ভারতবিরোধিতার কথা বলে, তারাও না। পাকিস্তানপ্রেম = ভারতবিরোধিতা না। এছাড়া ভারতপ্রেম আর পাকিস্তানপ্রেমও পুরাপুরি এক জিনিস না।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

সড়কপথে কয়েকবার ইনডিয়া যাওয়ার দূর্ভাগ্য হয়েছে। সীমান্ত পার হওয়ার পর মাঝে মাঝে বিএসএফ গাড়ি থামিয়ে তল্লাসীর নামে যে তুই-তুকারি আলাপ করে তা খুবই অপমানজনক। একবার আমার পকেট সার্চ করতে যেয়ে নুনুতে হাত দিয়েছিলো।

======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বেশ ভালোই তো চলেছিলো এখানে বিএসএফ এর সাফাই গাওয়া। সীমান্তের কাঁটাতারে যখন বাংলাদেশের ফালানীর লাশ ঝুলে থাকে, আর এই দুই দিন আগে যখন ভারতেরই টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয় সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশীর পুরুষাঙ্গে বিএসএফ এর পেট্রোল ঢেলে দেয়ার ঘটনা, তখন খুব জানতে ইচ্ছে করে যে/যারা এই পোস্টেই বিএসএফ-এর হাতে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যার পক্ষ নিতে গিয়ে 'রাস্ট্রের নিয়ন্ত্রণ নেই', 'নো-ম্যানস ল্যান্ডে পাসপোর্ট নিয়ে ঘোরা', 'দুই দেশের বর্ডারই উঠায়া দেয়া হোক' প্রভৃতি বেশ চমকদার যুক্তির অবতাড়না করেছিলেন, তারা এখন কীভাবে দেখছেন রাস্ট্রের অবাধ্য, দুষ্টু বিএসএফ'কে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।