চারতলা বাড়ি শহরতলীতে। রতনের চাচার। চাচাত ভাইরা থাকে না। রতন থাকে। দেখাশোনা করে। মাসে মাসে ভাড়া উঠায়। দুপুর হলে পানির পাম্প বন্ধ করে দেয়। আর গালি খায়। ছোটকাল থেকেই খেয়ে আসছে। এর বদলে অবশ্য চাচাত ভাইরা একটা দোকান তুলে দিয়েছে, বাজারে। বিকালের পরে দোকানে থাকে। মাঝে মাঝে সুরাইয়ার কথা মনে করে। ভালোই লাগে। রতন তার গল্প বলতে চায়। তার গল্পতে এমনিতে কোনো আর্থরাজনৈতিক ভ্যালু নাই। সামাজিক অ্যাকশনও নাই। এইটা লেখকের খরাকাটানি।
***
দশ বছর আগের কথা। সুরাইয়া - তার বয়স ১৬ - তখন রুগ্ন ধরণের বালিকা ছিল। খেতে পারত না, পেতও না। রতন - তার বয়স ১৭ - মাসের ভিতর দশদিন হলেও যেত তিনতলায়, ঐখানে তারা ভাড়া থাকত। অবশ্য ভাড়া থাকার কথা ভাড়া দিলেই না আসে। সুরাইয়া আব্বা ভাড়া চাইলেই বলত, তোমার চাচারে বলবা যুদ্ধের সময় তারে আমি কী ফেবার করছিলাম। মনে তো পড়ে না কিছু। সব হারামির গুষ্ঠি। মাস ঘুরলো না, আয়া পড়ছে ভাতিজা। দে তোর চাচারে খবর দে। অর লগে আমার বুঝাপড়া আছে।
তারপর চাচা আসলে - চাচা আসত মাসে দুই একবার - সুরাইয়ার আব্বা একটা চেয়ার পেতে দিত। নিজে দাঁড়িয়ে থাকত আলমারির কোনায়। বলত, বশির ভাই আমার অবস্থা তো বুঝেনই। এই দেখেন হাতের মধ্যে দাগ হয়া গেছে কাম করতে করতে। তারপর হাত দেখায়। রতন কোনো দাগ দেখতে পায় না। বশির ভাই, আমার একটা মাইয়া। অই সুরাইয়া, তোর চাচারে চা দে। সুরাইয়া চা নিয়ে আসে। অর মায়ে একটা বালা রাইখা গেছিল। বান্ধা দিয়া আপনেরে টাকা দিয়া দিব। তারপর আল্লা মালিক। মইরা গেলেগা গেলাম। বাইচান্সের লাইচান্স নাই বশির ভাই।
তারপর, চাচা চলে গেলে সুরাইয়া অন্যান্য প্রেমকাহিনীর মতন ছাদে উঠে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে কাঁদে। রতনও। শহরতলীতে তখনও ধানখেত দেখা যেত। ঝোপটোপ। পুকুরও ছিল। রতন বলত, ঐখানে যাবা? সুরাইয়া যেত না। কথাও বলত না।
এর মধ্যে আসলে আর কোনো বলার মতন ঘটনা ঘটে না।
তারপর একদিন ভোরবেলা সু্রাইয়ার আব্বা কই জানি চলে গেলে সে হাজির হয় রতনের ছাদের ঘরে। সকাল বলতে সকাল তখনো আসে নাই। শীতকালে। রতন, রতন? রতন দেখে সুরাইয়া। আমার সাথে যাবা? পুকুরের ঐখানে? রতন কিছু বলার আগেই বলে, তুমি আগে যাও। আমি আসতেছি।
পুকুর পাড়ের ঘটনা সামান্য। সুরাইয়া অনেকক্ষণ ফুপায়। তুমি একটা কাজ কৈরা দাও। কী? আব্বা বলছে আম্মার বালা বন্ধক দিবে। সে কথায় কথায় এইটা বলে। আমার ভাল্লাগেনা। রতন বুঝতে পারে না কী বলবে। বলে, না না, বান্ধা দিবে না। সুরাইয়া বলে তুমি বাল বুজছো আমার। এই ধরণের কথার জন্য প্রস্তুত ছিল না রতন। সুতরাং সে যুগপৎ বিব্রত ও উত্তেজিত হয়। তারপর শুকনা গলায় বলে এইসব খারাপ কথা বলবা না। পুকুরের পাড়ে শীতকালের কুয়াশার ভিতরে তারা ঠিক করে পুরান ট্রাঙ্কের তালা ভেঙ্গে ঐ বালা উদ্ধার করা হবে। রতন প্রথমে দোনামনা করলেও প্ল্যান ফাইনাল হয়ে যায়।
***
বাজার থেকে তালাঅলা সেলিম এসে অনেকক্ষণ গুতাগুতি করে। সে রতনের চিনা লোক। তারপর তালাটা খুলতে না পেরে ভেঙেই ফেলে। এরপর আর লাগাতে পারে না। আর তখন সুরাইয়ার আব্বার ৫০ সিসি হুন্ডার শব্দ শুনে যে দিকে পারে ভেগে যায়।
গভীর রাতে, ছাদে বশির মিয়া, চাচাত ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সবুজ, সুরাইয়া আর তার বাপ, এবং রতন জরুরি সালিশে বসে। সবুজ বলে আব্বা, পোলাপাইন মানুষ বুঝতে পারে নাই। সুরাইয়া বলে আমি গোসল করতেছিলাম। খুটখাট শব্দ পাইয়া বাইর হইয়া দেখে ট্রাঙ্ক খুলা। কাউরে দেখি নাই। সুরাইয়ার আব্বা বলে, আমি দেখলাম রতন আর একটা পোলা দৌড়ায়া ভাগতেছে। তুমি দেহ নাই? বশির ভাই, রতনরে চেক করেন। বশির কিছু বলে না। থম মেরে বসে থাকে। সবাই অল্প কিছুক্ষণের জন্য থম ধরে। আর তখন সুরাইয়াকে জোরে একটা থাপ্পড় মারে ওর আব্বা। রতনরে দেখস নাই তুই?
রতন বালাটা পকেট থেকে বের করে দেয়। সবুজ আবার ক্ষীণ কণ্ঠে বলে আব্বা, পোলাপাইন মানুষ বুঝতে পারে নাই। সবুজের আব্বা খালি বলে, অরে সাতদিন তালা দিয়া রাখ।
***
তালা থেকে ছুটে রতন অন্য মানুষ হয়ে যায়। সুরাইয়ার সামনে পড়ে না। তারপরে একদিন সুরাইয়া একটু একটু করে আরেকটু বড় হলে - সুরাইয়ার ১৮ - শবে বরাতের দিন নামাজে নামার সময় দেখা হয়ে যায়। হালুয়া খাবা? নিজে বানাইছি। আর তকখনই, বিষয়টা বেশ নাটকীয়, দড়ড়াস আওয়াজে একটা পটকা ফাটে।
শবে বরাতের রাতে তারা আবার পুকুর পাড়ে যায়। সুরাইয়া বলে, আমাকে শনিবার দিন দেখতে আসবে। রতন বলে তোমার তো বিয়ার বয়স হইছেই। সুরাইয়া বলে আমার পছন্দ আছে। রতনের মাথায় ততকখনে আবার দড়াসদড়াস আওয়াজ হয়। সুরাইয়া বলে তুমি তোমার চাচার সাথে কথা বলবা। আজকে মঙ্গলবার। তুমি এর মধ্যেই বলবা। বুজছো? রতন বলে বুজছি। সুরাইয়া তখন আবার ঐ খারাপ কথাটা বলে। রতনের অত খারাপ লাগেনা।
কিন্তু শনিবার এসে যায়, এবং রতনের চাচার সাথে কথা হয় না। আর ঠিক এর পরের শনিবারই অনুষ্ঠান ধার্য হয়। সুরাইয়া বলে শনিবারের ভোরে পুকুরপাড়ে থাইকো। তুমি কাপড় চোপড় টাকা পয়সা নিয়া যাবা। আমি সাড়ে ৫টার মধ্যে চলে আসব। রতন বলে অন্ধকারের মধ্যে আসবা কেমনে? সুরাইয়া হাসে, বলে ওরে আমার স্বামী, আমার জন্য কত চিন্তা! বলে খিলখিল করে হাসতে থাকে। রতন খুব সঙ্কোচের সাথে বলে, একটা কথা বলি? বলো। তুমি ঐ বালাটা নিয়া আইসো। তাইলে আমাদের ভাল হবে। সুরাইয়া আবার খিলখিল করে উঠে। ওরে আমার সেয়ানা স্বামী। না আনলে কী আমাকে নিবা না? রতন কথাটায় আঘাত পায় বলে মনে হয়। সে বলে, লাগবে না। তুমি আইসো তাইলেই হবে।
শনিবারের দিন, দুপুর পর্যন্ত সুরাইয়াকে দেখতে না পেয়ে, রতন বাসায় ফিরে। দেখে সুরাইয়ার দশবারোজন বান্ধবী। সুরাইয়ার আব্বাকেও দেখে। সে বলে, আইছে ভাতিজা। বাড়িত একটা বিয়া, একটু হাত লাগাইবা তাও না। তোমার চাচা আমারে দোস্ত মানে। সে আমার সুরাইয়ারে একটা স্বর্ণের লকেট দিছে। আর তুমি হৈলা তার ভাতিজা। একটু হাত লাগাইবা তাও না।
অবশ্য তিনরত্তির লকেটে সুরাইয়ার কী। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে দুই হাত ভরে চারগাছি বালা দিয়েছে।
মন্তব্য
খরা কাটল তাইলে! এইটারে যে ফাউল গল্প বলবে তার ফাঁসির দাবীতে আমি জাফর ইকবাল স্যারকে লিখতে বলব! আপ্নে নিজে তালিকায় প্রথমে থাকলেন!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
চমৎকার। আপনার লেখা চোখে ভাসে। প্রথম প্যারায় ছোট ছোট বাক্যগুলো কী সচেতনভাবে করা? জহির রায়হানের লেখায় এমনটা দেখেছি। শুরুতে গতি তুলতে বেশ সাহায্য করে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
লাফাংরাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
জহির রায়হানের নভেলে মাঝে মাঝে চিত্রনাট্যের ধাঁচ পাওয়া যায়। সেইটা স্বাভাবিক কারণেই। তার শেষ উপন্যাস 'আর কতদিন', শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে ডিকটেশন দিয়া লিখা।
ছোট বাক্য গতি বাড়ায়, এইটা যেমন ঠিক। আবার মাঝেমধ্যে ফ্লো কাটায়া দেয়, এইটাও ঠিক। আমার এই লিখাটায় ছোটবাক্য তুলনামূলক কম। আগে আরো বেশী দিতাম।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অলস সময়
পুরোই ফাউল গল্প
@ Sheikh Rajiuddin - বুঝে নে বাবা
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
নামের আগে 'শেখ' আছে কৈলাম। ঝুলায়ে দিলেও দিতে পারে, কওন যায়!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ধন্যবাদ
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
সেইরামমমমমমমমমমমমমমম হইছে
ধন্যবাদ
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
লাফাংরাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
লেখার মাঝখানে কলম (কী-বোর্ড) কে চেপে ধরেছিলো? গল্পটা তো অসম্পূর্ণ রয়ে গেলো!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মিনহোয়াইল সুরাইয়া তার বাচ্চা কোলে নিয়ে টিভি দেখছিল। গীত হুই সবসে পরায়ী - অর্থাৎ গীত হলো সকলের পর। গীতের পেটে গত একবছর ধরে বাচ্চা। কিন্তু পেট বাড়ছে না। সুরাইয়া এই খচখচানিটা দূরে রেখে সিরিয়ালটা উপভোগের চেষ্টা করছে। সে প্রতিদিন এই করে। সুতরাং, গল্পটা একপেশে হতে বাধ্য হয়। সুরাইয়ার দিকে কোনো গল্প নাই। তারপরও কেউ কোনো গল্প খুঁজে পেলে বর্তমান লেখকের সাথে যোগাযোগ করবেন।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হ্যাঁ।
খরাকাটানি
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ধন্যবাদ
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপনার লেখা এই প্রথম পড়লাম, কিন্তু আপনার কথা শুনেছি সচলে ব্লগিং করার পরামর্শের সাথে সাথে। লেখা ভালো লাগলো, আরো লেখার অপেক্ষায় থাকবো, এতোটুকু বলে যাই। শুভেচ্ছা,
ধন্যবাদ তানিম। আমার আগের লেখাগুলা এইখানে পাওয়া যায়।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
চমৎকার লাগলো!!!!!!!
ধন্যবাদ
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
বেশ লম্বা একটা গ্যাপ দিলেন। গল্প দারুন ভালো লেগেছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হুঁ ... এইটা ফিলিন্দাগ্যাপ
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
লেখাটা ভালো লাগল কিন্তু মাঝে মাঝে কোথায় যেন সুর কেটে গেল, যাই হোক আমি গরিব মানুষ আমার আবার সুর-বিচার। লেখার জন্য
ধন্যবাদ শ্রীকৃষ্ণ।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
জটিল লাগলো।
ধন্যবাদ
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মুখ্য দ্বন্দের সুরাহা করতে না পারলে এই হয় আর কি
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
দ্বন্দ্ব দুই প্রকার। গৌন আর যৌন।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ভালো হয়েছে গল্প
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
থ্যাঙ্কস ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
নায়কের নাম রতন জেনে খুব ভালো লাগলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হুম... আকার দিছেন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
থাউক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অবশেষে অপেক্ষা সাঙ্গ হল। গল্প লাজওয়াব
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ধন্যবাদ
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ধন্যবাদ
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
চমৎকার গল্প। চলুক!
ধন্যবাদ
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
রতন তাইলে সুরাইয়ারে না পাইয়া বিদেশ গেল গিয়া?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হুম... তবে আগের কিছু বেশি প্রিয় ... যাইহোক, খরা না থাকলেই হইলো...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তাতেই চলবে
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
বাইরে ছিলাম দেখে এই গল্পটা পড়া হয়নি। সুন্দর লাগলো।
... প্রথম দিকে ছোটছোট করে বাক্য শেষ করায় একটা ঘটনা হয়। পাঠকের মনোযোগ কন্সেন্ট্রেট হইতে পারে না, ফলে পুরা মনোযোগ দিতে হয়। তখন তার গল্পটা পুরা না পড়ে উপায় নাই। ...
খরাকাটানি চলুক।
ধন্যবাদ সুহান। তুমি দেখি একটা টেকনিক বাইর করলা।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
নতুন মন্তব্য করুন