গোড়াতেই স্বীকার করে নেয়া ভালো যে, আমি সমতা এবং ন্যায্যতা নিয়ে খানিকটা কাজ করলেও, নারীবাদ বিশেষজ্ঞ নই। ফলে, জ্ঞানের ঘাটতি আছে, কিন্তু নিষ্ঠায়, যাপনে এবং আচারে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো নারীবাদীর চেয়ে কম নারীবাদী নই। নারীবাদ পাঠ করা সুবিধাজনক, কিন্তু শুধু পাঠ করে নারীবাদী হওয়া সম্ভবত কঠিন। বিশেষত একজন পুরুষের পক্ষে।
গোড়ার গোড়ায় বলা উচিত ছিলো যে, ইংরেজি Equality এবং Equity-র বাংলা হিসাবে যথাক্রমে সমতা এবং ন্যায্যতা ব্যবহৃত হয়েছে (এ দুটোর মধ্যে বিস্তর ফাঁরাক আছে, সেটা নিয়ে বকবক না করার চাইতে এই ছবিটা দেখা উত্তম)। এখানে, যথারীতি, Feminism-এর বঙ্গানুবাদ হিসাবে নারীবাদ ব্যবহৃত হয়েছে যদিও এটি Feminism-এর সঠিক বঙ্গানুবাদ নয় বলে আমি মনে করি। নারীবাদ বা নারী অধিকার Women Rights-এর সঠিক অনুবাদ হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে, কিন্তু Feminism এর নয়। কারণ, Feminism এর প্রধানতম আলেখ্য হচ্ছে অসাম্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক প্রতিবাদ জারি রাখা। সে-কারণে অজস্র গবেষণায় ফেমিনিস্ট থিওরি বা ফেমিনিস্ট অ্যাপ্রোচের কথা বলা হয়, যেখানে মূল আলোচ্য হচ্ছে সমতা এবং/অথবা ন্যায্যতা। ফলে, Feminism-এর বাংলা নারীবাদ করলে এর অর্থ এবং ব্যাপ্তি সংকীর্ণ হয়।
এটা তো ঠিক যে Feminist আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে নারীদের অধিকার প্রধান ছিলো। কিন্তু সেটা অসাম্যের কারণে। সেই অসাম্য পুরুষের বিরুদ্ধে হলে একই আন্দোলন পুরুষবাদ হিসাবে পরিচিত হতে পারতো। নারীবাদ নাম দিয়ে পুরুষকে (সম্ভবত বেশীরভাগ পুরুষকে) এর বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা সম্ভব, বা নিদেনপক্ষে অনিচ্ছুক করে রাখা সম্ভব। অসাম্যের, অন্যায্যতার বিরুদ্ধে বললে আরো বেশী মানুষ এ-আন্দোলনে যুক্ত হবেন, সেটা বলাই বাহুল্য। আমার ধারণা, এর বঙ্গানুবাদও করেছিলেন কোনো এক পুরুষ।
নারীরা কি পুরুষের চেয়ে শ্রেষ্ঠ?
এই প্রশ্নটাই আপত্তিকর। কেননা, ফেমিনিজমের মূলে শ্রেষ্ঠতা নয়, বরং শ্রেষ্ঠদাবীত্বের কিংবা শ্রেষ্ঠবাদীত্বের অবসান। পুরুষরা দাবী করেছিলো তারা নারীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। ফেমিনিজম সেটা সজোরে অস্বীকার করে। বলছে, লিঙ্গভিত্তিক এই অসাম্যের প্রতিবাদ করি আমরা। কেবলমাত্র নারী কিংবা পুরুষ বলে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ চলবে না। অতএব, উপরে বঙ্গানুবাদ নিয়ে যে-সমস্যার কথা বলা হয়েছে, তার আলোকে Feminism-এর বাংলা করা যায় ‘লিঙ্গনিরপেক্ষতা’ কিংবা ‘লিঙ্গসমতা’।
এখানে আরো একটা বিষয় যুক্ত হতে পারে, জেন্ডার এবং সেক্স। বাংলায় আমি এ-দুটোর ব্যবহারে খুব একটা ফাঁরাক দেখি না। কিন্তু ফাঁরাক তো আছে। যাঁরা জানেন, তাঁরা তো জানেনই। যাঁরা আমার মতো, তাঁরা জেনে নিন। সেক্স হচ্ছে শারীরবৃত্তিক (অর্থাৎ একজন মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কোন লিঙ্গ নির্দেশ করে, সেটা), আর জেন্ডার হচ্ছে যাপিত জীবনের মানসগঠন (অর্থাৎ, একজন মানুষ নিজেকে কীভাবে [পুরুষ না নারী হিসাবে] বিবেচনা করেন, এবং পরিচয় করিয়ে দিতে চান)। সে-অর্থে সেক্স-এর বঙ্গানুবাদ হিসাবে পোলা (আক্ষরিক অর্থে ‘হোলা’) এবং মাইয়া বেশি যুক্তিযুক্ত। মাইয়া অর্থাৎ যার মাই (স্তন অর্থে) আছে, হোলা অর্থাৎ যার হোল (অণ্ডকোষ) আছে। আর জেন্ডার হিসাবে নারী/পুরুষ ব্যবহৃত হোক।
এখানে আরো একটি বিষয় আলোচ্য হতে পারে। এবং সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হচ্ছে, সেক্সুয়ালিটি বাইনারি (অর্থাৎ নারী অথবা পুরুষ) নয়; এটি একটি কন্টিনিউয়াম। পোলা/মাইয়ার বাইরে আরো পরিচয় আছে। আগ্রহীরা এই লিংকে গিয়ে দেখতে পারেন। সেখানে আরো সাইটের লিংক আছে।
মূল কথা
গোড়ার কথা বলা হলো। এবার মূলে আসা যাক। মূল এবং গোড়ার মধ্যে তফাৎ কোথায় সেটা জানার জন্য দেখুন এই লিংক (ভিডিওটা ২৭ সেকেন্ডের আগে যদি ধরতে পারেন এটি কোন গানের মিউজিক, তাইলে উপহার হিসেবে থাকবে কফি ) ।
নারীসপ্তাহ নিয়ে আপত্তি তোলা যেতো। যেমন তোলা যায় বাংলাদেশে বাসে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন নিয়ে। কিন্তু, এটি সচলায়তন। আমরা জানি, সচলের বন্ধুরা অন্ততঃ নারীদের জন্য একটি বিশেষ সপ্তাহই বরাদ্দ দেননি। তাঁরা গোটা বছর জুড়েই অসাম্য-বিষয়ক লেখা ছাপবেন, ছাপছেন, ছেপে যাবেন। এটি লেখা ছাপাবার জন্য তেল নয়, বরং সঙ্গদোষ। আমি শারীরিক দিক থেকে ‘হোলা’, চিন্তায় মানুষ। সেটা একদিনে তৈরি হয়নি। বাংলাদেশে হোলা হিসাবে জন্ম নিয়ে পুরুষ হিসাবে বড় হওয়াই দস্তুর। সেই জায়গা থেকে মানুষ হিসাবে উত্তরণ অনেকটাই নিজের বিরুদ্ধে নিজের সংগ্রাম।
সেক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা হিসাবে কাজ করেছে আমার পরিবার। আমার সৌভাগ্য আমার অভিভাবক অত্যন্ত সচেতন। তাঁরা আমাদেরকে নারী/পুরুষ হিসাবে বড় করেননি। চেয়েছেন মানুষ হিসাবে বড় হতে। এ-কাজের জন্য তাঁদেরকে ডক্টরেট করতে হয়নি; প্রয়োজন ছিলো সচেতনতা। আমরা আমাদের আশেপাশের মানুষকে সচেতন করে তুললে একদিন আমরাও অসাম্যের বাংলাদেশ পাবো। সেটা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। সঙ্গদোষে (নাকি গুণে) লোহা ভাসে!
আমাদের নারী বন্ধুদের কাছ থেকেও সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি দেখেছি, সহনশীলতা এবং যুক্তিবোধের সংস্পর্শ একজন পুরুষকে মানুষ হিসাবে উত্তরণে সাহায্য করে। আমাদের ভয়ানক পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় একজন পুরুষের প্রয়োজন উপযুক্ত সঙ্গ এবং শিক্ষা। রাতারাতি এ-পরিবর্তন কঠিন। মাইয়া/নারীদের নিজেদেরকে মানুষ হিসাবে ভাববার অনুপ্রেরণা এবং কারিগরী সহযোগিতার পাশাপাশি হোলা/পুরুষেদেরও সহযোগিতা প্রয়োজন। একজন পুরুষতান্ত্রিক চিন্তায় আচ্ছন্ন মানুষের মনোগঠনের দিক বিবেচনায় রাখা দরকার। তার চিন্তার পেছনে হাজার বছরের পুরুষতান্ত্রিকাতা কাজ করে, খুব গভীরে, খুব সংগোপনে। অগ্রসর চিন্তার মানুষদের আরো সহনশীল এবং কার্যকরী উপায় বের করা দরকার। সে-উদ্দেশে পরিবার থেকে শুরু করে পাঠ্যপুস্তকে, যাপনে, চিন্তায় মনুষ্যত্ব রোপিত হোক। যাতে আমাদেরকে আর বিশেষভাবে নারীসপ্তাহ বা নারীদের জন্য বিশেষ আসন বরাদ্দ রাখতে না হয়। কিন্তু ততদিন এসব সচল থাকুক।
শেষ কথার আগের কথা
সঙ্গদোষ বা সঙ্গগুণ যা-ই বলা হোক না কেন, আমাদের দেশে লিঙ্গবৈষম্যের আরো একটি প্রধান কারণ সম্ভবত বিষমলিঙ্গে অপ্রতুল যোগাযোগ। পারিবারিক। সামাজিক সকল ক্ষেত্রেই এ-যোগাযোগ প্রায়নিষিদ্ধ। যোগাযোগ না থাকলে কী করে জানবো অপরলিঙ্গের অনুভব, সংবেদনশীলতা, গোপন অসুখ, কিংবা গোপনতর প্রকাশসংকোচ। “আয় আরো হাত হাতে রেখে, আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি..."
“মোরা আর জনমের হংসমিথুন ছিলাম।”
মন্তব্য
দুস্তর বলতে চেয়েছেন, নাকি দস্তুর?
হা হা, চিন্তা করে দেখলাম, দুস্তরও বটে। তবে আমি দস্তুরই ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। থ্যান্কু!
----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন
ইশ! দস্তুর হবে, নিঃসন্দেহে। এখনি সম্পাদনা করে দিচ্ছি।
----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন
"হোলা"-"মাইয়া" আর নারী-পুরুষ বিভাজনে শব্দচয়ন বেশ অভিনব কিন্তু লাগসই হয়েছে।
এটা সময় নিয়েছে বেশ খানিকটা। কারণ, বাংলায় এই দুটো বিভাজন করার কার্যত কোনো উপায় পাইতেসিলাম না। হোলা/মাইয়া দুইটাই আঞ্চলিক শব্দ (হোলা বিশেষত নোয়াখাইল্যা/বোরিশাইল্যা [?], মাইয়া বহুল পরিচিত)। কিন্তু ব্যুৎপত্তি সম্ভবত এইভাবেই।
----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন
'নারী সপ্তাহ' ট্যাগটা জুড়ে দিতে পারেন। এতে করে নারী সপ্তাহের তালিকায় একীভূত হবে লেখাটি।
ওকে, ট্যাগ যুক্ত করে দিলাম।
এটা কি মূল পোস্টটাতে বলে দেয়া যায়? বা প্রকাশ কারার সময় সম্পাদনার অংশ হিসাবেও করা যায়? তাতে খোঁজ দ্য সার্চ করতেও সুবিধা হবে।
----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন
মূল সন্দেশের পোস্ট এই ট্যাগের কথা বলা হয়েছে। আমি চেষ্টা করছি সবার ট্যাগ যাতে ঠিক ঠাক মতো থাকে।
সেক্সুয়ালিটি বাইনারি তো নয়ই। আমাদের আসলে শিশুদের প্রতি যৌন সন্ত্রাস এবং এলজিবিটি কমিউনিটির প্রতি লাঞ্ছনার প্রতিবাদে কিছু করা উচিৎ। আশা রাখি সেটা করবো।
আমি এইটা নিয়ে লিখতে একপায়ে খাড়া। গবেষণা থেকে শুরু করে ভিডিও বানানো পর্যন্ত আমি রাজী। আমি এইটা নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষিতও , এবং কাজ করতে সম্মত। এইটা নিয়ে আমরা একটা লেখাসিরিজ করতে পারি। সবার চিন্তা জানতে পারি, প্রয়োজনে অ্যাকাডেমিক্যালি।
----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন
নারী সপ্তাহের ই-বই প্রকাশের কাজ শেষ হোক। কোনো এক শুভদিনক্ষন ধরে এলজিবিটি সপ্তাহ ঘোষণা করা হবে।
ই-বই প্রকাশের সময় প্রয়োজনে নির্বাচিত লেখকদের/লেখার সম্পদনার জন্যও জন্যও বলা যায়: বিশেষত যেখানে খানিকটা বর্ণনা/ব্যাখ্যা প্রয়োজন (যদি একান্ত প্রয়োজন হয়)।
----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন
জুন মাস এলজিবিটি প্রাইড মাস। জুন মাসটা আমরা পালন করতে পারি।
দারুণ! আমাদের ব্যানার থেকে শুরু করে সর্বত্র এটা পালন করি। আমাদের ডিগ্রিধারী বন্ধুদের আরেকবার েোয়া মারি
----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন
"সামাজিক সকল ক্ষেত্রেই এ-যোগাযোগ প্রায়নিষিদ্ধ। যোগাযোগ না থাকলে কী করে জানবো অপরলিঙ্গের অনুভব, সংবেদনশীলতা, গোপন অসুখ, কিংবা গোপনতর প্রকাশসংকোচ। “আয় আরো হাত হাতে রেখে, আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি..."
“মোরা আর জনমের হংসমিথুন ছিলাম।”"
- যথার্থ।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এমনকি আমরা আমাদের ভাই/বোনদের সঙ্গেও তো নিঃসংকোচে কথা বলতে পারি না, লিঙ্গবিভেদের কারণে। কখনো জানতে চাই না, তাদের কিছু বলবার আছে কি না, নারী/পুরুষ হবার কারণে তাদের অভিজ্ঞতায়/বৈভবে/বিহ্বলতায় কোনো ফাঁরাক আছে কি না। জানলে তাঁদের বৈভবে আরো আলোকিত হতে পারতাম, তাঁদের বিহ্বলতার সংকট ঘোচানোর উদ্যোগ নিতে পারতাম।
জানি না বলেই, পোষাকের দায়ে ধর্ষণকে বৈধ সন্দেহ করা হয়। তা-ই যদি হতো, তাহলে পৃথিবীর অধিকাংশ সমুদ্রসৈকতে কিংবা ব্যায়ামাগারে প্রতিদিন কেবল ধর্ষণই হতো, অবকাশ কিংবা শরীরচর্চা নয়। বাংলাদেশ থেকে এসে প্রথম দিকে খুব অবাক হলেও ধীরে ধীরে কিছুটা প্রশমন হয়। সংবেদনশীল কারো সঙ্গে আলাপ হলে এই অবস্থার আরো উন্নতি হয়। সেইজন্যই যোগাযোগ জরুরী, যতো বেশি হওয়া যায়।
----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন
সমতা ন্যায্যতা আর লিঙ্গনিরপেক্ষতা এই তিনটি বিষয়ে ধারণা আছে এমন মানুষ খুব কম। এ বিষয়গুলোকে বাচ্চাদের পাঠ্যবইয়ে ঢুকানো দরকার আসলে। আর আপনি যেটা বললেন সেটাই, বিষমলিঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে পারলে অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যেত।
পাঠ্যবইয়ে এসবের পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষতা, যৌন-নিপীড়ন, ইভটিজিং, পরমতসহিষ্ণুতা ইত্যাদিও (বয়স-বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন ক্লাসে বিভিন্ন বিষয়) অন্তর্ভূক্ত করা দরকার।
----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন
লেখাটা ফট করে শেষ হয়ে গেল যে। আরেকটু আশা করেছিলাম। সমতা, ন্যায্যতা, লিঙ্গনিরপেক্ষতা নিয়ে আরও ভেঙ্গে লিখবেন নাকি পরের পর্ব হিসেবে?
আসলে অনেক বিষয় এসে গেছে, সে-অনুযায়ী আলোচনা কম হয়ে গেছে- এইটা সত্য। যেমন, সমতা আর ন্যায্যতা নিয়ে একটা লেখা, আর যৌনতা আর লিঙ্গনিরপেক্ষতা নিয়ে আরেকটা লেখা হলে ভালো হতো। আচ্ছা, দেখি এটা নিয়ে আবার বসা যায় কি না।
মাহবুব ভাই এলজিবিটি সপ্তাহ পালন করার চিন্তা করছেন বলে জানিয়েছেন উপরের কমেন্টে। তখন যৌনতা আর লিঙ্গনিরপেক্ষতা নিয়ে একটা বিস্তারিত লেখা লেখবো বলে আশা করি।
----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন
লেখাটা 'ম্যাক্সি'র মতো হয়েছে। এই ম্যাক্সি মেয়েদের পরিধেয় নয়, ঢাকার রাস্তায় চলা টেম্পো বিশেষ। এই তুলনা কেন দিলাম? কারণ, ম্যাক্সির সামনেটা দেখতে যত বড় দেখায় পেছনে বসার জায়গাটা তত বড় না, ফট করে শেষ হয়ে যায়। আপনি যেমন ভূমিকা দিয়ে শুরু করেছিলেন তাতে আরো বিস্তারিত আলোচনা আশা করেছিলাম। অন্যদের লেখায় যে সব ঘটনাবলী উঠে এসেছে সেগুলোর সাধারণ (common) কারণ অনুসন্ধান, মেল ডমিনেটেড সোশ্যাল হেজেমনি (বাংলা করতে অক্ষম), সমতা আর ন্যায্যতার ফাঁকিগুলোর মূল নির্ণয় এমন সব বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারতেন। যাকগে, সময় তো আর পালিয়ে যাচ্ছে না, পরে হলেও লিখুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ষষ্ঠ পাণ্ডব, আগ্রহী হলে ও সময় থাকলে [url=http://www.sachalayatan.com/vabna/54261 নারীমুক্তি প্রসঙ্গ ও দীর্ঘকাল যাবত চলে আসা আমাদের ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা - পরবর্তী অংশ (তিন)]এই[/url] সিরিজটি পড়ে দেখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিশেষ অনুরোধ, সুচিন্তিত ও সুনির্দিষ্ট মতামত অবশ্যই কাম্য।
উপমাটা ভালো হৈসে
পরে আরো বিশদ লেখার ইচ্ছা রইলো। দু’আ করবেন পাণ্ডবদা
----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
----------------------------
নয় মাসে হলো তিরিশ লক্ষ খুন
এরপরও তুমি বোঝাও কি ধুন-ফুন
এই লেখাকে ভূমিকা হিসেবে নিয়ে মূল লেখার অপেক্ষায় থাকলাম
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
নতুন মন্তব্য করুন