কেআর টেকার

আনু-আল হক এর ছবি
লিখেছেন আনু-আল হক [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ৩১/১২/২০১৩ - ৬:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জয়-যুক্ত না হইয়া খন্দকার রাশিদ সাহেবের স্বপ্ন দুষ-যুক্ত হইলো: স্বপ্ন’র আগে এবং পরে।

কিন্তু এই স্বপ্ন তো শুধু খন্দকার রাশিদ (কেআর) সাহেবের একার হয়ে থাকে নাই। ‘স্বপ্ন’ নামক সংস্থাটি ব্যাক্তির সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে কখন যে সমাজ, এমনকি রাষ্ট্রের সমকক্ষ হইয়া উঠলো; তা কেআর সাহেব নিজেও টের পাননি। কিন্তু কীরূপে? তাহা জানিতে হইলে আমাদিগকে পিছনে যাইতে হইবে।

গোড়াতে আমাদেরকে জানতে হবে স্বপ্ন’র সভ্যদিগের কথা। তারও আগে জানতে হবে কেআর সাহেবের পরিবারের কথা। তারও তারও আগে তো অন্তত তাঁর নিজের কথা জানতে হবে।

কিন্তু কেআর সাহেবকে কেআর না ডেকে কেন কেআর টেকার ডাকা হয়, এইটা নিয়ে উনি নিজেই অন্তত দুটো গল্প জানেন। আমরাও অতএব এর বেশি জানি না। প্রথম সংস্করণটা খুবই সরল: তাঁর নামের সংক্ষিপ্তরূপ থেকে কে.আর। বাকি কৃতিত্ব উনার স্বাস্থ্যের সঙ্গে আন্ডারটেকারের সামঞ্জস্য। কিন্তু দ্বিতীয় সংস্করণ একটু ঝামেলাযুক্ত; ফলে বেশি একটা প্রচার পায়নি। তিনার সর্বসাম্প্রতিক স্ত্রীর নাম কেয়া। কেয়া সংসারে আসার পর থেকে উনার বাণিজ্যে প্রসার। অতএব কেয়াকে তিনি ভীষণ ভালোবাসতেন। কিন্তু বাণিজ্য এতোটাই প্রসারিত হলো যে কেয়ার আগমন নিতান্তই কাকতাল মনে হতে লাগলো। তিনি টেকাটুকার প্রতি এতোটাই আসক্ত হলেন যে, কেয়া থেকে তিনি, মতান্তরে তিনি থেকে কেয়া অনেকটা দূরবর্তী হলেন। পরিস্থিতি ততদিনে বেডরুম অতিক্রম করে সামাজিক বেবসার ত্রিসীমানায় প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু বেডরুমের ঘটনাবিশেষ সেইস্থান ত্যাগ করামাত্র সেটা আর কেবলই সামাজিক হয়ে থাকে না: অ-উপসর্গপ্রাপ্ত হয়। তিনি কেয়ার নাকি টেকার— এই নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত থাকলো। সামাজিক বেবসার প্রকোপ থেকে রক্ষার উদ্দেশে সংলাপ আহ্বান করা হলো।

সংলাপ মানেই মিলমিশ; তা সেটা তেলে জলে হোক আর ধর্ষক-ধর্ষি তায় হোক। সাব্যস্ত হলো, তিনি দুয়েরই। কেআর সাহেব কেয়ার এবং টেকার।

তবে সংলাপের লাভ এই যে, সংলাপের যিনি মধ্যমনি, তিনি কেআর টেকার সাহেবের প্রধান উপদেষ্টা নিযুক্ত হলেন। যেহেতু তাঁর উদয় অতি মহা(ন), তাই তিনি মহোদয়— উপদেষ্টা মহোদয়, সংক্ষেপে মহোদয়। তিনি কেআর সাহেবকে বোঝান: শোনো হে কেআর। টেকাটুকা অতিবেশী মন নিয়ে গেলে, কেয়ার ফুটবে ফুল বেগানারেণুতে।

কেআর সাহেব কিঞ্চিত তটস্থ হলেন। বসন্তের প্ররোচনায় চঞ্চল বাতাসের দোলায় কেয়া একটু দলিত হলে বিশেষ আপত্তি করবার মতো ছোটলোক তিনি নন; কিন্তু স্বয়ং ফুল ফুটে গেলে তো ফুটেই গেলো ফুল। তিনি অতএব উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছেই এর নিস্তার চাইলেন।

মহোদয় শুধালেন: জানো তো বাপু, টাকায় টাকা আনে?

কেআর: আজ্ঞে।

মহোদয়: আর কেয়া?

কেআর: আজ্ঞে?

মহোদয়: কেয়ার। কেয়া আসবে কেয়ারে।

কেআর: আজ্ঞে। কিন্তু কেয়ারের সিপিডি সাহেব, মানে ওই যে ছবিরুল পাটোয়ারি ডিলাকুলুপ সাহেব। উনি তো বেজায় খতরনাক। উনি তো অফিসরুম আর বেডরুমের মধ্যে তফাৎ রাখেন নাই। কেয়ার তো…

প্রায় ধমক দিয়ে থামিয়ে মহোদয় বলে উঠলেন: তুমি তো কেয়ার থেকে টেকার দিকে অতিমাত্রায় ঝুঁকে আছো। তোমাকে আমি বলেছি কেয়ার কেয়ার নিতে, আর তুমি ভাবছো কেয়ারের কথা। কেয়ার কেয়ার নাও কোকোভাবে ফুটিবার আগে।

এই বলে মহোদয় ফুটলেন। পেছন পেছন কেআর সাহেব ছুটলেন। আর ভাবলেন, কী ফুটবে? কেয়া নাকি ফুল? কেয়াতে (বেগানারেণুতে তথা কোকোভাবে) ফুল ফোটা বেশি অসম্মানের নাকি স্বয়ং কেয়া ফুটে গেলেই…

মহোদয় বিস্তারিত যা বললেন তা সংক্ষেপে এই: টেকার হিসেব কেয়ার কাছেই থাকুক; এমনকি টেকার মালিকানাও কেয়ার করা হোক। এতে একইসঙ্গে কেয়ার এবং টেকার হইতে কোনো সমস্যা নাই। তাছাড়া এটাই এখন ট্রেন্ড। আর এটার দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা হলো, অঢেল টেকাটুকা নিয়েও সমাজে সৎ-নিষ্ঠাবান পরিচিতি পাইতে সুবিধা হয়। নিজের নামে এতো অল্প টাকা রাখবেন যে তাতে লোকজন আহারে উহুরে করে। এর ফলে…

ফলের পরের ডটডটের পরের অংশই আসলে ফল। আর ওটাই তাঁদের স্বপ্ন’র সূতিকাগার।

কেআর সাহেবের (যা পরবর্তীতে তাঁর স্ত্রী কেয়ার নামে নথিবদ্ধ) টেকাটুকার মূল উৎস শেয়ার ব্যবসা। অন্তত সেরকমই হলফনামায় লেখা। তিনি মূলত এনজিওকর্মী; আলুবাংলায় যাকে উন্নয়নকর্মী বলা হয়। নিজের এনজিওর প্রধান কর্তাব্যক্তি; আরো কিছু অ-রাজনৈতিক, আমি আবার বলছি, অ-রাজনৈতিক সংগঠনের অপ্রধান কর্তাব্যক্তি।

স্বপ্ন’র উদ্যোক্তা কেআর সাহেবের সঙ্গে একেএকে আরো স্বপ্নবান মানুষ এসে যুক্ত হন কালের পরিক্রমায়। যেমন:

বাংলার সংস্কৃতিজগতের নক্ষত্রসম ড. কামেলা রহমান। তিনি প্রকৃতই সংস্কৃতিকর্মী, উন্নতজাতের সংগঠক, এবং উচ্চফলনশীল শিল্পী। ছাত্রাবস্থায় তুমুল বামকর্মী বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পালয়ের শীর্ষব্যক্তি। দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের সঙ্গে যাদের দুঃসম্পর্কের প্রেমিকার মতো সম্পর্ক, এমনকি তারাও মানতে বাধ্য যে এটি সঙ্গীতাঙ্গনের মহীরূহ। অজস্র গুণী শিল্পীর জন্ম দিয়েছেন তাঁরা। আমজনতার গান করেন, এবং শেখান তাঁরা। কিন্তু স্বপ্ন’র সদস্যপ্রাপ্তির পর থেকে তাঁরা সম্পূর্ণ অ-রাজনৈতিক। এবং তাঁদের কোথাও কোনো শাখা নেই।

বহুতল অট্টালিকার পাশের জীর্ণকুটির জানে, তা(দে)র ঘামেই তরতর করে শক্তিমান হয়েছে এই অট্টালিকা। কিন্তু তবু এই দাম্ভিক অট্টালিকার পতন চায় না কুটির; কারণ তাতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই কুটিরটিই। আমরাও তেমনই; রাজনীতির মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা এই মহীরূহের অ-রাজনৈতিক এবং নিরোপেক্ষ হয়ে ওঠার রাজনীতিতে মাননীয় স্পিকার হয়ে থাকি।

জনাব আবদল রহমান। ইনার নামের আগে-পাছে অধ্যাপক কিংবা ড-এ-বিসর্গ নাই, কিন্তু ইনি ঘটনা। ইনি আবহমান বাংলার সাংবাদিকতার দিকপাল। একাধারে সমাজসেবী, বামতাত্ত্বিক, শিল্পরসিক, এবং ছাগল মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ার বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের একমাত্র পরিবেশক। ইনার তত্ত্বাবধানে বেশ কিছু স্বচ্ছ এবং আন্তর্জাতিকমানের ছাগু উৎপন্ন হয়েছে। নিজেরা বদলে গিয়ে “যা কিছু ভালো” তার সঙ্গেই মিশে ইনারা সেগুলোও বদলে দেন।

অধ্যাপক ড. আরিফ বদরুল। উপরের জনের যে-দুইটার কোনোটাই ছিলো না, ইনার আবার দেখা যায় ওই দুইটাই আছে। ইনিও উপরোক্ত প্রকল্পের অ্যালামনাই। সুতীক্ষ্ণ লেখনী, তুখোড় বক্তা, ক্ষুরধার অধ্যাপক। শহীদ জননীর সঙ্গে আন্দোলনে থেকে ছবি তোলামাত্র খোলস বদলে ছাঁদতারার স্বপ্নে বিভোর। দুইপক্ষকেই মৃদু বকে দিয়ে থাকেন। উনার পিএইচডি টপিকে উনিই একমাত্র বিলেতফেরত ডক্টরেটধারী। তিনি বড্ড নিরোপেক্ষ।

ব্রিগেডিয়ার ল্যাফটেনেন্ট জেনারেল উসমান মুহাম্মদ আবু আবদুল্লাহ বিন হায়রে কুদরত কমা জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি, পিএসসি, এইচটিসি, বিএনসিসি... (ট্রান্কেটেড) ইনি বিড়াল না হলেও গোঁফ দিয়ে যায় চেনা। হঠাৎ করে ইনার আবির্ভাব হলো টেলিভিশনের পর্দায়। সমরনীতি থেকে শুরু করে কোমরনীতি, গলনাংক থেকে শুরু করে জলাতংক, শ্বৈত্যপ্রবাহ থেকে গাত্রদাহ, পুজার নাড়ু থেকে তামিলনাড়ু, শাঁখের করাত থেকে শবে বরাত— সবকিছুতেই ইনি বিদ্যমান। ইনি অত্যন্ত খুব আন্তর্জাতিক।

ড. প্রাণপ্রিয় স্বামী। বেজায় জ্ঞানী; দেশের অন্যতম প্রধান অর্থনীতিবিদ। বিশ্বের অন্যতম চিন্তাকামানের একজন। ইনি ক্রিকেট কিংবা ব্যাডমিন্টন খেলেন না। খেলার সঙ্গে রাজনীতি মেশার কোনো সুযোগই তিনি রাখেন নাই।

বরবাদ মলদ্বার। ইনি উপমহাদেশের সবচাইতে কামেল লুঙ্গি। কথিত আছে যে, তিনি আম্রিকা থেকে ওষুধবিদ্যা আর অর্থনীতিতে ডিগ্রিপ্রাপ্ত হন। তিনি হেকিমি দাওয়াই তথা মিলমিশ বিশেষজ্ঞ: মার্ক্স গুঁড়োদুধের সঙ্গে মদীনা খাঁটি সরিষার তেলের মিশ্রণ, জীন-ইনসানের জীনের সঙ্গে ফরিদাবেগুনের জীনপ্রযুক্তি, কান্টের সঙ্গে মৌদুধী, তেঁতুলের ভিত্রে প্রলেতারিয়েত, তাওহীদের সঙ্গে লিভ টুগেদার ইত্যাকার মিলমিশ। বড় উত্তরাধুনিক।

আরো কয়েকজন আছেন। তাঁদেরকে নিয়েও নাতিদীর্ঘ অনুরচনার উদ্যোগ নেয়া যাইতো। কিন্তু স্বপ্ন-তে ইনাদের নেয়া হয়েছে অনিচ্ছাসত্বে বাধ্য হয়ে। ইনাদের সবাই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। ইনাদেরকে স্বপ্ন’র মধ্যে রাখা না-রাখার মধ্যে তফাৎ নাই; কিন্তু একসঙ্গে থাকলে ওজন বাড়ে।

এইযে এতো এতো ঘরানার মানুষ, ইনাদের সবাই এক কম্বলের নিচে আসার কারণ একটাই— স্বপ্ন। তাঁদের যৌথস্বপ্ন ছিলো রাজনীতিবিদ হওয়া। কিন্তু ইনাদের সামনে নিদর্শন আছে, ইনাদের পূর্বসুরীদের কয়েকজন অধ্যাপক ডক্টর ইত্যাদিসমেত নির্বাচনে জামানত খুইয়েছেন। দু’-একজন চেষ্টা করে বুঝতে পেরে অচিরেই ক্ষ্যামা দিয়েছেন। অধ্যাঃ ডঃ এসব কিন্তু জামানত বাজেয়াপ্ত হবার কারণ না; এসিতে বইসা ডিসি হইতে চাইলে তো কানেকশন ডাইরেক্ট হইয়া যায়।

রাজনীতিবিদ হবার বাসনা এঁদের প্রত্যেকেই প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু দৈববাণীর মতো বঙ্গে নাজিল হইলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার, বাংলায় যাকে কেয়ারটেকার বলা হয়। যদিও প্রথমবারই সামরিক ক্যু হবার জোগাড় হয়েছিলো, কিন্তু মানুষ সেটা ভুলে গিয়ে এ-ব্যবস্থার প্রতি আনূগত্য প্রকাশ করেন। আর স্বপ্ন’র সকল সদস্যদের মধ্যে পুনর্বার সেই স্বপ্ন জাগ্রত হয়। এবার আর রাজনীতিবিদ হতে চান না তাঁরা; কেননা তাতে জামানত বাজেয়াপ্ত হবার সম্ভাবনা প্রবল।

তবে তাঁদের রাজনীতির উদ্দেশ্যও তো সেই ক্ষমতার স্বাদ একবার আস্বাদন করা। আর এ-ব্যবস্থা অত্যন্ত খুব ঝুঁকিহীন; নিরোধকযোগে ব্লাইন্ডফোল্ড এনকাউন্টারের মতো। এতে রাজনীতির মাঠে থাকার জরুরত নাই, কিন্তু দেশের অল্প ক’জন সৌভাগ্যবানদের একজন হবার সুযোগ আছে।

কিন্তু হায়, এতো ডাইনে হেলার পরও বিধি বাম। চৈত্রমাসে বজ্রপাতের মতো নতুন দৈববাণী হাজির হয়ে পুরাতন সবকিছুরে পত্রপাঠ খারিজ করে দিলো। এতোদিনের এতোএতো আন্তর্জাতিক, এতোএতো নিরোপেক্ষর সকল স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার। জনাব, সংলাপ কি এমনি এমনি দরকার?


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আরে, হাচল নাকি! হাততালি

সংলাপ মানেই মিলমিশ; তা সেটা তেলে জলে হোক আর ধর্ষক-ধর্ষিতায় হোক।

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আনু-আল হক এর ছবি

হ্যাঁ, কেবলই হাচল হলাম দেঁতো হাসি
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

চলুক

আনু-আল হক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন

শব্দ পথিক এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------
''বিদ্রোহ দেখ নি তুমি? রক্তে কিছু পাও নি শেখার?
কত না শতাব্দী, যুগ থেকে তুমি আজো আছ দাস,
প্রত্যেক লেখায় শুনি কেবল তোমার দীর্ঘশ্বাস!''-সুকান্ত ভট্টাচার্য

আনু-আল হক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন

এক লহমা এর ছবি

হাচলাভিনন্দন!
"কিন্তু হায়, এতো ডাইনে হেলার পরও বিধি বাম। চৈত্রমাসে বজ্রপাতের মতো নতুন দৈববাণী হাজির হয়ে পুরাতন সবকিছুরে পত্রপাঠ খারিজ করে দিলো। এতোদিনের এতোএতো আন্তর্জাতিক, এতোএতো নিরোপেক্ষর সকল স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার। জনাব, সংলাপ কি এমনি এমনি দরকার?"
হ! আটকায় গেলে সংলাপ-এর জন্য বড় মন কেমন করে!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আনু-আল হক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

হাচলত্বের অভিনন্দন।

____________________________

আনু-আল হক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

মিজান, পিষে ফ্যালো

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

আনু-আল হক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।