... যাইবার কালে নিয়তি এমন এক দান দিল। কেউ ভাবেও নাই। প্রথমে প্রচুর ধুয়া দেইখা বাইর হইলাম, বিয়াপক আনন্দের সহিত। দেখলাম তারা ভাগছে। তারপর দেখলাম, নাহ, একটারে রাইখা গেছে। সিনন। সে কয়, তারে নাকি তার লোকেরাই বলি দিতে চাইছিল, যেহেতু সে লুকাইতে পারছে, জীবিত এখন। ওকে। কিন্তু ঐটা কী!
যখন আমরা মোটামুটি অর্ধেকের মতন লোক তব্দা খায়া আছি ঘোড়াটার সাইজেই, তখনও কেউ কেউ ভাবছিল বিষয়টা। কিন্তু সবার গুজগুজ ফুসফুস ছাপায়া থাইময়তেস – সে পরহেজগার লোক – বলল, এইটাকে প্রাচীরের ভিতরে আনা হউক। এনে কেল্লার মাঝখানটায় বসাও। সে তো এলেবেলে লোক না, তিনকাল দেখতে পায়। তাও জানবুঝকে বদমায়েশি করল, নাকি ট্রয়েরই কপালের দোষ, সেই প্রশ্ন অবান্তর। সম্পূরক তথ্য আছে অবশ্য একটা। থাইময়তেস যৌবনে বাণী দিছিলেন এক বিশেষ দিনে এক ব্যাটাছাওয়ালের জন্ম হবে, ট্রয়ের বিনাশ ঘটাইতে আর কাউরে লাগবে না। সেইদিন প্যারিসচান প্রায়ামরাজের ঘরে পয়দা হইল। রাজার জ্ঞাতিগুষ্টিতে থাইময়তেসের ঘরেও আসল পুত্রসন্তান। রাজা নিজেরটা রাইখা থাইময়তেসের ছেলেকে মারল। সুতরাং তার *ুতিয়ামি করার লজিক খুঁজলে পাইবেন।
কিন্তু থাইময়তেসের কথা শেষ হওয়ার পরে, ক্যাপিস অনেকখন হাউকাউ করল। ক্যাপিস লোকটার মেজাজ আউলা হইলেও আমি আবার সম্মান দেই কারণ তার মাথায় মাল আছে। সে বলে, বস্তুটারে ডাইরেক পানিতে ফালা। নাইলে তলা দিয়া আগুন দে। প্যাটের মধ্যে গুতা দিয়া দ্যাখ বিষয় কী। কিছু লোক হায় হায় করছে তখন এইসব শুইনা। বলছে মারবেন তো সব্বাইরে। দেবী আথিনার ভেট, প্যাটে গুতা দিবেন? সিনন পোলাটা তখনো এক কোনায় দাঁড়ায়া কান্তেছিল, বলে, ঠিকই তো। তাছাড়া খালি গ্রিক বইলা এমন সুন্দর জিনিসটারেও ফালায়া দিবেন? সিননের কথায় পয়েন্ট আছে, কেউ কেউ ভাবছে। আশ্চর্য শিল্প এই তাজ্জব তোফা। ক্যাপিস লোকটা শুধু শিল্পের সাথে রাজনীতি মিশাইতে চায়।
এরপরে আসল লাওকোঅন। আমরা মোটামুটি দুইপার্ট হয়া আছি। জাতির মধ্যে বিভক্তি। লাওকোঅন কেল্লার উপর থেকা নাইমা আসে, চিল্লায়া বলে 'হুই মিয়ারা, কুফার গুষ্টি, মাথামুথা আছে না গেছে? তোমরা কি আসলেই ভাবতেছ শত্রুরা ভাগছে? ক্যান তোমরা ওদিসিয়াসের বানানি এই জিনিসটারে বিনা সংশয়ে কোলে তুলতেছ? ওদিসিয়াসের হিস্ট্রি এতো তাড়াতাড়ি খায়া ফেললা? অয় কি লাইনে আসার জিনিস? হয় এইটার ভিতরে গ্রিকরা পলায়া আছে, অথবা এইটা এমন এক যন্ত্র যেইটার আমাদের সীমানার বইসা আমাদেরই উপর গুপ্তচুরামি করবে। অথবা অন্য কিছু করবে, যেইটা এখন মাথায় আসতেছে না। কিন্তু শুইনা রাখো, এইটা যেই চীজই হোক, গ্রিকদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়া আসে, তখনও।
লাওকোঅনের উপর গজব নামতে বেশি দেরি হইল না। পসাইডন তাকে তৎক্ষণাৎ সর্প দ্বারা দংশন করাইল। সে নাকি পসাইডনের মন্দিরে কবে কোন বেয়াদপি করছিল, তার টাইমলি জবাব। তবে অনেক বলে এইটা দেবী আথিনার কোপও হইতে পারে, যেহেতু সকল ঘোড়ার মালকিন সে।
পাবলিকের একাংশ ব্যাপক হাত্তালি দিয়া ঘোড়া ঢুকাইল। আমরা চুপেচাপে হাত পকেটে সান্ধাইলাম, আর কী করব।
(যাই হোক, তারপরের ইতিহাস কার না জানারে ভাই। ঐদিন প্রথম আলো পত্রিকায় 'ঘোড়া প্রীতি ও ঘোড়া ভীতির দোটানা' শীর্ষক প্রবন্ধ পইড়া এতোসব পুরানা কিচ্ছা ইয়াদ আসল। মাফ কইরেন। আমার আবার আলো থাকতে থাকতে অ্যান্টিভাইরাসটা আপডেট মারতে হবে।)
ছবি: ঘোড়া নিয়া সিনন, উৎস
মন্তব্য
শিল্পের সাথে রাজনীতি মিশাবেন না।
লেখায়
কালচারের সাথে আলসার মেশানোর এহেন চুদুর বুদুর চইলত ন !!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ফারুক গুয়েবাড়া যে কোনো সার্কাসশিল্পীকে কাবু করার মতো দক্ষ ডিগবাজ। রাস্তায় ডুগডুগিকুশল বানরও এমন পল্টি দিতে পারে না।
গুয়েবাড়াদা লিখেছেন,
অথচ এই গুয়েবাড়াদাই বছর দেড়েক আগে নিজের স্ত্রীর মালকিনের পরিচালিত মেহেরজান সিনেমার জন্য কালিস্খলনে মশগুল ছিলেন। তিনি রিকনসিলিয়েশন তত্ত্ব চুদিয়ে বলেছিলেন,
(বিস্তারিত পড়তে হলে এখানে)
গুয়েবাড়াদা বছর বছর এইভাবে লব্জ পাল্টে কাভি ধর্ম কাভি জিরাফ করে বেড়ালে তো মুশকিল। কখনো তিনি বিস্মৃতিকে অবিচার বানিয়ে দেবেন, আবার কখনও উদ্ভট হোগাকল্পিত ভালোবাসার সাক্ষী হওয়ার জন্যে বিস্মৃতির ময়দানে বাদামবুট খেতে চলে যাবেন ... এ তো বড় মুশকিল দেখছি।
গুয়েবাড়াদা একটা মোটরসাইকেলের অভাবে যেমন বিপ্লব করতে পারছেন না, তেমনি পারছেন না একটা ডুগডুগির অভাবে প্রচুর বানরকে বেকারত্বে ঠেলে দিতে। আমরা গুয়েবাড়াদাকে একটা ডুগডুগি চান্দা তুলে বা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থেকে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে কিনে দিতে পারি কি?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
উনাকে ডুগডুগি দেওয়ার দরকার নাই, বান্দরগুলোরওতো কিছু করে ধরে খেতে হবে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ঘোড়া সান্ধানোর পক্ষে যুক্তির একটা মহড়া দেখা গেলো।
তার মানে বুঝলাম পুঁজিপতিরা নির্বিষ ঢোঁড়া সাপ। "করে নাকো ফোঁসফাস মারে নাকো ঢুঁসঢাস" হয়ে থেকে শোষণ আর লুটের টাকা ক্যামনে রক্ষা করা যায় সেইটা কিন্তু বুঝতে পারলাম না।
সাইয়্যেদ কুতুব, মুহাম্মাদ কুতুব, হাসান আল বান্নাদের উপর যথেষ্ট অত্যাচার চলেছে সে'কথা সত্য। তবে তারা আর তাদের দলগুলি দুধে ধোয়া তুলসীপাতা এ'কথা সত্য নয়।
এই কথা জামায়াতের জন্য যেমন সত্য, ইখওয়ানুল মুসলেমীনদের ভাই-বেরাদরদের জন্যও তেমন সত্য। নিজের সুবিধা মতো জায়গায় মিল খুঁজবেন আর সুবিধা না হলে বলবেন বে-মিল - এটা কেমন কথা!
ওদিসিয়াসের চেহারাটা মনে হয় দেখা যায়, তার ঘোড়াটার আকার-আকৃতি কেমন হবে সেটাও বোঝা যায়।
ঘোড়া সান্ধানোর পক্ষে যুক্তির আরেকটা মহড়া দেখা গেলো। আগাছার মূল উপড়ে না ফেলে উপর দিয়ে কাটলে সেই কাটাকাটি কোন ফল বয়ে আনে না।
সিনন আর ওদিসিয়াস যে মামাতো ভাই-ফুফাতো ভাই এই সত্যটা ট্রয়ানদের মতো ভুলে গেলে চলবে না। পকেটে হাত সান্ধায়া বা হাততালি দিয়া হাতকে ব্যস্ত রাখলে সেই অবসরে কল্লাটা চলে যেতে পারে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
জামাতের ট্রোজানকরণ (?) একটা দীর্ঘমেয়াদী ঘটনা। ভার্জিলের ইনিডে ট্রোজান হর্স সংক্রান্ত ঘটনাবলীর সাথে দারুণ মিল পাইলাম। সেখানে পরিচিত আরো ক্যারেক্টারের দেখা পাইবেন। মূলত ঐখান থেকেই কপি করছি।নিচের অংশটার:
Some were amazed at virgin Minerva’s fatal gift,
and marvel at the horse’s size: and at first Thymoetes,
whether through treachery, or because Troy’s fate was certain,
urged that it be dragged inside the walls and placed on the citadel.
But Capys, and those of wiser judgement, commanded us
to either hurl this deceit of the Greeks, this suspect gift,
into the sea, or set fire to it from beneath,
or pierce its hollow belly, and probe for hiding places.
The crowd, uncertain, was split by opposing opinions.
Then Laocoön rushes down eagerly from the heights
of the citadel, to confront them all, a large crowd with him,
and shouts from far off: ‘O unhappy citizens, what madness?
Do you think the enemy’s sailed away? Or do you think
any Greek gift’s free of treachery? Is that Ulysses’s reputation?
Either there are Greeks in hiding, concealed by the wood,
or it’s been built as a machine to use against our walls,
or spy on our homes, or fall on the city from above,
or it hides some other trick: Trojans, don’t trust this horse.
Whatever it is, I’m afraid of Greeks even those bearing gifts.’
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
প্রথম আলোয় মন্তব্যগুলো দেখে খুব মজা পেলাম। জামাতি’রা বেতন ভুক্ত কর্মচারী রেখে দিয়েছে তাদের নিয়ে যে-কোন লেখায় তাদের পক্ষে লড়াই করার জন্য।
কতরকম তরিকায় যে বেজন্মারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাবে; লাভ নাই, বাঙালী কঠিন জিনিস, সময়ে টের পাইয়ে দেয়।
জামাতিরা প্রথমালুতে কমেন্ট করার জন্য লোক রাখছে শুধু এইট্টুক ভাবলে ভুল হবে। আলুর সম্পাদকীয় লাইনটাই জামাতাপন্ন।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
facebook
একেবারে মোক্ষম উদাহরণ অনিন্দ্য।
গ্রিকদের ফেলে যাওয়া ঘোড়া কোলে তুলে নিয়ে ট্রয় পুড়ছে, পাইক্যাদের ফেলে যাওয়া জামাতিদের মাথায় তুলে নাচার কারণে বাংলাদেশেও যে পোড়া লাগছে সেটা তো ২০০১-এই দেখা গেছে। এদের মূলোৎপাটন করা না হলে সামনের সুযোগে এরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কচুকাটা করবে বাঙালীদের। এইটা ভবিষ্যতবাণী না, বাস্তবতা।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
[ আলুর লিংকে আলুর দোষ আছে, আসে না তো! ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন