নিউ কামাল অ্যান্ড ব্রাদার্স
----------------------------
আনু-আল হক
--------------
কামাল আমার বাপের নাম। তাঁর বাপ তথা আমার দাদাজানের নাম মকবুল। আমার দাদা যৌবনেই ব্যবসায় মনোযোগী হন, এবং আক্ষরিক অর্থেই অক্ষরজ্ঞানহীন হয়েও ব্যবসায় তিনি স্মরণযোগ্য সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি নিজে সেটা বুঝতে পারতেন, এবং কৈশোরেই কেন ব্যবসায় অধিকতর মনোযোগী হলেন না, এই নিয়ে কিঞ্চিত আফসোসও থেকে থাকবে। ফলে, তাঁর সন্তানদের আফসোস করবার সুযোগ তিনি দেননি; কৈশোরেই আমার বাবা এবং চাচা ব্যবসার বশবর্তী হতে বাধ্য হন। তাঁদের অপরাপর বন্ধুবান্ধবদের বিদ্যালয়-গমনের ঘটনা কিয়ৎ পুলক-সঞ্চারী এবং আফসোস-উদ্রেককারী হলেও, পণ্ডিত স্যার আর হুজুর স্যারের বেত্রাঘাতের সকরুণ বয়ান শোনার পর বন্ধুদের প্রতি করুণা প্রদর্শনপূর্বক পরম করুণাময়ের কাছে শোকর গুজরান করতেন-- এমনটাই শুনেছি মা-কাকীর কাছে।
তো এমন ইতিহাস জানার পরও আমাদেরকে কেন পরম করুণাময়ের কাছে শোকর গুজরান করতে না-দিয়ে পণ্ডিত/হুজুর স্যারের বেত্রাঘাত প্রসঙ্গে নালিশ জানানোর মতো পরিস্থিতিতে নিক্ষেপ করা হলো, এমন প্রশ্নের সদুত্তর পাইনি। অন্তত, উত্তর যা পেয়েছি তাকে ঠিক সদুত্তর বলা দুস্তর হবে না। বাবার মতে, ষাটের দশকের পণ্ডিত/হুজুর স্যার আর নব্বই দশকের পণ্ডিত/হুজুর স্যারের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। আমরা কেবল মৃদু অভিযোগ তুলে বাবাকে বলেছি, বাবা তোমার বাক্যটি শেষ করো। তফাৎ থাকার কথা কিন্তু নেই; এর চেয়ে নির্মমভাবে পেটানো প্রায় অসম্ভব: একশ মার্কের মধ্যে তুমি সর্বোচ্চ একশই পেতে পারো!
কিন্তু বাবা যখন পাল্টা বললেন, দুঃখ করিসনে, হুজুর/পণ্ডিত স্যারের বেত্রাঘাতের জায়গাটা সরাসরি স্বর্গে চলে যাবে, তখন ক্ষোভ বাদ দিয়ে আমরা বরং তাঁর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশে সযত্ন হলাম। সেই থেকে হোমওয়ার্ক করা একরকম ছেড়েই দিলাম, পাছে বেত্রাঘাত থেকে বঞ্চিত হই! আমরা পড়া ফাঁকিতে যতোটা সচেষ্ট ছিলাম, হুজুর/পণ্ডিত স্যার বেত্রাঘাত প্রদানে ততোধিক উৎসর্গীকৃত ছিলেন। আমরা পরিকল্পনা করে শরীরের বিভিন্ন জায়গা স্বর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করলাম।
আমাদের যৌথ-প্রযোজনা বেশ সাফল্যের মুখ দেখলেও, শরীরের কতিপয় অংশ যে স্বর্গের মুখ দেখবে না, এ-নিয়ে আমাদের শংকা ছিলো। তিনি আমাদের সে-শংকাও খানিকটা দূর করলেন একদিন: প্যান্ট নামিয়ে পশ্চাদ্দেশ নগদে স্বর্গে পাঠিয়ে দিলেন। কিন্তু দাদা-বাবার হাত ধরে আফসোস বিষয়টা আমাকেও স্পর্শ করেছে। অন্তত বেত্রাঘাতের সফল পরিণতি হিসেবে শরীরের একটা অংশ কোনোদিনই যে স্বর্গবাসী হচ্ছে না, এই বিষয়টা পরিতাপের চেয়ে ঢের আফসোসের! এ-পর্যায়ে আফসোস বিষয়টা জ্বীনগত কি-না, গবেষণার দাবি রাখে!
গবেষণার প্রসঙ্গ যখন এসেছেই, তখন বরং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমার দাদুর ব্যবসা-সফলতাই আলোচ্য হবে, তাতে আর সন্দেহ কী! দাদুর ছিলো হোসিয়ারি ব্যবসা। গেঞ্জি-রুমাল-জাঙ্গিয়ার নামহীন ফুটপাতের দোকান একদা হয়ে গেলো ‘মকবুল অ্যান্ড কোং’; ওই আয় দিয়েই তখন ঠেলেঠুলে পরিবার চলতো। বিবাহের অব্যবহিত পরেই বড় সন্তান হিসেবে আমার বাবা তথা কামাল মিয়ার আবির্ভাব। দাদুর মুখে শুনেছি, বাবার আগমন নাকি স্রেফ আল্লাহর রহমত ছিলো উনার জন্য। কেননা, দাদুর ব্যবসা নাকি তখন পড়িমরি করে বাড়তে লাগলো। দাদুও সরল বিশ্বাসে দোকানের নাম পাল্টে ফেললেন “কামাল অ্যান্ড ব্রাদার্স”।
কিন্তু কামাল মিয়ার তো তখন কোনো ব্রাদারই ছিলো না! তাইলে? তিনি খানিকটা শরমিন্দা হয়ে জানালেন, কুমিল্লায় যে-আড়ৎ থেকে মাল কিনতেন তিনি, সেখানে মালিকের দোকানের নাম ছিলো তমাল অ্যান্ড ব্রাদার্স। অতএব, তিনিও ওইরকম পাইকার হবার বাসনায় অর্থ না-জেনেই দোকানের এই নামকরণ করেছিলেন। নামকরণের শানে নুযুল হিসেবে এই-ঘটনার ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকতে পারে, কিন্তু নামকরণের সার্থকতায় তাঁর চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিলো বলেও মনে হয় না। কেননা, আমার বাবার পর একেএকে আটটি কন্যাসন্তান জন্ম দেয়ার পরও আমার দাদার পক্ষ থেকে ইনিংস ঘোষণা করার কোনো লক্ষণ লক্ষনীয় নয়। আমার চাচার জন্ম দিয়েই ছাড়লেন। এবং ম্যাচের ফলাফল ড্র নিশ্চিত জেনে টেল-এন্ডারের সেঞ্চুরি নিশ্চিত করবার জন্য আরো গোটা দুই ফুপির আগমণ ঘটেছে। এঁদের মধ্যে একজনের অকালমৃত্যুতে শেষতক সন্তানসংখ্যা এগারোতে নেমে এলেও, ব্যবসার চাকা কোনোদিন নামেনি।
তো গোড়ার দিকে আমার বাবা আরা দাদাই ব্যবসার হাল ধরে ছিলেন। ধীরে ধীরে ব্যবসার হাল পুরোপুরি বাবার হাতেই ধরিয়ে দেয়ার নিয়ত করলেও, এর পাশাপাশি উপর্যুপরি সাংবাৎসরিকহারে ভগিনী ধরিয়ে দেয়ার দায়িত্বও তিনি নির্ভেজাল পালন করে যাচ্ছিলেন। কাকুর জন্মের পর দাদা বোধ করি প্রথম দায়িত্ব থেকে অবসর গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা হবার মতলব আঁটেন। চাচাও অতএব কৈশোরেই হোসিয়ারি ব্যবসায় পর্যবসিত হন। একসময় নামকরণের সার্থকতা ছাপিয়ে ব্যবসা আরো ফুলেফেঁপে যাচ্ছেতাই হয়।
এদিকে ব্যবসার পাশাপাশি সমাজে আরো অনেক কিছুই ফুলেফেঁপে উঠতে থাকে। কিন্তু আমরা তো দুনিয়ার তামাম বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো বলে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করিনি; তাহলে তো টক শো’তেই যেতে পারতাম! আমরা বলেতে চাইছি যে, হোসিয়ারি ব্যবসায়ী ছাড়াও অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও (এমনকি, অব্যবসায়ীদেরও) উর্বরতার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবার নাগরিক অধিকার আছে, তখনও ছিলো। ছোট্ট গ্রামখানি নিজে আয়তনে না-বাড়তে পারলেও, ফুলে (যেমন: টগর ফুপি, চম্পা খালা, চামেলী চাচী, বকুল মামী ইত্যাদি) ফলে (যেমন: আপেল চাচা, ডালিম জ্যাঠা, কমলা ফুপি ইত্যাদি) ভরে উঠতে লাগলো।
এটি একটি স্বঘোষিত ব্যবসা-গবেষণাকর্ম বলে কি ইতিহাসের কোনো ঠাঁই নেই? ইতিহাসে এই কর্মের কোনো স্থান না থাকতে পারে, কিন্তু এই কর্মে ইতিহাসের উপস্থিতি নিতান্ত আবশ্যক। বাংলায় বঙ্গভঙ্গ হচ্ছে, আর তার ঠেলা গ্রাম পর্যন্ত যায়নি বলে তো কোনো প্রমাণ নাই। অতএব, গেছিলো। বিশ্বাস না হয়, শুনুন। ফুল-ফল ছাড়াও খান-উদ্দিন-আহমদ-হক-রহমান-জোয়ার্দার-মজুমদার-পাটোয়ারি-চক্রবর্তী-দাশ-দত্ত-সাহা-ঠাকুরের সংখ্যাবৃদ্ধির কল্যাণে ততদিনে আমরা হয়ে গেলো আমি/তুমি। একদিন দেখা গেলো, হক কাকু আর আমাদের দোকানে আসেন না, কারণ খান চাচু আমাদের দোকান থেকে অন্তর্বাস কেনেন; দু’জনের (...) অবস্থান এতোই আলাদা যে, দুজনের আন্ডারওয়ার এক দোকান থেকে হতেই পারে না! সাহা কাকু আমাদের দোকান থেকেই নিয়মিত কিনবেন বলে কথা দিলেন, ‘যদি’... হ্যাঁ, যদি দাস কাকু অন্য দোকান থেকে কেনেন। পাটোয়ারি জ্যাঠা আমাদের সঙ্গেই থাকতে চান, ‘কিন্তু’ রহমান মামা থাকলে তিনি নাই! এই ‘কিন্তু’ ‘যদি’ ইত্যাদির ঠেলায় ব্যবসার গদি লাটে উঠতে বসেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, গদি কি লাটে উঠেছে? সম্পূরক প্রশ্ন: দাদাজান থাকতে সে কি সম্ভব? নিশ্চয়ই না; আর সে-কারণেই তো এই মহান অভিসন্দর্ভ!
দাদাজানকে তেমন চিন্তিত দেখায় নাই। আমাদের ধারণা, চুল পাকানোর যেহেতু আর কোনো সম্ভাবনাই তাঁর ছিলো না, কোথাও, তাই তিনি আর অহেতুক চিন্তায় মনোযোগী ছিলেন না। সরাসরি কাজে নেমে পড়া। গভীর রাতে (এইটা একটু সাসপেন্স তৈরি করার জন্য। রাত তেমন গভীর ছিলো না মোটেও। আবার গভীর বলাও যায়! আসলে গভীরতার বিষয়টাই আপেক্ষিক; অভিজ্ঞতার উপর নির্ভরশীল!) তিনি বাবা আর চাচাকে ডাকলেন। ভণিতা না-করেই বললেন, তোমরা দুই ভাই আজকে থেকে আলাদা। এইটা গোপন, কিন্তু তোমরা দু’জন কালকে ঝগড়া করবা প্রকাশ্যে! বাবা-চাচার হতবাক অবস্থা বিবেচনায় দাদাজান আরো সবাক হয়ে ওঠেন, এবং তাঁর পরিকল্পনা বিস্তার করেন। অচিরেই দাদু আরো একটি হোসিয়ারি দোকান খুলবেন বলে তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরিকল্পিত দোকানটি আগের দোকানের কাছাকাছিই থাকবে বলে তিনি জানান, এবং দোকানের নামও ঠিক করেন তিনিই-- “নিউ কামাল অ্যান্ড ব্রাদার্স”! ওই দোকানের দায়িত্ব দেয়া হলো চাচাকে।
আমার বাবা আর চাচার মধ্যে সেই থেকে (প্রকাশ্যে) ভীষণ বৈরিতা! তাঁরা প্রায় একে-অপরের ছায়াও মাড়ান না। মাড়াবেন কী করে, তাঁরা নিকটবর্তী হন কেবলমাত্র সূর্যাস্তের পর। এদিকে হক কাকু থেকে শুরু করে খান চাচু, সাহা কাকু থেকে শুরু করে দাস কাকু, পাটোয়ারি জ্যাঠা থেকে রহমান মামা, সবাই খুশি। পরবর্তীকালে আরো আরো সংঘাত লেগেছে; তাতে আমাদের ব্যবসার কিচ্ছুটি হয়নি-- একজন ‘কামাল অ্যান্ড ব্রাদার্স”-এ গেলে অন্যজন স্রেফ ‘নিউ কামাল অ্যান্ড ব্রাদার্স”-এ চলে যান। ল্যাঠা চুকে গেলো!
এরমধ্যে দাদী একদিন বললেন, হ্যাঁ গো, এখন তো কেবল দু’পক্ষ। পরে যদি আরো পক্ষ হয়, তখন কী করবে শুনি! আঁচলের কোণায় চোখ মুছতে মুছতে তিনি বললেন, আমাদের তো আর ছেলেও নাই! দাদাজানকে মোটেও উৎকণ্ঠিত মনে হয়নি এসব কথায়! তিনি দাদীকে পান বানিয়ে নিয়ে আসতে বললেন।
ক’দিন পর আমাদের ঘরে নতুন দাদী এলো; তাঁর সঙ্গে আমার বড়বোনের বয়সের ব্যবধানটা একটু বেশি হলেও, ছোটখালা ডাকতে তার আপত্তি থাকবার কথা নয়! সেটা গুরুত্বপূর্ণ কোনো অধ্যায় নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এরইমধ্যে একদিন জোয়ার্দার জ্যাঠা বাবাকে ফিশফিশ করে জিজ্ঞেস করলেন, শুনলে, আমি তো তোমার ভাইয়ের দোকান থেকেও মাঝেমধ্যে সওদা করি! তা মনে হয়... উনাকে কথা শেষ করতে দিলেন না বাবা। মৃদু অভিযোগের স্বরে বাবা বললেন, আপনাকে তো আমি নিজের লোক বলেই জানতাম, আপনিও শেষ পর্যন্ত ওই দুষ্টুটার দোকান থেকে...
জোয়ার্দার জ্যাঠাও বাবাকে শেষ করতে না-দিয়ে বলে উঠলেন, না না, আমি তো ওর দোকানের খবরাখবর জেনে তোমাকে জানাবার জন্যই মাঝেমধ্যে যাই। এই যা। আরে ও তো একটা মহা শয়তান। একদিন কি না... তা থাক, তোমার কী ধারণা, ও একটা আস্ত শয়তান না?
বাবা আলতো করে জোয়ার্দার জ্যাঠার চোখে চোখ রেখে বললেন, ব্যবসার সঙ্গে রাজনীতি মেশাবেন না!
মন্তব্য
জটিল!
কিন্তু আমরা তো দুনিয়ার তামাম বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো বলে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করিনি; তাহলে তো টক শো’তেই যেতে পারতাম!
লেখকের নামটা জানা হল না...
সরি, অভ্যাস বশত নিচে খুঁজেছি ...
এখনো অচল আছি নাম তাই “অতিখি লেখক”
এমন গল্প আসতে থাকলে অচলায়তন ভাঙ্গতে আর কয় দিন?
দাদাজান বড়ই কামেল লোক ছিলেন, তাঁর জন্য শ্রদ্ধা
আপনার প্রথম লেখা বোধ হয় এখানে, স্বাগতম সচলায়তনে। গল্প ভাল লাগল খুব, হারিয়ে যাবেন না আশা করি।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
অনেক ধন্যবাদ মর্ম! প্রথম-প্রথমই; এর আগে টাইগারদের ফাকিস্তান সফর নিয়ে দুইটা ছোট্ট প্রবন্ধবৎ গদ্য লিখসিলাম।
আমাকে হারিয়ে যেতে না-বলে নিজের স্বাক্ষর-এ লিখলেন যে বড়--’যখন আমি থাকবো না... ’
তৈরী থাকা আর কি!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
পুরাই সেইরাম লেখা! জটিল হয়েছে।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
বস।
চমৎকার আনু ভাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ কবি! শাহবাগ নিয়ে রচিত আপনার গানটি অপূর্ব হয়েছে! ইতিহাস হয়ে গেলো গানটা!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অ্যাই, অ্যাইডাই হৈল গিয়া আসল কথা - ‘ব্যবসার সঙ্গে রাজনীতি মেশাবেন না!’ আর কুন কথা হৈবে না!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ওরে জটিল
নতুন মন্তব্য করুন