মরালসঙ্গীত: একটি বেকুবি পোস্ট

আনিস মাহমুদ এর ছবি
লিখেছেন আনিস মাহমুদ (তারিখ: রবি, ১৩/০৬/২০১০ - ৭:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

না, কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের তর্জনী নয়, কোনো যুক্তি-তর্ক-রেফারেন্স-বিতর্ক নয়। আমি বেকুব ধরনের আবেগপ্রবণ মানুষ। আর সেই বেকুবি আবেগ থেকেই আমি একটি কথা সকলকে বলতে এসেছি: আমি সচলায়তন থেকে চলে যাচ্ছি। এই প্রসঙ্গে সকলের কাছে একটি অনুরোধ: দয়া করে কেউ আমাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাবেন না।

সিদ্ধান্তটা আমার জন্য সহজ ছিলো না। কিন্তু গত বেশ কিছুদিনের অস্থিরতা আর কয়েক রাতের অস্থির ভাঙা-ভাঙা ঘুমের পর কাল রাত চারটায় ঠিক করলাম, একটা বেকুবি পোস্ট দিতে হবে।

গোড়াতেই বলেছি, আমার এই বেকুবির পেছনে কোনো যুক্তি কেউ চাইলে দেখাতে পারবো না। আমি লিখছি আমার ভোঁতা বোধ আর মূঢ় আবেগ থেকে। কয়েকমাস আগেও কর্মক্লান্ত দিনশেষে যে সচলায়তনে আসতাম খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে, সেই সচলায়তন আর খুঁজে পাচ্ছি না, হয়তো আমি অন্ধ বলেই। হয়তো আমার মনে হওয়ারই দোষ, তবুও আমার কানে ভেসে আসে কোনো সহসচলের ক্ষীণ আর্তনাদ, একই সাথে অন্য কোনো সহসচলের জয়হুঙ্কার। কেন যেন মনে হয়, আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ এখন মিথষ্ক্রিয়ার সমার্থক। এই সচলায়তনকে আমার অপরিচিত মনে হয়। হয়তো আমারই গ্রহণক্ষমতার সীমাবদ্ধতা, কিন্তু ইদানিং সচলায়তনে এলে আমি নিজের ওপরে এক ধরনের চাপ টের পাচ্ছি। এই চাপ দিনে দিনে বাড়ছে। এবং বিষয়টি উপভোগ করছি না মোটেও।

সচলায়তন আমাকে দিয়েছে অসাধারণ একদল তরুণ প্রাণ, যাদের সাথে আমার গড়ে উঠেছে নিবিড় ব্যক্তিগত সম্পর্ক, যাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কখনো কখনো যুদ্ধ করেছি, কখনো কিছুই করতে না পেরে শুধু পেছন থেকে উৎসাহ দিয়েছি, কখনো কখনো মেতে উঠেছি নির্মল প্রাণখোলা আড্ডায়। আরো অনেক আছেন আমার অদেখা বন্ধু; তাদের কেউ থাকেন দেশেই আবার কেউ বিদেশে। আমার প্রাপ্তি অনেক সচলায়তন থেকে। কখনো লেখক হতে চাইনি এবং হতে পারিওনি, কিন্তু আজ যতোটুকু লিখি, সেটা লিখি সচলায়তনেরই দেয়া সাহস আর প্রশ্রয় থেকে। সচলায়তন ছাড়া একসাথে এতগুলো অসম্ভব ভালো মানুষ আমি আর কোথাও দেখিনি।

লেখক বা ব্লগার হিসেবে আমি খুবই অনিয়মিত। ভাবি অনেককিছু নিয়ে অনেককিছু লিখবো। কিন্তু লেখা হয়ে ওঠে না খানিকটা অক্ষমতা, খানিকটা আলসেমি আর খানিকটা সময়ের অভাবের কারণে। তাই আমার বেকুবি পোস্ট সচলায়তনের জন্য কোনো অর্থ বহন করে না। সচলায়তন থেকে আমি শুধু নিয়েই গেছি, পেয়েই গেছি।

এ ধরনের বেকুবি পোস্ট দীর্ঘ হওয়া উচিত না। কিন্তু দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছে। আর দীর্ঘ হতে দেয়া উচিত না। যদি কখনো বেকুবির কারণে বা পাকাচুলের অধিকারে কাউকে কখনো আঘাত করে থাকি, সেটার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

সচলায়তনের এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের আনন্দময় দীর্ঘ জীবন কামনা করছি।


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

আনিস ভাই - এই চাপটা আমিও টের পাই, কিন্তু সচলায়তন ছেড়ে যে যাই না, তার কারণটা একটা স্বার্থপর এবং ব্যক্তিগত কারণ। যাই হোক, অনুরোধ করতে না করেছেন, তাই অনুরোধ টোধও করবো না - ভালো থাকবেন, নির্ভার এবং আনন্দময় থাকবেন, মন থেকে এই শুভকামনা জানালাম।

[সামারে দেশে যাচ্ছি - আপনার সাথে যোগাযোগ করার ইচ্ছা ছিলো। করবো? হাসি ]

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

মন খারাপ

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আনিস ভাই,

আপনি যে অপছন্দের কথা কথা বললেন সেই অপছন্দ আমাদের সকলেরই। সকলের কথাটা হয়তো খানিক গায়ের জোরে বললাম। নিশ্চিত করে নিজের কথাটুকু বলতে পারি, যে এই কামড়াকামড়ি যথেষ্ট অশোভন লাগে আমার কাছেও।

কিন্তু কমিউনিটি যখন তখন নানা রকম সঙ্কট হবেই। আর সেইসব সঙ্কট থেকেই সচলায়তনের জন্ম। সেই সব সামলাতেই সচলায়তনের এ-ফোর সাইজের একপাতা ভর্তি নীতিমালা আর তাঁকেসহ পুরো সাইটকে সামলাতে মোষতাড়ানো মডু-কামলা। সঙ্কটের সৃষ্টি হলে সমাধান করতেই হবে। চট করে সমাধান না পাওয়া গেলে চেষ্টা করতে হবে। এর বিপরীতে যা আছে আপনি তাই করতে যাচ্ছেন অভিমানে। এই অভিমানে আমার তীব্র আপত্তি।

আপনার চলে যাবার সিদ্ধান্ত সঙ্কটকে তীব্রতর করবে। আপনাকে এই অধমের সনির্বন্ধ অনুরোধ, এই পোস্টটাকে খরচের খাতায় ফেলে দিয়ে পুরোদমে ব্লগিং করতে থাকুন।

সহজ সিদ্ধান্ত নেবার জন্য একটা বহুব্যবহৃত কৌশল : একটা পাঁচ টাকার কয়েন নিন। শাপলাকে ধরুন হেড আর বঙ্গবন্ধু সেতুকে টেল। হেডের সিদ্ধান্ত সচলে থাকার টেলের সিদ্ধান্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্রামে যাবার। তারপর টস করতে থাকুন ... যতক্ষণ হেড না পড়ে দেঁতো হাসি



অজ্ঞাতবাস

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি


অনেকদিন পর নীড়পাতায় আপনার পোস্ট দেখে খুব দ্রুত লগইন করলাম। কিন্তু পোস্টের তৃতীয় লাইনে এসে যে ধাক্কাটা খেলাম, তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না এতোটুকুও! অকল্পনীয়। দুঃখজনক। অপ্রত্যাশিত। হ্যাঁ, অনেক রকম বিশেষণ দিয়ে অনুভূতিটাকে মুড়িয়ে দেয়া যায়। কিন্তু তারপরও হয়তো পুরোপুরি ঠিক বোঝাতে পারবো না কেমন লেগেছে পোস্টটা পড়তে। একইসাথে পুরনো অনেক কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।

গত অনেকদিন ধরেই আমি নিজেও অনিয়মিত। অনেকদিন থেকেই এই অনেকদিনের আপন, চেনা পরিবেশটা আমার কাছেও কেমন যেন অচেনা লাগে মাঝে মাঝে। মাঝে মাঝে কষ্ট হয় বিভিন্ন বিষয়ে অনেকের মধ্যে বাদানুবাদ দেখে। মনে হয় এই তাড়া, এই অস্থিরতার শেষ কোথায়! তারপরও কোনো এক অদ্ভুত টানে ঠিকই চলে আসি এখানে।

আনিস ভাই, আমি সন্দেহাতীতভাবেই আপনার চেয়েও অনেক বড়ো "বেকুবি" করি খুব নিয়মিত! বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমি মাথা দিয়ে ভাবি না। ভাবি হৃদয় দিয়ে। অল্পেই কষ্ট পাই। আবার অনেক আপাত ছোট বিষয়েও ভীষণ আনন্দিত হই। সেই অসীম বেকুবির প্রমাণ দিতেই হয়তো আপনাকে অনুরোধ করবো (হ্যাঁ, আপনি জোর দিয়ে মানা করার পরও) সিদ্ধান্তটা আরেকবার ভেবে দেখবেন। চলে যাওয়াটা তো সমাধান না, তাই না?

ব্যক্তিগতভাবে এই ধরনের পোস্ট আমি পছন্দ করি না, এটা যেমন সত্য; তারচেয়েও বড়ো সত্য, ব্যক্তিগতভাবেই আমি ভীষণ কষ্ট পেলাম আপনার সিদ্ধান্তে। এবং সেটা বেকুবের মতো বড়ো গলায় সবার সামনে জানিয়েও দিলাম। হয়তো আপনি অনেক ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্তটা নিয়েছেন, হয়তো এরমধ্যে চলেও গেছেন, হয়তো এই কথাগুলো আপনার কাছে পৌঁছাবেও না; তবুও মন থেকে আশা করবো আরেকটা "বেকুবি পোস্ট" পাবো আপনার কাছ থেকে, যেখানে আপনার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা লেখা থাকবে।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

বেগুনী-মডু এর ছবি

আপনার চলে যাবার বিষয়টি দুঃখজনক। ভবিষ্যতে এইরকম ঘটনা রোধে নীতিমালা পরিবর্তন সহ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

চমত্কার! সত্যিই চমত্কার!!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার এই শ্লেষাত্নক মন্তব্যটার কোনো দরকার ছিলো খান ভাই!

অবশ্য আমার মন্তব্যেরও কোনো প্রয়োজন ছিলো না। কিন্তু আপনার এই ব্যাঙ্গাত্নক/শ্লেষাত্নক মন্তব্যের অপ্রয়োজনীয়তা বুঝাতেই আমার অপ্রয়োজনীয় এই মন্তব্য।

মডুদের পশ্চাতে সার্বক্ষণিক আঙুল তাক করে না রেখে আমাদের মনেহয় অন্য দিকে দৃষ্টি স্থাপন করাটা বেশি জরুরী।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নজমুল আলবাব এর ছবি

৫ | বেগুনী-মডু | রবি, ২০১০-০৬-১৩ ২০:৪১

আপনার চলে যাবার বিষয়টি দুঃখজনক। ভবিষ্যতে এইরকম ঘটনা রোধে নীতিমালা পরিবর্তন সহ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

বেগুনি মডুর এই মন্তব্যটা পড়ে মনে হয়, কেউ যদি চলে যায় সচল ছেড়ে তাতে মডুদের কিছুই আসে যায় না। অন্তত আমার তাই মনে হয়েছে। যেভাবে শুভকামনা জানানো হলো, এটা দেখে চমৎকার মনে না হবার কোন কারণ নাই। হয়তো একারনেই সাইফুল মন্তব্যটা করেছে। তুমি যেমন অপ্রয়োজনীয় জেনেও মন্তব্যটা করলা, আমি তেমনটা করিনি। কারণ আমার মনে হয়েছে এই শ্লেষটা একেবারেই এম্নি এম্নি না।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

বেগুনী-মডু এর ছবি

কেউ যদি চলে যায় সচল ছেড়ে তাতে মডুদের কিছুই আসে যায় না।

এরকম কোন মনোভাব থেকে মন্তব্যটি করা হয়নি।

এরকমটা মনে হয়ে থাকলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। মন্তব্যটি সংশোধন করা হল। আপনাকে ধন্যবাদ।

নজমুল আলবাব এর ছবি

বেগুনি মডুকে ধন্যবাদ।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

উদ্ধৃতি

কেউ যদি চলে যায় সচল ছেড়ে তাতে মডুদের কিছুই আসে যায় না।

এরকম কোন মনোভাব থেকে মন্তব্যটি করা হয়নি।


আমি দুটি কথা বলতে চাই যদি কেউ কিছু মনে না করেন:

মডারেশন হওয়া উচিত নিরাবেগ, তাদের বক্তব্যও হবে সেরকম। সেক্ষেত্রে কেউ চলে গেলে বা এলে মডুদের আসলেই কি কিছু যায় আসে? কিংবা অন্যভাবে বলা যায়, আসলে কি কিছু যাওয়া আসা উচিত? আমার মনে হয় উচিত নয়।

মডুর মন্তব্যের শেষের লাইনটি বাদ দেয়াতে সেই নিরাবেগী মনোভাবটিই ফুটে উঠেছে। সেজন্য আমিও ধন্যবাদ জানাই।

মূলত পাঠক এর ছবি

শুনে খুবই খারাপ লাগলো, আনিস সাহেব। কিন্তু আগেই না বলতে বলে রেখেছেন, অনুরোধ করারও জো নেই। সচলায়তনের কেন, কোনো জায়গারই নিয়মনীতির গাইডেন্স বানানো বা তার প্রয়োগ সহজ কাজ নয়। যাঁরা সে কাজ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরাও পারফেক্ট নন, এবং ভুলভ্রান্তিও হয়, ভবিষ্যতে হবে না এ গ্যারান্টিও দেয়া সম্ভব নয় বলেই মনে হয়। তার মধ্যেই আমাদের পথ খুঁজে নিতে হবে। সম্প্রতি যা হলো তার মধ্যে থেকে ভালো কিছু বেরিয়ে আসুক এই আশা করতে চাই। আপনার প্রস্থান নিশ্চিতভাবেই সেই ভালোর তালিকায় পড়ে না, বরং আমাদের ব্যথিত করে নানা ভাবে।

পরিবর্তনশীল জীবনে হয়তো কোনো এক দিন আপনার এই মত বদলাবে, এ টুকু আশা তাই ধরে রাখতে চাই।

হাসিব এর ছবি

যেহেতু আমরা আপনেরে যাইতে দিতেছি না সেহেতু আপনার ফিরানির কোন প্রশ্ন এইখানে নাই । ফিরানির প্রশ্ন না থাকলে ফিরানির রিকোয়েস্টের প্রশ্নও নাই । ঢাকার বাইরে থিকা ঘুরনা দিয়া আসেন একটা ।

রণদীপম বসু এর ছবি

আনিস ভাই, ব্যক্তিগতভাবে আমি আপনাকে জুবায়ের ভাই'র ছায়া হিসেবে দেখেছি। চমৎকার সব উদ্যোগগুলোতে আপনার শারীরিক উপস্থিতি একটা বিশাল ছায়া হয়ে আমাদের আগলে রাখতো। সেটা যদি আজ সরিয়ে নেন, নিজেকে খুব অপরাধীই মনে হবে।

রবি ঠাকুরের সেই উক্তিটা মনে পড়ে- মানুষ প্রতিজ্ঞা করে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের জন্য।
এই উক্তিটা যেন কখনোই মিথ্যে না হয় সে আশাবাদ লালন করে যাবো।
.
auto
auto
auto

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

s-s এর ছবি

আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ এখন মিথষ্ক্রিয়ার সমার্থক। এই সচলায়তনকে আমার অপরিচিত মনে হয়।

শ্রদ্ধেয় আনিস ভাই: আপনার এই কথাটা একদম মিলে গেলো আমার ভাবনার সাথে। এখান থেকে গত দু'দিনে আমি স‌হ‌স্রবার চ‌লে যাবার কথা ভেবেছি,কিন্তু চলে যাওয়া কি সমাধান?প্রতিবার এখানে এ‌র‌ক‌ম আহত হবে এক বা একাধিকজন এবং ভালো মানুষগুলো একে একে চলে যাবে।

এর প্রতিকার নেই??? কোনই???

আমি আপনার চলে যাওয়া ঠেকাতে হ‌য়তো কিছুই করতে পারবো না,এটা ভেবে ভীষণ বিপন্ন বোধ করি।

কিন্তু,সম্মিলিতের শুভশক্তির উপর আসুরিক দানবীয়ের জয় দেখতে অত্যন্ত গ্লানি বোধ করছি।

অত্যন্ত গ্লানিবোধ করছি
অত্যন্ত গ্লানিবোধ করছি
অত্যন্ত গ্লানিবোধ করছি
অত্যন্ত গ্লানিবোধ করছি
অত্যন্ত গ্লানিবোধ করছি
অত্যন্ত গ্লানিবোধ করছি
অত্যন্ত গ্লানিবোধ করছি
অত্যন্ত গ্লানিবোধ করছি
অত্যন্ত গ্লানিবোধ করছি
অত্যন্ত গ্লানিবোধ করছি
অত্যন্ত গ্লানিবোধ করছি ------------------

সাইফুল ইসলাম [অতিথি] এর ছবি

"সম্মিলিতের শুভশক্তির উপর আসুরিক দানবীয়ের জয় দেখতে অত্যন্ত গ্লানি বোধ করছি।"

এই জাতীয় মন্তব্যই সচলের পরিবেশ দূষণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। অতিনাটকীয় শব্দচয়ন পরিত্যাজ্য বলেই মনে করি।

s-s এর ছবি

সে না হয় হলো,অন্য সবার মন্তব্যের মধ্যে শুধু আমার মন্তব্যই পয়েন্ট আঊট করলেন? আপনি কে অতিথি তা জানিনা,কিন্তু সচলে পরিবেশ রক্ষায় আপনাকে কখনও দেখিনি।আমি কিন্তু কারো নাম উল্লেখ করিনি, তারপরেও আপনার মনে হলো,আমার মন্তব্যই সচলের পরিবেশ দূষণের "সবচে" বড় কারণ? ঠিক নয়,ভাই। বিশ্বাস করুন,আরো অনেক কারণ আছে। অনেক বড় কারণ।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমারও আপনার মন্তব্যের ঐ লাইনটি পছন্দ হয়নি। "অনেক বড় কারণ"টি যদি জানাতেন তাহলে মনে হয় সেটা সচলায়তনকে আরও ভালো করে গড়ে তুলতে সাহায্য করত।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

s-s এর ছবি

মুর্শেদ আমি এখানে কোনো তর্ক চাইছিনা,প্লিজ।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমারো জানতে আগ্রহ হয়। "বড়" কারণ্টা কী?



অজ্ঞাতবাস

অনিকেত এর ছবি

আপনার মন্তব্যটাও পরিতাজ্য বলে মনে করি

সকলে কে অনুরোধ-- অন্তত এই পোষ্টে আর তর্ক না টেনে আনলে কেমন হয়?

অনেক তো হল

দয়া করে সবাই, সচল-হাচল-অচল-অতিথি, এইবার থামুন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমি আপনার মন্তব্যে তীব্র বিপন্ন বোধ করছি s-s। কেনো জানি মনে হচ্ছে, আনিস ভাইয়ের চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে এ ধরণের কিছু মন্তব্যই অনুঘটকের কাজ করেছে।

শুধু এটাই না, আপনার বেশ কিছু মন্তব্যই আমার কাছে আপত্তিজনক মনে হয়েছে। হয়তো আমার দৃষ্টির বাইরে আরও এমন অনেক মন্তব্য আপনি করে থাকবেন।

আপনার মন্তব্যের নেতিবাচকতা তুলে ধরলে এক অতিথিকে আপনি তার 'নিয়মিত বিচরণ' নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। কিন্তু আপনি কি সচলে খুব নিয়মিত? আপনাকে কি কোনো একটা 'বিশেষ' সময়ে সচলে দেখা যায় না? এবং সেই বিশেষ সময়গুলোতে আপনার থেকে কি অগ্নিতে ঘৃতাহুতি ছাড়া প্রশমিতকরণ কোনো মন্তব্য পাওয়া গেছে?

আপনি পুরো সচলায়তনকে ঢালাওভাবে 'অশিক্ষিত' বলেন। এসবের 'চাষবাস ইদানিং বেশি হচ্ছে' বলে সিদ্ধান্ত দিয়ে বসেন। সহ সচলকে 'ইতর' বলে গালি দিয়ে বসেন। কেনো রে ভাই?

গালি দেন, চড় দেন, থাবড় দেন— অসুবিধা নাই। তার আগে বাকিদের সঙ্গে নিজের সম্পর্কটাকে সেই জায়গায় নিয়ে যান দয়াকরে। কিন্তু আৎকা এসে বাৎকা একটা কথা বলে ফেললে কেমন করে হবে? একজন অতিথি আপনার মন্তব্যের 'ভুল' ধরলে আপনার প্রতিক্রিয়া হয়। এমন প্রতিক্রিয়া কি আপনার ব্যাপারে অন্যদেরও হতে পারে না? নাকি নামের পাশে 'সচল' সাইনবোর্ড থাকলেই সবকিছু হালাল হয়ে যায়?

আপনি এখানে তর্ক চাইছেন না, তারপরেও কথাগুলো না বলে থাকতে পারলাম না। এবং বলাই বাহুল্য, আমি আপনার এই মন্তব্যে আপত্তি জানালাম। প্রচণ্ড বিরক্তি নিয়ে।

আনিস ভাই, কিছু মনে করবেন না আপনার পোস্টে এই মন্তব্য করে ফেলার জন্য। আপনার সিদ্ধান্তের প্রতি অন্তত আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আমি নিজেও বিরক্ত, ভয়ানক বিরক্ত।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পুতুল এর ছবি

আনিস ভাই,
আপনার সাথে আমার কোন পরিচয় নাই। বিভিন্ন সচলাড্ডায় ছবি দেখে মনের ভেতর আপনার একটা ছবি এঁকেছি। এই পোস্টের সাথে সেই ছবিটা মেলাতে পারলাম না!
সচলায়তন কোন প্রার্থনালয় নয়। এখানে গালাগালি যেমন আছে, গলাগলি তার চেয়ে কিছু কম নেই। আপনি নিজেই তার প্রমান। আমি কথাবার্তা খুব ভাল বলতে পারি না। কাজেই যখন কোন বিষয় নিয়ে জটিল সব তর্ক শুরু হয়, তখন চুপ থাকা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু আহত আপনার চেয়ে কম হই না। যেহেতু নিজে গিয়ে বলতে পারি না, "এই পোলাপান চুপ কর" তখন অপেক্ষায় থাকি এই ভেবে যে "গজর্ণ করে মেঘ জমেছে বৃষ্টির পরে আবার শান্ত হবে সব কিছু। এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে তাই হয়।
আমাদের দেশের আবহাওয়া, রাজনৈতিক পরিবেশ কোনটাই ভাল না, তাই বলে দলে দলে লোক তো দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে না। চেষ্টা করছে আলোচনা, সমালোচনা, আন্দোলনের মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতি করতে।

এখানে যারা লেখালেখি করে তারা সবাই যথেষ্ট বোধ এবং বুদ্ধির অধিকারী। আপাতঃ এই কড়া কথা চালাচালির মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতা দিয়ে তারাই সামনের দিকে সচলায়তনকে এগিয়ে নেবে। এবং আমার মনে হয় নি গত কয়েক দিনের উত্তপ্ত পরিস্থিতিটা একেবারেই অপ্রয়োজনীয় ছিল।

ভাঙ্গা-গড়ার ভেতর দিয়েই কেবল নতুন সৃষ্টি সম্ভব। **********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নজমুল আলবাব এর ছবি

তীব্র মন খারাপ হলো।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

স্পর্শ এর ছবি

মন খারাপ হলো খুবই। মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নৈষাদ এর ছবি

কখনও দেখা বা সরাসরি কথা হয়নি আপনার সাথে, তারপরও এ সিদ্ধান্তে দুঃখ পেলাম।
সচলায়তনে আমরা যারা অপেক্ষাকৃত নতুন, তারা হয়ত কিছুটা কনফিউজিং এবং ডিসকারেজিং বার্তা পাব……।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তাসনীম এর ছবি

খুবই খারাপ লাগলো আনিস ভাই।

হয়ত অদূর ভবিষ্যতে আপনার মত পাল্টাবে এবং আপনাকে আমরা আবারও পাবো সচলয়াতনে।

ভালো থাকুন।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ভালোবাসার জায়গাতে শেষ কথা বলে কিছু আছে কি?
এটা তো কোনো সমাধান না।
মন খারাপ
বাজে সময় বলে তো কিছু থাকেই। কেটেও যাবে।
এইসব কথা বলার দরকার নাই, আনিস ভাই, প্লিইজ...।

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সুজন চৌধুরী এর ছবি

আনিস ভাই,
আপনি চলে যাবেন?
তাতে আমার কেমন লাগছে সেটা না হয় বাদ দিলাম, এখানে না এসে আপনি হয়তো ভালো থাকবেন.... কিন্তু তাতে সচলায়তনের সমস্যাটা যে আরো প্রকট হলো এটা বুঝি। প্রায়ই সচলায়তনের পরিবেশ গেলো ধরণের ধোঁয়া তুলে যারা ব্যক্তিগত আক্রোশ প্রকাশ করে তারা খুব তৃপ্তি পাবে এবং
আবারো যখন এমন সমস্যা হবে তারা এসে নামে-বেনামে জানান দিবে এই পরিবেশের জন্য আনিস ভাইও থাকতে পারলেন না.... মজার বিষয় হলো ঐলোকগুলো কিন্তু যায় না!
আঁড়ালে থেকে সুযোগ খোজেএবং অন্যদেরকে উসকানি দিবে এমন ১টা অবস্থা তৈরীর জন্য।
সচলায়তনের বর্তমান অবস্থায় আমি বিরক্ত, কিন্তু বিচলিত না।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

যুধিষ্ঠির এর ছবি

এই অভিমানে আমার তীব্র আপত্তি।

খেকশিয়াল এর ছবি

সিদ্ধান্তটা ভুল আনিস ভাই, একদমই ঠিক হইলো না

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এ পর্যন্ত সচলায়তন ও অন্য ব্লগে কেউ বিদায় নিতে চাইলে আমি শুভকামনা জানিয়ে এসেছি। পথ আগলে দাঁড়াইনি কখনো। জোর করে কোনো কিছু হয় না কখনো।
আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়েও জোর করবো না। শুধু একটা কথা বলি, বিদায় না নিয়ে একটু ব্রেক নিয়ে আসলে কেমন হয়? নিজের থাকার ঘরেই তো মাঝে মাঝে দমবন্ধ লাগে, একটু বাইরে ঘুরে আসলে মন্দ হয় না। নাকি?

অতিথি লেখক এর ছবি

সুজনদা'র সাথে আগা-গোড়া একমত।
শ্রদ্ধেয় আনিস ভাই, আপনার এই সিদ্ধান্তের ফলে ক্ষোভে অনেক কিছুই বলতে চাচ্ছিলাম, ভেবে দেখলাম ক্ষোভের মাথায় কিছু বলা ঠিক হবে না।
শুধু এইটুকু বলতে চাই যে- যেতে চাইছেন? যান। কিন্তু মনে রাখবেন, বিবেকের কাছ থেকে কখনো মুক্তি পাবেন না।

-বুদ্ধু

চড়ুই [অতিথি] এর ছবি

আনিস ভাই, আপনি চলে গেলে সচল আরো বিপদগামী হবে। প্রতিবাদ করুন অভিমান নয়। বাঙালী মিলেমিশে কিছু করতে পারে না এটা যেন আবারো প্রমানিত না হয় সেই আশা করছি।

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

আনিস ভাই, আপনার এই সিদ্ধান্ত গত কয়েকদিনের অসহনীয় পরিবেশকে আরও ভারী করে তুলছে।
ভালবাসার স্থানকে কি ফেলে যাওয়া যায় ?
আরেক বার সবাইকে সব কিছু ঠিক করার সুযোগ দেবেন না?
প্লীজ...

অনিকেত এর ছবি

আনিস ভাই,

বয়েসে আপনি অনেক বড়, অভিজ্ঞতায় আরো

আপনাকে অনুরোধ করতে নিষেধ করেছেন, তাই অনুরোধ করছি না।
শুধু মিনতি করছি একবার একটু ভেবে দেখেন---

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আনিস ভাই,
আমি আপনার পোসট পুরাটা পড়ি নাই। মন্তব্যগুলা একটাও পড়ি নাই। শুধু আপনার সিদ্ধান্তটা পড়ে লগাইতে বাধ্য হইলাম।

কিছুই কমু না, কিন্তু আপনে আমাদের ছেড়ে যেতে পারবেন না। এইটা দাবী। আপনার কাছে মূল্য থাক আর না থাক, আমি দাবীটা করতেছি।
প্রয়োজনে আপনের লগে যুদ্ধ করবো, মারামারি করবো, তবু সচল ছাড়তে দিবো না আপনেরে। এই পোস্ট বাতিল।

এখন ভোর রাত বলে কিছু কইলাম না। কিন্তু কালকে সকাল থেকে আমি আপনেরে জ্বালায়া পুড়ায়া ছাড়খাড় করে দিবো। কসম।

আপনি যাবেন না। এইটাও কসম।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার অনুরোধের তোয়াক্কা করলাম না। স্যরি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বস্‌,

সচলায়তন যে নিছক একটা ব্লগ না এ'কথাটা আপনার চেয়ে বেশি কতজন জানেন? এটা যদি শুধু বাংলায় লেখালেখি করার জায়গা হতো তাহলে এখান থেকে আপনি রাগ করে বা বিরক্ত হয়ে বা অভিমান করে চলে গেলে চলে গেলে কিছু বলার ছিলনা। কিন্তু এটাতো এখন আরো বড়, আরো বিস্তৃত ব্যাপার।

গত দুই বছরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে স্টিকার, খালেদ চাচার জন্য চ্যারিটি কনসার্ট, অভ্র নিয়ে আইনী ঝামেলার মোকাবেলা - কোন বড় কাজটা আপনার সাহায্য ছাড়া হয়েছে? শুদ্ধস্বরে বা কোঞ্চিপায়, নজরুলের বাসায় বা স্টার কাবাবে, বইমেলায় বা ধানমণ্ডি লেকের পাড়ের আড্ডাগুলোতে আপনার হাঁটুর বয়সী ছেলেমেয়েগুলো কেন আপনার দিকে চেয়ে থাকতো? কেন "আনিস ভাই আসবেন" এই কথায় সবাই উৎফুল্ল হত? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কি আপনার জানা নেই? অবশ্যই আছে। তাহলে আজ আমাদের কোন অপরাধে আপনি আমাদের সামনে দরজা বন্ধ করে দেবেন?

আমাদের মধ্যে যদি কেউ ভুল কিছু করে থাকেন, ভুল কিছু বলে থাকেন, আপনাকে আঘাত করে থাকেন, আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকেন তাহলে অগ্রজের অধিকার নিয়ে তাকে শাসন করুন।

আপনি আমাদের চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ শুধু তাই আপনাকে সম্মান করি - তা নয়। আপনার ভূমিকাই আপনাকে সম্মানের আসনে বসিয়েছে। একই সাথে আমাদেরও আপনার প্রতি এক ধরণের অধিকার জন্মেছে। আপনার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার প্রকাশ করতে চাই আপনার সামনা সামনি, ফোনে, ফেসবুকে, সচলায়তনের পাতায়। এই অধিকার থেকে আমাদের কেন বঞ্চিত করবেন?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আনিস ভাই,
একে একে যদি সব শুভাকাঙ্ক্ষী সরে দাঁড়ায় তাহলে এক সময় কোন শুভাকাঙ্ক্ষী থাকবে না সচলায়তনে। মানুষ বাড়লে একটা সামাজিক কমিউনিটিতে এনট্রপি বাড়েই, বাড়তে বাধ্য। দেখার বিষয় হলো আমরা এই ক্রান্তিকাল থেকে কীভাবে উত্তরণ করি। আমাদের দূরে সরিয়ে না দিয়ে আপনার বিচক্ষণ বিবেচনা থেকে আমাদের সমাধানের পথ দেখান। সেটাই আমাদের কামনা।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আনিস ভাই,
আচ্ছা এভাবে আপনাকে কনভিন্স করা যায় কিনা দেখি। বিরক্ত হলে দুঃখিত। হাসি

সচলায়তনের ভিত্তি কী কী? লেখা, সামাজিক উদ্যোগ এবং মিথস্ক্রীয়া। নীচের ছবির মত সচলায়তন প্রতিষ্ঠিত।

সচলায়তনের লেয়ার সমূহসচলায়তনের লেয়ার সমূহ

সচলায়তনের কম্পোনেন্ট সমূহসচলায়তনের কম্পোনেন্ট সমূহ

তো এই কম্পোনেন্ট গুলোর মধ্য কোনটিতে সমস্যা? লেখা? সামাজিক উদ্যোগ? মিথস্ক্রীয়া?

আমার ধারণা সবাই এক বাক্যে স্বীকার করবেন যে আমাদের সমস্যা হচ্ছে এই মিথস্ক্রীয়া। বাকি দুটো মূল ভিত্তিতে তো কারো কোন দ্বিমত নেই! সুতরাং আসুন আমরা একসাথে এই মিথস্ক্রীয়ার সমস্যাটি সমাধান করি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

গৌতম এর ছবি

মুর্শেদ ভাইয়ের সাথে একমত। আমাদের সমস্যা মিথস্ক্রিয়ায়। অথচ এটাই বোধহয় আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হওয়ার কথা ছিলো। আমরা যদি নিজেদের ইগোকেই সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভাবি, অন্যের মতামতকে সহজভাবে না নিতে পারি বা শ্রদ্ধা না করতে পারি, নিজের মত জোঁকের মতো আঁকড়ে ধরে রাখার মনোভাব ধারণ করি, ট্যাগিং করতে যাই, সহসচলকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ব্যঙ্গবিদ্রুপে জর্জরিত করি, বিতর্কিত বিষয়গুলোতে নিজেদের সামলাতে না পারি, তাহলে এরকমটাই তো হওয়ার কথা!

আর এসব বিষয়ে নীতিমালা দিয়েও কিছু হবে না। নীতিমালার নির্যাস ধারণ করতে না পারলে পাতার পর পাতা নীতিমালা লিখেও কিছু হবে না।

××
আনিস ভাইকে কী বলবো! আপনার অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করছি। কিন্তু আপনি এখানে ফিরে আসলে আমার ভালো লাগবে সেটাও বলে যাচ্ছি।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

স্বাধীন এর ছবি

মুর্শেদের মন্তব্যে পুরো সহমত।

মামুন হক এর ছবি

মাহবুব মুর্শেদ ভাইয়ের সাথে একমত। আমাদের মূল সমস্যা এই মিথষ্ক্রিয়াতেই, যারা সমাধান করা আমাদের দ্বারা খুবই সম্ভব। আপনি বড় ভাইয়ের মতো ছায়া হয়ে ছিলেন, এখন দয়া করে আমাদের ফেলে চলে যাবেন না। আর সবার মতো আমিও আপনাকে মিনতি করছি।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

প্রায় এক বছর কিছুই লিখতে পারছি না বলে সচলে লেখা হয় না
প্রায় এক বছর ঘটনার পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে সচলে ঢোকাও হচ্ছে না দুয়েকবার ঢু মারা ছাড়া

জানি না কোথায় কী ঘটেছে

কিন্তু এইটা কী ঘটল?

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

ভালো লাগছেনা ভাইয়া... খুব মন খারাপ হচ্ছে...
সাময়িক বিরতি নিয়ে দেখুন, আমার মনে হয় সব ঠিক হয়ে যাবে ...
ভালো থাকুন... অনেক ভালো...

-------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো,
গৃহী হয়ে কে কবে কী পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

নিজেকে খুবই বিব্রত এবং এলিয়েন মনে হচ্ছে। কিচ্ছুটি বলতেও পারছি না। হাত কামড়াচ্ছি একটা ভালো, যথার্থ, প্রাসঙ্গিক কিছু লেখার জন্যে, .....শূন্যতা..
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

তিথীডোর এর ছবি

ভাইয়া, যাবেন না প্লিজজ!!
দেখবেন, সব ঠিক হয়ে যাবে ...

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

স্বাধীন এর ছবি

আনিস ভাই

বাহিরে থাকার কারণে এখনো আপনার সাথে দেখা হয়নি, কিন্তু স্বপ্ন ছিল আগামী বছর দেশে পাকাপাকিভাবে ফিরে আসার পর বিশাল এক সচল আড্ডা হবে আমার বাসায় এবং সেখানেই সবাইকে সামনা সামনি দেখবো। অরুপের একটি পোষ্ট ছিল সচল পরিবার, সেটাই আসল সচল। এই সাময়িক দ্বন্দ্ব এটাই আসল সচল নয়। কারোর কোন ভুল হলে সেটা বয়োজেষ্ঠ হিসেবে শোধরানোর দায়িত্ব আপনার। এভাবে চলে যাওয়া নয়। যদিও বলেছেন অনুরোধ না করতে, তাপরেও আপনার সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়েই বলছি, পূনর্বার চিন্তা করুন সচল পরিবারের কথা চিন্তা করে। দেখা হবে আগামী বছর নিশ্চিত। ততদিন যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

বড্ড খারাপ লাগলো। ভীষন খারাপ।

আমাদের দোষে এভাবে যেনো আর কাউকে চলে যাবার বিষন্ন সিদ্ধান্তটা নিতে না হয়। আরো কোনো বিদায়ের আগেই এই ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের ভালো ভাবে ভেবে দেখা উচিৎ।

আনিস ভাই ... সত্যি সত্যিই কি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন ??? এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না ... ... ...

===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার অনুরোধ রক্ষার করার প্রশ্নই আসেনা। পোস্টটি আমার নজরে আসেনি আগে। আপনি মুস্তাফিজ ভাইয়ের সাথে ঘুরে আসেন কোথাও থেকে। আপনাকে কে যেতে দিচ্ছে দেখা যাক।

সচলের সাম্প্রতিক ঘটনায় আমি মোটেও বিচলিত নই। এটাই সামনে এগুনোর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সচলায়তন অবশ্যই এগিয়ে যাবে। আমাদের সবার মধ্যেই সমস্যা আছে, ভালো গুন আছে, চিন্তা ভাবনার ফারাক আছে, চরম আস্তিক-চরমনাস্তিক আছে-- এত সবের মধ্যে মতামতের অমিল, ঝগড়াঝাটি, খোঁচাখুঁচি সবই হবে। আমি মনে করি এই অবস্থা খুবই সাময়িক, এরকম আগেও হয়েছে ভবিষ্যতেও হবে। কিন্তু সচলায়তন টিকে থাকবে, টিকে থাকবে সচলেরা। যারা চলে যাওয়ারা তারা এমনিতেই যাবে অথবা পায়ে পাড়া দিয়ে যাওয়ার পথ পরিস্কার করবে। তাদের জন্য কিছু বলার নাই।

আপনার মত পরিস্থাতিতে আমি বিরতি নিতাম। আপনি কোথাও যাচ্ছেন না। ভালো থাকুন।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনার অনুরোধ রাখবো না। আর আপনি যেতে পারবেন না।

------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

তুলিরেখা এর ছবি

আমি কখনো কাউকে ব্যাক্তিগত পর্যায়ে কিছু বলি না, খুব সাবধানে থাকি যুক্তির আর সম্ভ্রমের দূরত্ব রেখে। লেখার বাইরে আলাদা করে কাউকে তো সেভাবে চিনি না। অনেকেই এটাকে গা বাঁচিয়ে চলাই হয়তো বলবেন। কিন্তু আমি ঘরপোড়া গরু, অনেক স্বপ্ন নিয়ে শুরু হওয়া অনেক মায়ার অনেক ভালোবাসার ঘর নিজের চোখে জ্বলেপুড়ে শেষ হয়ে যেতে দেখেছি, ভালোরা একে একে সরে পড়েছে সেখান থেকে, নীরব হয়ে গেছে। সেখানে আজ হায়েনা নেকড়ে আর পদলেহী সারমেয়রা ঘুরে বেড়ায়।

আজকে আপনাকে বলছি সচলে থেকে যাবার জন্য। এ ঘরের আলো না নিভুক, এখানে ভালো থাকুক সবাই।

আপনি ফিরে আসবেন আপনার জীবনছোঁয়া লেখাগুলো নিয়ে, এই আশায় রইলাম।

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আপনার ও মাসুদ ভাইয়ের নাম শুনলে/দেখলেই বিরাট একজন মানুষের কথা মনে পড়ে, আনিস ভাই। কিছু বলতে মানা করেছেন, তাই আর ভেঙে বললাম না।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বায়ুমন্ডলে অক্সিজেনের মাত্রার তারতম্য হয়েছে নাকি? অস্থির সময় যাচ্ছে না বেশ কিছুদিন ধরে? কথায় কথায় ঠোকাঠুকি লেগে যাচ্ছে। সামান্য তর্ক রূপ নিচ্ছে ব্যক্তিগত মনোমালিন্যে। ব্যাপারগুলো হয়ে যাচ্ছে আপনাআপনিই। কিন্তু কেউ যখন ব্লগ ছেড়ে যাবার কথা বলে, সেটা মেনে নেয়া কষ্টকর হয়। বিশেষ করে তেমন কেউ যিনি একটা ব্লগের নাড়ীর অংশ বিশেষ। অতীতেও কারো ছেড়ে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট লেগেছে। এবারও লাগছে।

আনিস ভাই আপনাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। কিন্তু আপনার চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছি না। অন্যদের মতো আমি আপনার চলে যাওয়া প্রতিরোধ করতে চাই। প্লীজ!

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মুস্তাফিজ এর ছবি

আনিস ভাই আপনার এই বেকুবি পোস্টে পাঁচ তারা দাগাইলাম। আপনি চলে যাচ্ছেন বলে পোস্ট দেওয়াতে অবশেষে মডারেশন তৎপর হয়েছেন, উনারা নীতিমালা পরিবর্তন সহ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছেন যাতে আর কারও এভাবে চলে যেতে না হয়, আমরা সবাই ভালো থাকি।
আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের জন্য সেই পরিবেশ তৈরির সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। হয়তো কোনদিন সেই পরিবেশে আপনাকে আমন্ত্রণ জানাতে পারবো।
ভালো থাকবেন।

...........................
Every Picture Tells a Story

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

আরিফ জেবতিক এর ছবি

প্রিয় আনিস ভাই,
সচলের আড্ডাগুলোতে আপনার উদাত্ত গলায় গান, সচলের উদ্যোগগুলোয় আপনার দিকনির্দেশনা-উৎসাহ-সমর্থন এর সবগুলোই খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি যোগদান আমাদেরকে শক্তিশালী করে, প্রতিটি প্রস্থান আমাদের দুর্বল করে। আমি ব্যথিত এ সিদ্ধান্তে। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

আপনি লিখেছেন,:

হয়তো আমার মনে হওয়ারই দোষ, তবুও আমার কানে ভেসে আসে কোনো সহসচলের ক্ষীণ আর্তনাদ, একই সাথে অন্য কোনো সহসচলের জয়হুঙ্কার। কেন যেন মনে হয়, আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ এখন মিথষ্ক্রিয়ার সমার্থক। এই সচলায়তনকে আমার অপরিচিত মনে হয়।

কমিউনিটি বড় হয়েছে, সুতরাং মিথস্ক্রিয়ায় মাঝে মাঝে কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে কতোজন এমনটা ঘটায়? ১,২,৩..? পুরো কমিউনিটির মাঝে যারা মাঝে মাঝে এরকম করে ফেলেন, তাদের হার কতো শতাংশ? খুব বেশি নয়। কয়টি লেখায় এরকম হয়? কয়টি মন্তব্যে? আক্রমন-প্রতিআক্রমন তো সচলায়তনের মূলস্রোত নয়,সেটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা, ব্যক্তির নিজস্ব দায়, সমষ্ঠির উপর তা চাপিয়ে দেয়া কি আপনার মতো বিজ্ঞ মানুষের উচিত হবে?

ব্যক্তি কয়েকজনের আচরনের উপর অভিমান করে আপনি যদি সচলায়তনের সঙ্গে যুক্ত না থাকার সিদ্ধান্ত নেন, সেটা বড্ড অবিচার হয়ে যায়।
সঙ্কটেই পাকাচুলদের দিকনির্দেশনা বেশি প্রত্যাশিত, অন্য সময় তো কালো চুলের লোকেরাই বেশ চালিয়ে নেয়।

ফিরে আসুন আনিস ভাই, ফিরে আসুন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।