খুদা তা'য়ালার অসীম করুণা যে এই দ্যাশে জন্মাইছি। নাইলে এতো বিনুদন আর কই পাইতাম? যেদিকেই তাকাই খালি বস্তা ভর্তি বিনুদন আর বিনুদন। মাইনষে মুখ খিচ্চা, চক্ষু গুল গুল কইরা, হাতে সুঁই, বাঁশ, লাডি লয়া সারাক্ষণ কি জানি খুঁজে! আরেব্বাই ঘটনা কি? বুজেন নাই ... হে হে হে ... আমি কই হুনেন - এইসব দিয়া আরেকজনরে পোঙ্গাইবো। যে যেমনে পারতাছে আরেকজনরে কেইন্নাইতাছে, পিডাইতাছে, লৌড়াইতাছে, হুতাইতাছে ... কুনু থামা-থামি নাই। আর আমরা আশে-পাশে থাইকা এইসব কিচ্ছা দেইখা বিয়াপক বিনুদন লাভ করতাছি।
আমরা নিজেগো লেংডা দেখতে পছন করি, ফকিন্নি দেখতে পছন করি, হারাডা দিন খালি নাই নাই চিন্তা করি। আর পিছন দিয়া চামারের দল 'যা আছে' তাও লয়া ফুট দেয়, কিচ্ছু কইতারিনা কারণ ... হারাদিন নাই নাই করি যে !!! এইসবে এহন আর দুক্ষু লাগেনা, খালি বেক্কলের মতো হাসি লাগে। হায়রে আবাগা বাঙ্গালী, মানুষ অইলিনা। আমার আবার ধৈয্য কম, বেশিক্ষন লেক্তারিনা - কিমুন জানি একটা হাস-ফাস লাগে। তয় আইজ শ্যাষ করার আগে একটা চুটকি কমু 'বাংলার ফটুগফুর'
মনে করেন যে, মরার পর চারিদিকে মাইনষে কিলবিল করতাছে। কেউ মাইয়াগো পিছ লাগছে, কেউ আবার কাউর লগে চিপাত গিয়া পিরিত করতাছে, কতগুলিতে পান খায়া এদিক-সেদিক পিচ পিচ কইরা পিক ফালাইতাছে আবার কেউ হুদাই পিডা পিডি করতাছে। তো এইসব ঘটনা দেইখা ঈশ্বরের দিল বেজায় নাখুশ হইলো। এক 'ডাইনহাত দূত'রে কইলো - ঐ বেডা, এইসব বেত্তমিজ গুলা এইখানে এমন আকাম করতাছে ক্যা? দূতে উত্তর দিলো - সবই হইলো কলির যুগের মড়া, এর আগের গুলা তো এইখানে-ঐখানে বয়া ঝিমাইতাছে। ঈশ্বর কয় - ঐ ব্যাটা, এতো পক পক না কইরা একটা ব্যাবস্থা কর! দূত বেডায় অনেক্ষন ভাইবা একটা খেল বাইর করলো, দুইন্নাতে থাকনের সময় যার যা কাম আছিলো হেইডা লয়া হালাগো বিজি রাখলেই তো অয়!! তো যে ভাবা সেই কাম। সবার বায়ূ-ডাটা চেক কইরা বিভিন্ন দলে ভাগ কইরা দিয়া কইলো - মান্দার পুতেরা, এইবার কামে লাইগা যা, কুনু উল্ডা-পাল্ডা অইলে একটা 'ঠাপ'ও মাডিত পড়তোনা। বেবাকতে মিল্লা যে যার কামে লাইজ্ঞা গেলোগা, ফাপরবাজরা ফাপর লয়, দালালরা দালালী করে, হুজুর গুলান বেহুদা ওয়াজের ফাঁক-ফোকর দিয়া গেলমান খুঁজে ... এই আর কি। তয় ফটুগফুর গুলার কাম পড়লো গিয়া বেহেস্তে। সবাই পুরা তোলপাড় কইরা ছবি উডাইতাছে, মাগার এক হালায় এদিক-সেদিক লৌড় পারে আর কি জানি কি খুঁজে। দেবদূতের একটু সন্দ অইলো তাই ঐ হালারে বেশ কশা ট্রেকিং শুরু করলো।দিন শ্যাষে দেহা গেলো হালায় একটাও ফটুক তুলে নাই মাগার বাকী হগলতে হাজারে হাজার মাইরা দিছে। দেবদূত এইবার ঐ হালার সামনে গিয়া হাজির অইলো আর কইলো কিরে পুঙ্গির পো, ফটুক খিঁচচ নাই ক্যা? ঐ হালায় কান্দে আর কান্দে। দেবদূতে জিগায় - কিরে কান্দছ ক্যা, কেউ তো তরে মারে নাই, কাডে নাই, তো? হালায় আরো জোরে কান্দে আর কয় - বাইজান, লেংটা পুলাপান কই? ছিড়া শাড়ি পড়া বেডিরা কই? অসুস্থ-দূর্বল বুইড়া বেডা-বেডি কই, না খাওইন্না লুক-জন কই? বস্তিবাসী কই? দেবদুত তো পুরাই টাশকি - ঐ বেডা এগুলান কি কছ, এইটা তো বেহেস্ত এইখানে এইসব কিচ্ছু নাই! ঐ হালায় আরো জুরে চিক্কুর পাড়ে - হায় হায়, তাইলে কি অইবো গো ওঁ ওঁ ওঁ ওঁ!! দূত বেডা কইশ্যা ধামকি দেয় - ঐ হালা তোর ঘটনা কি, কুন দ্যাশ থিক্কা আইছস? হালায় মাটিত গড়াগড়ি দিয়া কান্দে আর কয় - বাই গো বাই, ও বাই, আমি বাংলাদ্যাশের ফটুগফুর গো বাই ...ই ...ই ...ই ... ...
মন্তব্য
ভাল্লাগসে লেখাটা ...
__________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
মজার লেখা,এম আর আকতার মুকুলের চরমপত্রের কথা মনে পড়লো, শুভেচ্ছা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।
মজা হইছে!
ছেড়া পাতা
ishumia@gmail.com
আমারো মনে হয় স্বর্গে এইরকম ঘটনা ঘটবে। পইড়া ব্যাপক মজা পাইলাম।
অনন্ত
ভালোই লাগলো জোকসটা
হুম
--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার
পটুগফুর হবার প্রথম পাঠ। বাইচ্চা পোলাপাইনের নেংটুর পটু তোলা।
কি মাঝি, ডরাইলা?
ফন্ট ছোট-বড়, এবং প্যারার মধ্যে অসমান গ্যাপ দেখতে পাচ্ছি। এটা কি রিচ টেক্সট এডিটর ঠিকমতো ব্যবহার না করার ফল? এডিট করতে যদি পারেন তো ঠিক করে দিয়েন। অনেকেই হয়তো ফন্ট খুব ছোট দেখতে পাচ্ছে।
নতুন মন্তব্য করুন