ফোনবাণী

সুপরামর্শের জন্যে ধন্যবাদ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

দেখি দু'একটা নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে পারি কী'না। ১ নং বানীর শেষের স্বর্গীয় ব্যাপারটা হলে সবচেয়ে ভালো হয়।

যখন কচি ও কাঁচা ছিলাম, তখন সারারাত ফোনে গুজগুজ করতাম। এখন পাঁচ মিনিট কথা বললে মাথা ধরে যায়।

হা হা হা ! আনিস ভাই, বড় জুতসই কথাটা বললেন। হা হা হা !

শেষের লাইনটা...

মাঝে মাঝেই মনে হয় ফোন নামন যন্ত্রটারে আছাড় দিয়া ভাঙি... জীবনে তিনবার ভাংছিও...
কিন্তু আবার এইটা ছাড়া চলেও না এক মুহুর্ত। আমি তো মনেই করতে পারি না, মোবাইল ফোন আসার আগে আমার দিন কেম্নে কাটতো!!

আপনার লেখাটা দারুণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

প্রথমটার "না থাকাটা স্বর্গীয়" মনে ধরছে তবে শুধু নিজের বেলায়

আর মধ্যরাতে যখন নিদ্রা ভেঙ্গে শুনি রং নাম্বার তখন নিজের মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছা করে......

কল্পনা আক্তার

..............................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

প্রতিটা বাণীই চরমভাবে সত্য, যদিও সবগুলো আমার ক্ষেত্রে হয়ত মিলবে না। তবে এই "ফোন" নামক বস্তুর প্রতি আমার কোনকালেই তেমন কোন মোহ ছিল না। ফোনে কথা বলতে আমার ভীষণ নিরাসক্তি। এসএমএস-এ ক্লান্তি নাই। তাই আজকাল আমার বন্ধুরা নিতান্তই বাধ্য না হলে ফোন-টোন করে না আর (কৃতিত্ব আমার!)।

আজকাল নতুন উপদ্রব হচ্ছে "মিসড কল অ্যালার্ট", এর জ্বালায় আপনি মোবাইল অফ করেও শান্তিতে থাকতে পারবেন না!

লেখাটা পছন্দ হলো ভীষণ। আপনার বন্ধুর সেন্স অভ হিউমারের প্রশংসা করতেই হয়!

অফটপিক: "দা সিটিজেন অভ দা ওয়ার্ল্ড" লিখছেন না যে আর!

× ফোনের ফাংশন আর ব্যবহারকারীর মাঝে একটা ব্যস্তানুপাতিক মিল আছে । যার ফোনে কিছুই নাই সেই লোক কাজের , যার ফোনে ছবি তোলার ব্যবস্থা আছে - সে হাফ কাজের , আর যার ফোনে ছবি , গেম ,গান ,সিনেমা , ইত্যকার নানা জিনিষ আছে , সেই লোক নি:সন্দেহে পুরা অকাজের ।

গত পরশু সকালে আমি দেখি আমার কাছে দুজন ফেরেশতা এসে হাজির
দেখতে বেড়ালের মতো। মুখটা খরগোশের মতো
সারা গায়ের রং সাদা শুধু কানগুলো কালো
একজন একটু বড়ো আর আরেকজন ছোটো

দুজনই জোড়হাত করে আমার দাঁড়িয়ে আছে আর বড়োটা বারবার আমাকে বলছে- স্যার চলেন। আপনি নবী হবেন
চলেন স্যার সবাই অপেক্ষা করছে আপনি নবী হবেন

আমি বড়ো ফেরেশতার ঘাড়ে ধরে তুলে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিলাম
ছোটটা কোনো কথা বলল না। চুপচাপ হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে থাকল
কিন্তু একটু পরে সেও মিন মিন করে বলা শুরু করল- স্যার চলেন সবাই অপেক্ষা করছে আপনি নবী হবেন

এবার আমি ছোটটাকেও ঘাড়ে ধরে ছুঁড়ে দিলাম দূরে
এটাকে ছুঁড়তেই দেখি ঠাস করে একটা আওয়াজ হলো
আওয়াজে ঘুম ভেঙে দেখি আমি আমার মোবাইল ফোনটাকে দেয়ালে ছুঁড়ে ফেলেছি আর সেটা দেয়ালের সাথে লেগে ভেঙে টুকরা...

০২

দুইটা ফোনেই পাঁচ মিনিট গ্যাপ দিয়ে এলার্ম দেয়া ছিল

ফোন পকেটে নিয়ে ঘোরা যুগপৎ পরমানন্দ ও পরম যন্ত্রণাকে নিয়ে ঘোরা। জগতে এরকম আর একটা জিনিসও নাই!

কোনো-কোনো কল রিসিভ করলে মনে হয় আমার ফোন না থাকলেই ভালো হতো, আর কোনো-কোনোটায় মনে হয়, ভাগ্যিস আমার ফোন ছিল!

................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া

- ফোন নিয়ে আমার বিশাল এক কেলেঙ্কারী ঘটনা আছে। সময় সুযোগে লেখা হলেও হতে পারে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍আমার সংগ্রহ থেকে কয়েকটি প্রাসঙ্গিক ওয়ান লাইনার (একপদী?) দিয়ে দিই তোর লেখায়।

* মোবাইল ফোনের একটাই খারাপ দিক - স্ত্রী।

* রং নাম্বার কখনও এনগেজড থাকে না।

* একাকিত্ব হলো যখন ঘরে টেলিফোন আছে, কিন্তু বাজে শুধু অ্যালার্ম ঘড়ি।

* গ্রাহাম বেল আবিষ্কার করেছেন টেলিফোন। আর রিং টোন রচনা করেছেন মোত্সার্ট, বাখ, বীটোফেন...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

শেষ লাইনটা জোস লাগছে !
আসলে পুরো লেখাটাই জোস হইছে।

ফাটাফাটি হইছে রে ভাই
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

খুবই মজা পেলাম
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

ফোন জিনিষটার প্রতি আমার অসীম কৃতজ্ঞতা!! সেই যে কোন আদ্যিকাল থেকে সুখেদুখে আমার সাথে আছে, আজিও আছে

মোবাইল ফোন হচ্ছে হাতঘড়ির মত, না থাকলে দিব্বি দিন চলে কোন সমস্যা নাই, একবার অভস্ত্য হলে একে ছাড়া জীবন চলে না।

লেখা পড়ে আনেক মজা পেয়েছি।

?

স্ত্রী আর ফোন দু'টোই কখনো কখনো খুবই প্রত্যাশিত, কখনো বা বিরক্তির একশেষ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

প্রথম কথাটা আনিস ভাই, একদম যাকে বলে জীবন থেকে নেয়া!
ফোনাফুনি থেকে মনে পড়ল - এক বন্ধুর বন্ধুকে এই অকামটি করতে শুনেছিলাম, সে মাঝ রাতে মানুষ্কে প্র্যাংক কল করে ঘুম থেকে তুলে বলত - "আংকেল! আমি এখন ধানমন্ডির অমুক রাস্তার মাথায় দাঁড়িয়ে আছি। এখানে কি থুতু ফেলা যাবে??"

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

না, তা পারিনি।

.......................................................................................
Simply joking around...

ফোনে গ্যাঁজানোর অভ্যেস করতে পারি নি আজ পর্যন্ত। আমিও কাউকে ফোন করি না, আমাকেও কেউ করে না। তবে আর সবাই আমাকে ভুলে গেলেও জিপি কখনো ভোলে না। সকাল-বিকেল-সন্ধ্যা-রাত নিয়ম করে আমাকে এসএমএস দিয়ে যায়। আমার ইনবক্স ভর্তি গ্রামীনের প্রেমপত্র।

আমি ক্যান এই লেখাটা মিস করসি?
ফোন ছাড়া খুবই লোনলি লাগে।
যদিও দুইচার মিনিটের বেশি কথা বলতে বিরক্ত লাগে।
কিন্তু মেসেজে ক্লান্তিবিহীন...

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ভাল
___________________________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ