সপ্তসপ্ততিতমে বর্ষে সপ্তমে মাসে সপ্তমী/ রাত্রিভীমরথী নাম নরাণাংদুরতিক্রমা ... সপ্তসপ্ততিতম বৎসরের সপ্তম মাসের সপ্তম দিবসের রাত্রি ভীষণ, কারণ, ইহা দুরতিক্রম, অর্থাৎ সাধারণে এরূপ দীর্ঘজীবী হয় না। ভীমরথী থেকে ভীমরতি।
বৃদ্ধ পুরুষের চিত্তবৈকল্যের একটা কারণ এই বাংলা বাগধারায় আছে - তিনি সাতাত্তর বছর সাত মাস সাত দিনের তক্তা ডিঙিয়েছেন। বাগধারা যদি ঢালাওভাবে নির্দিষ্ট বয়সের লোকের প্রতি নিষ্ঠুর হয়ে থাকে সে দায় বর্তমান লেখকের না। কিন্তু আনন্দেই হোক, বা বার্ধক্যের দানে, এরূপ লোক আচরণ ও ভাষার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। লোকমানসে এই নিয়ন্ত্রণহীনতা পরিহাস্যকর যৌন ব্যর্থতা দ্বারা সংজ্ঞায়িত।
আমাদের জাতীয় সাহিত্যের লোকপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ ভীমরতিপ্রাপ্ত হয়েছেন।
[২]
কিছুটা ইতিহাস টানা যাক।
গত শতকে আমাদের জাতীয় জীবনে একটা দীর্ঘ অরাজনৈতিক কাল অতিবাহিত হয়। অরাজনৈতিক অন্তত এই অর্থে যে আমাদের (মধ্যবিত্তের) সামষ্টিক চেতনাকে অরাজনৈতিক করে তোলার চেষ্টায় রাষ্ট্রনিয়ন্তাদের কোনো ত্রুটি ছিল না। হুমায়ূন এই সময়কার প্রতিভাধর লেখক - তিনি তাঁর লেখায় মধ্যশ্রেণীর অরাজনৈতিক কল্পজগতকে অটুট রাখার কাজ একমনে করে গেছেন বলে মনে করি। সে আলোচনা এখানে নয়।
গতশতকে আমরা যারা মধ্যশ্রেণী ছিলাম, নতুন শতকে তাদের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটেছে। আমরা উচ্চমধ্যবিত্তে রূপান্তরিত হই। হুমায়ূন এই সময়টায় ধীরে ধীরে লোপ পেতে থাকেন, যদিও নতুন আরেকটি মধ্যশ্রেণী, আগের মতো না হলেও, হুমায়ূনের গদ্যকৃতি ক্রয় করে যেতে থাকে। পাশাপাশি, হুমায়ূন নতুন ব্যবসায় ধরেন - আত্মনাম বিক্রয়ের। হুমায়ূনের নাম, লোকস্মৃতি বা পাবলিক মেমরিতে আজও কম্পনের জন্ম দেয়। আরো কিছুকালে দেবে, সন্দেহ নাই। হুমায়ূনের এই স্বনাম বিক্রয়ের সপাট উদাহরণ হাতের কাছেই আছে, তার সাম্প্রতিক উপন্যাস ‘বাদশাহ নামদার’, যার কেন্দ্রীয় চরিত্র মোগল সম্রাট হুমায়ুন। এই বইয়ের ভূমিকা দ্রষ্টব্য। এখানে বাহুল্য।
[৩]
এবছর ৬ই এপ্রিল হুমায়ূনের একই লেখা ঢাকার কয়েকটা সংবাদপত্রে একযোগে বের হয়। ‘অদৃশ্য মানবের বর্ষবরণ’ নামের ঐ লেখায় তিনি লিখেছেন, বর্ষবরণ ও ছায়ানটের অনুষ্ঠান সমার্থক। কিন্তু ‘মজার ব্যাপার’ তিনি তার দীর্ঘজীবনে রমনা বটমূলের অনুষ্ঠানে যান নাই। কারণ ‘কিছু কিছু অনুষ্ঠান আমার টিভির পর্দায় দেখতে ভালো লাগে। যেমন— ক্রিকেট খেলা, বর্ষবরণ উত্সব, একুশের মধ্যরাতে শহীদ মিনারে পুষ্পদান’। এইভাবে তিনি বৈশাখে টিভিতে বটমূলের অনুষ্ঠান দেখার সুযোগে ‘অদৃশ্য মানব’ হয়ে যান। বছর দুই আগে সুইডেনে গিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। তবে সুইডেনে ‘চ্যানেল আই’ - যারা ঐ অনুষ্ঠান সরাসরি দেখায় - দেখা যায় বলে, তিনি ‘বাঙালির মূল স্রোতে’ ফেরত আসেন। এই বছর চ্যানেল আইয়ের স্ক্রলে তিনি জানতে পারেন, তাদেরকে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান প্রচারের অনুমতি দেওয়া হয় নাই। চ্যানেল আই হুমায়ূনকে জানায়, অনুষ্ঠানটা শুধুমাত্র বিটিভি প্রচার করতে পারবে।
হুমায়ূন এরপর ‘চ্যানেল আই’তে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান দেখানোর দাবিতে নানা কুযুক্তি দিতে থাকেন। তিনি লেখেন, রমনা বটমূলের অনুষ্ঠান ‘কারও ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান না’। ‘ইউরোপে যেসব বাঙালি থাকেন তারা এবার কিছু দেখবেন না? বিটিভি ওইসব দেশে নেই’। যেহেতু হুমায়ূনের ভাষায় এই অনুষ্ঠান ‘সার্বজনীন’, ইউরোপে থাকা বাঙালিদের এটা দেখার অধিকার রয়েছে। এই ‘অধিকারে’র ভিত্তিটাও দেখিয়ে দেন তিনি - টাকা। ‘ছায়ানট ভবন নামের বিশাল ভবনটি কিন্তু জনগণের টাকায় বানানো। ছায়ানটের কর্মকর্তাদের টাকায় না। জনগণের একটি বড় অংশ প্রবাসী বাঙালি। আজ তাদের কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে?’ হুমায়ূনের প্রশ্ন।
ছায়ানট ভবন কাদের টাকায় তৈরি এনিয়ে হুমায়ূনের গভীর জ্ঞানের উৎস সম্পর্কে আমার জানা নাই। তবে আমাদের দেশের অনেক জাতীয় উৎসবের লক্ষ্যই শ্রেণীতুষ্টি, এতে আমি অনেকটা একমত। তাই হুমায়ূনের দেয়া ধমকের ভিত্তি যে টাকার গরম, এতে বিস্ময় প্রকাশ করব না। কিন্তু প্রবাসীদের পক্ষে স্বউদ্যোগে এই গরম দেখিয়ে তিনি যা বলেছেন, এর প্রতিবাদ অনেক প্রবাসী করবেন বলে ধারণা করি; হুমায়ূন লিখেছেন, ‘যারা বিদেশে থাকেন তাদের প্রকৃতি চিলের মতো। চিল আকাশে উড়ে, তার দৃষ্টি থাকে মাটিতে।' চিলরূপ শিকারীচরিত্রের ‘প্রবাসী’দের পক্ষে, চ্যানেল আইতে বর্ষবরণ দেখানোর আবদেন জানিয়ে তিনি তার লেখা শেষ করেন রবীন্দ্রনাথকে টেনে এনে। ‘[প্রবাসীদের] দুঃখবোধ কি ছায়ানটের কর্মকর্তাদের স্পর্শ করবে? তাঁরা গভীর আবেগে গাইবেন - “তোমায় আমায় মিলন হলে সকলই যায় খুলে/ বিশ্বসাগর ঢেউ খেলায়ে উঠে তখন দুলে।” ... গানের বাণী তাঁরা বিশ্বাস করেন কি? তাদের চেতনায় কি ‘বিশ্বসাগর’ আছে? ইংরেজিতে বলি, I doubt।’
ছায়ানটের চেতনায় বিশ্বসাগর আছে কি না জানি না, তবে অন্য অজস্র সামাজিক বিপর্যয়ে দীর্ঘকাল নীরব হুমায়ূনের এই আকস্মিক ব্যকুলতা, একাধিক প্রত্রিকায় একযোগে প্রবন্ধ ছাপানো, ইঙ্গিত দেয়, হুমায়ূনের চেতনাকে সাগর [চ্যানেল আই এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নামও সাগর, ফরিদুর রেজা] ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
চ্যানেল আই’র পক্ষে হুমায়ূনের মিথ্যাচারর জবাব ছায়ানট তাদের ৮ই এপ্রিলের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে। সেখানে বলা হয়,
‘এ বছর অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ক্ষেত্রে সরকার উদার ও বৈষম্যহীন অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং ২৮ মার্চ ২০১১ তথ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সূত্রে ছায়ানটকে জানানো হয়েছে যে, বিটিভি থেকে লিংক নিয়ে যেকোনো বেসরকারি চ্যানেল এই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করতে সমর্থ হবে। ছায়ানট সন্তোষের সাথে লক্ষ্য করেছে যে, ইতিমধ্যে এটিএন (নিউজ), দেশ টিভি, একুশে টিভি, বৈশাখী ও আরটিভি এই ব্যবস্থার অধীনে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
‘ফলে, একদিকে বিটিভির টেরেস্ট্রিয়াল সংযোগ থাকায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অগণিত সাধারণ মানুষ অনুষ্ঠানটি দেখতে পারবে, অন্যদিকে বিটিভি (ওয়ার্ল্ড) সহ বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে অসংখ্য দর্শক-শ্রোতা অনুষ্ঠানটি উপভোগ করার সুযোগ লাভ করবে। এছাড়া গত বছর থেকে ছায়ানট ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে এ অনুষ্ঠান দেখানোর ব্যবস্থা করেছে।’
স্পষ্টত চ্যানেল আই, বিটিভির লোগোসহ অনুষ্ঠানটা প্রচার করতে চায় নাই। এতে ছায়নটের অনুষ্ঠানের উপর তাদের ব্র্যান্ডের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় না। পাশাপাশি একক স্বত্ব না পাওয়ায় কোটি টাকার বিজ্ঞাপনবাণিজ্যও তাদের হাত ফসকে যায়। এই অবস্থায়, হুমায়ূনে কি বিনামূল্যে কলম ধরেছেন? নিন্দুকজন হুমায়ূনেরই ভাষায় বলবে, 'I doubt'।
[৪]
হুমায়ূনের জগত সম্পর্কে ধারণা করি। এই জগতে নাগরিক উৎসবে সশরীরে উপস্থিত হওয়া কঠিন। এই জগতে ঢাকার বর্ষবরণের মত নাগরিক বিক্ষোভের পরম্পরাযুক্ত আচারে সামিল হওয়া, শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার মতন রাষ্ট্রকৃত্য এবং স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা দেখার মতন বিনোদনের মধ্যে পার্থক্য নাই। এবং ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলের অগণিত সাধারণ মানুষ’কে বাদ দিয়ে, এই জগতে মুখ্য হয়ে ওঠে বিজ্ঞাপনবাহী, বিজ্ঞাপিত পণ্যের ক্রয়ক্ষমতাশীল মানুষেরা। এ এমন জগত যেখানে লেখকেরা কেবল অদৃশ্য মানব হয়ে উঠতে ভালবাসেন।
পুঁজির মালিকেরা মধ্য- ও উচ্চমধ্যশ্রেণীর সম্মতি আদায়ে হুমায়ূনদের পাঠায়।
[৫]
এবছর ২৮ এপ্রিল হুমায়ূন আবার আসেন। এবারের লেখার শিরোনাম ‘অধ্যাপক ইউনূস’, ছাপা হয় প্রথম আলোতে।
লেখার শুরুর অংশ:
‘একটি দৈনিক পত্রিকা অধ্যাপক ইউনূসকে নিয়ে প্রথম পাতায় কার্টুন ছেপেছে। সেখানে তিনি হাসিমুখে রোগাভোগা একজন মানুষের পা চেপে শূন্যে ঝুলিয়েছেন। মানুষটার মুখ থেকে ডলার পড়ছে। অধ্যাপক ইউনূস বড় একটা পাত্রে ডলার সংগ্রহ করছেন। কার্টুন দেখে কেউ কেউ হয়তো আনন্দ পেয়েছেন। আমি হয়েছি ব্যথিত ও বিস্মিত। পৃথিবী-মান্য একজন মানুষকে এভাবে অপমান করা যায় না। ছোটবেলা থেকেই আমরা শুনি—‘মানীকে মান্য করিবে।’
বাংলা সাহিত্যে বিখ্যাত দুটি পঙিক্তও আছে—
‘যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়িবাড়ি যায়
তদ্যপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।’
ইউনূস কতটা বিশ্বপুঁজির শুঁড়িবাড়িতে পড়ে থাকেন সেটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু ইউনূসকে বিনাবিচারে ‘পৃথিবী-মান্য’ বলে ফেলা এবং তিনি কারও কারও কাছে ‘মানী’ বলেই মান্য করতে হবে এমন ফতোয়ার উৎসেও পূর্বোক্ত স্পন্সরতুষ্টির ছায়াই দেখতে পাই। মানী লোক ধর্ষণ করলে হুমায়ূন ধর্ষিতাকে দোররা মেরে তাড়িয়ে দেয়ার পক্ষে মত দেবেন, এমন আশঙ্কা করি।
হুমায়ূন লিখেছেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস যখন নোবেল পুরস্কার পান, তখন আমি নাটকের একটা ছোট্ট দল নিয়ে কাঠমান্ডুর হোটেল এভারেস্টে থাকি। হোটেলের লবিতে বসে চা খাচ্ছি, হঠাৎ আমার ইউনিটের একজন চেঁচাতে চেঁচাতে ছুটে এল। সে বলছে, ‘স্যার, আমরা নোবেল পুরস্কার পেয়েছি। স্যার, আমরা নোবেল পুরস্কার পেয়েছি। দেশের বাইরে যখন সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে যাই, তখন আগের মতো হীনম্মন্যতায় ভুগি না। কারণ, এই সবুজ পাসপোর্ট অধ্যাপক ইউনূসও ব্যবহার করেন, আমাদের ক্রিকেট খেলোয়াড়েরা ব্যবহার করেন।’
হুমায়ূন, লক্ষ্যণীয়, এমনকি ভুলেও দারিদ্রদূরীকরণে ইউনূসের কথিত অবদান নিয়ে কালি খরচ করেন না। তার কাছে, ইউনূসের নোবেলজয় ব্যক্তিগত ফায়দার খবর নিয়ে আসে। এবং সম্ভবত শ্রেণীগত কারণে, ব্যক্তিগত ফায়দার উর্ধে উঠে, ইউনূসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের আইন লঙ্ঘন ও জনসম্পদ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগগুলোর দিকে মনযোগ দিতে পারেন না।
হুমায়ূন বরং আরো কিছুক্ষণ কপাল চাপড়ান, ‘একটি পত্রিকায় পড়লাম, গান্ধীজিকে নিয়ে বই লেখা হয়েছে। সেই বইয়ে যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করা হয়েছে, গান্ধীজি ছিলেন সমকামী। হায়রে কপাল!’
সমকামীতাকে অপরাধ মনে করার এই প্রতিক্রিয়াশীল মানসিকতা হুমায়ূনকে আরো স্পষ্ট করে তোলে। বদ্ধসমাজের মুনাফাখোর কাঠামোর একটা ছোট অংশই তো এই প্রতিক্রিয়াশীলতা।
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদনে অনেক অভিযোগের মধ্যে আছে '১০.৪ গ্রামীণ ব্যাংকে ঋণ আদায়ের নামে ঋণ গ্রহীতার হয়রানি করা হয়। এমনও পরিবার রয়েছে যারা গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে নিঃস্ব হয়েছে, এমনকি আত্মহত্যাও করেছেন।'
সত্য হোক মিথ্যা হোক, আমরা কেউ একবার ভুল করেও এই অভিযোগগুলো নিয়ে ভাবি না। কী দরকার? পাসপোর্টে আলফ্রেড নোবেলের ছাপ্পা নিয়ে হাসিমুখে ইমিগ্রেশনে দাঁড়াই।
বদ্ধসমাজে কেউ প্রশ্ন করে না। কেবলই মেনে নেয়।
[৬]
হুমায়ূন আমাদের পুরাতন মধ্যশ্রেণী বা নতুন উচ্চমধ্যবিত্ত এবং নতুন মধ্যশ্রেণীর মানসিকতার সাথে সঙ্গতিহীন লেখক নন।
হুমায়ূনের মতন আরো অনেক স্বনামবিক্রেতাকে আমরাই প্রতিদিন লাল গালিচা পেতে দেই। সাতাত্তর বছর সাত মাস সাত দিনের বেশি এদেরকে সহ্য করে আমরাই একেকজন হুমায়ূন হয়ে উঠি। আমরা ভুলে যাই একদিন আমাদের প্রতিভা ছিল, সম্ভাবনাও ছিল। একদিন আমরা লেখক ছিলাম, কবি ছিলাম, গান গাইতাম, উৎপাদনে ছিলাম, প্রতিবাদেও ছিলাম। এখন আমরা কেবল মানীর মান রাখা ভাড়াখাটা বরকন্দাজ ...
মন্তব্য
একটু আগেই হুমা'র লেখাটা প্রথম আলোতে পড়ছিলাম আর বিরক্তিতে ভ্রুঁ কুঞ্চিত করছিলাম। মনে হচ্ছিল কেউ না কেউ নিশ্চয়ই এই নিয়ে সচলে লিখবেন। এখন সচলে ঢুকতেই আপনার লেখাটা পেলাম!
ধন্যবাদ এই লেখাটার জন্য।
ধন্যবাদ এই লেখাটার জন্য।
যথার্থ বলেছেন!!!
এজীবন পুরোই গেলো মানীর মান রাখতে রাখতে!
অলস সময়
হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন:
লেখার এই অংশটুকুর প্রাসঙ্গিকতা বুঝতে পারি নি।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
এইটা তার স্বভাবজাত সস্তা রসিকতার উদাহরণ। পাঠককে হালকা মেজাজে রাখতে, মধ্যশ্রেণীর আবেগকে উসকে দিতে তিনি সচেতন ভাবে নিজের পরিবারকে সবসময় টেনে আনেন। এভাবে তিনি পাঠকের কাছে পুত্রবৎসল পিতা, প্রেমময় স্বামী ইত্যাদিরূপে ধরা দিতে চান।
এইটারে বাংলায় বলে বাল-খিল্যতা
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ওনার ছেলে হুমায়ূন উচ্চারণ করতে পারে তো? নাকি গুমায়ূন বলে ফেলে?
পাঠককে টেনে ধরে রাখার জন্যে উনি সব সময় কোন না কোন রসিকতার আশ্রয় নেন। এই ক্ষেত্রে রসিকতার তলানী গলায় ঠেকে পাঠক বিষম খেয়েছে।
হুমা'র ইউনুস নামা পড়ার পর একটা কথাই মনে হচ্ছিলো 'বাতিল মাল'।
অট: আমার ধারণা প্রতিক্রিয়াশীল থেকে তার অবস্থান খুব একটা দূরে নয়। যতদূর মনে পড়ে বইটার নাম হুমায়ুন আহমেদ: ঘরে বাইরে হাজারো প্রশ্ন। সেখানে তিনি রাজাকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন যে তাদের অপরাধের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে!
তারমানে রাজাকারদের কৃতকর্ম বিচার ব্যবস্থার সম্মুখীন করার মত কোন অপরাধ নয়; মৌখিকভাবে ক্ষমা চাইলেই হলো!!
love the life you live. live the life you love.
চমৎকার! আমি লিখবো ভাবছিলাম।
আরেকটা ব্যাপার। ডঃ হুমায়ূনের লোকদেখানো অতি বিনয়টা আমার বিরক্ত লাগে। যেমন:
একে অপ্রয়োজনীয় অতি বিনয়ে একজন প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক এবং চিত্রনির্মাতা নিজেকে ছোট দাবী করছেন সেই সঙ্গে ছোট করছেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে।
সেই সঙ্গে ডঃ হুমায়ূনের হোমোফোবিয়া সম্পর্কেও খানিকটা আঁচ পাওয়া গ্যালো।
আমি বুঝিনা সমাজে কাউকে কেন প্রশ্নের উর্দ্ধ্বে রাখা হবে? ডঃ ইউনুসের বিরুদ্ধে ক্রমাগত যে সমস্ত এভিডেন্স আসছে সেগুলোর জবাব না দিয়ে তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা জল ঘোলা করছেন কেনো আমার জানা নেই।
আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে, ১৮ জুলাই, ২০০৮ তারিখে সমকাল পত্রিকায় হুমায়ূন আহমেদের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিলো [সূত্র]। মানীর মান নিয়ে চিন্তিত এই সাবেক লেখক ও বর্তমান চলচ্চিত্রনির্মাতা নানা আমোদপ্রদ কথা বলেছিলেন সুইডেন থেকে।
যেমন,
হুমায়ূন সাহেব, মৌলবাদীরা খোদ আপনাকে কতবার মুরতাদ বলেছে, আপনি আপনার মূল্যবান মস্তকটিকে স্বেদভারাক্রান্ত করেননি, আর ইউনূসের একটা কার্টুন দেখেই আপনার আর্টিকেল লেখার চ্যাত উঠে গেলো?
আপনি একটা "কুৎসিত" লেখার কারণে একজন লেখক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনারই সহকর্মীর নির্মমভাবে আক্রান্ত হওয়াকে জাস্টিফাই করতে পারলেন, আর ইউনূসের নামে একটা কার্টুন দেখে আপনি আর্টিকেল ফেঁদে বসলেন?
জাহানারা ইমাম দেশদ্রোহিতার মামলা মাথায় নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, এ কথা আপনারই অনুজ জাফর ইকবাল বহুবার পত্রিকায় লিখেছেন, তাহলে ভুল ইনফরমেশনটা কে দিচ্ছে, আপনি না জাফর ইকবাল সাহেব?
হুমায়ুন আজাদের কারণে বিদেশে আপনার সবুজ পাসপোর্টের মান বাড়েনি বলেই কি তাকে চাপাতি দিয়ে কোপানো জাস্টিফাই করেছিলেন? জাহানারা ইমামের কারণে বিদেশে আপনার মাথা উঁচু হয়নি বলেই কি তার ওপর রাষ্ট্রযন্ত্রের নিবর্তনকে এরকম নির্জলা মিথ্যা বলে ঢাকতে চাইলেন? আপনার মাথা উঁচু করেছে কেবল দুলা মিয়া সওদাগরের ছেলে ইউনূস?
আপনাকে আরো প্রশ্ন করা হয়েছিলো,
তো জনাব, ইন্ডিয়াতেও মানী লোককে নিয়ে কার্টুন করা হয়, আমেরিকাতেও করা হয়, সারা দুনিয়াতেই করা হয়, বাংলাদেশে কার্টুন কার্টুন করে চিৎকার করে তাহলে কী লাভ?
হুমায়ূন আহমেদ সাহেব, আপনার গড় পাঠকদের স্মৃতিশক্তি কম। ইন্টারনেটের স্মৃতিশক্তি প্রায় অসীম। তাই তিন বছর আগে খোদ আপনিই কী বলেছিলেন, সেটা সে মনে রাখে। একটু আয়নার দিকে মাঝেমধ্যে তাকান, একটু লজ্জিত হোন। ভাঁড়েরাও একটা সময় গিয়ে অবসর নেয়।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
তার পুরো লেখাটিই বিরক্তিকর ছিল, বিশেষ করে সমকামীদের প্রতি তার মানসিকতা দেখে আরো বিরক্ত হয়েছি। আর হাসিনা/খালেদা থেকে শুরু করে সবারই কার্টুন হয়, কিন্তু ইউনূসকে নিয়ে হলে কান্নাকাটি। হায়রে কপাল! কই যাই!
লেখাটা ভালো লাগলো না। প্রত্যেকটা যুক্তির উত্তর দেয়া সম্ভব; সেই দিকে আপাতত না যাই। মানুষের সমালোচনা করার চেয়ে ভালো কাজে মন দেন। সময়টা শুধু শুধু নষ্ট করলাম
উত্তর যখন দেয়া সম্ভব তখন না দিয়ে পিছলে গেলেন ক্যানো!!
একটা সমাজে যখন সমালোচনার সুযোগ বন্ধ করে পিঠ চাপড়া চাপড়ি বেশী চালু হয়ে যায় তখনই গ্রামীনের মতো ঘটনাগুলো ঘটে। আমাদের বরং আরো বেশী করে যুক্তিসিদ্ধ আলোচনা এবং সমালোচনা চালাতে হবে। তাহলেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।
‘আমাদের বরং আরো বেশী করে যুক্তিসিদ্ধ আলোচনা এবং সমালোচনা চালাতে হবে। তাহলেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।‘ –সহমত।কিন্তু এই লেখাটিতে যুক্তিসিদ্ধ আলোচনার চাইতে ছিদ্রান্নেষণের প্রবনতাই বরং বেশি চোখে বেশি লাগলো!
অনেকের মত আমিও চাই যুক্তিসিদ্ধ আলোচনা শুরু হোক। সেই আলোচনা অনেকেই করেছেন, আপনি শুরু করতে পারেন।
কিন্তু আলোচনায় যখন উঠে আসে নোবেল, আলোচনা থেকে হারিয়ে যায় গ্রামীন জনপদে নারীর ক্ষমতায়নের নামে বিবাহ বিচ্ছেদ, আত্মহত্যা, শহুরের স্বস্তা শ্রমিক হিসেবে শ্রমদাসে রুপান্তর, স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়া তখন কিন্তু আলোচনা যুক্তিসিদ্ধ নামে ফসকে, পালিয়ে যান অনেকে।
আমি বিষয়টি দলীয় রাজনীতির বাইরে এ্যাকাডেমিক আসপেক্ট থেকে বুঝতে চাই যে, গ্রামীন জনপদে যদি বনিক পুজি প্রবেশ করে যেমনটি করেছে গ্রামীন ব্যাংকের হয়ে, সেই পুজি যদি পুরানো উতপাদন সম্পর্ক এবং পুরাতন উতপাদন ব্যবস্থা জিইয়ে রেখে শুধুমাত্র সুদে কারবারিতে টাকা বিনিয়োগ করে তাহলে তার ফল কি দাড়ায়।
সব ক্ষোভ ভুলে আসুন, এই বিষয়টি একটু তথ্য দিয়ে ব্যাখ্যা করি। ব্যাখ্যা পছন্দ না হলে তখন নিজেরাই আবার ফিল্ডে গিয়ে তথ্য আনা যাবে।
তুহিন আপনার সাথে একমত ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপা কি লঞ্চে উঠসেন কখনো? লঞ্চ ছাড়ার আগে কিন্তু নিয়মিত ছিদ্রাণ্বেষণ করার নিয়ম। এমনকি লঞ্চ চালানোর সময়ও।
ঠিক । আমারও তাই মনে হয়েছে। কোন লেখা বা বক্তবের শুধু ১ টি বা ২ টি দুটি লাইন দিয়ে রেফারেন্স টানলে অনেক কথার ই উল্টা অর্থ বের করা যাবে।
একজন লেখকের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা থাকে। খুব স্বাভাবিক যে তা অন্য কারো সাথে পুরোপুরি মিলবে না। এই লেখাটা পছন্দ না করার প্রধান কারণ হচ্ছে, লেখক ইউনুস বিষয়ে যে লেখার সমালোচনা করতে চেয়েছেন, তা করতে গিয়ে ব্যক্তি হুমায়ুনকে আক্রমণ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তার বয়স, তার সাথে ভীমরতি ইত্যাদি বিষয়ের অবতারনা করেছেন। অস্বীকার করবার উপায় নেই যে ইউনুস বিশ্ব বরেণ্য লোক; তার কাজ, কাজের ধরণ, সাফল্য ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনা হতে পারে; কিন্তু সরকার যে প্রক্রিয়ায় তাকে সরিয়ে দিয়েছে, তা খুব একটা শোভন নয়। হুমায়ুনের লেখাটার মূল বিষয় আমার কাছে সেটাই মনে হয়েছে। এটা অনেকের ভালো লাগতে পারে,অনেকের ভালো নাও লাগতে পারে; কিন্তু তার জন্য উনি হুমায়ুন কবে কখন কোন বিষয়ের পক্ষে বিপক্ষে বলেছেন, উনি ভীমরতিপ্রাপ্ত কিনা সেটা অবতারনা করা খুব এ অশোভন।
ইউনূস যে প্রক্রিয়ায় বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও গদি আঁকড়ে পড়েছিলেন, সেটা কি খুব শোভন ছিলো? আর এই পোস্টটা, যা বুঝতে পারলাম, হুমায়ূনের ইউনূসবন্দনা নিয়ে নয়, বরং হুমায়ূন কবে কোন বিষয়ের পক্ষে বিপক্ষে বলেছেন, তা নিয়েই, ইউনূস যার একটা অংশমাত্র।
বিল ক্লিনটনও একজন বিশ্ববরেণ্য লোক ছিলেন। তাকে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার অপরাধে খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংসদেই অভিশংসনের মুখে পড়তে হয়েছিলো। এখন আপনার কাছে এটা অশোভন হতে পারে, বরং মনিকা লিউয়িনস্কির মুখে ক্লিনটনের শিশ্ন গুঁজে দেয়াটাকে শোভন মনে হতে পারে, কিন্তু মার্কিন কংগ্রেসম্যানরা কেন যেন শোভনতার চেয়ে আইনকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলো। ইউনূসের ক্ষেত্রেও হয়তো তা-ই ঘটেছে।
আইনের দোহাই বাংলাদেশে দেয়াটা খুবই ভালো একটা পদ্ধতি। আমরা তো জুতার মাপে আইন তৈরি করে নেয়া জাতি; ইচ্ছা হলো প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার করলাম, ইচ্ছা হলো বাকশাল করলাম, নিজের দরকারে একসাথে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক প্রশাসক থাকার আইনও পাস করে নিলাম, কিংবা ধরেন প্রধান বিচারপতির বয়স ২ বছর বাড়ায় দিলাম ... ।
এই জুতা শুধু আমাদের দেশে হয়, আম্রিকাতে না। ক্লিন্টন অভিসংসনের মুখে পরেছিলেন, অভিসংসিত হন নাই। কারন কার মুখে শিশ্ন গুজে দেয়া যাবে সেটা সেখানে অনেক আগে মিমাংশিত বিষয়।
ইউনুসের বয়সের ব্যপারটা বোর্ড অনুমোদিত ছিলো; হয়তো সেটা আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত ছিলো না , কিছু একটা বাদ পরে গেছিলো (যদিও আমি নিশ্চিত সরকার ও বিচারপতি পরিবর্তন হলে কোর্টের এই ব্যখ্যার পরিবর্তন হবে; কারন সেই জুতা !!)।
এইখানে সরকার নিজের পায়ের মাপে জুতা বানানোর মোক্ষম সুযোগ পেয়ে গেছে। সুতরাং এখন ইউনুসের নোবেল ফেরত নিয়ে সন্ত লারমা আর হাসিনা আপার গলায় দেয়া হোক। সরকারের সমস্যার সমাধান হবে। আর আপনারাও তখন প্রমাণ করতে পারবেন রক্তচোষা ইউনুস গরীবের শত্রু ছিলো। সুতরাং গ্রামীণ ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দেয়ার নতুন আন্দোলনে নামতে পারবেন। সরকার থাকতে থাকতে যদি সফল হন, তাইলে আপনাদের থিওরি প্রমান করার জন্য নতুন কোনো কখগ ব্যাঙ্কের অনুমোদন আবশ্যি পাবেন। দেশ থেকে দারিদ্রও দূর হলো, অতপর সবাই সুখে শান্তিতে থাকতে লাগলো। হুমায়ুনেরও আর কিছু লেখার দরকার পরলো না।
শান্তি!! শান্তি !!! শান্তি !!!
আইন নিয়ে আপনার দুঃখটা বুঝতে পারছি। আজকে যদি আইনের বলে ইউনূস গদি ফিরে পেতেন, আপনিই হতেন আইনের সবচেয়ে বড় সমর্থক। সমস্যা হচ্ছে, এখানে যে আইনটা আলোচ্য, গ্রামীণ ব্যাঙ্ক অধ্যাদেশ ১৯৮৩, ই্উনূসের যাবতীয় কীর্তি ও সাফল্যের এটাই ভিত্তি। এই একই আইনের বলে তিনি বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ায় গদিচ্যুত হয়েছেন। আর জুতার মাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরো কড়া সব আইন হয়, আপনি জানেন না দেখে হয়তো ত্যানা প্যাঁচাচ্ছেন। ক্লিনটন অভিশংসনের মুখে পড়েছিলেন, অভিশংসিত হন নাই দেখে কি ব্যাপারটা আবার শোভন হয়ে গিয়েছিলো? সারা দুনিয়ার সামনে তো মিথ্যা কথা বলার জন্য মাফ চাইতে হয়েছিলো, সেইটা কি শোভনতার অনুকূলে যায়?
আপনি ঠিকই ধরেছেন, আইনি প্রক্রিয়ায় ত্রুটিমুক্ত ছিলো না দেখেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেইসাথে তদন্তে ইউনূস সাহেবের অনেক অশোভন কীর্তির কথা বেরিয়ে এসেছে। আপনি একটু এগুলো পড়ে দেখেন, যদি মনে করেন, এগুলোতে ভুল আছে, তাহলে ভুলগুলি আমাদের ধরিয়ে দিন।
ইউনূস গরীবের শত্রু, এটা প্রমাণের চেষ্টা আসলে আমাদের কেউই করছে না। আমাদের কয়েকজন বলছে, ইউনূস গরীবের বন্ধু নন। গরীব আর গরীবি ওনার সাইনবোর্ডমাত্র।
আর নোবেল নিয়েও আমাদের তেমন একটা মাথাব্যথা নাই বলেই জানি। বারাক ওবামাও তো শান্তিতে নোবেল পেয়েছে, তাই না? কাজেই ইউনূসও পেতে পারেন। আপনিও তিনবার শান্তি বলার কারণে নোবেল পেতে পারেন। ইউনূস সাহেবকে প্রয়োজনে এবার অর্থনীতি বা সাহিত্যেও নোবেল দেয়া হোক, জোর দাবি জানাই।
রিপোর্টের কোন কোন অংশ ভুল সেটা পরবর্তি সরকারের যে নতুন কমিটি গঠন করা হবে, সেই রিপোর্ট থেকে যেনে নিতে পারবেন। কিছুদিন অপেক্ষা করেন শুধু। রোকন উদ্দিন মাহমুদ শুনানির সময় বলেছিলেন, "আপনাদের শুনানি করতে সমস্যা থাকলে বলে দিন, আমরা অন্য কোর্টে যাই। আমারো সমস্যা আছে, তারপরেও শুনানি করছি।" রোকন উদ্দিনের রঙ লীগ বলেই জানতাম। আর এখন কোর্টের বিচারক হতে কি যোগ্যতা লাগে সেটা কয়েক দিন পরপরই পত্রিকার পাতায় পাবেন। বিদেশে থেকে দেশের কোনো ছোটো খবর পেলেও সেটা নিয়ে সবার সাথে গর্ব করতে চাই। তাই যখন দেখি সরকার তার সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে একজনের চরিত্র হনন করতে
চায় তখন ব্যপারটা কোনোভাবেই স্বাভাবিক বলে মনে করতে পারি না।
আপনাদের ভবিষ্যৎ আসলে অনেক উজ্জল। যেভাবে সবাইকে নোবেল দিচ্ছেন, হাসিনা আপার সাগরেদরা আপনাদেরই খুজছে, চোখে পরতে খালি বাকি !! চালায় যান, সবাইকে দেয়ার আগে, নিজেরা নোবেল নিতে ভুলেন না কিন্তু !!!
তার মানে, পরবর্তী সরকার না আসা পর্যন্ত এই রিপোর্ট সঠিক ? নাকি ভুলগুলি কী সেইটা না বুঝেই কথা বলছেন? আর আইন-মামলা এ নিয়ে আপনার ধারণা দেখে আপনার জন্য মায়া লাগছে। রোকনউদ্দিন মাহমুদ যখন কোর্টে ক্লায়েন্টকে ডিফেন্ড করে, তখন সে উকিল। আরেক কেসেই হয়তো উনি ইউনূসের বিরুদ্ধে লড়তে পারেন, তাই না? ইউনূস তো চাইলে সাহারা খাতুন বা ফজলে নূর তাপসকেও তার উকিল নিয়োগ করতে পারতেন, তারা যথাক্রমে লীগের মন্ত্রী আর এমপি হওয়া সত্ত্বেও। এ্ই সরকারের আমলেই তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলকে কোর্টে পেয়েছে। আপনি আইন, মামলা, আদালত, বিচারক, এগুলো নিয়ে কোনো শিক্ষিত মুরুব্বিকে জিজ্ঞেস করে ব্যাপারগুলো পরিষ্কারভাবে বুঝে রাখেন, নাহলে কোথাও দাওয়াত-টাওয়াত খেতে গিয়ে বাই চান্স শিক্ষিত লোকের আড্ডায় মুখ খুললে বেহুদা অপমানিত হবেন।
আপনি আসলে চান, ইউনূস যতই খারাপ কাজ করুন না কেন, সেগুলি নিয়ে যেন কথাবার্তা না উঠে। কথাবার্তা উঠলেই সেগুলি চরিত্রহনন বলে চালায় দিবেন। এটা তো সাকা চৌধুরীর মেয়েও বলে, যে তার বাপের চরিত্র হনন করা হচ্ছে। কালা জাহাঙ্গীরও বলতে পারে। সেই হিসাবে বাংলাদেশের দৈনিকে প্রত্যেকদিনই মানুষের চরিত্রহনন চলছে। পেপারগুলি তাহলে বন্ধ করে দেয়া হৌক, কী বলেন?
বিদেশে থেকে এক ইউনূসকে বেচে তো বেশিদিন গর্ব করতে পারবেন না। একটু কমনসেন্স গ্রো করেন, দেখবেন কমনসেন্সের জন্যই বিদেশীরা আপনাকে শ্রদ্ধা করবে। ব্রাজিলের কেউ তো নোবেল পায় নাই এখনো, ব্রাজিলিয়ানরা কি গর্ব না করেই বিদেশে চলছে?
আপনারে দেখি আমি কিছুই বুঝাইতে পারি নাই। হুমায়ূনের ভীমরতিপ্রাপ্তি উনার বয়সের জন্য হয় নাই। হইছে উনার ছ্যাবলামির সীমা লঙ্ঘনের জন্য। ভীমরতি-র একটা অতিপুরাতন প্রতীকি মানে বুঝাইতে গেছিলাম। এবং লেখার শেষেও বলছি, সকলে মিলা কারো ছ্যাবলামি সহ্য করতে করতে তারা একসময় লিমিট ছাড়ায়া যায়, এইটা তাদের বয়সের সাথে সম্পর্কিত না। শেষটা আরেকবার পড়েন। এইখানে বয়সের কথা বলি নাই, চারিত্রিক পরিবর্তনের কথা বলছি। যাই হোক, আপনারে বুঝাইতে না পারলেও, আপনার জন্য আমার পক্ষে থাইকা থাকল কিছু
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এত কষ্ট করে যখন এতটা সময় নষ্ট করেছেন তখন আর কয়েকটা মিনিট নাহয় আমাদের দেন। দুই-একটা যুক্তির উত্তর অন্তত দিন। নয়তো আপনার সময় নষ্ট করাটা তো পুরোপুরি অর্থহীন থেকে যাবে!
আর যদি আমাদের উপকারের কথা চিন্তা করেন তবে দু-একটা ভালো কাজের পরামর্শ দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
নন্দিত নরকের হুমায়ুন আহমেদ হয়তো শেষ করবেন নিন্দিত নরকে গিয়েই
তার জন্য করুণা রইলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হুমায়ুন নিজে একটা হিপোক্রেট, আর তার বস্তাপঁচা বই পড়ে কয়েকটা জেনারেশন হয়ে গেছে ব্রেইনলেস, থটলেস হিপোক্রেট।
বাংলাদেশে তারমানে হিপোক্রেটের সংখ্যা অনেএএএএএক কেননা এখনো হুমায়ুনের বইয়ের বিক্রি ভালোই আর কয়েকটা জেনারেশন ব্রেইনলেস হয়ে গেছে তার মানে কী? হুমায়ুনের বই পড়লেই থটলেস/ব্রেইনলেস হয়ে যায় নাকি? কথা কিছু বললে বুঝে শুনে বলা উচিত না?
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
আমি সম্ভবত আমার বক্তব্য বোঝাতে পারিনি। এবার পরিষ্কার ভাবে বলছি-
হুমায়ুন আহমেদের লেখনী হিন্দী সিনেমা আর সিরিয়ালের ইক্যুইভ্যালেন্ট। একই বৃত্তে বারবার ঘুরপাক খাওয়া, একই সেট, একই বর্ণনা, ইভেন নামকরণও প্রায় একই। ব্যাপক পড়াশোনার মাঝে হুমায়ুন পড়লে হয়ত ক্ষতি নেই, কিন্তু শুধুমাত্র হুমায়ুন পড়লে চিন্তাশক্তি রহিত হয়। আর আসলেই বাংলাদেশে হিপোক্রেটের সংখ্যা অনেএএএএএক। কয়েকটা জেনারেশনের সবাই হয়ত ব্রেইনলেস থটলেস হয়ে যায় নি, তবে মেজরিটি হয়েছে; চোখ কান খোলা রাখলে দেখতে পাবেন।
এক্ মত!
কথাটা পছন্দ হয়েছে। কথাটা হিন্দি সিনেমা আর সিরিয়ালের ক্ষেত্রেও একইভাবে প্রযোজ্য।
[হুমায়ুন > হুমায়ূন]
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
প্রথম অংশের সাথে একমত। দ্বিতীয় অংশের সাথে না।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হুমায়ুন* হুমায়ূন আহমেদ ফুরিয়ে গিয়েছেন। দোয়াত উপুড় করলেও কিছু বের হবে না।* বানান ভুলের জন্য লজ্জিত
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
খুবই বাজে কথা। বই পড়ে থটলেস হয়না।
খুবই ঠিক কথা। বই পড়ে থটলেস হয় না। তবে কিছু কিছু বই আছে যা পড়তে হলে ব্রেইনলেস, থটলেস হওয়া লাগে। এই দুইয়ের মধ্যে একটা নাতি-সুক্ষ পার্থক্য আছে। আমি লক্ষ্য করেছি, হুমায়ুনভক্তরা এই পার্থক্যটা ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না।
****************************************
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
অনেক আগে কলেজে থাকতে বইয়ের দোকান থেকে সতীনাথ ভাদুড়ীর 'জাগরী' উপন্যাসটা কিনতে দেখে আমার এক অন্ধ হুমায়ুন ভক্ত বন্ধু ঠোঁট বেঁকিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল, 'তুমি এইসব বই পড়ে কি মজা পাও?'। ভাবখানা এই যে, এইসব "কঠিন ,সাহিত্যের ভারে জর্জরিত" (উপরে একটা মন্তব্য দেখুন), রসকষহীন, শুষ্কং-কাষ্ঠং বইপত্র কি সুস্থ মানুষে পড়ে ! এমন টিটকিরি-মার্কা প্রশ্নের কি জবাব দিব বুঝতে না পেরে আমি পালটা প্রশ্ন করি - 'তুমি হুমায়ুন পড় কেন ?' খুশিতে বাগ বাগ হয়ে বন্ধু উত্তর দিল, "হুমায়ুনে রস আছে বলে'(সাবটেক্সটঃ 'কঠিন ,সাহিত্যের ভারে জর্জরিত' তত্ত্বকথার প্যাঁচাল নাই বলে। ক'দিন আগে টিভিতে রসতত্ত্ব নিয়ে একটা আলোচনা অনুষ্ঠানে 'রস' কথাটা শুনে ওর খুব মনে ধরেছে - এখন কথায়-কথায় রস-রস করে)। মুখে আসলেও যে কথাটা ওর মুখের উপর বলতে পারিনি তখন, সেটা এখন মনে পড়ছে - ঘাস আর কাঠাল পাতাতেও 'রস' আছে, আবার মধু বা ল্যাংড়া আমেও রস আছে। কে কোন রস বেছে নিবে সেটা সম্পূর্ণরূপে তার ব্যক্তিগত ইঙ্কলিনেশন ও 'রসবোধের' উপর নির্ভর করে। আমি আর কি বলবো। তবে কাঠালপাতা... থুক্কু হুমায়ুন চিবুতে চিবুতে কেউ যদি রবীন্দ্রনাথের সাথে হুমায়ুন আহমেদের তুলনা করে অন্যদের সাহিত্য জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেন (উপরে দেখুন), তখন বিরক্ত বোধ না করে পারা যায় না।
****************************************
একবার বইমেলায় দেখলাম এক তরুণ (২৬/২৭) বই খুঁজছে এভাবে, 'ভাই হুমায়ূন আহমেদের লেটেস্ট বই আছে?' একটা বই হাতে দেয়ার পর বললেন, 'এটাই তো লেটেস্ট না?' মানে বইটা ভালো না মন্দ সেটা বড় কথা নয়, লেটেস্ট হওয়াটাই আসল কথা।
থটলেস তারণ্যের জলজ্যান্ত উদাহরণ দেখে সেদিন মুখে কথা সরে নি।
ব্যাপার কি! কোথাকার মন্তব্য কোথায় চলে আসল। মন্তব্য করছিলাম কত নিচে, এখন দ্রুপাল না কি যেন ছোকরাটার নাম, মানীর মান রাখতে গিয়ে এটারে ঠেলে উপ্রে তুলে দিল নাকি ?
****************************************
আবরার আপনার কমেন্টটা আমার পছন্দ হৈছে ... আসলে কয়েকটা জেনারেশনের পুরাটা না, কিন্তু একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এই হুমায়ূনির শিকার।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
"বৃদ্ধ পুরুষের চিত্তবৈকল্য
হুমায়ূন নতুন ব্যবসায় ধরেন
হুমায়ূন এরপর ‘চ্যানেল আই’তে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান দেখানোর দাবিতে নানা কুযুক্তি দিতে থাকেন
হুমায়ূনের দেয়া ধমকের ভিত্তি যে টাকার গরম, এতে বিস্ময় প্রকাশ করব না।
এবং ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলের অগণিত সাধারণ মানুষ’কে বাদ দিয়ে, এই জগতে মুখ্য হয়ে ওঠে বিজ্ঞাপনবাহী, বিজ্ঞাপিত পণ্যের ক্রয়ক্ষমতাশীল মানুষেরা।
সমকামীতাকে অপরাধ মনে করার এই প্রতিক্রিয়াশীল মানসিকতা হুমায়ূনকে আরো স্পষ্ট করে তোলে।"
এই কথাগুলো এই লেখার, এটাতে আশ্চর্যের কোন ব্যাপার নাই যে হুমায়ূনকে মানী লোককে অসম্মান করার দুঃখে কলম ধরতে হয়।কেন ধরতে হয় তা উপরের লেখাটা দেখলেই বোঝা যায়।
হুমায়ুন মধ্যবিত্ত শ্রেনীর লেখক, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতিদিনকার জীবনের আবেগ অনুভূতি আর দুঃখকষ্টর জায়গাগুলোকে ভীষনভাবে ছুঁয়ে দেখার যে জায়গা সেখান থেকে তার লেখক হবার পথে যাত্রা।দীর্ঘ লেখকজীবনে তিনি এমন প্রচুর লেখা সৃষ্টি করেছেন যা মানুষের ভেতরকার সত্তাকে নাড়া দিয়েছে, মানুষের হৃদয়কে দ্রবীভূত করেছে।তার যেকোনো লেখার মাধ্যমে পাঠককে আকর্ষণ করার যে দুর্লভ ক্ষমতা, মধ্যবিত্তর আবেগকে লেখায় ফুটানোর যে অবিশ্বাস্য দক্ষতা, বিপুল জনপ্রিয়তার সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার যে সক্ষমতা এটা তার দুর্বলতা নয় এটুকু বোঝার মত ক্ষমতা আশা করি উপলব্ধি করার সামর্থ্য আপনার হবে। মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে লিখতে পারার ক্ষমতা যে সাহিত্যিক হিসেবে অক্ষমতা নয় সেটা বুঝতে হলে সাহিত্য সম্পর্কে আপনার মৌলিক ধারনাকে আরো উন্নত করতে হবে। জান্তে ইচ্ছা করছে রবীন্দ্রনাথকেও কি আপনি যাতা সাহিত্যিক ভাবেন নাকি? এরকম একজন লেখককে পুঁজিবাদের ধারক বলার আগে আপনার আরো ভাল জানা দরকার পুজিবাদ কি? আপনি পুঁজিবাদের উপরে উঠে এখন পরযন্ত কি করার সামর্থ্য দেখিয়েছেন সেটাও নিজেকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন।
ডঃইউনুস সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলাটাও বোধহয় একটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। আপনি নিজেই যেমনটি বললেন সত্যমিথ্যা যাচাইয়ের কথা, আপনি নিজে কি যাচাই করে দেখছেন নিজের দেশের একজন নোবেল লরিয়েটকে অসম্মানজনক কথা বলার আগে আপনি কতটা সত্যমিথ্যা যাচাই করেছেন?? যাকে গোটা পৃথিবীর যেকোন মানুষ সম্মান করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করে তাকে আমরা অসম্মান করে আনন্দ পাই।ইউনুস একজন গরীবমারা মানুষ এটা বলার আগে খুঁজুন কোথায় গরীব মারা গেছে আর কেন সেই গরীবরা কেবল মুখ বুজে মার খাচ্ছে??
"গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদনে অনেক অভিযোগের মধ্যে আছে '১০.৪ গ্রামীণ ব্যাংকে ঋণ আদায়ের নামে ঋণ গ্রহীতার হয়রানি করা হয়। এমনও পরিবার রয়েছে যারা গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে নিঃস্ব হয়েছে, এমনকি আত্মহত্যাও করেছেন।"
এমন এক সরকারের সময়কার রিপোর্ট আপনি দেখাচ্ছেন যেই সরকারের অন্যতম এজেন্ডা কিভাবে ইউনুসকে ভুয়া প্রমান করা যায়, আপনি নিজে কি এটা বিশ্বাসযোগ্য ভাবেন??
মানী লোককে অসম্মান করায় কোন কৃতিত্ব নেই, আর সেই লোক যদি হয় আপন দেশের তাহলে তা হয় ভীষন লজ্জাজনক কাজ।
আপনাকে আমার পক্ষ থিকা অনেক অনেক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ঠিক বলেছেন লেখক।
তবে আমরা হয়ত মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চ মধ্যবিত্ত হয়া ভাবতেছি দেশের জন্যে কত কাম করতেছি। আমার চেয়ে বেশী কেউ আর করতেছে না। কেউ যদি করে তাহলে তারা টাকা চুরির ধান্দায় আছে। ইনুচ সাহেবও টাকা চুরির ধান্দা প্রায় ৩০ বছর আগে শুরু করছিল। তবে ইদানিং দেখি সরকারও প্রাইভেট কোম্পানির এমডি খোজার দায়িত্ব নিতাছে। ভাল। ভাল।
যাক, বিটিভি কতা যখন কইলেন তখন কিছু কথায় আসি। গত ৫/৬ বছর বিটিভির মনে হইল না দেখানো দরকার, আর এই বছর থেইকা মনে হইল কেন? ভিতরের খবর জানেন নাকি কিছু? যে বিটিভি খেলার শেষ ওভারের সময় ১০টা বাজলে খেলা রাইখা খবর দেখায় সেই বিটিভি থেকে কিছু দেখতে ভালোই লাগে। আর এইটার স্বত্ত সরকার নিবে কেন? অন্য চ্যানেল গুলারে কেন দেখাইতে দিবে না? তাদের মাধ্যমে দেখাইতে হবে কেন? অনেক প্রশ্ন আসে মনে ভাইজান, অনেক।
আর একটা ব্যাপার, কোন ব্যাপার বা কোন মানুষকে আপনার পছন্দ না হইলেই তারে পাগল, ভীমরতি ধরছে এমন বলাটা কেমন হয়ে যায়, কবে দেখা যাবে, আপনারেও মানুষ এমন বলতেছে। তখন কই যাইবেন? সে তার বইয়ের নাম কি দিব সেইটাও যদি আপ্নারে/জনগনরে জিগাইতে হয় তাইলে তো আর ব্যাটার লেংটা হয়া দৌড় দেয়া ছাড়া কুনু পথ দেখি না।
আজব আমাদের মানসিকতা, গঠনমুলক সমালোচনা তো করি না, খালি অন্যকে টেনে নিচে নামাইতে চাই।
আপনি কি গ্রামীণের এমডি খোঁজার কথা বলেন? গ্রামীণ কি প্রাইভেট কোম্পানি?
সাঝু ভাইরেও
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
দেখতে ভাল লাগার কথা না বিটিভি, কিন্তু এটা কি আমাদের দোষ না??আমার, আপনার এই অনিন্দ্য'র ????
আমরা চলতে দেই দেখি এভাবে চলে। বছরের পর বছর চলে যায়। ২০ বছর তো বুঝ হবার পর দেখলাম। ২০ বছরে এক জেনারেশন ধরলে এক জেনারেশন তো গেলই, কোন পরিবর্তন নাই।
চ্যানেল ত্যাগ করলেই তার উন্নয়ন হবে না। তার জন্য কিছু করতে হবে।
টেনে নিচে নামানো গেলে অবশ্যই এদের নামাতাম। কিন্তু এরা তো উপরের ঘরে থাকে, তাও আবার উপরের যাবার মইটা এদের হাতে। এরা দয়া করে নামালে উপরে যাওয়া যায়। বুঝলেন?
অলস সময়
হুমায়ুন আহমেদ মানুষকে হিমু বানিয়ে নিজে সেই যন্ত্রনাদায়ক কল্পবাস্তবতা থেকে বহুদূরে আয়েশে থাকা লোক! হুমায়ুন আহমেদের বইয়েই পড়েছি, একটা রিহ্যাব থেকে তাকে অনুরোধ করা হয়েছিলো, কিছু পেইশেন্টের সাথে কাউন্সেলিঙ্গের জন্য... উল্লেখ্য, সেইসব কম বয়সী ছেলে মেয়ে নিজেকে হিমু মনে করতো। এখন তারা মাদকাসক্ত কেন্দ্রে ধুকছে, এমনকি তাদের হিমু-বিষয়ক অবসেশান এতোই তীব্র যে, খোদ হিমু শ্রষ্ঠা হুমায়ুন আহমেদকে সামনে পেয়েও তার যুক্তি মানতে নারাজ!
এরা হচ্ছে এক্সট্রিম হুমায়ুন-ভিক্টিমস... আরো কিছু মানুষ আছে, যারা নিজের অজান্তেই নিজেদের বিভিন্ন মধ্যবিত্তীয় ইনফেরিয়র কমপ্লেক্সে ভুগতে ভুগতে একসময় নিজের মধ্যে হিমু-মিসির আলী-আনিস- বা ব্লা ব্লা দের কে ভরে নিয়েছে। এরা নিজেরাও জানে না, তারা হুমায়ুন আহমেদের কতোটা ব্লাইন্ড ফলোয়ার... এমনকি, এমনো মানুষ দেখেছি, যে হুমায়ুন আহমেদের নীলপদ্ম থিয়োরীতে বিশ্বাস করে কারো জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পর্কটাও নিমিষেই ভেঙ্গে দিতে পারে, তার কাছে কোন নীল পদ্ম নেই, সেই অভিযোগে!!!!! অথচ, এরা সমাজে খুব ভালো ভাবে চলে ফিরে বেড়াচ্ছে, সুস্থ্য স্বাভাবিক, অথচ ভেতরে এইসব রাবিশ বীষ কৈশোর থেকে লালন করে যাচ্ছে!
একবারও এই কথাটা ভাবে না, হুমায়ুন আহমেদ, জনাব লুল শ্রেষ্ঠ, সে নিজেই নিজের নীলপদ্ম থিয়োরী বিশ্বাস করে না!!!!!
এভাবেই বছরের পর বছর হুমায়ুন আহমেদ ভন্ডামী করে মানুষের মাথা খাচ্ছে!!!! মানুষকে শুদ্ধতার(!!) শিক্ষা দিয়ে, মেয়েদেরকে সুন্দরী আর বোকা ট্যাগ লাগিয়ে আইকন হয়ে বসে আছে তাদের মাথার মধ্যে!!!!
কয়েকবছর আগে একটা জুয়েলারীর বিজ্ঞাপনে লেখা দেখেছিলাম, "হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাসের মতো রূপবতী পাত্রী খুঁজছেন? মনের মতো গয়না খুঁজছেন?"
ক্ষুদ্র ঋণের সব সময়ই বিরুদ্ধে ছিলাম। গ্রামীন ব্যাংক অনিয়ম যা করেছে তার অবশ্যই সমালোচনা করতে হবে। কিন্তু ব্যাক্তি সমালোচনা আমার কাছে ভাল লাগেনা। কোন মানুষই পুত পবিত্র না। তাই তার দুষত্রুটি থাকবে। এটাই আমার কাছে স্বাভাবিক। তো গ্রামীন ব্যাংকের সমালোচনা করলেই ড.ইউনোসের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দুষত্রুটি খুঁজে বের করতে হবে আমি তা মনে করিনা।
একই ভাবে হুমায়ুন আহমদও একজন ব্যাক্তি মানুষ। তার দুষত্রুটি অবশ্যই আছে। তার চিন্তা ভাবনায় সমস্যা থাকতেই পারে। একজন লেখক(তিনি যে মানেরই হোক না কেন) তার কিছুটা হেয়ালী থাকতে পারে। আমাদের জাতীর শিক্ষার গুরুভার হুমায়ুনের উপর ন্যস্ত নয়। তাই তার সাহিত্য থেকে যদি কিছু না পাওয়া যায় তাতে তাকে দুষ দেয়া যাবেনা। হুমায়ুন যে কোন ক্লাসের জন্য লিখতেই পারেন। কেউ যদি কেবল টাকার জন্যই লিখেন তাতে অন্যায় কিছু তো দেখিনা।যেহেতু আমরা তা পড়তে বাধ্য নই।
তার সম্প্রতি সব বই সংগ্রহ করে পড়ার চেষ্টা করেছি। তার লেখার বিষয় এমন সস্তা হওয়া সত্তেও কেন পাঠক পড়ে তা বোঝার চেষ্টা করছি। এই নিয়ে একটা বিশ্লেষন ধর্মি লেখা রেডি করবো ভাবছি।
হুমায়ুন আজাদ কে নিয়ে হুমায়ুন আহমদের সাক্ষাতকারটি আমিও পড়েছি। এই ব্যপাগুলো আমারও চুখে লেগেছে। মুক্ত চিন্তার মানুষ হিসেবে তিনি তার জগৎ থেকে এমন ভাবনা ভাবতেই পারেন। এটা ব্যাক্তিগত আভিমত। এখানে আমি দুষের কিছু দেখিনা।
হুমায়ুন আজাদ এর "পাকসার জমিন সাদ বাদ" নিয়ে অনেকের সাথেই কথা হয়েছে। বেশির ভাগ প্রগতিশীলই বলেছে ভাষাটা অার একটু মার্জিত হতে পারতো। আমার কাছে তা মনে হয় না। আমার কাছে মনে হয়েছে। এই অবস্থাকে তুলে ধরার জন্য ভাষাটা এমন হওয়ায় ভাল লেগেছে।
হুমায়ুন আহমেদ যখন বিদেশি সিনেমা আমদানীর উপর পত্রিকায় তার মতামত ব্যাক্ত করেন। আমি চরম বিরক্ত হয়েছি। কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষের তার মতামত দেবার অধিকার কি নেই? তা যদি থাকে তো ভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে তার ব্যাখ্যা হাজির করতেই পারে। আমি তাকে গ্রহন নাই করতে পারি।এর বিপক্ষে যুক্তি দিতে পারি।
তো সব মিলিয়ে উপরের সমালোচনা থেকে ব্যাক্তি আক্রমনের অংশটা বাদ দিলে যা থাকে তা ভাল হয়েছে। ধন্যবাদ।
আমি যা বুঝলাম, আপনি কোনো কিছুতেই অন্যায় বা দুষ দেখেন না। এটা কিন্তু খুব ভালো একটা ব্যাপার।
না না। কিছু কিছু ব্যাপার ওনার চুখে লাগে তো!!
ইউনূসের সাফাই গেয়ে সবচেয়ে হাস্যকর যুক্তি হাজির করেছেন এই বুড়োটি, পাক সার জমিন সাদ বাদ ২০০১ সাল নির্বাচন পরর্বতী সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়া লেখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস,সেটাকে উনি কুৎসিত বলছেন,উনাকে তো দেখলাম না এই ইস্যূতে কোনদিন কিছু লেখতে, উনার জনপ্রিয় আড়াইশো বই নিয়াওতো কোনদিন খাড়াইতে পারবেন না গোটাকয় বই লেখা আজাদের সামনে..প্রতিভার ক্ষমতার কি দারুণ অপচয় করে বছর বছর ফালতু কিছু বই প্রসব করেন তিনি..উনি বলেন প্রকৃতির সব রহস্য ভাংতে নেই জানতে নেই..হে মধ্যযুগীয়কূসংস্কারচ্ছন্নবৃদ্ধ , প্রকৃতির দিকে একটু তাকালেও বুঝতেন সমকামিতা কোনো অপরাধ নয়..
হুমায়ূন আহমেদ যে কার্টুনটির কথা বলেছেন, সেটি তৃতীয়বারের মতো কালের কণ্ঠে ছাপা হয়েছে।
এই কার্টুনটি প্রথমে ছাপা হয় কালের কণ্ঠের অধূনালুপ্ত রাজনৈতিক সাপ্লিমেন্ট-রাজকূট এর প্রচ্ছদে, ক্ষুদ্রঋণ সংক্রান্ত প্রচ্ছদ রচনার অংশ হিসেবে, বেশ কয়েকমাস আগেই। পরে আরেকবার ছাপা হয়েছে প্রথম পৃষ্ঠায়। হুমায়ূন আহমেদ কালের কণ্ঠের নিয়মিত পাঠক, তিনি কার্টুনটি নতুন দেখছেন এমন নয়। হঠাৎ করে কেন তিনি বিক্ষিপ্ত হলেন, সেটা বুঝতে বড় জ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
মেহেরজানের প্রযোজক হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, আশা করি ভালো সার্ভিস পাবেন। জনপ্রিয়তম লেখক দিয়েই লেখালেখি করানোটা ভালো।
আমাদের জাতিগত বৈশিষ্ঠ হচ্ছে পীরভক্তি। এই পীরদেরকে প্রশ্ন করলে অনেকেই দেখি তেড়ে আসেন, এবারও হয়তো আসবেন।
অনিন্দ্যকে ধন্যবাদ এই লেখাটির জন্য।
পাঠকদের সুবিধার্থে কার্টুনটির লিংক দিলাম।
লিঙ্ক থাইকা পাইলাম ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
কার্টুনটা খোমাখাতায় কেউ একজন শেয়ার করেছিলো, দেখে ভেবেছিলাম সালমান রহমান। এটা যে ইউনুস সাব, হুমায়ুন আহমেদ না বললে তো বুঝতেই পারতাম না! আর কার্টুনটা দেখে গোস্বা হওয়ার কারণও বোধগম্য হলোনা। ইউনুস সা'ব ব্যাংকার, ওনার ভাষায় গরীবের ব্যাঙ্কার। তো ব্যাংকার তো ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে পয়সা বের করবেই - এটাই স্বাভাবিক!
লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমার তো মনে হচ্ছে এই সচলায়তনে অনেক অনেক জ্ঞানী গুনী ব্যাক্তি আছেন। সবাই বেশ সচেতন। এই যেমন, আমাদের হুমায়ুন, ড: ইউনুস -- সবার জ্ঞান, কাজের পরিধি, সব কিছু তেই প্রশ্ন তুলছেন। তো আমরা এক কাজ করি, উনারা যেই কাজ গুলো করে গিয়েছেন, তাদের কাজ থেকে ভালো কাজ এই বিশেষজ্ঞ ভাই দের করতে বলি? যেমন, মুসা ভাই তো শুধু everest পারি দিয়েছেন, আমরা আমাদের এই বিশেষজ্ঞ ভাই দের আরো বেশি কিছু, এই যেমন, একবারের যায়গায় দুইবার everest পারি দিতে বলি। কিংবা, micro credit এর জায়গায় nano credit system চালু করতে বলতে পারি। আর আমাদের ভাইয়েরা যদি micro credit system এর প্রতিপন্থি হন, তবে উলটো টা করতে বলতে পারি, যেমন mega/giga credit system চালু করুন।
কিছু মনে করবেন না, তবে দেশ কে ভালোবাসলে, দেশ এর নাম উন্নত করে, এমন মানুষদের সম্মান করতে শিখুন।
আশা করি আপনি খালেদা কিংবা হাসিনার কোনো কাজের সমালোচনা করার আগে এখন থেকে নিজে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে আসবেন।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
এতো নুবেল আমি কুথায় পাব? তারপরও লন
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপনার মনে হওয়াটা কিছুটা সঠিক। এখানে সবাই সচেতন। জ্ঞানী গুনী কিনা সে প্রশ্নে না যাই।
মুসা ইব্রাহিম কিংবা ডঃ ইউনুস বা হুমায়ূন এদের জ্ঞানের পরিধি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় নি। তোলা হয়েছে তাএর কাজ নিয়ে, যার অবশ্যই সমালোচনা থাকতে পারে। আর মাইক্রো ক্রেডিট যে একটা ভালো কাজ-তা কিন্তু প্রমাণিত না।
আমি যতটুকু বুঝি, আপনার যদি উদ্দেশ্য সৎ হয় এবং আপনি যদি সত্যি ভাল কিছু করে থাকেন, তবে আপনার স্বভাবে দ্বিমুখিতা থাকবে না, লেজে ঘা লাগলে ফোঁস ফোঁস করবেন না। আপনি ভুল করতে পারেন, এবং তা স্বীকারও করতে পারবেন।
মুসা, ডঃইউনুস, হুমায়ূন সকলের হাতেই একটা ক্ষমতা ছিল। তা হল জনপ্রিয়তা। কিন্তু তারা তাদের কাজ ও কর্মে প্রশ্নের অবকাশ রেখে গেছেন।
এ প্রসঙ্গে একটা উদাহরণ দেই। মেহেদী হাসান খান, অভ্রের জনক। তিনি জ্ঞানী গুণী কিনা সে প্রশ্নের যাব না, তবে সে ভালো কিছু করেছে তা বলতে পারি এবং সে পুরো জিনিসটাকে নিয়ে সবসময় স্বচ্ছতা বজায় রেখেছে। কার গোলামি করেনি, এমনকি টাকারও না।
প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ থাকলেই প্রশ্ন আসে। সচেতন মানুষ মাত্রই প্রশ্ন করে। আর ভক্তরা করে অন্ধ বিশ্বাস।
ভালো থাকবেন।
অলস সময়
"সমালোচনার করার আগে নিজে কিছু করে দেখান" - সমালোচনার বিরুদ্ধে একটা খুব নিয়মিত ব্যবহৃত অস্ত্র। দুঃখের কথা হচ্ছে এই অস্ত্র এখন ভোঁতা হয়ে গেছে।
দেশকে ভালবাসলে সবচেয়ে আগে চিন্তাশীল হতে হবে , বিতর্কিত মানুষদের সম্মান করলেই হবেনা . . . আপনি চিন্তা করায় বন্ধ করে দিতে বলছেন . . . গনতান্ত্রিক দেশে মত প্রকাশের অধিকার থাকবেনা . . . বাংলাদেশকে মায়ানমার/ লিবিয়া পাইছেন নাকি. . .
"আমাদের জাতীয় সাহিত্যের লোকপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ ভীমরতিপ্রাপ্ত হয়েছেন।
হুমায়ূন নতুন ব্যবসায় ধরেন
তাই হুমায়ূনের দেয়া ধমকের ভিত্তি যে টাকার গরম, এতে বিস্ময় প্রকাশ করব না।
পুঁজির মালিকেরা মধ্য- ও উচ্চমধ্যশ্রেণীর সম্মতি আদায়ে হুমায়ূনদের পাঠায়।
সমকামীতাকে অপরাধ মনে করার এই প্রতিক্রিয়াশীল মানসিকতা হুমায়ূনকে আরো স্পষ্ট করে তোলে।
হুমায়ূনের মতন আরো অনেক স্বনামবিক্রেতাকে আমরাই প্রতিদিন লাল গালিচা পেতে দেই।"
এই মন্তব্যগুলো উপরের লেখার। এগুলো পইড়াই আমার মনে হইসে এতে আশ্চর্যের কোনো ব্যাপার নাই যে এখন মানীলোকের অসম্মান করার দুঃখে হুমায়ূনকে কলম ধরতে হয়।
হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লেখক। কঠিন ,সাহিত্যের ভারে জর্জরিত লেখার পথকে দূরে সরিয়ে সহজ সরল ভাষায় মধ্যবিত্তের ভিতরতর আবেগের অনুসন্ধানের পথ রচনা করে তিনি বাংলা উপন্যাসে নতুন প্রান এনেছেন। তার লেখার জাদুকরী আকর্ষণ তার সবচেয়ে বড় শক্তি। এরকম একজন লেখককে নিয়ে , তার লেখা নিয়ে যাতা কথা বলার আনন্দ শুধু আমাদের মত জাতির পক্ষেই সম্ভব। মধ্যবিত্তের জীবনকে ধরতে পারে কোনো সাহিত্যিকের দুরবলতা নয়, তার অন্যতম সবলতা, সাহিত্য সম্পর্কে সামান্য ধারনা থাকলেও তা বোঝার কথা। উচ্চমধ্য শ্রেনীর কথা বললেন, আপনার অবগতির জন্য জানাই নিম্নমধ্য বা নিম্নশ্রেনীর সবচেয়ে জনপ্রিয়তম লেখক এই একই ব্যাক্তি। যার হাতে বাংলাদেশের প্রকাশনাশিল্প সবচেয়ে নির্ভরশীল, তাকে টাকার কাছে বিক্রি হওয়ার অভিযোগ করাটাও হাস্যকর। প্রবাসীরা রমনার অনুষ্ঠান দেখতে না পাওয়ায় যদি তিনি কলম ধরেন তাতে আপনার সমস্যাটা কি আমি বুঝি নাই ।উনার পয়েন্ট এই অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য কেন অনুমতি লাগবে, এখন চ্যানেল যদি মিথ্যাচার করে তার সাথে উনার সম্পর্ক কি?? এরসাথে টাকার কাছে বিক্রি হওয়ার অভিযোগ তোলা তাকে অসম্মান করার আপনার তীব্র ইচ্ছার প্রকাশ ঘটায়। আর গান্ধী সমকামী-এই কথা গান্ধীর মত মানুষকে বলাটা কত বড় দুঃখজনক ব্যাপার সেটাই বুঝাতে চাওয়া হইসে, এটার কেন অন্য অর্থ বের করতে হবে??আর কথায় কথায় পুঁজিবাদের দালাল বলার আগে বুঝতে শিখুন পুঁজিবাদ কি আর নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন নিজে পুঁজিবাদের উরধে উঠে কি করেছেন।
আর ইউনুস, তার সমন্ধে আজাবাজে কথা বলাটা এখন তো ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। সত্যমিথ্যা যাচাইয়ের কথা বললেন, নিজে কি যাচাই করে দেখেছেন নিজের দেশের একজন নোবেল লরিয়েটকে নিয়ে ফালতু কথা কতটা সত্যি?? এমন এক সরকারের রিপোর্ট দেখালেন যাদের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা কিভাবে ইউনুসকে অসম্মান করা যায়, তাও তারা তার বিরুদ্ধে ব্যাক্তিগত অসততা প্রমান করতে পারে নাই।যাকে সম্মান দেখাতে পারলে পৃথিবীর যেকোনো জাতি নিজেকে ধন্য মনে করে তার বিরুদ্ধে আমরা ফালতু কথা বলে আনন্দ পাই। তিনি যদি গরীবমারা ব্যাংকার হতেন তাহলে এই গরীবরা কোথায় আর তারা কেনইবা মুখ বুজে আছে??
সম্মান করতে পারাটা একটা বড় গুন, এটার চর্চা করুন, বিনা কারনে অসম্মান করায় কোনো ক্রেডিট নাই, বরং নিজ মাটির গুনীকে সম্মান করতে না পারাটা লজ্জাজনক।
আপনি কি দেওয়ানবাগী পীরছাহেবের ওদিকটায় যান-টান?
হুমায়ুন আহমেদ ইউনুস বিষয়ে কি বললেন সেইটা জাষ্টিফিাই করতে গিয়ে লেখক যে কায়দায় হুমায়ুনের 'লেখক সত্ত্বা', 'বুদ্ধিজীবীতার স্বরূপ' 'তার কীর্তির স্বচ্ছতা', 'গ্রহনযোগ্যতা' ইত্যাদি নানা প্রসংগ টেনে এনে দীর্ঘ প্রবন্ধ রচনা করেছেন তাতে বলতে বাধ্য হচ্ছি, "প্রমথ চৌধুরী পরবর্তীসময়ে এমন শক্ত লিখনী, দূবার শব্দচয়ন আর ক্ষুরধার বিশ্লেষণ এই প্রথম দেখা গেলো"!!
কয়েকজন কামেল ব্লগারের কাছে কয়েকটা প্রশ্ন রাখি, দয়া করে গরুর রচনা শেখা ছাত্রের মতো ঘুরে ফিরে একই কথা বলে ফাকি দিয়েননা; তাইলে বুঝবো প্রকৃত কামেলদার মানুষ:
১. জেবতিক আরিফ সাহেব ছায়ানটের প্রোগ্রাম প্রসংগে বিটিভির মনোপলির এগেইনষ্টে চ্যানেল আইয়ের পক্ষে ওকালিত যদি হুমায়ুনের পক্ষে অপকর্ম হয় তাইলে বেসরকারী চ্যানেলে সরকারের খবরাখবর প্রচারে বাড়াবাড়ি জোড়াজুড়ি "কি"'?....বাড়াবাড়ি জোড়াজুড়ি যে হয়, সেইটা বিশ্বাস করেন নিশ্চয়?
২. দ্বিতীয় প্রশ্ন: হিমুর কাছে, এই ব্লগের পীড়ানে পীড় দস্তগীর, সকল বিষয়ে জ্ঞানের ভান্ড, কেও কিচু কৈলেই গুগলি কিঙবা দুছরার মতো বল ডেলিভারি দিয়ে তারে কাইতকুইত কৈরা ফেলেন (আমারেও করবেন নিশ্চয়ই) আপনার প্রিয় কালের কন্ঠ সম্প্রতি হলুদ সাংবাদিকতার জন্য প্রেস কাউন্সিলের নোবলে ভুষিত হয়েছে, এই পদক নিজের দখলে রাখুক কালের কন্ঠ এই কামনা করি। আমার প্রথম প্রশ্ন: ইউনুস প্রসংগে উপরে একজন প্রশ্নকর্তা সাঙবাদিক মিজানুর রহমানের লেখার একটা জায়গা কোট করেছেন, "আইনকে পায়ের মাপে জুতা বানানোর জাতি আমরা শিরোনামে" আপনি তার জবাবে যা বললেন, কিঙবা সেই আর্টিকেলটা যদি পড়ে থাকেন সেইটার একটা যুৱসই গ্রহনযোগ্য জবাব দিয়েন, জবাবে আবার মিজানুর রহমানের বিপক্ষে অন্য আরেকটা প্রসঙগে আকবর আলী খানের নদী ও গরুখন্ড রচনার লিঙক দিয়েন না; দ্বিতীয় প্রশ্ন: ইউনুস ইস্যূতে মার্কিন চাপের বিপরীতে বাঙলাদেশ সরকার এখনো পর্যন্ত যা করলো বা করলো না, তা কি যথেষ্ঠ মনে হয় আপনার? সরকারের ভূমিকারে কিভাবে মূল্যায়ন করেন? আভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক গলানোর জন্য সরকার কি আনুষ্টানিক কোনো প্রতিবাদ জানাইছে? ওয়াশিঙটনে আমাদের দূত কি কোনো প্রতিবাদজানাইছে? আমরা কি মরিয়ার্টিরে ডাইকা প্রতিবাদ জানাইতে পারছি? আমরা কি রাগে:দু:খে সার্বভেৌমত্ব প্রমানের জন্য ওয়াশিঙটনের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করতে পারতাম না? সেইটায় কি বিলক্ষন সার্বভেৌমত্ত্ব বাড়তো না বলে মনে করেন ? হিরারী কাম হিরারী করছে, আমরা কি নিজেদের কাম করছি? সেইটা নিয়ে কয় লাইন লিখছেন দয়া করে লিঙক দেন পড়ি। আবার বইলেননা, " কুকুড়ের কাম কুকর করেছে কামড় দিয়েছে পায় তাই বলে কি কুকুরে কামড় মানুষে শোবা পায়"!
এই 'আমরা' কি ইউনুস সা'বকে ধারণ করে? উনি কি গদি হারিয়ে কান্তে কান্তে হিলারির কাছে নালিশ করা বিষয়ে কোন বক্তব্য দিয়েছেন? দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশীকে হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দিতে পেরে কি উনি আনন্দিত? জগদনন্দিত ইউনুস সা'ব, যার কারণে সারা বাংলাদেশ বিশ্বে একনামে পরিচিত, তিনি কি ওয়াশিংটনের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে কিছু করেছেন? যেই ইউনুস সা'বরে দিয়ে বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে চেনে, তার কি এই পরিস্থিতিতে বক্তব্য দেওয়া উচিত না?
আল্লামা রফি হোসেইন বড়খুরদার, কোন মিজানুর রহমান, কোন আর্টিকেল, আর তার জবাব আমারে কেন দিতে হবে গো? আর দিলেও তো আপনার কাছে ঐটা গ্রহণযোগ্য হবে না গো দুস্তাম কদরদান! যুৎসই উত্তর দিলেও আপনি হোগায় হাত দিয়ে কানতে কানতে বলবেন, হয় নাই। আপনার প্রথম প্রশ্নে কোনো প্রশ্নবোধক চিহ্ন পাইলাম না দেইখা প্রশ্নটাও বুঝতে পারলাম না। আপনার ঘরে ময়মুরুব্বি কেউ থাকলে তার কাছ থেকে প্রশ্ন করা শিখে নেন, এখনও শিক্ষার সময় ফুরায় নাই।
আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নে মোট আটখান প্রশ্ন দেখতে পাইলাম। কোনটা রাইখা কোনটার জবাব দিমু? তবে আপনার কাছে একটা আবদার। আপনার ফরমায়েশ মোতাবেক লাইনের পর লাইন আমি লিখতে রাজি আছি, বিনিময়ে আপনার কন্যাকে আমি শাদী করিতে চাই। শ্বশুর ছাড়া অন্য কারো আবদারে আমি কলম ধরতে নারাজ। রাস্তা থেকে আবালছাবালরা উঠে এসে চোখ গরম করলে কি ভালো লাগে, বলেন?
ডিয়ার রাফি ভাই, আপনে আমার লেখটা না পইড়াই কমেন্ট করছেন ... তাই আপনারে আমার পক্ষ থিকা অনেক অনেক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হিমু@
একটা ব্যাপার জানতে ইচ্ছে করছে। আপনি কি এই ব্লগের এডমিনদের কেউ?
আপনি তো আবার মেয়ে বিয়ে না দিলে প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হবেন না? তো এই ব্লগে কয়জন তার মেয়েকে এই পর্যন্ত আপনার কাছে বিয়ে দিয়েছে? একটু জানার খায়েস আরকি? যে কোন ব্যপারে সবাইকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে আপনি মনেহয় সবচেয়ে সফল। আপনাকে কি এই বিশেষ যোগ্যতার জন্য নোবেল দেয়া যাবে?(যদি আপনার অনুগ্রহ হয়, এখানে অনেক কেই নোবেল দেয়া হচ্ছে)।
আপনার সম্ভোদন এবং ভাষা দেখে মুগ্ধ। আমি নতুন, শিখতে হলে তো আপনাদের কাছ থেকেই শিখতে হবে তাইনা???
যে কোনো ব্যাপারে এসে ছাগলামি করবেন, চোখ গরম করবেন, ফরমায়েশ করবেন, ইনস্ট্যান্ট তুচ্ছতাচ্ছিল্যের গ্যারান্টি দিচ্ছি। একদম গরমগরম। আর সম্ভোদন বলে দুনিয়াতে কিছু নাই, শব্দটা সম্বোধন। শিখতে চাইলে, এখনই শুরু করে দিন। শেখার বহুত কিছু বাকি আছে আপনার। খালি "দুষ" ধরলেই চলবে?
মাদল ভাইকেও একটা
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপনাকে একটা প্রশ্ন করি। পত্রিকায় কয়জন গরীবের মৃত্যুর খবর আসে?এবং সত্য কারণসহ?
মাটির গুণী হলেই সবকিছুর উর্ধ্বে চলে যায় না। কাজ করলে সমালোচনা হবেই। এবং সত্যই যদি তাদের নিয়ত ভালো হয়, জবাব দেওয়া উচিত তাদের। যদিও তারা বাধ্য নন। তারা খালি বিদেশী ডেলিগেটদের সাথে কথা বলেন, হাই হেল্লো করেন। চুলকানি হলে হটলাইনে হিলারিকে ফোন করেন।
অলস সময়
‘যদ্যপি হুমায়ূন আহমেদ শুঁড়িবাড়ি যায়
তদ্যপি হুমায়ূন আহমেদ নিত্যানন্দ রায়।’
আলু পেপারে হুমায়ূন আহমেদ'এর লেখা আলু-কালু পেপারের ফাউল কাইজ্যারই একটা বাইপ্রোডাক্ট।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হুমায়ুন আহমেদ বিরোধী অমূলক কিছু চেতনা আগে থেকেই মনের মাঝে ক্রিয়াশীল রয়েছে বিধায় এ ধরনের লেখার মধ্য দিয়ে তা ডালপালা মেলে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়। অপরকে অপদস্ত করার মধ্য দিয়ে যে সুখ পাওয়া যায় তা আমাদের জাতীয় সুখে পরিণত হয়েছে, এ থেকে বেরিয়া আসার শক্তি আমাদের অর্জন করতে হবে।
showkat97@gmail.com
হুমায়ূন আহমেদের গল্প এখনো পড়ি আর অবাক হই। খুব সুন্দরভাবে তার লেখায় চুম্বকের মতো ধরে রাখেন।
জয় তু হুমায়ূন আহমেদ
কী বাজেভাবেই না মানুষ তার সময় নষ্ট করতে পারে। এত কষ্ট না করে আপনি একটা গল্প বা উপন্যাস লিখতেন। দেখাতেন সেটা হুমায়ুন বা মানিককে ছাড়িয়েছে।
ঠিক। মাথায় ব্যথা হলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে সময় নষ্ট না করে আরেকটা মাথা গজিয়ে দেখিয়ে দেবেন, যেটা সুস্থ লোকের মাথাকে ছাড়িয়ে যাবে।
!!!
আচ্ছা ভাই, এই মাইঙ্ক্যার পুরা নামটা কি যেন ? মানিক লাল বাহাদুর ?
****************************************
ইদানিং হুমায়ুন আহমেদকে একদমই সহ্য হচ্ছেনা। লেখার মান কমেছে, মিডিয়াতে ঢলাঢলি বেড়েছে। তার একটা উপন্যাস পরে (ম্যাজিক মুন্সি) পরে মনে হলো, তিনি নিজেকে এখন 'শাহেনশাহ' বিবেচনা করেন। তার আসলেও অবসরে যাওয়া উচিত।
তবে উপরের কিছু কমেন্টের মতো আমিও বলবো, চ্যানেল আই নিয়ে লেখার ব্যাপারটা বুঝলাম। কিন্তু ডা: ইউনুস কে নিয়ে লেখার সমালোচনার কারনটা ঠিক বুঝলাম না। ডা. ইউনুস কি আমাদের গর্ব নন? হুমায়ুন আহমেদ কি সমস্ত ব্যাপারে কথা বলবেন বলে চুক্তি করেছেন? ডা: ইউনুসকে নিয়ে যা হচ্ছে তা আমি নিজেই সহ্য করতে পারছিনা। এতদিন ধরে গ্রামীন ব্যাংকের প্রশংসা করতে করতে পন্ঞমুখ আমাদের সরকার আর এখন এইটার অব্যাবস্থাপনা পুরো বিশ্বকে মাইক দিয়ে জানাতে হবে? তাছারা গ্রামীন ব্যাংক নিয়ে যতটা শোনা যাচ্ছে ততটা সত্যি না এটা তো সচলায়তনের কয়েকটা পোষ্টেই এসেছে।
দেওয়ানবাগী পীরছাহেবও তো বাংলাদেশের গর্ব। তাই না?
হূমায়ূন আহমেদ লেখক হিসেবে তার সহজ ভাষার প্রকাশে সাধারণের মনে স্থান করে নিতে পারার মতো ক্ষমতাধর একজন লেখক ছিলেন, সেকারণেই তার জনপ্রিয়তা এই পর্যায়ে এসে এখন 'হুমায়ূন আহমেদ' একটা সেলফ ব্র্যান্ড হয়ে গেছে, তার নাম দেখলেই বই বিকিয়ে যায়।
হতে পারে তিনি এখনো সেই ক্ষমতা রাখেন, মানুষকে আকৃষ্ট করার, অন্তত যারা এখনো মোহমুক্ত নয় ... আমার মতে তার আইডিয়া ফুরিয়ে গেছে, কিছু গৎবাঁধা চরিত্র আর ঘটনার নানান এলোমেলো বিন্যাস-সমাবেশই চলছে প্রতিবছর বইমেলায় 'নতুন' বইয়ের নামে, কিন্তু সারবস্তু তাদের একই।
হ্যাঁ, 'সূর্যের দিন' স্কুল পড়ুয়া আমাকে, আমার বয়সী চরিত্রদের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুঝতে শিখিয়েছিল, হ্যাঁ 'আগুনের পরশমণি' এখনো আমার প্রিয় উপন্যাসগুলোর একটা, কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ চিরকালই একজন 'কমার্শিয়াল' লেখক ছিল। অর্থ তার লেখার মূল মোটিভেশন, নিজেই সেকথা একাধিকবার একাধিক বইয়ের ভূমিকাতেও লিখেছেন, তিনি কবে অর্থ সঙ্কটে ছিলেন, কোন্ প্রকাশক বই লিখে দিতে বললেন, তিনি কয় রাতের মধ্যে সেটা লিখে জমা দিলেন, তারপর অর্থ পেলেন, এইগুলান মেলাবারই পড়েছি। এই লেখকের বক্তব্যের গুরুত্ব তাই আমার কাছে আর নাই।
তোমার লেখাটা অবশ্য প্রশংসনীয়। ট্যাগ থাকলেই (ডঃ হুমায়ূন আহমেদ আর ডঃ ইউনুস, দুইজনাকেই মিন করছি) মানুষ সমালোচনার ঊর্ধ্বে উঠে যাবে এই ধারণা থেকে মুক্ত হওয়া শিক্ষিত মানুষের জন্যে অন্তত জরুরি।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমাকে নোবেল দেবার দরকার নাই, আপনার কাছে হয়তো নোবেল টোবেল তেমন কোনো বড় প্রাইজ না, গোটা দুনিয়াতে এটা অনেক বড় সম্মান, অযথা এইটা নিয়া মশকরার কোন মানে নাই।
সঠিক মানুষকে সম্মান করতে শেখেন, তাহলেই চলবে।
কি বাজেভাবেই সময় নষ্ট করেন আপনারা , হুমায়ুনের লেখা যদি ভালো না লাগে কেউ তো আপনাকে পড়তে বাধ্য করে না, তারপরও কিসের আকর্ষণে পড়েন?? এইধরনের আলগা বুদ্ধিজীবিগীরির কোন দাম নাই, রবীন্দ্রনাথ যখন শুরু করেন তখনও আপনাদের মত আলগা বুদ্ধিজীবি সেগুলোকে সাহিত্যের সম্মান দিতে চায় নাই, শরতের উপন্যাসকে কোন জাতের লেখার মর্যাদা দিতে চায় নাই।ইতিহাস এইসব আলগা বুদ্ধিজীবিকে মনে রাখে নাই, রাখছে তাদেরকেই যাদের মানুষ মনে রেখেছে, যারা সর্বস্তরের মানুষের মনে দাগ কেটেছে।
আর পলাশ ভাই, ইউনুস কাকে জবাব দেবেন, একটা গোটা সরকার তার বিরুদ্ধে তিন বছরে কিচ্ছু প্রমান করতে পারলো না, শেষপর্যন্ত গায়ের জোরে সরায়ে দিলো। গরিবমারার খবর আসে না বললেন, এমন একজন রক্তচোষা গরীবমারা মানুষ আর তার খবর পত্রিকাওয়ালারা গুরুত্বই দেয় না??আর আপনার যদি এত জিজ্ঞাসা থাকে আপনি সঠিক জায়গায় জিজ্ঞাসা করেন, কাউকে তো তা করতে দেখলাম না।সবাই পারেন শুধু কোনো প্রকার প্রমান ছাড়া গালভরে ইউনুসকে গালি দিতে। এমন সব লোকেদের আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচন করি যারা হিলারীর ফোনের ভয়ে তটস্থ থাকে, আর যাকে হিলারী ফোন করে ধন্য হয়ে যায় তাকে দেই কষে গাল, চমতকার আমাদের বিচার।
শাওকাত ভাইয়ের মত আসলেই বলতে হয় -
অপরকে অপদস্ত করার মধ্য দিয়ে যে সুখ পাওয়া যায় তা আমাদের জাতীয় সুখে পরিণত হয়েছে, এ থেকে বেরিয়া আসার শক্তি আমাদের অর্জন করতে হবে।
১. "সঠিক মানুষ" কে ও কেন?
২. রবীন্দ্রনাথের আমলের অন্তত একজন আলগা বুদ্ধিজীবীর নাম বলে যান। আর শরতের উপন্যাসের আমলের একজনের। নাকি ইতিহাস এইসব আলগা বুদ্ধিজীবীদের নাম মনে রাখে নাই বলে আপনি তাদের নাম জানেন না?
৩. পত্রিকাতে তো নিয়মিত ইউনূসের নানা অনিয়মের খবর বের হচ্ছে। ওগুলি কি ভুল? ভুল হলে কোথায় ভুল, আমাদের বুঝিয়ে বলেন।
৪. হিলারি তো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকেও ফোন দেয় মাঝেমধ্যে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীরে তাহলে ভোট দিয়ে নির্বাচন করি, কী কন?
কিছুই না জেনে, কিছুই না বুঝে মনকলা খাওয়ার যে সুখ, সেই সুখ থেকে বের হওয়ার শক্তি অর্জন করবেন না? চলেন সবাই রবিনসন বার্লি খাই।
আপনেরে তো আমি কাউরে সম্মান বা অসম্মান কর্তে কই নাই। তারপরও আপনে মেহেরবানি কইরা আমারে শিক্ষা দিতে আইছেন। জাতীয় সুখ অসুখ নিয়াও মূল্যবান মতবাদ দিছেন। আপনেরে সেইজন্য আবার
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হ
এই সমালোচনাটির অন্যতম দূর্বলতা হচ্ছে প্রথম অংশ ডঃ হুমায়ূনের বয়স নিয়ে কথা বলা। এর বিরুদ্ধে সমালোচনা গ্রহণ করতে না পারা অ্যপোলজিস্টরা সমালোচনাকে নাকচ করতে প্রায়শঃ ব্যবহৃত অ্যাকুইজিশনগুলো নিয়ে এসেছেন:
১। এটা সমালোচনা নয় ছিদ্রান্বেশন।
২। মানী লোকের মান নিয়ে টানাটানি।
৩। সমালোচনার আগে নিজে কিছু করে দেখান।
অথচ একটা সত্যিকার পোস্টের কথা গুলো যুক্তি দিয়ে রিফিউট করা মন্তব্য পেলাম না! নাকি অনিন্দ্যের যুক্তিগুলো রিফিউট করার মতো বিপরীত যুক্তি নেই?
তবে অনিন্দ্যকে আরেকটু যত্ন নিয়ে সমালোচনা লিখতে বলবো। নইলে সমালোচনাটা এড়িয়ে পাঠক ঐ অংশটুকু নিয়ে তেনা প্যাঁচানোর সুযোগ পাবে।
মুর্শেদ ভাই, প্রথমত, হুমায়ূনের বয়স নিয়া আমার আসলে বিশেষ মাথাব্যাথা নাই। আমি শুরুটা করতে চাইছিলাম, ভীমরতি শব্দের কনোটেশন দিয়া। এই শব্দের মূলে 'সীমা অতিক্রমের' একটা বিষয় আছে। যেসব পাঠক এইটা ধরতে চান নাই, তারা আমার বিশ্বাস ধরায়া দিলেও ধরতে পারবেন না। দ্বিতীয়ত হুমায়ূনের সাহিত্য এই লেখার বিষয় এমনতেও না। ত্যানাপ্রিয়রা তাদের অভ্যাসের বাইরে যাবে কেন? পীরবাদকে গণিত (যুক্তি শব্দে আমার আপত্তি আছে) দিয়া মোকাবেলা করার আইডিয়াটা মনে হয় না খুব ভাল। তারপরও, চেষ্টা তো করা উচিৎ। আপনার সৎ পরামর্শ মাথায় নিলাম।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এই ছিদ্রান্বেশন নিয়ে আমার দুইখান কথা আছে। যারা ছিদ্রন্বেশন নিয়ে চিৎকার করছেন তাদের প্রতি। অঙ্গুলি সঞ্চারণের সুবিধার্থে আমি ছিদ্র শব্দটাকে ফুটো বলে উল্লেখ করছি।
আমারে বলেন যে এই দুনিয়ায় কে ফুটো খোঁজে না? আমরা সবাই বিভিন্ন ছুতোনাতায়, সত্যি বা বানানো উছিলায় অহর্নিশি ফুটো খোঁজায় রত। কারণ আমাদের পরিচিত অধিকাংশ ফুটোগুলো থেকেই ভালো কিছু বের হয় না। নয়ন মেলে দেখেন, আপনার চারপাশের অধিকাংশ ফুটো থেকেই বর্জ্য এবং দুর্গন্ধই নির্গত হয়ে থাকে। সে ফুটো হোক দৈহিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক বা সামাজিক। এবং সেজন্যেই ফুটো খোঁজা খুবই জরুরী। ফুটোগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো বন্ধ করার ব্যবস্থা আমাদেরকেই করতে হয় যাতে বর্জ্য এবং দূর্গন্ধ বেশি ছড়াতে না পারে।
তবে যারা ফুটো থেকে নির্গত পদার্থসমূহের রূপ-রস-গন্ধে মোহিত হন সদাসর্বদা, তারা ফুটো খোঁজার (বা ছিদ্রান্বেশনের) কাজকে সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং এর বিপক্ষে সোচ্চার হবেন, এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
দেেশ েয আকাইম্মা মানুেষর অভাব নাই বুজলাম
উহু, দেশে মগজ ধোলাই/ মস্তিষ্ক প্রক্ষালণ যন্ত্রের অভাব নাই বুঝলাম। জোছনা/ বৃষ্টি/ রূপবতী/ মায়াবতী ইত্যাদি ছাড়াও দুনিয়ায় যে আরো অনেক কিছু আছে, কয়েকটা প্রজন্মের বিশাল সংখ্যক মানুষ সেটা ভুলে বসে আছে বুঝলাম।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই ভাঁড় যে কবে থামবে... সস্তা, ভাড়ায়খাটা লেখা নিয়ে হাজির হয় দুই দিন পরপর। মৌলবাদী-সমর্থক লেখা নিয়ে তো হিমু ভাই-ই লিংক দিলেন। আরেকটা সাক্ষাৎকারে তো বলেছিলেন যে মঈন ইউ আহমেদ একজন অত্যন্ত সংবেদনশীল মানুষ...
ইউনুসের পক্ষে ডঃ জাফর ইকবালের কলামের উপর লেখকের লেখার দাবী জানাই। দুই ভাই মিল্লা কি শুরু করছে?
কথিত সুশীল সমাজের কে আলুপেপারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে না? রিভার্স বুঝার বয়স হইছে ... অন্যভাবে ট্রাই মারেন।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ভালো লেখা। অনিন্দ্য যে বিষয়গুলো নিয়ে এখানে আলোচনা করেছেন তা প্রাসঙ্গিক এবং প্রমানসিদ্ধ। যারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারেন বা যাদের দ্বারা মানুষ প্রভবিত হয় (উদা. হুমায়ূন আহমেদ), তাদের কর্মকাণ্ড, ফিলসফি, ধ্যান-ধারণা, এগুলো মানুষকে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক, দুইভাবেই প্রভাবিত করতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা হলে তার ভক্তরা কিছুটা হলেও যদি সেই নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত হতে/থাকতে পারেন, এটাই অনেক। ২১শের সকালে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো আমাদের অস্তিত্ব এবং স্বকীয়তার একটা অংশ। পৃথিবীর অন্য কোনও দেশের মানুষ ভাষার জন্যে প্রাণ দেয়নি এবং সুতরাং তারা ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী দিতেও যায়না। কট্টর হুমায়ূন অনুসারী হয়তো তাকে অনুসরণ করতে গিয়ে আমাদের এই শ্রদ্ধাজ্ঞ্যাপনের চর্চা থেকে সরে যাবে যা মোটেও কাম্য কোনও বিষয় না। হুমায়ূন যদি আমার মতো একজন কেরানী পাবলিক হতেন, যার কথা বউ-পোলাপানেই শোনেনা, তার পক্ষে এহেন আচরণ হয়তো মানা যেতো। কিন্তু হুমায়ূন প্রভাবিত করে থাকেন অনেক মানুষকে।
আমাদের এলাকার কসাইরা একটা বাছুরের মাথা আর একজোড়া হোলের বিচি ঝুলিয়ে রেখে সারাদিন বুড়ো গরু, দামড়া গরু আর মোষের গোশত বিক্রি করে।
এবার বলি একজন (সাবেক) ভক্ত প্লাস পাঠক হিসেবে। আমি হুমায়ূনের লেখার একজন 'অতি' ভক্ত ছিলাম। আমার ছোট ভাইটাও তাই। নন্দিত নরকে, তারপর শঙ্খনীল কারাগার, এইসব পড়েছি। তারপর ক্রমশ তার লেখা থেকে আগ্রহ কমে গেছে। একসময় ছোট ভাইটা হা করে বসে থাকতো যে কখন ওর জন্যে আমি বাজার থেকে একটা-দুটো হুমায়ূনের বই এনে দেবো। তখন আমি বাস্তবজ্ঞ্যানবিবর্জিত এক ভাদাইমা তরুন। (সত্যি বলছি) মাঝে মাঝে ভাবতাম যে আমার ছোট ভাইটা বড়ো হলে পরে ওর সাথে হুমায়ূন আহমেদের ছোট মেয়েটার বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো। পরে তার অধিকাংশ বইগুলোরই কন্টেন্ট আর আগের মতো ছিলোনা। শস্তা কাহিনী এবং ভাঁড়ামোতে ভরপুর হয়ে উঠেছিলো। তারপরও (আমার ধারণা) মানুষ এখনও তার বই পড়ে শুধু প্রত্যাশা থেকে যে আবারও তার প্রথম জীবনের লেখার মতো কালজয়ী কিছু লেখা তিনি পাঠকদের দেবেন। এবং সে প্রত্যাশা প্রত্যাশাই থেকে যায়, আর মেটেনা।
কিন্তু নন্দিত নরকে আর শঙ্খনীল কারাগার বেচে আর কতোকাল খাবেন তিনি?!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হুমায়ূন আহমেদের অবস্থা দেখে আমার খালি এনার্জি কার্ভের কথা মনে পড়ে। অপটিমাল পজিশনের পর থেমে না যাওয়াতেই যত বিপত্তি।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সত্যি কথা বলতে আমার বেলায় হুমায়ূন আহমেদ আর মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখাই আমাকে বই পড়তে শিখিয়েছে। বড় হবার সাথে সাথে যখন আর হুমায়ূন আহমেদ (অপ্রাঙ্গিকঃ এমন কি জাফর ইকবালের নতুন সাইন্সফিকশনও) আর তেমন ভাবে আকর্ষণ করতো না তখন ভাবতাম বয়স বারার সাথে সাথে হয়ত রুচির পরিবর্তন হচ্ছে। তারপরও কিন্তু পড়া বাদ দেই নি। হুমায়ূনের নতুন বই পড়েই চলেছি। এই ভেবে যে হয়তো এই বার সে আবার কোন নন্দিত নরকে, কবি, শঙ্খনীল কারাগার, তোমাকে, বহুব্রীহি, দারুচিনি দ্বীপ এর মত আমার ভালো লাগে এমন কোন বই লিখেছেন। কিন্তু হতাশ হয়ে লক্ষ্য করি, নতুন বই গুলো মনে আর একটুও দাগ কাটতে পারে না।
রাস্ট্র ও সামাজ ইস্যুতে তাকে খুব একটা লিখতে দেখিনি। নিজেই আবার ভাবতাম সব লেখককেই যে একরকম হতে হবে এমন তো নয়। কেউ হয়তো হালকা মেজাজের শুধু বইই লিখে যাবেন। তবুও কেন জানি আমি মনে মনে ঠিকই দেশ-সমাজের বিভিন্ন ঘটনায় তার মতামত পড়ার অপেক্ষায় থাকতাম। যতদুর মনে পড়ছে ঠিক সেরকম একটি অপেক্ষায়র মুহুর্তে গোল্ডফিস নামের হালকা চালের একটা দেশচিন্তা ধরনের লেখা পরে অনেকটা হতাশই হয়েছিলাম। ইদানিং দৈনিক পত্রিকায় ছাপা তাঁর লেখা পড়েও হতাশ হয়েছি।
বেশ কয়েক বছর ধরেই আশঙ্কা করছিলাম এমন ভাবেই কেউ হয়তো তার সমালোচনায় কলম ধরবে। কৈশোরের প্রিয় লেখক কে নিয়ে এরকম কিছু পড়তে ভালো লাগে না। তারপরও আমি আপনার লেখার মুল বক্তব্যের সাথে সহমত প্রকাশ করছি।
নিকঃ ছাইপাশ
send2rakibul@yahoo.com
হুমায়ূন আহমেদের সুইডেনে বসে দেয়া ঐ সাক্ষাৎকারই কেপিটেস্ট পজিটিভ হওয়ার জন্য যথেষ্ট।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আহহ! বাংলাদেশে এত ব্যক্তিপূজা-অন্ধত্ব, অবাক লাগে। দেশে এত দেবদেবী-ফেরেশতা!! মূসা-আনিসাইল-আশ্রাফিল-সিডন্সিল-সাকিবাইল-চরমোনাইল-দেওয়ানবাগীল-আমিনী-হুমায়ূনাইল-সাকাইল-খালেদাইল-হাসিনাইল-ইউনূসাইল-(দরকার মত) আমেরিকাইল (!)-শাহরুখাইল...স্বয়ং খোদা-ভগবান-ঈশ্বরও এত পূজা পান না...এত নিখুঁত হন না! জীবনে একবার নবুয়্যতের কাছাকাছি কিছু পাইলে বা একটা কিছু জীবনে করতে পারলে, বাংলাদেশের পোঙ্গা মেরে ছেড়ে দেয়া জায়েজই না, অবশ্যকর্তব্য...তাতে ভক্তের সংখ্যা বাড়ে। আর হুমায়ূনাইল? প্রথম কয়েকটা বাদ দিলে, বাকিগুলার চেয়ে গুপ্ত স্যারের লেখা অনেক সাহিত্যরস সমৃদ্ধ!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অলস সময়
সমাজ এবং এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়া হুমায়ুনের চিন্তার লেবেল সবসময়ই তার নিজের সুবিধা কেন্দ্রিক বলে আমার মনে হয়। আর এই লোকটা ভণ্ড, মিথ্যুকও বটে।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আজ থেকে বিশ বছর আগে মিডিয়া যতোটা গুরুত্বপূর্ণ বা শক্তিশালী ছিলো এখন তার চেয়ে লাখ লাখ গুণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ বা শক্তিশালী। যে আমলে হাতে তলোয়ার ধরে যুদ্ধ করতে হতো সে আমলে তলোয়ারবাজরাই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। তখন তলোয়ারবাজদের নিজস্ব দল থাকতো - এক বা একাধিক। কখনো তারা অন্যের হয়ে ভাড়ায় খাটতো, আবার কখনো সুযোগ পেলে নিজেরাই ক্ষমতা দখল করতো। আজকে মিডিয়ার যে অংশগুলো শক্তিশালী, হয় তারা ক্ষমতার গণ্ডিতে থাকা কারো হয়ে ভাড়া খাটে, অথবা নিজেরাই ক্ষমতা লাভের লড়াইয়ে নামে। এই যুদ্ধের সৈনিকদের মধ্যে সততা, নৈতিকতা খুঁজতে যাওয়ার কোন মানে নেই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ইউনুসকে নিয়ে আপনার মন্তব্যে একমত। সত্য-ই হুমায়ূনের এসব লেখা মানায় না।
কিন্তু, লেখক হুমায়ূনকে এখানে যে ভাষায় আক্রমন করা হলো, তা সত্য দুঃখজনক। খুব সম্ভবত নিজেরা আপনার লেখায় কখনো মধ্যবর্তী জীবন তুলে আনতে পারবেন না, তাই এসব বলা। অস্বাভাবিক কিছু না। মানুষ ঈর্ষা থেকে অনেক কিছুই বলে।
ঈর্ষায় তো সুবুজ হয়া গ্লাম রিশিভাই ... এনিওয়েস, মধ্যবর্তী জীবন কথাটা বুঝি নাই। আপ্নে যদি মিডলাইফ ক্রাইসিস বুঝায়া থাকেন, তাইলে সেইটা প্রধানত আমেরিকান (বা অনুরূপ) সমাজের বিষয়। মধ্যবিত্তর জীবন হুমায়ূন কীভাবে তুলে আনছে এইটা আমার এই পোস্টের বিষয় না। এইখানে বিষয় হইতেছে, মধ্যবিত্তের পীরভক্তি আর হুমায়ূনের 'মানীর মান রাখা'র সমীকরণ। না বুঝতে পারলে দুঃখিত।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ঠিক এ কথাটাই আমাকে বলেছিলেন দেওয়ানবাগী পীরের এক মুরিদ। উনি বলেছিলেন, "পীরছাহেবের মতো করে কেউ উটের দুধের বিজনেস করতে পারবেন না, তাই ওনাকে নিয়ে এত কথা বলা। অস্বাভাবিক কিছু না, মানুষ ঈর্ষা থেকে অনেক কিছুই বলে।" আমি ওনার কথায় সায় দিয়ে বলেছিলাম, ঈর্ষা থেকেই লোকে এরশাদ শিকদার, কালা জাহাঙ্গীর, সাকা চৌধুরী, মইত্যা রাজাকারদের সমালোচনা করে। কীর্তিমান ব্যক্তিদের সব ত্রুটির সমালোচনাই ঈর্ষাতাড়িত।
( এরশাদ শিকদার, কালা জাহাঙ্গীর, সাকা চৌধুরী, মইত্যা রাজাকার, হুমায়ূন আহমেদ ) ???
আমি হুমায়ূন আহমেদের মুরীদ বলেই আহত হলাম
হাতে গোনা দুচারটা গল্প উপন্যাস ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের বাকী সব লিখাগুলো চানাচুরভাজার মতো।যখন খাবেন মানে পড়বেন এট্টুখানি কুড়মুড় কুড়মুড়... পরবর্তী একশন পেটপোড়া...চিন্তাবৈকল্য।
হিমুর কাছে তার আসল নাম বদলে হিমু নাম নিয়ে ব্লগিং করার অনুপ্রেরনা কিংবা কেন তিনি হিমু নাম নিলেন, সেটা জানতে চাচ্ছি?
গ্রামীন ব্যাঙ্ক নিয়ে সচলায়তনের বাড়াবাড়াটা বিরক্তিকর পর্যায়ে চলে গেছে। আপনারা তথ্য উপাত্ত এনে হাজির করে দেখান যে মাইক্রো ক্রেডিট আমাদের জন্য ভালো কিছু আনতে পারছে না। দুনিয়ার সবাইকে চ্যারিটি করতে হবে এমন তো কথা নেই। তিনি যদি ব্যবসা করে কাউকে ভালো কিছু দিতে পারেন সেটাতে কি সমস্যা? মাইক্রো ক্রেডিট যদি ফেইল করে সেটা কেন করছে সে ব্যাপাটাও জানা দরকার। সেরকম স্ট্যাট কোথায়? আপনাদের নাল হাইপোথিসিস আর কতদিন চালাবেন?
আর অনিন্দ্য রহমানের কম্মেন্টগুলো হাস্যকর, এবং প্রচন্ড বিরক্তিকর। অনিন্দ্য, সবাইকে আপনি নোবেল দেন, আর আমি আপনাকে তাল গাছ দিলাম। আপনার তাল গাছ আপনার কাছেই থাকুক
জনৈক ভাইয়া, হিমু আমার পিতৃদত্ত ডাকনাম। আমার আনুষ্ঠানিক মুসলিম নামখানা আকারে বড়সড় দেখে আমি সাড়ে পাঁচ বছর আগে যখন বাংলা ব্লগিং শুরু করি, তখন এই ছোটোখাটো ডাকনামটিই বেছে নিয়েছি। এইবার বলেন, আমার নামের শানে নজুল জেনে আপনি উপকৃত কি না। আপনিই বা আপনার পিতৃদত্ত নাম ফেলে কেন জনৈক পাঠক শব্দযুগল ব্যবহার করছেন, সেটাও জানতে কৌতূহল হচ্ছে। আপনি কি নিজের নাম ব্যবহার করতে ভয় পাচ্ছেন?
গ্রামীণ ব্যাঙ্ক নিয়ে কতিপয় বলদের তথ্যউপাত্তহীন উচ্ছ্বাসও খুব বিরক্তিকর। ক্ষুদ্রঋণের প্রভাবের ওপর কাজী খলিকুজ্জামানের একটি স্টাডি আছে, সেটি খুঁজে যাচ্ছি ক্রমাগত, পেলেই আপনার চরণকমলে নিবেদন করবো। আর ইন দ্য মিন টাইম, আপনি তথ্যউপাত্ত এনে হাজির করে দেখান যে মাইক্রোক্রেডিট আমাদের জন্য ভালো কিছু আনতে পারছে। সেটা সচলায়তনেই করতে পারেন, তাহলে আর "বাড়াবাড়া" নিয়ে বিরক্ত হতে হবে না।
আমি হাইপোথিসিস দিচ্ছি না, সুতরাং বার্ডেন অফ প্রুফ আমার ঘাড়ে আসে না। হাইপোথিসিস আপনারা দিচ্ছেন, সেটা প্রমান করার দায়িত্ব আপনার।
আমরাও কোনো হাইপোথিসিস দিচ্ছি বলে তো দেখতে পাচ্ছি না। হাইপোথিসিস স্টেটমেন্টটা পারলে কোট করে দেখিয়ে যাবেন। আর তথ্যউপাত্ত চাইছিলেন, একটু নিচে দেখুন, একখান গবেষণাপত্রের লিঙ্ক দেয়া আছে। ওটা পড়ুন। পড়া শেষ করে তারপর আসুন আবার তর্ক করি।
সচলের আরেকটা ব্লগ থেকে আপনার কথা একটু কোট করি,
এই ব্লগের ১৫ নাম্বার কমেন্ট
কি করব বলুন জ্ঞানী গুনীদের পদাঙ্ক অনুসরন করার ট্রাই করতেছি
হে হে হে, ১৫ নাম্বার কমেন্ট কপি করার তাড়াহুড়ায় তো পড়তেও ভুলে গেছেন মনে হইলো। লিঙ্কই যখন দিলেন, সেখানে টিবি দিয়ে ১৯ নাম্বার কমেন্টটাও পড়ে আইসেন। আমি তো লোকজনের দেয়া বিশাল প্রবন্ধ পড়ে জবাব দেই, আপনি তো ভাইজান খলীকুজ্জামানের পেপারটা খুলতেই সাহস পাচ্ছেন না। পড়ার কলিজা বা বিদ্যা না থাকলে, আপনার জন্য বাংলায় একটা সামারি তৈরি করে দেয়া যেতে পারে। ঐটা মন দিয়ে পইড়েন। ঠিকাছে না?
গুরুজনের পদাঙ্ক অনুসরন করি তো, না পিছলাইলে ক্যাম্নে হয়।তবে তালগাছটা কিন্তু গুরুর জন্যেই বরাদ্ধ রইল। কি করব বলুন, গুরুর কাছ থেকে সার্টিফিকেট পাওয়া হয়নি, তাই বলদই রয়ে গেলাম
ইউনূসরে তালগাছ দিলেন? উনার তো শুঞ্ছিলাম জীবনে চাওয়াপাওয়ার কিছু আর নেই, তবে তালগাছটা নিশ্চয়ই উনি কোনো না কোনো সামাজিক ব্যবসায় কাজে লাগিয়ে ফেলবেন।
আর আপনার জন্য এক পিস শান্তিতে
আতঙ্কে হাত পা ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
জনৈক ভাইয়া, আপনি মনে হয় কাজী খলিকুজ্জামান আহমদের উপরেও মারাত্মক বিরক্ত হবেন। আপনি বিরক্ত হলে তো পৃথিবীর আহ্নিক গতি কমে যাবে ভাইয়া, তাই মস্তকে একটু ঘৃতকুমারীর তৈল ঢেলে এই পেপারখানা একটু পড়ে দেখুন। কোথাও ওজর-আপত্তি থাকলে এসে জানিয়েন। পেপারটা স্ট্যাট দিয়েও ঠাসা। আপনার অলটারনেটিভ হাইপোথিসিসের কাজে লাগে কি না দেইখেন।
Socio-Economic and Indebtedness-Related Impact of Micro-Credit in Bangladesh
কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ সম্পর্কে জ্ঞাতব্য, তিনি ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেটচেঞ্জ এর সাথে যুক্ত। আইপিসিসি ২০০৭ এ শান্তিতে নোবেল পায়।
অট: ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন শান্তিতে নোবেল পায়। এই মিশনের শুরু থেকেই বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী অংশীদার। এই মুহূর্তে মিশনে বাংলাদেশের সেনা সংখ্যা সর্বোচ্চ। ৮৮ সালেও তারা দুইটা অপারেশনে অংশ নিছিল। সুতরাং ইউনূসের আগেও শান্তিতে নোবেল বাংলাদেশে আসছে। এবং সামাজিক ব্যবসা থেকেও জরুরি বিষয়ে সেই নোবেলগুলা দেয়া হয়। আমরা আরও একটা জিনিস ভুলে যাইতেছি, সেইটা হইল, ইউনূস একা নোবেল পায় নাই। গ্রামীণ ব্যাংক এই পুরস্কারের সমান অংশীদার।
খালি পীরছাবের মকবরায় আগরবাতি ছিটাইলে হবে?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
জ্বি না ভাই, পীর মানায় আমি বিশ্বাসী না। তাই ইউনুসের কথায় মাইক্রেডিট নিয়া লাফাই না, আবার আপ্নাগো নাল হাইপোথিসিস দেইখ্যা ইউরেকা কইয়্যা জামা কাপড় খুইল্যা দৌড়ানোরও ইচ্ছা নাই।
অসাধারন! তালগাছ যদি নিজে চাইতেন, এম্নিতেই দিয়ে দিতাম, তবে আপ্নের যুক্তির বাহার দেইখ্যা একখান নোবেল যে আপ্নের প্রাপ্য সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তা কে বলদ, আর কে গ্রহনযোগ্য পরিসংখ্যানবিদ সেই সার্টিফিকেটখানা নিসচইয় আপ্নের কাছ থেকে নিতে হবে? মূর্খ মানুষ তো! এগুলা তো আপনাগো কাছ থেকেই শিখুম
ভাইয়া, আপনিই কি উপরের জনৈক পাঠক? নাকি তার ছোটো ভাই একজন পাঠক? এইরকম পর্দাপুশিদা করলে কে কোনটা চিনবো ক্যামনে ভাইয়া?
আপনি যদি উপরের বুজুর্গ ভাইয়া হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার আবদার কিন্তু আমি পূরণ করলাম ভাইয়া। আপনি তথ্য উপাত্ত চেয়েছেন, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি কাজী খলীকুজ্জামান আহমদের তত্ত্বাবধানে করা একখানা গবেষণাপত্র আপনার চরণকমলে নিবেদন করেছি ভাইয়া। আপনি এখন এইটা পড়ে দেখেন, জামাকাপড় গায়ে রাখবেন কি রাখবেন না। কী কী ভুল এইখানে আছে, সেটাও দাগিয়ে দিয়ে যান ভাইয়া। আপনারা যদি আমাদের ভুল ধরিয়ে না দ্যান, তাহলে কীভাবে হবে ভাইয়া?
আপনি কার কথায় মাইক্রোক্রেডিট নিয়ে লাফান ভাইয়া? উনার নামটা বলে যান পিলিজ। আর পিলিজ বিরক্ত হয়েন না ভাইয়া, আপনি বিরক্ত হলে ওজোন লেয়ার পাতলা হয়ে যায়।
সবকিছুতে রেড হেরিং, বুলিয়িং আর ষ্ট্র ম্যান ইউজ করেন ক্যান? কই পাইলেন, আমি মাইক্রো ক্রেডিট নিয়া লাফাইতেছি?
উত্তর যে পেলুম না
সে কী ভাইয়া, আপনি তো মাইক্রোক্রেডিট নিয়ে তথ্য-উপাত্ত-প্রমাণ নিয়ে তখন থেকে ফোঁসফোঁস করছেন। আপনি না লাফালে কে লাফাচ্ছে বলুন? তা ইউনূসের কথায় যখন আপনি লাফান না, নিশ্চয়ই অন্য কোনো কেষ্টুবিষ্টু রয়েছে, যার কথায় আপনি লাফান। উনি কে ভাইয়া? একটু পরিচয়টা দিয়ে যান, ধন্য হতাম। আর নিজের কথা নিজে কোট করে আমাকে রেড হেরিঙের চচ্চড়ি খাওয়ালে চলবে?
গ্রহণযোগ্য পরিসংখ্যানবিদ, কিংবা অর্থনীতিবিদ, কে বা কারা, সেটা জানতে হলে আপনাকে কাজী খলীকুজ্জামান আহমদের যে পেপারটার লিঙ্ক দিয়েছি, ওটা মন দিয়ে পড়তে হবে। আপনি তো মনে হচ্ছে এই পেপারটা পড়ার ব্যাপারে বিশেষ অনাগ্রহী। একটু পড়েই দেখেন না। পড়া শেষ করে, তারপরে আসেন আবার কথা বলি। তথ্য-উপাত্ত চেয়েছেন, দেয়া হয়েছে। এখন কথা না ঘুরিয়ে চলুন একটু লেখাপড়া হোক। যদি পড়তে না চান, তাহলে কে বলদ সেটাও আমরা জেনে যাবো।
অনেক দিন ধরেই সচলায়তন এর লেখা পড়ি। বন্ধু সুজন (লুৎফুল আরেফিন) এর লেখা দিয়েই শুরু। তীক্ষ্ণ আর যুক্তিদীপ্ত লেখা সবসময়েই উপভোগ করি। বেশিরভাগ সময়েই লেখার চেয়েও ভালো লাগে মন্তব্য। কখনো করিনি, কিন্তু আজকে কিছু মন্তব্য করতে ইচ্ছা হোলো, বরং বলা যাক কিছু প্রশ্ন...
১। বয়স বা ভীমরতি এর সাথে লেখার গুণ এর কোনো সম্পর্ক আছে? তখনকার সামাজিক প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথ এর ও ভীমরতি হয়েছিল, তাতে তার লেখার বিশালতার কোনো তারতম্য হয়েছিল? হুআ চিরজীবন যা করে এসেছে, এখনো তাই করছে, সর্বত্রই 'নবধারা জল' বিতরন। আমার তো মনে হয় এটা তার নেতানো নুনুর মত পড়ে যাওয়া জনপ্রিয়তাকে একটু ভায়াগ্রা দেওয়ার চেষ্টা।
২। কয়েকটা মন্তব্যে দেখলাম হুআ এর লেখা অগভীর বলে আমাদের জাতীয় চেতনা উচ্ছন্নে গেছে ধরনের কথা। আমার কাছে খুব দূর্বল যুক্তি মনে হোলো। একজন লেখকের লেখা পড়ে যদি সবার মনোবৈকল্য ঘটে, তাহলে তো গুপ্ত দাদুর লেখা পড়ে সবাই রন জেরেমি, কিংবা পিটার নর্থ হয়ে যেত। যারা পাঁড় পাঠক (সৈয়দ মুজতবা আলী থেকে ধার করলাম), তারা টিনটিন থেকে লস্ট সিম্বল, সব ই পড়ে। প্রভাবিত হওয়াটা নির্ভর করে আমাদের মানসিকতার উপর। আমাদের মত আম-জনতা প্রভাবিত হয় 'গেরিলা' দিয়ে, আর কাউন্টারন্যারেটিভ-ডিকন্সট্রাকসন এ বিশ্বাসীরা হয় 'মেহেরজান' দিয়ে।
৩। অনিন্দ্য, হিমু...আপনাদের লেখা আমার অসম্ভব পছন্দ। কিন্তু আপনাদের মন্তব্যগুলো একটু আক্রমনাত্মক মনে হল। পরিস্কার করে বলতে গেলে...অনিন্দ্য এর মন্তব্যগুলো এড়িয়ে যাওয়া ধরনের, আর হিমুর গুলো একটু অপ্রাসঙ্গিক। হিমুর প্রতি আমার অনুরোধ, এতো ছোটোখাটো বিষয়ে মানুষকে আক্রমণ করা ঠিক আপনার সাথে যায় না। ছাগলের গন্ধ অসহ্য লাগে বলে এখন আর যাই না, কিন্তু এক সময়ে সামুতে যেতাম। ওখানে অপ্রাসঙ্গিক আক্রমনাত্মক কথাবার্তা খুব অপছন্দ হত, দয়া করে সেই পথে যাবেন না।
আরো কিছু লেখার ইচ্ছা ছিলো, গত চার বছর বাংলা টাইপ করি না, তাই গতি অত্যন্ত ধীর। সচলায়তন কে শুভেচ্ছা।
অনেক দিন ধরেই সচলায়তন এর লেখা পড়ি। বন্ধু সুজন (লুৎফুল আরেফিন) এর লেখা দিয়েই শুরু। তীক্ষ্ণ আর যুক্তিদীপ্ত লেখা সবসময়েই উপভোগ করি। বেশিরভাগ সময়েই লেখার চেয়েও ভালো লাগে মন্তব্য। কখনো করিনি, কিন্তু আজকে কিছু মন্তব্য করতে ইচ্ছা হোলো, বরং বলা যাক কিছু প্রশ্ন...
১। বয়স বা ভীমরতি এর সাথে লেখার গুণ এর কোনো সম্পর্ক আছে? তখনকার সামাজিক প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথ এর ও ভীমরতি হয়েছিল, তাতে তার লেখার বিশালতার কোনো তারতম্য হয়েছিল? হুআ চিরজীবন যা করে এসেছে, এখনো তাই করছে, সর্বত্রই 'নবধারা জল' বিতরন। আমার তো মনে হয় এটা তার নেতানো নুনুর মত পড়ে যাওয়া জনপ্রিয়তাকে একটু ভায়াগ্রা দেওয়ার চেষ্টা।
২। কয়েকটা মন্তব্যে দেখলাম হুআ এর লেখা অগভীর বলে আমাদের জাতীয় চেতনা উচ্ছন্নে গেছে ধরনের কথা। আমার কাছে খুব দূর্বল যুক্তি মনে হোলো। একজন লেখকের লেখা পড়ে যদি সবার মনোবৈকল্য ঘটে, তাহলে তো গুপ্ত দাদুর লেখা পড়ে সবাই রন জেরেমি, কিংবা পিটার নর্থ হয়ে যেত। যারা পাঁড় পাঠক (সৈয়দ মুজতবা আলী থেকে ধার করলাম), তারা টিনটিন থেকে লস্ট সিম্বল, সব ই পড়ে। প্রভাবিত হওয়াটা নির্ভর করে আমাদের মানসিকতার উপর। আমাদের মত আম-জনতা প্রভাবিত হয় 'গেরিলা' দিয়ে, আর কাউন্টারন্যারেটিভ-ডিকন্সট্রাকসন এ বিশ্বাসীরা হয় 'মেহেরজান' দিয়ে।
৩। অনিন্দ্য, হিমু...আপনাদের লেখা আমার অসম্ভব পছন্দ। কিন্তু আপনাদের মন্তব্যগুলো একটু আক্রমনাত্মক মনে হল। পরিস্কার করে বলতে গেলে...অনিন্দ্য এর মন্তব্যগুলো এড়িয়ে যাওয়া ধরনের, আর হিমুর গুলো একটু অপ্রাসঙ্গিক। হিমুর প্রতি আমার অনুরোধ, এতো ছোটোখাটো বিষয়ে মানুষকে আক্রমণ করা ঠিক আপনার সাথে যায় না। ছাগলের গন্ধ অসহ্য লাগে বলে এখন আর যাই না, কিন্তু এক সময়ে সামুতে যেতাম। ওখানে অপ্রাসঙ্গিক আক্রমনাত্মক কথাবার্তা খুব অপছন্দ হত, দয়া করে সেই পথে যাবেন না।
আরো কিছু লেখার ইচ্ছা ছিলো, গত চার বছর বাংলা টাইপ করি না, তাই গতি অত্যন্ত ধীর। সচলায়তন কে শুভেচ্ছা।
দীর্ঘ মন্তব্য ও উদ্বেগ প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ। আমার এই পোস্টটা হুমায়ূন আহমেদের বয়স নিয়া না। তার লেখার মান নিয়াও না। মধ্যবিত্তের সহ্যের সীমারেখা - সংক্ষেপে এইটাই এই লেখার বিষয়বস্তু। বুঝাইতে পারি নাই। আগামীতে আবারও চেষ্টা করব।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
সজীব ভাই, পীরের মুরিদদের আমি পীরের মুরিদ ডেকে স্মরণ করিয়ে দিই যে তারা পীরের মুরিদ। এতে পীরের মুরিদরা আহত হন কেন, সেটা বুঝি না।
হিমু ভাই কি খলিকুজ্জামানের পেপার টা পড়ছেন? নাকি খালি টাইটেল দেইখাই লাফাইতেছেন?
একটা সামারি দেয়া যাইত, কিন্তু আপনে আগে পড়েন, না বুঝলে সামারি দিমুনে।
সাঝু ভাই, ধরে ন্যান আমি টাইটেল দেইখাই ফাল পাড়তেছি। এইবার সামারি দ্যান দেখি।
বিশাল কমেন্ট দিবার পারি না কেন?
এফ ফাইভে টিবি দ্যান। সামারি যদি পেপারের চেয়ে বড় হয়ে যায় তাহলে চ্যাপ্টার ভাইঙ্গা দ্যান।
আরেব্বাস, জীবনে কুনু পেপার লিখি নাই, পড়িও নাই, পেপারের চেয়ে বড় সামারি আপনার লিখার ক্ষমতা আছে, কিন্তু আমার নাই...ঃড
আমি হইলাম কপি ক্যাট। কপি কইরা মজা পাই।
একটা লিংক দিলাম, কই গেল?
রেস্ট্রিকটেড গুগল ডকের লিঙ্ক দেন নাই তো আবার? প্লেইন টেক্সট পেস্ট করেন গো ভাইয়া।
সাঝু ভাই কি ঘুমিয়ে গেলেন নাকি গো? আপনার বিশাল কমেন্ট কুথায়?
এগজিকিউটিভ সামারিটা দিলাম গো ভাইয়া। বাংলা কইরা দেন।
Executive Summary
This study is based on data generated through face to face interviews with a country-wide (rural) representative sample of rural micro-borrowers numbering 2,501 (over 99% female). The field work was conducted during January-February 2006.
It has emerged from this study that micro-borrowers have generally remained tied to rudimentary trading, manufacturing, and other economic activities regardless of the length of time they have been micro-borrowing.# It also appears that micro-credit taken year after year repeatedly is the life line for the micro-borrowers to remain in business once they got involved.
The study results show that some of the micro-borrowers have benefited in terms of reasonable increases in income but in majority of the cases there has not been a significant increase in income and about a quarter earn from micro-credit related-activities and other sources taken together only about or below the average income of the rural poor.
It has also been found that access to adequate food even in quantitative terms remains insecure for about one-fifth of the respondents interviewed, while this is so for about another third in qualitative terms if not in quantitative terms. About 39% are unsure of any change in their access to food since enrollment and only about 7% have access to sufficient food in both qualitative and quantitative terms. Also, there has not been any improvement worth noting in terms of ownership of land (both homestead and agricultural) and large livestock since enrollment.
The finding that 71% of the respondents still cannot secure proper treatment or go to quacks is a testimony to the extremely poor health services in rural Bangladesh. However, as that figure is down from 96% before enrollment, there has been some improvement in access to health services. But it has been indicated by the large majority of those who have now access to better health services that the more important reasons for the improvement are awareness building by concerned government and nongovernmental organizations and availability of health services from them.
Regarding sanitation, only about 28% of the respondents have switched over to sanitary latrines since enrollment. But, once again, majority of them have suggested that the more important reasons are awareness building by concerned government and nongovernmental organizations and availability of advice of cheap latrines from them. Others were using sanitary latrines before and do so now or do not use such latrines now nor did they do so before.
In the case of children’s education also the more important reasons cited for whatever improvement took place since enrollment in relation to children’s’ education in general and girls’ education in particular include campaigns by government and nongovernmental organizations and also facilities and assistance provided by them.
In terms of overall living conditions, only about one-third of the respondents have indicated some improvement, while the rest have experienced no change or deterioration since enrollment. Clearly, therefore, the majority of the respondents have remained marginal in relation to their living conditions now as was the case before enrollment.
On the satisfaction scale, just over a quarter of the respondents are satisfied, while about 50% are dissatisfied and just under a quarter are neither satisfied nor dissatisfied with their present living conditions. As to the future prospects relying primarily on micro-credit, just over a third believe that the prospects are good but a third are apprehensive of bad prospects. In relation to social position, well over half of the respondents have reported no change and another 13% have reported deterioration, while about 28% have experienced an improvement. For the majority, therefore, there has been no improvement in social standing since enrollment.
Overall, therefore, socio-economic impact of micro-credit, as indicated by this study, is marginal. Obviously, some micro-borrowers have benefited to an extent but many have experienced no improvement. There are also those who have experienced even deterioration in certain respects.
Now, regarding debt burden, the micro-borrowing process seems to continue endlessly for most of the clients of the MCIs. It has been found that while they pay base interest rates between 10% and 15% (in some cases up to 18%), the effective rate of interest and the effective rate of cost of borrowing are as high as 27% and 31% respectively for Grameen Bank and even higher at 39% and 41% for PROSHIKA and 42% and 45% for both BRAC and ASA.
The first installment has to be paid in most cases after one week following the receipt of the credit. It is not possible to generate income within one week except, perhaps, through petty trading. About three-fourths of the respondents have paid the 1st installment by talking recourse to such measures as putting aside money out of the particular loan, sale of labour, previous savings, and earnings of husbands or sons from sources not related to micro-credit. Only about a quarter were able to generate funds within the week by undertaking some trading activity.
Regarding the payment of installments, about 48% of the respondents have indicted that they face difficulties in paying installments and are often obliged to take hardship measures such as borrowing from money lenders and others at high interest rates, borrowing from other MCIs, and sale of goats and other household effects. Of the 52% who have indicated that they are able to pay installments regularly do so out of incomes generated not only from economic activities run by using micro-credit but also from other sources and, not infrequently, they have to cut down on food and other essentials. In fact, most of the respondents (96%) have said that they are under pressure on a continuous basis as the next installment falls due just one week after a particular installment has been paid, knowing that unpalatable consequences will follow their inability to pay up. Generally, therefore, the micro-borrowers appear to remain vulnerable in the context of payment of installments and many become obliged to take such measures which increase their indebtedness and adversely impact on their economic prospects.
The MCIs can generate, as has been shown, huge credit funds (e.g. starting with an initial loan of Tk.5,000, the creation of credit under certain assumptions—including assumptions of 5% initial obligatory savings and 10% base interest rate, but weekly savings ignored—amounts to an additional credit of Tk.12,650 over a period of one year) through their credit supply and repayment collection activities. This is the reason why micro-credit is an attractive business for MCIs, leading to the establishment of hundreds of MCIs in the country, large and small. Such quick multiplication of credit funds helps the MCIs to sustain and enlarge their operations and prosper. But, as seen in this study, micro-borrowers often fail to break out of income poverty and many even get caught up in an increasing debt-burden syndrome and slide further into poverty, let alone moving on to significantly higher levels of income and living standards.
As indicated by the results of the study, not much has happened in relation to women’s empowerment through micro-credit. Only about 10% of the respondents have said that they are in full control of the economic activities run by using the micro-credit they take. The other 90% include those who either do not have anything to do about the use of micro-credits they take or they manage them in consultation or partnership with their husbands or other family members. The data generated has not allowed a decomposition of these two categories.
In family decision making, however, about three-quarters of the respondents are either given due importance regularly or at least occasionally now, but not so before enrollment. It appears that since women are now conduits of securing funds for the family through micro-credit, they are allowed to play a greater role in family decision-making. However, about a quarter of the female borrowers currently face physical or mental torture from one member or another of her family, usually the husband. About 60% of them have said that the intensity of torture has increased since enrollment. Another ominous finding is that in the families of some 82% of the female borrowers, exchange of dowry has increased since their enrollment. The pressure for dowry has mounted as it seems to be perceived that micro-borrowing enables the families to pay dowry more than otherwise.
গুগল ডকের লিংক, প্লেইন টেক্সট এ টেবিল আসে না। আপনেও তো গুগল ডক এর লিংক দিসিলেন, অইটা আইল কেমনে?
গুগল ডকটা যার, সে ওপেন করে রাক্সে।
নতুন মন্তব্য করুন