আফসান চৌধুরি হাতেপায়ে লিখছেন। সবশেষটা পা দিয়ে লিখে থাকবেন। চৌধুরি সাহেবের পায়ের ধুলা।
উন্নয়ন বাণিজ্যে ভাড়াখাটা অন্যথায় সাংবাদিক পরিচয়ধারী চৌধুরি সাহেব সম্প্রতি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেছেন। বলেছেন, বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়ে গত পঞ্চাশ বছরে একজন চিন্তক বা থিংকারের জন্ম হয় নাই। হবেও না শিওর। পরপরই বলেছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যায় থেকে স্কলার আশা করে না কেউ। চৌধুরি সাহেবকে চিন্তক বা স্কলারের (এদুইকে গুলিয়ে ফেলেছেন ইংরাজি বাগাড়ম্বরের এই পরাকাষ্ঠা) একটা তালিকা কেউ একজন ধরিয়ে দিতে পারেন। রাও ফরমান আলি প্রায় পঞ্চাশ বছর আগেও চিন্তক কি স্কলারের একটা তালিকা করতে পেরেছিল, চৌধুরি সাহেব পারছেন না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে চৌধুরি সাহেব প্রকাশ করেছেন বিশেষ বিরক্তি। বলেছেন যারেই জিগাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের অর্জন কী? কয়, বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর, নব্বই আর দুইহাজার আট (এই বছর, চৌধুরি সাহেব যেই ভাসুরের পুরা নাম নেন নাই, বাতেনি ভাষায় লিখেছেন 'এমএল', সেই মিলিটারির দখলদারি ঠেকায় ঢাবি ছাত্র-শিক্ষকেরা)। চৌধুরি সাহেব বলেছেন আরে ধু্ত্তেরি বায়ান্ন আর একাত্তর!
উন্নয়নের পাশপাশি মানবাধিকার বাণিজ্যেও মহাসমারোহে ভাড়া খাটা চৌধুরি সাহেব লিখেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা এতই খারাপ যে সেটা মেথরদের কর্মক্ষেত্রের মতনই নিচু মানের। তার আক্ষেপ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্র-শিক্ষকেরা মেথরের ন্যায় আচরণ করে। মেথররা চৌধুরি সাহেবকে নিশ্চয়ই বলবে চৌধুরি সাহেব আমরাও মানুষ!
তবে কিনা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকেরা ঠিক ময়লা পরিস্কারের কাজটাও ঠিক মতো করতে পারছে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকোত্তর মাননীয় সম্পাদক তাই তার পত্রিকায় নিয়ম করে আবর্জনা ছাপাচ্ছেন।
চৌধুরি সাহেব লিখেছেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সকলি গাধা। আবিষ্কার করেছেন এই ধ্রুব সত্য : গাধা কখনো দুধ দেয় না। গোয়ালাদের নিয়ে চৌধুরি সাহেব কিছু লিখেন নাই। কিন্তু তারা ছাত্র-শিক্ষক-মেথরের মতনই আছে মুশকিলে। প্রবাদ যেমন, লাথি না দেয়া পর্যন্ত চৌধুরি সাহেব বিশ্বাস যাচ্ছেন না যে গরু দুধ দেয়।
সে অপেক্ষায় আছে, কবে গরুটা চৌধুরি সাহেবকে একটা লাথি দেয়।
[পাঠ করেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আফসান চৌধুরির শ্রেণীবিদ্বেষশোভিত বনেদিপনা, গাধা কখনো দুধ দেয় না]
হালনাগাদ
চৌধুরি সাহেবের সবচেয়ে লম্বা জীবনী পাওয়া গেল পাকিস্তানের ডন পত্রিকায়। সেখানে জানা গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র চৌধুরির জীবনের রোমাঞ্চকর তথ্য। চৌধুরি তখন এমফিল গবেষণা করতে নেমেছিলেন ১৯৭১ এর "যুদ্ধ" নিয়ে। সত্তরের দশকের শেষ দিকে। সেইসময় মারাত্মক সব ফৌজি ডকুমেন্ট হাতে এসে যায় তার। তিনি জানতে পারেন চাঞ্চল্যকর এক সত্য: আমরা যেসব রাজনৈতিক কর্মসূচিকে পবিত্র ভাবি সেগুলি আসলে খোদ পাকিস্তানি মিলিটারিরই চাল।তাকে প্রশ্ন করেছে নুরুল কবীর (প্রশ্নও খিয়াল কৈরা): '১৯৭১ এর "যুদ্ধ" বা পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের "বিচ্ছিন্নতা" ঠেকানো যেত না?’ চৌধুরি সাহেবের জবাব: 'আলবৎ! [পাকিস্তান] সরকারের ব্যর্থতা এই "সংঘাতে"র সৃষ্টি করে। যদি না পাকিস্তানের শাসকশ্রেণী ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জনগণের রায় মেনে শেখ মুজিব ও "তার" আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা হস্তান্তর করত তাহলে বিচ্ছিন্নতার প্রশ্নটাই উঠত না সেইসময়।' এরপর চৌধুরি সাহেব তার যুগান্তকারী-হইতে-গিয়াও-হইল-না আবিষ্কারের বোমা ফাটান। তিনি বলেন, 'এমনটা হয় নাই ['ক্ষমতা হস্তান্তর'] কারণ, কিছু ফৌজি নথি থেকে বেরিয়ে আসে, তখনকার পাকিস্তানি মিলিটারি ব্যুরোক্রিসির দেশটির পূর্ব অংশ (বাংলাদেশ)কে বোঝা মনে করত, ফলস্বরূপ, তারা "সিদ্ধান্ত" নেয়, বাংলাদেশকে "ঝেড়ে ফেলার"।' অর্থাৎ পাকিস্তান ঝেড়ে ফেলায় আমরা স্বাধীন হয়ে গেলাম।
[মূল ইংরেজি: Could the war, or the secession of Bangladesh from Pakistan for that matter, have been prevented in 1971? Chowdhury quipped, “Why not? The failure of governance led to the conflict. If the Pakistani ruling class of the time had honoured the people’s mandate as it was manifested in the 1970 general elections and handed over power to Sheikh Mujibur Rahman and his Awami League, the question of secession would not have arisen at that time. But it did not happen, because, as certain military documents revealed later, a section of the erstwhile military bureaucracy of Pakistan had considered the country’s eastern wing (Bangladesh) a burden for them and, consequently, decided to jettison it.”]
যাই হোক, চৌধুরি সাহেবের হাতে লেগে যাওয়া এযাবৎ জানা ইতিহাসের মুখোশ খুলে দেয়া এইসব নথির উপর ভিত্তি করে এমফিলকে পিএইচডিতে রূপান্তরের পরিকল্পনা করেন তিনি। কিন্তু ১৯৮৫তে এই মহাপরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের আসল সত্যকে ইয়াতিম করে দিয়ে সাংবাদিকতায় ব্রতী হন।
ডনের প্রবন্ধের লিঙ্ক
সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের লাঠিয়ালও বটে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়ের বিরুদ্ধে অসৎ বিষোদগারের পিছনে টেকাটুকা নাই এই কথা জোর দিয়ে বলা কঠিন।
মন্তব্য
আফসান চৌধুরির লেখাটা পড়িনি, পড়ার খুব ইচ্ছেও হল না। তবে আপনার লেখা সার-সংক্ষেপ থেকে মনে হল ব্যাপারটা পরিষ্কার ‘ধৃষ্টতার’ পর্যায়ে চলে গেছে।
(এই প্রচারণা খোদ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উপর প্রভাব বিস্তার করছে। গত সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন একটা ক্লাশের সব ছাত্র-ছাত্রীদের কোন একটা সুযোগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/রাজনীতি ইত্যাদি নিয়ে কিছু খোলাখোলি মন্তব্য জানতে চেয়েছিলাম। আমি ‘শকড’।)
যতদূর জানি আফসান চৌধুরীও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের ছাত্র।
কেউ নিশ্চিত করতে পারবেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধৃষ্টতা এবং অকৃতজ্ঞতার নমুনা...
"Anyone asked about the great achievement of Dhaka University always mentions its role in the 1952 Language Movement, the 1969 anti-Ayub agitation, the 1971 war, the anti-Ershad movement of the 1990s, the anti-ML agitation of 2008, etc."
খেয়াল করলাম
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মূল পোস্টে প্রাসঙ্গিক আপডেইট।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এখন কি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসরকারীকরণ করাটা দাবী নাকি?
আসল লক্ষ্য সেটাই ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ওর লেখার নিচে বিডিনিউজ এ জবাব দিয়েছি। কেউ চাইলে দেখতে পারেন।
পড়লাম। ধন্যবাদ।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিন্তক(গণ) ১৯৭১ নিয়ে কোনো পি এইচ ডি করেছেন কিনা(বহি বা মেমোয়ার প্রসব নয়, গো+এষণা আরকি!) তা ইকটু জানতে মঞ্চায়! করলে তার একটা ক্রমপঞ্জী পাওয়া যাবে কি? একটু খাঁটি(!) দুধের পানি(যদি থাকে) পরখ করতে চাচ্ছিলুম আরকি!
আপনি কি নাঈম মোহাইমেন, না তার ল্যাংবোট?
আমি আনন্দ, আপনি যেমন হিমু। ওকে?
সেইম লেভেলে খেলবেন? রাজি থাকলে ওপেন করলাম, পরবর্তী চাল আপনার এপ্রোচের উপরে ভিত্তি করে হবে। ওকে?
"স্ট্রেইট কোশ্চেনের স্ট্রেইট আন্সার না দিতে পারলে এড়িয়ে যাওয়াটাই মঙ্গল।"- প্রাচীন জংলী প্রবাদ।
নাঈম মোহাইমেনের ল্যাংবোট বলায় কি রাগ করলেন? কালই দেখছিলাম, গীতিআরা ম্যাডামের দেয়ালে নাঈমের হাপুস কান্না। ১৯৭১ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে কোনো পিএইচডি অভিসন্দর্ভ খুঁজে পান নাই নাঈম। আপনি কি সেই কান্নাকাটি কান্ধে নিয়ে ফেরি করছেন? ইতিহাস বিভাগ থেকে ১৯৭১ নিয়ে পিএইচডির অভাব গোটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর চাপায় দিলেন?
আপনার স্ট্রেইট কোশ্চেন এখনও এডিট করতে পারেন, "ইতিহাস বিভাগ" কথাটা যোগ করে। অন্য কোনো বিভাগের চিপাচাপা থেকে পিএইচডি বের হয়ে গেলে লজ্জায় পড়বেন না?
আপনি যেহেতু মোটামুটি নিশ্চিত যে এই কাম ঢাবির কেহ করেন নাই, নিশ্চয়ই সেইটা নাঈম মোহাইমেন বা তার মত দুধেল গবেষকের শ্রমলব্ধ সন্দর্ভ পড়েই জেনেছেন। ঐটার লিঙ্ক একটু দিয়ে যায়েন। ফেসবুকের পাঁচিলে চিকা দেখে যদি ফাল দিয়ে এইখানে এসে পড়েন, তাহলে সমবেদনা জানায়ে গেলাম।
আমি কোত্থেকে কি জানি সে বিষয়ে আপনার গায়েবী জ্ঞান দেখে অভিভূত না হয়ে পারলাম না! ইতিহাস নিয়ে টুকটাক যে স্রেফ ফেসবুক কিংবা বরেণ্য/অবরেণ্যদেরদের চোথা না পড়েও জানা যায়(মানে মূল বই পড়ে আর পড়িয়ে আর কি!) এই জাহেরী জ্ঞানও নিশ্চয়ই আপনার রয়েছে!
আমার শরম-লজ্জা নিয়ে আপনার অশেষ নজরেই বরং শরম পাচ্ছি একটু একটু!
তা খামাকা আশেপাশে ঘুরেঘুরে জল ঘোলা না করে স্ট্রেইট উত্তরটাই দিয়ে দিন না? আদৌ কি আছে পি এইচ ডি পাবলিকেশনস ৭১ এর যেকোনো কিছু নিয়ে(জলবায়ু হলেও চলবে)? থাকলে কি কি? আর এমন তো না যে আপনার কাছ থেকেই আমি উত্তর দাবী করছি! জানলে জানাতে পারেন, না জানা থাকলে নাই।
একটা স্বাধীন দেশের প্রধান বিদ্যাপীঠ তার স্বাধীনতা নিয়ে কি কি গবেষণা করলো তা জানতে চাওয়াতেও যখন লেজুরবৃত্তি দেখতে পাচ্ছেন তখন এইটুকু অন্তঃত বলা যায়, গাধা না হলেও দুধেল গাই আর নেই, বেচারা বড্ড বুড়িয়ে আর ফুরিয়ে গিয়েছে।
আহাহা, ঐ মূল বইটার নাম একটু বলে যান না। পৃষ্ঠা নম্বর পর্যন্ত যেতে পারলে আরও ভালো হয়। কার লেখা কোন মূল বই পড়ে জানলেন এই তথ্যখানি? আমিও পড়ে কিছুমিছু জানতে ইচ্ছা করি। ঢাবির লোকজনের সাথে মাঝেমধ্যেই বাহাস করতে হয়, এইরকম একখান গরম জিনিস উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ বলতে পারলে তাদের প্যান্ট খুলে দেয়া যাবে। স্ট্রেইট উত্তর দিয়েন কিন্তু।
আপনার পানের সুবিধার্থে জলটা একটু ঘোলা করে দিলাম বলে দুঃখিত। আপনার স্ট্রেইট প্রশ্নটা নিয়েই একটা আন্ডারগ্র্যাড থিসিস হতে পারে। কিন্তু আপনি যেহেতু বলছেন, বই পড়ে জেনেছেন, কাজেই উত্তরটা আপনার কাছে আছে। ঐ বইটা আমিও পড়তে চাই।
দুধেল গাইয়ের কি শুধু বাঁটই থাকে ভাইয়া? লেজও তো থাকে। আর লেজস্বিতা থাকলে সেই লেজে ঝোঝুল্যমান মফিজ আপনা থেকেই জোটে। আপনার কাছ থেকে বইটার নাম পেলেই লেজুড়বৃত্তির সম্ভাবনা চুকেবুকে যাবে। তাই চটপট বলে দিন নামটা।
আপনার কথা এড়ানোর প্রতিভায় আমি বিমুগ্ধ, বিমোহিত!
এত্তগুলো গোল গোল শব্দের সম্ভারে সাজানো ডালির ভেতর কিন্তু একটা কথাও পেলুম না যা আমার প্রশ্নকে উত্তরের আলোয় রাঙিয়ে তুলতে পারে!
কেউ প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সে জায়গায় যদি আমায় আবার প্রশ্ন করে ফেলে তবে আমি তার উত্তরে আবার কিছু বলি না! পাছে না বেয়াদবী হয়ে যায় আবার? তর্কশাস্ত্রও বলে যে সাবধান! ইহা পরিষ্কারার্থে ব্যবহৃত ছিন্ন খণ্ড বস্ত্র আবেষ্টনীকরণের লক্ষণ! আর সারবস্তু মিলিবে না!!! আর অতিঅবশ্যই খুবই সাধারণ 'জানিনা' শব্দটিও অনেকেই বলতে জানেন না।
যাকগে, সর্বলক্ষণ তৈলচিক্কণ, পঞ্চরঙের শব্দমর্দনে মর্জি নেই আজ। বুঝে গেলুম যে ও প্রশ্নের উত্তরে আপনি বড্ড নীরব(আর ঠিক তাই সেটা এড়িয়ে যেতে বড্ড সরব!)
[নিঃসঙ্কোচে পরবর্তী মন্তব্যগুলো করে যেতে পারেন। ওয়ার্ড প্লে বস্তুটা বেশ মজাদারই বটে। তবে আমাকে পাবেন না যদি না সরল-সহজ পথে উত্তর দিতে ব্রতী না হন।]
আপনার প্রশ্নের উত্তর তো আমার জানা নাই ভাইয়া। আমি তো এজন্যই বললাম, আপনার প্রশ্ন নিয়ে একটা আন্ডারগ্র্যাড থিসিসই হয়ে যায়। হাফমিদুল টাইপ কেউ লিখলে সেটা পিএইচডি থিসিসও হয়ে যেতে পারে, কিছুই বলা যায় না।
কিন্তু আপনি তো উত্তরখানা জানেন ভাইয়া। নিজেই কবুল করে গেছেন, বহিপাঠের মাধ্যমে ইতিহাস নিয়ে টুকটাক জানা যায়। তা কোন পুস্তকে আপনি এই তথ্য পেলেন যে ১৯৭১ নিয়ে গোটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো পিএইচডি করা হয়নি, সেটা তো বলছেন না। ঐ পথখানি কি এতই জটিল রে ভাইয়া?
একটা বইয়ের নামই তো। বলেন না ভাইয়া। কেন পিছলে যাচ্ছেন? আপনি যে বই পড়ে জেনেছেন, নাঈম মোহাইমেনের ফেসবুকপাঁচিলস্থ হাপুস কান্না মাঠার কলসীতে ভরে বেচে বেড়াচ্ছেন না, সেটা তো আপনারই দাবি। তার সপক্ষে একখানা নাম উল্লেখ করিতে জনাবের সদয় মর্জি হয়। নিবেদনান্তে।
জানেন না জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
যাক্! ত্যানা প্যাঁচানো থেকে এবার আমাদের আলাপালোচাল(নতুন চাল আর কি!) এখন টুইস্টিং পর্যায়ে পৌঁছেছে। মিউচুয়াল কংগ্র্যাটস! খেলা এখন সেকেন্ড লেভেলে!
অধম কোথায় দাবী করেছে যে 'কোনো পি এইচ ডি হয়নি ৭১ নিয়ে' তা একটু কষ্ট করে দেখিয়ে দিয়ে যদি অশেষ অবদানে(র নাগপাশে) বাধিত করতেন তাহলে চিরকৃতজ্ঞ থাকতুম! সে স্রেফ জানতে চেয়েছে এরূপ কোনো অভিসন্দর্ভ প্রসবের সুখবরের, তাই না?
হাঁ, অধম 'নিজেই কবুল করে গেছেন, বহিপাঠের মাধ্যমে ইতিহাস নিয়ে টুকটাক জানা যায়' কিন্তু অধম কোথায় এটা কবুল করেছেন যে তার মুখে গুঁজে দিচ্ছেন নিচের কথাগুলো?
'কোন পুস্তকে আপনি এই তথ্য পেলেন যে ১৯৭১ নিয়ে গোটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো পিএইচডি করা হয়নি' ????
মদীয় দ্বিতীয় কড়চাখানি না বুঝলে(নিঠুর দুনিয়া হে, বড় ভ্রমাত্মক!) নির্দ্বিধায় আবার পাঠনিবেশ করতে পারেন, চাই কি অধমকে বুঝিয়ে দিতে আদেশও করতে পারেন, বান্দা সদা হাজির। খালি ওই টুইস্টিং ফুইস্টিং না করলেই হলো আর কি!
আহারে, দাবির রাস্তা থেকে সরে গিয়ে কৌতূহলের চিপাগলি আগলে দাঁড়াতে হলো রে ভাইডি?
মূল বইয়ের নাম আফসান চৌধুরি। পোস্টে গোয়েন্দা ঝাকানাকা ও চৌধুরি সাহেবের পিএইচডি রহস্যের প্লট যোগ করলাম।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
@আনন্দ,
ইয়ে,ঢাবি কবে থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধান বিদ্যাপীঠ হলো?এই প্রধান বিদ্যাপীঠ হবার শর্তগুলো কী কী?অন্যান্য অপ্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেসব দিক থেকে কীভাবে পিছিয়ে আছে?
অন্যান্য অপ্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের চিন্তক(গণ) কর্তৃক প্রস্তুতকৃত 'থিসিস' হলে হলে কি চলবে স্যারের?চললে আওয়াজ দিয়েন।
নাঈম মোহাইমেন দুধেল গবেষক?
হুঁ। শক্তি আছে পুষ্টি আছে আছে ভিটামিন।
আপনি যে ব্যাপার টি জানতে চেয়েছেন, তা নিয়ে একটি আস্ত একটি জার্নাল পেপার হয়ে যায়, সুতরাং ব্লগে এভাবে হাওয়ার উপর এ ধরনের উত্তর জানতে না চাওয়াই ভালো। আশা করি ব্যাপার তা আপনার বোধগম্য হবে, আর আপনি চুপ যাবেন।
১। খালুজানের ওয়েবসাইট (খবর+অপিনিয়ন+ব্লগ) নিয়মিতভিত্তিতে একটা সুসংগঠিত পরিকল্পনা অনুযায়ী এই ধরনের নানা জিনিস পাঠকের পাতে দিয়ে যাচ্ছে। লেখাটার নিচে পাঠকদের মন্তব্যের ধরন থেকে পরিকল্পনাটা কতটুকু সুসংগঠিত সেটা সম্পর্কে ধারণা করা যায়। মন্তব্যকারীদের মধ্যে চেনা-চেনা নামগুলো থেকে কারা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারিগর সেটা বোঝা যায়।
২। একচল্লিশ বছর আগে রাও ফরমান আলী আর তার দলবল বিস্তারিত তালিকা তৈরি করে রাজধানী থেকে শুরু করে জেলা-থানা পর্যায়েও থিংকার-স্কলারদের খতম করে গেছে। এই প্রক্রিয়া এরপর বন্ধ হয়ে গেছে এমনটা ভাবার কোন কারণ নেই। গত দশ বছরে চাপাতি দিয়ে কোপানো, খুন করে গামছা দিয়ে বেঁধে ম্যানহোলে ফেলে দেয়া, ঘরে ঢুকে গুলি করে ঘিলু বের করে ফেলা এমন ঘটনাগুলোর কথা কি আমরা ভুলে গেছি! থিংকার বা স্কলার না হলে ঐ নিরীহ ভদ্রলোকগুলোকে রাও ফরমান আলীর প্রেতাত্মাদের রোষের শিকার হতে হয় কেন?
৩। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে খাদ্যঘাটতি যে পরিমাণে ছিল, ২০১২ সালেও খাদ্যঘাটতির পরিমাণ প্রায় ঐটুকুই আছে। অথচ এই সময়ে জনসংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। খাদ্য উৎপাদনে এই বিপ্লবটার শেষ পর্যায়ের কাজটা আমাদের কৃষক ভাইয়েরা করেছেন সত্য, তবে গবেষণা, গবেষণার ফল কৃষকের কাছে পৌঁছানো, কৃষককে পরীক্ষণে রাজী করানোর কাজগুলো আমাদের পাবলিক ইউনিভার্সিটির প্রডাক্টেরাই করেছেন। তাঁদেরকে থিংকার বা স্কলার কোন ক্যাটেগরীতে ফেলা যাবে সেটা পাঠক জানেন। একটা মাত্র উদাহরণ দিলাম। আরো উদাহরণ টানা যায়, তবে জ্ঞানপাপীদের কাছে এ'সব উদাহরণ বোধগম্য হবার কথা না।
৪। আমাকে কেউ কি বাংলাদেশ ছাড়া আর একটা দেশের উদাহরণ দিতে পারেন, যে দেশে ছাত্ররা তাদের দেশের ইতিহাস ধনাত্মক অর্থে বদলে দিতে পেরেছে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
টুইটার
গাধা দুধ দেয় না এইটা আফসানের আত্মজীবনীর নাম হিসেবে খুবই ভালো। কিন্তু বেচারা খালুপেপারের সম্পাদকেরা আঙুলে সরিষার তেল মেখে চেষ্টা করেই যাচ্ছে করেই যাচ্ছে।
বুদ্ধিজীবী আর বানচোদ, দুটো শব্দের বানানই ব দিয়ে শুরু হয়! ব্যাপারটা খুব ইন্টারেস্টিং না?
একবার বলসিলাম যে, বুদ্ধিজীবী মানে হল যারা বুদ্ধিবৃত্তিক পেশা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। আর যাদের বুদ্ধির স্থান মস্তিষ্কের বদলে অণ্ডকোষে অবস্থান করে এবং যারা বুদ্ধি দিয়ে ইচ্ছেমতন বিচিং করেন, তাদেরকে বলা হয় বুদ্ধিবীচি।
এইবার বুঝে নিন কে কোথায় অবস্থান করেন।
@দ্রোহী: আমার মনে এই প্রশ্নটা অনেক আগে আসছিল , যাক আপনি আজকে করে ফেললেন। বুইড়া আঙ্গুল উচা ইমো হবে (জানি না কি কারণে ইমোটিকন দেখা যাচ্ছে না)
আফসান চৌধুরীর লেখাটা পড়লাম। এক কথায় ধৃষ্টতা মনে হলো।
টুইটার
বিডি নিউজের মতামত বিশ্লেষণগুলোতে এখন আর চোখ বুলানো হয় না খুব একটা। প্রায়শই বিরক্তির উদ্রেক করে।
আামারতো মনে হয় লেখা না পড়েই ওরা ছাপিয়েছে।
গাধা প্রাণীটা স্তন্যপায়ী বলেই জানতাম।
আসল কথা কথা হলো, সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের 'দুধ' চৌধুরী সাহেব বা তাদের দাতাগোষ্ঠি মনিবদের মুখে কোন কালেই রুচে নাই, আসছে সময়েও রুচবে এমন কোন আভাসও পাচ্ছি না আপাতত। উনারা তাই ব্যাপক উৎসাহে বেসরকারী উদ্যোগে গরুর খামার বানিয়ে যাচ্ছেন। আর আমরা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের গাধারা দেশকে স্বাধীনতার পর থেকে একটু একটু করে টেনে নিয়ে যাচ্ছি আর সেই বেসরকারী খামারের গরুরা কবে দুধ দেয় তা দেখার জন্য গত ১৫-২০ বছর ধরে গ্যালারীতে ইট পেতে বসে আছি।
হাহা, কিন্তু গাধা কি আর এতোকিছু জানে ?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
শিরোনামে টাইপোঃ
। আপটেড-কে আপডেট করে আপডেট করে নিন প্লিজ!
****************************************
ঠিক্করা হৈছে। এইবার কন্টেন্টে প্রবেশ করতে পারেন।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আসল কথা বের হয়ে আসতেসে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সেখানে পড়ুয়াদের নিয়ে এই বিষোদগার একেবারেই ঢালাও ও ভিত্তিহীন। কথা সরাসরি বলা ভালো। বলতে চাচ্ছেন এক কথা, বলছেন অনেক ঘুরিয়ে টুরিয়ে অন্য কথা, তাইলে তো মুশকিল।
কেডায়? আমি না চৌধুরি সাব? চৌধুরি সাব তো মুনয় টেকাটুকা পায়, কথা প্যাচানির লাইগা।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আপনি আমি কী কামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সেখানে পড়ুয়াদের নিয়ে বিষোদগার করুম কন? হোয়াই?
হাহা ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হালনাগাদ অংশতো পুরা রহস্য কাহিনী । কঠিন অবস্থা।
আসল রহস্য হচ্ছে, আফসান চৌধুরী কর্তৃক মলেস্টেড ঐ গাধাটার পরে কী হৈল।
একটা প্লট দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।
বেশ বলেছেন, অনিন্দ্য ভাইয়া! মেথরের পরিস্কার করা নগরে চলাচল করবো, বুয়ার পাকানো তরকারি খাবো, কসাইয়ের জবাই করা মাংস খাবো- তারপরও আমরা (তথাকথিত নাগরিক সমাজ) ব্যবহার করতে পিছপা হব না আমাদের অতি প্রিয় গালি 'মেথর', 'বুয়া' বা 'কসাই'। কিছু পেশাজীবীকে নিয়ে এভাবেই গড়ে উঠেছে কিছু নাগরিক গালি।
নুরুল কবীরের প্রশ্নটায় অবাক হইনি। যেমন অবাক হইনা শফিক রহমান, আসিফ নজরুলদের কথাবার্তায়। আর আফসান চৌধুরির কথা কি বলব? গোআ, মইত্যা বা সাকাদের তবু চেনা যায়; কিন্তু এইসকল ছদ্মবেশী পাইক্কাদের হাত থেকে আত্মরক্ষা কঠিন হয়ে পড়ে, নতুন প্রজন্মের অনেকেই পাতা ফাঁদে পা দিতে পারে!
অসম্ভব শক্তিশালী পোস্ট, অনিন্দ্য ভাইয়া!
রামছাগলে ভরিয়া গেল দেশ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
মূল প্রবন্ধটি আরেক বার পড়লাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বলতেছে -
এতো গাত্রদাহ হয় ক্যান সেইটা বুঝতে হবে। রাজনৈতিকভাবে সচেতন মানুষজন দেশে বেড়ে গেলে কাদের সমস্যা হয় সেইটা নতুন কইরা বলার কিছু নাই।
কারা আর? মামারা ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
স্কুল পর্যায়ে যারা বাংলাদেশে লেখাপড়া করেছেন এবং যাদের বয়স ৩৫-এর উপরে তারা ‘একের ভিতর পাঁচ’ নামে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের (ব্যাকরণ, রচনা, পত্র ইত্যাদি) একটি বই দেখেছেন/পড়েছেন। এই বইটির লেখকের নাম গোলাম সামদানী অথবা গোলাম সামদানী কোরায়েশী। ৩১ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় তার বইটি পড়েছিলাম। এই সামদানী সাহেব তার বইয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনাটিতে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটনের কারণ হিসেবে যা বলেছিলেন তা মোটামুটি এই রকমঃ
পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের মধ্যকার নানা অসন্তোষ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকলে পাকিস্তানের সরকারের নিকট এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, পূর্ব পাকিস্তান অনতিবিলম্বে পাকিস্তানের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাবে। যেহেতু পূর্ব পাকিস্তান, পাকিস্তানের বিশাল সামরিক ব্যয়ের বড় অংশের যোগানদাতা ছিল তাই তারা আলাদা হয়ে গেলে পশ্চিম পাকিস্তানের একার পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সম্ভব ছিল না। এই কারণে, আলোচনার মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানকে আলাদা হবার সুযোগ দেবার বদলে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে একটি যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলা হয়; যাতে এই যুদ্ধে তাদের এক লাখের বেশি সদস্য নিহত হয় অথবা পরাজিত হয়ে সামরিক বাহিনী থেকে বহিষ্কৃত হয়।
বলাই বাহুল্য, সামদানী সাহেব তার এই মতবাদের উৎস বা তার পক্ষে কোন দলিল প্রদর্শন করেননি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
একটা মুশকিল হয়ে গেছে পাণ্ডবদা, লোকজনের মাথায় একটা নরুন-দিয়া-সার্জারির সমান্তরাল আলোচনার মডেল ঢুকে গেছে। মানে ধরেন আফসানের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়া বক্তব্যে মেকলে সায়েবের মতন উন্নাসিকতা নিয়া আলোচনায় তার রাজাকারি (বিশেষণ হিসাবে নিতে হবে) কাণ্ডকারখানা আমলে নেয়া যাবে না। অন্যএক ব্লগে দেখলাম, একজন বলতেছে 'আফসানকে রাজাকার বানানির চেষ্টা করতেছে কেউ কেউ' এই মর্মে আক্ষেপ। এই আক্ষেপের মূলে গেলে নানা জিনিসের নাগাল পাইবেন। যেমন, কে রাজাকার কে রাজাকার না এইটা বড় কথা না, বড় কথা হইল কে 'শাসক-শ্রেণীর' তাবেদার। শব্দচয়ন খিয়াল কৈরা। এই রেটরিক ৭১ থাইকাই একটা প্যাথলজিকাল মিথ্যুক শ্রেণী অ্যডপ্ট কৈরা আসছে। এই রেটরিকে শাসক-শ্রেণীর *** এরও ক্ষতিবৃদ্ধি হয় না, লাভ হয় রাজাকারের, রাজাকারির। আর ইতিহাসের আইরনি হইল, রাজাকার কিন্তু পাকিস্তানি শাসক-শ্রেণীর তাবেদরাই বটে। নরুন সার্জনেরা (এইখানে আবার ন্যাটিভ চিকিৎসাশাস্ত্ররে হেয় কইরা উপনিবেশবাদী চিকিৎসাবিদ্যার প্রতিস্থাপন ঘটাইতেছি এমনটা ভাইবেন না )আফসানের মেকলেগিরির চিকিৎসা চায়, কিন্তু রাজাকারির চায় না। কিন্তু ঐ দুইটার গোড়া যে একখানে ...
ইতিহাসেরও একটা মজা আছে। নুক-মতি-মাহফুজের পত্রিকায় আইসা মেকলে আর রাজাকার উভয়ে মিলিত হইছে দেখেন।
সামদানী কোরায়েশীর নাম যাই হোক, গোলামটা মানাইতেছে ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
একটা জিনিস যোগ করতে চাই----পাকিস্তানের শাষক গোষ্ঠী/সামরিক জান্তার পূর্ব-পাকিস্তানকে "ঝেড়ে ফেলার" এই তত্ত্ব আগেও পড়েছি---মুনতাসির মামুনের লেখা একটা বই আছে, "পরাজিত পাকিস্তানী জেনারেলদের সাক্ষাৎকার" বা কাছাকাছি নামের, যেখানে তিনি পাকিস্তান সফরে গিয়ে ৭১এর সময়কার ঘটনা নিয়ে ঐ জেনারেলদের সাথে আলোচনা করেছিলেন। আলোচনা শেষে মুনতাসির মামুনও "ঝেড়ে ফেলা" তত্ত্বে গিয়ে থিতু হন। বইটা পড়েছি ২০০৪/২০০৫ এর দিকে, কবে প্রকাশ ঠিক জানি না।
পরাজিত পাকিস্তানী জেনারেলদের দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধ : মুনতাসীর মামুন (সময় প্রকাশনী)
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এই লোক শিক্ষার অর্থই জানে না। রাজনৈতিক সচেতনতা শিক্ষার অংশ এবং আমাদের মতো পরিস্থিতির দেশে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ, আমাদের রাষ্ট্র পরিচালকরা সুযোগই খুঁজতে থাকে কিভাবে পাবলিকের ইয়ে মারা যায়। এ অবস্থায় শিক্ষিত লোকজনই যদি রাজনৈতিকভাবে সচেতন না হয়, তাহলে পুরা ধরা। শিক্ষা থেকে রাজনৈতিক সচেতনতা বাদ দেয়ার এই আকাম খুব জোরেশোরে চলেছে গত কয়েক দশক ধরেই এবং এই আকামের হোতা মূলত সমাজের সুবিধাভোগী শ্রেণী। এই লোক এই সুবিধাভোগী শ্রেণীর একজন মুখপাত্রমাত্র। এর মূলেই সমস্যা আছে। সুবিধার জন্য এ যেকোনো কিছুই বলতে পারে।
পাবলিক ইউনিভার্সিটির পরিবেশ নিয়ে সমস্যা থাকলে সে সমস্যা থেকে বের হতে হবে। কিন্তু এ জন্য পাবলিক ইউনিকে ধবংসের মুখে ঠেলে দেয়া উচিত না। রাজনৈতিক পরিচয়ে মারামারি কাটাকাটি তো রাজনৈতিক শিক্ষার অংশ না; রাজনৈতিক শিক্ষার অংশ অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা এবং সে অধিকার সংরক্ষণের জন্য কাজ করা। রাজনৈতিক পরিচয়ে মাইরপিট হলে তার জন্য আদালত আছে; কিন্তু সেই অজুহাতে রাজনৈতিক সচেতনতার দুয়ার বন্ধ করে দেয়া দেশের জন্য কোনো কাজে আসে না।
বাংলাদেশের মতো জনশক্তি রপ্তানির দেশে প্রাইভেট উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরকার আছে। কিন্তু পাবলিককে বাঁশ দিয়ে যেভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি খোলা হয়েছে, সেটা মূলত এই সুবিধাভোগী শ্রেণীকে হরিলুটের সুযোগ করে দিয়েছে। একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি মানে বিশাল বিজনেস। উচ্চশিক্ষা 'সবার' মৌলিক অধিকার না হতে পারে; কিন্তু সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের জন্য প্রয়োজনীয় স্কেলে পরিমাপ করে সেরা মেধাদেরকে অবশ্যই উচ্চশিক্ষা দিতে হবে দেশের স্বার্থেই।
প্রাইভেট শিক্ষা বাণিজ্য দেশকে বাঁশ দিতে বিরাট ষড়যন্ত্রের অংশ। সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে পুরা শিক্ষা সিস্টেমটাকেই কলুষিত করা হয়েছে। শিক্ষার যথাযথ মানোন্নয়ন না করে একটা ফাঁপা ফলাফলের (এসএসসি, এইচএসসি) মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে বাস্তবতাশূন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এই উচ্চাকাঙ্ক্ষার অবধারিত পরিণতি হচ্ছে গিয়ে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি। পুরো সিস্টেমের শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আর তার ফসল তুলছে চৌধুরিরা।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
+ রাজনীতির অর্থও জানে না।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
I do agree with many points of Mr. Afsan Chowdhury.
I have been graduated from Dhaka University in 1998. For the last twelve years I have been teaching in private universities. I have a direct experience of nine years of Dhaka University as a student. At the same time I have spent twelve years at private universities as a teacher. I have some different observations from Mr. Afsan Chowdhury on this issue.
Mr. Afsan has started his write up by describing the situation of Jahangirnagar University. With few differences I agree with his explanation regarding this issue. Then in the second para of his writing Mr. Afsan dramatically attacked public universities with special reference to Dhaka University. He declared, “The intellectual tradition and the public education system do not co-exist.” I strongly oppose his view about the “public education system”. Mr. Afsan, how many examples of our national pride and achievements (in any branch of our intellectual field) you can give which are not nurtured and supported (directly or indirectly) by the “public education system” of Bangladesh? Majority of the intellectual legends of Banglsdesh are from the “public education system”. Let me help you to recall some names: in poetry Shamsur Rahman, Al Mahmud etc; in art and painting: Zainul Abedin, Kamrul Hasan etc; in science Kudrat-e-Khuda, Abdullah-Al-Muti Sharfuddin etc; in journalism Manik Mia, Motiur Rahman or Afsan Chowdhury etc; in corporate world thousands of top executives – who is not produced by “public education system” of Bangladesh, Mr. Afsan? Would you please show me any of the local or multinational company/organization/media/political party/private university or any other institution of Bangladesh which is not run by the graduates of the “public education system” of Bangladesh! I am sure you can not do that. You do not have that much time even. You are rather very happy to see the increasing number of comments on your write up and definitely you are cheered by your fellow colleagues (আরে বস্, যা লিখসেন না... একদম ফাটায়া দিসেন... ইত্যাদি... ইত্যাদি...).
I can point out many more limitations of your write up. However, I am not doing this right now.
Yes, finally, again I want to say that I do agree with many points of you Mr. Afsan. Public education, specially, public universities of Bangladesh are suffering from many more problems. However, ignoring public university is not the solution of these problems. Public education system is the driving force of the “intellectual tradition” of our country. For our existence as a nation, we must find out the right solution for our public universities as well as for the private universities also.
(Mr. Afsan, I have heard that you are also involved with private universities which are also suffering from several problems, specially the BRAC University, in which you are working. Would you please tell us something about the problems of your university, at least, about the problems of private universities of Bangladesh in your next write up, Mr. Chowdhury?).
অনুগ্রহ করে বাংলায় মন্তব্য করুন। সচলায়তনে বাংলা এবং ইংরেজি, দুই ভাষাতেই ব্লগিঙের সুযোগ আছে, এবং পোস্টে যথাক্রমে বাংলা ও ইংরেজিতে মন্তব্য কাম্য। কনট্রোল অল্টার পি একযোগে চাপলে আপনি ফোনেটিক লেআউটে বাংলায় লিখতে পারবেন। ধন্যবাদ।
আপনি যাদের নাম লিখছেন, তারা সকলেই স্কলার না। আর আমরা যাদের নাম জানি তারা ছাড়ও স্কলার থাকতেই পারে। বিষয়টা কে স্কলার কে স্কলার না সেটার না। বিষয়টা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি একতরফা বিষোদগারের। এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরজানীতিকরণের পক্ষে ষড়যন্ত্রের।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
চৌধুরী সাহেব নতুন লেখা ছেড়েছেন বাংলায়--
[url=http://http://opinion.bdnews24.com/bangla/2012/05/16/পাবলিক-বিশ্ববিদ্যালয়-ও-গ/]পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও গাধা সমাচার --- আফসান চৌধুরী[/url]
কলনিয়াল মানসিকতা। প্রথমে ইংরাজিতে বয়ান করছেন, ভাবছেন মুর্খ নেটিভরা বুঝে নাই। তাই নেটিভ জবানে পুনর্বয়ান। আগেরটার চেয়েও অপাঠ্য।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
কোথায় যেন পড়েছিলাম, ক্লিওপেট্রা গাধীর দুধে গোসল করতো। [url=http://en.wikipedia.org/wiki/Asses'_milk_(Donkey's_milk)]উইকিতেও[/url] দেক্লাম একই কথা বলা আছে। চৌধুরী সাহেব তো শুঞ্ছি ইতিহাসের ছাত্র আছিলেন।
ওনার আসলে ডাইনোসরের দুদু নিয়ে আক্ষেপ করা উচিত ছিলো।
নতুন মন্তব্য করুন