[১]
আনন্দবাজারিপনা বি. ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সাফাই। বিণ. উক্ত সাফাইয়ের লক্ষণ নির্দেশক।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে বাংলাদেশের একজন 'গ্রাম্য' ও 'দরিদ্র' তরুণের নৃশংসভাবে নিগৃহিত হওয়ার দুর্বহ অশান্তিকর চিত্র বাতাসের আগে ছড়িয়েছে অন্তর্জালে পাঁচ দিন হল। এনডিটিভি নামক ভারতের যে জাতীয় প্রচারমাধ্যমে এর 'প্রথম প্রকাশ' ঘটে সেখানে, সন্দেহ নাই, ঐ ঘটনার বর্ণনা প্রধানত নিন্দাজ্ঞাপক ছিল। কিন্তু ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার এই খবরটা প্রথম ছেপেছিল এই শিরোনামায়: 'বিএসএফের অত্যাচার নিয়ে মুর্শিদাবাদে আলোড়ন'। কীয়ৎকাল গেলে তারা অনুধাবন করে এই ঘটনা মুর্শিদাবাদ মাপের না। ত্বরিৎ নিন্দাজ্ঞাপনে সামিল হয়ে তারা ছেপে ফেলে সম্পাদকীয় ধিক্কার; এতে অস্বাভাবিকতা নাই। আবার এটাও অস্বাভাবিক না, ঠিক তিন দিনের মাথায় এই পত্রিকা নিন্দাজ্ঞাপনের সাময়িক ভণিতা ঝেড়ে ফেলে তাদের বর্ণাশ্রমিক এবং সাম্প্রাদায়িক চরিত্রানুগ মন্তব্য প্রতিবেদন ছাপবে। 'মারের ছবি প্রচারে পাক-হাতই দেখছে নয়াদিল্লি' শিরোনামার ঐ জল্পনায় নয়া দিল্লির গোয়েন্দা রিপোর্টের বরাত দিয়ে যে উদ্বেগের প্রকাশ ঘটেছে সেটা 'মার' নিয়ে না, স্পষ্টতই 'মারের ছবি প্রচার' নিয়ে। একটা নিম্ন-মাঝারি মানের প্রাদেশিক পত্রিকার প্রায়-অসমর্থিত প্রতিবেদন নিয়ে আমাদের না ভাবলেও চলত যদি না সেটা সাম্রাজ্যবাদী ভারতের সাম্প্রতিক লক্ষণগুলিকে ফুটিয়ে না তুলত।
সেলিমকে ঐতিহাসিকতা দিতে হলে ইতিহাস তো দূরে থাক ঐতিহাসিকতার সংজ্ঞাকে যতদূর বদলাতে হবে তারচেয়ে একটা অনৈতিহাসিক গল্প ফেঁদে বসা সহজ। কিন্তু দাবি করি, এই গল্প ইতিহাসভিত্তিক। কারণ, ক. এই গল্প বহু বছর আগের; খ. এই গল্পে কতিপয় ঐতিহাসিক চরিত্রের আনাগোনা দেখা যায়।
বহুকাল আগের কথা।
যেকোনো ম্যাৎকার বিরক্তিকর। কিন্তু ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার ম্যাৎকার তুলনাহীন।
ক. নেপোবাবুর প্রত্যাবর্তন
সরকারের দায়িত্বসম্পাদনায় নাগরিক অসন্তুষ্ট। সরকারকে গালি দেয়ার তার অধিকারটি মৌলিক। নাগরিক গালি দিচ্ছে। গালিতে কাজ যে খুব কাজ হচ্ছে তা না। কিন্তু তারও চেয়ে বেশি আপত্তিকর, সরকার তার কাজকর্মের কোনো ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছে না। এগুলো জানা সমস্যা। বিরাট এইসব সমস্যার পাশে, একটা আপাতদৃষ্টিতে ছোট মুশকিল দেখতে পাই। কিছুদিন হল, এই দুর্যোগের সুযোগে, দৈনিক প্রথম আলো, বাংলাদেশের নেপোসমাজের মুখপত্র, তার আস্তিনের নিচের ছুরিকাটি আবার বের করতে শুরু করেছে। সামরিক শাসন কায়েমের মাধ্যমে নেপোতন্ত্র বাস্তাবায়নের স্বপ্ন ভেস্তে যাওয়ায় ছুরিকাটি আস্তিনের নিচে চালান করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিত অনুকূল হতে শুরু করেছে।
[justify]
একদা ব্লগরব্লগর ছিল শৈশবের কালে। সে-সবই 'পয়েন্টলেস' ছিল। ইঁচড়ে পাকামি আমার আশৈশব পেশা। এবং এখন আর, আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বাজে বকার অবসর নাই। অতএব যখন বন্ধুরা তাগাদা দেয়, শুভাশীষ, আনন্দী, 'লেখো না', আমি মূলত কিছুই লিখতে পারি না। আমার কখনো কখনো কিছুই বলার থাকে না যা অন্যের সামান্য হলেও জানা প্রয়োজন।
‘যা কিছুই বলতে চাই
আমারই শব্দে বিনাশ
আমারই শব্দে’ (ইরশাদ কামিল)
শব্দ আর অভিপ্রায়ের মধ্যে আদি দ্বন্দ্বের নিষ্পত্তি হলে, সেটা হতেই হয় কোনো একদিন, দুর্বহ বোঝার মতো চেপে থাকে কোনো কোনো উচ্চারণ। কোনো কোনো শব্দ ফেরানো যায় না আর। কোন শব্দই বা যায়!
[justify]পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেমেছে কানাডার পুলিশ। পদ্মা সেতুর কাজ পেতে কানাডার এসএনসি-লাভালিন গ্রুপ ইনকর্পরেশন দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারে এমন সন্দেহ প্রকল্পে বৃহত্তম ঋণদাতা বিশ্বব্যাংকের। তাদের পরামর্শেই শুক্রবার এই তদন্তের শুরু হয়। বিশ্বাব্যংক নিজেরাও এই বিষয়টি আলাদাভাবে তদন্ত করছে।
১.
আন্না হাজারে একজন অর্ধশিক্ষিত, স্থূল এবং সুযোগসন্ধানী ব্যক্তি, ঠিক সেই রাজনীতিবিদদের মতনই যাদের প্রতিপক্ষ হিসাবে তাকে খাড়া করিয়েছে ভারতের কর্পরেট মিডিয়া এবং টিভিসৌখিন মধ্যবিত্ত। জ্বী, আমিও টিভিসৌখিন। কিন্তু, ন্যাটোর সাথে গাদ্দাফির ইঁদুরবিড়াল খেলা বাদ দিয়ে আন্না হাজারে ও তার স্যাঙাৎদের কাজকাম দেখছি। সুতরাং এই লিখা।
[justify]
চারতলা বাড়ি শহরতলীতে। রতনের চাচার। চাচাত ভাইরা থাকে না। রতন থাকে। দেখাশোনা করে। মাসে মাসে ভাড়া উঠায়। দুপুর হলে পানির পাম্প বন্ধ করে দেয়। আর গালি খায়। ছোটকাল থেকেই খেয়ে আসছে। এর বদলে অবশ্য চাচাত ভাইরা একটা দোকান তুলে দিয়েছে, বাজারে। বিকালের পরে দোকানে থাকে। মাঝে মাঝে সুরাইয়ার কথা মনে করে। ভালোই লাগে। রতন তার গল্প বলতে চায়। তার গল্পতে এমনিতে কোনো আর্থরাজনৈতিক ভ্যালু নাই। সামাজিক অ্যাকশনও নাই। এইটা লেখকের খরাকাটানি।
কী বলছে? - কী বলছে বুঝি নাই, তুই শুইনা দেখ। আবোলতাবোল, একই কথা বারবার বলে, ঘুরায়া ফিরায়া বলে। - ছোটভাইরে পাঠাইছি তার রিঅ্যাকশন নিতে, মাইকেল জ্যাকসনের ঘুমান্তিসের পরের দিন। এমজে পপসম্রাট, তিনিও, সুতরাং সাম্মাদিক ফিচলামি।
কিছু একটা তো কৈছে? যা কৈছে দশবারো সেকেন্ড লাগায়া দে। - হ কৈছে, মাইকেল জ্যাকসন ছিলেন যুগান্তকারী।
নজরুল ইসলামের ই-বইয়ের প্রকল্প এবং নজমুল আলবাবের কবিতা প্রকল্প দুই প্রকল্পের জন্যই লেখা লিখব, এইরকম ভাবতেছি। ভাবতে ভাবতেই, ফেসবুক নোট হিসাবে লিখা পুরান দুইটা কবিতা(?) পত্রস্থ করলাম। পুরান জিনিস বিদায় করলেই না নতুন লিখা লিখতে সুবিধা ...