মৃতরা কী চায়? অদ্ভূত প্রশ্ন, কারণ জীবিতরা কী চায় এই প্রশ্নেরই উত্তর মিলে না। আর প্রশ্নটাও ঠিক অর্থপূর্ণও না। কত লোকে কত কিছু চায়। তার কী একটা উত্তর আছে? নাই। কিন্তু মৃতরা কী চায়, এমন প্রশ্নের পৃথিবীর সকল সংস্কৃতিতেই আবার একটা উত্তর পাওয়া যায়।
মৃতরা, কথিত আছে, চায় শান্তি। কিন্তু শান্তি জিনিসটাতো দৃশ্যমান না। মাপা কিংবা গোনাও যায় না। সুরতাং, বিবিধ সমাজের নিয়মনীতির দ্বারস্থ হলে জানা যাবে, মৃতরা চায় তাদের যথার্থ সৎকার হোক। নানা সমাজে নানা কালে সৎকারের বিচিত্র রীতি আছে। কিন্তু অন্তিমযাত্রা শান্তিপূর্ণ করবার দায়-দায়িত্ব মৃতর নিজস্ব সমাজের উপরই বর্তায়। প্রায় সমাজেই সাধারণত এটা সামাজিক দায়, কিন্তু আবার সমাজের সকল ব্যক্তির দায়িত্ব না। অর্থাৎ গ্রহণযোগ্য সংখ্যার লোক পালন করলেই চলে। 'ফর্জে-কিফায়া' বলে মুসলমানদের ব্যাকরণে।
আস্তিকতা-নাস্তিকতা এবং মানুষের এদুইয়ের অন্তবর্তী ধর্মীয় চেতনগুলির বিভিন্নতা লক্ষ্য করলেও একটা জিনিস অস্পষ্ট নয় – সৎকারের একটা প্রতীকি তাৎপর্য আছে। হাসাপাতালে দেহদানও সেই তাৎপর্য এড়ায় না। সেটা কী? মানুষের মৃত্যু হলে, আসলে সমাজে জীবিত লোকের খাতা থেকে মৃত লোকের খাতায় তার স্থানান্তর হয়। মৃত লোকের রেজিস্ট্রি খাতায় কোন অধ্যায়ে, কার আগে, কার পরে, কী হিসাবে সে-নাম উঠবে এটা গুরুত্বপূর্ণ। মৃতলোককে সঠিকভাবে খাতাস্থ করবার নামই দাফন কিংবা দাহ। দ্বিমত থাকতে পারে, কিন্তু এই প্রতীকি তাৎপর্যের বিষয়ে আরো অনেকে বলেছেন।
স্লাভো জিজেক লিখেছেন এক জায়গায়, এই যে গ্রিক নাটকে আন্তেগনের পিতা বা শেক্সপিয়ারের নাটকে হ্যামলেটের বাপ – এরা সবাইকে চরিত্রকে অস্থির করে তোলে, তার মূলে হচ্ছে তাদের অসমাপ্ত সৎকার। গ্রহণযোগ্য সৎকার না হলে মৃতেরা ফিরে ফিরে আসে, সেরকম অনুমান অবশ্য আমাদের গ্রামদেশীয় লোকভাবনাতেই যথেষ্ট আছে। রাজনীতি দর্শনের আন্তর্জাতিক অধ্যাপকের শরণ নেয়ার প্রয়োজন নাই।
তবু, জিজেক গুছিয়ে বলেছেন, 'The return of the dead is a sign of a disturbance in the symbolic rite, in the process of symbolization, the dead return as a collector of some unpaid symbolic debt' ('Looking Awry', 1992) – মৃতদের ফিরে আসার মানে তাদের সৎকারের সময় কোনো গোলমাল হয়ে থাকবে। সৎকার, যেটা কিনা আসলে একধরণের প্রতীকায়ন। প্রতীকায়ন বলতে জিজেক অবশ্য ঠিক ওমুক আসলে তমুকের প্রতীক এগুলি বুঝান নাই। বুঝিয়েছেন, ধরে নিতে পারি, মৃতদের খাতায় যথার্থ খাতে একজন মৃতের নাম তোলাকে। 'যথার্থ' খাতে তাকে সমাধিস্থ না করা গেলে সে বারবার ফিরে আসে তার পাওনা আদায় করতে। সুতরাং মৃতকে তার সঠিক পাওনা চুকাও, নইলে সমাজে জ্যাতা মানুষের চেয়ে ভূতের আছর বেশি হবে।
আমরা এখনো আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাওনা চুকাতে পারি নাই। এর কারণ, কিছুটা জাতি হিসাবের আমাদের 'প্রিয়রে দেবতা' করার ঝোঁক, আর অনেকটাই মোল্লাদের জোরজবরদস্তি। সুতরাং সুসমাহিত নজরুলের বদলে ভূত নজরুলকে পেয়েছি আমরা, জাতীয় দুর্ভাগ্য বটে। স্বাধীনতার পরে আমাদের জাতীয় সাহিত্যের বৃহত্তম লেখক হুমায়ূন আহমদের মৃত্যুর পর তার ভৌতিকায়নের আশঙ্কা তাই অমূলক না। কিছু কিছু লক্ষণ এখনই দেখা যাচ্ছে।
দৈনিক প্রথম আলো বাসসের বরাত দিয়ে সাহিত্যিক সেলিনা হোসেনকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, 'কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের ঘৃণা করার বিষয়টি হুমায়ূন আহমেদই প্রথম জাতিকে শিখিয়েছেন। তার এই সাহসী পদক্ষেপের কারণেই "তুই রাজাকার" শব্দটি তখন দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটিও (ঘাদানিক) তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি দিতে থাকে'।
বহুব্রীহি নাটকের প্রসিদ্ধ সংলাপ "তুই রাজাকারের" উদাহরণ দিয়েছেন হোসেন। প্রথম আলো যুক্ত করেছে, 'গণমাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদের এই রাজাকার বিরোধী প্রচারণা এবং ঘাদানিকের আন্দোলন তখন দেশের মানুষকে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে সাহায্য করে। যুদ্ধাপরাধীদের বর্বরতাকে স্মরণ করে তাদের ঘৃণা করতে উদ্বুদ্ধ করে'। পুরো খবরটির শিরোনাম –'যুদ্ধাপরাধীদের ঘৃণা করতে তিনিই প্রথম শিখিয়েছেন'।
কী অদ্ভূত! কী মারাত্মক বিভ্রান্তি! হুমায়ূনের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা ও ঐ বিষয়ে তাঁর ব্যক্তিগত অবস্থান নিয়ে অনেক আলোচনা হয়ে গেছে, আজ আর না করলেও চলবে। কিন্তু 'তিনিই' 'যুদ্ধাপরাধীদের ঘৃণা করতে' 'প্রথম' শিখিয়েছেন এই শিরোনামে ভীতিকর রাজনীতি দেখতে পাই। বাংলাদেশে পাকিস্তানি মিলিটারি আর রাজাকারগোষ্ঠির যুদ্ধাপরাধ তো ঐ অপরাধগুলো ঘটার মুহূর্ত থেকেই ঘৃণিত। শুধু বাংলাদেশেই না, সারা পৃথিবী তখন ঘৃণায় প্রকম্পিত হয়েছিল। আর ঘৃণা করতে কি কাউকে শেখানো যায়? 'প্রথম শিখিয়েছেন' মানে কি যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি ঘৃণা হুমায়ূন আহমেদের আবিস্কার? তাহলে ঘৃণিত রাজাকারদের বিরুদ্ধে এতো আন্দোলন এতো সংগ্রামের ভিত্তি কী? আর ভোটের মাধ্যমে শক্তপোক্ত সরকার গঠন করে, একাত্তরের ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে, যে দীর্ঘ কাঁটা বিছানো পথে হেঁটে এই জাতিকে রক্তাক্ত হতে হয়েছে তারই বা কী ভিত্তি?
এ থেকে দ্রুত কিছু অনুসিদ্ধান্ত আসি। প্রথমত, এই শিরোনাম ইশারা দেয়, জাতিকে হেয়াদয়েত করতে জ্ঞানীগুনি মানীলোকের প্রয়োজন, প্রথম আলো এমন অরুচিকর উপনিবেশবাদী মানসিকতা ধারণ করে। যদিও সংবাদটির দায় সূত্র বাসসের ওপরও বর্তায়।
দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক অপারধের চলমান বিচারকাজের ঐতিহাসিক যে প্রেক্ষাপট, সামাজিক অভিঘাতের যে ব্যপ্তি, সেসম্পর্কেরও সর্বাধিক প্রচারিত এই দৈনিকটি শ্রদ্ধাশীল/সংবেদনশীল নয়।
তৃতীয়ত, হুমায়ূন আহমদের একজন জনপ্রিয় সাহিত্যিক হিসাবে যা প্রাপ্য, তাকে সেটা না দিয়ে, এই দৈনিকটি ঠিক তা-ই দিতে চাইছে যা হুমায়ূনের কৃতি ও স্মৃতির মর্যাদা না দিয়ে বরং তাদেরই ভবিষ্যতের কোনো স্বার্থসিদ্ধিতে ব্যবহৃত হবে। হুমায়ূনকে আজ্ঞাবহ ভূতে রূপান্তরিত করে, প্রয়াত এই লেখককে দিয়ে অনেক কিছুই জায়েজ করিয়ে নেয়া যাবে। অর্থাৎ হুমায়ূন আহমেদ যুদ্ধপরাধীদের ঘৃণার প্রধান কারিগর বলে, তাঁর সম্পর্কে যে অলীক মর্যাদাবোধের জন্ম দেয়া যায়, সে-মর্যাদাবোধের ঘাড়ে চেপে জীবিত হুমায়ূনের অনেক বিভ্রান্তিকেই অনুমোদন দিয়ে দেয়া যাবে। এতে মৃত হুমায়ূনের কোনো উপকার হবে না বরং, সহজ হবে হুমায়ূনের অরাজনৈতিকতা, সাম্প্রতিক ইউনূসতোষণ, 'জোছনা ও জননীর' গল্পে ৭ই মার্চের ভাষণের ভ্রান্ত বর্ণনা, কিংবা 'দেয়াল'এ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের 'সঙ্কীর্ণ' (উদ্দেশ্যমূলক?) চিত্রায়ন ইত্যাদি বিষয়, যা 'প্রথম আলোর'ও কমন আগ্রহ ও মুনাফার প্রসঙ্গ, সেগুলোর ঈপ্সিত প্রয়োগ। এই আশঙ্কাগুলো অবশ্য এক দুইটা রিপোর্টের প্রেক্ষিতেই না কেবল, বরং মোটা দাগে এই দৈনিকের দীর্ঘদিনের লক্ষণবিচারে দুশ্চিন্তার বিষয়।
চতুর্থত - এবিষয়টা (যদিও হুমায়ূন বিষয়ক নয়) বিশেষভাবে অবাক করল - ঠিক নব্বইয়ের দশকের দৈনিক সংগ্রাম, দৈনিক ইনকিলাব ইত্যাদি ডানপন্থী পত্রিকা ঘাতক-দালাল-নির্মূল-কমিটিকে সংক্ষেপে (এর ধ্বনিগত ব্যঙ্গময়তার জন্যই) 'ঘাদানিক' বলে লিখত, প্রথম আলোও সেই ধারা অনুসরণ করল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে যেমন 'হু' লেখা যায় না, 'ডব্লূ-ইএচ-ও' লিখতে হয়, এবং সেটাই মান্যরীতি, সেখানে ঘাতকবান্ধব পত্রিকাগুলির সাবস্ট্যান্ডার্ড অসূয়ামূলক প্রবণতাকে প্রথম আলো অনুসরণ করেছে। আশঙ্কা করি, এতে কেবল তাদের অপেশাদারিত্বই নয়, রাজনৈতিক অবস্থানও প্রতিফলিত।*
আবার মৃতদের কথায় ফিরি। হুমায়ূন আহমেদ লোকটা মারা গেছেন। আমরা সবাই নিকটাত্মীয় চলে যাওয়ার যে বিপন্নতা, সেই বেদনার বোধে এখনো আচ্ছন্ন। হুমায়ূন জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সৃজনশীল থেকেছেন। লাখো মানুষকে আনন্দ দিয়েছেন। দেন নাই্ এটা তার চরম সমালোচকও বলবে না। আর এও তো বিব্রতকর সত্য, হুমায়ূনের সাহিত্যকর্ম নিয়ে ভালো মানের সমালোচনাও বিরল। সাহিত্যিকভাবে তাকে মূল্যায়নের বিরাট কাজ আমাদের সামনে এখন। দয়া করে, অতএব, তাঁকে শান্তিতে মরতে দেন। ভূত হুমায়ূনের ঘাড়ে বন্দুক ঘষার নোংরামিটা এখনই করা খুব জরুরি না তো।
---
* অনলাইন সংস্করণে ছাপা হওয়া এই প্রতিবেদনের উৎস বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)। সামগ্রিক এই ঘটনাপ্রবাহে তাদের এবং সাক্ষাৎকারদাতা সেলিনা হোসেনের অবদানকে খাটো করে দেখার উপায় নাই।
প্রাসঙ্গিক: যুদ্ধাপরাধী ও প্রথম আলো
মন্তব্য
কাউকে না কাউকে এই অপ্রীতিকর কথাগুলো বলতেই হতো। ধন্যবাদ এই অজনপ্রিয় কাজটা করার জন্য।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এই কথাটা হুমায়ূনের জীবদ্দশায় বলা হয়নি কেনো? মৃত হুমায়ূনকে একটা বিভ্রান্তির ধোঁয়াশার মাঝে ফেলে দেওয়ার সুবিধাটা হচ্ছে হুমায়ূন জিন্দা হয়ে উঠে এসে এর প্রতিবাদ করতে পারবে না। আর যদি মানুষকে "যুদ্ধাপরাধীদের ঘৃণা করার বিষয়টি হুমায়ূন আহমেদই প্রথম জাতিকে শিখিয়েছেন" এই বটিকা সেবন করানো যায়, তাহলে অচীরেই দেখা যাবে তাকে কোট করে আরও বহু বাণী নাজেল হচ্ছে। যারা এর প্লটার, আখেরে তারাই এই বাণীবাণিজ্য করে লাভবান হচ্ছে।
তাদেরই বলছি, দয়া করে মুর্দারকে আর পাম দিয়েন না, এতে মুর্দার ফুলবে না। জীবদ্দশায় যাকে পাম দেননি, আজ অন্তত দয়া করে তাকে মাফ করে দিন, তাকে শান্তিতে মরতে দিন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সেলিনা হোসেন আসলেই কী বলেছেন, কতটুক অনলাইন ডেস্কের সুবিধামতন কল্পনা সেটাও বিষয়। কিন্তু যেটা মূল আপত্তি, সেটা কিন্তু হেডিংয়েই ক্লিয়ার।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
দূরদর্শী আশংকা।
_____________________
Give Her Freedom!
একটা প্রশ্ন, যদিও অপ্রাসঙ্গিক-
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিতে হুমায়ুন আহমেদকে কি শহীদ জননী নিজে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন? পরবর্তিতে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এর বিরুদ্ধে করা ষড়যন্ত্রমূলক রাষ্ট্রদোহ মামলার ব্যাপারে হুমায়ুন আহমেদের অবস্থান কি ছিলো?
প্রশ্নটা সামনে চলে এসেছে তাই লিখলাম।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অবস্থান খুব একটা সুবিধার ছিল না। সমকালের এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন এ বিষয়েঃ
--------
- সায়ন
লিঙ্কের জন্য ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
অরফিয়াস, আজকের জন্য বাদ দেই। অনেক কথাই তো হইছে এতকাল। আরো অনেকদিন হবেও। নিচে রানা মেহের লিখছেন,
এইটাই্ হুমায়ূন না হইলেও, এইটাও হুমায়ূন।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সেলিনা হোসেন এইসব আজগুবি কথা বলতে গিয়ে ভুলে যান যুদ্ধাপরাধী সংক্রান্ত কিছু সত্যি কথা চাইলেই বলা যেতো।
২০০১ এ বা ২০০২ এ যখন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় সম্পুর্ন অচল করে রেখেছিল জামায়াত শিবির ছাত্রী হলের নাম জাহানারা ইমামের নামে না হবার জন্য, তখন হুমায়ুন আহমেদ একটা অনশনের ডাক দিয়েছিলেন ২৬ এ মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলাদেশের কত কত জায়গা থেকে মানুষ এসেছিল সেই অনুষ্ঠানে। কতটা শক্তি পেয়েছিলেন নামকরন আন্দোলনের পক্ষের শক্তিরা।
না সেলিনা হোসেন এইসব বলবেন না। বললে পেহলা রোশনির কাজ হয়না। যেই পত্রিকা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে একটা রেগুলার রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট করেনা, তারা হুমায়ুন আহমেদ কে বিক্রি ছাড়া আর কী করতে পারে?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
সাহিত্যিকভাবে তাকে মূল্যায়নের বিরাট কাজ আমাদের সামনে এখন।
#ধন্যবাদ আপনাকে।
শিখিয়েছেন মানে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে রাজাকারদের প্রতিকী ঘৃণা করতে শিখিয়েছেন।
এর আগে রাজাকারদের প্রতি ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশে এমন সুশৃঙ্খল ডায়ালগ উপস্থিত ছিল না।
কোন কিছু বুঝতে যেয়ে তরুন বয়সে শুধু শুধু বিভ্রান্ত হবেন না!!!
আপনার তাফসির জানা হলো। তবে সেটার ওপর দাঁড়িয়ে "বিভ্রান্ত" বলাটা একটু বেশি হলো।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
"প্রতিকী ঘৃণা" কি জিনিস?
ঘৃণা আর "প্রতিকী ঘৃণা" এর মাঝে কি তফাৎ?
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হে প্রবীণ! ডায়লগ নিয়া কি কেউ দ্বিমত করছে? হুমায়ূন আহমেদের অবদানকে তো খাটো করার কিছু নাই।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আইছেন!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আপনি হয়ত বয়সে বড় হবেন, কিন্তু আপনার এই নিকটা আগেও দেখেছি, অনেকবার বলব বলব করেও বলা হয়নি। 'শুধুই হুমায়ূন আহমেদ পাঠক'- এর মাধ্যমে সংকীর্ণতাই প্রকাশ পায়। সেটা শুধুই রবীন্দ্রনাথ পাঠক বললেও প্রকাশ পেত। আবার কেউ মনে করবেন না আমি হুমায়ূনকে রবীন্দ্রনাথের সাথে তুলনা করছি। হুমায়ূন বা রবীন্দ্রনাথ কেউই ধর্মগ্রন্থ লেখেননি। শুধু এটাই একমাত্র পাঠযোগ্য বই, বাকি সব অর্থহীন এরকম অমূলওকে দাবী শুধু ধর্মগ্রন্থই করতে পারে। কেউ যদি বলেন তিনি শুধুই এক লেখকের বই পড়েন, তাহলে আমার কাছে তাঁকে/তাকে অনেকটা ওই এক বইয়ের পাঠকের মত মনে হয়, যুক্তি-তর্ক-সাধারণ জ্ঞান হারিয়ে বসেন। এটা আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলছি না, আমার সাধারণভাবে কী মনে হয় সেটাই বললাম। হুমায়ূন আজাদ বলেছিলেন এরকম একটা কথা, যে এক বইয়ের পাঠক থেকে সাবধান। কথাটা মনে হয় তিনি ধর্মগ্রন্থকে ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, কিন্তু কথাটার ব্যপ্তি আসলে আরও বিশাল, সেটা আপনার নিক দেখে পরিষ্কার হল। ভাল থাকবেন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কথায় আছে " এক লেখকের পাঠক হইতে সাবধান"।
মনের রাজা টারজান,
শুধুই হুমায়ুন আহমেদ এর পাঠক,
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে রাজাকারদের 'প্রতিকী' ঘৃনা জিনিসটা কী একটু বুঝিয়ে বলবেন?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
"তুই রাজাকার" ডায়ালগটা ঘৃণাবাচক, ঘৃণাবাচক ডায়ালগ প্রচার এক ধরনের অফেন্স, কিন্তু তার আবিষ্কৃত এই প্রতিবাদি শব্দটার কোন ফিজিক্যাল এফেক্ট নাই। তাই রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশটা সরকারী টেলিভিশনে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত হলেও করলেও লিগ্যালিটি'র খাতিরে এটা রয়ে গেছে প্রতীকি।
বাংলাদেশের পেনাল কোডে ভার্বাল অ্যাক্টের জন্যও ডিফেমেশন ল প্রয়োগ হয়। কিন্তু এ্ইটাকে কী আমরা আসলে ডিফেমেশন বলব? মনে হয় না। রাজাকার তো খাতায় নাম লিখেই রাজাকার হইছে। আর মীরজাফর শব্দ যদি লিগালিটি দ্বারা অনুমোদিত হয়, রাজাকার শব্দও হবে। কেবল কোনো শব্দের গায়ে এমনিতেও অফেন্স লিখা থাকে কি, আইনের চোখে? সুতরাং এইটাকে আইনের খাতায় টানার প্রয়োজন দেখি না।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
তুই রাজাকারের ঘৃণার "অপ্রতীকি" অংশটায় কি তাইলে ফিজিক্যাল ইফেক্ট বা লিগ্যালিটির ব্যাপার রয়ে যায়?
আমিও একমত, এবং ৮০ এর দশকের শেষের দিকে জন্মগ্রহন করা এই আমি, এই ডায়লগ টি শুনেছিলাম এবং বুঝেছিলাম "রাজাকার" একটি খুব খারাপ গালি। যদিও বহুব্রীহি নাটক এর কোন স্মৃতি আমার মনে নেই।
প্রথম আলো এক সময় হুমায়ুনকেও নিষিদ্ধ করেছিল। তার একটা রাজনীতি ছিল। আর গত দেড়/দুই বছর ধরে হুমায়ুনের জন্য যে মায়াকান্না সেটা তারই বিস্তৃতি।
৮১ সালে গোলাম আজমকে যারা জুতা মারছিলো, তারা তাইলে যুদ্ধাপরাধীকে ঘৃণা করতে শিখে নাই তখনো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
" লে জে হো মো" , " সাকা চৌ" , এর মত করে ' ঘাদানিক ' শব্দটি ব্যবহার করে প্রথম আলো কি ইঙ্গিত করছে ?
আপনার কী মনে হয় বলেন তো?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, একটা জনপ্রিয় নাটক এর ছোট্ট কোন ডায়ালগও কোন সমাজে সামগ্রিক ভাবে যে প্রভাব ফেলতে পারে অন্যকোন মাধ্যমে সেটা কোন ভাবেই সম্ভব না, বিশেষ করে সেই সময় যখন বাংলাদেশে বিটিভি ছাড়া অন্য কোন চ্যানেল ছিলোনা, বাংলাদেশে হয়ত ৯০% মানুষ তখন বিটিভি দেখত। এই দুই শব্দের 'তুই রাজাকার' কথাটা আপুর মুখে শুনে শুনে আমি নিজে অনেক দিন এটাকে খুব বাজে কোনো গালি হিসেবেই জানতাম, যেখানে 'রাজাকার' শব্দের আসল অর্থ বোঝার বয়স আমার হয়েছে আরও অনেক পরে! তাহলে এতটুকু তো আমি দাবী করতেই পারি আমার মত মুক্তিযুদ্ধের পরের প্রযম্মের মধ্যে 'রাজাকার' শব্দটার প্রতি ঘৃণা হুমায়ূন আহমেদ দৃঢ়ভাবে অনেক আগেই ঢুকিয়ে দিয়েছেন, যতদিন রাজাকার, মুক্তিযুদ্ধ এগুলোর অর্থ আসলে কি, তা জেনেছি, তারও অনেক আগে!
বাংলাদেশের ৯০% মানুষের সবার এখনও টিভি কেনার সামর্থ নাই ভাইডি, আশির দশকে তো প্রশ্নই আসে না। রেফারেন্স দিতে পারব না, কিন্তু কথা বাস্তব। হুমায়ূনের অবদান নেই এটা কিন্তু বলা হচ্ছে না, কিন্তু একেবারে বাঙ্গালী জাতিকেই রাজাকার ঘৃণা করতে শিখিয়েছেন হুমায়ূন, এটা মিথ্যা। কাউকে শ্রদ্ধা করার জন্যে তার জন্যে মিথ্যা মিথ তৈরি করে শ্রদ্ধা দেখাতে হয় না, সত্যকে স্বীকার করেই সেটা করা যায়।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সত্য, ৯০% মানুষের টিভি কেনার সামর্থ দেশে তখনও ছিলোনা এখনও নেই! আমার মনে আছে কিভাবে মঙ্গলবারের রাত আটটার খবরের পর এই নাটক গুলো দেখার জন্য বাসায় মানুষের ভিড় হত, আর গ্রামে আমার নানু বাসায় টেলিভিশন উঠানে নিয়ে আসা হত, গ্রামের ছেলে বুড়ো কেউ বাদ যেতনা! জানিনা, আপনারা যদি গ্রামবাংলা কিংবা মফস্বলের সাথে পরিচিত হোন, তাহলে বুঝবেন এগুলা কোন বানানো মিথ না। ওয়ার্ল্ড কাপ, বাংলা সিনেমা, ঈদের নাটক দেখার জন্য এরকম ভিড় কিছু দিন আগেও হতো। আমিও পুরো জাতির কথা বলছিনা, ৮১ সালে গোলামআজম কে যারা জুতা মেরেছিলো তাদের নতুন করে জানানোর কিছু নাই, আমাদের পরের প্রজন্মকে জানানোর দায়িত্ব আমাদের, আমি শুধু বলতে চেয়েছি আমি বা আমার প্রজন্মের কথা সেখানে সত্যকে স্বীকার করলেই দেখবেন, হুমায়ূন আহমেদ তার তখনকার জনপ্রিয়তা এবং পরিধির মাধ্যমে কৌশলে রাজাকার এর প্রতি ঘৃনা জাতির একটি ক্ষুদ্র অংশের মধ্যে হলেও সফলভাবে ঢুকাতে সক্ষম হয়েছেন।
দ্বিমত নাই।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হ, গোটা জাতি আপনার বাসা আর গ্রামে আপনার নানু বাসার উঠানে হাজির ছেলে বুড়ো দিয়ে গঠিত।
আপনি, আপনার আপু, কিংবা আপনার আশেপাশে চল্লিশ বাড়ির লোক জাতির একটা অতিক্ষুদ্র সাবসেট। আপনি যদি বলেন, আপনাকে, আপনার আপুকে, আপনার আশেপাশের চল্লিশ বাড়ির লোককে রাজাকার ঘৃণা করতে শিখিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ, কেউ আপত্তি করবে বলে মনে হয় না। হুমায়ূন জাতিকে রাজাকার ঘৃণা করতে শিখিয়েছেন কথাটা "হুমায়ূন জাতিকে ভাত চাবানো শিখিয়েছেন"-এর মতোই গ্লিব।
সেলিনা হোসেনদের কথা শুনলে মনে হয় বাঙালি জাতি আশির দশকের শেষদিকে যারা টিভি কিনে বিটিভিতে বহুব্রীহি দেখার সামর্থ্য রাখতো কেবল তাদের নিয়ে গঠিত।
ডায়লগ ছড়াতে তো প্রত্যেকের টিভি দেখার প্রয়োজন নেই, ডায়লগ তো ছড়ায় মানুষের মুখে মুখে, বাতাসে। সেসময় 'তুই রাজাকার' এর সাথে পরিচয় ছিলনা এমন সুস্থ মানুষ বুঝি খুব কমই পাওয়া যাবে।
আশির দশকের শেষে টিভির আওতার বাইরে থাকা সব মানুষকে অসুস্থ জ্ঞান করা কাণ্ডজ্ঞানের পরিচায়ক নয়। আর এই ডায়লগ শুনে "জাতি" রাজাকার ঘৃণা করতে শিখেছে কথাটা কাঠবলদ না হলে বলা বা বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। হুমায়ূন আহমেদের কৃতিত্ব বিশ্ববেহায়া এরশাদের আমলে যখন বিটিভিতে পাকিস্তানকে হানাদার ইউফেমিজম দিয়ে আড়াল করা হতো, সেই সময়ে রাজাকারবিদ্বেষকে ব্রডকাস্ট মিডিয়ায় জনপ্রিয় করার কাজে। তিনি এমনিতেই অনেক কারণে প্রশংসার্হ, মিথ্যা বা ভুল কথা বলে তাকে গাছে যারা তুলতে চায়, তাদের মতলব অন্যত্র। যারা সেই মতলব দেখতে পায় না, তাদের জন্যে পোস্টে সহজ ভাষায় বোঝানো আছে। আর যারা সেই মতলব দেখতে চায় না, তারা সলিড ছাগু।
ঢাকার বদ্ধ দরজার ভেতর যদি বড় নাহয়ে থাকেন তাহলে এটা অবশ্যই জেনে থাকবেন যে, কোন গ্রাম, মহল্লা, পাড়ায় বা দোকানে একটি টেলিভিশনই যথেষ্ট ছিলো তখন পুরো এলাকার বিনোদনের জন্য। এক মঙ্গলবার বাদ দিয়ে পরের মঙ্গলবার তখন নাটকগুলোর পরের পর্ব আসত, অন্য কোন বিনোদন মাধ্যম ছিলোনা যে নাটকের বিষয় বস্তু মানুষ ভুলে যাবে, অতএব প্রিয় নাটক নিয়ে পুরো ১৪ দিন ধরে আলোচনার সুযোগ থাকত, আর ডায়লগ তো ছড়াতো তার চেয়ে আরও দ্রুত। একটা জনপ্রিয় নাটকের ডায়লগ ছড়াতে প্রত্যেক কে টেলিভিশন আওতায় আ্না লাগবে কেন, আবার বলছি ডায়লগ ছড়ায় মুখে মুখে বাতাসে। সবচেয়ে বড় কথা তাঁর(হুমায়ুন আহমেদ) জাতির যে অংশে মেসেজটা পৌঁছানোর প্রয়োজন ছিলো সেটা তিঁনি সফল ভাবেই করেছেন বলে আমার মনে হয়, আমি শুরু থেকে যেটা বলে আসছি! এরপর 'পুরো জাতি' রাজাকার কে ভালবাসলো না ঘৃণা করলো সেটা নিয়ে আমি কিছু বলিনাই।
আমি এখানে কোথায় টেলিভিশনের আওতার বাইরে থাকা মানুষকে অসুস্থ জ্ঞান করলাম দয়াকরে দেখিয়ে দিবেন?! আর কথায় কথায় কাঠবলদ, ছাগু ট্যাগ করাও যথেষ্ট 'কাণ্ডজ্ঞানের পরিচায়ক' বলে আমার মনে হয় না!
আপনি যদি "পুরো জাতি"কে নিয়ে কিছু না বলে থাকেন, তাহলে কাঠবলদ আর ছাগু "ট্যাগ" নিয়ে লাফাচ্ছেন কেন?
আপনি যেভাবে "তুই রাজাকারের" আওতার বাইরে থাকা সুস্থ মানুষকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল বলে দিলেন, সেখান থেকেই অসুস্থ জ্ঞান করার কথা আসে। আর এইবার বলেন দেখি, আশির দশকের শেষদিকে বাংলাদেশে টেলিভিশন কাভারেজের আওতায় কতো শতাংশ মানুষ ছিলো? আমি বহু গ্রামের মানুষকে চিনি যারা নব্বইয়ের শেষার্ধে এসে টেলিভিশন চিনেছে। টুপির নিচ থেকে বলে দিলেন ৯০% মানুষের কথা। সোর্স দেন, এই তথ্য কই পেয়েছেন। পিছলাবেন না।
যেই দেশে ২০০৭ সালেও মাত্র ২৫% মানুষ ইলেকট্রিফিকেশনের আওতায় ছিলো, সেই দেশের ৯০% লোক ১৯৮৮ সালে টিভি দেখতো। আরো কিছু বলে যান পারলে। হয়তো তারা ইলেকট্রিক রেজার দিয়ে শেভও করতো, কে জানে।
"টুপির নিচে" কথাটা দিয়ে যা মিন করলেন সেখানে আপত্তি জানাচ্ছি!!
আমি একদম প্রথমে "হয়ত ৯০%" বলেছি। এখানে একমাত্র চ্যানেল হওয়ায় বিটিভির দর্শক শতকরা কত হতে পারে সেই অনুমান থেকেই বলেছি, আমাদের ওইদিকে যদিও ডিডি ওয়ান আসতো। আমার অনুমান ছিলো টিভি দর্শকদের মধ্যে বৃহদাংশই তখন বিটিভি দেখে তার উপর ভিত্তি করে, পরে 'ত্রিমাতৃক কবি'র কমেন্ট দেখে বুঝলাম এটা বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৯০% বুঝাচ্ছে, যাইহোক আমার মনে হয় আমি কি বলতে চেয়েছি, সেটা ওখানেই পরিস্কার হয়েছে, আমার দ্বিতীয় কমেন্টা দেখার অনুরোধ করছি।
টেলিভিশন কাভারেজের আওতার পরিসংখ্যান দিয়ে প্রকাশিত কোন বিষয়ের বিস্তৃতি বা প্রভাব আপনি কোনদিন বের করতে পারবেন না, এ আলোচনা অপ্রাসঙ্গিক। আপনি হয়ত গ্রামের বহু মানুষ কে চিনতে পারেন, আমি তাদের সাথে থেকে এসেছি একদম ছোট্ট থেকে বহুবার, উপরের কথা গুলো আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলা!
আমি শুধুই তর্কের খাতিরে তর্ক করতে চাইনা, আমার যা বলার আমি স্পষ্ট ভাবেই বলেছি, কাউকে ব্যক্তিগত আঘাত করতে কিছু বলি নাই! এটাই এই পোষ্টে আমার শেষ কমেন্ট, তাই আপনার নিচের একটা কমেন্ট এর উত্তরও আমি এখানেই দেই-
হায়! 'ঘরের সবক' এর কথা ভেবে যদি কতিপয় বোকা মানুষ যেমন- লেখক, নাট্যকার, পরিচালক, চিন্তাবিদ তাদের সৃষ্টির মাধ্যমে সঠিক সময়ে মানুষকে সঠিক মেসেজটা পৌছানো বন্ধ করে দিত, তাহলে সমাজে বোধকরি কোন পরিবর্তনই হত না! আর হুমায়ূন আহমেদ সেই কাজটাই করেছে জায়গা মত, এটাও কম কিসে!
...............
রংতুলি
টুপির নিচ থেকে কথা বের করার অর্থ হচ্ছে আন্দাজে কথা বলা। আপনি কী বুঝলেন কে জানে।
হুমায়ূন আহমেদ কম কিছু করেছেন, সেটা তো কেউ দাবিও করছে না। তিনি যা করেছেন, সেটা প্রশংসনীয়। কিন্তু সেটাকে হাইপারবোল করার পেছনে এক বা একাধিক সূক্ষ্ম উদ্দেশ্য আছে, যার একটা দিক অনিন্দ্য রহমান তুলে ধরতে চেয়েছেন। কিন্তু আপনার মতো পীরের মুরিদেরা এসে ত্যানা প্যাঁচাবে "হয়তো ৯০%" গোছের ফাঁপা কথা দিয়ে। কারণ এইসব কথাবার্তা মুখ দিয়ে বলে ফেলে সাবস্ট্যানশিয়েট করার চর্চাই আমাদের মধ্যে নাই। আমি পোলাও কোরমা খাই, আমার নানু বাসায় লোকে পোলাও কোরমা খায়, অতএব গোটা দেশের ৯০% লোক পোলাও কোরমা খায়।
আপনি টেলিভিশন কাভারেজের পরিসংখ্যানকে এখন অপ্রাসঙ্গিক বলছেন কারণ আপনি টের পেয়েছেন, "হয়তো ৯০%" গোছের কথা দিয়ে আপনি আপনার বক্তব্যকে করোবোরেট করতে পারবেন না। আপনি একদম ছোটো থেকে থেকে এসে একটা কমিউনিটির একটা অভিজ্ঞতাকে গোটা জাতির উপর এক্সট্রাপোলেট করতে পারেন নাকি?
ঘরের সবক গুরুত্বপূর্ণ না হলে আপনার আপুকে জিজ্ঞাসা করে দেইখেন, রাজাকার শব্দটার অর্থ আর তার ভূমিকা কি তিনিই আপনাকে বুঝিয়ে বলেছিলেন, নাকি আপনি "তুই রাজাকার" শুনেই আদ্যোপান্ত বুঝে ফেলেছিলেন। তুই রাজাকারের অডিয়েন্সের সবাই যদি রাজাকারবিরোধী ভাবনায় অংশীদার না হয়, একটু চিন্তা করে দেইখেন তারা কেন হয় নাই। ঘরের সবকের সাপ্লিমেন্টারি ছাড়া খালি টিভি দেখে দুনিয়া সর্ট আউট করে ফেলতে পারলে তো হইছিলোই।
যারা ৮০'র দশকে এমনকি বর্তমানেও যারা বিটিভি'র আওতার বাইরে ছিল / আছে, ওরা কোন রকমের হিসাবেই সচেতন জনগণের অংশ না। তাদের বলা হয় "এপ্যাথেটিক", মানে রাজনীতি সম্পর্কে অসচেতন।বাংলাদেশে এখনো এদের সংখ্যা ব্যাপক।
এখনো আপনি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভেতর কোন এস্টাবলিশড রাজাকারবিরোধী চেতনা পাবেন না। টিভি'র আওতার বাইরের জনমত "রাজাকার" ইস্যু'র সাথে তেমন কোন সংশ্লিষ্টতাও রাখে না।
অতিথী লেখক ভদ্রলোক যেটা বলছে সার্বিক বিচারে সেটা গ্রহনযোগ্যই। তার মন্তব্যের জবাবে কাঠবলদ আর ছাগু শব্দগুলো এনে আপনি আক্রমনাত্মক আচরন করতেছেন! এটা উচিত না!!!
অতিথি ভদ্রলোককে কাঠবলদ বা ছাগু কিছুই বলিনি। কারা কাঠবলদ আর ছাগু, সেটার একটা ধারণা দিয়েছি। তিনি সেই ক্যাটেগোরিতে পড়তেও পারেন, নাও পড়তে পারেন। তবে ওনার প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে তিনি ঐ ক্যাটেগোরিতে পড়েন।
তবে আপনাকে আমি সরাসরি কাঠবলদ আর ছাগু বলছি। যে লোক মনে করে, টিভি না দেখলে "সচেতন জনগণের" মধ্যে একটা মানুষ রাজনৈতিক সচেতনতার মধ্যে পড়ে না, তারে বলদ ছাড়া কিছুই বলতে রাজি না আমি। একটু কষ্ট করে বাপচাচারে জিজ্ঞাসা কইরা দেইখেন, ১৯৭১ সালে কয়টা লোকে টিভি দেখতো, ইডিয়েট কোথাকার। বলদের গোয়া দিয়া বাইর হইছিলো দেশটা?
রাজাকারদের ঘৃণা করা'কে প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিকী রূপ দেয়া আর মুক্তিযুদ্ধ'কে এক করে দেখে আপনি প্রমান দিলেন আপনি কি। আমিই বুঝিয়ে বলতাম কিন্তু আমি চাই আমার মন্তব্যটি প্রকাশ হোক।
শুনুন, রাজাকার বিরোধী যেই হাইপটি বর্তমানে চারদিকে দেখা যাচ্ছে সেটি মিডিয়ার কল্যাণেই ছড়িয়েছে। এ নিয়ে দ্বিমত করবেন না। সভা-সমাবেশে রাজাকারদের ঘৃণা করা নিয়ে এম্ফ্যাসাইজ করা হয় না। আপনি চেষ্টা করলে এটাও বুঝতে পারবেন যে, টিভি হলো মিডিয়া আর মিডিয়ার কাজ সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং ৮০'র দশকে রাজাকার বিরোধীতার মত রাজনৈতিক ইস্যু একমাত্র টিভিতেই স্থান পেয়েছিল।
সুতরাং, যারা সেসময় টিভি দেখতো না, তারা শুধু বিচ্ছিন্নই ছিল না তাদের ইকনমিক কন্ডিশনও ইঙ্গিত করে যে, তারা পলিটিক্যালি "এপ্যাথেটিক" Apathy ছিল। যারা টিভি'র মত বিলাসপণ্য ব্যাবহার করতে পারতো না, নিশ্চিত করেই বলা যায় যে তারা রাজাকারদের ঘৃণা করা নিয়েও চিন্তিত ছিল না। মনে রাখতে হবে, রাজাকারদের ঘৃণা করা আর দেশ স্বাধীন করার এনালজি একটা কাঠবলদও সমান ভাবে দেখে না!
সহজ কথা সহজভাবে বুঝতে পারাটাও একটা গুন। এই গুনটি লাভ করার জন্য আপনার প্র্যাক্টিস দরকার আছে!
আপনি ছাগু কিনা আমি শিওর না তবে একটি প্রকৃত গর্দভ।
..................................................................
#Banshibir.
মুক্তিযু্দ্ধ আর রাজাকারবিরোধিতাকে বিযুক্ত করার চেষ্টা রাজাকারের ছাওপোনারা বহুদিন ধরেই করে আসছে। তারা রাজাকারবিরোধিতা বা বিদ্বেষকে একটা আরোপিত জিনিস হিসাবে দেখানোর জন্য হয়রান সুদূর অতীত থেকেই। তাই আপনার মতো ছাগুর মুখে এই রিআইটারেটেড ম্যাৎকার শুনে শুধু বিরক্ত হলাম।
আপনি যেটাকে "হাইপ" বলছেন, সেটা বহু বছরের ছাইচাপা দেয়া একটা সহজ সত্যের রিঅ্যাসারশন। বরং হাইপ হচ্ছে এটাকে হাইপ বলে চালিয়ে দেয়া। সেটা ছাগুরা করে। আপনি যেমন।
সভা-সমাবেশ ছাড়াও যে রাজাকার বিষয়ে মানুষের নিজস্ব অভিজ্ঞতা আছে, এটা আপনার মতো রাজাকারের পুটকি দিয়ে বের হওয়া বৈরাগীরা বরাবরই অস্বীকার করতে চায়। এই ব্যাপারটাকে ১৯৭১ থেকে দূরে সরিয়ে এনে পরবর্তীতে আম্লীগী ইস্যু হিসাবে দেখাতে পারলে তাদের বাপচাচাদের পুটকির চামড়া কম জ্বলে, সে কারণে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কমবেশি রাজাকারসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা আছে, যাদের ঘরে এখনও টিভি পৌঁছায়নি, তাদেরও। এইটা রাজাকারে ছাওপোনারা যত বেশি বিড়ালের বিষ্ঠার মতো মাটিচাপা দিতে পারবে, তাদের জন্য ততো ভালো।
মানুষের পলিটিক্যাল অ্যাপ্যাথি যে টিভি কিনতে পারার অসামর্থ্যের সাথে সরাসরি সমীকরণীয়, এরকম বিশুদ্ধ মূর্খতা বহুদিন পর পড়তে পেয়ে নস্টালজিক হয়ে পড়লাম। রাজাকারদের ঘৃণা করা বিষয়ক চিন্তাকে এই কাঠবলদীয় চিন্তায় ১৯৭১ এর সরাসরি অভিজ্ঞতা থেকে বিযুক্ত হয়ে টিভির হাতপাখার বাতাসে পুনর্জাগরিত হতে হবে জেনে পুলকিত হলাম।
রাজাকারদের ঘৃণা করা যে ছাগু দেশ স্বাধীন করা থেকে বিযুক্ত করতে চায়, তার জায়গা সোনাব্লগে। সচলায়তনে এটাই আপনার শেষ প্রকাশিত মন্তব্য।
ছাগুদের সহজ কথা সাধারণত তাদের পুটকি দিয়ে ভরে বসে থাকতে বলি। আপনাকেও তাই বললাম। আহলান ওয়া সাহলান।
ঠিক আসে। জায়গা মত পরসে ঝারুর বাড়ি গুলা। ভাল লাগসে হিমু ভাই এর কথা
খাইসে কন কি? টিভি না দেখলে অচেতন জনগণ?
অ্যাপেথেটিক না হৈলেও খুবি প্যাথেটিক ডায়লগ।
..................................................................
#Banshibir.
"শুধুই হুমায়ুন আহমেদ পাঠক" নিকের এই গর্দভশ্রেষ্ঠটা কিছুদিন পর পরই বিভিন্ন পোস্টে এসে নিজের চুলকানি বাকি সবার মাঝে ছড়াতে চায়। এই গরু, দেশের মানুষের রাজনৈতিক সচেতনতা যাচাই করে টিভির দর্শকের মানদন্ডে। চরম ভোদাই এই ব্যক্তি মনে হয় টিভির বাইরে যে একটা জগৎ আছে সে সম্পর্কে অবগত নন। সেই জগতে যে তার মতো পাবলিক উঠতে বসতে প্যাঁদানি খায় এটা তার মাথায় এখনো ঢোকে নাই। এই কাঠবলদগুলোর সাথে কথা বলা মানে এদের মানসিক বিকারগ্রস্থতা নিজের মাঝে টেনে আনা।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
"সেলিনা হোসেনদের কথা শুনলে মনে হয় বাঙালি জাতি আশির দশকের শেষদিকে যারা টিভি কিনে বিটিভিতে বহুব্রীহি দেখার সামর্থ্য রাখতো কেবল তাদের নিয়ে গঠিত।" - বাঁধায়া রাখার মতন মন্তব্য!
অবাক হলাম, দুঃখিত হলাম। হুমায়ূন আহমেদের নাটকের "তুই রাজাকার" শব্দগুচ্ছ জনপ্রিয় হয়েছিল সেই সময় কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই শব্দ দ্বারা মানুষ প্রথম রাজাকারদের ঘেন্না করতে শিখেছে এটা সেলিনা হোসেনের কাছ থেকে আশা করা যায় না। শোকের আবেগ অনেক সময় ছাতু দিয়েও রসগোল্লা তৈরী করে ফেলে। এটাও সেরকম ঘটনা।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মধ্যবিত্তের প্রধানতম বিভ্রান্তি, তারা নিজেদেরকেই সমগ্র জনতা মনে করে। জাতির পক্ষে এর চেয়ে ক্ষতিকর বিষয় কম আছে।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
সৌরভ কবীর
সংকীর্ণতা থেকেই বাড়াবাড়ির জন্ম! প্রশংসা করতে যেয়ে সীমাবদ্ধতাগুলোকে অস্বীকার করা,কিংবা যা নয় তা বলে কাউকে আকাশে তুলে ফেলাটা যে প্রকারান্তরে ঐ মানুষটাকেই অপমান করা সেটা বোঝা সবার কম্ম নয় বোধহয়!
সুবর্ণনন্দিনী
এক বাক্যে মনের কথাটা বলে দিয়েছেন। হুমায়ূন আহমেদকে শান্তিতে মরতে দেয়া হোক এবং ভবিষ্যতেও তাঁকে শান্তিতে থাকতে দেয়া হোক। ব্যক্তি হুমায়ূনের সমালোচনা এবং তার সাহিত্যের সমালোচনা - উভয়ই হতে পারে। কিন্তু মৃত হুমায়ূনকে ব্যবহার করে কোন স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা করা নিন্দনীয় এবং ঘৃণ্য আচরণ ( নাকি অপরাধ?) হবে।
টুইটার
যে দুর্ভাগারা ঘরের মানুষের কাছ থেকে রাজাকার বা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সবক না পেয়ে আশির দশকের শেষদিকে বিটিভিতে বহুব্রীহিতে "তুই রাজাকার" সংলাপ শুনে রাজাকার ঘৃণা করতে শিখেছেন এবং ভেবেছেন দুনিয়া ঐদিন থেকেই ঘোরা শুরু করেছে, তারা বাংলাদেশের প্রবাদপ্রতিম ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের এই ১৯৭৯ সালের ঘটনার স্মৃতিচারণটা একটু পড়ে দেখেন। তারপর কমনসেন্স খাটান।
ইতিমধ্যে মুজিব-জিয়ার ভূতে দেশ সয়লাব হয়ে গেছে, হুমায়ূনের ভূত জয়েন করলে আর এমন কি ক্ষতি!
আরেকটু ব্যাখ্যা করবেন?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
খ্যাতিমান ব্যক্তিদের নিজ স্বার্থে ব্যবহার এদেশে যে নতুন নয় সেটাই বোঝাতে চেয়েছি। আমি যে দুজনের নাম উল্লেখ করেছি তারা মানুষের মনে হুমায়ূনের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবশালী। উনাদের ভূতের কাঁধে বন্দুক রেখে এ পর্যন্ত যত গুলি ছোঁড়া হয়েছে তার সিকিভাগও হুমায়ূনের ভূতের কাঁধে বন্দুক রেখে ছোঁড়া সম্ভব নয়। ধন্যবাদ।
আচ্ছা।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মানুষ কাউকে পীর পর্যায়ে নিয়ে গেলে তার মৃত্যুর পরেও শান্তি নেই। গাছের ছালে কিংবা পাউরুটির গায়ে তার অবয়ব ভেসে ওঠে। অতিভক্তির কারণে কেউ কেউ আবার গোটা জাতির ত্রাণকর্তাও হয়ে ওঠেন। আংরেজি আরআইপি সবাই লিখে কিন্তু ভুলে যায় এর এলাবোরেশন। দুর্ভাগ্য হুমায়ূন আহমেদের।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অইনিরাপদ একটা সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ একটা লেখা লিখেছেন। আপনার সাহসকে সাধুবাদ জানাই। লেখাটা জরুরি ছিল।
ধন্যবাদ। বাঙালের সাহসের অভাব হবে না। আর এইটা তেমন কিছু না।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
চাইনিজ বামদের দুধভাত হিসাবেও মাঝেমধ্যে খেলায় নেয়া উচিৎ। নয়ত হিট-এ বাদ পড়ার আক্রোশ থেকে তারা রেইসিং ট্র্যাকে কলার খোসা ফেলতেই থাকবে, ফেলতেই থাকবে, ফেলতেই ...
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ব্যাকরণ শিং বি এ (এম), কলার খোসাও পরম ভক্ষ্য। দুনিয়াটারেই টয়লেট ভেবে লাদি ছাড়তে আসে।
“আমরা বিভিন্ন সময় একাত্তরের ঘাতক-দালালদের বিরুদ্ধে নানা মঞ্চে নানা বক্তব্য রেখেছি। হুমায়ূন আহমেদ তার একটি টেলিভিশন নাটকে একটি পাখির মুখে 'তুই রাজাকার' শব্দদুটি বসিয়ে রাজাকারদের প্রতি যে ব্যাপক ঘৃণা সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন, তা অনুমান করি, আমাদের অনেক বক্তৃতাও পারেনি। এজন্যে আমাদের কৃতজ্ঞতা হুমায়ূন আহমেদের প্রাপ্য।“
কথাগুলি কবি শামসুর রাহমানের। কথাগুলি লিখেছিলেন তিনি হুমায়ূন আহমেদের পঞ্চাশ বছর বয়সে বের হওয়া 'হুমায়ূন ৫০' গ্রন্থের ভূমিকাতে।
সৌরভ কবীর
কবিদের বক্তৃতা বাংলাদেশে বোরডম ছাড়া কোনো কিছু সৃষ্টি করতে পেরেছে বলে তো আমার মনে হয় না। শামসুর রাহমানের বক্তৃতার চেয়ে হুমায়ূন আহমেদের নাটকের সংলাপের কার্যকারিতা অবশ্যই সহস্রগুণে বেশি হবার কথা।
সহমত।
আমার জন্ম হয়েছে হুমায়ূন আহমেদের ঐ নাটক প্রচারিত হবার পরের বছর। শামসুর রাহমানের ঐ কথাগুলোর মাধ্যমেই 'তুই রাজাকার' ব্যাপারটা নিয়ে আমি প্রথম জানতে পারি। হয়তো আমার প্রজন্মের অনেকেই এভাবেই জেনেছিলো। ঐ মূল্যায়নের সাথে সেলিনা হোসেনের মূল্যায়নের ফারাকটার কথা চিন্তা করেই আগের মন্তব্যটা করতে হলো।
সৌরভ কবীর
অফটপিক প্রশ্ন কিনা বুঝতে পারছিনা, তবুও বলি, '' তুই রাজাকার'' শব্দটি মধ্য দিয়ে আসলেই কি রাজাকারদের প্রতি তীব্র ঘৃণা ফুটিয়ে তুলেছিলেন নাট্যকার? ডায়লগটা তোতা পাখি আওড়াতো। আর রাজাকারপন্থী কেউ সেই ডায়লগটি শুনে একটু বিব্রত হয়ে যেত। এরকমই কিছু একটা মনে পড়ে। এটা শুনলেই কেমন একটা হাসির রোল পড়ত। পুরো ''বহুব্রীহি'' নাটকে নাট্যকার রাজাকারদের মুক্তিযুদ্ধে ঘৃণ্য ভূমিকা, বা কী কারণে বাংলার মানুষ তাদের ক্ষমা করবেনা এরকম কোনকিছু ব্যাখ্যা করেছেন কিনা স্মরণে নেই। তবে সেই সময়টাতে এটা কতটুকু সম্ভব ছিল সেটাও একটা প্রশ্ন। তবু কেন জানি মনে হয় '' তুই রাজাকার'' শব্দ দুটো তীব্র ঘৃণা প্রকাশক নয়, অনেক নিরীহ। যে কথা শুনলে মানুষের মনে হাসির উদ্রেক হয় তা কতটুকু তীব্র ঘৃণা অন্তরে ফুটিয়ে তুলে সেটাই ভাবছি। আর '' তুই রাজাকার'' শুনে যদি রাজাকারকে প্রথমবারের মত ঘৃণা করতে শিখে এদেশের মানুষ, তবে ''বহুব্রীহি'' নাটকের আগে এদেশের ঘরে ঘরে রাজাকারদের কি জামাই আদর দিয়ে রাখা হত?
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
হুম,,,,
জর্জিস
হুমম, শেরশাহ ঘোড়ার ডাক প্রচলন করার আগে যেমন ঘোড়ারা ডাকত না
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন